অল্প বয়সে চুল পড়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার
প্রিয় পাঠক চুল পড়া বন্ধ করতে দরকার যে ভিটামিন ও খনিজ এ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই কন্টেন্ট।আজকের এই কনটেন্টে আলোচনা করা হবে যেসব খাবার খেলে খনিজ এবং ভিটামিন রয়েছে যাতে চুল পড়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
এবং অল্প বয়সে চুল পড়ে যাওয়ার কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হবে আজকের এই কনটেন্টে।তাই এ সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই কনটেন্টটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন কনটেন্টই পুরোটাই মনোযোগ সবারে পড়ার।
ভুমিকা।
মানুষ সাধারণত লোকোমোখে শোনে নানা ধরনের তেল খোল বিভিন্ন উদ্ভিদের রস ব্যবহার করে মাথায়।একের পর এক অবৈজ্ঞানিক থেরাপির শরণাপন্ন হয় যা উল্টো চুলের ক্ষতি করে অনেক ক্ষেত্রেই।চুল পড়া রোধে সহায়ক উত্তম চিকিৎসা মেনোসিডিল টপিক্যাল সলিউশন।অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ।বিশেষজ্ঞরা এর বিভিন্ন কারণে কথা বলে থাকেন।চুল পড়া অন্যতম কারণ হচ্ছে মানসিক অশান্তি,দুশ্চিন্তা, বিষন্নতা,অপুষ্টি,অবৈজ্ঞানিক উপায় ডায়েট ইত্যাদি।
এছাড়াও জ্বর লিভার ও কিডনি অসুখ,কেমোথেরাপি নেওয়ার পরের রক্তস্বল্পতা, কিছু ওষুধ যেমন ইন্ডোমেথাসিন,জেন্টামাইসিন ইত্যাদির কারণেও চুল অতিমাত্রায় পড়ে যেতে পারে।ভালো চুল স্বাস্থ্যকর দেহে লক্ষণ।কিভাবে কারণ দেহের সঠিক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান ভারসম্পন্নভাবে থাকলে আপনি শক্তিশালীও ভারি চুল পাবেন।সুতরাং কোন ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবস্থান আন্দাজ করা যায় তার চুলের দিকে তাকিয়ে।চুলের জন্য উপকারী অসংখ্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
- চুল পড়ে যে ৪টি অভ্যাসের কারণে
- কোন ভিটামিনের অভাবে মাথার চুল পড়ে
- জেনে নিন যে সব ঔষধ কমাবে চুল পড়া
- অল্প বয়সে চুল পড়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার
- চুলপড়া বন্ধ করতে দরকার ভিটামিন ও খনিজ
চুল পড়ে যে ৪টি অভ্যাসের কারণে
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।যে ৪টি কারণে আপনার চুল পড়ে যাচ্ছে অথচ আপনি বুঝতে পারছেন না।
(১) তোয়ালি দিয়ে ঘষে ঘষে চুল শুকানো।এটা না করে তোয়ালে দিয়ে আস্তে আস্তে চাপ দিয়ে পানি বের করুন।অথবা চুলটা শুকনো তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে নিবেন যাতে করে পানি শুকিয়ে যায়।এবং তারপরে বাতাসে চুল শুকিয়ে নিবেন।
(২)খুব টাইট করে চুল বাধা।চুল যদি প্রায় সময় খুব শক্ত করে বাঁধা থাকে যেমন খুব শক্ত করে চুল বাঁধা থাকে যেমন খুব টাইট ঝুটি বা খোপা সেই টানের কারণে চুল পড়তে পারে।যেখানে টান খুব বেশি খায় সেখান থেকে চুল পড়ে যাওয়া শুরু করে।এটাকে ডাক্তারি ভাষায় ডাকসান এলো ফেসিয়া বলে।এটা ঠেকাতে চুলটা ঢিলা করে বাধবেন।
(৩)শ্যামপুর পর কন্ডিশনের ব্যবহার না করা।প্রতিবার শ্যাম্পু ব্যবহার করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।এই কন্ডিশনার চুলের ড্যামেজ ঠেকাতে সাহায্য করে এবং চুল পড়ে ঠেকাতেও সাহায্য করে।
(৪)ভেজা চুল আশ্রানো।চুল কোঁকড়ানো না হলে ভেজা চুল না আছড়িয়ে একটু শুকিয়ে যাওয়ার পর চওড়া দাতে চিরুনি দিয়ে আস্রাবেন।এছাড়াও জিংক এর অভাব আয়রনের অভাব থাইরয়েডের রোগেও চুল পড়তে পারে।
কোন ভিটামিনের অভাবে মাথার চুল পড়ে
কোন ভিটামিনের অভাবে চুলপাড়ার মত সমস্যা হয়।চলুন আজকের এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক।ভিটামিন এ এর অভাবে চুল পড়ার মতো সমস্যা হয়।চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারে রয়েছে ভিটামিন এ।হলুদ ও সবুজ শাকসবজি।রঙিন ফলমূল।গাজর কুমড়ো পেঁপে ঘি মাখন, মাছের তেল বা তেল যুক্ত মাছ মাংস ডিম ইত্যাদি।
জেনে নিন যে সব ঔষধ কমাবে চুল পড়া
মানুষ সাধারণত লোকোমোখে শোনে নানা ধরনের তেল খোল বিভিন্ন উদ্ভিদের রস ব্যবহার করে মাথায়।একের পর এক অবৈজ্ঞানিক থেরাপির শরণাপন্ন হয় যা উল্টো চুলের ক্ষতি করে অনেক ক্ষেত্রেই।চুল পড়া রোধে সহায়ক উত্তম চিকিৎসা মেনোসিডিল টপিক্যাল সলিউশন।দীর্ঘ মেয়াদে মিনোক্সিডিল ফলিকাল গুলো বাড়ানোর পাশাপাশি রক্ত চলাচল বাড়িয়ে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করেন।
মিনাক্সিডিলএকটি ড্রপার বা মিক্স যা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে হয়।তবে মিনকসিডিলের সঙ্গে পিয়ার পি বা পাটিলেট বিস প্লাজমা থেকে থেরাপি চুলের বৃদ্ধিতে সর্বাধিক কার্যকরী।ভুক্তভোগীর অবস্থা ভেদে পিআরপি থেরাপি তিন মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
তবে পিআরপি থেরাপি কাদের জন্য অকার্যকর সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করবেন একজন ডার্মাটোলজিস্ট।সেক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধান রয়েছে চুল প্রতিস্থাপনে।আড়াই থেকে চার হাজার চুল বিজ্ঞানসম্মত উপায় উঠিয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ওই ব্যক্তির মাথায় প্রতিস্থাপন করা হয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন নানা চিকিৎসার মাধ্যমে চুল কখনোই সম্পূর্ণ আগের অবস্থায় ফিরবে না।
তবে অস্বাভাবিক হারে চুল পড়ার শুরুতেই ডার্মাটোলজিস্ট এর শরণাপন্ন হতে পারলে তা রোধে বা নতুন করে গজাতে কার্যকরী পন্থের সন্ধান পাওয়া যায়।তবে হারানো চুল ফিরে পেতে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসায় অবশ্যই ভুক্তভোগীকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।
অল্প বয়সে চুল পড়ে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার
অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ।বিশেষজ্ঞরা এর বিভিন্ন কারণে কথা বলে থাকেন।চুল পড়া অন্যতম কারণ হচ্ছে মানসিক অশান্তি,দুশ্চিন্তা, বিষন্নতা,অপুষ্টি,অবৈজ্ঞানিক উপায় ডায়েট ইত্যাদি।এছাড়াও জ্বর লিভার ও কিডনি অসুখ,কেমোথেরাপি নেওয়ার পরের রক্তস্বল্পতা, কিছু ওষুধ যেমন ইন্ডোমেথাসিন,জেন্টামাইসিন ইত্যাদির কারণেও চুল অতিমাত্রায় পড়ে যেতে পারে।চলুন জেনে নেওয়া যাক অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ গুলো কি কি।
(১)অল্প বয়সে চুল উঠে যাওয়া এবং টাক পড়ার একটি বড় কারণ হতে পারে অতিরিক্ত স্টেস।
(২)চুলের সঠিক যত্ন না নেওয়ার কারণেও চুল উঠে যেতে পারে।
(৩)অতিরিক্ত রিচিং ডাই করার কারণেও চুল উঠে যেতে পারে।
(৪)কম বয়সে চুল উঠে যাওয়ার অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর ডায়েট।
(৫)টক্সিন এবং অতিরিক্ত দূষণ চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয়।এবং এর ফলে চুল আচরাতে গেলেই তা উঠে যেতে থাকে।
(৬)হরমোনের পরিবর্তন, থাইরয়েড এবং বিভিন্ন রোগের কারণেও চুল উঠতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এর প্রতিকার কি কি।
(১)সঠিক ডায়েট মেনে খাবার খেতে হবে।
(২)নিয়মিত চুল পরিষ্কার করতে হবে।সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার ভালো করে চুল ধুতে হবে।
(৩)চুল পড়ার প্রতিরোধের খাবার মেনুতে আয়রন জিঙ্ক এবং ভিটামিন ডি পূর্ণ খাবার খেতে হবে।
(৪)নিজেকে যথা সম্ভব চিন্তা মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
(৫)এছাড়া বন্ধ করতে হবে ধূমপান।
চুলপড়া বন্ধ করতে দরকার ভিটামিন ও খনিজ
আজ আমি আপনাদেরকে জানাবো চুল পড়া প্রতিরোধের যে ভিটামিন ও খনিজ সে সম্পর্কে।ভালো চুল স্বাস্থ্যকর দেহে লক্ষণ।কিভাবে কারণ দেহের সঠিক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান ভারসম্পন্নভাবে থাকলে আপনি শক্তিশালীও ভারি চুল পাবেন।সুতরাং কোন ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবস্থান আন্দাজ করা যায় তার চুলের দিকে তাকিয়ে।চুলের জন্য উপকারী অসংখ্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
এখানে শুধু দরকারি পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।আর কিভাবে সবচেয়ে ভালো উপায়ে চুলের জন্য এসব পুষ্টি উপাদান পেতে পারেন। চুলে পুষ্টি উপাদান সরবরাহের জন্য আপনি মাসে একবার বা দুইবার সেলুনে যেতে পারেন।কিন্তু সেলুনে চুল পরিচর্যার প্রভাব আজীবন থাকবে না।
তারচেয়ে বরং সঠিক খাবার খাওয়ার মাধ্যমে চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা যায় সবচাইতে ভালোভাবে।এতে আপনার সেলুনের অতিরিক্ত খরচও বাঁচবে।খাবারের মাধ্যমে চুলের জন্য পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করা হলে ভেতর থেকে চুলকে পরিপুষ্ট করে।আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাদ্যগুলো চুলের জন্য বেশি উপকারী ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি উপাদান আছে।
(১)জিংক:চুলের গ্রোথে স্বাস্থ্যের জন্য জিংক খুবই জরুরী।চুলের গ্রন্থে খয়ে যাওয়া রোধ করে চুলের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করতে পরাণিত করে জিংক।জিংক হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে ব্যাপকভাবে।জিংকির ঘাটতি হলে চুল পড়া বাড়ে।তার মানে এই নয় যে দেখতে সুন্দর চুলের জন্য প্রচুর পরিমাণ জিংক দরকার।বরং প্রতিদিন মাত্র দেহে ১৫ মিলিগ্রাম জিংক প্রবেশ করালেই ভালো।যেসব খাবারে জিংক সমৃদ্ধ আছে।কুমরোর বীজ, ভেজানো বাদাম,স্পিনার্ট,দই মুরগির মাংস, ছোলা।
(২)ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিট।ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড বেশি পাওয়া যায় মাছে।এই উপাদানটি চুলকে কড়ে সজীব ও ঘন।এছাড়াও এই স্বাস্থ্যকর চর্বি মানসিক অবসর থেকে আপনাকে দূরে রাখবে।এবং মাথার ত্বকের প্রদাহ দূর করবে।
(৩)বি কমপ্লেক্স ভিটামিন সমূহ।বি কমপ্লেক্স ভিটামিন সমুহের সাথে চুল বৃদ্ধির কোন সম্পর্ক নেই।কিন্তু দেহে এ জাতীয় ভিটামিনের ঘাটতি হলে চুল পড়া বাড়ে।ডাউল বাদাম আলু মাছ ডিম সিম সয়া দুধ ইত্যাদি এই খাবারগুলোতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পাওয়া যায়।
(৪)আইরন।আয়রনের ঘাটতি হলে এলোপেসিয়া ট্যালোজেন্ট এফুলেভিয়াম এবং চুল পাতলা হওয়ার মতো ক্ষতি হয়।দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন সরবরাহ করা হলে চুল শক্তিশালী পুরো এবং চকচকে হয়।চুলের গোছা বৃদ্ধি করে আয়রন।মাথার ত্বকের ক্রোশে প্রচুর পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করে আয়রন।যাতে চুলের বৃদ্ধি ঘটে দ্রুত গতিতে।একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের গড়ে প্রতিদিন 18 মিলিগ্রাম আয়রনের প্রয়োজন হয়।কচুর শাক কিসমিস এভিকোড কালো সিম ডিমের কুশন লাল মাংস মুরগির মাংস রবিতে আয়রন আছে প্রচুর পরিমাণে।
(৫)ভিটামিন সি।প্রয়োজনীয় কলোজিন সরবরাহ করে ভিটামিন সি।এটি এমন একটি প্রোটিন যা চুলের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখেন।কলেজের এমন এসিডের সরবরাহ বাড়াই।যাক চুলের কাঠামোতে ক্যারোটিনের ভিত্তি তৈরি করে।ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবেও কাজ করে।প্রতিদিন একটি নারীর জন্য ৭৫ মিলিগ্রাম এবং একটি পুরুষের জন্য ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এর প্রয়োজন হয়।কমলালেবু কাঁচা ক্যাপসিকাম বকলি স্ট্রবেরি পেয়ারা জাম্বুরা ইত্যাদিতে ভিটামিন সিএ পাওয়া যায়।
(৬)ভিটামিন ডি।ভিটামিন ডি এমন একটি হরমোন যা চুলের জন্য খুবই উপকারী।এবং এটি নতুন চুলের গ্রোথে সহায়ক।গবেষণায় দেখা গেছে যারা এলোফেসিয়া তীব্র চুল পড়া রোদে আক্রান্ত তাদের দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি আছে।ভিটামিন ডি ও চুলের গ্রোথের জন্য অন্যান্য পোষ্টের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।ভিটামিন ডি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো মাথায় সরাসরি সূর্যের রোদ লাগানো।মাশরুম ডিম দুধ প্রায়োটিন প্রভৃতি ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে ভালো উৎস।
লেখক এর মন্তব্য।
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা অল্প বয়সে চুল পড়ে যাওয়ার কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু জানতে পারছেন না।এবং কোন ভিটামিনের অভাবে চুল পড়ে যায় এ সম্পর্কে আজকের এই কনটেন্টে আলোচনা করা হয়েছে।তাই আজকের এই কন্টেন্ট থেকে যদি আপনাকে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে এই কনটেন্টটি পড়ে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url