মাথা ন্যাড়া করলে কি চুল পড়া বন্ধ হয়
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা মাথা ন্যাড়া করা উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্ট।আজকের এই কনটেন্টে মাথা ন্যাড়া করার উপকারিতা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।
এবং মাথা ন্যাড়া করলে কি চুল পড়া বন্ধ হয়।এবং চুল কি ঘন হয় এ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন,তারা এ কনটেন্টটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়ুন।যদি এই কনটেন্টটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ধন্যবাদ।
ভূমিকা
দীর্ঘ সময় ঘরে বসে থাকার কারণে অনেকেই মাথা ন্যাড়া করেন।এই মাথা ন্যাড়া করার পিছনে কিছু কারণ রয়েছে,কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে রয়েছে কিছু উপকারিতা।যে উপকারিতার কথা জানলে আগে আপনি মাথা ন্যাড়া করার জন্য আগ্রহ দেখাবেন।অনেকেরই ধারণা মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়।এই আসা নিয়ে মাথা কামিয়ে ফেলেন তারা।
টাক পড়া শুরু হলেই অনেকেই ঘনঘন মাথা কামান।তাছাড়াও অনেকের বাবা-মা ও মনে করেন শিশুদের মাথা ন্যাড়া করে দিলে তাদের চুল ঘন হবে।প্রচলিত একটি ধারণা আছে যে বারবার ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়।কে আবার মনে করেন চুল আসলে গাছের মতো।যত ছাটা হবে তত ঘনত্ব বৃদ্ধি হবে।এই আশা নিয়ে মাথা কামানো অনেকে।
- মাথা ন্যাড়া করার উপকারিতা গুলো জেনে নিন
- মাথা ন্যাড়া করলে কি চুল পড়া বন্ধ হয়
- ন্যাড়া করার পর টাক মাথার যত্ন। ন্যাড়া করে যা করবেন
- বার বার ন্যাড়া করলে কি মাথায় নতুন চুল গজায়? চুল ঘন হয়
- মাথা ন্যাড়া করার পর যে কাজ গুলো করলে দ্রুত চুল বাড়বে
মাথা ন্যাড়া করার উপকারিতা গুলো জেনে নিন
দীর্ঘ সময় ঘরে বসে থাকার কারণে অনেকেই মাথা ন্যাড়া করেন।এই মাথা ন্যাড়া করার পিছনে কিছু কারণ রয়েছে,কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে রয়েছে কিছু উপকারিতা।যে উপকারিতার কথা জানলে আগে আপনি মাথা ন্যাড়া করার জন্য আগ্রহ দেখাবেন।মাথা ন্যাড়া করার পর দুই এক মাস বন্ধু সমাজে বা আত্মীয়-স্বজনের সাথে চলতে কিছুটা হলে বিবৃতিকর পরিস্থিতিতে শিকার হতে হয়।
কিন্তু আপনি যদি এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারেন তাহলে আজই আপনি মাথা ন্যাড়া করার জন্য আগ্রহ দেখাবেন।তো চলুন আজকের এই কন্টেন্ট থেকে জেনে নেওয়া যাক মাথা ন্যাড়া করা পিছনে যে উপকারিতা গুলো রয়েছে সেগুলো কি কি।
(১)প্রথমত বলে যারা চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের অবশ্যই মাথা ন্যাড়া করা উচিত।যারা চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন তাদের মাথা টাক হওয়ার পেছনে একমাত্র কারণ খুশকি।এই খুশকির কারণে আপনার মাথার চুল টিকতে পারে না।এই খুশকি যতদিন আপনার মাথায় থাকবে ততদিন আপনার মাথায় চুল টিকতে পারবে না।
আর এই খুশকি আপনি হাজারো চেষ্টা করে পুরোপুরি তাড়াতে পারবেন না।তাই এজন্য মাথা ন্যাড়া করার কোন বিকল্প নেই।অনেক ডাক্তারে বলে থাকেন চুল পড়া সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য মাথা ন্যাড়া করার কোন উপকার নেই।এই কথা যারা বলে তারা পুরোপুরি নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বলে।মাথা ন্যাড়া করা হলে খুশকি প্রথমত পুরোপুরি দূর হবে।
(২)দ্বিতীয়ত চলে এর যত ইনফেকশন রয়েছে তা দূর হবে।
(৩)খুশকির কারণে অনেক চুল বাঁচাতে পারে না।মাথা ন্যাড়া করা ফলে সেসব চুল পুনরাই উজ্জীবিত হবে এবং চুলগুলো গজাবে।
যাদের বংশে টাক সমস্যা রয়েছে তারা যদি অন্তত বছর দুইবার মাথা ন্যাড়া করলে এ সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পেতে পারেন।আবার অনেকে মনে করেন বারবার মাথা ন্যাড়া করলে চুলের কলিকে সমস্যা হয়।হ্যাঁ কথা ঠিক কিন্তু এটা শুধুমাত্র বাচ্চাদের কারণে।যাদের সবেমাত্র চুল পড়া শুরু হয়েছে তারা ডাক্তার দেখানোর পর চিকিৎসা করা শুরুতেই মাথা ন্যাড়া করে চিকিৎসা শুরু করেন।
অনেকটা ভালো উপকার পাবেন।যারা চুল পড়া বা টাক সমস্যায় ভুগছেন শুধুমাত্র তাদেরকে বলছি মাথা অবশ্য ন্যাড়া করবেন এটা আপনার জন্য খুবই উপকারী হবে।মাথা ন্যাড়া করলে মস্তিষ্কের জন্য অনেক উপকারী দিক রয়েছে।আপনার চুল পড়া বা অন্যান্য কোন সমস্যা না থাকলেও মাথা ন্যাড়া করতে পারেন।বিশেষজ্ঞদের মতে প্রথমত মাথা ন্যাড়া করলে আপনার যৌনশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
দ্বিতীয়তঃ আপনার চিন্তাশক্তি আগের থেকে তীক্ষ্ণ হবে।যাদের ঘুম অনেক বেশি হয় যাদের মধ্যে অলসতা অনেক বেশি তারা যদি মাথা ন্যাড়া করে তাহলে এই দুই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।যাদের বংশে টাকের সমস্যা রয়েছে তারা মাথা ন্যাড়া করার পর অবশ্যই ক্যাস্টর অয়েল দেবেন।মনে রাখবেন চুল গজানোর ক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েল উপকারিতার মত কিছুই নেই।
মাথা ন্যাড়া করার সম্ভব হলে একবার মেহেদী পাতা বেটে দিবেন।মেহেদী পাতা মাথার চুলের গোড়ার সকল ইনফেকশন দূর করে।ডাক্তারি চিকিৎসার পরে যদি কোন সর্বোচ্চ চিকিৎসা থেকে থাকে তাহলে মাথা ন্যাড়া করা।আপনার চুলের রোধ যতই কম হোক না কেন সম্পূর্ণ চুল গজাতে দই মাসের উপর সময় লাগবে না।
মাথা ন্যাড়া করলে কি চুল পড়া বন্ধ হয়
প্রিয় ভিউয়ার যারা চুল পড়ে সমস্যা নিয়ে ভুগছেন তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্টটি অবশ্যই পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।অনেকেরই ধারণা মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়।এই আসা নিয়ে মাথা কামিয়ে ফেলেন তারা।টাক পড়া শুরু হলেই অনেকেই ঘনঘন মাথা কামান।তাছাড়াও অনেকের বাবা-মা ও মনে করেন শিশুদের মাথা ন্যাড়া করে দিলে তাদের চুল ঘন হবে।
কিন্তু এই ধারণাটা আসলে কতটা সত্যি চলুন জেনে নেওয়া যাক।অনেকেই মনে করেন চুল আসলেই গাছের মত। যতটা ছাঁটা হবে ততই ঘন হবে।এই আশা নিয়ে মাথা খাওয়ান অনেকে। কিন্তু এর কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই।কারণ মাথা ন্যাড়া করলে চুলের গোড়ায় এর কোন প্রভাব পড়ে না ত্বকের বাইরে চলে যে অংশ থাকে বরং সেটাই কেটে ফেলা হয়।ফলে মাথা ন্যাড়া করা ফলে চুলের গোড়ায় কোন প্রভাব আসে না।কিন্তু মাথা ন্যাড়া করার কি একেবারেই কোন সুবিধা নেই।
নিশ্চয়ই আছে এর দুটি সুবিধা রয়েছে।প্রথম সুবিধা হচ্ছে যাদের চুলের গোড়া দুর্বল তাদের চুল বেশি লম্বা হয়ে গেলে বেশি মাত্রায় ঝরতে থাকে।সেই সময় মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঝরা পরিমাণ কমে।মাথার ত্বকে অনেক সময় নানা ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটায়।যার ফলে চুল পড়ে যায়।তখন মাথা ন্যাড়া করলে সেই সংক্রমণের হার কমে।অতএব মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হবে এ ধারণা ভুল।কিন্তু মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঝরা পরিমাণ কমবে।কারো কারো ক্ষেত্রে এ কথা সত্যি।তাই বলা যাচ্ছে চুল ঘন করার আশায় মাথা ন্যাড়া করাটা নেতাত্মই ভুল ধারণা।
ন্যাড়া করার পর টাক মাথার যত্ন। ন্যাড়া করে যা করবেন
মাথা ভর্তি চুল এমন অনেকেই আজকাল মাথা ন্যাড়া করাচ্ছেন।মানুষ বিভিন্ন কারণে মাথা ন্যাড়া করে থাকে।কেউ করে অসুখে কেউ করে শখের বসে।কেউ বাসায় ন্যাড়া করেছেন কেউ সেলুনে গিয়ে ন্যাড়া করাচ্ছেন।তবে যেখানে যেভাবে ন্যাড়া করেন না কেন মাথার ত্বক কিন্তু চুলের থেকে অনেক বেশি সেনসিটিভ।তাই টাক মাথায় যথাযথ যত্ন নিতে হবে।অনেকেই চুল পড়া বা খুশকির সমস্যার জন্য মাথা ন্যাড়া করে থাকেন।
ফলে পড়ে ন্যাড়া মাথা সঠিকভাবে যত্ন না নেওয়ার ফলে দেখা যায় ন্যাড়া করে কোন লাভই হয় না।মাথায় চুল পড়া সমস্যা থাকলে অনেকে মাথা ন্যাড়া করার কথা ভাবেন।এটাই উপযুক্ত সময় মাথার সঠিকভাবে যত্ন নেওয়ার।তাই টাক মাথায় যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হয়েছে আজকের এ কনটেন্টে।মাথা ন্যাড়া করলে চুল ওঠা মানুষের হরমোনের উপর নির্ভর করে।তবে ভালোভাবে চুল গজাতে অনেক সময় লাগে।তাই এ বিষয়টি মাথায় রেখে মাথা ন্যাড়া করবেন।
ন্যাড়া মাথা ২০ -৩০ দিনের ৪-৫ মিলিমিটার চুল গজাই। এবং দুই মাসে হাফ ইঞ্চির মতো চুল গজায়।এবং তিন সাড়ে তিন মাসে এক ইঞ্চি লম্বা হয়।পুরোপুরি মাথায় চুল গজাতে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মাস সময় লেগে থাকে।তবে চুলের গ্রোথ ভালো থাকলে আরো তাড়াতাড়ি চুল বাধাতে পারে।একটা জিনিস দেখা যায় যে মাথা ন্যাড়া করা পর অনেকেই লজ্জায় মাথায় ক্যাপ ব্যবহার করেন।এতে মাথায় পর্যাপ্ত আলো বাতাস না লাগার ফলে চুল বাধাতে বাধা প্রাপ্ত হয়।ফলে মাথার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সেজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাথায় আলো বাতাস লাগানো প্রয়োজন।প্রথমত মাথার ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য মাথা ত্বক পরিষ্কার করার কোন বিকল্প নেই।টাক মাথায় তেলতেলে বা ময়লা জমে থাকলে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়।রুক্ষ ত্বকের কারণে মাথা চামড়া ওঠে খসখসে হয়ে যায়।কারণ শরীরে ত্বকের থেকে মাথার ত্বকে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।
মাথার ময়লা এবং তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য মাথায় শ্যাম্পু করতে হবে,এতে মাথার ত্বক সুস্থ থাকে।কারো চুল পাতলা বা কারো চুল শক্ত চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সম্পর্ক ব্যবহার করুন।টাক মাথায় সবসময় রোদের হাত থেকে রক্ষিত রাখুন।টাক মাথায় রোধের তাপ পড়লে মাথায় সমস্যা হয়।এজন্য টাক মাথায় বেশি রোদে ঘোরাফেরা করা ঠিক নয়।প্রয়োজনে বাহিরে গেলে ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করুন।
চুল বৃদ্ধি কালো ঘন করতে ও সুন্দর করতে তেলের কোন বিকল্প নেই।মাথায় বিশুদ্ধ অলিভ অয়েল নারকেল ক্যাস্টর অয়েল কালোজিরার তেল ও প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করলে ভাল হয়।তবে ক্যাস্টর অয়েল বা যে কোন তেল দিলে মাথায় অবশ্যই শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।চুলের গোড়া শক্ত করতে মেহেদি পাতা ও পেঁয়াজের রস সপ্তাহে ১-২ দিন করে ব্যবহার করুন এবং দুই মাস ধরে এটা ব্যবহার করতে থাকুন।এতে চুলের গোড়া শক্ত মজবুত ও স্বাস্থ্যকর হবে।
তাকে খুশকির সমস্যা থাকলে লেবুর রস ও অ্যালোভেরা জেল দিয়ে মাথা পরিষ্কার করুন।এতে চুলের উজ্জ্বলতা ও ঘোষকি দূর হবে।মাঝে মাঝে মাথায় ডিম ব্যবহার করতে পারেন।ডিম তুলে জন্য খুবই উপকারী।এতে মাথা ঠান্ডা হয়।সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল,অন্যতম কারণ হলো সঠিক খাদ্য করে গ্রহণ না করা ও অত্যাধিক মানসিক চাপ,রাত জাগা ও অধিক টেনশন ওর শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিনের অভাবে চুল উড়তে এবং গজাতে অব্যাহত হয়।
ফলে চুল পাতলা হয়ে যায়।মানসিক চাপ কমাতে প্রতিদিন শরীর চর্চা করুন এবং সঠিক খাদ্যবাস গ্রহণ করুন।কাঁচা ছোলা ডিম বাদাম আখরোট মাংস কালোজিরা দুধ ইত্যাদি খাবার গ্রহণ করুন।
বার বার ন্যাড়া করলে কি মাথায় নতুন চুল গজায়? চুল ঘন হয়
বারবার ন্যাড়া হলে কি আসলেই চুল ঘন হয়।প্রচলিত একটি ধারণা আছে যে বারবার ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়।কে আবার মনে করেন চুল আসলে গাছের মতো।যত ছাটা হবে তত ঘনত্ব বৃদ্ধি হবে।এই আশা নিয়ে মাথা কামানো অনেকে।বারবার ন্যাড়া করলেই ভালো চুল গজাবে কথাটির আসলে কোন সাইন্টিফিকেট বেস নেই।কারণ ন্যাড়া হলে চুলের গোড়ায় তার কোন প্রভাব ফেলে না।
ত্বকের বাইরে যে অংশটি থাকে সেটি শুধু কামানো হয়।ফলে ন্যাড়া হওয়ার ফলে চুলের ঘনত্বের কোনই পরিবর্তন আসে না।কেউ কেউ হয়তো বলবেন তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি সত্যি ঘটেছে।আসলে ব্যাপারটা তেমন নয়।কারো কারো চুলের গ্রোথ আগে থেকেই ধীর গতিতে ছিল।এবং তাদের চুল এমনিতেই ধীর গতিতে গজাত।ফলে ন্যাড়া হওয়ার পর যখন তাদের চুল ওঠা চোখের সামনে দেখতে পান ফলে তারা ভাবেন ন্যাড়া হওয়ার ফলেই তাদের চুল উঠেছে।এছাড়াও চুলের যত্ন নিয়ে আরো প্রচলিত ধারা রয়েছে।
যা আসলেই সত্যি নয়।কিন্তু যুগ যুগ ধরে এই ভুলটা সকলেই করতেছেন।তাতে হয়তো চুলের ক্ষতি হচ্ছে বেশি।সেগুলো কি জেনে নি।ন্যাড়া করলে আসলে চুল ঘন হয় না।মাথা ন্যাড়া করার পরে একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে নতুন চুল গজানোর ধরন সেই আগের চুলের মতনই।বিশেষজ্ঞরা বলেন চুল ন্যাড়া করার অর্থ হচ্ছে মাথার ওপরে চলে যতটুকু অংশ আছে কেবল সেটুকুই ফেলে দিচ্ছেন।
এমনকি অতিরিক্ত মাথার চুল ফেলার ফলে মাথার ত্বকে অতিরিক্ত চাপ পড়তেছে।যা পরবর্তীতে লালচে ফ্যাকাসে এবং নরম চুল গজানোর কারণ হতে পারে।চুলের স্বাস্থ্যের যেম বা বংশগতি ধারার ভূমিকা সবচাইতে বেশি।তাই বাচ্চাকে যতবারই ন্যাড়া করেন না কেন পরিবারের অন্য সদস্যদের মতোই চুল উঠবে তার।তবে ন্যাড়া করার একেবারে যে কোন সুবিধা নেই তা কিন্তু নয়।আপনার মাথার চুল ফেলে দিলে দুটি লাভ রয়েছে।
প্রথমত যাদের চুলের গোড়া দুর্বল তাদের চুল বেশি লম্বা হয়ে গেলে বেশি মাত্রাই ঝরতে থাকে।সেক্ষেত্রে ন্যাড়া হলে চুল ওঠার পরিমাণ কমে যায়।আর দ্বিতীয় লাভটি হল মাথার ত্বকে অনেক সময় ছত্রাক বানানা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ ঘটায় যার ফলে চুল পড়ে যায়।ফলে ন্যাড়া হলে সেই সংক্রমণের হার কমে যেতে পারে।সুতরাং ন্যাড়া হলে চুল ঘন হবে এ ধারণা ভুল।তাই ন্যাড়া হলে চুল পড়ার হার কিছুটা কমতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
মাথা ন্যাড়া করার পর যে কাজ গুলো করলে দ্রুত চুল বাড়বে
মাথার ন্যাড়া করার পর অনেকেই টেনসনে থাকেন মাথার চুল কিভাবে দ্রুত গজানো যায় এটা নিয়ে অনেকে ট্রিটমেন্ট করে থাকেন।এবং অনেকে চিহ্নিত হয়ে থাকেন।মাথা ন্যাড়া করার পর প্রথম দুই সপ্তা আমাদের মাথার চুল খুব দ্রুত বাড়ে।মাথার চুল গজানোর উপর তার চুলের যে গ্রোথ নির্ভর করে।তার শরীরের যে হরমোনাল ব্যাপার রয়েছে সেগুলোর উপর ভিত্তি করে মাথার চুল গজায়।সেক্ষেত্রে আপনার বন্ধু বা ফ্রেন্ডের চুলের গ্রোথ ভালো তাই চলল দ্রুত গজিয়েছে।
তো বন্ধুরা মাথা ন্যাড়া করা পর নতুন কোন চুল গজানোর টেকনিক বান টিপস নেই।যে টিপস গুলো ছিল সেগুলো অলরেডি জানিয়ে দিয়েছি।তো চিন্তার কোন বিষয় নেই চুল ন্যাড়া করার পর চুল কিন্তু স্বাভাবিক নিয়মেই বাড়বে।যদি দুই মাসের বেশি সময় লেগে যায় তাহলে নিকটস্থ কোনো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনার মাথার যে সমস্যা চিকিৎসা করাবেন।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই কনটেন্টে মাথা ন্যাড়া করার উপকারিতা এবং বারবার মাথা ন্যাড়া করলে কি নতুন চুল গজায় এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।তাই আজকের এই কনটেন্ট থেকে যদি কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে আপনার পরিচিত লোকজনও এই কনটেন্ট পড়ে উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url