কিডনী পাথর থেকে মুক্তি দেবে শসা। কতটুকু সত্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই কনটেন্ট থেকে আমরা জানবো ডায়েটের শসা খাওয়া ভালো নাকি মন্দ।তাই এ বিষয়ে যদি জানতে চান তাহলে আজকের এই কনটেন্টটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
এবং আজকের এই কনটেন্টে আরো যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে সে বিষয়টি হলো।কিডনিতে পাথর থেকে মুক্তি দেবে শসা একথা কতটুক সত্য।তাই এ বিষয়টি জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ভূমিকা
শসা রয়েছে হরেক গুণ।সারা বিশ্বে আবাদ হবার দিক থেকে চার নম্বরে রয়েছে যেসবজিটি শেষ সবজিটি হলো শসা।শসা রয়েছে নানা রকম গুণ।রূপচর্চা ও মেদ নিয়ন্ত্রণ সহ নানা উপযোগিতা আছে এই সহজলভ্য সবজির।স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় একেবারে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে।কম ক্যালরিযুক্ত ফল শশা।এতে পানির পরিমাণ অনেক।
এছাড়া শশাই ভিটামিন মিনারেস এবং ফাইবার থাকে।শসার এত উপকারিতা থাকার কারণে অনেকে সালাদ হিসাবে দিয়ে থাকেন।শসা মানে সহজে হজম এবং ওজন কমানোর একটি ওষুধ এটাই চলতি ধারণা।
- প্রতিদিন শসা খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা জেনে নিন
- গর্ভাবস্থায় শসা খেলে কি হয়
- ডায়েটে শসা খাওয়ার ভাল মন্দ
- কিডনী পাথর থেকে মুক্তি দেবে শসা। কতটুকু সত্য
- যেভাবে শসা খেয়ে দ্রতই কমবে অতিরিক্ত ওজন
প্রতিদিন শসা খাওয়ার ১৩ টি উপকারিতা জেনে নিন
শসা রয়েছে হরেক গুণ।সারা বিশ্বে আবাদ হবার দিক থেকে চার নম্বরে রয়েছে যেসবজিটি শেষ সবজিটি হলো শসা।শসা রয়েছে নানা রকম গুণ।রূপচর্চা ও মেদ নিয়ন্ত্রণ সহ নানা উপযোগিতা আছে এই সহজলভ্য সবজির।শসার হাজার গুণের মধ্যে ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা।আসন এক নজরে দেখে নেই সেই ১৩ টি বোন কি কি।
(১)দেহের পানি শূন্যতা দূর করে,ধরুন আপনি এমন কোথাও আছেন,যেখানে হাতের কাছে পানি নেই।কিন্তু শসা আছে।বড়োসড়ো একটা শসা চিবিয়ে খেয়ে নিন পিপাসা মিটে যাবে।আপনি হয়ে উঠবেন চনমনে।কারণ ৯০%ই পানি।
(২)দেহের ভিতর বাইরের তাপ শোষক,কখনো কখনো আপনার শরীরের ভিতরে বাহিরে প্রচন্ড উত্তাপ অনুভব করেন দেখে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এই অবস্থায় একটি শসা খেয়ে নিন।এছাড়া সূর্যের তাপে ত্বকের জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে তোকে ঘুষে দিন।নিশ্চিত ফল পাবেন।
(৩)বিষাক্ততা আদর করে, শসার মধ্যে যে পানি থাকে,তা আমাদের দেহে বিষাক্ত বজ্র পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ছাতার মত কাজ করে।নিয়মিত শসা খেলে কিডনিতে সৃষ্টি পাথরও গলে জাই।
(৪)প্রত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে,প্রতিদিন আমাদের শরীরের যে ভিটামিনের দরকার হয় বেশিরভাগই এই শসার মধ্যে বিদ্যমান।ভিটামিন এ বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়।সবুজ শাগ ও গাজরের সঙ্গে শসা পিসে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়।
(৫)ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে,শশায় উচ্চমাাত্রায় পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও সিলিকন আছে। যা ত্বকের পরিচয় দেয় বিশেষ ভূমিকা রাখে।এজন্য ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় শসা ব্যবহার করা যায়।শশায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রায় ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে।ফলে যারা দেহের ওজন কমাতে চান তাদের জন্য শসা আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করে।
যারা ওজন কমাতে চান তারা সুপ ও সালাতে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করবেন।কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে যা হজমে বেশ ভূমিকা রাখেন।নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘ মেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
(৬)চোখের জ্যোতি বাড়াই,সৌন্দর্য চর্চার অংশ হিসাবে শসা অনেকেই গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন।এদের চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারিত হয়,তেমনি চোখে জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে।
(৭)সানি পড়া ঠেকাতে এটি কাজ করে,চোখের প্রধা ও প্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকাই সানি পড়া ঠেকাতে এটি কাজ করে।
(৮)ক্যান্সার প্রতিরোধক কাজ করে,শশাই শিকো ইসোলার রেসিনল,লেডিসের রেসিনল,ও পিনো রেসিনল এই তিনটি আয়ুর্বেদিক উপাদান আছে।জরায়ু স্তন উচ্চ গ্রন্থী সহ বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে এই তিন উপাদানের জোরালো সম্পর্ক রয়েছে।
(৯)ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়,কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে সসা।
(১০)মুখ পরিষ্কার রাখে,দুর্গন্ধযুক্ত সংক্রমনে আক্রান্ত মাডির চিকিৎসায় শসা ধারণ কাজ করে।গোল করে কাটা এক্স স্লাইট শসা জিহ্বার উপরে রেখে সেটি মুখে চাপ দিয়ে আধা মিনিট রাখুন।শসার সাইটো কেমিক্যাল মধ্যে বিশেষ বিক্রিয়া ঘটিয়ে মুখের জীবাণু ধ্বংস করবেন।সজিব হয়ে উঠবে আপনার নিঃশ্বাস।
(১১)চুল ও নখ সতেজ করে,শসার মধ্যে যে খনিজ ও সিলিকা থাকে তা আমাদের চুল ও নখের সতেজ ও শক্তিশালী করে রাখেন।এছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
(১২)গেটে বাত থেকে মুক্তি দেয়,প্রচুর পরিমাণ সিলিকা আছে।গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে দেবের নিউরিক এসিডের মাত্রা নেমে আসে।এতে করে কেটে বাপের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
(১৩)মাথা ধরা দূর করে,ভোরে ঘুম থেকে উঠর পর অনেকের মাথা ধরে।শরীর ম্যাচ ম্যাচ করে।শশাই প্রচুর পরিমাণ বিও সুগার আছে।তাই ঘুমানো যাওয়ার আগে কয়েক স্লাস শসা খেয়ে নিলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর এই সমস্যা থাকবে না।শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা ঠিক রাখে শসা।এতে কিডনি থাকে সুস্থ সতেজ।
গর্ভাবস্থায় শসা খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায়ী শসা খেলে কি হয়।শসা অনেক পরিচিত একটি সবজি যা সব সময় পাওয়া যায়।এই শশায় রয়েছে অনেক বেশি উপকারিতা।চলুন তা জেনে নেওয়া যাক আজকের এই কন্টেন্ট থেকে।শসা হলো স্বাস্থ্যকর ডায়েট যা পুষ্টিতে পরিপূর্ণ এবং প্রজননের সহযোগিতা কারি সবজি বা ফল বিশেষ করে গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে।
তবে অনেক গর্ভবতী মহিলা এই চিন্তায় করে থাকেন যে এর মধ্যে এমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে যা সন্তানদের জন্য সামান্য হলে বিপর্যয়ের সম্ভাবনা আনতে পারে।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় শসা খেলে কি হয়।প্রথমে জানবো গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া কি নিরাপদ।মহিলাদের দেহে শশা বেশ কিছু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
আর সেই কারণেই গর্ভাবস্থায় সাধারণত শসা না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় শশা খেতে দেওয়ার কিছু সাবধানতা আছে।আপনার গর্ভবস্থায় ডায়েটে হালকা পরিমাণ হলেও শশা সংযুক্ত করার বিবেচনা করা যেতে পারে।বিশেষ করে আপনি যদি একজন শশা প্রেমী হয়ে থাকেন।প্রথমত শশাই রয়েছে কম মাত্রার ক্যালরি।
যাদের ওজন গর্ভাবস্থায় আগে থেকেই একটু বেশি তারা শসা রাখতে পারেন খাদ্য তালিকায়।ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে।শসা হলো একটি প্রাকৃতিক মূত্র বন্ধন যা দেহের ফুলা ভাব দূর করে।মেজাজের উন্নতি ঘটায়।শসার মধ্যে পাওয়া ভিটামিন গুলো ভালো অনুভূতির সৃষ্টি করে।যা মস্তিষ্কের জন্য ভালো এবং গর্ভবতী এর মেজাজের উন্নতি ঘটাতেও ভালো কাজ করে।
পানি বিয়োজন প্রতিরোধ করে।শসার থাকার প্রচুর পরিমাণ তাজা বিশুদ্ধ পানি আছে যা আমরা জানি।পানি বিয়োজনের কারণে ইলেক্ট্রো লাইটের অসমতার ব্যাপারে কোন চিন্তা করতে হবে না।কারণ শশা এর যত্ন নেবে।শশায় রয়েছে ভিটামিন কে।স্বাস্থ্যকর ও শক্তিশালী হাড়ের জন্য ভিটামিন কে অপরিহার্য উপাদান।শসা ভিটামিন কে এর সাথে আরো রয়েছে আয়রন ফলিক এসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম যা মস্তিষ্ক এবং হৃদপিন্ডের জন্য অনেক ভালো।
কোষ্ঠকাঠিন্যকে বিদায় দিতে সাহায্য করে এর শসা।শসার মধ্যে উচ্চমাত্রার ফাইবার রয়েছে যা গর্ভাবস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য বা অর্শের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে গর্ভবতী মাকে।রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে শসা।যদি আপনার গর্ব অবস্থায় কালীন ডায়াবেটিস ধরা পড়ে।তবে আপনি শসা খাওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন।
যেহেতু এটি শরীরের রক্তচাপ এবং শর্করা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।তাহলে তো একটু শসা খাওয়া যেতেই পারে রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে।শসা ভ্রনের বিকাশ বাড়াতে সাহায্য করে।শসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি বি ওয়ান বি টু বি থ্রি ফলিক এসিড জিং পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং আইরন এই সবগুলো ভিটামিন ভ্রনের বিকাশের জন্য প্রয়োজন।
ডায়েটে শসা খাওয়ার ভাল মন্দ
স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় একেবারে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে।কম ক্যালরিযুক্ত ফল শশা।এতে পানির পরিমাণ অনেক।এছাড়া শশাই ভিটামিন মিনারেস এবং ফাইবার থাকে।শসার এত উপকারিতা থাকার কারণে অনেকে সালাদ হিসাবে দিয়ে থাকেন।শসা মানে সহজে হজম এবং ওজন কমানোর একটি ওষুধ এটাই চলতি ধারণা।কিন্তু এ স্বাস্থ্যকর শসা থেকে হয়ে যেতে পারে বড় বিপদ।
অত্যাধিক শসা খেলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।অনেক সময় সদ্য কাটা শশা ও তে দল আগে।আর তেতো শসা মানেই টক্সিন।শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝড়ের মতো কাজ করে থাকে।নিয়মিত শসা খেলে কিডনিতে সৃষ্টি পাথরও গলে যায়।ওজন কমাতে সাহায্য করে শশা।শশাতে ক্যালরির পরিমাণ কম এবং পুষ্টির পরিমাণ বেশি।
ক্যালরির মাত্রা কম হওয়ায় নিয়মিত শসা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে।শসা পানি সুন্দর অভাব পূরণ করে।শসার মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ পানি থাকে।তাই গরমের সময় নিয়মিত শসা খেলে শরীরের আদ্রতা ধরে রাখে এবং পানি স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।ভাষা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।যারা নিয়মিত শসা শসা খেলে পাচনতন্ত্র থাকে।এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
শসা চোখের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।নিয়মিত শসা খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে কারণ কারণ সংসার খোসাই ভিটামিন এ রয়েছে ফলে চোখ ভালো থাকে।উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।শশায় প্রচুর পরিমাণ পানি রয়েছে।এরপরে নিয়মিত শসা খেলে ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
কিডনী পাথর থেকে মুক্তি দেবে শসা। কতটুকু সত্য
কিডনির পাথর প্রতিরোধের জন্য বা প্রতিকারের জন্য শসা খাওয়া কতখানি কার্যকর।এক কথায় কোনো রকম কার্যকারিতা নেই।তারমানে আপনি যদি মনকে মন কেজি কেজি শসা খেতেই থাকেন তাহলে শসা আপনার কিডনিকে কোনভাবেই পাথর মুক্ত করতে পারবে না।এবং পাথর হওয়া থেকে প্রতিরোধও করতে পারবেনা।সাধারণত আমাদের দেশে এই প্রবণতা বর্তমানকালে বা সাম্প্রতিক কালে দেখা যাচ্ছে।
তবে শসা আছে সবচাইতে কম অক্সারেটি।আমাদের দেশে ৮০ভাগ পাথরেরই কারণ হচ্ছে অক্সালেট।অক্সালেট পাথর আমাদের দেশে 80 ভাগ।আর বাদ বাকিটা হচ্ছে ইউরিক এসিড বা ফসফেট।প্রায় সব ধরনের সবজি যেগুলো আমরা খাই সেগুলোর মধ্যে অক্সালেট উপাদানটি বেঁচে আছে।একমাত্র শসা ছাড়া।আর এই অক্সালিটিভ পাথর আমাদের দেশে ৮০% লোকের হয়ে থাকে।
সেক্ষেত্রে আপনি যদি অক্সালেট উপাদান বেশি বেশি খান।সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি আপনি শসা খেতে পারেন।শশা একটি বা দুটি যদি খান তাহলে সবজির অভাব পূরণ হবে।বিশেষ করে যদি খোসা সহ খেতে পারেন।
যেভাবে শসা খেয়ে দ্রতই কমবে অতিরিক্ত ওজন
বাড়িতে পোলাও কোরমা রান্না হলে সাথে চাই শসার সালাত।দোকানে সরিষার তেলের এক প্লেট তেহরি মানেও কাটা শসা পেঁয়াজ মরিচের সালাত।এ শশা খেলে ঝরে যায় শরীরের মেদ এ কথা সবারই জানা।কিন্তু এত শসা খেয়েও ওজন কমছে না।জানাবো এমন কিছু নিয়ম যেভাবে শসা খেলে দ্রুতই কমবে অতিরিক্ত ওজন।ওজন কমাতে সবচাইতে কার্যকরী শসা।
সবুজ এই সব যেটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও বেশ কার্যকরী।আবার খাবারের স্বাদ বাড়াতেও ব্যবহার করা হয় এই শসার সালাতের।তাইতো অনেকেই পেট পুরে খেয়ে ফিটনেস ধরে রাখতে সাথে রুপ সৌন্দর্য বাড়াতে খেয়ে থাকেন শসা।কিন্তু এত এত খেও কমছে না ওজন এমন সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই।তাই ওজন কমাতে শসা খেতে হবে নিয়ম মেনে।
সকালের নাস্তার পর দুপুরের খাবার বা বিকেলের খাবার হিসেবে কিংবা যে কোন খাবারের সাথে খেতে পারেন শসা এতে দেহের মেয়ের ঝরবে তাড়াতাড়ি।ডায়েট করতে শুধু শসা নয় তাই খাবারের রাখুন দুইটি ডিমের সাদা অংশ বা ১৫০ গ্রাম বড় মাছ কিংবা ১৫০ গ্রাম মুরগির মাংস।সাথে রাখুন যেকোনো পোস্টটি কর যে কোন ফল ৫০০ গ্রাম।
এই ডায়েটে সুফল পাবেন ১৫ দিনের মধ্যেই।তবে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে মাস দুয়েকের বেশি এ ডায়েট করা ঠিক নয়।দ্রুত ওজন কমাতে অনেকে থাকেন খালি পেটে এতে সুফলের চেয়ে কুফলই বেশি।তাই হালকা প্রোটিনের সাথে পেট পুরে খেতে পারেন শসা।তাতে দেহের অতিরিক্ত চর্বি হবে বাইন।টক দই এর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন শসা।খেতে পারেন শসা ধনিয়াপাতার জুস।যা বেশ কার্যকরী অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে।শসা দূর করে দেহে টক্সিন।তাই ওজন দ্রুত কমে।
তাছাড়াও শসাতে আছে ভিটামিন সি কে এবং এ।শশা ফলিক অ্যাসিড পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এর উত্তম উৎসব।যা দ্রুত চর্বি ঝরানোর পাশাপাশি ধরে রাখে ত্বকের সজীবতা।আর যদি চান সুন্দর চোখ তাই সে ক্ষেত্রেও শসার ব্যবহার অতুলনীয়।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই কনটেন্ট থেকে আমরা জানতে পারলাম শশা খেলে কতটা উপকার হতে পারে।এবং কিডনির পাথর থেকে শসা কি মুক্তি দিতে পারে।এ সম্পর্কে জানতে পারলাম আজকের এই কন্টিন থেকে।তাই আজকের এই কনটেন্ট পড়ে যদি কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url