রোজার নিয়ত করা কি ফরজ
প্রিয় পাঠক,রোজা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।রোজা রাখার ফজিলত এবং তার অপকারিতা সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুযু করার পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।
আজকের এই আর্টিকেলে রোজার ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।আপনারা যারা রোজা রাখেন কিন্তু নিয়ত সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না,নিয়ত ছাড়া কিন্তু রোজা হবে না।তাই রোজার নিয়ত করা কি ফরজ এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।তাই এ সম্পর্কে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
প্রিয় ভাই ও বোনেরা আমাদের সামনে পবিত্র মাহে রমজান।রমজানুল মোবারক রহমত বরকত ক্ষমা এবং আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাস।এ মাস আত্ম সংযম তাক অর্জন এবং ইবাদতের মাস।প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি নারী ও পুরুষের উপর রমজানের রোজা রাখা ফরজ।
আরো পরুনঃ২০২৪ সালের সেহরি ও ইফতারে সময়সূচী
তাই আমরা সকলেই রমজানুল মোবারকের রোজা রাখা এবং এবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে এরকম বরকত পূর্ণ মাসের ফজিলত অর্জন করতে চাই।তাহলে চলুন কোরআন ও হাদিসের আলোকে রমজানুল মোবারকের গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- রোজার নিয়ত কিভাবে করবেন?
- বিজ্ঞানের আলোকে রোজার উপকারিতা
- রোজা রাখার ফজিলত ও তার উপকারিতা
- রোজার নিয়ত করা কি ফরজ
- রোজা রাখলে শরীরের যে উপকার হয়
রোজার নিয়ত কিভাবে করবেন?
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।আজকের এই ব্লগ পোস্টে রোজার নিয়ত কিভাবে করবেন এ সম্পর্কে আজকের ব্লগ পোস্টে আলোচনা করা হবে।অর্থাৎ রোজার নিয়ত কিভাবে করতে হয় এ সম্পর্কে জানতে পারবেন আজকের এই ব্লক পোস্টটি পড়লে।তাহলে চলুন জেনে নে যা কিভাবে রোজার নিয়ত করতে হয় এ সম্পর্কে।
(১)রমজানে রোজার জন্য নিয়ত করা ফরজ।নিয়ত ব্যতীত পানাহার ও যৌনতৃপ্তি থেকে বিরত থাকলেও রোজা হবে না।
(২)মুখে নিয়ত করা জরুরি নয়।অন্তরে নিয়ত করলে যথেষ্ট হবে।তবে মুখে নিয়ত করা উত্তম এই অর্থ যে,মনের খটকা দূর হয়।
(৩)মুখে নিয়ত করলেও আরবীতে হওয়া জরুরি নয়।যেকোনো ভাষাতেই নিয়ত করা যায়।
(৪)বাংলাতে এভাবে নিয়ত করা,আমি আজ বা কাল রোজা রাখার নিয়ত করলাম।
(৫)সূর্য ডলার দেড় ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত রমজানের রোজার নিয়ত করা দুরস্ত আছে,তবে রাতে নিয়ত করে নেওয়া উত্তম।
(৬)রমজান মাসে অন্য যেকোনো প্রকার রোজা বা কাজা রোজার নিয়ত করলেও এই রমজানের রোজা আদায় হবে।অন্য যে রোজার নিয়ত করবে সেটা আদায় হবে।
(৭) রাতে নিয়ত করার পরও সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত পানাহার ও যৌন কর্ম জায়েজ।অর্থাৎ নিয়ত করার সঙ্গে সঙ্গে রোজা শুরু হয়ে যায় না বরং রোজা শুরু হয় সুবহে সাদিক থেকে।
বিজ্ঞানের আলোকে রোজার উপকারিতা
মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন।সাবেকভাবে তিনি আমাদের শরীরের গোপন কার্যক্রম সম্পর্কে ভালো জানেন।তাই আমাদের কল্যাণের জন্যই তিনি আমাদের ওপর রোজা রাখা ফরজ করেছেন।আর মেডিকেল সাইন্সে রোজা রাখাকে বলা হয় অটোফেজি।রমজান আসলেই এই অটোফেজি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
অটোফেজ এর বাংলা অর্থ হচ্ছে আত্ম ভক্ষণ বা নিজে নিজেকে খেয়ে ফেলা।এটা শুনতে ভয়ানক হলেও এটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।কেননা এটা শরীরে অভ্যন্তরে অঙ্গ সমূহকে পরিষ্কার করার একটি প্রক্রিয়া।একবার কি ভেবে দেখেছেন আপনি আপনার বাহিরে অঙ্গসমূহকে পরিষ্কার করার জন্য কতই নাকি করে থাকেন।কিন্তু আপনার ভেতরের অঙ্গসমূহকে পরিষ্কার করার জন্য কি করেছেন।
যেমনি আপনার শরীরের ময়লা পরিষ্কার করা জরুরী,তার থেকেও বেশি জরুরি হচ্ছে আপনার ভেতরের ময়লা বা ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার করা।কিন্তু এখন প্রশ্ন ভিতরের অঙ্গসমূহ কি করে পরিষ্কার করবেন।শরীরের ভিতরে অঙ্গসমূহ পরিষ্কার করা অন্য হয় রোজা রাখার মাধ্যমে বা অটোফেজির মাধ্যমে।চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোজার উপকারিতা।
রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে কি বলা হয়েছে তা আমরা সবাই কম বেশি জানি।আজ জানবো চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোজা সম্পর্কে কি বলা হয়েছে।রোজা ফার্সি শব্দ।আরবিতে একে বলা হয় সাওমন বা সিয়াম।মুসলমানরা রোজা রাখে তাকে বলা হয় সিয়াম।হিন্দু বা বৌদ্ধরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় উপবাস।খ্রিস্টানরা রোজা রাখলে তাকে বলা হয় ফাস্টিং।
আরো পরুনঃরোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া
আর মেডিকেল ভাষায় রোজা কে বলা হয় অটোফেজি।তবে প্রিয় দর্শক মুসলমানদের রোজা রাখার সাথে ধরনের সাথে অন্য ধর্মের রোজা রাখার কিছু পার্থক্য রয়েছে।অটোফেজি গ্রিক শব্দ।অটো তো নিজে নিজে আর ফেজি অর্থ খাওয়া।অর্থাৎ অটোফেজি মানে নিজে নিজেকে খাওয়া।রোজা রাখা অবস্থায় শরীর বাহির থেকে কোন খাদ্য না পাওয়াই নিজেই নিজের অসুস্থ কোষগুলোকে খেয়ে ফেলে।
তখন মেডিকেল সায়েন্সের ভাষায় তাকে বলে অটোফেজি।আরেকটু সহজ ভাবে বুঝতে হলে বলা যায় আমাদের ঘরে যেমন ময়লা ফেলার ঝুড়ি থাকে।অথবা আমাদের কম্পিউটারে যেমন রিসাইকেল বিল থাকে তেমনি আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের মাঝেও একটি করে ঝুড়ি আছে।যাতে ৬ থেকে ১০ লক্ষ কোটি কোষ রয়েছে।
সারা বছর শরীরে কোষগুলো ব্যস্ত থাকার কারণে ময়লার ঝুড়ি পরিষ্কার করার সময় পায় না।ফলে কোষগুলোতে অনেক ময়লা আবর্জনা জমে যায়।শরীরের কোষগুলো যদি নিয়মিত ময়লা পরিষ্কার না করতে পারে তাহলে শরীরে কোষগুলো একসময় নিষ্ক্রিয় হয়ে বিভিন্ন প্রকার রোগের উৎপন্ন করে।ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসের মতো জীবন বিন্যাস করার রোগের উৎপন্ন হয় এখান থেকে।
মানুষ যখন খালি পেটে থাকে তখন শরীরে কোষ গুলো অনেকটাই বেকার হয়ে পড়ে।কিন্তু তারা তো আমাদের মত অলস হয়ে বসে থাকে না।তাই প্রতিটি কোষ তার ভেতরের ময়লা বা আবর্জনা পরিষ্কার করতে শুরু করে।কোষগুলোর নিজের আবর্জনা ফেলার জায়গা নেই বলে তাদের নিজের আবর্জনা নিজেরাই খেয়ে ফেলে।
মেডিকেলে ভাষায় এ পদ্ধতিতে বলা হয় অটোফেজি।এখন প্রশ্ন হচ্ছে যারা স্বাস্থ্যের কথা ভেবে রোজা রাখেন না তারা কিভাবে তাদের শরীরের অটোফেজি করে থাকেন।তা আসন রোজা রেখে দুনিয়া এবং আখেরাতের কামিয়াবি অর্জন করি।
রোজা রাখার ফজিলত ও তার উপকারিতা
প্রিয় ভাই ও বোনেরা আমাদের সামনে পবিত্র মাহে রমজান।রমজানুল মোবারক রহমত বরকত ক্ষমা এবং আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাস।এ মাস আত্ম সংযম তাক অর্জন এবং ইবাদতের মাস।প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি নারী ও পুরুষের উপর রমজানের রোজা রাখা ফরজ।তাই আমরা সকলেই রমজানুল মোবারকের রোজা রাখা এবং এবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে এরকম বরকত পূর্ণ মাসের ফজিলত অর্জন করতে চাই।
তাহলে চলুন কোরআন ও হাদিসের আলোকে রমজানুল মোবারকের গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।পবিত্র কোরআনুল কারীমে এবং হাদীস শরীফে এ মাসের কিছু বিশেষ ফজিলতের কথা বলা হয়েছে।
(১)রমজানুল মোবারক পবিত্র কোরআন শরীফ অবতীর্ণ হওয়ার মাস।আল্লাহ তাআলা বলেন,রমজান মাস ই হলো সেই মাস, যে মাসে কুরআন নাযিল করা হয়েছে।যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্য পথ যাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথের নির্দেশন।(সূরা বাকারা আয়াত নাম্বার ১৮৫) এ রমজান মাসে কদরের রাত্রিতে ফজরের আগে মহা গ্রন্থ আল কুরআন অবতীর্ণ হয়।আল্লাহতালা এরশাদ করেন,নিঃসন্দেহে আমি কদরের রাত্রিতে কোরআন অবতীর্ণ করেছি।
(২)রমজানুল মোবারক মাস গুনাহ মাপের মাস।রাসূলুল্লাহ সাল্লাম এরশাদ করেন।যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সোয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে তার পূর্বে সাগিরা গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
(৩)রমজানুল মোবারক রহমতের মাস। রাসূল সাঃ এরশাদ করেন,রমজান আসলে আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।আর শয়তানকে শিকল দার আটকে রাখা হয়।
(৪)রমজানুল মোবারক দান এবং ইবাদতের মাস।ঈদ মোবারক আব্বাস রাজি আল্লাহু বর্ণিত তিনি বলেন,নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ধন-সম্পদ ব্যয় করার ব্যাপারে সকল এর চেয়ে বেশি দানশীলতা ছিলেন।রমজানে জিব্রাইল আলাই সালাম যখন তার সাথে দেখা করতেন,তখন তিনি আরও অধিক দান করতেন।
রমজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতে জিব্রাইল আলাই সাল্লাম তার সাথে দেখা বা সাক্ষাৎ করতেন।নবীজি সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কোরআন শোনাতেন।জিব্রাইল আলাই সাল্লাম তার সাথে যখন সাক্ষাত করতেন তখন তিনি রহমতে প্রেরিত বায়ুর চেয়ে অধিক ধন সম্পদ দান করতেন।
রমজানের মোবারকের রোজা রাখার ফজিলত।
(১)ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের একটি হল রমজানুল মোবারকের রোজা রাখা।প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক নারী এবং পুরুষের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে।আল্লাহতালা এরশাদ করেন,হে মুমিনগণ তোমাদের জন্য রোজা ফরজ করা হলো।যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর,যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।(সূরা বাকারা আয়াত ১৮৩)
(২)রোজা রাখা এমন একটি ইবাদত যাতে রিয়া বা লোক দেখানোর কোন সুযোগ নেই।রোজা রাখর পুরস্কার স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা প্রদান করবেন।
(৩)রোজাদার ব্যক্তির জন্য জান্নাতের রাইয়ান নামক বিশেষ প্রবেশ না থাকবে।রাসূলুল্লাহ সাল্লাম এরশাদ করেন।জান্নাতের রাইয়ান নামক একটা দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন কেবলমাত্র রোজাদার ব্যক্তিরা প্রবেশ করবেন।তারা ছাড়া এই দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।তাদের প্রবেশের পরে এ দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে সব ধরনের পানাহার পাপাচার ঝগড়াবিবাদ ও অশ্লীলতা পরিহার করে রোজা এবং ইবাদত বন্দেগী করার তৌফিক দান করুন আমীন।
রোজার নিয়ত করা কি ফরজ যেনেনিন
উম্মুল মোমেনীন হযরত হাফসা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা বলেন,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি ফজরের আগেই রোজা রাখার নিয়ত করবে না তার রোজা পূর্ণাঙ্গ হবে না।তাই যদি রোজায় না হয় সারাদিন না খেয়ে থেকে কি লাভ।তাই রোজার নিয়ত করা ফরজ।রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন সেই লোকের রোজা হবে না যেই লোক আগের রাতে রোজার নিয়ত করেনি।
আরো পরুনঃবিশ্ব ইজতেমা বলতে কি বুঝায়
যেহেতু মুসলমান প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর রোজা রাখা ফরজ তেমনি নিয়ত করাটাও ফরজ।এই হাদিসকে ভিত্তি ধরে ইসলাম স্কলাররা বলেন দিনের দ্বিপ্রহরের আগে রোজার নিয়ত করা না হয়ে থাকলে সেই রোজা সহীহ হবে না।তাই প্রিয় ভিউয়ার্স আমরা আজ রোজার নিয়ত সম্পর্কে জানব।অন্তরের দৃঢ় সংকল্পকে নিয়ত বলা হয়।সেটি মুখে বলা জরুরি নয়।নিয়ত কিন্তু রোজার অন্যতম একটা শর্ত।
আর এবাদতের সাওয়াব নিয়তের উপর নির্ভরশীল।হাদিসে আছে সকল আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল।নিয়তের ক্ষেত্রে সাধারণত আমরা দুই ধরনের ভুলের শিকার হয়ে থাকি যেমন,কেউ কেউ নিয়তের শব্দগুলো শুধু মুখে উচ্চারণ করেন অন্তরের সংকল্প করেন না।আবার অনেকে নিয়তের শব্দগুলো মুখে উচ্চারণ করেন না অন্তরেও কোন সংকল্প উপস্থিত করেন না অর্থাৎ নিয়তের ব্যাপারে একেবারে উদাসীন।উপরোক্ত দুই শ্রেণীর রোজাই কিন্তু প্রশ্নবিদ্ধ।
এ সম্পর্কে আব্দুররুল মোক্তার প্রণেতার ভাষ্য হল নিয়তের ক্ষেত্রে অন্তরের সুদৃঢ় কর্ম তৎপরতা গ্রহণযোগ্য।কাজেই শুধু মুখের উচ্চারণ কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।তবে অন্তরের সংকল্প আনাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এটা কেউ যদি উদাসীনতার মধ্যে ফেলে দেয়া হয় তাহলে কিন্তু নিয়ত পরিপূর্ণ হবে না।তাই ভালো হয় মুখে অন্তত একবার উচ্চারণ করে নেওয়া।নির্ভরযোগ্য ফাকিং উদ্ধৃতি সহ কিছু মাসআলা রয়েছে,যেমন বলা হয়েছে ফরজ রোজার নিয়ত রাত বাকি থাকতেই করা উত্তম।
আল্লাহর রাসূল বলেছেন যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোজার নিয়ত করবে না তা রোজা পূর্ণাঙ্গ হবে না।নফল রোজা নির্দিষ্ট মানতের রোজা এবং রমজানের রোজা সমূহের নিয়ত রাতের বেলা অথবা শরীয়তের ঘোষিত দ্বিপ্রহর পর্যন্ত করা গেলেও সবচেয়ে ভালো হয় রোজা রাতে নিয়ত করে নাও।রমজানের প্রতিদিনই রোজার নিয়ত করতে হবে।একদিন নিয়ত করলে পুরা রমজানের জন্য নিয়ত যথেষ্ট নয়।প্রিয় দর্শক প্রতিটি রোজা একটা ভিন্ন ভিন্ন এবাদত এবং আমল।
আর প্রতিটি আমলের জন্যই নিয়ত করা জরুরী।আর এগুলোর মর্যাদা আল্লাহর কাছে অনেক বিশাল।আর রোজার প্রতিদান আল্লাহ নিজেই দেবেন।রাতের বেলায় মনে মনে রোজা রাখার ইচ্ছা নিয়ে শুয়ে পড়লে তার জন্য পুনরায় নিয়ত করার কোন প্রয়োজন নেই।অনেকেই মনে করতে পারেন সেহরি খেতে উঠেছি তো রোজা রাখার জন্যই নিয়তের আর কি প্রয়োজন।তাও ঠিক,কিন্তু মনে মনে একটি প্রতিজ্ঞা ঠিক করে নাও ভালো।যেমন আমি আগামীকাল রোজা সহিসালামতে রাখতে চাই।
রোজা রাখলে শরীরের যে উপকার হয়
রোজা রাখলে শরীরের যে সকল উপকারিতা হয় এ সম্পর্কে চলন জেনে নেওয়া যাক।রোজা রাখলে শরীরের যে সকল উপকারিতা হয়।
(১)রোজায় হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
(২)শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়ে যায়।
(৩)ওজন কমাতে সাহায্য করে।
(৪)রক্তচাপ কমায়।
(৫)রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
(৬)শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
(৭)হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়।
(৮)মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে।
(৯)ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।
(১০)বাধ্যক্য প্রক্রিয়া ধির করে।
(১১)মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে করে।
(১২)দেহের সেল পরিষ্কার করে।
(১৩)ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়।
(১৪)ক্যান্সার সেল ধ্বংস হয়।
লেখকের মন্তব্য
রোজা রাখা শরীরের জন্য যে কতটা উপকারী এ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে।এবং রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলে।তাই আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যদি কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে আপনার পরিচিত লোকজনও উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url