কুরবানির গোশত বন্টনের সঠিক নিয়ম

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা জানতে চাচ্ছেন যাদের সাথে কোরবানি দিলে আপনার কোরবানি হবে না কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও এ বিষয়ে জানতে পারতেছেন না।তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্ট।আজকের এই কনটেন্টে কোরবানি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।যেহেতু সামনে কোরবানি চলে এসেছে তাই কোরবানি সম্পর্কে জানা-অজানা বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব আজকের এই কন্টেন্টের মাধ্যমে।
কুরবানির গোশত বন্টনের সঠিক নিয়ম
এবং তুলে ধরার চেষ্টা করব কোরবানির গোশত বন্টন করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।কোরবানি মুখস্ত বন্ধ করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই কনটেন্টটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।তাহলে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে কোরবানির গুরুত্ব সঠিক নিয়মে বর্ণনা করতে হবে।

ভূমিকা

আর কিছুদিন পরেই ঈদ উল আযহা।সবাই ঈদের কেনাকাটা করতে ব্যস্ত।তাও আবার ঈদ উল আযহা।আর ঈদুল আযহা মানেই তো কোরবানি।কোরবানির জন্যই এই ঈদটা এত আনন্দের একটি দিন।এই দিনটা শুধু আমাদের কাছেই সারাদিন না।মহান আল্লাহর কাছেও সেরা একটি দিন।নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আল্লাহর নিকট দিবসমূহের মধ্যে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হল কোরবানির দিন।তারপর পরবর্তী তিন দিন।তাই কেনাকাটার সকল ব্যস্ততার মাঝেও কোরবানির পশু কিনতে হবে।

কুরবানী পশু কেনার আগে এবং কুরবানী দেওয়ার আগে আমাদের কুরবানী সম্পর্কে ভালোভাবে জানা উচিত।তাই কোরবানি সম্পর্কে আপনাদেরকে সামান্য ধারণা দেওয়ার জন্য আমার আজকের এই কনটেন্টটি।আশা করি এই কনটেন্টি সামান্য হলেও কুরবানী সম্পর্কে আপনাদেরকে ধারণা দিবে।তাই আশা করব আজকের এই কন্টেন্টই পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।তাহলে কোরবানির সম্পর্কে হালকা হলেও ধারণা পেয়ে যাবেন ধন্যবাদ।
  • কোরবানির মাংস কতদিন পর্যন্ত খাওয়া যায়
  • কতটুকু সম্পদ থাকলে কোরবানি করতে হবে
  • কোরবানির মাংস কি বিক্রি করা যাবে
  • কুরবানির গোশত বন্টনের সঠিক নিয়ম
  • যাদের সাথে কুরবানী দিলে কুরবানী হবে না

কোরবানির মাংস কতদিন পর্যন্ত খাওয়া যায়

আচ্ছা আপনি কি জানেন কোরবানির গোস্ত আপনি কতদিন পর্যন্ত খেতে পারবেন।মুসনাদ আহমদ বিন হাম্বল হযরত আয়েশার রাদিয়াল্লাহু তা'আলা বলেন একদিন আলী আমার ঘরে এসেছিলেন আর আমি উনাকে কুরবানীর গোশত খেতে দিয়েছিলাম।তখন আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু তালা বললেন এই গোস্তর ব্যাপারে আমি যতক্ষণ না পর্যন্ত আল্লাহর রাসূলের কাছ থেকে না জানবো ততক্ষণ পর্যন্ত খাব না।হযরত আলী রাসূল সাল্লাল্লাহু সালামের কাছে জিজ্ঞেস করল।

হে পেয়ারী নবী আমরা কোরবানির গোস্ত কত দিন পর্যন্ত খেতে পারব।তখন নবী করিম সাঃ উত্তর দিলেন এক জিলহজ মাস থেকে শুরু করে পরবর্তী জিলহজ মাস পর্যন্ত খাওয়া যাবে।এর মানে হলো কোরবানির গোশত পরিপূর্ণ এক বছর সংরক্ষণ করে রেখে খাওয়া যাবে।তারপরেও এখানে একটি কিন্তু রয়েছে।নবীজি বলেন কোরবানি দেওয়ার পর কোরবানির গোশত গরিব মিসকিন দোস্ত মানুষদেরকে দেওয়ার পর আপনার গরিব আত্মীয়-স্বজনকে বিলি করার পর,যতটুকু আপনার অংশে থাকবে ততটুকু সংরক্ষণ করে সারা বছর খেতে পারবেন।

সম্মানিত ভিউয়ার আজকে আমি আলোচনা করব কোরবানি মাংস কতদিন পর্যন্ত রেখে খাওয়া যাবে এ সম্পর্কে।উচ্চারণ কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক কতদূর পর্যন্ত কোরবানি মাংস সংরক্ষণ করে রাখা যায়।কোরবানির গোশত রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম তিন দিনে বেশি প্রথম দিকে রাখতে নিষেধ করেছেন।এটার কারণ ছিল তখন সমাজে দেশে অভাব অনটন ছিল।পরবর্তী বছর যখন এসেছে তখন নবী করীম সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন খাও মানুষকে খাওয়াও এবং জমা করে রাখো।

কতদিন পর্যন্ত জমা করে রাখা যাবে এটা নির্দিষ্ট করে বলেনি।যতদিন ইচ্ছা ততদিন পর্যন্ত জমা করে রাখতে পারেন এটার বৈধতা রয়েছে।তবে হাদিস থেকে একটা শিক্ষা রয়েছে,যখন দেশে রাসূল সাঃ অভাব দেখেছেন তখন রাসুল সালে সাল্লাম বলেছেন তিন দিনের বেশি রেখো না।অর্থাৎ যখন দেশে অভাব চলবে তখন কোরবানির গোস্ত তিন দিনের বেশি না রেখে গরিব মিসকিনকে দান করে দেওয়া উচিত।

যদিও বর্তমান যুগে বা রাসুল সালাম এর শেষ হাদীস অনুযায়ী কিয়ামত পর্যন্ত এই বিধানটাই জারি থাকবে।যা হচ্ছে তিন দিনের বেশি বা অনেক সময় পর্যন্ত কোরবানির গোশত সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।তবে উত্তম হতে যখন অভাব দেখা দেবে তখন তিন দিনের বেশি না রাখা।

কতটুকু সম্পদ থাকলে কোরবানি করতে হবে

আজকে কন্টেন্টে আমরা জানবো এ বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে কত টাকা থাকলে কোরবানি আপনার প্রতি ওয়াজিব হবে।কুরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান।পবিত্র কোরআনে কয়েকটি স্থানে কুরবানী প্রসঙ্গে এসেছে।আল্লাহতালা ইরশাদ করেন।আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানী করুন সূরা কাওসার আয়াত নাম্বার ২।আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম মদিনার জীবনে প্রতি বছর কোরবানি করতেন।

ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম মদিনায় ১০ বছর অবস্থান করেছেন,প্রতিবছর তিনি কোরবানি করেছেন।কোরবানি ওয়াজিব হয় দশে জিলহজ ফজরের পর থেকে ১২ই জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে।এখানে যদি আমাদের মতো করে বলি কোরবানির ঈদ যদি হয় ১৭ তারিখ তাহলে 17,18 এবং 19 তারিখ পর্যন্ত।

১৭ তারিখ সূর্য উদয়ের পর থেকে নিয়ে ১৯ তারিখ সূর্য অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত যদি আপনার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তাহলে আপনাকে কোরবানি দিতে হবে।নেসাব বলতে বোঝায় স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি,আর রোপার ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ ভরি।আর অন্য বস্তুর ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ ভরি রুপা কিংবা সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ যদি আপনার কাছে না থাকে সেই পরিমাণ যদি টাকা থাকে তাহলে আপনার প্রতি কোরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে।

কোরবানির মাংস কি বিক্রি করা যাবে

কোরবানির মাংস সংগ্রহ করার পর যদি অভয় মানুষ যদি বিক্রি করেন তাহলে তাদের জন্য বিক্রি করা যেমন জায়েজ তাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ ক্রয় করাও জায়েজ। কারণ কোরবানির গোশত যখন আপনি কোন অভাবেই গরিব কে দিলেন তখন সেটির মালিক তিনি হয়ে গেছেন। তিনি মালিক হওয়ার পর এটিকে খাবেন না বিক্রয় করবেন এটি সম্পূর্ণ তার ব্যাপার।যদিও কিছু গরিব মানুষ আছেন যারা এ ধরনের গোশত সংগ্রহ করে তারা অর্থ উপার্জন করে থাকেন।

তাই এ ধরনের লোকজনকে না দিয়ে বরং কিছু গরিব লোক আছে আসলেই তাদের খাবারের সংকট তাদেরকে দেওয়া উচিত।তাই এ ধরনের লোকজনকে খুঁজে বের করে দেওয়া উচিত।

কুরবানির গোশত বন্টনের সঠিক নিয়ম

আজ আমরা আলোচনা করব কোরবানির পশুর গোশত কিভাবে বন্টন করতে হবে কয় ভাগে ভাগ করতে হবে সে বিষয়ে নিয়ে।সুরাতুল হজে আল্লাহতালা এরশাদ করেছেন,তোমরা কোরবানির পশুর গোস্ত থেকে নিজেরা খাও তোমার প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন কে খাওয়াও,এবং যারা দোস্ত অসহায় গরিব মানুষ তাদেরকে দান করো।এই আয়াত থেকে তিনটি ভাগ করার একটি ইঙ্গিত পাওয়া যায়।বেশিরভাগ ওলামায়ে কেরাম বলেছেন কোরবানির পশুর গোশতকে তিন ভাগে ভাগ করা মুস্তাহাব বা উত্তম।

একভাগ নিজেরা খাবেন,আরেক ভাগ আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধবকে খাওয়াবেন এবং আরেক ভাগ গরিব অসহায় দোস্তদেরকে বিলিয়ে দিবেন।কেউ যদি তিন ভাগ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করতে না পারেন নিজের ভাগ একটু বেশি রয়ে গেল দানটা একটু কম করলেন,তাহলে সেক্ষেত্রে ও কোন প্রকার সমস্যা নেই।কেননা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তিন ভাগে ভাগ করা আবশ্যক নয়।আপনি অনুমান করে তিন ভাগে ভাগ করতে পারেন।

এ প্রসঙ্গে আমাদের আরেকটি মাসালা জানা দরকার তা হল,আমরা যারা কোরবানি গোস্ত রেখে দেবো নিজেরা খাওয়ার জন্য রাখবো।সেই কুরবানীর গোশতকে তিন দিনের বেশি রাখা জায়েজ আছে কিনা এই নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আসে।মূলত সহীহ বুখারি হাদিস থেকে এরকম একটা নির্দেশনা পাওয়া যায় যেখানে নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম তিন দিনের বেশি রেখে কুরবানী গোশত খাওয়া নিষেধ করেছেন।

কিন্তু সেই নিষেধাগাটি পরবর্তীতে তিরমিজি ও অন্যান্য হাদিসের কিতাবে বিশুদ্ধ একটি হাদিস দ্বারা বর্ণিত হয়েছে,নবী করীম সাল্লাহু সাল্লাম পরিষ্কারভাবে আগের সেই বর্ণিত হাদিসকে রহিত করার বিষয়টি জানিয়েছেন।যার কারনে তিন দিনের বেশি কেউ যদি দেখে খেতে চান কোরবানির গোশত সেটি এখন সম্পূর্ণরূপে জায়েজ রয়েছে।এটি নিয়েও কোন বিভ্রান্তিতে থাকার কোন কারণ নেই।অতএব আমরা কোরবানির গোশতকে তিন ভাগে ভাগ করার চেষ্টা করব।

আর আমাদের দেশে অনেক সমাজে সমাজের ভাগ নামে একটি ভাগ তোলা হয়,যেমন কেউ কোরবানি পশু জবাই করেছেন সেখান থেকে একভাগ তারা তুলে নিয়ে যান।এবং পরবর্তীতে তারা গরিব দুঃখীদের মাঝে বন্টন করে দেন।সংঘাতিক দিক দিয়ে এটি একদিক দিয়ে ভালো।সামাজিকভাবে গরিব অসহায় মানুষদের মাঝে গোশত পৌছিয়ে দেওয়া যায়।কিন্তু এর আরেকটি খারাপ দিক হলো,যিনি কোরবানি করেছেন তিনি তার পরিচিত কাউকে বা গরিব দুঃখী কে দিবেন,অথবা গরিবকে তিনি তিন ভাগের এক ভাগ পুরোপুরি দেবেন না ইসলাম তাকে স্বাধীনতা দিয়েছেন।

কিন্তু সমাজ যখন তার কাছ থেকে ওই এক ভাগ নিয়ে যায় তখন এক প্রকার লজ্জায় পড়ে হলেও তাকে এক ভাগ দিয়ে দিতে হয়।বা সিস্টেমের মধ্যে পড়ে হলেও দিয়ে দিতে হয়।তখন কিন্তু বিষয়টি কোন কোন ক্ষেত্রে হারামের পর্যায় বা নজায়েজের পর্যায়ে বা গুনাহের পর্যায়ে চলে যেতে পারে।তার কারণ হলো ওই ব্যক্তির যদি মনে সন্তুষ্ট না থাকে,কিন্তু সমাজের চাপের কারণে দিয়ে দিতে হয় তাহলে কিন্তু সেটা কোনভাবেই জায়েজ হবে না।

তাই এ ধরনের সমাজের ভাব তোলার ব্যাপারটি আমি বলব ভালো কিন্তু স্বাধীনতা দেওয়া উচিত যে যতটুকু পারে দেবে পরবর্তীতে সেটা সামাজিক ভাবে বন্টন করা হবে।বাধ্য কোন অবস্থায় করা উচিত না বা সিস্টেম বানিয়ে নেওয়া উচিত নয়।তাই পরিশেষে বলতে চাই কোরবানির গোশত তিন ভাগে ভাগ করা ভালো আর যদি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নাও ভাগ করতে পারি তাহলে এর জন্য চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নাই।নিজেরা খাব এবং গরিব দুঃখীর মাঝেও বিলাবো,এবং আত্মীয়-স্বজনসহ অন্য যে মানুষগুলো রয়েছে তাদের কেউ দান করবো।

যাদের সাথে কুরবানী দিলে কুরবানী হবে না

প্রিয় পাঠক আজকের কনটেন্ট আমি আলোচনা করব যাদের সাথে কোরবানি দিলে কোরবানি কবুল হবে না।কোরবানি খুবই নিকটে তাই কুরবানী সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছু জানার রয়েছে।তো চলুন জেনে নেয়া যাক কোন লোকদের সাথে কোরবানি দিলে কোরবানি কবুল হবে না।তিন ধরনের লোকের সাথে কোরবানি দিলে আপনার কোরবানি কবুল হবে না।বিশেষ করে যারা সরি কে কোরবানি দেয়।

তিনজন চারজন পাঁচজন সাতজন মিলে যারা কোরবানি দেন বিশেষ করে তারা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে,এই তিন ধরনের ব্যক্তিদের কে অবশ্যই আপনাদের শরীকের অন্তর্ভুক্ত রাখবেন না।তো চলুন জানিনা যাক এই তিন ধরনের লোক কারা।

(১)যারা সুধ গ্রহণ করে থাকে।কেননা সুদকে ইসলামে হারাম করা হয়েছে।সুদ এবং ঘোষ এ জাতীয় কারবার যারা প্রকাশ্যে গ্রহণ করে থাকে আর এ জাতীয় লোকদেরকে আপনি যদি চিনতে পারেন,এবং জানার পরেও যদি এজাতীয় লোকদের সাথে আপনি কোরবানি দেন।তাহলে ওই ব্যক্তির পাশাপাশি আপনার কোরবানিও হবে না।

(২)অবৈধভাবে ইনকাম কৃত টাকা।যারা অবৈধভাবে ইনকাম করতেছে মিথ্যা কথা বলে মানুষের উপরে জোর জুলুম করে বা মানুষের জায়গাগুলো ঠকিয়ে বা যে কোন অবৈধভাবে ইনকাম রয়েছে সাথে আপনি শরিকদার হয়ে কোরবানি দিলেন তাহলে আপনার কুরবানী হবে না।

(৩)কোরবানির নিয়ত সঠিক নয় বা নিয়ত গোস্ত খাওয়ার।আমি গোস্ত খাবো এজন্য কোরবানি করতেছি।তাহলে আপনার কোরবানী হবে না।তাই যেহেতু সামনে কোরবানির ঈদ চলে এসেছে,তাই আমরা এই সকল বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রেখে কোরবানি করব।আমাদের কোরবানির উদ্দেশ্য এমন হতে হবে যে আমি কোরবানি দিচ্ছি আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য।

তাই আমরা চেষ্টা করব কোরবানির পশু কিনা টাকা যেন ঘুষের টাকা না হয়,যেন সুদের টাকা না হয়,এবং অবৈধ কোন ভাবে ইনকাম ক্রিত টাকা দিয়ে কোরবানি করবো না।এবং সঠিক নিয়তে কোরবানি করব।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আজকের এই কনটেন্টে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা অবশ্যই মাথায় রেখে কোরবানির পশু ক্রয় করতে হবে।যেহেতু আমরা কোরবানি দেবো আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য শুধু গোস্ত খাওয়ার উদ্দেশ্যে নয়।তাই সৎপথে উপার্জিত টাকা দিয়ে কোরবানি করা উচিত।আর যদি আপনি মনে করেন আমার কোরবানি আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য নয় বরং মানুষকে দেখানোর জন্য কোরবানি করব তাহলে ব্যাপারটা ভিন্ন।

তাই আমরা সবাই চেষ্টা করব যাতে কোরবানিটা সহি নিয়তে হয়।এবং আমরা যেন কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন করতে পারি আমিন।তাই আপনারা যদি আজকের এই কনটেন্ট থেকে যদি কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত রোগের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে তারাও আজকের এই কনটেন্ট থেকে উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url