অনার্স এবং ডিগ্রীর মধ্যে পার্থক্য কি

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা অনার্স না ডিগ্রী করবেন এ বিষয়ে কনফিউশনে আছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না,তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্ট।এই কনটেন্টে আলোচনা করাবে অনার্স নাকি ডিগ্রী কোনটা পড়বেন।কোনটার মান কি এবং কোনটা পড়লে ভালো হবে।চাকরির ক্ষেত্রে কোনটা সুবিধা হবে।
অনার্স এবং ডিগ্রীর মধ্যে পার্থক্য কি
অনার্স এবং ডিগ্রির মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে এ সম্পর্কেও আজকের এই কনটেন্টে আলোচনা করা হব।এই বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই কনটেন্টটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।তাহলে আশা করা যায় অনার্স এবং ডিগ্রির মধ্যে যে কনফিউশন রয়েছে তা সমাধান হয়ে যাবে।

ভূমিকা

এইচএসসি পাশের পর অনার্স করব,ডিগ্রী আবার কেউ করে নাকি।ডিগ্রীতে কোন মূল্যই নেই।আপনি যদি এরকমটা ভেবে থাকেন তাহলে আপনার অবকাঠামোর জন্য জানিয়ে রাখি যে,২০১২ সালের বিসিএস প্রশাসনে সারা বাংলাদেশের প্রথম ছেলেটি ছিল একজন ডিগ্রী পাস ধারী।লক্ষ্য যদি থাকে বিসিএস অথবা নিবন্ধন কিংবা যেকোনো চাকরি পরীক্ষা তাহলে অনার্স কিংবা ডিগ্রী আপনার জন্য সমান মূল্য।

যারা অনার্সে চান্স পাবেন না তাদের একমাত্র সেস আশা ডিগ্রী পাস কোর্স।ডিগ্রি পড়ে অনেক ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করা যায়।যদি নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকে।আত্মবিশ্বাস না থাকলে কিন্তু আপনি সাকসেস হতে পারবেন না।
  • অনার্স নাকি ডিগ্রি কোনটা ভালো, কোনটা পড়বেন
  • অনার্স নাকি ডিগ্রী কোনটা পড়বেন
  • ডিগ্রীতে কি কি সাবজেক্ট থাকে
  • অনার্স এবং ডিগ্রীর মধ্যে পার্থক্য কি

অনার্স নাকি ডিগ্রি কোনটা ভালো, কোনটা পড়বেন

প্রিয় পাঠক আজকের এই কনটেন্টে আলোচনা করব অনার্স নাকি ডিগ্রী কোনটি করবেন কোনটা করলে আপনার জন্য সুবিধা হবে।কোনটা ভালো কোনটা পড়বেন কোনটা পড়লে কি কি সুবিধা হবে এবং কি কি অসুবিধা হবে এ সম্পর্কে আজকের এই কনটেন্টে আলোচনা করা হবে।তাই কনটেন্টই পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি অনার্স এবং ডিগ্রি নিয়ে যে সকল কনফিউশন রয়েছে আশা করি দূর হয়ে যাবে।

সময়কাল,
অনার্স কোর্সের সময়কাল চার বছর।অনার্স করার পর মাস্টার্স করার জন্য সময়কাল এক বছর।ডিগ্রী পাসের কোর্সের সময় কাল তিন বছর।ডিগ্রী পাস করার পর মাস্টার্স করার সময়কাল দুই বছর।এক্ষেত্রে অনার্স এবং ডিগ্রির মাস্টার্সের সময়কাল একই।
কোনটা পড়লে কি কি সুবিধা হবে।এবং কি কি অসুবিধা হবে।

(১)ক্লাসের ক্ষেত্রে,যদি আপনি অনার্স করেন তাহলে আপনাকে রেগুলার ক্লাস করতে হবে।এবং সব সময় আপনাকে পড়ালেখার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।ইনকোর্স পরীক্ষা টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে চারটা বছর কাটাতে হবে।পাশাপাশি আপনি যদি ডিগ্রীতে ভর্তি হন তাহলে তুলনামূলক ভাবে ক্লাস কম করলেই চলবে।

এবং অনেক ক্ষেত্রে ক্লাস না করলেও চলবে।অনেক ক্ষেত্রে যারা বিবাহিত চাকরির সাথে সম্পৃক্ত ক্লাস করতে অমনোযোগী এটেন্ডেস ঠিকমতো করতে পারেনা তারা ডিগ্রী করার জন্য বেশি উৎসাহী হয়ে থাকে।এক্ষেত্রে অবশ্যই আমি অনার্সকে এগিয়ে রাখবো কারণ,অনার্স করার ক্ষেত্রে পড়াশুনা মধ্য দিয়ে অনার্স কমপ্লিট করতে হয়।

(২)সিলেবাসের ক্ষেত্রে,ডিগ্রী পাস কোর্সের যে সিলেবাস তার থেকে অনার্স কোর্সের সিলেবাস তুলনামূলক অনেক বড় হয়ে থাকে।

(৩)ভর্তির ক্ষেত্রে,ডিগ্রিতে খুব কম জিপিএ নিয়ে ভর্তি হওয়া যায়।এবং অনার্সে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে জিপিএটি অনেক বেশি হতে হয়।এবং প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি থাকে অনার্সের ভর্তি ক্ষেত্রে।আপনি যদি অনার্সে ভালো কলেজে ভর্তি হতে চান তাহলে আপনার জিপিটি অনেক ভালো হতে হবে।এবং প্রতিযোগিতাটাও অনেক বেশি থাকবে এটা আমরা সবাই জানি।এক্ষেত্রেও আমি ওর আজকে একটু বেশি এগিয়ে রাখবো।

(৪)চাকরির ক্ষেত্রে,অনার্স এবং ডিগ্রি যেহেতু দুইটাই সম্মান তাই কোনটাকে আমি ছোট করে দেখব না।আপনি অনার্স এবং ডিগ্রি দুটোর যেকোনো একটি করে ভালো ভালো চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ডিগ্রী পাস করেও অনেক ভালো ভালো চাকরিতে যোগদান করেছে।

শুধু বিসিএস এর ক্ষেত্রে দেখা যায় শুধু ডিগ্রী পাস করে আপনি বিসিএস এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না।আপনাকে বিসিএসে আবেদন করতে গেলে অবশ্যই মাস্টার্স কমপ্লিট করতে হবে।আর যদি আপনি অনার্স করেন তাহলে,অনার্স কমপ্লিট করার পরেই বিসিএস এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

(৫)মূল্যায়নের ক্ষেত্রে,অবশ্যই আমি অনার্স কে একটু এগিয়ে রাখবো।কারণ আমরা যখন চাকরি করতে ভাইভাতে যাবেন তখন আপনার হাতে যদি দুটো সার্টিফিকেট থাকে একটি অনার্স এবং একটি ডিগ্রির আপনি অবশ্যই অনার্সের ক্ষেত্রে প্রাধান্য বেশি দিবেন।

(৬)খরচের ক্ষেত্রে,অনার্সের খরচ একটু বেশি।ডিগ্রিতে তুলনামূলক খরচ অনেক কম হয়ে থাকে।তুলনামূলক ডিগ্রী থেকে অনার্সের খরচ অনেক বেশি হয়ে থাকে।সর্বোপরি আমি একটি কথা বলতে পারি অনার্স এবং ডিগ্রী মুল বিষয় নয়।মূল বিষয় হচ্ছে চাকরির ক্ষেত্রে আপনি যদি যান, তো সে ক্ষেত্র দুটোই সমমান দেওয়া হয়েছে।

পড়ালেখার পাশাপাশি যদি আপনারা চাকরির জন্য করেন তাহলে এই ডিগ্রী বা অনার্স এটা কোন বিষয় না।আপনি চাকরির জন্য ভালো প্রস্তুতি নিলে অবশ্যই ভালো চাকরি পাবেন। সেটা ডিগ্রী পাস করে হোক আর অনার্স পাস করে হোক।দুটোর কোনোটাকেই আমি ছোট করে দেখতেছি না।

অনার্স নাকি ডিগ্রী কোনটা পড়বেন

এইচএসসি পাশের পর অনার্স করব,ডিগ্রী আবার কেউ করে নাকি।ডিগ্রীতে কোন মূল্যই নেই।আপনি যদি এরকমটা ভেবে থাকেন তাহলে আপনার অবকাঠামোর জন্য জানিয়ে রাখি যে,২০১২ সালের বিসিএস প্রশাসনে সারা বাংলাদেশের প্রথম ছেলেটি ছিল একজন ডিগ্রী পাস ধারী।লক্ষ্য যদি থাকে বিসিএস অথবা নিবন্ধন কিংবা যেকোনো চাকরি পরীক্ষা তাহলে অনার্স কিংবা ডিগ্রী আপনার জন্য সমান মূল্য।যারা অনার্সে চান্স পাবেন না তাদের একমাত্র সেস আশা ডিগ্রী পাস কোর্স।

ডিগ্রি পড়ে অনেক ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করা যায়।যদি নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস থাকে।আত্মবিশ্বাস না থাকলে কিন্তু আপনি সাকসেস হতে পারবেন না।তাই আমি আজকে অনার্স এবং ডিগ্রি নিয়ে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরব।যেগুলো আপনার মতে থাকা ভ্রান্ত ধারণা গুলো দূর করবে।চলুন তাহলে সেই ধারণা গুলো জেনে নেওয়া যাক।

আপনি অনার্সে চান্স পেলেন না,এখন ডিগ্রী পড়বেন,অথবা এক বছর লস করে পরবর্তীতে আবার অনার্সের জন্য ট্রাই করবেন তাহলে এটা হবে আপনার জন্য সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা।আপনি যদি মনে করেন আপনার বন্ধু অনার্স করছেন আর আমি ডিগ্রী করব ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে।তাহলে কিন্তু আপনি আপনার অনার্স পড়ুয়া বন্ধু থেকে পিছিয়ে যাবেন।আপনার মনোবল ভেঙ্গে যাবে,সফলতার পথ কঠিন হয়ে যাবে।এখন তাহলে বলি কেন আপনি ডিগ্রী পড়বেন।

পয়েন্ট নম্বরে (১)
বর্তমানে অনার্স আর ডিগ্রির মধ্যে একটাই পার্থক্য তা হল অনার্স ৪ বছরের কোর্স আর ডিগ্রি তিন বছরে কোর্স।

পয়েন্ট নাম্বার (২)
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স আপনাকে যে সাবজেক্ট দিবে সে সাবজেক্ট দি অনার্স ও মাস্টার্স করতে হবে।কিন্তু ডিগ্রীর ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বাধীনতা দেওয়া হয় একজন স্টুডেন্টকে।নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ডিগ্রিতে পঠিত তিনটি সাবজেক্টের থেকে একটি সাবজেক্ট নিয়ে মাস্টার্স করা যাবে।

পয়েন্ট নাম্বার(৩)
অনার্স কমপ্লিট করে এক বছর লাগবে মাস্টার্স করতে।আর ডিগ্রী কমপ্লিট করে মাস্টার্স করতে দুই বছর লাগবে।

পয়েন্ট নাম্বার (৪)
সরকারি স্নাতক পাশে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরকে উপবৃদ্ধি দেওয়া হচ্ছে।বছরে ৪৯০০ টাকা করে উপবৃত্তি দেওয়া হয়।তিন বছরে মোট ১৪৭০০ টাকা পাওয়া যায়।অনার্সে কিন্তু উপবৃত্তি দেওয়া হয় না।

পয়েন্ট নাম্বার (৫)
বর্তমানে যারা ডিগ্রিতে ভর্তি হবে তাদের কোন সেশন জোটে পড়তে হবে না।

পয়েন্ট নাম্বার (৬)
বর্তমান ডিগ্রী সিলেবাস অনার্সের ক্যাটাগরিতে।ইনকোর্স পরীক্ষা ২০ মার্ক এবং মূল পরীক্ষা ৮০ মার্কেট হয়।

পয়েন্ট নম্বর (৭)
২০১৪ থেকে ডিগ্রিতে প্রতি বছর সাতটি সাবজেক্ট পড়ানো হচ্ছে।তাহলে তিন বছরে মোট ২১ টি সাবজেক্ট পড়তে হবে।

পয়েন্ট নাম্বার (৮)
সিজিপি এবং ক্রেডিট সিস্টেম চালু হওয়ায় আগের থেকে ডিগ্রি পাসের কোর্সের গ্রহণযোগ্যতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পরিশেষে বলতে চাই ভালো রেজাল্ট করলে সব জায়গাতেই কদর পাওয়া যায়।আর মনে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে।নিয়মিত পড়াশোনা এবং কঠিন অধ্যাবসায় আপনাকে সফলতার রাস্তায় নিয়ে যাবে।ডিগ্রী সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন।

ডিগ্রীতে কি কি সাবজেক্ট থাকে

প্রিয় শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা,তোমরা যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রীতে ভর্তি হতে চাচ্ছ তবে তোমরা অনেকেই জানতে চাচ্ছযে ডিগ্রী পাস কর্সে কি কি সাবজেক্ট রয়েছে।এবং কোন বিভাগ অনুযায়ী কোন সাবজেক্টগুলো তোমরা নিতে পারবে,সে বিষয়ে তোমরা অনেকেই জানতে চেয়েছ,আজকের এই কনটেন্টের মধ্যে আমি তোমাদেরকে সেটি জানাবার চেষ্টা করব।চলো শুরু করা যাক।

সাধারণত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে ডিগ্রী পাস করছে এককভাবে কোন সাবজেক্ট থাকে না।এখানে এক একটি কোর্স রয়েছে।এখানে উল্লেখযোগ্য যে কয়টি কোর্স রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো,BA,BSS,BSC,BBS এই চারটি কোড জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারে যতগুলো কলেজ রয়েছে সকল কলেজের কমবেশি রয়েছে।

এছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন কিছু সাবজেক্ট রয়েছে,সেগুলো হচ্ছে বি বিউজিক পাস,এবং বি স্পোর্টস পাস।সাধারণত এই দুটি কোর্স তোমরা সকল কলেজের পাবে না।এখানে উল্লেখযোগ্য কিছু কিছু কলেজ রয়েছে সেই কলেজগুলোতে এই দুটি কোর্স চালু রয়েছে।এখানে যে কোর্সগুলো রয়েছে এর মধ্য থেকে

BA=ব্যাচেলারস অফ আর্স।
BSS=ব্যাচেলর অফ সোশ্যাল সাইন্স।
BSC=ব্যাচেলার অফ সাইন্স।
BBS=ব্যাচেলর অফ বিজনেস স্টাডিজ।

এই চারটি কোর্স কম বেশি সকল কলেজেই থাকে।
কোন কর্সে কোন কোন সাবজেক্ট বা কোন কোন বিষয়ে রয়েছে এগুলো একটু জেনে আসি।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী পাস কর্সে ভর্তি হতে চাও তাহলে তোমাদেরকে এই চারটি কোর্সের মধ্যে যেকোনো একটি কোর্স নিতে হবে।

তোমরা যারা বিএ পাস কোর্স নেবে তাদের জন্য আবশ্যক তিনটি বিষয় রয়েছে।এরমধ্যে বাংলাদেশ অভন্ত্রীক ইতিহাস,বাংলা জাতীয় ভাষা এবং ইংরেজি।নৈবিত্তিক বিষয় হিসেবে থাকছে,
(ক)বাংলা,ইংরেজি, সংস্কৃতি, আরবি,পলি,ড্রামা এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ।

(খ)ইতিহাস,ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি।
(গ)গার্হস্থ অর্থনীতি,দর্শন,ভূগোল ও পরিবেশ,গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান।
(ঘ)অর্থনীতি,রাষ্ট্রবিজ্ঞান,সমাজ বিজ্ঞান,সমাজকর্ম।
(ঙ)মনোবিজ্ঞান,ইসলাম শিক্ষা,গণিত,পরিসংখ্যান।

এখানে এই পাঁচটি বিষয়ের মধ্য থেকে একটি করে তিনটি সাবজেক্ট নির্বাচন করতে হবে।যদি তুমি বিএ পাশ কর্সে ভর্তি হতে চাও।

যারা বিএসএস পাস করছে ভর্তি হতে চাও তাদের জন্য আবশ্যিক বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের অভন্ত্রীক ইতিহাস বাংলা জাতীয় ভাষা এবং ইংরেজি।নৈব্যক্তিক বিষয়সমূহ 

(ক)অর্থনীতি রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞান সমাজকর্ম 
(খ)মনোবিজ্ঞান,ভূগোল ও পরিবেশ,ইতিহাস,ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি,আরবি,পলি,ড্রামা এন্ড মিডিয়া স্টাডিস।ক থেকে দুইটি এবং খ থেকে একটি মোট তিনটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে।

যারা বিবিএস কোর্স নিয়ে ভর্তি হতে চাও তাদের জন্য আবশ্যিক বিষয় রয়েছে বাংলাদেশের অভন্ত্রীক ইতিহাস বাংলা জাতীয় ভাষা এবং ইংরেজি।এবং নৈবিত্তিক বিষয় হিসেবে থাকছে,
(ক) হিসাববিজ্ঞান এবং ব্যবস্থাপনা 
(খ) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং মার্কেটিং অর্থনীতি পরিসংখ্যান এবং কম্পিউটার সাইন্স।

ক থেকে দুইটি এবং খ থেকে একটি মোট তিনটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে।

এবং যারা বিএসসি পাস কর্সে নিবে তাদের জন্য আবশ্যিক বিষয় হচ্ছে,বাংলাদেশ অভন্ত্রীক ইতিহাস,বাংলা জাতীয় ভাষা,এবং ইংরেজি।এবং নৈবেতিক বিষয় হিসেবে থাকছে,
(ক)পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিত।
(খ)রসায়ন,কম্পিউটার সাইন্স,ভূগোল ও পরিবেশ, মনোবিজ্ঞান,মৃত্তিকা বিজ্ঞান,পরিসংখ্যান,গার্হস্থ্য অর্থনীতি প্রাণ রাসায়ন,প্রাণিবিজ্ঞান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান।

(গ)উদ্ভিদবিজ্ঞান এবং প্রাণিবিজ্ঞান,বেসিক হোম ইকনোমিক এবং অ্যাপ্লাইড হোম ইকোনমিক্স।
(ঘ)রসায়ন,ভূগোল ও পরিবেশ,কম্পিউটার সাইন্স, মনোবিজ্ঞান,পরিসংখ্যান,মৃত্তিকা বিজ্ঞান,প্রাণরসায়ন, গার্হস্থ্য অর্থনীতি,গণিত,পদার্থবিজ্ঞান,জেনারেল সাইন্স ফুড এন্ড নিউট্রিশন।এখান থেকে ক থেকে দুইটি,খ থেকে একটি সাবজেক্ট এবং গ থেকে দুইটি সাবজেক্ট বেছে নিতে হবে।

অনার্স এবং ডিগ্রীর মধ্যে পার্থক্য কি

প্রিয় শিক্ষার্থী ভাই ও বোন আজকের এই কনটেন্টে আমরা জানবো অনার্স এবং ডিগ্রির মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অনার্স এবং ডিগ্রির মধ্যে কি কি পার্থক্য রয়েছে।
(১)অনার্স হচ্ছে স্নাতক (সম্মান)।আর ডিগ্রি হচ্ছে শুধু স্নাতক।

(২)অনার্স হতে চার বছর মেয়াদী একটি কোর্স এবং ডিগ্রি হচ্ছে তিন বছর মেয়াদী একটি কোর্স।
(৩)অনার্সে মূলত যেকোনো একটি বিষয়ের ওপর খুঁটিনাটি পড়ানো হয়ে থাকে।কিন্তু ডিগ্রিতে আলাদাভাবে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে পড়ানো হয়।
(৪)অনার্স করার পর মাস্টার্স করতে এক বছর সময় লাগে।কিন্তু ডিগ্রী করার পর মাস্টার্স করতে দুই বছর সময় লাগে।

(৫)চাকরি ক্ষেত্রে অনার্স সম্পূর্ণ কারীদের সরকারি অনেক ব্যাংক বা কোম্পানি চাকরিতে নিয়োগ দিয়ে থাকে।কিন্তু ডিগ্রী সম্পূর্ণ কারীদের মাস্টার সম্পূর্ণ না করলে খুব একটা নিয়োগ দেওয়া হয় না।
(৬)অনার্স শেষ করে সরাসরি বিসিএস দেওয়া যায়।কিন্তু ডিগ্রি করে মাস্টার্স না করলে বিসিএস দেওয়া যায় না।

(৭)অনার্স এবং ডিগ্রি করে মাস্টার্স করলে উভয়ের মান এবং অগ্রধিকার সমান হয়ে যায়।
(৮)যাদের এসএসসি এবং এইচএসসি তে জিপিএ ২.৫ এর নিচে তারা সাধারণত অনার্স পড়তে পারে না।তাদের ডিগ্রি অথবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে হয়।

লেখকের মন্তব্য

আজকের এই কনটেন্টটি শুধুমাত্র শিক্ষার্থী ভাই ও বোনদের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।আপনারা যারা এইচএসসি পাস করার পর কনফিউশনে থাকেন ডিগ্রি করবো না অনার্স করব এই কনফিউশন দূর করার জন্য আজকের এই কনটেন্ট তৈরি করা।তাই আশা করব আজকের এই কনটেন্ট থেকে আপনারা অবকৃত হবেন।

আজকের এই কনটেন্ট থেকে যদি কোন শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে তাদের এই কনফিউশন থাকলে দূর হয়ে যায়।এবং এরকম রিলেটেড কনটেন্ট পেতে কমেন্টে জানান ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url