কালোজিরার উপকারিতা ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক,ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা কতটা ভাল এ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্ট।কালোজিরার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই কনটেন্টে আলোচনা করা হবে।আমরা অনেকেই কালাজেরা খেয়ে থাকি কিন্তু কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানিনা।
এবং কালোজিরা কি কি উপকারিতা রয়েছে তা সম্পর্কেও জানিনা।তাই আজকের এই কনটেন্টেকালের উপকারিতা ও কালেরজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।এ সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই কনটেন্টই পুরোটাই মনোযোগ সরকারে পড়তে হবে।আজকের এই কনটেন্ট যদি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়েন আশা করব আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ভূমিকা
মহা ঔষধ কালোজিরা।যার ছোট ছোট কালো দানা লুকিয়ে আছে হাজারো রোগ প্রতিরোধী গুন।পবিত্র ধর্মগ্রন্থ যাকে বলা হয়েছে মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ওষুধ।তাই আয়ুর্বেদ ইউনানী বা কবিরাজি চিকিৎসায় ব্যবহারে চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকে।কালোজিরা কি আমরা কে না চিনি।বাঙালির পাঁচফোড়ন থেকে শুরু করে সিঙ্গারা আর নানান রকম খাবারে কালোজিরা না হলে চলেই না।
এখানে ক্লিক করুনঃসকালে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা
কালোজিরা এত উপকারিতা যে বর্তমান সময়ে এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে।গবেষণায় দেখা যায় যে ফসফেট ফসফরাস আয়রন ইত্যাদি রয়েছে।শুধুমাত্র পুষ্টিগুণে নয় মসলা হিসেবেও কালোজিরার চাহিদা প্রচুর।কালোজিরা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ কমায় ওজন কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও আরও অনেক উপকারিতা আছে।যার কারণে কালোজিরা কে সর্ব রোগের ওষুধ বলা হয়।
- কালোজিরার ঔষধিগুন
- কালোজিরার অপকারিতা কি
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা কতটা ভালো
- কালোজিরার উপকারিতা ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
- কালোজিরা খেলে কি হয়
কালোজিরার ঔষধিগুন
মহা ঔষধ কালোজিরা।যার ছোট ছোট কালো দানা লুকিয়ে আছে হাজারো রোগ প্রতিরোধী গুন।পবিত্র ধর্মগ্রন্থ যাকে বলা হয়েছে মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ওষুধ।তাই আয়ুর্বেদ ইউনানী বা কবিরাজি চিকিৎসায় ব্যবহারে চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকে।গবেষণায় বলছে পাইরেটক্সিন এসকরভিক অ্যস্টিক ভিটামিন ক্যালসিয়াম আয়রন পটাশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান আছে এতে।
পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন নিয়মিত কালোজিরা খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ এলার্জি এবং ঠান্ডা জনি রোগ।তেলবিট জাতীয় শস্য কালোজিরা।যা পরিচিতি বিভিন্ন রোগের মহা ওষুধ হিসেবেও।যার ছোট ছোট কালো দানা গুলোর মাঝে আছে রোগ প্রতিরোধে গুন।আদিনিবাস দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আয়ুর্বেদ ইউনানী ও কবিরাজি চিকিৎসায় বিশ্বজুড়ে যার ব্যবহার চলে আসছে প্রাচীন কাল থেকেই।
রান্নাঘরে থাকা উপাদানের মধ্যে অন্যতম হলো কালোজিরা।ভর্তা ভাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের রান্নায় ফোড়ন হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকে কালোজিরা।গবেষণা বলছে, বিটা ক্যারোটিন থাইমিন, রিবফ্লভিন,নিয়াসিন,পাইরিডক্সিন,আ্যসকরবি এসিড এর মত ভিটামিন আছে কালাজিরাতে।পাশাপাশি লিনোলয়িক এসিড অলিক এসিড ছাড়াও আছে ক্যালসিয়াম আয়রন সোডিয়াম পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর মত খনিজ উপাদান।
পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলছেন,নিয়মিত কালোজিরা খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ এলার্জির মতো রোগ।এছাড়াও শরীরের রাসায়নিক বিষাক্ততা কমাতে ও ঠান্ডা জনিত রোগ সারাতেও পারে কালোজিরা।বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় কালোজিরা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের প্রদাহ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস রাশ করার ক্ষমতা সহ লিভারকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।
মায়ের বুকের দুধ বানাতে কাজ করে কালোজিরা।এছাড়াও শিশুর দৈহিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও কাজ করে কালোজিরা।প্রতি ১০০ গ্রাম কালোজিরাতে আছে ৩৪৫ ক্যালোরি।
কালোজিরার অপকারিতা কি
কালোজিরা যেমন খুবই উপকারী,তেমনি কালোজিরার কিছু অপকারিতা ও আছে।তাই বলে সকলের জন্য না।মোট পাঁচ রকম মানুষের জন্য কালোজিরা অপকারি।আপনি নিজেই জেনে নিন পাঁচ রকম মানুষের মধ্যে আপনি পড়েন কিনা।কালোজিরার অপকারিতা।
(১)কালোজিরা খেলে কি আপনার গ্যাস হয়।পেট ফেপে যায়,বমি হয়,পটি হতে চায় না,তাহলে কালোজিরা থেকে দূরে থাকুন।কালোজিরা খেলে কিছু মানুষের সমস্য দেখা দিতে পারে।
(২)আপনার কি ব্লেডিং ডিজাডার আছে?আপনার যদি ব্রিডিং ডিজাডার থাকে কালোজিরা খাবার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে।কালোজিরা ব্লিডিং ডিজডারের জন্য অপকারী।সমস্যা আরো বাড়াবে।
(৩)আপনি কি লো ব্লাড সুগার?কালোজিরা আপনার ব্লাড সুগার কমাবে ফলে আপনার যদি আগে থেকেই লো ব্লাড সুগার থাকে।কালোজিরা খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে।
এখানে ক্লিক করুনঃপ্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত
(৪)আপনার কি লো ব্লাড প্রেসার?কালোজিরা আপনার ব্লাড প্রেসার কমাবে।ফলে আপনার যদি আগে থেকেই লো ব্লাড প্রেসার হয় হয় কালোজিরা খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হবেন।
(৫)আপনার কি সার্জারি হবে।সার্জারি হলে কালোজিরা খাওয়ার আগে ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিন।সার্জারির ক্ষেত্রে কালোজিরা অপকারী হতে পারে।ব্লিডিং বাড়তে পারে।কালোজিরা যেমন খুব উপকারী তেমনই আলোচিত অপকারিতা গুলো নিয়ে আপনাকে সাবধান হতে হবে।আর সব সময় মনে রাখবেন কম মাত্রায় কালোজিরা খেলে কালো জিরার বেশিরভাগ সার্টিফিকেট থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা কতটা ভালো
কালোজিরা খুবই উপকারী একটি মশলা।আপনি কি জানেন ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময়ের খাবার হিসেবে কালোজিরা কতটা ভালো।আপনি কি জানেন ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে কালোজিরার ভূমিকা নিয়ে প্রায় এক ডজন গবেষণা আছে।আপনি কি জানেন ব্লাড সুগার কন্ট্রোলে ঠিক কতটা কালাজিরা খাবেন।ডায়াবেটিস কমানোর খাবার হিসেবে কালোজিরার ভূমিকা বুঝতে কতগুলো প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা যায়।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় কালোজিরা কতটা ভালো।এখানে আমরা জানার চেষ্টা করব কালোজিরা এবং কালোজিরা তেল ডায়াবেটিস কন্ট্রোলের সাহায্য করবে কিনা।ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হিসেবে কালোজিরা ও কালোজিরা তেল খেলে আপনার আর কি উপকার হবে।ব্লাড সুকার কন্ট্রোলে আপনি কিভাবে কালোজিরা এবং কালোজিরা তেল খাবেন।
কালোজিরা ও কালোজিরা তেল কিভাবে খাবেন এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কারণ আমরা বেশিরভাগই জানিনা কিভাবে কালোজিরা ও কালোজিরা তেল খেতে হয়।এর সাথে আমরা জানবো সুগার রোগীর খাবার তালিকায় কতটা কালোজিরা ও তেল রাখার।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
(১)ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকায় কালোজিরা কতটা ভালো।কালোজিরা ও কালোজিরা তেল আপনি খুব বেশি খেতে পারবেন না।কালোজিরা খেলে আপনার ব্লাড সুগার বাড়বে না।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হবে না।সামগ্রিকভাবে কালোজিরা আপনার সুগার নিয়ন্ত্রণ করবে।নিয়মিত কালোজিরা খেলে আপনার টাইপ টু ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে আপনার সুবিধা হবে।
১০ গ্রাম কালোজিরা থেকে আপনি ম্যাগনেসিয়াম পাবেন আপনার দৈনিক চাহিদা নয় দশমিক ছয় শতাংশ।জিংক ৩.৪ শতাংশ,ভিটামিন সি ৩.৫ শতাংশ,ভিটামিন এ কমি।এছাড়াও বেশ কিছু উপাদান আছে যা আপনার সুগার কমাতে পারে।কালোজিরা আর তেল থেকে আপনি থাইমো কুইনন বিটা সিস্টোল নাইযেলোন পাবেন।
গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে এই তিনটি উপাদানেরই হাইপোগ্লোক্সেনিক এফেক্ট আছে।মানে ব্লাড সুগার কন্ট্রোল করতে পারে।এদের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী খাইমু কইনাল।কালোজিরা ও কালোজিরা তেলের লাইনে এসিড অলিক এসিড পালমেটিক অ্যাসিড স্টেরিক এসিড থাকে যা আপনার ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে সাহায্য হতে পারে।অর্থাৎ অ্যান্টি ডায়াবেটিক প্রপার্টি হিসেবে কালোজিরা অসাধারণ।আপনি কালোজিরা কে এন্টি ডায়াবেটিস সুপার ফুড হিসেবে বলতে পারেন।
(২)কালোজিরা ও কালোজিরা তেলের উপকারিতা।ব্লাড সুগার কন্ট্রোল ছাড়াও কালোজিরা আপনার বেশ কিছু উপকার করবে।কালোজিরা খারাপ কোলেস্টেরল এল ডি এল কমাই।ফলে কলেজটোল সামনে থাকে।কালোজিরা ক্যান্সার প্রতিরোধক।ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য দেরকায় কালোজিরা রাখলে আপনার ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমবে।
কালোজিরা আপনার সামগ্রিক কৌশিক তন্ত্রের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখে।কালোজিরা খেলে আপনার লিভার ভালো থাকে তার কার্যকারিতা বাড়বে।স্টমাক আলসারের সম্ভাবনা কমবে।পৌষ্টিকতন্ত্রের খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে ভূমিকা নেবে কালোজিরা।
(৩)ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কিভাবে কালোজিরা খাবেন।কালোজিরা সুগার কমানোর উপায়।কিন্তু আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানি না কিভাবে কালোজিরা খাবো। আসুন কালোজিরা খাওয়ার পদ্ধতি জানা যায়।যাতে টাইপ ২ ডায়াবেটিস কন্ট্রোল সহজ হয়।ভালো করে গরম করে গুঁড়ো করে নিন।কালোজিরা গুঁড়ো এক চা চামচ আপনার খাবারে মিশিয়ে নিন।
এইভাবে দিনে দুইবার কালোজিরার গুড়ো খাবারের সাথে খেতে পারবে ব্লাড সুগার কন্ট্রোল সহজ হবে।আপনি কালোজিরার গুঁড়ো না খেলে কালোজিরার চাও খেতে পারেন।আপনি দিনে ১ থেকে তিন চা চামচ কালোজিরা তেল খেতে পারেন না।আপনার যে কোন খাবারের সঙ্গে এক চা চামচ খালায় জিরা তেল মিশিয়ে দিতে পারেন।আপনি মধু এবং পাতিলেবুর রসের সঙ্গেও কালোজিরা তেল খেতে পারেন।তবে মনে রাখবেন কালোজিরা কোন মেডিসিনের বিকল্প নয়।
কালোজিরার উপকারিতা ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম
কালোজিরা কি আমরা কে না চিনি।বাঙালির পাঁচফোড়ন থেকে শুরু করে সিঙ্গারা আর নানান রকম খাবারে কালোজিরা না হলে চলেই না।কালোজিরা এত উপকারিতা যে বর্তমান সময়ে এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে।গবেষণায় দেখা যায় যে ফসফেট ফসফরাস আয়রন ইত্যাদি রয়েছে।শুধুমাত্র পুষ্টিগুণে নয় মসলা হিসেবেও কালোজিরার চাহিদা প্রচুর।
কালোজিরা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ কমায় ওজন কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও আরও অনেক উপকারিতা আছে।যার কারণে কালোজিরা কে সর্ব রোগের ওষুধ বলা হয়।এইসব উপকারিতা গুলো পেতে আপনাকে মেনে চলতে হবে কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম।তাই আজকের এই কনটেন্টে আমরা জানবো কালোজিরার উপকারিতা কালোজিরা খাওয়ার সঠিক নিয়ম।যা আপনার অনেক সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে।এই সব কিছু জানতে কনটেন্টি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
(১)স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে,কালোজিরা আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে আরো কার্যকর হতে উজ্জীবিত করে।বিশেষ করে সেই সকল অঙ্গগুলো যা আপনার স্মৃতিশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে।প্রতিদিন এক চা চামচ পুদিনা পাতার রস ২ চা চামচ মধু এক চা চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে দিলে তিনবার নিয়মিত খেতে পারে।এটি আপনার মেধা বাড়াতে সাহায্য করবে।এছাড়াও এটি মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
(২)ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে,টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে কালোজিরা বেশ কার্যকর।বেশ কিছু চিকিৎসক ডায়াবেটিসের সমস্যা কমানোর জন্য কালোজিরা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।কেননা কালোজিরা হাই ব্লাড সুগার এবং ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চিমটে পরিমাণ কালোজিরা এক গ্লাস জলের সঙ্গে খেয়ে দেখুন রক্তে গ্লুকোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে।
এখানে ক্লিক করুনঃখালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারি
এ ছাড়াও গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন দুবার করে খেলে বেশ উপকার পাবেন।আর আপনি যদি ডায়াবেটিসের ওষুধ খাওয়া শুরু করে থাকেন তবে কালোজিরা খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
(৩)ওজন কমাতে সাহায্য করে,ওজন কমাতে অনেকে গরম জল মধু এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন।এবং এই মিশ্রণে সামান্য পরিমাণ কালোজিরার গুড়ো মেশান।দেখবেন এটি আপনার অতি দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।এছাড়া কালোজিরাতে আছে বিশেষ ধরনের ফাইবার।যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে।এভাবে আপনি খুব সহজেই আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে পারবে।
(৪)পুরুষের বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধ করে,বিশ্বের প্রতি ১০ জন পুরুষের মধ্যে দুজন পুরুষ বন্ধ্যাক্ত জনিত সমস্যায় ভুগছে।এটি সমাধানে কালোজিরা দারুণভাবে সহায়তা করতে পারে।কালোজিরার তেল প্রতিদিন এক চামচ খাওয়ার পর কোন বিরূপ প্রভাব ছাড়াই বীর্যের গুণগত মান উন্নত হয়।কালোজিরা শুক্রাণু বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।এটি শুক্রানুর গুণগতমান এবং গতিশীলতার উন্নতি করে।তাই পুরুষের বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে এটি ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
(৫)উচ্চ রক্তচাপ কমায়,কালোজিরা নিয়মিত খেলে তা উচ্চ রক্তচাপে রোগীদের রক্তচাপ কম করতে সাহায্য করে।গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কালোজিরা রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে বেশ কার্যকর।এক্ষেত্রে কালোজিরা তেলের চেয়ে কালোজিরা বীজের গুঁড়ো শক্তিশালী প্রভাব ফেলে।রাতে শোবার আগে ৫ থেকে ১০ গ্রাম কালোজিরার গুঁড়ো গরম জল বা দুধের সঙ্গে খেতে পারে।এভাবে দুমাস খেলে আপনি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
(৬)প্রদাহ কামাই,কালোজিরার বীজে প্রদাহ প্রতিশোধক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।বিশ্বের বহু নামকরা চিকিৎকরা মতামত দিয়েছেন যে কালোজিরা বীজের তেল বাদ জনিত প্রদাহ কমাতে ব্যাপক কার্যকর।কালোজিরার অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণাগুণ প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন,প্রতিদিন দু চামচ কালোজিরা তেল হালকা গরম জলে মিশিয়ে খাওয়ার জন্য।
(৭)সর্দি কাশিতে কালোজিরা,জ্বর সর্দি কাশিতে এক চা চামচ কালোজিরা সাথে তিন চা চামচ মধু ও দু চা চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে প্রতিদিন একবার সেবন করুন।একই সঙ্গে পাতলা পুরস্কার কাপড়ে কালোজিরা বেঁধে সুখে থাকো এতেও ভালো উপশম পাবে।আর তাড়াতাড়ি ফলাফল পেতে বুকে এবং পিঠে কালোজিরা তেল মালিশ করুন।
(৮)রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে কালোজিরা।নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হতে থাকে।এতে যে কোন জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
কালোজিরা স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম তবে এই ক্ষেত্রে একটি কথা আমাদের জেনে রাখা ভালো,তাহলে গর্ব অবস্থায় ও দুবছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়।এছাড়া নিয়ম মেনে কালোজিরা খেলে আপনি অনেক উপকার পাবেন তা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।
কালোজিরা খেলে কি হয়
আজকে কথা বলব সুস্বাস্থ্যের জন্য কালোজিরার উপকারিতা।ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে কোষ ও কলার ভিত্তিতে সহায়তা করে কালোজিরা।শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্য না কালোজিরা চুল ও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।প্রত্যেকের রান্নাঘরে কালোজিরা থাকে।কালোজিরা ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে,কালোজিরা খারাপ কোলাস্ট্রল কমাতে পারে,এবং রক্তচাপ কমিয়ে স্বাভাবিক মাত্রা রাখতে পারে।
তাহলে আমরা প্রতিদিন একটু করে হলেও খেতে পারি।শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় কালোজিরা।আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে যে সর্দি কাশি ও জ্বর হয় সেসবের যন্ত্রণা কমিয়ে উপসর্গর তীব্রতা কমাতে পারে এই কালোজিরা।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই কনটেন্ট থেকে আমরা জানতে পারলাম যে কালাজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ঔষধ।কালোজিরা আমাদের দেহের নানা উপকারে আসে।তাই আয়ুর্বেদী ইউনানী বা কবিরাজের চিকিৎসায় ব্যবহার চলে আসে প্রাচীনকাল থেকেই।তাই আমাদের নিয়মিত কালোজিরা খাওয়া উচিত।তাই আজকের এই কনটেন্ট থেকে যদি কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচয় লোকদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url