পড়তে বসলে কেন ঘুম আসে

প্রিয় পাঠক,পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর কার্যকরী উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করা পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।পড়াশোনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ঘুম।তাই আজকের এই কনটেন্টে আলোচনা করব পড়ার সময় কিভাবে ঘুম তাড়ানো যায।
পড়তে বসলে কেন ঘুম আসে
এবং আজকের এই আর্টিকেলে আরো যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব পড়তে বসলে কেন ঘুম আসে।এ বিষয়ে জানতে হলে আজকের এই কনটেন্টি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।আশা করি এই কনটেন্টি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনার প্রশ্নের উত্তর এবং আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ভূমিকা

পড়াশোনা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ঘুম।আমাদের মধ্যে ম্যাক্সিমাম স্টুডেন্ট স্টুডেন্ট লাইফে যে সমস্যাটা বেশি ফেস করি,আমরা রাত জেগে একটানা বেশিক্ষণ সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে স্টাডি করতে পারেনা।রাত্রেবেলা পড়তে বসলেই প্রত্যেক স্টুডেন্টকেই একটা ভীষণ বড় সমস্যার সম্মেলনে লড়াই করে পড়াশোনা করতে হয়।আর সেটা হলো ঘুম।

একটানা বেশিক্ষণ পড়লেই চোখের পাতা ভারি হয়ে যেতে থাকে,মাথা ঢলতে থাকে,যত রাজ্যের ঘুম সব তখন আসা শুরু হয়ে যায়।কিন্তু পরেখন বইটা বন্ধ করে যদি মোবাইল হাতে নেওয়া যায় বা টিভির সামনে গিয়ে বসা যায়,কিংবা কোন বন্ধুর সঙ্গে বসে আড্ডায় দেওয়া শুরু করা যায়,তাহলে আবার সেই বন্ধু মিনিটের মধ্যে পালিয়ে যাই।কিন্তু রাত্রেবেলা যতই মনোবল নিয়ে পড়তে বসি না কেন কিছুক্ষণ পরেই ঘুম লাগা শুরু হয়ে যায়।
  • পড়তে বসলে যাদের ঘুম আসে
  • পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর কার্যকরী উপায়
  • ৩ টি উপায় পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর
  • পড়তে বসলে কেন ঘুম আসে
  • পড়ার সময় ঘুম আসলে কি করবে

পড়তে বসলে যাদের ঘুম আসে

পড়াশোনা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ঘুম।তোমাদের মধ্যে অনেকেই আছো যে রাতের বেলা পড়ার সময় চিন্তা কর যে এখন ঘুমায়া যায় পরের দিন হচ্ছে অনেক সকালে উঠবো।যখন সকালে ঘুম থেকে উঠার সময় হয় তখন চিন্তা করো যে আরে ভাই আরেকটু ঘুমাই আর একটু পরে উঠবো।

এরকম করতে করতে দেখা যায় অনেক পরে তোমরা ঘুম থেকে উঠে এবং তখন আফসোস করো রাত্রে পুরোটাই বেশি ভালো ছিল।ঘুম তাড়ানোর কিছু টিপস দিব এ টিপস যদি মানতে পারেন তাহলে আপনার ঘুম তাড়াতে বাধ্য।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক টিপস গুলো।

স্বপ্নটাকে বড় করে দেখো।তোমার ভিতরে যে স্বপ্নটা আছে সেই স্বপ্নটাকে অনেক বড় করে দেখতে শিখো।আমি একটি এক্সাম্পল দিই,ধরো তুমি আজকে ঘুমাইছো।তোমার এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলল দোস্ত কাল একটা সকালে ফুটবল ম্যাচ কিংবা ক্রিকেট ম্যাচ আছে খেলতে যেতে হবে শুক্রবার দিন কিংবা বন্ধের দিন।তখন দেখা যাবে কিসের ঘুম কিসের কি তুমি অটোমেটিক সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়বে খেলাধুলা করার জন্য।তখন চিন্তা করো তখন কিন্তু তোমার ঘুম ধরে না।

এটাকেই বলা হয় মেটার অফ ইন্টারেস্ট।তোমার খেলাধুলা যে ম্যাটার অফ ইন্টারেস্ট অনেক বেশি পড়াশোনা চাইতে।তোমার মুভি দেখাতে মেয়েটার অফ ইন্টারেস্ট অনেক বেশি।কিন্তু এই সেম জিনিস গুলো আমরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে ভাবতে পারি না।পড়াশোনা কে এভাবে চিন্তা করতে হবে তাহলেই পড়াশোনার সময় আর ঘুম আসবে না।

পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর কার্যকরী উপায়

আমাদের মধ্যে ম্যাক্সিমাম স্টুডেন্ট স্টুডেন্ট লাইফে যে সমস্যাটা বেশি ফেস করি,আমরা রাত জেগে একটানা বেশিক্ষণ সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে স্টাডি করতে পারেনা।রাতে পড়াশোনা বাদে অন্য কিছু যেমন টিভি দেখলে বা গান শুনলে বা কারো সাথে আড্ডা দিলে ঘুম না আসলেও পড়তে বসলে ঘুম আসলে আমরা কোনভাবেই কন্ট্রোল করতে পারি না।

তাছাড়াও অনেক বেশি মনবল নিয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে পড়তে বসি তবুও কিছুক্ষণ পড়ার পরেই চোখে ঘুম চলে আসে এবং কখন যে ঘুমিয়ে যাই তা আমরা নিজেরাও টের পাই না।আবার এদিকে সারাদিন ইস্কুল কলেজ এবং কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় দিনের বেলায় এই ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে স্টাডি করা পসিবল হয় না।তো এ সমস্যার সমাধান কি।

আপনি যদি এ সমস্যার কার্যকারী সমাধান চান এবং রাতে একটানা মনোযোগ সহকারে স্টাডি করতে চান তাহলে আজকের এই কনটেন্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।কারণ আজকের এই কনটেন্টে আমি এমন কিছু স্পেশাল টিপস শেয়ার করব এগুলো আপনাকে আরও রাত বন্ধু জেগে মনোযোগ সহকারে স্টাডি করতে সাহায্য করবে।

(১)প্রতিটা স্টুডেন্ট পড়াশোনা পদ্ধতি বা হ্যাবিট আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।কোন কোন স্টুডেন্ট জোরে জোরে উচ্চারণ করে পড়তে পছন্দ করে।আবার কিছু স্টুডেন্ট আস্তে আস্তে বা মনে মনে পড়তে পছন্দ করে।পড়াশোনার ক্ষেত্রে এই দুইটা পদ্ধতি সমান হবে কার্যকর।

তবে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে পড়ার ক্ষেত্রে যখন আমাদের ঘুম আসে তখন যদি আমরা অল্প কিছু সময়ের জন্য একটু জোরে জোরে উচ্চারণ করে স্টাডি করি,তাহলে ওই মুহূর্তে আমাদের ঘুম চলে যাওয়ার পসিবিলিটি অনেকটাই বেশি থাকে।আমাদের জন্য তখন কিছু রাত পর্যন্ত জেগে পড়াশোনা করা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়।

(২)আমরা সকলে জানি বাণী আমাদের শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।তো আপনি শুনলে হয়তোবা অবাক হবেন,অনেক বেশি রাত পর্যন্ত জেগে পড়তে পানি আমাদেরকে অনেকটাই হেল্প করে।রাতে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ঘুম আসলে আমরা যদি তখন অল্প পরিমাণ পানি পান করি তখন আমাদের ঘুম চলে যায়।তুলনামূলক তখন আগের চাইতে অনেকটা ফ্রেশ মনে হয়।কারণ ওই সময় পানি পান করলে আমাদের ব্রেনের ম্যাক্সিমাম সেল একটিভ হয়ে যায়।

ফলে তখন আমাদের ব্রেন ম্যাক্সিমাম ক্যাপাসিটি অনুযায়ী কাজ করতে পারে।এবং আমরা আরো মনোযোগ সহকারে স্টাডি করতে পারি।এই টিপসটা ১০০% কার্যকরী।বেশি রাত পর্যন্ত জেগে স্টাডি করতে অথবা আপনাদের জন্য কনটেন্ট লিখতে অলটাইম হাতের কাছে এক বোতল পানি রাখি।এবং ওই সময় ঘুম আসলে কিছুক্ষণ পর পর অল্প পরিমাণ করে পানি পান করি।যেটি আমাকে রাত জেগে মনোযোগ সহকারে কন্টেন্ট লিখতে করতে সাহায্য করে।

(৩)এমন অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা বিছানায় বা সোফায় বসে পড়তে পছন্দ করে।যেটি পড়াশোনার ক্ষেত্রে পুরোপুরি একটি ভুল পদ্ধতি।কারণ বিছানায় বসে পড়াশোনা করলে কখনোই মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা হয় না।আবার অনেকেই স্টুডেন্ট তো টিভির সামনে বসেও বই পড়ে।এটা আরো বেশি মারাত্মক।এক্ষেত্রে আপনার উচিত পড়ার টেবিলে বসে শুধু পড়াশোনা করা।

অথবা আপনি চাইলে বই হাতে নিয়ে হাঁটতেও করতে পারেন।কারণ এভাবে করলে খুব একটা আপনার গার্লফ্রেন্ডে ভুল হবে না।ফলে আপনার ঘুম আসার পসিবিলিটি তুলনামূলক অনেকটাই কম থাকবে।আসলেই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আমাদের উচিত নিরব স্থান নির্বাচন করা যেখানে বাইরের শব্দ কম যায়।সেই রুম থেকে সকল ডিসস্ট্রাকশন যেমন টিভি মিউজিক মোবাইল ইত্যাদি দূরে রাখা।

এ সকল জিনিস পড়াশোনা ব্যাঘাত বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট।ধরুন আপনি পড়তে বসলেন ওই সময় মোবাইল বা টিভি বেজে উঠলো তখন আপনি কোনভাবেই মনোযোগ সহকারে পড়তে পারবেন না।তাই আজকের পর থেকে পড়ার জন্য নিরব একটি স্থান খুঁজে বের করুন।

৩ টি উপায় পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর

রাত্রেবেলা পড়তে বসলেই প্রত্যেক স্টুডেন্টকেই একটা ভীষণ বড় সমস্যার সম্মেলনে লড়াই করে পড়াশোনা করতে হয়।আর সেটা হলো ঘুম।একটানা বেশিক্ষণ পড়লেই চোখের পাতা ভারি হয়ে যেতে থাকে,মাথা ঢলতে থাকে,যত রাজ্যের ঘুম সব তখন আসা শুরু হয়ে যায়।কিন্তু পরেখন বইটা বন্ধ করে যদি মোবাইল হাতে নেওয়া যায় বা টিভির সামনে গিয়ে বসা যায়,কিংবা কোন বন্ধুর সঙ্গে বসে আড্ডায় দেওয়া শুরু করা যায়,তাহলে আবার সেই বন্ধু মিনিটের মধ্যে পালিয়ে যাই।

কিন্তু রাত্রেবেলা যতই মনোবল নিয়ে পড়তে বসি না কেন কিছুক্ষণ পরেই ঘুম লাগা শুরু হয়ে যায়।আবার দিনের বেলায় স্কুল কলেজ কোচিং এসব বিভিন্ন ব্যস্ততা থাকার কারণে একটানা অনেক সময় আমার পড়তে পারি না।আজ আমি আপনাদেরকে এই সমস্যার একটি সিম্পল তিন ডিটেলস দেব।এগুলো করা যেমন সহজ তেমনি কার্যকরী টিপস।যেগুলো ফলো করলে রাত্রে আরো মনোযোগ সহকারে অনেকক্ষণ তোমরা পড়াশোনা করতে পারবে।এবং রাত্রে পড়ার সময় ঘুম অনেকটাই কেটে যাবে।আমি তোমাদেরকে প্রথম যে তৃপ্তি দেব।

(১)রাত্রে পড়ার সময় একটু জোরে জোরে উচ্চারণ করে পড়ো।ধরনের হয়ে থাকে কারণ প্রত্যেকটি স্টুডেন্ট বই পড়ার।তো কেউ আবার খুব আস্তে আস্তে পড়তে ভালোবাসি আবার কেউ কেউ জোরে জোরে আওয়াজ করে পড়তে ভালোবাসে।পড়ার ক্ষেত্রে এই দুটি পদ্ধতি সমান কার্যকরী।কিন্তু রাত জেগে পড়ার সময় যখন আমাদের চোখে ঘুম চলে আসেতে থাকে।

যখন আমাদের চোখে ঘুম আসতে থাকে তখন যদি আমরা একটু জোরে জোরে আওয়াজ করে পড়ড়ি তখন তৎক্ষণাৎ আমাদের চোখের ঘুমের ঘোর কেটে যায়।এবং আরো একটু বেশি সময় আমরা পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারি।কারন আমাদের মাইন্ড একটা টাইমে যেকোন একটা কাজে খুব ভালোভাবে করতে পারে।সুতরাং রাত্রে পড়তে বসতে যখনই ঘুম আসবে তখন কিছু সময় একটু জোরে জোরে উচ্চারণ করে পড়ার চেষ্টা করো।দেখবে তৎক্ষণাৎ ঘুম অনেকটাই পালিয়ে যাবে।

(২)রাত্রে পড়তে বসার সময় এক বোতল পানি নিয়ে পড়তে বসো।এটা শুনে আবার যেন অবাক হয়ে যেও না ঘুমিয়ে থাকে পানের কি সম্পর্ক।পড়তে বসে যখন ঘুম আসবে তখন বোতলের মুভি খুলে একটু একটু করে পানি খেয়ে দেখো ঘুম কেটে যাবে।দেখবে আগের চেয়ে অনেকটাই ফ্রেশ অনুভব করতেছো।

(৩)রাত্রে পড়ার সময় আরামদায়ক কোন জায়গায় বসে পড়াশোনা করো না।যদি তুমি সোফা বা বিছানায় বসে রাত্রে পড়াশোনা কর।তাহলে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।আর সোফা বা বিছানায় বসে কখনো একটি পড়াশোনা করা যায় নাএবং রাত্রে পড়ার সময় সব সময় এই জায়গাগুলোকে এভোয়েড করে পড়ার চেষ্টা করো।

পড়তে বসলে কেন ঘুম আসে

ছোটবেলায় তখন মনে মনে স্কুলের বই পড়া হত তখন মা বলতেন জোরে জোরে পড়ো।তাহলে পড়া মনে থাকবে।সত্যি কি তাই।শব্দ করে পড়লে বুঝি কি পড়া মুখস্ত হয়।এছাড়া সারাদিন ঘুমের কোন দেখা নেই,তো যেইনা বই নিয়ে পড়তে বসে তখনই চলে এসে রাজ্যের সব ঘুম।কেন এমনটা হয়।এসবের পিছনে কারণই বাকি।ভিউয়ার্স এমন সব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আজকের এই কনটেন্ট।পড়ার ক্ষেত্রে মূলত দুটি নিয়ম অনুসরণ করা হলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী মনে মনে করতে পছন্দ।

গবেষকরা বলেছেন এভাবে পড়ার কারণে বেশ কিছু সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়।জোরে জোরে আওয়াজ করে পড়লে স্মৃতিশক্তি আরো উন্নত হয়।বিষয়বস্তু নিজ চোখে দেখার পাশাপাশি শব্দগুলো যখন কানে প্রবেশ করে তখন জটিল সব বিষয় আরো ভালোভাবে মনে দেখা যায়।মোটকথা আওয়াজ করে পড়লে পড়া মনে থাকে ভালো।এছাড়াও মনে মনে বই পড়লে বিশেষ আরেকটি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়।শব্দের সঠিক উচ্চারণ সম্পর্কে না জানা।

উচ্চারণ শুদ্ধ রাখতে আওয়াজ করে পড়া বেশি সুফলও রয়েছে।কারো কারো তোতলামি থাকলে আওয়াজ করে পড়লে এ সমস্যা দূর হয়ে যায়।জোরে পড়া নিয়ে তো অনেক কিছুই হলো এবার আসি পড়তে বসলে ঘুম কেন আসে।এমন অনেকেই আছেন যাদের পড়তে বসলে অনেক ঘুম পায়।এর পেছনেও রয়েছে বৈজ্ঞান কিছু কারণ।প্রথমত পড়তে গেলে চোখ সব সময় বইয়ের পাতায় রাখতে হয়।

প্রতিমুহূর্তে চোখ ডানে বামে ঘুরাতে হয়।এছাড়া চোখ বইয়ে যা দেখে সেগুলোর মাধ্যমে মস্তিষ্ককে অর্থবোধক শব্দ বাক্য ও অনুচ্ছেদ তৈরি করে নিতে হয়।এবং সেগুলো দ্বারা কি বোঝানো হচ্ছে তাও অনুধাবন করতে হয়।এভাবে পরার সময় ক্রমাগত নাড়াচাড়ায় চোখের পেশী যেমন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তেমনি একসাথে অনেকগুলো কাজ করতে গিয়ে মস্তিষ্ক হাতে ওঠে।তখন চোখ এবং মস্তিষ্ক উভয়েরই বিশ্রামের প্রয়োজন হয়।

তাই ধীরে ধীরে চোখের পাতা ভারি হয়ে আসে এবং মস্তিষ্কে বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধ হতে থাকে।এছাড়া অনেকে শুয়ে শুয়ে বই পড়েন।কেননা তারা মনে করেন এভাবে পড়লে পড়া সহজ হবে।তবে শরীরকে যখন এমন আরামদায়ক পরিবেশে রাখা হয় তখন মস্তিষ্ক ধরেই নেয় এখন কেবল বিশ্রামের সময়।এ সময় যদি পড়ার মত মানুষিক পরিশ্রমের কাজটি করা হয় তখন মস্তিষ্ক বিদ্রোহ করে বসে।তখন অতিরিক্ত ক্লান্তি ও ঘুম ঘুম ভাব অনুভূত হয়।এই তো গেল বই পড়া আর ঘুমের মধ্যে মিষ্টি মধুর সম্পর্কের গল্প।যা কিনা একজন বই পাঠকের মহা বিরক্তের কারণ।

পড়ার সময় ঘুম আসলে কি করবে

এই ঘুম এমন একটা জিনিস যা রাতে শুলে ঠিকঠাক আসুক না আসুক পড়তে বসলে অবশ্যই আসবে।আজকে কয়েকটি সিম্বল এবং প্র্যাকটিক্যাল টিপসের কথা বলব যা এপ্লাই করলে আশা করি তোমরা এই বড় সমস্যার সমাধান এই ছোট্ট কনটেন্ট থেকেই পেয়ে যাবে।একদম সময় নষ্ট না করে শুরু করা যায়।

(১)বিছানায় বসে বা শুয়ে পড়ার অভ্যাস বন্ধ কর।আমাদের সাবকনসাস মাইন্ডে বিছানা মানে ঘুম এরকম একটা ইমেজ অলওয়েজ স্টোর হয়ে থাকে।তাই আমরা যখন বিছানায় বসে বা শুয়ে কমফোর্টেবল পড়ি আমাদের ব্রেনে অটোমেটিক ঘুমের সিগন্যাল যায়।এবং কখন পড়তে পড়তে আমাদের ঘুম চলে আসে আমাদের খেয়াল থাকে না।তাই সবসময় চেষ্টা কর টেবিল চেয়ারে পড়তে।

(২)সারাদিন আমাদের বডিকে একটিভ রাখতে গেলে,রাতে ৬ থেকে আট ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুমের পর্যাপ্ত অবশ্যই দরকার।রাতে যদি ঠিকঠাক ঘুম না হয় তাহলে সারাদিন এমনিতেই আমাদের ঘুম পাবে।পড়তে বসলে আমরা সঠিকটা কনসেন্টাইন করতে পারবোনা।

(৩)জোরে জোরে পড়ো।যখনই তোমার মনে হবে এবার একটু ঘুম আসছে জোরে জোরে পড়তে শুরু কর।মনে মনে পড়লে আমাদের মাইন্ডে information শুধুমাত্র ভিজুয়ালি পৌঁছয়।এবং লক্ষ্য করে দেখবে মনে মনে পড়লে হঠাৎ কোন জায়গায় তুমি পড়ছিলে সেটাই হারিয়ে ফেলি।কিন্তু জোরে জোরে পড়লে ইনফরমেশন আমাদের মাইন্ডে ভিজুয়াল সাথে সাথে ভারবালীয় পৌঁছায়।এর ফলে আমাদের সেই পড়াটা পড়তে ইন্টারেস্ট বেশি লাগে।আর ইন্টারেস্টিং কিছু করলে আমরা সহজে ঘুমাই না।

(৪)যখনই তোমার মনে হবে কোন কিছুতেই ঘুম কাটছে না।বুঝতে হবে এবার রিয়েলি কিছুক্ষণ তোমার ঘুমের প্রয়োজন।এ সময় যতই পড়তে চেষ্টা করো তোমার শুধু টাইম ওয়েস্টই হবে।তাই মোবাইলে এলার্ম লাগাও আর ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের একটা power ম্যাপ নিয়ে না।এলাম বাজলে উঠে চোখে মুখে জল দিয়ে এসে ফ্রেশ হয়ে ফুল এনার্জির সাথে আবার পড়তে বসো।

(৫)নিজের উপর বিশ্বাস রাখ।বিশ্বাস করো এই ছোট্ট ঘুমের মতো একটা প্রবলেম তোমাকে পড়াশোনাতে কনসেনট্রেট করা থেকে কখনোই আটকাতে পারে না।তুমি এসেছ জিততে নিজের ভেতরের সমস্ত দুর্বলতা কে হারিয়ে জিততে।আর আমার বিশ্বাস তুমি সেটা পারবে।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক,পড়তে বসলে ঘুম আসা এটা একটি কমন বিষয়।এ সমস্যায় প্রায় সকল শিক্ষার্থী ফেস করেন।তাই পড়তে বসলে যাতে ঘুম না আসে এ সম্পর্কে আজকের এই কনটেন্টে কিছু টিপস দেওয়ার চেষ্টা করেছি।তাই আজকের এই কনটেন্টটি প্রিয় শিক্ষার্থী ভাই ও বোনদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই আজকের এই কনটেন্ট থেকে কোন শিক্ষার্থী ভাই ও বন্ধুদের উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে আপনার পরিচিত লোকজন উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url