কক্সবাজারের শীর্ষ ১০টি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান

প্রিয় পাঠক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এশিয়ার শ্রেষ্ঠ সমুদ্র সৈকত এ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্ট।আজকের এই কন্ডিটে ভ্রমণ প্রিয়াসি মানুষদের জন্য।যারা ভ্রমণ পছন্দ করেন কিন্তু কক্সবাজার যাননি তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্ট।
কক্সবাজারের শীর্ষ ১০টি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান
আজকের এই কনটেন্টে কক্সবাজারের শীর্ষে ১০টি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।তাই আপনারা যারা এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন আশা করব তারা আজকের এই কন্টেন্টিটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।তাহলে জানতে পারবেন কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।

ভূমিকা

কক্সবাজার পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রশাসনিক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি জেলা।এর আয়তন প্রায় ২৪৯১. ৮৬ বর্গ কিলোমিটার।এর উত্তরে চট্টগ্রাম,দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর,পূর্বে বান্দরবান পার্বত্য জেলা ও মায়ানমার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর বিস্তৃত।কক্সবাজারের প্রাচীন নাম পালনকি।কক্সবাজার যেমন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, ঠিক তেমনি বাংলাদেশের বুকে একখণ্ড অপরূপ লীলাভূমি।যেখানে আকাশ এবং সাগরের মিতালী দীর্ঘদিনের।

কক্সবাজার বলতে দর্শনার্থীরা কেবল সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর দর্শনীয় স্থানকে বোঝাই।কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজারের আশেপাশে দৃশ্যও অত্যান্ত মনোরম।কক্সবাজারে পাহাড়ের পাশে রাস্তা সমুদ্র পার ঘেঁষে গ্রামের দৃশ্য যে কোন ভ্রমণ পিয়াসী পর্যটকের মন কারে।১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশিষ্ট এই সমুদ্রের সৈকতের বৈশিষ্ট্য হলো পুরো সমুদ্র সৈকটটি হলো বালুকাময়।যেন কোথাও কোন কাদার অস্তিত্ব নেই।
  • কক্সবাজার জেলা দর্শনীয় স্থান
  • কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এশিয়ার শ্রেষ্ঠ সমুদ্র সৈকত
  • কক্সবাজার সম্পর্কে এক নজরে
  • কক্সবাজারের শীর্ষ ১০টি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান
  • ১ দিনের কক্সবাজার ভ্রমণ গাইড

কক্সবাজার জেলা দর্শনীয় স্থান

আজ আমরা কক্সবাজার জেলা ও এর পর্যটন এরিয়া গুলো নিয়ে বিস্তারিত জানবো।চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করে আজকের এই কন্টেন্ট।কক্সবাজার পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রশাসনিক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত একটি জেলা।এর আয়তন প্রায় ২৪৯১. ৮৬ বর্গ কিলোমিটার।এর উত্তরে চট্টগ্রাম,দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর,পূর্বে বান্দরবান পার্বত্য জেলা ও মায়ানমার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর বিস্তৃত।কক্সবাজারের প্রাচীন নাম পালনকি।একসময় এটি পানোয়া নামে পরিচিত ছিল।পেনুয়া শব্দের অর্থ হলুদ ফুল।এবার চলুন দেখেনি কক্সবাজারের প্রধান দর্শনীয় স্থানগুলি।

চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান গুলির নাম।

(১)কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
(২)কলাতলী বিচ।
(৩)লাবনী বিচ।
(৪)হিমছড়ি।
(৫)ইনানী বিচ।

(৬)সোনাদিয়া দ্বীপ।
(৭)রামু।
(৮)মহেশখালী দ্বীপ।
(৯)সেন্ট মার্টিনস দ্বীপ।
(১০)আদিনাথ মন্দির ইত্যাদি।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এশিয়ার শ্রেষ্ঠ সমুদ্র সৈকত

কক্সবাজার যেমন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, ঠিক তেমনি বাংলাদেশের বুকে একখণ্ড অপরূপ লীলাভূমি।যেখানে আকাশ এবং সাগরের মিতালী দীর্ঘদিনের।কক্সবাজার বলতে দর্শনার্থীরা কেবল সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়ানোর দর্শনীয় স্থানকে বোঝাই।কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও কক্সবাজারের আশেপাশে দৃশ্যও অত্যান্ত মনোরম।কক্সবাজারে পাহাড়ের পাশে রাস্তা সমুদ্র পার ঘেঁষে গ্রামের দৃশ্য যে কোন ভ্রমণ পিয়াসী পর্যটকের মন কারে।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০ ফিট উপরে পাহাড় থেকে সমুদ্র দেখতে চাইলে যেতে হবে হিমছড়িতে।যা কক্সবাজার থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান।গোধূলি লগ্নে সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্য অস্ত দেখতে চাইলে আপনিও চলে যেতে পারেন এই দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে।যেখানে আপনিও পাবেন এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি।

কক্সবাজার সম্পর্কে এক নজরে

চলুন আজকে কন্টেন্ট নিয়ে জেনে নেই কক্সবাজার সম্পর্কে কিছু তথ্য।পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এবং বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন জেলা কক্সবাজার।১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশিষ্ট এই সমুদ্রের সৈকতের বৈশিষ্ট্য হলো পুরো সমুদ্র সৈকটটি হলো বালুকাময়।যেন কোথাও কোন কাদার অস্তিত্ব নেই।১৭৯৯ সালে ক্যাপ্টেন হিরান কক্স দায়িত্ব প্রদান করা হয়।একক সাহেব এখানে এসে একটি বাজার প্রতিষ্ঠাতে করেন। এবং তার নাম অনুসারে পরবর্তীতে বাজারের নামকরণ করা হয় কক্সবাজার।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এই জেলার প্রায় অর্ধেক এলাকা জুড়ে পার্বত্য অঞ্চল।এবং অর্ধেক সমুদ্র উপকূলীয় দীপাঞ্চল।জেলার প্রধান দ্বীপ সমূহ হচ্ছে,মহেশখালী,কুতুবদিয়া,মাতারবাডি,সোনা দিয়া, শাহপরীর দ্বীপ,এবং সেন্ট মার্টিন দ্বীপ।কক্সবাজার কিলোমিটার দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলা।বাংলাদেশের একমাত্র সামুদ্রিক প্রবল দ্বীপ হচ্ছে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপ।বালুকাময় সৈকত,সুইং জলরাশি আর সারি সারি নারকেল গাছে অপার সৌন্দর্যের নীলাভূমি এই সেন্টমার্টিন দ্বীপ।

আর কক্সবাজারে আর একটি উল্লেখযোগ্য স্থান হচ্ছে রামু।এখানে রয়েছে বেশ কিছু প্রত্যয় তান্ত্রিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শন।রামু উপজেলার জোয়ারিয়া ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি গ্রামে তৈরি করা হয়েছে 100 ফুট লম্বা দেশের সবচাইতে বড় গৌতম বুদ্ধ সিংহ সজ্জা বৌদ্ধ মূর্তি।পাহাড় সমুদ্র ও ঝর্ণা নিয়ে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আরেকটি স্নান হচ্ছে কক্সবাজারের হিমছড়ি।হিমছরের পরেই পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় আমাদেরও সৈকতের নাম ইনানী।

যেখানে রয়েছে বিস্তীর্ণ পাথরের সৈকত।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের পানিতে সাগর থেকে তীরে ভেসে আসে অসংখ্য শামুক ঝিনুক।কক্সবাজার শহরে পর্যটন মৌসুমে প্রাণ চাঞ্চল্য দেখা দেয়।

কক্সবাজারের শীর্ষ ১০টি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান

কক্সবাজারের যে ১০ টি দর্শনীয় স্থানে না গেলেই আপনার ভবনটি বৃথা।চলুন জেনে নিই সে দশটি দর্শনীয় স্থান কোনটি কোনটি।

(১)সেন্ট মার্টিন দ্বীপ।সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সুদুর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ।টেকনাফ থেকে প্রায় নয় কিলোমিটার দক্ষিনে এবং মায়ানমার উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে কক্সবাজার জেলায় নাব নদীর উপকূলে অবস্থিত।প্রচুর পরিমাণ নারিকেল থাকায় স্থানীয়ভাবে এটি নারকেল জিনজিরা নামেও পরিচিত।

প্রতিকূল আবহাওয়ায় দারুচিনি বহনকারী একটি জাহাজ চরের নিচে একটি বিশাল পাথরের সাথে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত হয়।যার ফলে দারুচিনি পুরো দেবে ছড়িয়ে পড়ে।ফলে পরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নাম হয়ে যায় দারুন চিনি দিপ।

(২)টেকনাফ।টেকনাফ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার একটি উপজেলা।এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বদিকে অবস্থিত।কক্সবাজার জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ৮৬ কিলোমিটার।টেকনাফ উপজেলা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে হচ্ছে শাহপরীর দ্বীপ,সাফরান ট্যুরিজাম পার্ক,পৌরসভার কাছে থানা কমপ্লেক্সের মাধীনকো,বাংলাদেশ মায়ানমার টানজিট চিটিং,টেকনাফ মেজার কিং রিচার্জ ইত্যাদি।

(৩)ডুলা হাজারি সাফারি পার্ক।ডুলা হাজারী সাফারি পার্কটি কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার উত্তরে এবং চকরিয়া থানা থেকে দশ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত।মূলত এই পার্কটি একটি হরিণ প্রচলন কেন্দ্র হিসাবে পার্টি ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ বন এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। সাফারি পার্কটি ৯০ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।পার্কে মুক্ত পরিবেশে হাঁটাহাঁটি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভ্রমণের জন্য খুবই উপযোগী।

(৪)সোনা দিয়া দ্বীপ।সোনাদিয়া দেব কক্সবাজার জেলা মহেশখালী উপজেলায় অবস্থিত।এই ছোট্ট দ্বীপের আয়তন প্রায় ৯ বর্গ কিলোমিটার।কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে এটি মহেশখালী দ্বীপ থেকে একটি খাল দারা পৃথক করা হয়েছে।এই দীপ্তি অতিথি পাখিদের আশ্রয় কেন্দ্র।সুন্দর এই দ্বীপ বালুকাময় এবং ঝিনুকের জন্য বিখ্যাত।এই কক্সবাজার থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে মহেশখালী উপজেলায় অবস্থিত।

(৫)কক্সবাজার ইনানী বিচ।ইনানী বিচ বা ইনানী সমুদ্র সৈকত।হিমছড়ি থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে।এই সমুদ্র সৈকত অনেক সেন্ট মার্টিনের মত।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মত সমুদ্রতে বর্বর ঢেউ নেই।ইনানী খুবই শান্ত সমুদ্র সৈকত।ইনানী পাথর এই সমুদ্র সৈকতের প্রধান আকর্ষণ।প্রায় প্রতিটি পাথরই বিভিন্ন আকার।প্রকৃতি যেন পাথর বীছে সৌন্দর্য আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।সে রূপ দেখতে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে যায় এই ইনানী বিচে।

(৬)হিমছড়ি।হিমছড়ি পর্যটক কেন্দ্র কক্সবাজার থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত।পাহাড়ের পাদদেশে এই সমুদ্র সৈকতের নাম হিমছড়ি।কক্সবাজারের তুলনায় এখানকার সমুদ্র সৈকত নির্জন ও পরিচ্ছন্ন।এর সৌন্দর্য কোন অংশেই কম নয়।কক্সবাজার থেকে হিলছড়ি সমুদ্র সৈকতের এই রাস্তাটি হিমছড়ি থেকেও সুন্দর এবং রোমাঞ্চকর।একপাশের সমুদ্র সৈকত আরেক পাশে সবুজ পাহাড়ি সারি।এমন দৃশ্য দেশে আর কোথাও দেখা যায় না।অনেক পর্যটক এই সৌন্দর্য পায়ে হেঁটে হেঁটে উপভোগ করেন।

(৭)কক্সবাজারের কলাতলী বিচ।কক্সবাজারের পর্যটকদের আরেকটি আকর্ষণীয় স্থান হল কলাতলী সমুদ্র সৈকত।এটি কক্সবাজারের একটি সী বিচ পয়েন্ট।এখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ বেড়াতে গোসল করতে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আসেন।

(৮)কক্সবাজার লাবনী বিচ।কক্সবাজার পুরাতন সমুদ্র সৈকত যা লাবনী পয়েন্ট বা পুরাতন সমুদ্র সৈকত নামে পরিচিত।যা কক্সবাজার কলাতলীতে অবস্থিত।সকল সমুদ্র প্রেমিক ছুটে যায় কক্সবাজারের এই সি বিচ টিতে।কক্সবাজার শহরের নিকটবর্তী হওয়ায় লাবনীর সমুদ্র সৈকত কে কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র সৈকত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

(৯)কক্সবাজার রেডি এন্ড ফিশ ওয়ার্ল্ড।রেডিয়ান ফিস ওয়ার্ল্ড,সাগর এবং সাধু পানির রঙিন মাছের বাংলাদেশের প্রথম সামুদ্রিক মাছের অ্যাকোরিয়াম।শতাধিক ছোট বড় একুরিয়ামে সাজিত দর্শনীয় এই স্থানটিতে।এখানে আসলে কিভাবে এক নিমিসেই সময় কেটে যাবে তা বুঝতেই পারবেন না।

(১০)কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকাময় প্রাকৃতিক অখন্ডিত ও সমুদ্র সৈকত।এই ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও সমুদ্র সৈকতে বিশেষত্ব হলো এই পুরো সমুদ্র সৈকটটি হলো বালুকাময়।অত্যাধুনিক বালুকাময় সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হোটেল মডেল কটেজ এবং নতুন সাজে সজ্জিত বার্মিজ মার্কেটসহ শামুক ঝিনুক এবং নানা প্রজাতির প্রপারের সংগ্রহে পর্যটন মৌসুমে পর্যটকে ভরপুর থাকে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত অত্যন্ত মায়াবী ও অপরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত সমুদ্র সৈকত।প্রতিদিন প্রতিক্ষণ তার রূপ বদলায়।এবং পর্যটকদের বিবৃত করে।কক্সবাজারে রয়েছে ২৫টি ৫ তারকা হোটেল।এছাড়াও এখানে পর্যটকদের জন্য একটি ঝিনুকের মার্কেট গড়ে তোলা হয়েছে।দেশের একমাত্র ফিস একুরিয়াম রয়েছে এক কক্সবাজারে।

১ দিনের কক্সবাজার ভ্রমণ গাইড

আপনি যদি এখন পর্যন্ত কক্সবাজার ভ্রমণ না করে থাকেন এবং প্রথমবারের মতো কক্সবাজার যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে এই কনটেন্টি আপনার জন্য।এই কনটেন্টে আমি কয়েকটি টিপস দিব সেই টিপসগুলো ফলো করলে আপনার কক্সবাজার ভ্রমনের টাকা পুরোপুরি উশল হবে।এই টিপসগুলো শুধু তাদের জন্য যারা একদিনের জন্য কক্সবাজার যাবেন এবং হোটেলে থাকবেন না শুধু তাদের জন্য।

(১)সঠিক দ্বীনের নির্বাচন।আপনি চেষ্টা করবেন শুক্রবার এবং সরকারি ছুটির দিন ছাড়া কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য।সবচাইতে ভালো হয় সব মঙ্গল বুধ এই তিন দিনের মধ্যে যেকোনো এক দিনে কক্সবাজার ভ্রমণ করলে।তাহলে মানুষের অতিরিক্ত ভিড় পাবেন না এবং সিএনজি অটো রিকশা ভাড়া কম পাবেন।

(২)সঠিক মাধ্যম নির্বাচন।একদিনের জন্য কক্সবাজার ভ্রমণ করলে অবশ্যই আপনাকে বাসে ভমন করতে হবে। টেনে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপরে বাসে কক্সবাজার এভাবে যাওয়া যাবে না।
(৩)সঠিক টাইম নির্বাচন।একদিনের জন্য কক্সবাজার ভ্রমণ করতে চাইলে আপনাকে সাতটা সাড়ে সাতটায় এবং আটটার মধ্যে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে।

(৪)সঠিক বীচ নির্বাচন।একদিনের জন্য কক্সবাজার গেলে যেহেতু আপনার হাতে সময় কম থাকবে তাই আপনি এই লাবনী বীজ এবং সুগন্ধি বীজ না যেয়ে কলাতলী বীচে যেতে পারেন।হলে কলাতলী বীজ ডলফিন মোড়ের খুব কাছে তাই সময় এবং ভাড়া দুটোই সেভ হবে।

(৫)সঠিক যানবাহন নির্বাচন।কক্সবাজার যাওয়ার পরে আপনি চেষ্টা করবেন অটো রিক্সায় না যেয়ে সিএনজি যাওয়ার।তাহলে আপনার দ্রুত যে কোন স্পটে পৌঁছাতে পারবেন।
(৬)পূর্ণিমা রাতে কক্সবাজার ভ্রমণ।আপনি চেষ্টা করবেন পূর্ণিমা রাতে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে।তাহলে আপনি রাতের বেলায় সমুদ্রের তীরে বসে জোসনা উপভোগ করতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আজকের এই কনটেন্টে আমি কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।আপনারা যারা কক্সবাজার জার্নি বা যাওয়ার প্ল্যানিং করতেছেন তাদের জন্য আজকের এই কন্ঠের টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কেননা আজকের এই কনটেন্টে কক্সবাজারে শীর্ষে দশটি বিখ্যাত দর্শনের স্থান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।তাই আজকের এই কন্টেন্ট থেকে যদি আপনারা কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে আপনার পরিচিত লোকজনও উপকৃত হতে পারে এ কনটেন্টটি পড়ে।কনটেন্টি নিজে পড়ুন এবং অপরকে পড়ার সুযোগ করে দিন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url