কোরবানির সময় অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতন থাকুন
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা কুরবানীর ঈদে পরিবেশ সচেতনতাই করনীয় এবং বর্জনীয় কি এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্ট।আজকের এই কনটেন্টে কোরবানির ঈদে পরিবেশের সচেতনতা রক্ষার জন্য কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।
তাই কোরবানির সময় অবশ্যই পরিষ্কার পরিছন্নতা নিয়ে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।তাই আমরাই পারি আমাদের একটু সচেতনতার কারণে আমাদের পরিবেশটা রক্ষা করতে পারি।তাই আমরা সবাই সচেতন হই কোরবানির বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলায়।
ভূমিকা
সবাইকে অগ্রিম ঈদুল আযহা কিছু শুভেচ্ছা।কুরবানীর বর্জ্য পরিষ্কারে জনসচেতনামূলক কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ আপনাদের সামনে তুলে ধরব।কুরবানীর পশু জবাই এর পর যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাহলেও কোরবানির পশুর জবাইয়ের পর বর্জ্য পরিষ্কার করা।আমরা অনেকেই নিয়ম না মেনে কোরবানি পশুর কুরবানী করে থাকি।এটা কিন্তু ঠিক নয়।পশুর জবাই এরপর বজ্র যদি খোলা জায়গায় পড়ে থাকে তা মানব দেহ এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিক কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।কুরবানীর ঈদে পরিবেশ সচেতনতাই করণীয় ও বর্জনীয়।
কোরবানির পরশুর রক্ত বজ্র এগুলো খোলা স্থান এ ফেলে রাখা উচিত নয়।গর্ত করে সেখানে পুতে ফেলতে হবে।রক্ত ও নাড়িভড়ির যেহেতু খুব অল্প সময়ে দুর্গন্ধ ছড়ায় তাই মাটি চাপা দিতে হবে যতদ্রুত সম্ভব।মাটি থেকে সরানো সম্ভব না হলে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে।অন্যথায় জীবাণু জন্মে তা থেকে নানা রোগ ছড়াবে।ময়লা দুর্গন্ধ ছাড়াবে এসব জায়গায় কাজ না করাই ভালো।
- কোরবানির বর্জ্য পরিস্কারে করনীয় ও সচেতনতায়
- কুরবানি ঈদে পরিবেশ সচেতনতায় করণীয় ও বর্জনীয়
- কোরবানির পশু জবাইয়ের পরে অবশ্যই করণীয়
- কোরবানির সময় অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতন থাকুন
- ঈদুল আযহায় পরিবেশদূষণ রোধে আমাদের করনীয়
কোরবানির বর্জ্য পরিস্কারে করনীয় ও সচেতনতায়
সবাইকে অগ্রিম ঈদুল আযহা কিছু শুভেচ্ছা।কুরবানীর বর্জ্য পরিষ্কারে জনসচেতনামূলক কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ আপনাদের সামনে তুলে ধরব।কুরবানীর পশু জবাই এর পর যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাহলেও কোরবানির পশুর জবাইয়ের পর বর্জ্য পরিষ্কার করা।আমরা অনেকেই নিয়ম না মেনে কোরবানি পশুর কুরবানী করে থাকি।এটা কিন্তু ঠিক নয়।পশুর জবাই এরপর বজ্র যদি খোলা জায়গায় পড়ে থাকে তা মানব দেহ এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিক কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
পশুর রক্ত ঘাস লতাপাতা নারী ভুরি উচ্ছিষ্ট বর্জ্য ও রাস্তায় পড়ে থাকলে তা বাতাসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।এবং স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য হানি ঘটাতে পারে।বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি।তাই কোরবানি করার সময় আপনাকে সচেতন থাকতে হবে।যে স্থানটিতে পশু জবাই করবেন সেই জায়গাটি ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।পানি দিয়ে পরিষ্কার করার পর অবশ্যই বেসিন পাউডার ছিটিয়ে দিতে হবে।
তাহলে দুর্গন্ধ ছড়াবে না এবং জীবাণুমুক্ত থাকবে।বজ্র পরিষ্কার করার পরে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল আপনার হাত-পা এবং শরীর তা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।ধন্যবাদ সবাইকে সকলের ঈদ হোক আনন্দময় ত্যাগের মহিমায়।
কুরবানি ঈদে পরিবেশ সচেতনতায় করণীয় ও বর্জনীয়
কুরবানীর ঈদে পরিবেশ সচেতনতাই করণীয় ও বর্জনীয়।কোরবানির পরশুর রক্ত বজ্র এগুলো খোলা স্থান এ ফেলে রাখা উচিত নয়।গর্ত করে সেখানে পুতে ফেলতে হবে।রক্ত ও নাড়িভড়ির যেহেতু খুব অল্প সময়ে দুর্গন্ধ ছড়ায় তাই মাটি চাপা দিতে হবে যতদ্রুত সম্ভব।মাটি থেকে সরানো সম্ভব না হলে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে।অন্যথায় জীবাণু জন্মে তা থেকে নানা রোগ ছড়াবে।ময়লা দুর্গন্ধ ছাড়াবে এসব জায়গায় কাজ না করাই ভালো।কোরবানির পশুর চামড়া নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে।
কুরবানীর সময় পরিবেশের পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরো প্রতি বিশেষ খেয়াল রেখে মাংস খাওয়া জরুরী।ডায়াবেটিস, হাই প্রেসার,কিডনি ডিজুজ,হার্ট ডিজিজ ও কলেস্টেরল আছে এমন মানুষের জন্য গরুর মাংস বাদ দেওয়া ভালো।নিতান্তই খুব অল্প পরিমাণ খেতে হবে।সকল ক্ষেত্রেই সচেতনতা জরুরী।সচেতন থাকুন পরিছন্নতার সাথে থাকুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
কোরবানির পশু জবাইয়ের পরে অবশ্যই করণীয়
কুরবানীর পশু জবাইয়ের পর করণীয়।চলুন জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ে।
(১)কোরবানির আগে বাড়ির পাশে কোন মাঠে কিংবা পরিত্যাক্ত জায়গায় একটি গর্ত তৈরি করে রাখুন।মাংস কাটার সময় ও চেষ্টাগুলো যেখানে সেখানে না খেলে নির্দিষ্ট স্থানে রাখু।কাজ শেষে সেগুলো গর্তে পুতে ফেলুন।
(২)পশুর ভরি পরিষ্কারের পর সে আবর্জনা খোলা স্থানে না রেখে সে গর্তে পুতে ফেলুন।কোরবানির সব কার্যক্রম শেষে রক্তে মাখা রাস্তাঘাট বা বাড়ির আশেপাশে ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।জীবাণু যেনো ছড়াতে না পারে সেজন্য নোংরা জায়গা পরিষ্কারের সময় স্যাভলন মেশানো পানি ব্যবহার করুন।
(৩)শহরে যারা থাকেন তারা বিচ্ছিন্ন স্থানে কোরবানি না দিয়ে বেশ কয়েকজন মিলে এক স্থানে কোরবানি করা ভালো।এতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাজ করতে সুবিধা হয়।।তবে খেয়াল রাখতে হবে কোরবানির জায়গাটি যেন খোলামেলা হয়।কোরবানি পর আমাদের সচেতনতাই পারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে।
কোরবানির সময় অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতন থাকুন
কুরবানীর সময় অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সচেতন থাকুন।কোরবানির পশু জবাইয়ের পর যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা।আমরা অনেকেই নিয়ম না মেনে যথাযত কোরবানি কোরবানি থাকি।এটি ঠিক নয়।প্রচুর জবাইয়ের পরপর যদি খোলা জায়গায় পড়ে থাকে তবে তা মানব দেহ এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
পশুর রক্ত ঘাস লতাপাতা নাড়িভড়ির উচ্ছিষ্ট বর্জ্য রাস্তায় পড়ে থাকলে তা বাতাসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।আর এ বর্জ্য জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যহীনতা ঘড়াতে পারে। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি।তাই কুরবানী করা পরবর্তী সময়ে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে।আসন কোরবানির পরে অবশ্যই করণীয় বিষয়গুলো জেনে নিন।
(১)বর্জ্য অপসারণ।কুরবানীর পশু জবাই এর গর্তটি মাটি দিয়ে ঢেকে দিন।গর্তের মধ্যে কিছু চুন বা বেসিন পাউডার বা কিছু জীবাণু নাশক পদার্থ দেওয়া যেতে পারে।এছাড়া রক্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
(২)নাড়িভড়ির উচ্ছিষ্ট।পশুর দেহ থেকে নারী ভরির উচ্ছিষ্ট বের করে যত্রতত্র ফেলে দিয়ে তা পচে মারাত্মক দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে।এবং পরিবেশ দূষিত হয়ে বিভিন্ন রোগ ছড়াবে।তাই যথাযথ স্থানে ফেলতে হবে।
(৩)জীবাণু নাশক।বজ্র পরিষ্কার করার পরে যে কাজটি করতে হবে তাহলে আপনার হাত-পা এবং সারা শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে নিতে হবে।
(৪)কোরবানির স্থান। গরম পানিতে অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড যেমন ডেটল সাবলন বেসিন পাউডার ইত্যাদি মিশিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
ঈদুল আযহায় পরিবেশদূষণ রোধে আমাদের করনীয়
কোরবানির পর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়।কোরবানির স্থান পরিস্কার পাশাপাশি বাড়িঘর এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।জীবাণুর বিস্তার রোধে তাগিদ দিয়েছেন অ্যান্টিসেপটিভ লিকুইড ব্যবহারের।পশু জবাই স্থান সহ বাড়িঘরের যেসব জায়গায় মাংস রাখা হয় সেখানেও জরুরী হয়ে ওঠে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার।সঠিক উপায়ে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা না হলে বাড়বে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
ঘরের সুরক্ষার জন্য মাংস কাটা জায়গায় বিছাতে হবে প্লাস্টিকের সিট।যত দ্রুত সম্ভব মাংস গুছিয়ে ফেলতে হবে।মাংস কাটা হয়ে গেলে গরম পানি এবং ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।জীবাণুক্তর জন্য ব্যবহার করতে হবে অ্যান্ড সেকটিভ লিকুইড। দুর্গন্ধ দূর করতে লেবুর রস বেকিং সোডা ব্যবহার করা যেতে পারে।মাংস কাটার যন্ত্রাংশ কোনভাবেই নোংরা অবস্থায় রাখা যাবে না।ময়লা একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে রেখে ভালোভাবে আটকে দিতে হবে।
পোশাক থেকে রক্ত দাগ দূর করা সহ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতায় নজর দেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।ঈদ মানে আনন্দ এই আনন্দ যেন দুর্ভোগের কারণ না হয়ে দাঁড়ায় খেয়াল রাখা সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য।ঈদ পরবর্তী পরিছন্নতায় শুধু সিটি কর্পোরেশন নয় এই দায়িত্ব নিতে হবে সকল নাগরিককে।কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাগরিকদের অসহযোগিতার কারণেই ব্রেক পেতে হয় পরিছন্নতার কাজে।
শুধু রাস্তার বর্জ্য অপসারণের সমাধান নয় পারিবারিক পর্যায়ের পরিছন্নতা তাগিদ চিকিৎসকদের।অন্যথায় সুযোগ নেই স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমার।মোটা পলিথিনের মুখ বেঁধে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার নির্দেশনা মানেন না নগরের বেশিরভাগ মানুষ।পশুর নাড়িভড়ির বর্জ্য রক্ত অন্যান্য ময়লা ফেলা হয় সড়কেই।ঈদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনেও অনেকে কোরবানি করাই বিপাকে পড়েন পরিছন্নতা কর্মীরা।
দফায় দফায় বজ্র সংগ্রহ করতে হয় তাদের।গেল কয়েক বছরে কোরবানি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অনেক উন্নতি হয়েছে রাজধানীতে।ঈদের দিন থেকেই মাঠে থাকে পরিছন্নতা কর্মীরা।তবে চিকিৎসকরা বলছে শুধু সড়কের বর্জন উপসরনী সমাধান নয়।পরিছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে পারিবারিক পর্যায়ে গিয়ে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এ কনটেন্টে আমি সংক্ষিপ্ত আকারে জানানোর চেষ্টা করলাম আমরা একটু সচেতন হলেই কোরবানির বর্জ্য থেকে যে পরিবেশ দূষিত হয় তা থেকে রক্ষা পেতে পারি।যাতে কোরবানির পশুর বজ্রের কারণে পরিবেশ দূষিত না হয় সে বিষয়ে আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে।তাই আপনারা যারা আজকের এই কনটেন্ট পড়ে উপকৃত হয়েছেন তারা অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।
যাতে করে এই কনটেন্ট পড়ে তারাও উপকৃত হতে পারে।যাতে করে তারা কোরবানি পশুর বর্জ যেখানে সেখানে ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট একটি স্থানে গত করে পুতে রাখতে পারি।এতে করে আমাদের পরিবেসের ভারসাম্য নষ্ট হবে না।তাই পরিবেশ আমাদের রক্ষা করায় একটি নাগরিকের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url