গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা কি নিরাপদ

প্রিয় পাঠক,গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা বিষয় ইসলাম কি বলেছেন,এ বিষয়ে আপনার অনেকেই জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।আজকের এই কন্টেন্ট টা আমি আলোচনা করব গর্ভবতী মায়েদের রোজা রাখা বিষয় ইসলাম কি বলেছেন।
গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা কি নিরাপদ
গর্ভ অবস্থায় রোজা রাখা কতটা নিরাপদ এ সম্পর্কে আলোচনা করাবে আজকের এ কনটেন্টে।প্রাপ্তবয়স্ক সকলের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে।যেমনটা করা হয়েছিল আমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর।তাই এ বিষয়ে জানতে হলে আজকের এ কনটেন্টই পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়েন অবশ্যই উপকৃত হবেন।

ভূমিকা

গর্ভাবস্থায় অনেক নারী রমজান মাসে রোজা রাখা না রাখা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দই পড়েন।দিনভর অনেকটা সময় টানা না খেয়ে থাকায়,গর্ভে থাকা শিশু সঠিক পুষ্টি পাবে কিনা বা নিজের সুস্থ থাকবেন কিনা এ বিষয়ে অনিশ্চিতায় থাকেন।অনাগত সন্তানের সুস্থতা নিয়ে হবু মায়ের দুশ্চিন্তায় থাকায় স্বাভাবিক।তবে এক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান কি।ইসলাম এ বিষয়ে কি বলতেছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।


রমজান মাসে কোন কোন গর্ভবতী নারীরা রোজা রাখতে পারবেন এবং কোন কোন গর্ভবতীর নারীর আর রোজা রাখতে পারবেন না,তার ধারণা আজকের এই কনটেন্টে দিয়ে দিব।রোজা রাখা যাবে কি যাবে না কোন অবস্থায় কোন কোন ক্ষতি হতে পারে।অন্য বয়স্ক নারী-পুরুষ সবার উপর রমজান মাসে রোজা ফরজ হলেও গর্ভবতী এবং স্তন্য মায়েদের জন্য একটু ভিন্ন সতর্কতা রয়েছে
  • গর্ভবতী মায়েদের রোজা রাখার নিয়ম
  • গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা যাবে কি
  • গর্ভাবস্থায় রোজা রাখার বিষয়ে ইসলাম কী বলে
  • গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা কি নিরাপদ
  • গর্ভবতী মায়ের রোজা

গর্ভবতী মায়েদের রোজা রাখার নিয়ম

গর্ভবতী মায়ের রোজা।হবু মায়েরা রোজা থাকতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে চিন্তিত হন অনেকেই।হয়তো গর্ভবতী মা রোজা রাখতে চাইলেন কিন্তু বাধা সাজলেন আপনজনেরা।হবু মা এবং তার অনাগত সন্তানের সুস্থতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তারা।তবে বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থায় রোজা রাখলে কোন ক্ষতি নেই।তাই এ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তারও কিছু নেই।গর্ভবতী মায়ের রোজা রাখতে কোন নিষেধ নেই।

তিনি রোজা রাখতে পারেন।তবে তার নিজের এবং গর্বের সন্তানের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।মা ও তার গর্ভের সন্তানের কোন সমস্যা না হলে মা রোজা রাখতে পারেন অনায়াসে।আসুন জেনে নেই হবু মা রোজা রাখতে পারবে কিনা সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ।

প্রথম তিন মাস।এ সময় কারো কারো অতিরিক্ত বমি হতে পারে খুব বেশি বমি হলে তার রোজা না রাখাই ভালো।এছাড়া অন্য কোন শারীরিক সমস্যা থাকলেও রোজা না রাখাই ভালো।গর্ভধারণের তিন মাসের পর থেকে সাধারণত বোমির সমস্যা কমে আসে।এ সময় মা রোজা রাখতে পারেন।তবে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে যদি গর্ভের সন্তানের নড়াচড়া কমে যায় তাহলে সেই মায়ের রোজা না রাখাই ভালো।যদি রোজা রাখতে চান তাহলে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

যদি রোজা রাখতে চান তাহলে যা করবেন।রাতে বিশেষ করে শেষ রাতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন।অনেকে আবার একত্রে অনেকে আবার একেবারে অতিরিক্ত পানি পান করে ফেলেনম।এবং পরে অস্বস্তি দিতে ভোগেন।তাই পানি পান করার সময় খেয়াল রাখবেন খুব বেশি পানি পান করার ফলে আপনার অস্বস্তি না হয়।

পানির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পানিও পান করতে পারেন পানীল পাশাপাশি লেবুর শরবতে চীনের পাশাপাশি কিছুটা লবণ মিশে নেওয়া ভালো।গ্লুকোজ ও খেতে পারেন।শেষ রাতে দুধ খেতে পারে।ইফতারের সময় ভাজাপোড়া খাবারের চেয়ে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়াই বেশি ভালো।অনেকের গর্ভাবস্থায় কিছু ওষুধ সেবন করতে হয়।তারা দিনের বেলায় ওষুধগুলো রাতে খেয়ে নিবেন।

যে ওষুধগুলো সারাদিনে একবারই খেতেন সেগুলো রাতে খেয়ে নিতে পারেন।আর যে ওষুধগুলো মোট দুবার খেতেন সেগুলো ইফতারের সময় একবার ও শেষ রাতে আরেকবার খেয়ে নিতে পারেন।গর্ভবতী মায়ের জন্য আমার পক্ষ থেকে এই ছিল কিছু টিপস।অবশ্যই রোজা রাখার আগে আপনার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।

গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা যাবে কি

হ্যাঁ গর্ব অবস্থায় রোজা রাখা যাবে না কেন।রোজা তো সর্ব অবস্থায় রাখতে হব।যদি গর্ভকালীন অবস্থায় রোজা রাখলে কোন মায়ের শরীরের অবস্থা এত পরিমান খারাপ হয়ে যায় বা শরীরের কন্ডিশন এত পরিমাণ খারাপ থাকে যাতে করে গর্ভের বাচ্চার উপর প্রভাব পড়ে।এবং বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে তার জন্য ভিন্ন বিষয়।তিনি পরবর্তীতে কাজা আদায় করে নিবেন।


যদি তাকে ডাক্তার রেকমেন্ড করে রোজা রাখলে তার গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি হবে এবং তার জীবন হুমকির মুখে সে ক্ষেত্রে তিনি রোজা পরবর্তীতে করে নেবেন।আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তোমাদের মধ্যে যারা অসুস্থ এবং সফর অবস্থায় রয়েছ তারা অন্য কোন সময় রোজা রেখে দিলে চলবে।

গর্ভাবস্থায় রোজা রাখার বিষয়ে ইসলাম কী বলে

গর্ভাবস্থায় অনেক নারী রমজান মাসে রোজা রাখা না রাখা নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দই পড়েন।দিনভর অনেকটা সময় টানা না খেয়ে থাকায়,গর্ভে থাকা শিশু সঠিক পুষ্টি পাবে কিনা বা নিজের সুস্থ থাকবেন কিনা এ বিষয়ে অনিশ্চিতায় থাকেন।অনাগত সন্তানের সুস্থতা নিয়ে হবু মায়ের দুশ্চিন্তায় থাকায় স্বাভাবিক।তবে এক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান কি।ইসলাম এ বিষয়ে কি বলতেছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য রোজা কি অবশ্যই কর্তব্য।

নাকি ইসলামে তার শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে শিথিলতা রয়েছে।গর্ভ অবস্থায় কোন অসুস্থতা নয়।বরং জীবনের অন্যান্য ঘটনার মতো এটিও একটি স্বাভাবিকতা ও আনন্দের।এ সময়টিতে একজন গর্ভবতীর শারীরিক ও হরমোন জনিত মানসিক নানা পরিবর্তন আসে।কেউ গর্ভকালীন সময় পুরো সুস্থ স্বাভাবিক থাকেন।আবার কেউ প্রচন্ড অসুস্থ বোধ করেন।কারো শারীরিক জটিলতা বেড়ে যায়,কেউ হয়তো বিছানা বন্দী হয়ে পড়েন।

গর্ভাবস্থায় এবং সন্তানকে দুধ পান করানো অবস্থায় নারীদের রমজান মাসের ফরজ রোজা রাখার ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা বিশেষ অব্যাহতি দিয়েছেন।ফরজ রোজার কঠোর বিধান থাকলেও আল্লাহপাক কারো সাথে অতিরিক্ত বোঝার চাপিয়ে দেননি।এ কারণেই ইসলামী নারীদের বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে রোজা পালনের শিথিলতার কথা উল্লেখ আছে।

বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকদের মতে গর্ভাবস্থায় কেউ মাসব্যাপী রোজা রাখার ইচ্ছুক থাকলে,অবশ্যই তাকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ঔষধ সমন্বয় করে নিতে হবে।গর্ভকালীন সময়ে রোজা রাখলে অবশ্যই ইফতারে এবং সেহরিতে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।যদি কোন গর্ভকালীন মা মনে করেন তার শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ,এবং মাস ব্যাপী রোজা রাখলে তার শরীরের কোন ক্ষতি হবে না এবং বাচ্চার উপর কোন প্রভাব পড়বে না তাহলে তিনি নিজ দ্বিধায় রোজা রাখতে পারেন।

এতে ইসলামিক কোন বাধা নেই।এবং এর বিপরীতে যদি কোন গর্ভাবস্থায় নারী শারীরিক সমস্যায় ভোগেন এবং রোজা রাখলে তার এবং অনাগত সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তাহলে তিনি রোজা পরবর্তীতে করে নিতে পারবেন।কারণ আল্লাহতালা অসুস্থ অবস্থায় রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন।গর্ভকালীন সময়কে যদি তিন ভাগে ভাগ করা যায় তাহলে প্রথম তিন মাস একটু জটিল থাকে।

প্রথম তিন মাস
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস রোজা না রাখাই উত্তম।এ সময় গর্বে থাকা শিশু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠিত হতে থাকে।এ কারণে মায়ের শরীরে সঠিক মাত্রায় নির্দিষ্ট পরিমাণ পুষ্টি,ভিটামিন,ক্যালসিয়াম,পানি ও নানা প্রয়োজনে উপাদানের পর্যাপ্ত সরবরাহ জরুরি।ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ বেড়ে যায়,কিডনির সমস্যা ও প্রসাবে ইনফেকশন দেখা দিলে রোজা না রাখার পরামর্শদান চিকিৎসকরা।

দ্বিতীয় তিন মাস
দ্বিতীয় তিন মাস সময়টা একজন গর্ভবতী আগের চেয়ে কিছুটা ভালো অনুভব করেন বলে অনেকে রোজা রাখতে সক্ষম হন।

শেষের তিন মাস
তবে শেষে তিন মাস আবারও শারীরিক কিছুর জটিলতা দেখা দেয় অনেকের।বিশেষ করে যারা হাই রিক্স প্রেগনেন্সি বা ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভধারণ করার অবস্থান রয়েছে তাদের জন্য রোজা না রাখার পরামর্শদান চিকিৎসা।

গর্ভবতী মায়ের তার শারীরিক কোন জটিলতা না থাকলে রোজা রাখতে বাধা নেই।রোজার মাস আসার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জেনে নিতে হবে।

গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা কি নিরাপদ

সামনে আসন্ন রমজান মাস।মহিলাদের মনে অবশ্যই একটি প্রশ্ন ঘর পাক খাচ্ছে।প্রশ্নটি হচ্ছে এই রমজানে তারা কি রোজা রাখতে পারবেন কি পারবেন না।রমজান মাসে কোন কোন গর্ভবতী নারীরা রোজা রাখতে পারবেন এবং কোন কোন গর্ভবতীর নারীর আর রোজা রাখতে পারবেন না,তার ধারণা আজকের এই কনটেন্টে দিয়ে দিব।

রোজা রাখা যাবে কি যাবে না কোন অবস্থায় কোন কোন ক্ষতি হতে পারে।অন্য বয়স্ক নারী-পুরুষ সবার উপর রমজান মাসে রোজা ফরজ হলেও গর্ভবতী এবং স্তন্য মায়েদের জন্য একটু ভিন্ন সতর্কতা রয়েছে।এ বিষয়ে মায়েদের রোজা রাখা ধর্মীয় কিছু নির্দেশনা রয়েছে।গর্ভাবস্থায় যদি কোন মায়ের শারীরিক জটিলতা না থাকে তাহলে গর্ব অবস্থায় তিনি রোজা রাখতে পারেন।এক্ষেত্রে তার কোন বাধা নেই।এক্ষেত্রে অবশ্যই নির্ভর করছে রোগীর শরীরের অবস্থা বা কন্ডিশন কি এর ওপর।

প্রয়োজনে এ মাসে রোজার মাস আসার আগেই ডক্টরে পরামর্শ নিয়ে জেনে নিতে পারেন যে রোজা রাখতে পারবেন কিনা।বা আপনার জন্য কোন ঝুঁকি রয়েছে কিনা।অনেকে মনে করেন বুকে দুধ পান করাচ্ছেন বাচ্চাকে রোজা রাখলে বুকের দুধ কমে যায়।এবং সন্তান দূর থেকে বঞ্চিত হয়।আসলে এ ধরানা সঠিক নয়।মুখ্য বিষয় হচ্ছে যে গর্ভকালীন সময়ে যদি কোন মায়ের শারীরিক ও মানুষের সমস্যা না থাকে সেক্ষেত্রে তারা অবশ্যই রোজা রাখতে পারেন।

থাকলে রোজা রাখার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।এবং এছাড়া বিপরীতে কাজা রোজার ব্যবস্থা আছে পরবর্তীতে করে নিতে পারেন।গর্ভকালীন সময়কে ৩ ভাগে ভাগ করা হয় প্রথম তিন মাস দ্বিতীয় তিন মাস এবং শেষের তিন মাস।চিকিৎসকদের মতে প্রথম তিন মাস রোজা না রাখাই ভালো।কারণ এ সময়ে বাচ্চার শারীর গঠন হয়।এ সময়ে মায়ের শরীরে সঠিক মাত্রায় পুষ্টির প্রয়োজন হয়।

কারণ মায়ের শরীর থেকে অনাগত শিশু খাবার খেয়ে থাকে,এ সময় কোন কিছুর অভাব ঘটলে পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় এর ফল ভোগ করতে হতে পারে শিশুকে।গর্ভবতী মায়ের যদি বমি ভাবীর ভাব না থাকে ঠিক মতন খাবার খেতে পারে এবং শারীরিক কোন সমস্যা না থাকে তাহলে প্রথম তিন মাসেও তিনি রোজা রাখতে পারবেন।

দ্বিতীয় তিন মাসে অনেকটা সুস্থতা অনুভব করা যায়।আবার তৃতীয় তিন মাস শারীরিক মানসিক অসুস্থতায় ভুগতে পারেন।তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখতে পারেন।যদি রোজা রাখতে তার কোন সমস্যা না হয় তাহলে তার জন্য রোজা রাখা নিরাপদ।

গর্ভবতী মায়ের রোজা

রমজান মাসে অনেক মাইরি মনে প্রশ্ন থাকে গর্ভ অবস্থায় তিনি রোজা রাখতে পারবেন কিনা।আমি বলব একজন মা যদি সুস্থ স্বাভাবিক এবং শারীরিক এবং মানসিক কোন সমস্যা না থাকে তাহলে তিনি অবশ্যই রোজা রাখতে পারবেন।এবং রোজা রাখার ফলে যদি তার বাচ্চার উপর কোন প্রভাব না পড়ে তাহলে তিনি অবশ্যই রোজা রাখতে পারবেন।

প্রাপ্তবয়স্ক নারী পুরুষ সবার উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে।কিন্তু প্রসবকালীন এবং গর্ভাবস্থায় কিছুটা ভিন্ন রকম।যদি তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকেন রোজা রাখতে পারতেছেন না তাহলে তিনি পরবর্তীতে কাজা করে নিতে পারবেন।যদি গর্ভবতী মা রোজা রাখতে চান তাহলে তার জন্য করণীয় কি এবং তিনি কি করতে পারেন।

এখানে ক্লিক করুনঃরোজার নিয়ত করা কি ফরজ

যেহেতু এখন গ্রীষ্মকালীন সময়ে রোজা পড়ে গেছে।ন্যূনতম ১৪ ঘন্টা না খেয়ে থাকতে হবে।গর্ভবতী মায়ের শরীরে অনেক ঘাটতি দেখা দিতে পারে।বাচ্চার নড়াচড়া কমে যেতে পারে,তার জন্য আমাদের টেনশন করলে চলবে না।যখন তিনি ইফতারি করবেন ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত,প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন দুধ ডিম কলা এবং তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি করে খাবে।এবং পানিও জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে।

যদি গর্ভবতী মা রোজা রাখতে চান তাহলে এসব বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রেখে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখবেন।এবং আপনার শরীরের কন্ডিশন বুঝে রোজা রাখবেন।যতটা সম্ভব চেষ্টা করবেন রোজা রাখার।কারণ আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলেছেন রমজানের পুরস্কার তিনি নিজেই দিবেন।

লেখকের মন্তব্য

গর্ভবস্থায় রোজা রাখা কতটা নিরাপদ এবং গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা বিষয়ে ইসলাম কি বলেছে এ সম্পর্কে আজকের এই কনটেন্টে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।তাই আজকের এই কনটেন্টটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই যদি কোন গর্ভবতী মা এবং বোনেরা আমারে কনটেন্ট থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে আপনার পরিচয় লোক যেন উপকৃত হতে পারে আমার এই কনটেন্ট থেকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url