ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন কতটুকু দূরত্বে রাখা উচি

প্রিয় পাঠক,রাতে মোবাইল ফোন নিয়ে ঘুমানো কতটা বিপদজনক।এ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।রাতে মোবাইল ফোন কাছে নিয়ে ঘুমালে কতটা ক্ষতি হতে পারে এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।
ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন কতটুকু দূরত্বে রাখা উচি
এবং ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন কতটুক দূরত্বে রাখা উচিত এ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।তাই এ সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।আশা করি যদি এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়েন অবশ্যই মোবাইল কতটুকু দূরত্বে রাখা উচিত এ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ভূমিকা

বেশিরভাগ মানুষের ও নিদ্রা বা ঘুম না হওয়াটা এক বিরাট সমস্যা।এর যেমন দৈনন্দ জীবনে প্রভাব রয়েছে তেমনি মানসিক সমস্যার মূল কারণ এই অনিদ্রা।তবে অনিত্যাদি সমস্যা কে জয় করা সহজ বললে ভুল হবে বর্তমানের এই প্রযুক্তির যুগে।আশেপাশের সবখানেই দিনে দিনে আমরা দেখছি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন কোন না কোন আবিষ্কার।

এত কিছুর মাঝেও আমাদের সাথে সবসময় একটি জিনিস থাকে তা হচ্ছে মোবাইল ফোন।বর্তমান পৃথিবীর উন্নতির পিছনে মোবাইল ফোনের অবদান অপরিসীম।মোবাইল ফোনের শিশুদের যে ভয়ঙ্কর রোগ হতে পারে।জেনে নিন তার প্রতিকার।আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে প্রযুক্তি গুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মোবাইল ফোন।

এটি যেমন দরকারি তেমনি এর প্রতি আসক্তি আপনার সন্তানকে নানা বিপদে ফেলতে পারে।রাতে ঘুমানোর সময় নিজের মোবাইল ফোনটা বালিশের নিচে কিম্বা পাশে রেখে দেওয়ার অভ্যাস আছে প্রায় সবারই।কিন্তু এখানে যে আপনার জন্য নীরব ঘাতক লুকিয়ে আছে তা হয়তো আপনি বুঝতেই পারছেন না।এটা এমন এক ঘাতক আপনার শারীরিক এবং মানসিক দুই ক্ষতি করছে।মাথার পাশে মোবাইল রেখে ঘুম তাহলে মহাবিপদ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
  • রাতে মোবাইল পাশে নিয়ে ঘুমালে হতে পারে ভয়ঙ্কর ক্ষতি
  • স্মার্ট ফোনের ব্যবহারে নানা সমস্যায় শিশুরা
  • মোবাইল সাথে রেখে ঘুমানো কতটা বিপদজনক
  • ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন কতটুকু দূরত্বে রাখা উচিত
  • মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক

রাতে মোবাইল পাশে নিয়ে ঘুমালে হতে পারে ভয়ঙ্কর ক্ষতি

বেশিরভাগ মানুষের ও নিদ্রা বা ঘুম না হওয়াটা এক বিরাট সমস্যা।এর যেমন দৈনন্দ জীবনে প্রভাব রয়েছে তেমনি মানসিক সমস্যার মূল কারণ এই অনিদ্রা।তবে অনিত্যাদি সমস্যা কে জয় করা সহজ বললে ভুল হবে বর্তমানের এই প্রযুক্তির যুগে।আশেপাশের সবখানেই দিনে দিনে আমরা দেখছি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন কোন না কোন আবিষ্কার।

এত কিছুর মাঝেও আমাদের সাথে সবসময় একটি জিনিস থাকে তা হচ্ছে মোবাইল ফোন।বর্তমান পৃথিবীর উন্নতির পিছনে মোবাইল ফোনের অবদান অপরিসীম।তবে এর আবিষ্কার যে কারণে হয়েছে সেটি বাদ দিয়ে অতিরিক্ত ব্যবহার হতে পারে ভয়ানক।মোবাইল ফোনের ভয়ানক দেখতে তুলে ধরব আপনাদের সামনে তুলে ধরব আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে।

আপনি যদি অনিদ্রতার কটাতে চান তাহলে বিছানার বালিশের পাশে যদি মোবাইল ফোন থাকে তবে সেটি অবশ্যই একটি বিরাট বাধা।সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।তবে বর্তমানে অনিদ্রার অন্যতম ভয়ানক কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মোবাইল ফোনের মত ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস।তাছাড়া মোবাইলের রেডিওনেশান শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি রেডিয়েশন সহ মোবাইল যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।রেডিয়েশন ব্রেন টিউমারের মত বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগের কারণ হতে পারে।আপনার হাতের পাশে যদি একটু মোবাইল ফোন থাকে তবে আপনি আর একা নন।এক সমীকরণে দেখা গেছে আমেরিকার ৬৩% লোক এমনভাবে ঘুমান।তবে আমাদের বিষয়টি একটু যাচাই করা উচিত।

গত বছরে প্রকাশিত কম্পিউটার ইন হিউম্যান বিহাবের অনুসারে যারা তাতে নিজস্ব মোবাইল ফোন কাছাকাছি না রেখে দুরে অথবা অন্য কোন কক্ষে রেখে ঘুমান তুলনামূলকভাবে তাদের নিদ্রা বেশি উপভোগ্য হয়।স্মার্টফোন মানুষের উপর কিভাবে মানসিক প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে আরো প্রচুর লেখালেখি পরীক্ষা গবেষণা করা হয়েছে।

স্মার্ট ফোন ব্যবহারের সব থেকে বেশি আসক্ত হচ্ছে কিশোর বা কিশোরীলাম।এতে তাদের জীবনে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।তাহলে ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোনে বদলে কি রাখা যায় হাতের কাছে।এক্ষেত্রে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার দারুন একটি সুযোগ রয়েছে।কোথায় আছে বই মানুষের পরম বন্ধু।

বই পড়ে আপনি যখন একাকীত্ব কাটাতে পারবেন তেমনি মোবাইল স্ক্রিনের উপর থেকে চোখ সরিয়ে রাখা হবে।তাছাড়া প্রতিটি বই আপনাকে দিতে পারে ভিন্ন ভিন্ন জ্ঞান।কিছু পরে ঘুমানোর অভ্যাস এই কারণে ভালো যে সুন্দর নিদ্রা শেষে আপনি যে বিষয়টি বই পড়ে জানতে পারবেন সেটি আপনার মস্তিষ্ক ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারবে।

স্মার্ট ফোনের ব্যবহারে নানা সমস্যায় শিশুরা

মোবাইল ফোনের শিশুদের যে ভয়ঙ্কর রোগ হতে পারে।জেনে নিন তার প্রতিকার।আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে প্রযুক্তি গুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মোবাইল ফোন।এটি যেমন দরকারি তেমনি এর প্রতি আসক্তি আপনার সন্তানকে নানা বিপদে ফেলতে পারে।একটি গবেষণায় দেখা গেছে মোবাইল ফোন মস্তিষ্কের কার্যকলাপের উপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলে।

শুধু তাই নয় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধা গ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি রয়েছে ক্যান্সারের ঝুকি।দা জার্নাল অফ দি আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণায় দেখা যায় মোবাইল ফোনের বা ট্যাবের প্রশ্নের বিকিরণ প্রভাবে শিশুর মস্তিষ্ক ও কানের মধ্যে ননম্যালিগন্যান্ট টিউমার তৈরি করতে পারে।পাশাপাশি শিশুর অন্যান্য আচরণগত সমস্যা তৈরি করতে পারে।

এছাড়া মোবাইল ফোনের ব্যবহারে শিশুরা অসংগত আচরণের লিপ্ত হতে পারে।সাধারণত যে কোন শিশুদের মাথা মোবাইলের নেশা ঢুকে গেলে তার দূর করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।তাই মোবাইলের এই ভয়ঙ্কর আসক্তি থেকে আপনাদের বাচ্চাদের ধরে রাখতে একটি গবেষণায় চমৎকার কিছু পদ্ধতি উঠে এসেছে।আসুন সেগুলো জেনে নি।

গবেষণায় দেখা গেছে মোবাইল ফোনের ব্যবহার করার সময় কমিয়ে দিলে বাচ্চার মোবাইল নেশা থেকে মুক্তি পেতে পারে।বাচ্চারা অন্য কাজ করেলে মোবাইলের ওপর আসক্ত হওয়া নেশা কমে যাবে।এবং এভাবে আস্তে আস্তে মোবাইলে গেম খেলার অভ্যাসও কমে যাবে।বাচ্চাদের মধ্যে বই পড়া নেশাকে রপ্ত করা।দেখবেন নিজেই মোবাইল থেকে দূরে থাকছে।শিশুদের আশেপাশে ফোন ব্যবহার সীমিত।রাতে শোবার সময় বাচ্চাদের বেডরুমে মোবাইল ফোন ছাড়বেন না।

মোবাইল ফোন সরাসরি আপনার সন্তানের মাথায় পাসফুতের মধ্যে রাখবেন না।প্রয়োজনে একটি ওয়ারলেস হেডফোন ব্যবহার করুন।সর্বোপরি মনে রাখতে হবে বাচ্চারা কিন্তু বড়দের থেকেই শিখে।তাই আমাদের আগে সতর্ক থাকতে হবে।উল্লেখিত কয়টি পদ্ধতি মেনে চললে খুব সহজেই আমরা বাচ্চাদের মোবাইলে নেশা থেকে মুক্তি করতে পারি।

মোবাইল সাথে রেখে ঘুমানো কতটা বিপদজনক

রাতে ঘুমানোর সময় নিজের মোবাইল ফোনটা বালিশের নিচে কিম্বা পাশে রেখে দেওয়ার অভ্যাস আছে প্রায় সবারই।কিন্তু এখানে যে আপনার জন্য নীরব ঘাতক লুকিয়ে আছে তা হয়তো আপনি বুঝতেই পারছেন না।এটা এমন এক ঘাতক আপনার শারীরিক এবং মানসিক দুই ক্ষতি করছে।মাথার পাশে মোবাইল রেখে ঘুম তাহলে মহাবিপদ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন মাথার কাছে থাকলে তা মানুষের মস্তিষ্কের উপর প্রভাব ফেলে।মোবাইলের রেডিয়সনে ব্রেন টিউমার তো বটেই,হতে পারে ব্রেন ক্যান্সার।এ নিয়ে সতর্কবার্তা শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।মোবাইল থেকে বের হয় এক ধরনের ইলেকট্রো ম্যাগনেটীক রেডিয়েশন।এই রেডিয়েশন অতিমাত্রায় শরিলে প্রবেশ করলে মাথায় টিউমার হওয়ার ও সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।

বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা অনেক গুণ বেশি।কারণ তাদের মাথার খুলির বাইরের অংশ বড়দের তুলনায় পাতলা হয়।ফলে রেডিয়েশনের প্রভাব তাদের মাথায় বেশি পড়ে।এছাড়াও ঘুমকে গভীর করার জন্য শরীর থেকে মেলাটোনির নামে এক প্রকার হরমোন বেরোয়।মোবাইল ট্যাবলেট টিভি বা এলইডি স্ক্রিন লাগানো কোন গেজেট থেকে যে রেডিয়েশন বের হয় তা ঐ ম্যালাটোরিন হরমোন নিঃসরণে বাধা দেয়।

ফলে ঘুমের বারোটা বাজিয়ে যাই।মোবাইল ফোন থেকে বের হওয়ার রেডিয়েশন আপনার মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে।আপনি প্রচন্ড মাথা ব্যাথা মাংসপেশি ব্যাথা কিংবা অন্য কোন শারীরিক সমস্যা অনুভব করতে পারেন।মোবাইল থেকে বের হওয়ার ৯০০ মেগাহার্জিন পরিমাণ রেডিয়েশন শরীরের কার্যকারিতা নষ্ট করার সংকেত প্রদান করে।

ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিচার্স অন ক্যান্সার মোবাইল ফোনকে ক্যান্সারের সম্পর্ক কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।২০ বছর কম বয়সীদের মধ্যে যারা অতিমাত্রায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাদের ক্যান্সারের সম্ভাবনা পাঁচ শতাংশ বেড়ে যায়।তাদের দাবি দাবি থার্ড জেনারেশন অর্থাৎ 3g ফোনে উচ্চমাত্রা ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়।

যার শরীরের পক্ষে ২জি ফোনে থেকে আর অনেক বেশি ক্ষতিকর।ব্রেন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।আজকের এই আর্টিকেল পড়ে যদি আপনি মনে করেন আপনি প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোন পাশে রেখে ঘুমাচ্ছেন তাহলে এ অভ্যাস আজ থেকে ছেড়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করুন।ধন্যবাদ আপনাকে।

ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন কতটুকু দূরত্বে রাখা উচিত

আচ্ছা একবার খেয়াল করুন তো।কবে শেষবার আপনি ফোনটি সুইচ অফ করেছিলেন।কবে ২ সেকেন্ডের জন্য হলেও ফোনটা আপনার সঙ্গে ছিল না।কি মনে করতে পারছেন না তো।মনে না পারারী কথা।কারণ বর্তমান সিংহভাগ তরুণের একই অবস্থা।তারা এক মুহূর্ত ফোনকে কাজ ছাড়া করতে চান না।কাজ থাকুক বা না থাকুক ফোনের স্ক্রিনে খুট খুট চলতেই থাকে।

কিন্তু একাধিক গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে মোবাইল প্রতি আসক্তি আমাদের ধীরে ধীরে শেষ করে দিচ্ছে।এমনকি বাড়ছে ক্যান্সারের মতো রোগের প্রকল্প।বিশেষত যারা মাথার কাছে ফোন রেখে ঘুমাতে যান।তাদের আয়ু চোখে পড়ার মত কম।এর পিছনে মূল কারণ হচ্ছে রেডিয়েশন।একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মোবাইল ফোন থেকে উৎপন্ন রেডিয়েশনের কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে।

ফলে দিনের পর দিন ঘুমের কোটা পূর্ন না হওয়ার কারণে হার্ট অ্যাটাক হাই ব্লাড প্রেসার স্টোক এবং ডায়াবেটিস এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে।মাথার কাছে ফোন রেখে শুলে শরীরের রেডিয়েশন এর প্রভাবে প্রাণ-কোষদের বিকাশে বাধার সৃষ্টি হয়।ফলে নানাবিদ ক্যান্সারের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মক বৃদ্ধি পায়।

শরীরের কাছাকাছি মোবাইল ফোন রাখলে স্পাম কাম চোখে পড়ার মতো কমে যায়।ফলে বাচ্চা হওয়ার ক্ষেত্রে নানাবিদ সমস্যার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।মোবাইলের এলার্ম ব্যবহার বন্ধ করুন।এ কথাই ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে যে,মোবাইলে এলার্ম সেট করা পর থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা তা অফ করছি তখন থেকে রেডিও ট্রান্সমিশন হতে থাকে।

সহজ কথায় মোবাইলের শরীর থেকে অদৃশ্য তরঙ্গ বের হতে থাকে।যার ফলে শরীর এবং মস্তিষ্কে মারাত্মক ক্ষতি হয়।এবার ভাবুন তো ফোনটা মাথার কাছে রেখে ঘুমালে কি হতে পারে।তাহলে ঘুমানোর সময় ফোনটা কোথায় রাখা উচিত।

দুটো কাজ করতে পারেন।ফোনটা বন্ধ করে ডাইনিং টেবিলে রেখে দেবে নিশ্চিন্তে নিদ্রায় যেতে পারেন।ফোন বন্ধ করতে হবে।আর যদি একান্তই ফোনটা বন্ধ করতে না চান,তাহলে ফোনটা অন রেখে দূরে কোথাও রেখে দেন।গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন,ঘুমানোর সময় শরীর থেকে ফোনটা কম করে তিন ফুট দূরত্বে রাখা যায় তাহলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম থাকে।

মোবাইল ফোনের ক্ষতি করার প্রভাব থেকে বাঁচার আরো কিছু উপায় হল।এক্ষেত্রে যে যে বিষয়টা মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন তাহলে।ফোনে কথা বলা কমান।দীর্ঘ ফোন কল এড়ানোর চেষ্টা করুন।যদি একান্তই এই কাজটা করা সম্ভব না হয় তাহলে কয়েক মিনিট পরপর একখান থেকে অন্যখানে ফোন ট্রান্সফার করুন।একবারে এক কানে দিয়ে ফোনে কথা বলবেন না।সম্ভব হলে ফোনে কথা বলার সময় হেডফোন ব্যবহার করুন।এমনটা করলে মোবাইলের রেডিয়েশনের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক

মোবাইল ফোন থেকে যে তরঙ্গ বিকিরণ হয় সেটা আমাদের সবারই জানা।তাই বর্তমান বিশ্বে মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতার সাথে পাল্লা দিয়ে রেডিয়েশন নিয়েও দুশ্চিন্তা বাড়ছে।অনেকেই বলে থাকেন বেশি সময় ফোনে কানে নিয়ে কথা বললে মস্তিষ্কে ক্যান্সার হতে পারে।কিংবা পকেটে মোবাইল ফোন রাখলে রেডিয়েশন থেকে শারীরিক খোঁজে সাধন হতে পারে।

এমন কোন গবেষণা কি আছে যা দ্বারা প্রমাণ হয় মোবাইল ফোনের রেডিশন থেকে মানুষের ক্যান্সার হতে পারে।সেই বিস্তারিত জানাবো আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে।আমরা কেনই বা মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন নিয়ে এতটা দুশ্চিন্তায় আছি।এর কারণ হচ্ছে রেডিয়েশন শব্দটার মাঝে আমরা এক ধরনের ভয় পাই। যে অদৃশ্য শক্তির নিশ্চয় অনেক ক্ষমতা।

বিশেষ করে জাপানের হিরোশিমা আর নাগাসাকিদের যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পারমাণবিক হামলায় রেডিয়েশনে মানুষের ক্ষতির কথা জানার পয় থেকে রেডিয়েশন শব্দটি আমাদের কাছে একটা নেতিবাচক অর্থ দাঁড় করাচ্ছেন।তাহলে মোবাইল ফোনের তরঙ্গ থেকে মানুষকে কি ক্যান্সার হতে পারে।সত্যি কথা বলতে গত কয়েক বছর ধরে বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর পেতে চেষ্টা করছেন।

তবে এ সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি।আমেরিকান সরকারের একটি গবেষণায় কতগুলো ইঁদুরের উপর খুবই উচ্চমজ্জার সেলফোন রেডিয়েশন প্রয়োগ করা হলে দেখা যায় যে কিছু পুরুষ ইঁদুরের হৃদপিন্ডে এক ধরনের টিউমার সৃষ্টি হয়েছে।কিছু পুরুষ ইঁদুরের ব্রেনেও টিউমার ধরা পড়ে।অবশ্যই স্ত্রী জাতীয় ইঁদুরের এই সমস্যা দেখা যায়নি।

সেল ফোন গুলো অবশ্যই পরিবেশের রেডিয়েশন হচ্ছে।কিন্তু তার মানে এই না যে একটা পারমাণবিক বোমা থেকে বাই এক্সরে মেশিন থেকে প্রাপ্ত রেডিয়েশন এর মত শক্তিশালী।মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন কি ক্ষতিকর।রেডিয়েশন বিভিন্ন রকমের হতে পারে।সেল ফোনের রেডিএসান হচ্ছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশন।মানুষের দেহ কোষ কে ক্ষতিগ্রস্ত করে টিউমার সৃষ্টি করার মত যথেষ্ট শক্তিশালী নয়।

এগুলোকে বলেন নন আয়োনাইজিং radiation।ডিএনএর রাসায়নিক বন্ধন ভেঙে ক্যান্সার তৈরি করতে সক্ষম নয়।এ ধরনের আরো কিছু নন আয়োনাইজিং রেডিয়েশন হচ্ছে এফ এম রেডিও তরঙ্গ মাইক্রোওয়েভ এবং দৃশ্যমান্য আলো।অনেক বেশি মাত্রায় মোবাইলের ফোনের তরঙ্গ যদি মানবদেহে সংস্পর্শ আসে তাহলে এটি শরীরের কোষের উষ্ণতা বাড়িয়ে দিতে পারে।

তবে মোবাইল ফোন থেকে বিকৃত তরঙ্গের শক্তি এতটাই কম যে একটা মানুষের কোষের উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট না।অবশ্যই সবকিছুর পরেও সেলফোনের রেডিয়েশন ক্ষতিকর মনে করার জন্য অনেক তথ্য উপাত্ত হয়তো আপনি পাবেন।যেহেতু বিজ্ঞানীরাও এখনো সম্পূর্ণ পরিষ্কার নন বিষয়টি নিয়ে।শত শত গবেষণা হয়েছে কিন্তু কেউ সরাসরি কেউ সেলফোন রেডিয়েশন কে মানুষের জন্য ক্যান্সার এর কারণ বলে একশতভাগ প্রমাণ করতে পারেননি।

তবে বিজ্ঞানীরা বরাবরই এই ঝকির ব্যাপারে ইঙ্গিত প্রশন করেছেন।এখন ফোরজি এবং 5জির যোগ।তাই সময়ের সাথে মোবাইল ফোনের বিকিরণ মানবদেহের কেমন প্রভাব ফেলে সে ব্যাপারে উপসংহার টানার এখনো সময় হয়নি।তবে যেহেতু বিজ্ঞানীরা আগাম সতর্কবার্তা হিসেবে মোবাইল ফোনের তরঙ্গ থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাই আমাদের অবশ্যই যতটা সম্ভব মোবাইল ফোনে ব্যবহার কমানো উচিত।

লেখকের মন্তব্য।

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে মোবাইল ফোন ব্যবহারের কিছু ক্ষতি করে এবং অপকারী দিক সম্পর্কে জানতে পারলাম।ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন কতটুকু দূরে রাখা উচিত এ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে জানতে পারলাম।তাই আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url