মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন কতটা স্বাস্থ্যঝুঁকি
প্রিয় পাঠক,আজকে আমি আলোচনা করব কিভাবে মোবাইল ফোনের আসক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।এ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্ট।অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আমাদের অনেক স্বাস্থ্যঝুকি হয়ে থাকে।
তাই মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন কতটা স্বাস্থ্য ঝুঁকি এ সম্পর্কেও আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।তাই আপনারা যারা মোবাইল আসক্তি থেকে দূর হতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই কনটেন্ট।
ভূমিকা
আমরা জানি মোবাইল ফোন থেকে উচ্চ মাত্রায় নির্গত রেডিয়েশন বা বিকিরন মানুষের ক্ষতি করে থাকে।আমরা সব জানি সব বুঝি তবু সুদৃশ্য স্মার্টফোনের ফাঁদে নিজেকে সঁপে দিয়ে বিষয়টিকে অবহেলা করি।কিন্তু সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই আমরা অদৃশ্য অথচ অনিবার্য এই ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে নিজেকে, নিজের পরিবারদেরকে এবং শিশুদেরকে অনেকটাই রক্ষা করতে পারি।
পড়াশোনা বা কোন কাজের ফাঁকে মোবাইল ফোন একবার হাতে নিলে এরপর কতটা সময় কিভাবে কেটে গেল টেরি পেলে না।স্মার্টফোনে আসক্তি মহামারীর মতো ছড়িয়ে গেছে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের মধ্যে।শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয় এ আসক্তি থাবা বসিয়েছে শিশু-কিশোরদের অভ্যাসেও।
এখানে ক্লিক করুনঃএন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আবিষ্কার হয়
মোবাইল আসক্তির প্রভাব পড়ছে তাদের দৈনন্দিন জীবনে।বিভিন্ন মানসিক সমস্যার পাশাপাশি মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার শারীরিক বিপর্যয়।স্মার্টফোনের ভয়াবহ আসক্তি থেকে অব্যাহত পাওয়ার উপায় নিয়ে হাজির হয়েছি আমি আজ।
- মোবাইল রেডিয়েশন থেকে বাঁচার ৫টি উপায়
- কীভাবে মোবাইল ফোনের আসক্তি কে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব
- অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
- মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন কতটা স্বাস্থ্যঝুঁকি
- মোবাইল ফোন আসক্তি দূর করার উপায়
মোবাইল রেডিয়েশন থেকে বাঁচার ৫টি উপায়
আমরা জানি মোবাইল ফোন থেকে উচ্চ মাত্রায় নির্গত রেডিয়েশন বা বিকিরন মানুষের ক্ষতি করে থাকে।আমরা সব জানি সব বুঝি তবু সুদৃশ্য স্মার্টফোনের ফাঁদে নিজেকে সঁপে দিয়ে বিষয়টিকে অবহেলা করি।কিন্তু সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই আমরা অদৃশ্য অথচ অনিবার্য এই ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে নিজেকে, নিজের পরিবারদেরকে এবং শিশুদেরকে অনেকটাই রক্ষা করতে পারি।তাহলে চলুন জেনে নিয়ে সেই পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে।যেগুলো মেনে চললে মোবাইল ফোনের ক্ষতি করে রেডিয়েশন থেকে আমরা অনেকটাই মুক্তি পেতে পারি।
(১)শরীর থেকে দূরে রাখুন।কানে ফোন নিয়ে কথা না বলে হেডফোন বা লাউডস্পিকার ব্যবহার করে কথা বললে রেডিয়েশনের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়।ঘুমানোর সময় মোটা ফোনটি বালিশের নিচে না রেখে কয়েক ফিট দূরত্বে রাখুন।চেষ্টা করুন কাজ হয়ে গেলে ফোন দিয়ে সুইচ অফ করে রাখার।
(২)সীমিত ব্যবহার করুন।ফোন কানে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলা আজ থেকে বন্ধ করুন।পারলে কল ডিউরেশন সেট করে দুইবা তিন মিনিট বেঁধে দিন।যাতে নির্দিষ্ট সময় পর এমনিতেই কলটি কেটে যায়।সারাদিনে যতগুলো ফোন কল হয় সেগুলো থেকে বেছে নিয়ে যতগুলো সম্ভব ভয়েস মেসেজ বা টেক্সট মেসেজ দিয়ে কাজ ছাড়ুন।প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফোন কল দেওয়া বন্ধ করুন।
(৩)আবদ্ধ এবং ধাতব ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন না।আবদ্ধ ঘরে কিংবা ছোট ফ্লাট রুমে জানালা বন্ধ করে গাড়িতে বেশি কথা বলবেন না।লিফট বা গাড়িতে ফোন চলাকালীন রেডিয়েশনের তীব্রতা প্রতিফলিত হয়ে শরীরে বেশি প্রতিক্রিয়া তৈরি করে থাকে।
(৪)দুর্বল নেটওয়ার্ক আর লো ব্যাটারিতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না।এটা সাধারণ ঘটনা নেটওয়ার্ক নেই।খুব দুর্বল নেটওয়ার্ক কথা কেটে কেটে যাচ্ছে।এমন অবস্থায় বা দুর্বল নেটওয়ার্কের মোবাইল ফোনে কথা বলবেন না।টেক্সট মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ এ কাজ ছাড়ুন।মোবাইলে ব্যাটারি চার্জ কম থাকলে উচ্চমাত্রায় রেডিয়েশন নির্গত হয়।খুব জরুরী না থাকলে এ অবস্থায় ফোন ব্যবহার না করাই ভালো।
(৫)শিশু গর্ভবতী নারী ও রোগীদের থেকে ফোন ধরে রাখুন।শিশুর কমল শরীরকে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষা করতে তাদের থেকে মোবাইল ফোনটি দূরে রাখুন।খুব সহজে এই শিশুরা স্মার্টফোন হাতে পেয়ে সবকিছু ভুলে যায়।ওদের দুষ্টুমি থেকে বাঁচতে বড়রা এটাই করে থাকে।কিন্তু মনে রাখতে হবে সাময়িক আনন্দ বড় ধরনের ক্ষতির প্রভাব আনতে পারে।তাই যতটা সম্ভব শিশুদের কাছ থেকে স্মার্টফোন সরিয়ে রাখা দরকার।
গর্ভবতী নারীদেরকে দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করা বা দীর্ঘ সময় ধরে ফোনে কথা বলা থেকে বিরত রাখুন।গর্ভবতী নারী এবং যেকোনো রোগীর দুর্বল শরীরে তেজস্ক্রিয়ার প্রভাব বেশি পড়ার সম্ভাবনা বলে তাদের খুব সীমিত ও নির্ধারিত সময়ের বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না।আশা করি আলোচ্য বিষয়গুলো মেনে চললে আপনি এবং আপনার পরিবার ও প্রিয়জন রেডিয়েশনের ক্ষতিকর দিক থেকে দূরে থাকতে পারবেন।সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
কীভাবে মোবাইল ফোনের আসক্তি কে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব
পড়াশোনা বা কোন কাজের ফাঁকে মোবাইল ফোন একবার হাতে নিলে এরপর কতটা সময় কিভাবে কেটে গেল টেরি পেলে না।স্মার্টফোনে আসক্তি মহামারীর মতো ছড়িয়ে গেছে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের মধ্যে।শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয় এ আসক্তি থাবা বসিয়েছে শিশু-কিশোরদের অভ্যাসেও।মোবাইল আসক্তির প্রভাব পড়ছে তাদের দৈনন্দিন জীবনে।
বিভিন্ন মানসিক সমস্যার পাশাপাশি মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার শারীরিক বিপর্যয়।স্মার্টফোনের ভয়াবহ আসক্তি থেকে অব্যাহত পাওয়ার উপায় নিয়ে হাজির হয়েছি আমি আজ।যখনই পড়তে বসি হয়তো ঘুম পায় না হলে মোবাইল ফোনে খোঁটাখুটি করতে শুরু করে দেই।এই মোবাইল ফোনে অ্যাডিকশন টা দিন দিন বেড়ে চলেছে।কিন্তু ফোন ছাড়া একটা গোটা দিন কাটানো যেন ভাবলেও ভয় লাগে।
আপনার সমস্যাটাও যদি এরকম হয় তাহলে খুবই দুঃখের সঙ্গে জানানোর হচ্ছে যে আপনি নোমো ফোবিয়া নামক মানসিক রোগে ভুগছেন।যেটার অর্থ হয়েছে নিজের স্মার্ট ফোন থেকে দূরে থাকার ভয়।যেকোনো জিনিস তখনই অ্যাডিকশন বা নেশা হিসেবে গণ্য করা হয় যখন যেটা আপনার জীবনকে কন্ট্রোল করতে শুরু করে।
অর্থাৎ আপনার দৈনন্দিন কাজকর্ম এবং এমনকি সম্পর্ক গুলোর মধ্যেও একটা নেগেটিভ প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে।একটা রিসার্চ থেকে জানা গেছে স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারী দিনে মিনিমাম ১১৫ বার স্মার্ট ফোন চেক করে।অর্থাৎ প্রতি ঘন্টায় প্রায় পাঁচবার।আপনার ক্ষেত্রেও যদি এ রিসার্চটা মিলে যায় তাহলে আপনি একই ক্যাটাগরির ভিতর করতেছেন।
এমনকি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর সর্বপ্রথম আপনি যদি মোবাইল ফোনটাকে রোজ চেক করেন তাহলে আপনাদেরও সময় এসে গেছে এটার ব্যাপারে সিরিয়াস হওয়ার।এটা শুধু আপনার প্রোডাক্টিভিটি এবং কনসেনট্রেন পাওয়ার কে নয় এর সাথে সাথে আপনার হেলথকেও নানাভাবে ক্ষতি করে।আজ এই সমস্যাটি কিছু সমাধান আপনি আজকের এই কন্টেন্ট নিয়ে আলোচনা করব।বর্তমান যুগে মোটো ফোন বা মোবাইলে আসক্ত থাকি সব সময়।
দেখা যায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে কুড়ি ঘন্টায় এই যন্ত্র নিয়ে পড়ে থাকি।যার কারনে পরিবার-পরিজন আত্মীয়-স্বজন থেকে আমাদের একটা দূরত্ব তৈরি হয়।আমাদের একটি নতুন জগৎ তৈরি হয়ে যায়।যা আমাদের শরীর ও মনকে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করতে থাকে।অনেক চেষ্টা করেও আমরা মোবাইল ফোনে আসক্তি থেকে বের হতে পারি না।আসুন জেনে নেই কি উপায় মোবাইলের আসক্তি কমানো সম্ভব।
(১)না বলার উপর জোর দাও।নিজের মনকে স্থির করতে হবে এবং বলতে হবে আমি আমার মোবাইল ফোনটি প্রতিদিন তিন ঘন্টার বেশি ব্যবহার করব না।এবং কোনভাবেই এই চিন্তার বাইরে যাওয়া যাবে না।
এখানে ক্লিক করুনঃ মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়
(২)ফোনের থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করো।খুব প্রয়োজন না হলে মোবাইল ফোনটি একেবারে কাছে রাখার দরকার নেই।শুয়ে বসে হাত বাড়ালেই ফোনটা পাবে আসক্তি দূর করতে চাইলে এমন নৈকট্য বর্জন করো।
(৩)লুডিক লুপ থামিয়ে দাও।লুডিক লুক কি।একই কাজ বারবার করতে থাকার ধারণাকেই গবেষকেরা নাম দিয়েছেন লুডিক লুপ।কখনো কি তুমি ভেবে দেখেছো ফোনটা এক নজর দেখে থুয়ে দিবে।তারপর ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেছে ফোন ধর কোন নাম নেই।এমনটি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।একেই বলা হয় লুডিক লুপ।
(৪)ফোন রেখে বই পড়া ধরো।প্রিয় ফোনটি দূরে রেখে এবার প্রিয় বইটি কাছে এনে রাখো।হাত বাড়ালে ফোনটা পাওয়া যাচ্ছে না কিন্তু বইটি তো আছে।এভাবে অভ্যাস ভাঙ্গার চে ভালো হবে অভ্যাস গড়ে তোলা।হতে পারে বই তোমার পছন্দের নয়।কিন্তু এমন অনেক জিনিস আছে তোমার পছন্দের।যা তোমাকে মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।
(৫)ফোন ব্যবহারের সময় নির্ধারণ করো।স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় নির্ধারণ করে নাও।দিনে কতবার বা কতক্ষন স্মার্ট ফোন ব্যবহার করবে তা ঠিক করে নাও।খাওয়া এবং লোকজনের সাথে কথা বলার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করবে না।
(৬)স্মার্টফোন নিয়ে বিছানায় নয়।ঘুমানোর আগে স্মার্ট ফোন বন্ধ করে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন বন্ধ করলে তেমন কোন ক্ষতি নেই।তাই ফোনটা বন্ধ করে দাও।ঘুম কম হওয়া বা অনিদ্রার অন্যতম একটি কারণ স্মার্ট ফোন আসক্তি।অনেকে সকালে ঘুম থেকে ওঠার জন্য স্মার্টফোনে এলাম সেট করে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ব্যবহার কইরা ঘুম থেকে উঠে এলার্ম বন্ধ করে ফোনে নোটিফিকেশন চেক করতে থাকে।এতে অনেক সময় কেটে যায়।কোন সমস্যা দূর করতে স্মার্টফোনে অ্যালার্মের পরিবর্তে এলার্ম ঘড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে।
কোনটা কাজের,কোনটা নিছক বিনোদনের বা কর্মহীন সময় কাটানো সেটা নিজেকেই ঠিক করতে হবে বন্ধুরা।যতক্ষণ ফোন নামক যন্ত্রটি তোমার নিয়ন্ত্রণে ততক্ষণ ঠিক আছে।উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা তো নিজের সামগ্রিক উৎকর্ষ বৃদ্ধির জন্যই।বিনোদন থাকুক তার নিজের জায়গায়।মানুষ যদি এক যন্ত্রের কারণে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে ভুল অভ্যাসের দাস হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
তাহলে পাড়া-প্রতিবেশী দূর ঘরের মানুষও একে অপরের কাছে অপরিচিত হয়ে পড়বে।অতএব এ নিশা বা আসক্তি থেকে মুক্তি পেতেই হবে।সুস্থতা বজায় রাখতে সর্বোপরি জীবন রক্ষায় এই নেশা ছাড়তেই হবে আজ না হোক কাল।
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
মোবাইল ফোন আমাদের প্রয়োজনে ডিভাইস।সারাদিনের যোগাযোগ থেকে শুরু করে কেনাকাটা সবই এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা করে থাকি।মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ আমাদের জীবনে এক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে যেখানে অবসর সময়ে মোবাইল ফোনে আমরা নানারকম ভিডিও এবং বিনোদন দেখে কাটাই।তবে সারাদিন মোবাইলে ব্যস্ত থাকে অনেক ক্ষতিও রয়েছে।সবচেয়ে বড় যে ক্ষতি হয় তা হচ্ছে আমাদের চোখের।
দিনে ১৪ থেকে ১৮ ঘন্টা মোবাইলে স্ক্রিনে চোখ রাখলে চোখের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।এসব কিছুর মতো মোবাইল ফোন আমাদেরকে বই থেকে দূরে করে দিয়েছে।আপনি কি বলতে পারবেন শেষ কবে আপনি একটু পছন্দের গল্পের বই পড়েছেন।ওই পড়ার ইচ্ছা থাকলে উপায় থাকেনা।বই ধরলেও হাত থেকে তা পড়ে যায়।সবচেয়ে বড় কথা যেটুকু পড়তে পারেন পড়ে দেখুন তো তা মনে রাখতে পারেন না।
মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন কতটা স্বাস্থ্যঝুঁকি
স্মার্টফোনের অন্যতম প্যারামেডার হলো রেডিয়েশন লেভেল।ফোনের মধ্যে থাকা টান্স মিটার ডিভাইস থেকে নির্গত হয় অদৃশ্য রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গ।সেই তরঙ্গ নিঃসরণের হার একটি নির্দিষ্ট মাত্রা অব্দি আমাদের শরীরে তেমন কোন ক্ষতি করে না।কিন্তু এ রেডিয়েশন লেভেল অতিরিক্ত হলে তখন আমাদের শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।এবার যারা যাক কোন জায়গা থেকে আমরা এ রেডিয়েশন এর সম্মুখীন হয়।বলা যায় আমাদের আশেপাশে সব জায়গায় রেডিয়েশন আছে।
যেমন আমাদের আশেপাশে মোবাইল ফোনের টাওয়ার,আবার বাড়ির ওয়াইফাই,এমনকি আমরা যদি শুধুমাত্র আমাদের কিছু ইলেকট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করি তাহলেই আমরা এই রেডিয়েশনের সম্মুখীন হব।যার শীর্ষে রয়েছে মোবাইল ফোন।পাশাপাশি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারও এর থেকে বাদ যায় না।আর আপনার যন্ত্রের ব্র্যান্ড যত উন্নত হবে রেডিয়েশনের পরিমাণটাও কিন্তু ততই বেশি হবে।এবার আসা যাক সবচেয়ে বিতর্কিত প্রশ্নের।এই রেডিয়েশনে কি আমাদের ক্যান্সার বা মৃত্যু হতে পারে।
এর উত্তর কিন্তু খুব সহজ।আসলে আমাদের ফোন থেকে যে রেডিয়েশন বিচলিত হয় সেটার হার একেবারে কম।এতই কম এর ফলে আমাদের শরীরে যে পরিমাণ ক্ষতি হয় তার সাথে সাথেই এই ক্ষতিটাকে আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি।তাই ক্ষতি মূলত কিছুই হয় না।তাই কেউ যদি আপনাকে বলে যে ফোনের রেডিয়শনে আপনার ক্যান্সার বা মৃত্যু হতে পারে তাহলে তাকে এ কনটেন্টটি পড়তে বলুন।
যদি এই কথাগুলি বিশ্বাস না হয় তাহলে নিজেই ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখে নিতে পারেন।মানুষের অন্ততপক্ষে ক্যান্স হওয়ার জন্য কেমন রেডিয়েশন দরকার।আর আমাদের ফোন থেকে কেমন রেডিয়েশন শরীরে প্রবেশ করে।তো বলে রাখি বন্ধুরা মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের মস্তিষ্ক এবং চোখের ক্ষতি করে।তাই অপ্রয়োজনীয় ভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না।
মোবাইল ফোন আসক্তি দূর করার উপায়
প্রিয় পাঠক আজকে আমি আলোচনা করব মোবাইল ফোনে আসক্তি থেকে দূর করার কিছু উপায় সম্পর্কে।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক উপায় গুলো কি।
(১)একদিন ছুটি।সপ্তাহে একদিন মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।শনিবার রবিবার শুধু গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া মোবাইল ব্যবহার বন্ধ রাখুন।
এখানে ক্লিক করুনঃইউটিউবে বিরক্তকর এড আসা বন্ধ করুন
(২)সেটিং পরিবর্তন করুন।অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন এরোপ্লেন মোড ব্যবহার করুন বা লম্বা পাসওয়ার্ড রাখুন।
(৩)মোবাইল ফোন বিছানায় নয়।বিছানার পাশে মোবাইল চার্জ দেবেন না এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে মোবাইল ব্যবহার করবেন না।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই কণ্ঠন থেকে আমরা জানতে পারলাম কিভাবে মোবাইলে আসক্তি থেকে বের করা যায় সন্তানদেরকে।এবং আপনি যদি মোবাইল আসক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনিও এই কন্টেন্ট পরে উপকৃত হতে পারেন।তাই আপনারা যদি কেউ এই কন্টেন্ট করে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিষ্কার ওদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url