পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে

প্রিয় পাঠক,মহিলাদের কাজা রোজা করার বিধান কি,এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।আজকের আমি আলোচনা করব মহিলাদের ছুটে যাওয়া রোজা কিভাবে করতে হবে এবং কতদিনের মধ্যে করতে হবে এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।
পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে
এবং পিরিয়ডের কতদিন পর রোজা রাখা যাবে এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব আজকের এই ব্লক পোস্টে।পিরিয়ড একটি সাধারণ বিষয়।এটি প্রতিটি মা বোনদের হয়ে থাকে।এ বিষয়ে লজ্জা না করে সবার জানা উচিত।

ভূমিকা

রোজা রাখা অবস্থায় কোন মহিলাদের মাসিক শুরু হয়ে গেলে তিনি কি করবেন।আমরা জানি মাসিক হলে রোজা ভেঙ্গে যায়।কিন্তু ওই মহিলা ইফতারের আগে কিছু খেতে পারবেন কি।এ ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি।চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।উম্মতে মুহাম্মদের উপর রমজান মাসের রোজা কে আল্লাহ পাক ফরজ করেছেন।কিন্তু কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোর কারণে রোজা ভেঙে যায়।


আজকে আমি আলোচনা করব রমজান মাসে মা-বোনদের মাসিক হলে করনীয় কি।আপনি কি করবেন।এ বিষয়ে ইসলাম কি বলতেছে।আজকের এই কনটেন্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন আশা করি উপকৃত হবেন।রোজা অবস্থায় রোজা রাখতেছেন হঠাৎ করে যেকোনো সময় মাসিক শুরু হয়ে গেছে ওই মুহূর্তে আপনি রোজাটা ভেঙ্গে ফেলবেন কিনা এ বিষয়ে ইসলাম কি বলতেছেন।
  • রমজান মাসে মাসিক হলে করণীয় কি
  • রোজা রাখা অবস্থায় মাসিক হলে রোজা হবে কি
  • মাসিক অবস্থায় মহিলাদের নামাজ রোজার বিধান কি
  • পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে
  • মহিলাদের কাজা রোজা রাখার নিয়ম

রমজান মাসে মাসিক হলে করণীয় কি

প্রিয় ভিউয়ার্স আজকে আমি আলোচনা করব রমজান মাসে মা-বোনদের মাসিক হলে করনীয় কি।আপনি কি করবেন।এ বিষয়ে ইসলাম কি বলতেছে।আজকের এই কনটেন্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন আশা করি উপকৃত হবেন।রোজা অবস্থায় রোজা রাখতেছেন হঠাৎ করে যেকোনো সময় মাসিক শুরু হয়ে গেছে ওই মুহূর্তে আপনি রোজাটা ভেঙ্গে ফেলবেন কিনা এ বিষয়ে ইসলাম কি বলতেছেন।

যদিও এটি একটি অসুস্থতা মাসিক হয়ে গেছে এমন তো অবস্থায় আপনার রোজা ভেঙ্গে গেছে।এমন তো অবস্থায় যতদিন আপনার মাসিক চলতে থাকবে ততদিন রোজা রাখা যাবে না।যে কয়দিন রোজা রাখতে পারবেন না তিন দিন পাঁচ দিন সাত দিন দশ দিন ইত্যাদি এই রোজাটা রমজান মাসের পরে যে কোন মাসে কাজা করে নিতে হবে।কিন্তু রোজা আছেন এমন তো অবস্থায় মাসিক হয়ে গেল এমন তো অবস্থায় আপনার করণীয় হচ্ছে রোজার সম্মানার্থে সারাদিন আপনাকে না খেয়ে থাকতে হবে।

এবং ইফতারের সময় সবার সাথে ইফতার করেন।যদিও রোজা হলো না কিন্তু আপনি রোজার সম্মান করলেন এর কারণে আল্লাহ চাইলে রোজার সব দিয়ে দিতেও পারেন।আবার রোজা অবস্থায় মাসিক হয়ে গেলে রোজা ভেঙ্গে ফেললেন এতেও কোন সমস্যা নেই।রোজা রাখা না রাখা এটা একান্তই আপনার ব্যাপার,তো রাখলে রোজার সম্মানটা রক্ষা হয়।তাই মা-বোনরা চেষ্টা করবেন রোজার সম্মানটা রক্ষা করার।

রোজা রাখা অবস্থায় মাসিক হলে রোজা হবে কি

আজ আমি আলোচনা করব রোজা রাখা অবস্থায় কোন মহিলাদের মাসিক শুরু হয়ে গেলে তিনি কি করবেন।আমরা জানি মাসিক হলে রোজা ভেঙ্গে যায়।কিন্তু ওই মহিলা ইফতারের আগে কিছু খেতে পারবেন কি।এ ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি।চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।উম্মতে মুহাম্মদের উপর রমজান মাসের রোজা কে আল্লাহ পাক ফরজ করেছেন।

কিন্তু কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলোর কারণে রোজা ভেঙে যায়।যেমন দিনের বেলায় কিছু খাওয়া,পান করা,সহবাস করা,মাসিক হওয়া ইত্যাদ।ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা নষ্ট করা কবিরা গুনাহ।এটার জন্য কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে।ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙলে তাকে কাফফারা আদায় করতে হবে।এ বিষয়ে না হয় অন্য একদিন আলোচনা করা যাবে।

আজকের কন্টেন্টের মূল আলোচনা ফেলা যাক।রমজান মাসে কোন মা বোন সেহরি খেয়ে রোজা শুরু করেছেন কিন্তু মাগরিবের আজানের আগে তার মাসিক শুরু হয়ে গেছে।ওই মাসিক হওয়ার কারণে তার রোজা ভেঙ্গে যাবে।ওই মহিলা না খেয়ে মাগরিব পর্যন্ত থাকলেও তার ওই দিনের রোজা কাজা আদায় করতে হবে।এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল রমজান মাসে রোজা শুরু করার পর মাসিক হলে মহিলাটি ইফতারের আগে কিছু খেতে পারবে নাকি মাগরিব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

রমজান মাসে হায়জের দিনগুলোতে রোজা না রাখা অবস্থায় অথবা রোজা রাখা পর মাসিক শুরু হলে তার জন্য পানাহার করা বৈধ।তবে অন্য লোকদের সামনে পারার করা উচিত নয়।তবে দিনের বেলায় যদি ঋতুবন্ধ হয়ে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে,তাহলে দিনের বাকি অংশে রোজাদারের মতো পানহার ও সবার বর্জন করা ওয়াজিব।মনে করেন একজন মহিলার চার দিন মাসিক হয়।তিনি সেহরি খেয়ে রোজা আরম্ভ করলো।দুপুর বেলা তার মাসিক শুরু হলো।

তাহলে দুপুরে পর থেকে তিনি পানাহার করতে পারবেন।তবে অন্য কারো সামনে খাওয়া যাবেনা।এরপর চারদিন মাসিক চলাকালীন সময়ে দিনে দিনের বেলা খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন কোন অসুবিধা নেই।চারদিন পর দুপুরবেলায় তার মাসিক বন্ধ হল ওই সময় থেকে তিনি রোজাদার ব্যক্তির মত খাওয়া দাওয়া,সহবাসিত থেকে বিরত থাকবেন।


কেননা তিনি পবিত্র হয়ে গেছেন।ওই অবস্থায় ওই মহিলার গোসল করে নামাজ শুরু করতে হবে।পরের দিন থেকে রোজা রাখতে হবে।মাসিক চলাকালীন দিনগুলো রোজা পরে কাজে আদায় করতে হবে।এই অবস্থায় মহিলাদের নামাজ মাপ রয়েছে।নামাজের কাজা আদায় করতে হবে না।আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জেনে বুঝে সঠিক আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।

মাসিক অবস্থায় মহিলাদের নামাজ রোজার বিধান কি

প্রিয় ভিউয়ার্স রমজান অনেক মা-বোনদের মাসিক আরম্ভ হয়ে যায় এর কারণে তারা নামাজ রোজা পালন করতে পারেন না।মাসিক রোজা রাখা নিষিদ্ধ।তখন একজন মা-বোন রমজান মাসের ইবাদত বন্দেগি কিভাবে সার্থক করতে পারেন এ বিষয়ে কথা বলব ইনশাআল্লাহ।মাসিকের বিষয়টি অনেক মহিলার কাছেই লজ্জার বিষয়।এ বিষয়ে অনেকের সঠিক ধারণা নেই।কোন সমস্যা হলে তারা সমাধান না খুঁজে বা সঠিক না জেনে এই বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা করে।

এটি একটি সাধারণ বিষয় যা প্রতিটি মহিলাকে জানতে হবে।নইলে ইবাদত বন্দুকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তাছাড়া শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।তাই আসুন বন্ধুরা এখন আমরা জেনে নেব রমজান মাসে মাসিক হলে মেয়েরা কি করবেন।বা কতদিন পরে তারা নামাজ রোজা আদায় করতে পারবেন।মাসিক স্থায়িত্ব একেক জনের একই রকম।

সর্বোচ্চ ১০ দিন ১০ রাত এবং সর্বনিম্ন তিন দিন তিন রাত।যেদিন মাসিক শেষ হবে তারপরে দিন থেকে নামাজ রোজা করতে হবে।যদি উক্ত মহিলার মাসিক ঋতুস্রাব এর সময়সীমা ছয় বা সাত দিন হয় কিন্তু মাঝে মধ্যে সময়সীমা বৃদ্ধি হয়ে ৮,৯,১০ অথবা ১১ দিন গড়াই,তাহলে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাকে রোজা ও নামাজ আদায় করতে হবে না।কেননা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ঋতুস্রাবের কোন নির্দিষ্ট সময় সীমা বেঁধে দেননি।

আর আল্লাহতালা পবিত্র কুরআনের মধ্যেও বলেছেন,তারা তোমাকে মহিলাদের ঋতুস্রাব সম্বন্ধে জিজ্ঞাস করলে তুমি বলে দাও সেটা হচ্ছে কষ্টদায়ক বস্তু।সুতরাং এই রক্ত থাকাকালীন সময়ে মহিলারা নামাজ রোজা থেকে দূরে থাকবে।তারপর ভালো হয়ে গেলে গোসল করে পবিত্রতা অবস্থায় নামাজ আদায় করবে।অনুরু ভাবে পরবর্তী মাসে যদি গত মাসের তুলনায় কম দিনে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে সে গোসল করে নেবে এবং নামাজ রোজা শুরু করবে।

তবে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো,মহিলাদের ঋতুস্রাব থাকাকালীন সময়ে সে নামাজ আদায় করবে না।আর যখনই বন্ধ হয়ে যাবে সে ওয়াক্ত থেকে পবিত্র হয়ে তখন নামাজ আদায় করবে।এর একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ প্রথমে জানতে হবে যে মাসিক সবার ক্ষেত্রে সমান নয়।তাই প্রত্যেকেরই একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে।তবে মাঝেমধ্যে ব্যাতিক্রম হয়।


দিন কমতে পারে অথবা বাড়তে পারে।এমন হলে যতদিন রক্ত যাবে ততদিন মাসিকের রক্ত ধরবে কিন্তু সেটা বেড়ে যদি ১০ দিনের বেশি বা তিন দিনের কম হয়ে যায় তাহলে সেটি মাসিক নয়।রোগের রক্ত হিসাবে গণনা করা হবে।এই সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিত।মাসিক সর্বনিম্ন সময় হচ্ছে তিন দিন তিন রাত আর সর্বোচ্চ সময় হচ্ছে দশ দিন দশ রাত।

মাসিক মেয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাসালা।

(১)মহিলাদের পিরিয়ড চলাকালীন রোজা ছাড়া আর হুকুম রয়েছে।পিরিয়ড কোন লজ্জার বিষয় নয়।এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া,এই পিরিয়ডের সময় মেয়েদের শরীরে অনেকটা ও অসুস্থ অনোভাব হয়।অনেক নারী আছে যারা পিরিয়ডের সময় রোজা না রেখেও সারাদিন শুকিয়ে থাকে।এমনটা না করাই উত্তম কারণ আল্লাহতালা যেখানে মেয়েদের জন্য রোজা ছাড়ার হুকুম দিয়েছেন সেখানে না খেয়ে নিজেকে কষ্ট দেওয়া মোটেও ঠিক নয়।

(২)এখন যার যতদিন বা সময় হবে তার মাসিকের রক্ত বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে গোসল করতে হবে।অর্থাৎ ইবাদত করতে পারবে।

(৩)রমজান মাসে কার মাসিক হলে সে রোজা,নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াত করতে পারবে না।
(৪)যে নামাজের ওয়াক্তে মাসিক বন্ধ হবে সেই ওয়াক্ত থেকে গোসল করে পবিত্র হয়ে নামাজ পড়বে এবং পরের দিন থেকে রোজা রাখবে।এবং যে কয়দিন রোজা রাখতে পারবে না তা রমজানের পরবর্তী মাসে কাজা করে নিতে হবে।

পিরিয়ডের কত দিন পর রোজা রাখা যাবে

সুপ্রিয় ভিউয়ার্স আশাকরি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত ও দয়াই সবাই ভাল আছেন।সুপ্রিয় ভিউয়ার্স আজকের এই কনটেন্টটি এক বোনের প্রশ্নের উত্তরে সাজানো হয়েছে।তার প্রশ্নটি ছিল মাসিক শেষ হওয়ার কতদিন পর থেকে নামাজ করা যাবে এবং রোজা রাখতে পারবে।ধন্যবাদ প্রিয় বোন আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন করেছেন।

তো এ বিষয়ে সঠিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।তো বোন আপনি জানতে চেয়েছেন যে মাসিক শেষ হওয়ার কতদিন পর থেকে নামাজ পড়তে পারবে এবং রোজা রাখতে পারবে।তো সে ক্ষেত্রে বলা যায় মাসিক সর্বোচ্চ মেয়াদ হচ্ছে দশ দিন দশ রাত।আর সর্বনিম্ন মেয়াদ হচ্ছে তিন দিন তিন রাত।এর ভেতরে পুরোটা সময়কেই মাসিক বলে গণ্য করা হবে।এ সময় পুরোটাই আপনি নামাজ পড়তে পারবেন না এবং রোজা রাখতে পারবেন না।

যতক্ষণ না আপনি পুরোপুরি সুস্থ হবেন।আপনি যখনই মাসিক থেকে সুস্থ হয়ে যাবেন ঠিক তখনই ফরজ গোসল করে বা পবিত্রতা অর্জন করে নামাজ পড়তে হবে।এবং যদি দিনের বেলায় সুস্থ হয়ে যান তাহলে পরের দিন থেকেই রোজা রাখতে হবে।তো আশা করি বুঝতে পারতেছেন যে যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার মাসিক ভালো হবে না ততক্ষণ নামাজ রোজা বন্ধ রাখতে হবে।এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি পবিত্রতা অর্জন ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি নামাজ-রোজা থেকে বিরত থাকবেন করছেন।

অতঃপর পবিত্র হওয়ার পর নামাজ রোজা শুরু করবেন।আপনার যখনই মনে হবে যে আপনার মাসিক রক্ত থেকে পবিত্র হয়ে গেছেন তখনই নামাজ রোজা শুরু করে দেবেন যদি ওয়াক্ত থাকে।তখন এই দিন থেকেই আপনার নিয়মিত নামাজ পড়ে যেতে পারবেন।এবং রোজা রাখতে পারবেন যদি রোজা থাকে।আশা করি বুঝতে পারছেন।

মহিলাদের কাজা রোজা রাখার নিয়ম

আজকে আমি আলোচনা করব,বিশেষ করে আমার মা-বোনদের রমজান মাসের ভাংতি রোজা যেভাবে কাজা করবেন।ইসলামের শরীয়তের পরিভাষায়,মহিলাদের মাসিক ঋতুচক্রকে হায়েজ বলে।আর প্রসাব পরবর্তী এই স্রাবকে নেফাজ বলে।হায়েজ ও নেফাজ গ্রস্ত নারীদের জন্য নামাজ আদায় ও রমজানের রোজা রাখা জায়েজ নই।এমন তো অবস্থায় যদি কেউ রোজা রাখেন কিংবা নামাজ আদায় করেন,তাহলে তারা শরীয়তের বিরুদ্ধচারণ করবেন।

ইসলামি বিশেষ্যগণ বলেছেন,ঋতুবতী নারীরা রমজানের ভাংতি রোজা গুলো অন্য যেকোনো মাসে কাজা করে দিতে হবে।এবং এক্ষেত্রে কোন কাফফারা আদায় করতে হবে না।নারীদের রমজানে ভাংতি রোজাগুলো রমজানের পর যে কোন মাসে নিকটতম সময়ে কাজা করে নিতে হবে।তবে রমজানের পরেই কাজা আদায় করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।বরং রমজান শুরু হওয়ার আগে যে কোন মাসে তা আদায় করা যায়।


এই মর্মে আম্মাজান আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত এ হাদিসে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে।তিনি বলেন,রমজান মাসে আমার যে রোজাগুলো ছুটে যেত পরবর্তী সাবান মাসের মধ্যে আমি তা কাজা করে ফেলতাম।যদি কোন নারী শরীয়তসম্মত কারণেবসত রমজানে তার ভাংতি রোজা গুলো পর্বতে রমজান আসার আগে কাজা করতে না পারে তবে রমজানে পরবর্তী সময়ে সেই পূর্বের রমজানের রোজাগুলো তাকে অবশ্যই কাজা করে নিতে হবে।

আর যদি এই বিলম্বের পেছনে শরীয়ত সম্মত কোন কারণ না থাকে তা হলে পরবর্তী রোজা কাজা করার পাশাপাশি প্রতিটা রোজার জন্য তাকে ফিদিয়া আদায় করতে হবে।সুতরাং মহিলাদের মাসিক ঋতুচক্রের কারণে ভাংতি রোজাগুলো অবশ্যই পরবর্তী বছরে রমজান আসার আগেই কাজা করে নিতে হবে।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে রমজান মাসে মা বোনদের মাসিক বার ঋতু চক্রের কারণে ছুটে যাওয়ার রোজা করার বিধান কি।এবং মাসিক অবস্থায় রোজা এবং নামাজ আদায় করা যাবে কিনা এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।তাই আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা যদি কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে আপনার পরিচিত লোকেরাও এই আর্টিকেল থেকে উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url