পান্তা ইলিশ যেভাবে জড়ালো বৈশাখের সংস্কৃতিতে
প্রিয় পাঠক,পহেলা বৈশাখ ও নববর্ষের ইতিহাস সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্ট।আজকের এই কনটেন্টে নববর্ষ সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ।
এবং পান্তা ইলিশ যেভাবে জোরালো বৈশাখের সাংস্কৃতি দিতেন। এ বিষয়ে জানতে হলে আজকের এই কনটেন্টি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আশা করি আজকের এই কনটেন্টটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়লে এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ।বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন।পহেলা বৈশাখ বৈশাখের প্রথম তারিখ বাংলা অব্দের প্রথম দিন তথা বাংলা নববর্ষ।দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসাবে উৎসবের সাথে পালিত হয়।বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ।নানা উৎসবের মাধ্যমে বাঙালি জাতি বরণ করে নেয় এই দিনটিকে।শোভাযাত্রা মেলা হালখাতা খোলা এই সবই নববর্ষের উৎসবের অংশ।তবে কি শুরু থেকে এভাবে উদযাপন করা হতো পহেলা বৈশাখ।
চলুন জেনে নেই এর ইতিহাস কি বলে।বাঙালির জন্য পহেলা বৈশাখ মানে লাল পাড়ের সাদা শাড়ি আর ছেলেদের পাঞ্জাবি।সাথে বৈশাখের মেলা তো আছেই।তবে আর একটি জিনিস যেন না হলেই নয় আর তা হল বাঙালির ঐতিহ্য পান্তা ইলিশ।পহেলা বৈশাখের সকালটা যেন জমে ওঠে না পান্তাইলিস না হলে।পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন বা বাংলা নববর্ষ।অনেকেই একে হাজার বছরের সংস্কৃতি হিসেবে উল্লেখ করে।আসলে কি বাংলা নববর্ষ উদযাপন হাজার বছরের পুরনো।সত্যি কথা বলতে বাংলা বর্ষপঞ্জি ও হাজার বছরের পুরনো হয়।
- পহেলা বৈশাখ ও নববর্ষের ইতিকথা
- বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ও তাৎপর্য
- নববর্ষের সাথে পান্তা-ইলিশের সম্পর্কের আদ্যোপান্ত
- পান্তা ইলিশ যেভাবে জড়ালো বৈশাখের সংস্কৃতিতে
- কিভাবে বাংলা বছর গণনা শুরু হয়েছিল
পহেলা বৈশাখ ও নববর্ষের ইতিকথা
বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ।নানা উৎসবের মাধ্যমে বাঙালি জাতি বরণ করে নেয় এই দিনটিকে।শোভাযাত্রা মেলা হালখাতা খোলা এই সবই নববর্ষের উৎসবের অংশ।তবে কি শুরু থেকে এভাবে উদযাপন করা হতো পহেলা বৈশাখ।চলুন জেনে নেই এর ইতিহাস কি বলে।কয়েকজন ঐতিহাসিক বাংলা দিনপঞ্জি উদ্ভাবনের কৃতিত্ব সপ্তম শতকের রাজা শ্মশান কোকের দিলেও রাজস্ব বা কর আদায়ের সুবিধার্থে নববর্ষ বা নতুন বছর আগমনকে ঘিরে উৎসব মুঘল সম্রাট আকবরের প্রচলন।
তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষে দিনের মধ্যেই সকল খাজনা মাসুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হতো।এরপর দিন অর্থাৎ বৈশাখের প্রথম দিন ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদের মিষ্টিতে আপ্যায়ন করতেন।এ উপলক্ষে আয়োজন করা হতো বিভিন্ন উৎসবের।যার মধ্যে হালখাতা উল্লেখযোগ্য।এদিকে গ্রামীণ জীবনে বাংলা নববর্ষের সংস্কৃতির বেশ প্রভাব দেখা যায়।যার মধ্যে আকর্ষণীয় কয়েকটি গ্রাম মিলে খোলা মাঠে আয়োজন করা বৈশাখী মেলা।
মেলাতে থাকেন নানান রকম কুটির শিল্প জাত সামগ্রী,থাকে নানা রকম পিঠাপুলির আয়োজন।অনেক স্থানে পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে।তবে বাংলা নববর্ষ বরণের আরেকটি বড় অনুসরণ হল মঙ্গলসভা যাত্রা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে এ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।যা পয়লা বৈশাখের দিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদর্শন করে পুনরায় চারুকলা ইনস্টিটিউট এসে শেষ হয়।
বাংলা নববর্ষের ইতিহাস ও তাৎপর্য
পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ।বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন।পহেলা বৈশাখ বৈশাখের প্রথম তারিখ বাংলা অব্দের প্রথম দিন তথা বাংলা নববর্ষ।দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসাবে উৎসবের সাথে পালিত হয়।ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরা এ উৎসব এ অংশ নিয়ে থাকে।সেই হিসাবে এটি বাঙ্গালীদের একটি সর্বজনীয় লোক উৎসব হিসাবে বিবেচিত।বাংলাদেশের প্রতিবছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়।
বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক বাংলা পঞ্জিকা অনুসরণে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গে চান্দ্রসৌর বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৫ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়।দিনটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারি ছুটির দিন হিসেবে গৃহীত।বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত বাদশা আকবরের সময় থেকে।সে সময় বাংলার কৃষকরা চৈত্র মাসের শেষ দিন পর্যন্ত জমিদার তালুকদার এবং অন্যান্য ভুল স্বামীর খাজনা পরিশোধ করতেন।অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা।
এটি পুরোপুরি একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার।গ্রামে গঞ্জের নগরের ব্যবসাইরা নববর্ষের প্রারম্ভের তাদের পুরনো হিসাব নিকাশ সম্পূর্ণ করে নতুন খাতা খুলতেন।এই উপলক্ষে তারা নতুন পুরাতন খদ্দের কে আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন।সেই অনুষ্ঠানগুলো আজও পালিত হয়ে আসছে।নববর্ষ কে উৎসমূহ করে তোলে বৈশাখী মেলা।এটি মূলত সর্বজনীন ও লোকজ মেলা।
এই মেলা অত্যন্ত আনন্দঘন হয়ে থাকে।বর্ষবরণের চমকপ্রদ ও জমজমাট আয়োজন ঘটে রাজধানী ঢাকায়।এখানে বৈশাখী উৎসবের অনুষ্ঠানমালা এক মিলন মেলার সৃষ্টি করে।নববর্ষের প্রথম প্রভাতে ছায়ানোটির উদ্যোগে জনাকীর্ণ রমনার বটমূলে রবীন্দ্রনাথের আগমনী গান এসো হে বৈশাখ এসো এসো এর মাধ্যমে নতুন বর্ষকে বরণ করা হয়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের বকুলতলায় প্রভাতী অনুষ্ঠানেও নববর্ষকে সম্ভাষণ জানানো হয়।
২০১৬ সালে ইউনেস্কোপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃক আয়োজিত এই সব শোভাযাত্রাকে মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে।বাংলা নববর্ষ ও চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলায় রাঙ্গামাটি বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় সামাজিক উৎসব বৈসাবি আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত হয়।বর্তমানে বাংলার নববর্ষ জাতীয় উৎসব হিসেবে পরিনিত হয়েছে।
নববর্ষের সাথে পান্তা-ইলিশের সম্পর্কের আদ্যোপান্ত
বাঙালির জন্য পহেলা বৈশাখ মানে লাল পাড়ের সাদা শাড়ি আর ছেলেদের পাঞ্জাবি।সাথে বৈশাখের মেলা তো আছেই।তবে আর একটি জিনিস যেন না হলেই নয় আর তা হল বাঙালির ঐতিহ্য পান্তা ইলিশ।পহেলা বৈশাখের সকালটা যেন জমে ওঠে না পান্তাইলিস না হলে।তবে বাঙালির পহেলা বৈশাখের উদযাপনে কিভাবে এলো পান্তাই দেশ সে সম্পর্কে জানব আজ।
বাংলা নববর্ষের সাথে পান্তা ইলিশের সম্পর্ক ঠিক কিভাবে শুরু হয়েছিল তার সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও বাংলা সাল শুরুর ইতিহাস প্রায় সকলের জানা।শাসক শ্রেণী তৎকালীন সময়ে তাদের নিজেদের সুবিধার্থেই বাংলা বছরের শুরু করেছিল।তবে মুঘল শাসনামলে সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা মুক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করতো।আগত দর্শক শ্রোতাগণ তখন ঐতিহ্যবাহী পান্তা ভাত খেত।এরপর থেকেই বিংশ শতাব্দীর শেষে শহুরে বাঙালিরা বাংলা নববর্ষকে ঘটা করে উদযাপন শুরু করে।
তখনো পান্তার সঙ্গে ইলিশের জোকসূত্র হয়নি।২১ শতাব্দীতে এসে বাঙালির বৈশাখীর সাথে যোগ হয় পান্তাইলিস।রমনার পটমল থেকে শুরু করে পুরো বাংলাদেশের শুরু হয় বর্ষের শুরুতে পান্তা ইলিশ খাওয়া।তবে সব কিছু শুরু হয়েছিল ১৯৮৩ সালে।জানা গেছে চৈত্রের কোন এক বিকেলে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন সংস্কৃতি কর্মী।তার মধ্যে একজন ছিলেন সাংবাদিক বোরহান আহমেদ।উনি নাকি রমনার পটমলে পান্তাইলিশ খাওয়ার প্রস্তাব দেন।
তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে তার সহকর্মীরা সবাই এই আয়োজনের রাজি হলেন।এবং এ আয়োজনের ব্যবস্থা করলেন।সেই প্রথমবার রমনার বটমল থেকে মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয় পান্তা ইলিশ।পরের বছর পরিচালক শহিদুল হক খান এই পান্তা ইলিশের সাথে যুক্ত হন।তবে এখনো এককভাবে কেউ দাবি করতে পারেননি যে রমনার বটমলে পান্তা ইলিশ খাওয়ার প্রচলনকে শুরু করেছে।প্রতিবছর রমনার বটমুলে পান্তা ইলিশ বাঙালিরা ঘটা করে খেলেও এর সমালোচনা করে থাকেন।
সমালোচনা কারীদের মতে শহরে পান্তা ভাত খাওয়া আমাদের ঐতিহ্যেবাহি গ্রামীণ সংস্কৃতিকে ব্যঙ্গ করা।এটি শুরু হয়েছিল টাকা কামানোর ধান্দায়।সাংস্কৃতিক প্রেমের জন্য নয়।সকল সমালোচনার বাইরে গিয়ে বর্তমানে নববর্ষের দিনটি উদযাপনের সকালেই পান্তা এলে যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
পান্তা ইলিশ যেভাবে জড়ালো বৈশাখের সংস্কৃতিতে
কথা বলে মাছে ভাতে বাঙালি।আর তাইতো বাংলা বর্ষবরণ মানেই যে পান্তাইলি।বৈশাখের প্রথম দিনে হুক্কা পরিবারের আহার কিংবা আপ্যায়নে।কিন্তু কবে থেকে আর কেনই বা পান্তাইলের জড়ালো বৈশাখে।জানবো সেই গল্পটাই।চৈত্রের বিদায়ী সুর উপেক্ষা করে জেগে ওঠে এক নতুন সকাল।সেই সুবর্ণরেখা নিয়ে আসে বৈশাখের প্রথম দিন শুরু হয় নববর্ষ।বাঙালির আবহমান কালের কৃষ্টি আর লোকাচারের সমৃদ্ধ নববর্ষের এই দিন।
আর বৈচিত্রময় উৎযাপনের অন্যতম অংশ হিসেবে পান্তা ইলিশে আহার-বিলাস।রোদ মাখা সকালে পান্তা আর ইলিশ ভাজের সাথে সঙ্গী হয় মরিচ পোড়া বেগুন ভাজা আর আলু ভর্তা।যদিও বৈশাখের সাথে পান্তা ইলিশের সভ্যতা ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়।রমনার বটমলে পান্তা ইলিশের আগমন ঘটে ১৯৮৩ সালে।বর্ষবরণ উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আয়োজন করতে পান্তা ইলিশ রেসিপি।প্রচারণের সুবাদে ক্রমেই তা হয়ে ওঠে সংস্কৃতির অংশ।
আর কর্পোরেশন থেকে বৈশাখী খাবারের ব্র্যান্ডে পরিণত হয় পান্তাইলিশ।তবে লোকো গবেষকদের দাবি পান্তা ইলিশ কখনোই পহেলা বৈশাখের অনুসন্ধ্য ছিল না।কারণ বৈশাখ অর্থাৎ এপ্রিল মাসে ইলিশ শিকার সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ।দেশের সম্পদ ইলিশ বাঁচানোর সাথে খেয়াল রাখতে হবে বৈশাখের আনন্দ আয়োজনে যেন কুমতি না থাকে।তাই পান্তার সাথে ইলিশ থাকুক আর না থাকুক আজ নববর্ষ।
কিভাবে বাংলা বছর গণনা শুরু হয়েছিল
পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন বা বাংলা নববর্ষ।অনেকেই একে হাজার বছরের সংস্কৃতি হিসেবে উল্লেখ করে।আসলে কি বাংলা নববর্ষ উদযাপন হাজার বছরের পুরনো।সত্যি কথা বলতে বাংলা বর্ষপঞ্জি ও হাজার বছরের পুরনো হয়।বাংলা বছর কিভাবে গণনা শুরু করা হয়েছিল তা নিয়ে আলোচনা করাতে আজকের এই কনটেন্টে।
পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশে এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় নববর্ষ উৎসব হিসেবে পালিত হয়।এটি বিশ্বব্যাপী বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসেবে বিবেচিত।অতীতে বাংলা নববর্ষ ছিল মূলত কৃষি নির্ভর এবং অর্থনীতির সাথে সম্পৃক্ত।জমিদারের পন্যা এবং খাজনা আদায় থেকে শুরু করে দোকানের হালখাতা সব ক্ষেত্রেই অর্থনৈতিক হিসাব নিকাশি ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য।প্রতিবছর ১৪ এপ্রিল নববর্ষ উদযাপন বাংলা একাডেমি কর্তৃক নির্ধারিত হয়।
এই দিনটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ছুটির দিন হিসেবে গৃহীত।১৯৭২ সালে বা বাংলা ১৩৭৯ সালে পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের জাতীয় পার্বণ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর হিজরী পঞ্জিকা অনুযায়ী খাজনা আদায় করা হতো।কিন্তু হিজরীষন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় কৃষি ফলনের সাথে তার কোন মিল ছিল না।ফলে অসময় কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করা হতো।
খাজনা আদায় সুবিধার জন্য মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন।তিনি মূলত এই অঞ্চলের প্রচলিত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার নির্দেশ দেন।সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ফতেল্লা সিরাজী সৌরশন এবং আরবি হিংস্টেশন এর উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সংগঠনের বিষয়টি সমন্বয় করেন।৯৯৩ হিজরির ৮ ই রবিউল আউয়াল বা ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের দশই মার্চ থেকে বাংলা সংন গণনা শুরু হয়।
তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় সম্রাট আকবরের সিংহাসন আরোহণের বছর ৯৬৩ হিজরির বা ১৫৫৬ সালের ৫ই নভেম্বর থেকে।সে সময় ৯৬৩ চন্দ্র সনকে ৯৬৩ বাংলার সৌরশনে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জির যাত্রা শুরু হয়।অর্থাৎ বাংলা বছর গণনা এক থেকে শুরু হয়নি শুরু হয়েছে ৯৬৩ থেকে।প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলির সন।পরবর্তীতে বঙ্গাব্দ বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই কনটেন্ট থেকে আমরা জানতে পারলাম।পহেলা বৈশাখ ও নববর্ষের ইতিহাসের কথা।পহেলা বৈশাখের সঙ্গে কিভাবে পান্তা ইলিশ জড়িত হলো।এবং কিভাবে বাংলা বছর গণনা শুরু।তাই আজকের এই কনটেন্ট থেকে আপনারা যদি কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url