কোরবানির পশু কেমন হতে হবে? ইসলাম কি বলে

প্রিয় ভিউয়ার্স,কুরবানীর সম্পর্কে পবিত্র আল কুরআনে যা বলা হয়েছে এ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করা পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্ট।আজকের এই কনটেন্ট এর কুরবানীর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।কুরবানী কোরবানি মহান রাব্বুল আলামিনের একটি বিশেষ নিয়ামত।
কোরবানির পশু কেমন হতে হবে? ইসলাম কি বলে
কেননা কোরবানির মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করতে পারে।কোরবানি হলো একটি ত্যাগের মহিমা।কোরবানির জন্য প্রিয় বস্তুকে কোরবানি দেওয়া উত্তম।তাই কোরবানির জন্য কোরবানির পশু কেমন হতে হবে এই বিষয়ে ইসলাম কি বলে এ বিষয়ে আলোচনা করাবে আজকের কনটেন্টে।

ভূমিকা

কুরবানী মহান রাব্বুল আলামিনের একটি বিশেষ নিয়ামত।কেননা কোরবানির মাধ্যমে বান্দা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকটবর্তী হতে পারে।কুরবানী ইসলামের একটি বড় নিদর্শন।যা সুন্নতে ইব্রাহিম হিসাবে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় প্রতিবছর কোরবানি আদায় করেছেন এবং সাহাবীরাও কুরবানী আদায় করেছেন।কোরবানি ইসলামের অন্যতম একটি নিদর্শন।

এর হুকুম সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কুরআনুল কারীমে সূরা কাওসারের দ্বিতীয় নাম্বার আয়াতে বলেন,তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কোরবানি প্রদান কর।
  • কুরবানীর গুরুত্ব ও ফজিলত | কুরবানীর বিধান
  • কোরবানি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে যা বলা হয়েছে
  • ভাগে কুরবানী করা যাবে কি না
  • কোরবানির পশু কেমন হতে হবে? ইসলাম কি বলে
  • ঋণ থাকলে কুরবানী হবে কিনা

কুরবানীর গুরুত্ব ও ফজিলত | কুরবানীর বিধান

সম্মানিত ভিউয়ার্স এখন আমি যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব তা খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তাহলেও কোরবানির গুরুত্ব ফজিলত ও তাৎপর্য সম্পর্কে।কুরবানী মহান রাব্বুল আলামিনের একটি বিশেষ নিয়ামত।কেননা কোরবানির মাধ্যমে বান্দা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকটবর্তী হতে পারে।

কুরবানী ইসলামের একটি বড় নিদর্শন।যা সুন্নতে ইব্রাহিম হিসাবে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় প্রতিবছর কোরবানি আদায় করেছেন এবং সাহাবীরাও কুরবানী আদায় করেছেন।কুরবানীর শব্দটি বাংলা উর্দু এবং ফারসি ভাষায় ব্যবহার হয়ে থাকে।যা আরবি কোরবানু শব্দের মূল ধাতু থেকে নির্গত হয়েছে।কুরবানির শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো নৈকট্য লাভ করা, সান্নিধ্য অর্জন করা,আত্মত্যাগ কোরবানি করা, জবাই করা ইত্যাদি।

যেহেতু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নৈকট লাভ করা যায় তাই এটাকে কোরবানি বলা হয়।শরীয়তের পরিভাষায় শুধুমাত্র মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও সন্তুষ্ট কামনায় নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করাকে কুরবানী বলা হয়।প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।সম্মানিত ভিউয়ার কোরবানির গুরুত্ব ফজিলত ও তাৎপর্য অপরিসীম।এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআন এবং হাদিসের ব্যাপক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।

কুরআনুল কারীমে সূরা কাওসার এর দ্বিতীয় নাম্বার আয়াতে তার হাবিবকে লক্ষ্য করে বলেছেন, তোমার রবের সন্তুষ্টি কামনায় সালাত কায়েম কর এবং কোরবানি আদায় করো।প্রত্যেক জাতির উপরেই কুরবানী নির্ধারিত ছিল কিন্তু তাদের রীতি পদ্ধতি হয়তো ভিন্ন ভিন্ন ছিল।আর এই কুরবানী হতে হবে তাকওয়ার ভিত্তিতে বিশুদ্ধ নিয়তে শুধুমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্ট কামনায়।রাসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এরশাদ করেছেন যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা অবস্থায় কুরবানী করে না, সে যেন ঈদের দিনে ঈদগার নিকটবর্তী ও যেন না হয়।

তাহলে বুঝতে পারবো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কত গুরুত্ব দিয়েছেন যে যারা কুরবানী করবে না তাদের টিকিট গায়ে আসার জন্য বারণ করেছেন।তাই যারা কুরবানী করে না তাদের জন্য এটি একটি বিশেষ সতর্কবার্তা।সম্মানিত ভিউস তাহলে আজকের এ কনটেন্ট থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে প্রত্যেকটি সামর্থ্যবান মুসলমানের উপর কোরবানি করা ওয়াজিব।

কোরবানি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে যা বলা হয়েছে

সম্মানিত ভিউয়ার্স আজকে আমি যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব তা হল কোরবানির সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে কি বলা হয়েছে এবং হুকুম কি রয়েছে।চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কুরআন কারীমে মধ্যে কোরবানির হুকুম দিয়েছেন।কোরবানি ইসলামের অন্যতম একটি নিদর্শন।এর হুকুম সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কুরআনুল কারীমে সূরা কাওসারের দ্বিতীয় নাম্বার আয়াতে বলেন,ফাসালিলি রাব্বিকা ওয়ান হার।

অর্থ কাজে তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কোরবানি প্রদান কর।আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আরও এরশাদ করেন কুল ইন্না সালাতি ওয়া নুসুতি ওয়ামাহ ইয়াহিয়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বুল আলামিন।অর্থ আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেছেন বল আমার নামাজ আমার কোরবানি আমার জীবন আমার মরণ জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাতায়ালার জন্য।সূরা আনআম ১৬২ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলতেছেন।

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেছেন আমি প্রত্যেক জাতির উপর কোরবানি নির্ধারণ করে দিয়েছি।আল্লাহ সুবহানাতায়ালা প্রত্যেকটি জাতির উপর কোরবানির বিধান দিয়েছিলেন। একেক জাতির উপর এক এক রকম সিস্টেম ছিল।উম্মতে মোহাম্মদের সিস্টেমটা একটু ভিন্ন।আল্লাহ সুবাহানাতালা কুরআনুল কারীমের অন্য জায়গায় আরো বলতেছেন,আমাদের কোরবানির পশুর রক্ত এবং গোস্ত আল্লাহ তায়ালার কাছে কোনটাই পৌঁছে না,শুধুমাত্র আপনার মনের তাকওয়াটাই শুধু আল্লাহর কাছে পৌঁছায়।

সম্মানিত ভিউয়ার্স ভাই ও বোন এজন্য কোরবানির বিধান ওয়াজিব যে সকল মুসলমানদের সামর্থ্য রয়েছে।সম্মানিত ভিউয়ার্স আমরা জানি যে জিলহজ মাসের ১০ এগারো বারো এই তিন দিনের মধ্যে যেকোনো একদিন কোরবানি করা জায়েজ।উত্তম হচ্ছে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে।রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করেনা সে যেন ঈদগাতে ঈদের দিনে না যায়।

ভাগে কুরবানী করা যাবে কি না

ভাগে কোরবানি দেওয়া যাবে কিনা এটা আজকালকার যুগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।কারণ কোন কোন উলামায়ে কেরাম বলেছেন ভাগে কোরবানি দেওয়া যাবে না।বরং গরু হোক বা উট হোক বা যে কোন পশু হোক দিলে একজনা পক্ষ থেকে একটি কোরবানি দিতে হবে।সাত ব্যক্তির পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে এটা কোন কোন উলামা কেরাম অস্বীকার করতেছে।আসলে সঠিক কোনটা।সব যুগেই সবচাইতে বেশি সংখ্যক ওলামায়ের মতে গরুর ক্ষেত্রে একটি গরুর সাতজনে কোরবানি দেওয়া যথেষ্ট হবে।

এক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নভাবে দুই এক জন আলেমরা বলতেছেন গরু হোক বা উঠু এক থেকে হবে সাতজন থেকে হবে না।তাদের যুক্তি গুলো খুবই খুন করে এবং খুবই দুর্বল।নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম সফরে একাধিক ব্যক্তিকে কুরবানীতে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছিলেন।তারা বলে যে এটা সফরের জন্য নির্দিষ্ট।কিন্তু নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম নির্দিষ্টভাবে কোন কিছু বলেন নাই।নবী করীম সাঃ এর কোন নির্দেশ সেটা সফরে হোক বা সফরের বাইরে হোক সেটা সবসময়ের জন্য প্রযোজ্য হয়।

যদি কুরআনুল কারীমের কোন বর্ণনা দ্বারা যদি নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম নির্দিষ্ট না করে দেন।তাই এক দুই জন আলেমের কথা না শুনে সংখ্যা বিশিষ্ট আলেমের কথা মতের ওপর আমল করবেন।গরু এবং উট এর ক্ষেত্রে সাতজনে যথেষ্ট হবে।তবে একটা কথা এখানে বলতে হবে উত্তম হলো একাকী কোরবানি দেওয়া।এক্ষেত্রে কারো কোন দ্বিমত নাই।

কোরবানির পশু কেমন হতে হবে? ইসলাম কি বলে

সম্মানিত ভিউয়ার্স আজকে আমরা জানবো যে সকল পশু দ্বারা কুরবানী করা যায় আর যে সকল পশু দ্বারা কুরবানী করা যায় না,এবং কুরবানী পশু কেমন হতে হবে এ বিষয়ে ইসলাম কি বলেছে।কিছু পশু আছে যে পশুগুলো দিয়ে কোরবানি করা যেতে পারে ইসলামের শরীয়তে অনুমোদিত যেমন উঠ দিয়ে কুরবানী করা যায় গরু দিয়ে কোরবানি করা যায় মসজিদ দিয়ে কুরবানী করা যায় দুম্বা দিয়ে ছাগল ভেড়া ইত্যাদি।

কেউ যদি বন্য কোন পশু দ্বারা কোরবানি করতে চায় যেমন হরিণ,বন্য গাভী এগুলো দ্বারা কোরবানি করতে চাইলে এগুলো দ্বারা কোরবানি করা জায়েজ হবে না।এ সমস্ত পশু কুরবানী করার জন্য উপযুক্ত হতে হলে নির্দিষ্ট বয়সেমায় পৌঁছাতে হবে।উট কোরবানি করতে চাইলে পাঁচ বছর বয়স সীমায় পৌঁছাতে হবে,তাহলে উঠ কোরবানির জন্য উপযুক্ত হবে।গরু কমপক্ষে দুই বছর বয়সে উপনীত হতে হবে তাহলে কোরবানির জন্য উপযুক্ত হবে।

এবং ছাগল দুম্বা ভেড়া এদের ক্ষেত্রে এক বছর বয়সসীমা অতিক্রম করতে হবে তাহলে সেটা দিয়ে কোরবানি করা যাবে।এর নিচে যদি বয়সসীমা হয় তাহলে এগুলো দ্বারা কোরবানি করা যায় না।এগুলো সাধারণত জবাই করে খাওয়া যায় কিন্তু কোরবানি এই বিশুদ্ধ হবে না।আবার এ সকল পশুর মধ্যে যদি বড় ধরনের কোন ত্রুটি থাকে তাহলে এগুলো দ্বারা আবার কোরবানি করা যাবে না।

যেমন যেকোনো ধরনের সমস্যা চোখে সমস্যা চোখ দিয়ে দেখতে পায় না, পায়ে সমস্যা পা দ্বারা হাঁটতে পারে না, যদি দুর্বল হয় কোরবানির স্থান পর্যন্ত না যেতে পারে তাহলে সে বস দ্বারা কোরবানি যাই না।সিং যদি ভেঙ্গে যায় গোড়া থেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয় বড় ধরনের তাহলে সেগুলো পশু দ্বারা কোরবানি করা তাহলে সে সকল পশু দ্বারা কুরবানী করা জায়েজ নাই।কুরবানী করার জন্য পশুর বয়স যেমন নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে হবে এবং কোরবানি করার জন্য পশুগুলো নিখুঁত হতে হবে।

যতটা হিস্টোপ্রস্ট এবং নিখুঁত পরশু দিয়ে কুরবানী করা যায় ততটাই ভালো।কিন্তু আমার মতে আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে যে পশুটি দিয়ে কুরবানী করব তা যেন হৃষ্টপুষ্ট মোটাতাজা নিখুঁত হয় এবং নির্দিষ্ট বয়সসীমায় অতিক্রম করে।সম্মানিত ভিউয়ার আশাকরি বুঝতে পেরেছেন কোরবানির পরশুটা কেমন নির্বাচন করা উচিত।

ঋণ থাকলে কুরবানী হবে কিনা

আজকের এই কনটেন্টে আমরা আলোচনা করব ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিরা কুরবানী দিবে কিনা এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।কোন ব্যক্তি কোরবানি দেওয়ার মতো টাকার মালিক বা ওই পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।কিন্তু তিনি ঋণগ্রস্ত,এক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির কোরবানির হুকুম কি।এই ব্যক্তি কি কোরবানি দিতে পারবেন।আর সে যদি কোরবানি না দেন তাহলে কি তার গুনা হবে।এবং এই সম্পর্কে ইসলামের দিক নির্দেশনায় বা চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেই।

কোন ব্যক্তির জন্য যে পরিমাণ সম্পদ থাকলে কোরবানি ওয়াজিব বা আবশ্যক।সে পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত হয়।তবে তার কোরবানি দেওয়া আবশ্যক কিনা তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির অবস্থার উপর।আর তা হল নিশাব পরিবহন সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত হয়,তবে দেখতে হবে ঋণের পরিমাণ কত।কেননা ঋণ পরিশোধ করে দিলে যে সম্পদ থাকবে তা কি নিসাব পরিমাণ হবে।

(১)যদি ঋণ পরিশোধ করে দিলে কোরবানির সময় ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির নিশাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে তবে ওই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য কোরবানি ওয়াজিব নয়।

(২)আর যদি ঋণ পরিশোধ করে দিলেও কোরবানির সময় সামরিক ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির নেশাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তবে ওই ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য কোরবানি আবশ্যক হবে।মনে রাখতে হবে মেসাব পরিমাণ সম্পদ সারা বছর গচ্ছিত বা জমা থাকা আবশ্যক নয়।বরং কোরবানির দিনগুলোতেও অর্থাৎ ১০-১১ ও ১২ ই জিলহজ ঐ দিনগুলোতে ও যদি কারো কাছে ঋণ ও বাৎসরিক পারিবারিক খরচ মেটানোর পরেও অর্থ থাকে তবে তার জন্য কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব হবে।

আর সম্পদের নেছাব হল সাড়ে সাত ভরি বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ।এবং ৫২ ভরি বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা।সুতরাং পরিবারের খরচ মেটানোর পর যদি জিলহজ্ব মাসের 10-11 ও 12 তারিখে নির্ধারিত পরিমাণ স্বর্ণবর রুপা থাকে,কিম্বা নির্ধারিত পরিমাণ স্বর্ণ বা রুপার বাজারদর অনুযায়ী আনুমানিক ৫০হাজার থেকে ৪ লক্ষ টাকা থাকে ওই ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা আবশ্যক হবে।ঋণগ্রস্ত হোক বা না হোক।আমি আশা রাখছি আপনারা আমার কথাগুলো বুঝতে পারছেন।

যদি কোন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি আমার এই কনটেন্ট পড়ে থাকেন তবে এই হিসাব করে দেখার পর অবশ্যই কোরবানি দেবেন।অথবা সেই পরিমাণ নিশাব যদি না থাকে তাহলে কোরবানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।আল্লাহ তাআলা সকল মুসলিম উম্মাহাদের সব নেশাব পরিমাণ সম্পদের মালিক কে যথাযথভাবে পরিশুদ্ধ নিয়তে কুরআনের সুন্নাহ বিধান অনুযায়ী কোরবানি করার তৌফিক দান করুন আমিন।

লেখকের মন্তব্য

সম্মানিত ভিউয়ার্স আজকের এই কন্টেন্ট থেকে আমরা জানানোর চেষ্টা করলাম যে,কুরবানী একটি মুসলমানের ওপর কত বড় নিয়ামত।কেননা কোরবানির মধ্য দিয়ে একটি বান্দা তার আল্লাহতালার নৈকট্য লাভ করতে পারে।কোরবানির সম্পর্কে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কুরআনুল কারীমে সূরা কাওসারের দ্বিতীয় নাম্বার আয়াতে বলেছেন তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত এবং কুরবানী প্রদান কর।

তাই আজকের এই conten থেকে আপনারা যদি কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে আপনার পরিচিত লোকজন উপকৃত হতে পারে আজকের এই কনটেন্ট থেকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url