রাসেলস ভাইপার সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে যেসব জেলায় |
প্রিয় পাঠক দেশে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রব বেড়েছে এ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই কন্টেন্ট।আজকের এই কনটেন্টে রাসেল ভাইপার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।বর্তমান সময়ে একটি আতঙ্কের নাম রাসেল ভাইপার।
এই আতঙ্ক সৃষ্টিকারী সাপ রাসেল ভাইপার সবচেয়ে বেশি যে জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এ সম্পর্কেও জানানো হবে আজকের এই কনটেন্টে। এ সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই কনটেন্টটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।তাহলে অবশ্যই জানতে পারভ সৃষ্টিকারী সাহাব রাসেল ভাইপার কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে।
ভূমিকা
হঠাৎ করে বাংলাদেশের ভয়ংকর বিষাক্ত সাপ রাসেল ভাইপারের উপদ্রব বেড়েছে।যেসাপে কামড় দিলে মৃত্যু অনিবার্য।যে সাপের এক ছোবল কেড়ে নিতে পারে মুহূর্তেই মানুষের প্রাণ।যেসাপকে বলা হয় কিলিং মেশিন।সে সাপ এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।ভয়ংকর সেই সাপটির নাম হলো রাসেল ভাইপার।পৃথিবীর পাঁচটি সবচেয়ে বিষধর সাপের মধ্যে একটি হচ্ছে রাসেল ভাইপার।এ সাপটি সব সময় বিশ্রামে বা শান্তিপূর্ণ স্থানে থাকা পছন্দ করে।বিশেষ করে নদীর চরাঞ্চল যে এলাকাগুলো রয়েছে এবং শীতল আবহাওয়াতে থাকতে পছন্দ করে।
আরো পরুনঃরাসেলস ভাইপার সাপ কামড়ালে করণীয়
এ কারণে নদীর চরাঞ্চলে এর উপস্থিতি এবং বংশবিস্তার বেশি দেখা যাচ্ছে।এসাপ অন্যান্য যে সাপের জাতগুলো রয়েছে তার থেকে অনেক আলাদা।বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের কয়টি এলাকায় শেষ কয়েক বছর যাবত আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিষাক্ত একটি সাপ।বিশেষ করে পর্দা তীরবর্তী এবং চরাঞ্চলে।রাসেলস ভাইপার বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত একটি বিষাক্ত সাপ।বাংলাদেশের চন্দ্রবোড়া বা উলুবড়া নামেও পরিচিত।বাংলাদেশের যেসব সাপ দেখা যায় তার মধ্যে এটি সবচাইতে বিষাক্ত।
- দেশে বিষধর ‘রাসেল ভাইপার’ সাপের উপদ্রব বেড়েছে
- রাসেল ভাইপার নিয়ে অজানা তথ্য দিলেন চিকিৎসক
- ভয়ঙ্কর ‘কিলিং মেশিন’ রাসেল ভাইপারের আসল সত্য
- রাসেলস ভাইপার সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে যেসব জেলায়
- আতঙ্কের নাম ‘রাসেলস ভাইপার
দেশে বিষধর ‘রাসেল ভাইপার’ সাপের উপদ্রব বেড়েছে
দোশে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রব বেড়েছে।রাজশাহী খুলনা অঞ্চলে থাকাই বিষধর সাপ চাঁদপুর ফরিদপুর অঞ্চলের এখন বিস্তৃত হয়েছে।গত ১ দশকে এ সাপের কামড়ে ২৩৫ জন আক্রান্ত হয় এবং মৃত্যু হয় ৫৯ জনের।কেবল গত বছরে আক্রান্ত রেকর্ড ৫০ জন।সম্পতি ঢাকা দোহারে বিষধর এ সাপের উপস্থিতির খবরে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওই এলাকায় পর্যবেক্ষণ টিম পাঠাচ্ছেন সরকার।রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া নামে পরিচিত এই সাপটি এতটাই বিষধর যে একবার কামড়ালে দ্রুতই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মানুষ।তাই অসংক্রাম রোগের তালিকায় ক্যান্সার ডায়াবেটিসের মতো যে ১৮ টি রোগ রয়েছে তার মধ্যে সাপের কামড়ো অন্তর্ভুক্ত।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংখ্যমক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের তথ্য মতে ১৯২৯ সালের এ দেশের রাসেল ভাইপারের মতো বিষধর সাপ ছিল।
মূলত খুলনা এবং রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চল কেন্দ্রে।২০১৩ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র অঞ্চল নাচলে এ সাপের কামড়ে মৃত্যুর প্রখব বাড়ে।
গত এক দশকে রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে আক্রান্ত রোগীর তালিকা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১২৫ জন
রাজশাহীতে ৬৩ জন
পাবনায় ১৪ জন
কুষ্টিয়াতে ১৩ জন
নওগায় ১০ জন
নাটোরে ৯ জন
চুয়াডাঙ্গাতে ১ জন
বিশেষজ্ঞরা বলতেছে এ সাপে কামড়ালে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে।প্রচলিত ওঝার কাছে নিলে বাড়বে মৃত্যু ঝুঁকি।
রাসেল ভাইপার নিয়ে অজানা তথ্য দিলেন চিকিৎসক
হঠাৎ করে বাংলাদেশের ভয়ংকর বিষাক্ত সাপ রাসেল ভাইপারের উপদ্রব বেড়েছে।যেসাপে কামড় দিলে মৃত্যু অনিবার্য।সাপে কামড়ালে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না সে বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।এই সাপের ভয় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ক্ষেত খামারে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন কৃষকরা।বিষয়টি খবরের শিরোনাম হয়েছে কয়েকবার।এখন প্রশ্ন হল এই বিষধর সাপ হঠাৎ করে বাংলাদেশে এত পরিমাণ কি করে এলো।
বাংলাদেশের পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলা এবং চরঞ্চলে পাওয়া যাচ্ছে রাসেল ভাইপার এর উপস্থিতি।এখন পর্যন্ত এসবের কামড়ে অনেক জনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।বাংলাদেশে এসব চন্দ্রবোড়া বা উলু গোড়া নামে পরিচিত।প্রচলিত আছে এ সাপে কামড়ালে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক কম।আসলে কি এতটা ভয়ংকর এই সাপ।কি বলছেন এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা।চিকিৎসা করা জানান রাসেল ভাইপার অপেক্ষাকৃত সাপের চেয়ে বেশি বিষধর সাপ।
চিকিৎসকরা আরও জানান এ সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের রক্ত পাতলা হয়ে যায়।শরীরের রক্তক্ষরণ হয় এবং কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে।ফুসফুসের কার্যক্রমে তাও কমে যেতে পারে।এমনকি হার্ট অ্যাটাক ও হতে পারে।বাংলাদেশের চিকিৎসকরা এ সাপের এন্টিভেনাম এখনো তৈরি করতে পারেননি।
চিকিৎসকরা বলতেছেন এ সাপের কামড়ে ৫০% এর বেশি লোককে বাঁচাতে পারেননি।তবে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই দ্রুততম হাসপাতালে নিলে ইন্ডিফেনাম এবং ডায়ালাইসিস শুরু করলে রোগীকে বাঁচানো যায়।সাধারণত সাপে কামড় দিলে ওই স্থানে বাঁধন দিতে হয়।কিন্তু রাসেল ভাইবারে কামড় নিশ্চিত হলে আক্রান্ত স্থানে বাঁধন বা গিট দিতে নিষেধ করা হয়।কারণ বাঁধনের কারণে মাংসপেশির ভিতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে অঙ্গহানিও হতে পারে।
ভয়ঙ্কর ‘কিলিং মেশিন’ রাসেল ভাইপারের আসল সত্য
যে সাপের এক ছোবল কেড়ে নিতে পারে মুহূর্তেই মানুষের প্রাণ।যেসাপকে বলা হয় কিলিং মেশিন।সে সাপ এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।ভয়ংকর সেই সাপটির নাম হলো রাসেল ভাইপার।পৃথিবীর পাঁচটি সবচেয়ে বিষধর সাপের মধ্যে একটি হচ্ছে রাসেল ভাইপার।এ সাপটি সব সময় বিশ্রামে বা শান্তিপূর্ণ স্থানে থাকা পছন্দ করে।বিশেষ করে নদীর চরাঞ্চল যে এলাকাগুলো রয়েছে এবং শীতল আবহাওয়াতে থাকতে পছন্দ করে।
এ কারণে নদীর চরাঞ্চলে এর উপস্থিতি এবং বংশবিস্তার বেশি দেখা যাচ্ছে।এসাপ অন্যান্য যে সাপের জাতগুলো রয়েছে তার থেকে অনেক আলাদা।অন্য সব সাপ যেমন ডিম ফুটিয়ে বাচা উৎপন্ন করে রাসেল ভাইপার সেই জায়গা থেকে একেবারে ব্যতিক্রম।রাসেল ভাইপার একসঙ্গে ৫০ থেকে ৮০ টি বাচ্চা দিতে সক্ষম।তাই অল্প সময়ের মধ্যে এ সাপের বংশবিস্তার বাংলাদেশে এত পরিমাণ হয়েছে।কিছুদিন আগেও এ সাপকে সংরক্ষিত সাপ হিসাবে গণ্য করা হয়েছিল।
কেননা এ সাপকে প্রায় বিলুপ্ত বলা হয়েছিল।এখন আর কিন্তু এসব কে বিলুপ্ত বলার সুযোগ নেই।দেশের বিভিন্ন স্থানে এ সাপের পাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।রাসেল ভাইপার কামড় দিলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিতে হবে।কেননা একমাত্র অ্যান্ট্রোফেনাম এর মাধ্যমে ওই রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।তবে এই সাপে যত জনকে কামড় দিয়েছে আসলে বেশিরভাগ মানুষই মৃত্যুবরণ করেছেন।তবে সতর্ক থাকার কোন বিকল্প নেই।
রাসেলস ভাইপার সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে যেসব জেলায়
পবিত্র ঈদুল আযহা শেষ হতে না হতেই দেশে শুরু হয়েছে এক নতুন আতঙ্ক।বিষাক্ত রাসেল ভাইবার বিষধর সাপ ঢুকে পড়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।বিষধর এ সাপের দেখা মিলেছে দেশের ২৮ টি জেলায়।ভয় ও আতঙ্কে দিনকাল কাটতেছে মানুষের।গত এক মাসে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ এমনকি মধ্য অঞ্চলের জেলা গুলোতেও দেখা মিলেছে এ রাসেল ভাইপার সাপের।তিন মাসে মানিকগঞ্জে অন্তত ৫ জন প্রাণ হারিয়েছে এই বিষধর সাপের কামড়ে।
বিষেধরে সাপের কারণে দেশে আতংক ছড়াচ্ছে।সাধারণত অন্য সাপ মানুষকে দেখলে এড়িয়ে চলে।কিন্তু রাসেল ভাইপো আর বিষধর সাপটি একটু ভিন্ন ধরনের সাপ নিজেকে বিপন্ন মনে করলে আক্রমণ করে।অন্য সাপের তুলনায় হিংসতা এবং আক্রমণের দিক দিয়ে অনেকটা এগিয়ে এই রাসেল ভাইপার সাপটির।দেশের ২৮ জেলায় ছড়িয়েছে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার।বেশি ছড়াচ্ছে পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলাগুলোতে।এ তথ্য সরকারের ভেনাম রিসার্চ সেন্টারের।
গবেষকরা বলহছে অনুকূল আবার কারণে ছড়াচ্ছে এই রাসেল ভাইপার।গবেষকরা বলছে গত দেড় বছরে শুধু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাসেল ভাইপারের কামড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন অন্তত ১৮ জন।রাসেল ভাইপারবা চন্দ্রবোড়া,সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর অন্যতম।বহু বছর দেখা না গেলেও ২০১২ সালের পর বরেন্দ্র এলাকায় চোখে পড়ে রাসেল ভাইপার।গত বছর ছড়িয়ে পড়ে অনেক এলাকায়।
রাসেল ভাইপার সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে।মূলত পদ্মা অববাহিকায় চাঁদপুর মাদারীপুর মানিকগঞ্জ এমনকি ঢাকাতেও দেখা মিলেছে রাসেল ভাইপারের।এটি একমাত্র বিষধর সাপ যে বাচ্চা দেয়।প্রতিবারে জন্ম নেয় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশটি বাচ্চা।দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ংকর সাপ রাসেল ভাইপার।বিশেষ করে চরাঞ্চলে দেখা যাচ্ছে এ সাপের বেশি আনাগোনা।যার এক ছোবলে প্রাণ যেতে পারে যে কারো।এতে আতঙ্কে দিন পার করছেন সাধারন মানুষ।
আতঙ্কের নাম ‘রাসেলস ভাইপার
বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের কয়টি এলাকায় শেষ কয়েক বছর যাবত আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিষাক্ত একটি সাপ।বিশেষ করে পর্দা তীরবর্তী এবং চরাঞ্চলে।রাসেলস ভাইপার বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত একটি বিষাক্ত সাপ।বাংলাদেশের চন্দ্রবোড়া বা উলুবড়া নামেও পরিচিত।বাংলাদেশের যেসব সাপ দেখা যায় তার মধ্যে এটি সবচাইতে বিষাক্ত।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তথ্য অনুসারে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কেবল রাজশাহী অঞ্চলেই রাসেলস ভাইপারে দর্শনে ২০২ জন হাসপাতালে ভর্তি হন।
এর মধ্যে মারা গেছেন ৬২ জন।আর চলতি বছরে এখন পর্যন্ত পদ্মা তীরবর্তী রাজশাহী রাজবাড়ী ও ঢাকার কাছের জেলা মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় অন্তত দশ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।সাপটি দেখতে অনেকটা অজগরের বাচ্চার মত।ব্রিটিস শাসনামলে ভারতে কাজ করতে এসেছিলেন স্কটের সার্জন পেট্রিক রাসেল ১৭৯৬ সালে তিনি সম্পর্কে গবেষণা করেন।তার নাম অনুসারে এই সাপের নামকরণ করা হয়।
বাংলাদেশের ২০০২ সালে প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন ঘোষিত বিলুপ্ত এই সাপটি মূলত শুষ্ক অঞ্চলে বিশেষ করে বলেন তো এলাকার বাসিন্দা হলেও এখন তা দেশের অন্তত ২৮টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।বর্তমানে সাপটি পৌছে গেছে উপকূলে অঞ্চল বরিশাল পটুয়াখালী ও চাঁদপুর পর্যন্ত।এসব এলাকা থেকে রাসেল ভাইপারের কামড়ে মৃত্যুর খবর আসছে যাদের বেশিরভাগ দরিদ্র কৃষক ও কৃষি শ্রমিক।
প্রশ্ন হল বিলুপ্ত ঘোষিত এই সাপটির আনাগোনা হঠাৎ বাড়ল কেন?।একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে এটি আরো অনেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার কারণগুলো বা কি কি?।প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলতেছেন সাপটি একেবারে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বিষয়টি এরকম না।বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প সংখ্যক এই সাপটির উপস্থিতি সবসময়ই ছিল।২০১৩ সাল থেকে আবার এর অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়।মূলত বংশ বিস্তারের মতো পরিবেশ ও পর্যাপ্ত খাদ্য না থাকায় এই সাপের উপস্থিতি তেমন একটা বোঝা যায়নি।
এ সাপটি হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কয়েকটি কারণ এর মধ্যে একটি হল এ সাপটি বাচ্চা দেয়।বরেন্দ্র অঞ্চলে এইসব আগে থেকেই ছিল।ওই অঞ্চলে আগে একটি ফসল হতো।এখন দুটো তিনটে ফসল হয়।ফসল হওয়ার কারণে দেখা যায় সেখানে ইদুর বেশি থাকে আর ইঁদুর হলো রাসেল ভাইপারের প্রধান খাদ্য।রাসেল ভাইপার এমন একটি সাব যা সর্বোচ্চ পরিমাণ বিষ ঢালতে পারে মানুষের শরীরে।এর দাঁতের আকার বড় এবং বিষের পরিমাণ বেশি।
এ সাপের কামড়ে শরীরের দোংশিত অংশে বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি ক্রমাগত রক্তপাত রক্ত জমাট বাধা চোখ ভারি হয়ে আসা পক্ষঘাত এবং কিডনি ও ফুসফুসের ক্ষতিসহ বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে।সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না পেলে মৃত্যু হয়।আরো আতঙ্কের বিষয় হলো রাসেল ভাইপারের জন্য বিশেষায়িত এন্টিভেনম বাংলাদেশে নেই।বাংলাদেশের প্রতিবছর পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষকে সাপে কাম।এর ভিতর ৬০০০ও বেশি মানুষ মারা যান।তাই এ সাপের কবল থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই কনটেন্টে আমি আলোচনা করার চেষ্টা করলাম ভয়ংকর বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার নিয়ে।বর্তমান সময়ে রাসেল ভাইপার একটি আতঙ্কের নাম।এই আতঙ্ক থেকে বাঁচার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।বর্তমান সময়ে রাসেল ভাইয়ের ২৮টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।
তাই রাসেল ভাইপার এর ব্যাপারে নিজের সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং অন্যকে সতর্ক করুন।তাই আজকের এই কন্ঠের থেকে আপনারা যদি কে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে করে তারাও এই কনটেন্ট পরে উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url