কফি খাওয়া উপকার না ক্ষতি কফি’ খাওয়ার সঠিক নিয়ম
প্রিয় ভিউয়ার্স, দিনে সর্বোচ্চ কয় কাপ কফি খাওয়া যাবে এ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্ট।আজকের এই কনটেন্টে কফি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।
কফি খাওয়া উপকার না ক্ষতি কফি খাওয়ার সঠিক সময় এবং দিনে কখন কফি খাওয়ার সবচেয়ে নিরাপদ সময় এ সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই কনটেন্টটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হব।যদি আজকের এই কনটেন্টি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন আশা করি আপনার এই প্রশ্নের উত্তর গুলো পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
অনেকেরই দিন শুরু হয় কফির মগে চুমুক দিয়ে।অথবা দিনে যখনই মন চায় বা এনার্জি তে ঘাটতি পরেছে বলে মনে হয় তখনই এক কাপ কফি খেয়ে নেই।দিনে হামেশেই সাত থেকে আট কাপ কফি খেয়ে থাকেন বহু মানুষ।মানব সভ্যতার এর গুরুত্ব এত বেশি এই কফি ছাড়া বড় বড় অনেক ধারণার জন্মই হতো না।যা আমাদের বিশ্বকে নতুন করে দেখতে ও আবিষ্কার করতে শিখিয়েছে।কফির প্রধান সক্রিয় উপাদান হচ্ছে কেপিন।
যাকে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সাইকো একটিভ মাদক হিসাবে ভাবা হয়।এক কাপ ধোঁয়া ওঠা গরম কফি শীতের উষ্ণতায় শরীরকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি মনেও এনে দেয় দারুন ফুরফুরে অনুভূতি।পাশাপাশি কর্ম ক্ষমতা বেড়ে যায় অনেক গুণ বেশি।
- কফি খেলে শরীরে কী হয়? কফি নিয়ে অজানা সব গল্প
- পারফেক্ট কফি বানানোর রেসিপি
- দিনে সর্বোচ্চ কয় কাপ কফি খাওয়া যাবে
- কফি খাওয়া উপকার না ক্ষতি কফি’ খাওয়ার সঠিক নিয়ম
- কফি ডায়েট কী ? সত্যিই কি কফি খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব
কফি খেলে শরীরে কী হয়? কফি নিয়ে অজানা সব গল্প
এই কনটেন্টটি আপনি যতক্ষণে পড়া শেষ করবেন ততক্ষণে সারা বিশ্বে প্রায় ৪০ লক্ষ কাপ কফি প্রায় পান করা হয়ে যাবে।কমপক্ষে মানুষ দেড় হাজার বছর আগে থেকে কফি পান করে আসছেন।মানব সভ্যতার এর গুরুত্ব এত বেশি এই কফি ছাড়া বড় বড় অনেক ধারণার জন্মই হতো না।যা আমাদের বিশ্বকে নতুন করে দেখতে ও আবিষ্কার করতে শিখিয়েছে।কফির প্রধান সক্রিয় উপাদান হচ্ছে কেপিন।যাকে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সাইকো একটিভ মাদক হিসাবে ভাবা হয়।
তো কোথা থেকে আসে এই ক্যাফিন।আর আমরা যখন কফি পান করি তখন এটি আমাদের শরীরে কি করে।এখন বিশ্বে প্রতিদিন মানুষ প্রায় 200 কটি কাপ কফি খাচ্ছে।কত বছরে ৯ হাজার কোটি ডলারের একটি শিল্প হয়ে উঠেছে।শুধু তাই নয় কফি এখন কোটি কোটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।এখন জানা যাক কফি আমাদের শরীরে কিভাবে প্রভাব ফেলে।যখন ক্যাফিন আপনার পরিবার তন্ত্রের প্রবেশ করে,তখন এটি মঞ্চের মাধ্যমে আপনার রক্তে মিশে যাই।
কিন্তু এর প্রভাব তখনই শুরু হয় যখন কেফিন স্নায়ুতন্ত্রে প্রবেশ করে।এটি ঘটে কারণ এমন একটি রাসায়নিক গঠন রয়েছে যার কাঠামো আমাদের নিজেদের শরীরে উৎপাদিত হয় যার নাম এরিডোনেশন।ক্যাফিন আমাদের শরীরে এডিনোসেন রিসেক্টর কে ঘিরে ফেলে।যা স্নায় কোষের পিষ্ঠে পাওয়া যায়।এডিনোসেন এমন একটি উপাদান যা আমাদের সিম্পে দি নার্ভাস সিস্টেম বা সমবেদী স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল করে।এটি আপনার স্পন্দন কমিয়ে দেয়।
এতে ঘুম ঘুম ভাব হয় এবং শরীরে শিথিলতা তৈরি হয়।এই রিসেক্টর কে আখ্যাদিত করে ক্যাফিন শরীরে এর ঠিক বিপরীত প্রভাব তৈরি করে।যেমন যদি আপনার নিয়মিত কফি পানের অভ্যাস না থাকে তাহলে কফি পান করার পর আপনার শরীরের রক্তচাপ কিছুটা বাড়তে পারে। মস্তিষ্কের কার্যকলাপের ক্ষেত্রেও এটি কাজ করে। ক্যাফিন মস্তিষ্কে উদ্দীপিত করে। খোদা কমিয়ে দেয় এবং আপনাকে সতর্কতা অবস্থায় থাকতে সাহায্য করে। যাতে আপনি দীর্ঘ সময় মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন।
ক্যাফিন আপার মন মেজাজে ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার ক্লান্তি দূর করতে পারে এবং শারীরিক কার্যক্ষমতায় বৃদ্ধি হতে পারে। এ কারণে অনেক অ্যাথলেট থেকে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করে। এর প্রভাব বলো ১৫ মিনিট থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে।আমাদের শরীর কফি পান করার ৫ থেকে ১০ ঘণ্টা পর ক্যাফিন শরীর থেকে বের করে দেয়। তবে ক্যাফিন এর প্রভাব আরো দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে আপনি যদি আপনার শরীরে কফির কার্যক্ষমতা আরো বাড়াতে চান তবে বিকেলের পর কফি পান না করাই ভালো।এতে পরদিন সকালে যখন আপনি কফি পালন করবেন এর কার্যক্রমণতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে সর্বোচ্চ ৪০০ মি গ্রাম ক্যাফিন পান করতে পারে।যা চার থেকে পাঁচ কাপ কফের সমান। এর বেশি পান করলে অনিদ্রা নার্ভাস নেস উদ্বেগ হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, পেটে অস্বস্তি, বমি বমি ভাব এবং মাথা ব্যাথার মত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তবে পরিণতভাবে পান করতে পারলে ক্যাফিন শরীরের জন্য খুবই ভালো।
পারফেক্ট কফি বানানোর রেসিপি
প্রিয় ভিউয়ার্স আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি কফি বানানোর পারফেক্ট রেসিপি নিয়ে। চলুন জেনে নেই কপি বানানোর কিছু নিয়ম সম্পর্কে।সর্বপ্রথম দেড় কাপ দুধ ভালো করে ফুটিয়ে নিব। দুধ ফোটানো হয়ে গেলে, কফির কাপে দুই চামিনস পরিমাণ কফি কাফে নিয়ে নিব। এবং চিনি নেব পরিমাণ মতো যে যতটুক চিনি খাবেন।এর সাথে নরমাল পানি দিব 2 চামচ।
তারপর এটা ভালো করে পেস্ট করে নেব। যাতে করে চিনি এবং কফি দুটাই ভালো করে পেস্ট হয়ে যাই। ভালো করে পেস্ট হয়ে গেলে ফোটানো দুধ দিয়ে দেব।দেওয়ার পরে একটু চামচ দিয়ে ভালো করে আবার নেড়ে নেব।তো এখন এই কপিটি খাওয়ার জন্য বন্ধুত্ব হয়ে গেছে।তো এই ছিল আমাদের কফি বানাউনোর রেসিপি।
দিনে সর্বোচ্চ কয় কাপ কফি খাওয়া যাবে
অনেকেরই দিন শুরু হয় কফির মগে চুমুক দিয়ে।অথবা দিনে যখনই মন চায় বা এনার্জি তে ঘাটতি পরেছে বলে মনে হয় তখনই এক কাপ কফি খেয়ে নেই।দিনে হামেশেই সাত থেকে আট কাপ কফি খেয়ে থাকেন বহু মানুষ।বিশেষজ্ঞদের মতে কপি শরীরের অত্যন্ত উপকার করে এবং অতিরিক্ত কপি পান শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়।একজন মানুষের জন্য দিনে 400 মিলিগ্রাম ক্যাফিন পান করা নিরাপদ।
দিনে তিন কাপ কফির মধ্যে সন্তুষ্ট থাকুন।এর বেশি পান করলে অনিদ্রা খিটখিটে মেজাজ পেট খারাপের মতো সমস্যা ও দেখা দিতে পারে। এটি বিশ্বজুড়ে খুব জনপ্রিয় পানীয়।মেজাজ দ্রুত ভালো করতে এই পানিও অনন্য।অনেকেই কফি পান করে দিন শুরু করেন।এটি লিভারের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে।ফ্রি রাটিকেলের সঙ্গে লড়াই করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তবে কফির প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়লে বিভিন্ন সমস্যা ও তৈরি হয়।চলুন জেনে নেই বিপদগুলোর সম্পর্কে।
(১) কোলেস্টেরল বাড়ে।কফি অপরিসধিত থাকলে বাজে কোলেস্টেরল বাড়ায়।অপরিসধিত কফির মধ্যে রয়েছে ক্যাফেস্টল ও কাহইগোল এগুলো কোলেস্টেরল বৃদ্ধিকারী উপাদান।২০০১ সালে আমেরিকার জার্নাল অফ এপি ডেনিওলজিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বলা হয় গবেষকরা ও পরিশোধিত কফির সঙ্গে এল জি এল এর বা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বাড়ার সম্পর্ক পেয়েছে।
(২) ঘুমের সমস্যা।অতিরিক্ত কফি পান ঘুমের সমস্যা তৈরি করে।২০১৩ সালে ক্লিনিক স্লিপ মেডিসিন এর প্রতিবেদন অনুসারে রাতে ঘুমানোর ৬ ঘন্টা আগে কফি পান ঘুমের সমস্যা করে।তাই ভালো ঘুমের জন্য বিকালবা রাতে কপি পান এড়িয়ে যাবার পরামর্শ দিন বিশেষজ্ঞরা।
(৩)উদ্বেগ বাড়ায়।কফি পান মেজাজ কে ভালো করে।তবে অতিরিক্ত কফি পাম উদ্বেগ ও প্যানিক অ্যাটাক তৈরি করতে পারে।বেশি কফি পান করলে এর প্রতি আসক্তি তৈরি হয়।আর এটি বন্ধ করে দিলে ওয়েবট্রুয়াল সিমটম দেখা দেয়।এতে স্নায়বিক চাপ হয় এবং উদ্বেগ বাড়ে।
(৪) কিডনির ক্ষতি করে। কফির মধ্যে থাকে মূত্র বরকত প্রকৃতির কারণে এটি কিডনির ওপর বেশি চাপ দেয়। এটা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়।আর তাই দীর্ঘমেয়াদে অতিরিক্ত কফি পান কিডনির স্থায়ী ক্ষতি করে।তাই বন্ধুরা অতিরিক্ত কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
কফি খাওয়া উপকার না ক্ষতি কফি’ খাওয়ার সঠিক নিয়ম
এক কাপ ধোঁয়া ওঠা গরম কফি শীতের উষ্ণতায় শরীরকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি মনেও এনে দেয় দারুন ফুরফুরে অনুভূতি।পাশাপাশি কর্ম ক্ষমতা বেড়ে যায় অনেক গুণ বেশি।অতএব কফি পান করুন আর স্মার্ট ভাবেক সব কাজ শেষ করুন।আজকের এই ছোট্ট কনটেন্ট এর মাধ্যমে জানবেন কফি আমাদের শরীরে কি কি উপকার করে।কফি পানের সঠিক সময়।কি পরিমান কফি খাবেন এবং কখন এটি আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শরীরের জন্য কফির উপকার।
গবেষণায় দেখা গেছে কফিতে মন উদ্দীপক উপাদান থাকায় মানসিক চাপ কমিয়ে অনেকটা স্বস্তি এনে দেয়। এর সাথে মনোযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মৃতিশক্তিকে উজ্জীবিত করে তোলে।এমন কি অ্যালঝেইমার্চের মত মানসিক ব্যধির ক্ষেত্রেও কফি বেশ উপকারী।মাথা ব্যথায় ভুগলে এক কাপ কফি খান চমৎকার উপকার পাবেন।কারণ আমাদের স্নায়ুগুলো বিভিন্ন কারণে দুর্বল হবার কারণেই অনেক সময় মাথা ব্যথা অনুভূত হয়।
কফি পান করার ফলে স্নায়গুলোর সক্রিয় হয়ে যায় এবং মাথাব্যথাও চলে যায়।কফিতে থাকা সবচেয়ে সক্রিয় উপাদান ক্যাফেন শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে।তাই শরীরের প্রাণ পেতে যে কোন খেলাধুলা ও ব্যায়ামের আগে কফি পান করুন শরীরে আলাদা শক্তি অনুভব করবেন।কফি টাইপ টু ডায়াবেটিসের রোগী কমায়।কারণ এডিট করলে প্রচুর পরিমাণ এডিপোনেক্টিন উৎপন্ন করে যার শরীরে সুগার লেভেল এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
পাশাপাশি কপি স্টোকের ঝুঁকি কমায় এবং হার্টের জন্য বেশ উপকারী।ডায়াবেটিসের পাশাপাশি বেশ কিছু ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে এই পানিওটি।দুপুরের পর ঘুম ঘুম লাগলে এক কাপ কবে পান করে আধা ঘন্টা ঘুমে নিন,অদ্ভুত হলেও সত্যি যে এই আধা ঘন্টায় কফি আপনার শরীরে কাজ করে সুপারম্যান এর মত তাজা অনুভূতি এনে দেবে।কপিতে আছে সেরেটোমিন,ডোপামিন আর নোবাড্রনালাইন যা হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা কমিয়ে মনকে প্রফুল্ল রাখে।
কবেতে বিদ্যমান ক্লোরোযেনিল এসিড আমাদের চোখে সুস্থ রাখে।এছাড়াও ক্লোরোযেনিল এসিড কার্বোহাইড্রেট কে ধির করে দিয়ে শরীরের ওজন কমাতেও সাহায্য করে।কফি আপনার ফুসফুস ভালো রাখতে খানিকটা হলেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।কারণ কফিতে থাকা ক্যারোফেস্টল আর কাহউয়েল নামক উপাদান দুটি ফুসফুস সুস্থ রাখতে বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে।প্রিয় ভিউয়ার্স কফির গন্ধই আপনাকে অনেকটা চাঙ্গা করে দেবে।সেই সাথে যদি থাকে এত উপকার তাহলে বন্ধু মহল কিংবা পারিবারিক আড্ডায় এক কাপ কফি তো খাওয়াই যায়।
কফি পান করার সঠিক সময়
শরীরের জন্য কফির উপকারিতা হয়েছে।ক্যাফিন শরীরের পক্ষে ভালো কিন্তু ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে সরাসরি কফি পান করলে শরীরে কলেস্টোলের মাত্রা বেড়ে যায়।অতএব খালি পেটে কফি নাই ব্যাক কফি তো কখনোই না কারণ খালি পেটে ব্ল্যাক কফি তুলনা অনেক বেশি ক্ষতি করে।এজন্য দিনের যে সময়গুলোতে দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে তখনই কফি পান করা শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর।এক্ষেত্রে বলা যায় সকাল ৯ টা থেকে ১১:০০ টা পর্যন্ত কফি খাওয়ার আদর্শ সময়।আর রাতের ঘুমেতে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তাই ডিনারের পর কফি এড়িয়ে চলাই ভালো।
কফির পরিমাণ ও ক্ষতিকর দিক
কফিতে থাকা ক্যাফেন শরীরে অ্যাডনালীন নামক এক ধরনের হরমোনএর মাত্রা বৃদ্ধি করে।তাই অতিরিক্ত কফি পান করলে টানটান উত্তেজনা এবং ঘাবরিয়ে যাওয়ার অনুভূতির মাত্রা বাড়িয়ে মেয়েদের চুটকিটে করে দেয়।একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে দৈনিক ৪০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্যাফিন পান করা নিরাপদ।এর বেশি হলে খোদা মন্দা অনিদ্রা আসক্তি আলসার বা গেস্ট্রোলাইটিস তৈরি পেট খারাপ ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়া গর্ভাবস্থায় ও কিছু নির্দিষ্ট রোগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ক্যাফিন গ্রহণ করা মোটেও উচিত নয়।মনে রাখবেন অতিরিক্ত কফি পান গর্ভধারণের ক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে।তাই মা হতে চাওয়া নারীদের কপি পানের মাত্রা সীমিত রাখতে হবে।আর গর্ভধারণের পর কফি পান থেকে বিরত থাকাই ভালো।কারণ গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম বা তার বেশি পরিমাণ ক্যাফিন শরীরে গেলে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি জন্মতন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অতএব স্বাস্থ্য সখী ও মানসিক চাপ কমাতে এবং কফি পানের প্রকৃত গুনাগুন ও উপকরণ পেতে প্রতিদিন পরিমিত কপি পান করাই উত্তম।প্রিয় ভিউয়ার্স কন্টেন্টটি ভালো লাগলে কমেন্টে জানিয়ে দিন আপনার মূল্যবান মতামত।আর নিয়মিত কন্টেন পেতে ফলো দিয়ে পাশে থাকুন।
কফি ডায়েট কী ? সত্যিই কি কফি খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব
বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলার জন্য নিত্য নতুন ডায়েট মেনে চলুন অনেকেই।সবার দেহে সব ধরনের ডায়েট সহ্য হয় এমনটা নয়।একেক ডায়েটের সঙ্গে মেনে চলতে হয় একেক রকমের লাইফ স্টাইল।চা কফির নেশায় মেটাবলিক রেট কমে ওজন বারে বলেই জানেন তো।এর সঙ্গে দুধ চিনি যোগ হলে তো মেদের ঘরে ষোল আনাই যোগ হলো। তবে এবার মেদ কমানোর দাওয়াই হিসাবে কফি কে চিহ্নিত করেছেন ডায়েটিশিয়ানরা।কফির সঙ্গে কিছু আনুষঙ্গিক খাবারেই সৌজন্যেই এবার ঝরবে মেদ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কফি ডায়েট আসলে কি।কপি ডায়েট কি।এ ডায়েট মানতে হলে আপনাকে দিনে বেশ কয়েক কাপ কফি পান করতে হবে।বেশি কফি খেলে খিদেও কমে যায়।কিভাবে কাজ করে কপিডাইট।মনে রাখতে হবে এ ডায়েটে দিনে অন্তত তিন কাপ কফি খেতে হবে আপনাকে এটা অবশ্যই চিনি দুধ এবং ক্রিম ছাড়া।এ ডায়েট করলে সঙ্গে লো ক্যাল্য যুক্ত এবং হাই ফাইবার খাবার খেতে হবে।যেমন শাকসবজি ফল এবং শস্যজাতীয় খাবার।
কপি ডায়েটে দুটো উপকার হয়।প্রথমত খিদে কমে,দ্বিতীয়তঃ এটা দেহের মেটাবলিজম এবং বিপাকের হাড় বাড়াই।আর খিদে কমে গেলে শরীরের ক্যালরি গ্রহণের ক্ষমতা কমে যায়।খাবার খাওয়ার আগে এক কাপ কফি খেয়ে নিলে খিদে কমে যায় এবং সে ক্ষেত্রে বেশি খাবার খাওয়া যায় না। গবেষণায় ১ পরীক্ষায় দেখা গেছে ক্যাফিন নিলে শরীরের ওজন কমে।তাই দীর্ঘদিন ধরে এই ডায়েট মেনে চলা শরীরের পক্ষে একটু ক্ষতিকারক।
অতএব কফি খান কিন্তু মাত্রা ছাড়িয়ে নয়।তবে মেনে চলুন ডায়েটের অন্য নিয়ম গুলি।আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যেকোনোত যেকোনো ডায়েট শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই কনটেন্ট থেকে আমরা জানতে পারলাম কফির বিভিন্ন উপকার এবং ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।আজকের এই কনটেন্টে জানানোর চেষ্টা করেছি কফি দিনে কত কাপ খাওয়া উচিত। কফি খেয়ে কি আদৌ ওজন কমানো কি সম্ভব এ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছে আজকের এই কনটেন্টে।
তাই আজকের এই কনটেন্ট থেকে আপনারা যদি কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত রোগের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে আপনার পরিচয় লোকজনও উপকৃত হতে পারে এই কনটেন্টটি পড়ে ধন্যবাদ ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url