ইউরোপে এত দেশ থাকতে সবাই ইতালিতে আসতে চায় কেন
প্রিয় পাঠক,ইতালি কেমন দেশ,এবং ইতালিতে কেন যাবেন।ইতালির দক্ষিণ ইউরোপের একটি দেশ।এদের সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই কন্টেন্ট।বাংলাদেশী প্রবাসীরা ইতালিতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ বেশি করে থাকে।ইউরোপ দেশের মধ্যে উন্নত জীবনযাত্রার একটি দেশ হলো ইতালি।অনেক বাংলাদেশী ভাইদের জন্য স্বপ্নের দেশ ইতালি।
এদেশে অনেকে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে থাকে কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে যাওয়া হয়ে থাকে না।ইউরোপে এত দেশ থাকতে সবাই ইতালিতে আসতে চায় কেন।যদি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই কনটেন্টটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।যদি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন আশা করি আপনার এই প্রশ্নের সমাধান হয়ে যাবে আজকের এ কনটেন্টে।
ভূমিকা
উন্নত জীবনযাত্রা কর্মসংস্থান উচ্চশিক্ষা আশ্রয় নানা কারণে অনেকের স্বপ্নের গন্তব্য ইউরোপ।প্রতিবছর অনেক মানুষ EU ভুক্ত 27 টি দেশ বসবাস ও কাজে সুযোগ পান।তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ ইতালি।সাগর পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে ইতালি অভিমুখে আসা অভিবাসীদের স্রোত দিন দিন বাড়ছে।সেই স্রোতে অসংখ্য বাংলাদেশের মুখ।ইতালির দক্ষিণ ইউরোপের একটি দেশ।পশ্চিমা সংস্কৃতি ও সভ্যতার সুতি কাকার বলে পরিচিত গ্রীস এবং ইতালি।নানা ভাস্কর্য আর শৈল্পিক নিদর্শন সরিয়ে আছে পুরো ইতালি জুড়ে।
ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় আছে এই তালিতেই।আজকে আমরা এমন একটি দেশ সম্পর্কে জানতে চলতেছি যে দেশের জ্যান্ত মানুষকে দিয়ে দাবা খেলা হয়।যে দেশে পুলিশ ল্যাম্বরগিনি কার ছাড়া চলাফেরা করে না।যেদেশে অবৈধভাবে পালিয়ে যাওয়া মানুষদের কে নাগরিকত্ব দেওয়া থাকে।যে দেশটি ইউরোপের ধনী দেশের মধ্যে অন্যতম।হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের জানাবো ইউরোপের একটি ফেমাস দেশ ইতালি সম্পর্কে।
- ইতালি দেশের অজানা তথ্য এবং ইতিহাস
- ইতালি কেমন দেশ
- ইতালি কেমন দেশ, কেন যাবেন
- ইউরোপে এত দেশ থাকতে সবাই ইতালিতে আসতে চায় কেন
- ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
ইতালি দেশের অজানা তথ্য এবং ইতিহাস
ইতালির দক্ষিণ ইউরোপের একটি দেশ।পশ্চিমা সংস্কৃতি ও সভ্যতার সুতি কাকার বলে পরিচিত গ্রীস এবং ইতালি।নানা ভাস্কর্য আর শৈল্পিক নিদর্শন সরিয়ে আছে পুরো ইতালি জুড়ে।ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় আছে এই তালিতেই।বন্ধুরা আজকে আমরা এই কনটেন্ট থেকে ইতালি সম্পর্কে জানাও জানা এবং প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য জানবো।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক।২ লক্ষ বছর আগের ব্যারিয়ন যুগে ও সমগ্র ইতালি যুরে আধুনিক সভ্য মানুষের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।রোমান উত্তর ইতিহাসে যদিও ইতালি অনেক রাজ্য ও শহরের বিভক্ত ছিল।কিন্তু ১৮৬১ সালে এই দেশ একভুতু হই ইতিহাসের এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে।যা ইল রিসোর্ট জিমেন্ট বা পুনরুদ্ধার নামে পরিচিত।বর্তমান ইতালি একটি গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র।
এটিকে বিশ্বের তেইশ তম উন্নত দেশ হিসেবে গণনা করা হয়।মনের মান নির্দেশ বিচারে বিশ্বের সেরা ১০ এই দেশের স্থান।সুইজারল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া ফ্রান্স এবং স্লোবিনের সাথে সীমান্ত রয়েছে ইতালির।প্রায় পুরো দেশটি একটি উপদ্বীপ।এটা বুট আকৃতির।ইতালির মোটা আয়তন তিন লক্ষ এক হাজার তিনশো চল্লিশ বর্গ কিলোমিটার।
এবং এই দেশের মোট জনসংখ্যা 6 কোটিরও অধিক।আয়তনের হিসেবে এটি বিশ্বের ৭২ তম এবং জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বে ২৩ তম রাষ্ট্র।ইতালির রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর হচ্ছে রোম।এটি প্রায় তিন হাজার বছর পুরনো একটি শহর।এটি ১৮৭১ সাল থেকে দেশটি রাজধানী।এই দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা হচ্ছে ইতালিও।এই ভাষায় বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ কথা বলে থাকেন।সুইজারল্যান্ডে চারটি রাষ্ট্রীয় ভাষার মধ্যে ইতালীয় একটি।
ইতালির মোট জনসংখ্যার প্রায় 85% মানুষ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।এবং ইতালিতে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় তিন শতাংশ।বাকিরা কোন ধর্মের বিশ্বাসী নয়।দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র সানমারনো এবং ভ্যাটিকান সিটিতে ঘিরে রয়েছে ইতালি।দেশ দুটি ইউরোপের ইউনিয়নের অংশ না হলেও কার্যতো সেনজেন এলাকার অন্তর্ভুক্ত।দেশ দুটিতে আলাদা পুলিশ বাহিনী আছে তবে সেখানে ইতালির মুদ্রা এবং ভাষায় প্রচলিত।
পুরো ইউরোপ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প ইতালিতেই হয়ে থাকে।এই দেশে রোম শহরে ১৯৮০ সালের একটি ভূমিকম্প প্রায় তিন হাজার মানুষ মারা যায়।ইউনিভার্সিটি অফ রোম বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে একটি।এডি ১৩০৩ সালে একটি ক্যাথলিক চার্চের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।ইতালির সান মারিনা হলো বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো প্রজাতন্ত্র।যা ৩৩১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়।এখানে ৩০ হাজার এরকম নাগরিকের বাস।এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ধারাবাহিক সংবিধান ধারণ করে।
এখানকার নাগরিকদের সামারি নিয়ে আজ বলা হয়।বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ হচ্ছে ভ্যাটিকান সিটি।এই দেশটি ইতালির মধ্যে অবস্থিত।১৮৬১ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে প্রায় ২৬ মিলিয়ন মানুষ ইতালি ছেড়ে চলে গিয়েছিল।যাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল উন্নত জীবনযাপন।ইউরোপের সর্বোচ্চ শেখর হোয়াইট মাউন্টে ইতালিতেই অবস্থিত।এর উচ্চতা ১৫ হাজার ৭৭১ ফুট।যদিও বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ইতালির অর্থনীতি বাকি ইউরোপীয় দেশগুলোর পিছনে ছিল।কিন্তু বর্তমানে এটি বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম অর্থনীতি।
প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ প্রতি বছর ইতালিতে ঘুরতে আসে।পর্যটন খাতে ইতালির অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।ইতালি আইয়ের প্রায় ৬৩ শতাংশ পর্যটন খাত থেকেই আসে।ফুটবল ইতালি সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা।এই দেশটা চারবার ফিফা বিশ্বকাপ জিতেছে যা ব্রাজিলের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।ইতালি তিনবার অলিম্পিক গেমস আয়োজন করেছে।১৯৫৬ শীতকালীন অলিম্পিক ১৯৬০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক এবং 2006 শীতকালীন অলিম্পিক ইতালিতে অনুষ্ঠিত হয়।
পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে ইতালিতে শিশু জন্মহার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।এখানে সন্তান জন্মদান কে উৎসাহ দেওয়া হয়।যেসব দম্পতিদের একের অধিক সন্তান রয়েছে তাদেরকে সরকার পুরস্কৃত করে থাকে।ফ্যাশন শিল্পী ইতালি বিশ্বের মধ্যে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে।ইতালির ফ্যাশন ব্যান্ড আরমানি ভার্সেস গুঝছি প্রাডা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।ইতালী রাষ্ট্রীয় মুদ্রা হচ্ছে ইউরো।বন্ধুরা এই ছিল ইতালি নিয়ে আপনাদেরকে জানানোর মত কিছু তথ্য।
ইতালি কেমন দেশ
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আসা করি সবাই ভালো আছেন।আজকে আমরা এমন একটি দেশ সম্পর্কে জানতে চলতেছি যে দেশের জ্যান্ত মানুষকে দিয়ে দাবা খেলা হয়।যে দেশে পুলিশ ল্যাম্বরগিনি কার ছাড়া চলাফেরা করে না।যেদেশে অবৈধভাবে পালিয়ে যাওয়া মানুষদের কে নাগরিকত্ব দেওয়া থাকে।যে দেশটি ইউরোপের ধনী দেশের মধ্যে অন্যতম।হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আপনাদের জানাবো ইউরোপের একটি ফেমাস দেশ ইতালি সম্পর্কে।ইতালির অফিসিয়াল নাম ইতালিয়ান রিপাবলিক।
এর রাজধানী এবং সবচাইতে বড় শহর রোম।নানা ভাস্কর্য ওশল্পিক নির্দেশন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই ইতালিতে।ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেসের সবচাইতে বেশি সংখ্যক আছে এই ইতালিতে।এছাড়া এই ইতালিতে এমন কিছু অবাক করা জিনিস রয়েছে যা আপনি আগে কখনো জানেন না।ইতালির মোট জনসংখ্যা প্রায় ছয় কোটি।এরিয়ার হিসাব অনুযায়ী ইউরোপের দশম বড় দেশ হচ্ছে ইতালি।এর মোট আয়তন ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৫০ বর্গমাইল।ইতালির কারেন্সি নাম ইউরোপ।
এক কারেন্সি ইউরো সমান বাংলাদেশি প্রাইস ৯৭ টাকা।পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন ইউনিভার্সিটি এর মধ্যে একটি হচ্ছে ইতালিতে।ইউনিভার্সিটি অফ রুম ক্যাটলিক স্যারদের মাধ্যমে ১৩০৩ সালে বানানো হয়েছিল।আর আজকের দিনে দেড় লক্ষ স্টুডেন্ট নিয়ে এই ইউনিভার্সিটি পুরো ইউরোপের সবচাইতে বড় ইউনিভার্সিটি।ইতালি ইউরোপের এমন একটি দেশ দেশের ভিতরে দুটি স্বাধীন দেশ হয়েছি।দা রিপাবলিক অফ সেন মেরিনো এবং ভ্যাটিকান সিটি।পৃথিবীর সবথেকে ছোট দেশ।
এদেশের চারিদিকে ইতালি দিয়ে ঘেরা।ইতালির বেশিরভাগ এলাকায় পাহাড়ি এলাকার ঘেরা।আপনি যদি কখনো ইতালিতে ঘুরতে যান তাহলে এখানকার খুবই সুন্দর এবং ডিপ্রেশন আপনি অবশ্যই জানেন ভ্যালিতে অবশ্যই যাবেন।এটা পৃথিবীর একমাত্র শহর যার চারদিকে পানি দিয়ে ঘেরা।এ শহরে আপনি একটিরও গাড়িরও দেখা পাবেন না এ শহরের নৌকা দিয়ে চলাফেরা করা হয়।
বর্তমানের শহরে ৩৫০ এরও বেশি নৌকা চলাচল করে।পানির উপর অবস্থিত এই শহরকে সৌন্দর্য পুরোপুরি ভাবে ভিন্ন হওয়ার জন্য এর আকর্ষণীয়তা সবাইকে মুগ্ধ করে।বিখ্যাত অনুষ্ঠান কারলিভা অব প্যারিস এখানে অনুষ্ঠিত হয়।এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ ঘুরতে আসে।এছাড়া এখানে প্রতিদিন ৫০০০০ মানুষ ঘুরতে আসে।পৃথিবীর প্রথম গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে মহিলা ভেনিস শহরের জন্মগ্রহণ করেছিল।
পৃথিবীর সবচাইতে বেশি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ইতালিতে আছে।ইতালির রাজধানী রোম প্রায় তিন হাজার বছরের পুরানো।১৮৫৭ সালের রমকে রাজধানী বানানো হয়েছিল।১৮৬১ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ২৬ লাখেরও বেশি লোক ইতালি ছেড়ে চলে গিয়েছিল।যেন তারা ভালো জীবন যাপন করতে পারে।প্রায় ৫০ মিলিয়নেরও বেশি লোক প্রতিবছর ইতালিতে ঘুরতে আসে।ইতালির অর্থব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম টুরিস্ট।বলা হয়ে থাকে যে কাটা চামচ এর ব্যবহার ইতা দিতে শুরু হয়েছিল।
ইউরোপের সবচেয়ে বড় লম্বা সুরঙ্গ ইতালিতে অবস্থিত।এটি ইতালি এবং সুইজারল্যান্ডকে একসাথে জুড়েছে।এটি ৯৭ কিলোমিটার লম্বা রেল লাইন যেটা পাহাড়ের নিচ দিয়ে যাই।ইতালি এমন একটা দেশ যেখানে সবচাইতে বেশি শুটিং করা হয়।পুরোই ইউরোপ জোড়ে সবচাইতে বেশি ভূমিকম্প হয় ইতালিতে।প্রাচীন রুমে জল দেবতা কে খুশি করার জন্য তারা পানির ভিতর কয়েন ফেলতো। আর এই প্রচলন এখনো কিছু কিছু এলাকায় দেখা যায়।যেখানে প্রায় প্রতিদিন তিন হাজার ইউরো ফেলা হয়।
নিলাম ইতালি প্রসিদ্ধ ইতালির রাষ্ট্রীয় ভাষায় ইতালিয়ান ইতালি ভাষা ছাড়াও জার্মান ও ফরাসি ভাষার প্রচোলন রয়েছে।এখানকার বেশিরভাগ লোক ক্যাথলিক খ্রিস্টান।আর এখানে দ্বিতীয় বড় ধর্ম হচ্ছে ইসলাম।ফুটবল ইতালির জনপ্রিয় খেলা।ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপে চারবার বিশ্বকাপ জিতেছে ইতালি।
ইতালি কেমন দেশ, কেন যাবেন
উন্নত জীবনযাত্রা কর্মসংস্থান উচ্চশিক্ষা আশ্রয় নানা কারণে অনেকের স্বপ্নের গন্তব্য ইউরোপ।প্রতিবছর অনেক মানুষ EU ভুক্ত 27 টি দেশ বসবাস ও কাজে সুযোগ পান।তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ ইতালি।সাগর পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে ইতালি অভিমুখে আসা অভিবাসীদের স্রোত দিন দিন বাড়ছে।সেই স্রোতে অসংখ্য বাংলাদেশের মুখ।উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপদজনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে পৌঁছানোর এই প্রচেষ্টা কেড়ে নিচ্ছে অসংখ্য প্রিয়জন।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ৩১ হাজার ৩০০ জন অভিবাসী ইতালিতে এসেছে।অথচ গত বছরে এ সময় লোক ছিল প্রায় আট হাজার।যারা ইতালিতে পৌঁছাতে পেরেছেন তারা অবশ্যই ভাগ্যবান।তো যাদের শরীর সমাধি হয়েছে ভূমধ্যসাগরে তাদের হারানোর বেদনা কয় বেড়াবে আত্মীয়-স্বজনেরা।প্রশ্ন হল কেন ১৪-১৫ লাখ টাকা খরচ করে অবৈধভাবে ইতালিতে যেতে হবে।যেখানে ইতালি সরকার বৈধভাবে কম খরচে লাখ লাখ মানুষ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
চলতে বছরে নতুন করে 4 লাখ 52 হাজার শ্রমিক নর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি সরকার।২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এসব লোক নেবে ইতালি।বরাবরই ইতালিতে দক্ষ শ্রমিক নিয়ে থাকে।এবার ইতালিতে সবচাইতে বেশি লোক যেতে পারবে কৃষি এবং পর্যটক খাতের জন্য।এছাড়াও ভবনের মান জাহাজ নির্মাণ পণ্য আনা নেয়ার জন্য বড় টাকের চালক পদে এবং হোটেল মেকানিক টেলিকম খাদ্য দ্রব্যাদি উৎপাদন ইত্যাদি শ্রমিক নিচ্ছে দেশটি।
পশ্চিম ইউরোপের এই দেশটি বিদেশীদের স্বাগতম জানাই।ইতালি এমন এক দেশ মাঝে মাঝে অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদেরকে বৈধতা দেয়।এ কারণে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মানুষের মধ্যে ধারণা জন্মেছে যে, ইতালিতে যেতে পারলে কোনো না কোনো সময় বৈধতা পাবোই।ইতালি যাওয়ার জন্য সাধারণত দুই ধরনের ভিসা পাওয়া যায়।সিজনাল ভিসা,নন সিজনাল ভিসা।এর বাইরে আর একটা ভিসা রয়েছে যে ভিসার নাম হচ্ছে স্পন্সার ভিসা।
ইউরোপে এত দেশ থাকতে সবাই ইতালিতে আসতে চায় কেন
ইউরোপে এত দেশ থাকা সত্ত্বেও সবাই ইতালিতে আসতে চায় কেন।আজকের এই কন্টেন্টের মাধ্যমে আমি তুলে ধরার চেষ্টা করব ইউরোপে এত দেশ থাকা সত্ত্বেও সবাই ইতালিতে যায় কেন।কি কি সুযোগ সুবিধা রয়েছে এদেশে এ কারণে যেতে চাই।সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই কন্টেন্টটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চলুন জেনে আসি কি কি সুযোগ সুবিধার কারণে ইউরোপে এত দেশ থাকা সত্বেও ইতালিতে যেতে চাই কেন।
(১)আমাদের যত বাংলাদেশী ভাইয়েরা ইতালিতে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তারা কিন্তু কোন না কোন ভাবে একটা না একটা সময় ইতালিতে অবৈধ থেকে অবৈধ হতে পারে।
(২)ইতালিতে কোন অবৈধ অভিবাসীকে পুলিশ ধরলে ধরে কিন্তু জেলে ভরে দেয় না।এবং অবৈধ অভিবাসীকে ধরতে পারলে পুলিশ দেশেও পাঠিয়ে দেয় না।কিন্তু ইউরোপের অনেক দেশ আছে সেখানে অবৈধ অভিবাসীকে পুলিশ ধরতে পারলে মাসের পর মাস বছরের পর বছর জেলে আটকে রাখে এবং দেশে পাঠিয়ে দেয়।বাট ইতালিতে এই কাজটি করা হয় না।এবং ইতালির ইতিহাসে এমন কোন রেকর্ড নাই যে অবৈধ অভিবাসীকে ধরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
(৩)ইতালিতে ফ্যামিলি আনা অনেক সহজ।আপনার যদি ভালো কাজের কন্টাক্ট থাকে এবং বসবাসের জন্য যদি বাসায় থাকে তাহলে অ্যাপ্লিকেশন করে খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে আপনার পরিবারকে এবং ফ্যামিলিকে আনতে পারবেন।এবং আপনার যদি বাঁশরিক ইনকাম যদি বেসি থাকে তাহলে আপনার বাবা-মা কেউ আনতে পারবেন।ইউরোপে যতগুলো দেশ আছে তার মধ্যে একমাত্র ইতালিতেই ফ্যামিলি আনা অনেক সহজ।
(৪)ইতালিতে আসলে আপনাকে দীর্ঘদিন বসে থাকতে হবে না।আপনি কোন না কোনভাবেই কাজ পেয়ে যাবেন। কারণ ইতালিয়ানরা বাংলাদেশীদের কে খুব বেশি পছন্দ করেন।এবং বাংলাদেশীদের কাজও খুব ভালো।বাংলাদেশী প্রবাসী ভাইয়েরা কাদের জন্য ইতালিতে খুব জনপ্রিয়।
(৫)ইতালিয়ান পাসপোর্টের ভ্যালু সারা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।আপনার যদি ইতালিতে থাইভাবে থেকে ইতালিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে নিতে পারেন তাহলে ইটালিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে আপনি সারা বিশ্বের যে কোন স্থানে যে সাই ভাবে বসবাস করতে পারবেন।আপনার কোন সমস্যা হবে না এবং ওই দেশে আপনার ওয়ার্ক পারমিট থাকবে।
(৬)ইতালি কে বলা হয় সারা পৃথিবীর তীর্থস্থল।অর্থাৎ যুদ্ধ বিদ্রোহ লোকদেরকে যখন অন্য দেশে ঢুকতে দেওয়া হয় না বা ইউরোপের অন্য দেশগুলো যখন সীমান্তগুলো বন্ধ করে দেয় তখন ইতালি একমাত্র দেশ তখন তাদের সীমান্ত খুলে রাখে।অর্থাৎ বুদ্ধ বিদ্রোহ দেশ থেকে যদি কোন শরণার্থী ইতালিতে আসতে চায় তখন তাদেরকে ইতালিয়ান সরকার হান্ডেট পার্সেন্ট সাপোর্ট দিয়ে থাকেন।এ সকল কারণে যে ইতালিতে বাংলাদেশী প্রবাসী ভাইয়েরা বেশি আসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে।
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
আজকে আমি আলোচনা করব ইউরোপের জনপ্রিয় দেশ ইতালি সম্পর্কে।বর্তমান সময়ে ইতালিতে কত টাকা লাগে এ বিষয়।আশা করি আজকের এই কন্টেন্ট থেকে আপনারা কিছু ইনফরমেশন পাবেন।তাছাড়া আমি অন্যান্য দেশের ভিসা সম্পর্কেও আলোচনা করে থাকি আমার এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে।আপনারা চাইলে সেখান থেকেও আমারে কনটেন্ট গুলো পড়ে আসতে পারেন।
বর্তমানে চারটি ক্যাটাগরির বিষয়ে ইতালিতে যাওয়া যায়।প্রতিটি ভিসা ভেদে বিচার খরচ কম বেশি হয়ে থাকে।তো চারটি ক্যাটাগরি কি কি চলুন জেনে নি।ইতালির সিজিনাল ভিসা,ইতালির নন সিজনাল ভিসা,ইতালির স্টুডেন্ট ভিসা,ইতালির ভিজিট ভিসা।
প্রথমটি হচ্ছে সিজিনাল ভিসা এখানে সিজনাল ভিসাই এককালীন তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত ইতালিতে অবস্থান করতে পারবেন।এই ভিসায় সম্ভাব্য ৪ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে ইতালির নন-সিজনাল ভিসা।ইতালির নন-সৃজনাল ভিসায় ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেতে হয়।এ ভিসায় সম্পূর্ণ খরচ হয় 9 থেকে 10 লক্ষ টাকা।আপনি যদি কোন দালাল বা এজেন্স এর মাধ্যমে যান তাহলে ১৫ থেকে 18 লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে যেতে পারে।
তৃতীয়টি হচ্ছে ইতালির স্টুডেন্ট ভিসা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে তেমন কোন খরচ হয় না।৬০ হাজার টাকার মত খরচ হয়ে থাকে।
এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভিজিট ভিসা, ইতালিতে ভিজিট ভিসায় যেতে হলে আপনার প্রায় খরচ হয়ে যাবে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা।আর ভিজিট ভিসাইজ গিয়ে আপনি ইতালিতে ৬০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন।সম্মানিত ভিউয়ার্স আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ইতালিতে যেতে কেমন খরচ হতে পারে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই কন্ঠের থেকে আমরা জানতে পারলাম ইতালির দেশ সম্পর্কে জানা-অজানা অনেক তথ্য।ইতালি দেশ কেমন এবং কেন ইতালি দেশে বাংলাদেশী প্রবাসীরা যেতে চায় বেশি এ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলাম আজকের এই কন্টেন্ট থেকে।এবং ইতালি যেতে কত টাকা খরচ হতে পারে এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করছি আজকের এই কনটেন্টে।
তাই যদি কেউ আজকের এ কনটেন্ট থেকে আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে আপনার পরিচয় লোকজন উপকৃত হতে পারে।এবং লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url