কক্সবাজার ট্যুর প্লান লো বাজেটে

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা কম খরচে কক্সবাজার ভ্রমণের উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করা পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্ট।আজকের এই কনটেন্টে কক্সবাজার ভ্রমণের কিছু টিপস বা গাইডলাইন দেওয়ার চেষ্টা করব।
কক্সবাজার ট্যুর প্লান লো বাজেট
যাতে করে নতুনরা কক্সবাজারে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হতে না হয়।এবং কক্সবাজারে টুরে প্ল্যান এবং বাজেট সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা এ কনটেন্টটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়ুন।তাহলে জানতে পারবেন কক্সবাজার টু রেপ্লান এবং বাজেট সম্পর্কে।

ভূমিকা

কক্সবাজার,বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট।এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত।আর এই সমুদ্র সৈকত দেখতে এখানে দেশি-বিদেশি লাখ মানুষের আনাঘনায় ভরপুর থাকে এই পর্যটন নগরে।বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার।এই সমালোচনা করতে ছোট বড় অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে।যা আমরা অনেকেই জানিনা।তাই আজকের কনটেন্টে আমি কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান এবং কক্সবাজার টুরে প্লেনের লো বাজেটে কোন কোন দর্শনীয় স্থান দর্শন করতে পারবেন এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।


আমরা একটু সময় সুযোগ পেলেই দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরতে যাই।বাংলাদেশ ইতিহাস ঐতিহ্য দেশ।দেশের বিভিন্ন জেলা আমাদের সংস্কৃতির আলোকে আলোকিত।বাংলাদেশের কোন জেলা খাবার দৃষ্টি প্রসার স্থান ইত্যাদি কারণে বিখ্যাত।
  • কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান কি কি
  • কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত
  • কক্সবাজারের সবচেয়ে দামি ও সুস্বাদু শুটকি
  • কক্সবাজার ট্যুর প্লান লো বাজেটে
  • কম খরচে কক্সবাজার ভ্রমণের উপায়

কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান কি কি

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা কক্সবাজার ভ্রমণের কথা ভাবতেছেন কিন্তু জানেন না কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান গুলি কি কি।তো চলুন দেরি না করে এক নজরে দেখে নিয়ে কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানগুলির নাম।

(১)কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
(২)কলাতলী সী বিচ
(৩)লাভলী পয়েন্ট সী বিচ
(৪)ইনানি সী বিচ
(৫)হিমছড়ি ঝর্ণা ও পাহাড়

(৬)সেন্ট মার্টিন প্রবাল দ্বীপ
(৭)সেন্ট মার্টিন বিচ
(৮)সোনাদিয়া দ্বীপ মহেশখালী
(৯)শাহ পরি দ্বীপ টেকনাফ
(১০)রামু বৌদ্ধমন্দির এবং রামো রাবার বাগান

(১১)রেডিএন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড কক্সবাজার
(১২)মেরিন ড্রাইভ রোড কক্সবাজার
(১৩)ডুলা হাজারী সাফারি পার্ক
(১৪)হিমছড়ি
(১৫)বার্মিজ মার্কেট ইত্যাদি।

কক্সবাজার কিসের জন্য বিখ্যাত

প্রিয় ভিউয়ার্স আজ আমরা আপনাদের মাঝে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হয়েছে।আমরা একটু সময় সুযোগ পেলেই দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরতে যাই।বাংলাদেশ ইতিহাস ঐতিহ্য দেশ।দেশের বিভিন্ন জেলা আমাদের সংস্কৃতির আলোকে আলোকিত।বাংলাদেশের কোন জেলা খাবার দৃষ্টি প্রসার স্থান ইত্যাদি কারণে বিখ্যাত।আমাদের আটটি বিভাগের মধ্যে মোট ৬৪টি জেলা রয়েছে।এবং প্রত্যেকটি জেলায় কোনো না কোনো কারণে বিখ্যাত।

অথচ আমরা অনেকেই জানিনা আমাদের পাশের জেলাটি কি কারণে বিখ্যাত।আর আজকে জানাতে যাচ্ছি কক্সবাজার জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত।আর এসব জানার মাধ্যমে ওই জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়েও কিছু ধারনা পাব।আর আপনি আমার ওয়েবসাইটের নতুন ভিউয়ার্স হয়ে থাকলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন আপনার জেলা কোনটি।এবং আপনার জেলার কি নিয়ে গর্ববোধ করেন।আমরা অনেকেই জানিনা আমরা যেখানে ট্যুরে যাচ্ছি সেখানে কোন জিনিসগুলো বিখ্যাত।

প্রিয় ভিউয়ার্স আজ আমরা আপনাদের জানাবো বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত।কক্সবাজার জেলার মিষ্টি পানির জন্য বিখ্যাত।এখানে প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি পান পাওয়া যায়।তাই আপনি যদি কক্সবাজার ট্যুরে যান তাহলে অবশ্যই অন্তত হল একটি মিষ্টি পান খেয়ে দেখতে পারেন।আমার কাছে কক্সবাজার মিষ্টি পান অনেক ভালো লাগে আশা করি আপনার কাছেও ভাল লাগবে

কক্সবাজারের সবচেয়ে দামি ও সুস্বাদু শুটকি

ভোজন রসিকদের কাছে খুবই মজার ও আকর্ষণীয় একটি খাবার শুটকি।দেশের গণ্ডি পারিয়েও বিদেশেও বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে জনপ্রিয় খাবার শুটকি।আগে দামি সস্তা থাকায় শুটকিকে গরিবের খাবার হিসেবে তাচ্ছিল্য করা হতো।কিন্তু এখন শুটকির দামের বৃদ্ধির পাশাপাশি বদলেছে অবস্থানও।বর্তমানে শুটকি দেশের ধনীদের নিয়মিত খাবারের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।এমনকি দেশের বিভিন্ন নামিদামি রেস্টুরেন্টসহ বিলাসপুর হোটেলে শুটকির উপস্থিতি দেখা যায়।

কক্সবাজারের বাজারের বাজার ঘুরে জেনে নিব সবচাইতে দামি ও সুস্বাদু শুটকি কোনটি।এবং তার বৈশিষ্ট্য কি।কক্সবাজারে সবচেয়ে সুস্বাদু ও দামি শুটকির নাম হচ্ছে সেলমন ফিস যেটা লাক্কা নামে পরিচিত।এই শুটকি প্রতি কেজি দুই হাজার থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।দ্বিতীয় নম্বরে আছে টোনা ফিস।এ শুটকির প্রতি কেজি ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা।তৃতীয়ত রয়েছে রূপচান্দ।এসবটির প্রতি কেজি পাওয়া যায় ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা।

কক্সবাজার ট্যুর প্লান লো বাজেটে

কক্সবাজারে শুধুই কি সি বিচ না কক্সবাজারে রয়েছে আরও অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান।মাত্র দুই দিনে সবগুলো স্থান কিভাবে ঘুরবেন কোন সময় কোন জায়গায় যাবেন কত টাকা খরচ হবে সবকিছু ডিটেইলস জানতে চাইলে আজকের এই কনটেন্টটি পুরোটাই মনোযোগ সবারে পড়ুন।কক্সবাজারের কলাতলী সুগন্ধা কিম্বা লাবনী পয়েন্টের অনেক হোটেল রয়েছে।আপনার বাজেটের মধ্যে ৫০০ থেকে ৫ হাজারের মধ্যে রোম পেয়ে যাবেন।গ্রুপ মেম্বার বেশি হলে রুম খরচ কম পড়বে।

আশেপাশে দেখে শুনে যে কোন একটি হোটেলে উঠে যান।পরের দিন সকালবেলা দু পা ভেজানোর জন্য চলে আসুন সমুদ্র সৈকতে।খুব ভোরে,ভোরের আমেজ আপনাকে অন্যরকম একটি প্রশান্তি দেবে।খুব ভোরে সমুদ্র সৈকত দেখার মাঝে অন্যরকম একটি পরিতৃপ্তি রয়েছে।পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে যেতে পারেন কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপে।বাংলাদেশের একমাত্র ডিজিটাল পাহাড়ি দ্বীপ।মহেশখালী যাওয়ার জন্য কক্সবাজারের যে কোন পয়েন্ট থেকে ২০ টাকা দিয়ে আসতে হবে ছয় নাম্বার ঘাটে।

সেখানে এসে স্পিডবোট বা টলারে যেতে পারেন মহেশখালী।সমুদ্রের মধ্যে স্পিড বোর্ডে একটি এক্সাইটিং যারনি আপনাকে রোমাঞ্চকর করে তুলবে।মহেশখালী ঘোরার জন্য বেশ কিছু আকর্ষণীয় জায়গা রয়েছে তার মধ্যে আদিনাথ মন্দির অন্যতম।মহেশখালী আসবেন আর মহেশখালী বিখ্যাত পান খাবেন না তা কিন্তু হয় না।মহেশখালী ঘোড়া শেষে আবার চলে আসুন কক্সবাজারের সি বিচে।দুপুর বেলায় সমুদ্রর নীল জলরাশিতে লাাপালাপি এই ঝাপাঝাপি করার পালা।কখন গোসল করবেন এটা ডিফেন্ড করে আপনার ওপর।যারা সাঁতার জানে না তাদের জন্য সতর্কবাণী।

জোয়ারের সময় গোসল করতে হলে অবশ্যই উপরের দিকে থাকবেন।গভীরে বা সমুদ্রের ভিতর দিকে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।এক্ষেত্রে নিজেদের বিপদ কিন্তু নিজেরাই ডেকে আনবেন।পৃথিবীর সবচাইতে বড় সমুদ্র সৈকত থেকে সূর্য অস্তের দৃশ্য ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।লাবনী এবং সুগন্ধা বিচে অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা মার্কেট থেকে অনেক কিছু কিনতে পারেন।আপনার চাহিদা সম্পন্ন পণ্য সামগ্রী এখানে কম দামে কিনতে পারবেন।যদি এখান থেকে কিনতে না চান তাহলে শহরের মধ্যে বার্মিজ মার্কেটে চলে আসতে পারেন।

এখানে আপনি মানসম্মত সব ধরনের জিনিস পাবেন কেনাকাটা করার জন্য।পরেরদিন সকালবেলা চলে আসুন রামু বৌদ্ধ মন্দির ফিস ওয়ার্ড ঘুরে চলে আসুন সী বিচের ঝাউবনে।ফিস ওয়ার্ল্ড ও ঝাউবনে মধ্যে অন্যরকম একটি সুন্দর্য রয়েছে।ঘুরে ঘুরে দেখে নিন কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি অংশ।দুপুরে সমুদ্রে গোসল শেষে বেরিয়ে পড়ুন অন্যান্য দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য।যেকোনো একটি অটো বা সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে আসতে পারেন পাটোয়াটেক সী বিচ,ইনানী সি বিচ ওই হিমছড়িতে।

অটো বা সিএনজি রেজার্ভ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা নিয়ে থাকবে।প্রথমে আপনাকে নিয়ে আসবে পাটওয়াটেক সি বিচে।পাটোয়া টেক সী বিচ একটি পাথরময় সী বিচ।এখান থেকে আপনাকে নিয়ে যাবে ইনানী সী বিচে।ইনানী সি বিচে আপনি সম্পূর্ণ সেন্ট মার্টিনের ফ্লেভার পাবেন।ইনানী সী বিচে একটি অন্যরকম সৌন্দর্য রয়েছে যা সুগন্ধা বা লাবনী বিচে নেই।ইনানি সী বিচের পরে আপনাকে নিয়ে যাবে হিমছড়ি পয়েন্টে।

হিমছড়ি থেকে আপনি দেখতে পাবেন প্রাকৃতিক ঝর্ণা তার পাশাপাশি হিমছড়ি চোরা থেকে দেখতে পারবেন সূর্য অস্তের অসাধারণ একটি সৌন্দর্য।হিমছড়ি চোরা থেকে সূর্য অস্ত দেখার পর চলে আসুন কক্সবাজার।এবং রাতের গাড়ি ধরে চলে আসুন আপনার গন্তব্যে।

কম খরচে কক্সবাজার ভ্রমণের উপায়

কক্সবাজার,বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট।এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত।আর এই সমুদ্র সৈকত দেখতে এখানে দেশি-বিদেশি লাখ মানুষের আনাঘনায় ভরপুর থাকে এই পর্যটন নগরে।আজকের ভ্রমন গল্প জানাবো ঢাকা থেকে কিভাবে সবচাইতে কম খরচে কক্সবাজার যাওয়া যায়,এবং কক্সবাজারে গিয়ে কোথায় থাকেন কোথায় ঘুরবেন থাকবে তার বিস্তারিত।আজকের আমাদের ভ্রমণটি শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে।

আর আমরা যেহেতু সবচাইতে কম খরচে কক্সবাজার যেতে চাই এর জন্য চট্টগ্রাম মেইল টেনে যাব।এবং এই মেইল ট্রেনের ভাড়া পড়েছে ১২৫ টাকা,যেটি আপনারা রেল স্টেশন থেকে ১৯ নম্বর কাউন্টারে পেয়ে যাবেন।আর আপনি যদি সরাসরি ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেনে যেতে চান সেক্ষেত্রে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসের যেতে পারবেন।ক্ষেত্রে আপনার ভাড়া পড়বে 695 টাকা।

আপনি চাইলে বাসে চড়ও কক্সবাজার সে ক্ষেত্রে আপনার ভাড়া পড়বে ১০০০ থেকে ১৮০০ টাকা।মেল ট্রেনটি রাত ১০:৩০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও রাত ১১:৪৫ মিনিটে আমাদের ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে।এবং চট্টগ্রাম থেকে আলাদাভাবে আবার যেতে হবে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আজকের কনটেন্ট এ কক্সবাজার ট্যুরে প্লানের বাজেট নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত।এ সমুদ্র সৈকতে আমরা অনেকেই ঘুরতে যাই।তাই এই ট্যুরে যাওয়ার জন্য প্ল্যান এবং বাজেটের প্রয়োজন হয়।এই বাজেট এবং প্ল্যান নিয়ে আজকের এই কনটেন্ট।তাই আজকের এই কনটেন্ট থেকে যদি কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে আপনার পরিচিত লোকজন উপকৃত হতে পারে এই কনটেন্টটি পড়ে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url