সকালে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা
প্রিয় পাঠক কিভাবে প্রতিদিন ভোর বেলায় ঘুম থেকে ওঠা সম্ভব।এ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না তাদের জন্য আজকের এ আর্টিকেল।আজকের এই আর্টিকেলে আমি আলোচনা করব কিভাবে ভোর বেলায় ঘুম থেকে ওঠা যায়।
সকালে ঘুম থেকে ওঠা শরীরের জন্য কতটা ভালো এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল আলোচনা করা হবে।কাল ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা সম্পর্কেও আজকের এয়ারটেলে আলোচনা করা হবে।যদি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।তাহলে আশা করব উপকৃত হবেন আজকের এই আর্টিকেল থেকে।
ভূমিকা
এক গবেষণায় দেখা গেছে ভোরে ঘুম থেকে ওঠা ব্যক্তিরা বেলা করে ঘুম থেকে ওঠা ব্যক্তিদের থেকে বেশি সফল।কারণ সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে পারলে কাজ এবং অবসর দুটোর জন্য অনেক বেশি সময় পাওয়া যায়।কিন্তু লাগাম ছাড়া ঘুমটা কে যেন কিছুতেই বশ বানানো যায় না। অসংখ্য মানুষ এই সমস্যাতে ভুগছেন।
কিন্তু এই সমস্যার সমাধানের কিছু সহজ উপায় রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি দেখতে পাবেন ভোরের আলো এবং জীবনে পাবেন সাফল।রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো।আবার স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে ভোর ভোর উঠে পড়াও জরুরি।এমন কথা বলা হয়েই থাকে।এর কারণ এটি অন্ধকার হওয়ার পর থেকে শরীরের কর্মক্ষমতা কমতে থাকে।
আবার সকালের দিকে কাজের ক্ষমতা থাকে তুঙ্গে কিন্তু সকাল ঠিক কটার সময় ঘুম থেকে উঠলে শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় অনেকেরই মনের মধ্যে।কে বলবেন আগের রাতে কখন ঘুমিয়েছেন তার উপর নির্ভর করবে ঘুম থেকে ওঠার সময়।
- কীভাবে প্রতিদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা সম্ভব
- ভোরে ঘুম থেকে উঠার নয়টি উপায়
- সকালে ঘুম থেকে দেরি করে উঠলে কি হয়
- সকালে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা
- ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা মোটিভেশন
কীভাবে প্রতিদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা সম্ভব
আপনার সাথে এরকম কতবার হয়েছে।আপনি রেগুলার ভোরবেলা ওঠার অভ্যাস তৈরি করতে চেয়েছেন।কিন্তু দু-তিন দিন ওঠার পর আর সেটা ক্যান্টিনেও করতে পারেননি।চারবার পাঁচবার বা দশবার।আমার সাথে কম করে হলেও এটা ৫০ বার হয়েছে।কিন্তু এখন প্রতিদিন ঠিক ভোর সাড়ে চারটের আশেপাশে কোন অ্যালার্ম ক্লক ছাড়াই অটোমেটিক আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়।
তো আমি শেষ অব্দি কি এমন করলাম যে আমি ফাইনালি প্রতিদিন ভোরবেলা ওঠার অভ্যাসটা গড়ে তুলতে সফল হলাম।সেটাই আজ আমি আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব।শুরু করার আগে বলি,আমিও আপনার মত ৫০ রকমের টিপস যেমন অ্যালার্ম ক্লক টা বেক থেকে দূরে রাখা তারপর আস্তে আস্তে ১৫ মিনিট করে আগে ওঠা এই সবকিছু ট্রাই করেছিলাম।
আপনার মতই এগুলো আমার একটাও উপকারে আসেনি।এই টিপসগুলো যখন আমরা সচেতন থাকি তখন লজিক অনুযায়ী ঠিক আছে।কিন্তু ঘুমের সময় আমাদের সচেতনতা হারিয়ে যায়।তখন আমরা কোন লজিক প্রসেস করার ক্ষমতাটা হারিয়ে ফেলি।তখন একমাত্র যেটা একটিভ থাকে সেটা হলো আমাদের সাবকনসেশন মাইন্ড।অর্থাৎ অবচেতন মন।
তাই যদি আপনি সত্যিই নিয়মিত ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে চান তো আমার পার্সোনাল অভিজ্ঞতা থেকে আমি আপনাকে বলতে পারি তাই একটাই উপায় আছে।আপনাকে আপনার অবিচেতন মনকে এক্সেস করতে হবে।অন্তত একটু টেকনিক্যালি বললে আপনাকে আপনার সাব কনসেশন্স মাইন্ড হ্যাক করতে হবে।এখানে দুটি আলাদা আলাদা দ্বীনের এক্সাম্পল দিয়ে।
যেদিন ধরুন আপনি ভোরবেলার কোন এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে বন্ধুদের সাথে কোথাও ঘুরতে যাবেন সেদিন কোনো আপনার এলার্ম ক্লক এর দরকার পড়ে।নিশ্চয়ই না।প্রথমত তো এক্সাইটমেন্টে সারারাত ঘুমিয়ে আসে না তাও রাতে একটা দুটোর দিকে যদি ঘুম আসে ও কোন অ্যালার্ম ক্লক ছাড়াই সেদিন অটোমেটিক চারটের অনেক আগেই ঘুমিয়ে যায়।
অন্যদিকে যেদিন আপনি জানেন পরদিন আপনার ছুটি,কোন কাজ নেই সেদিন তো যেন ৫০ বার সুইজ বাটন টিপে টিপে ভেঙে ফেলার পরও ঘুম ভাঙ্গে না।এই দুদিনের ডিফারেন্সটা একটু মন দিয়ে খেয়াল করলি আপনিও বুঝে যাবেন আসল খেলাটা ঠিক কি।আমি দুটো দিনের ডিফারেন্সগুলো বলে আপনাকে জাস্ট একটু ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
প্রথম দিন অর্থাৎ ঘুরতে যাওয়ার আগের দিনের ক্ষেত্রে পরের দিন ভোর বেলায় ঘুম থেকে ওঠার একটা এক্সাইমেন্ট কাজ করে।আপনি অধীর আগ্রহে থাকেন কখন কালকে সকালটা হবে।আর দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ছুটির দিনে অলসতা কাজ করে এখন না একটু পরে উঠি।এই কারণেই ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা যায় না।প্রতিদিন ভোর বেলায় উঠতে হলে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অভ্যাস করতে হবে।
কারণ ফজরের নামাজের অভ্যাস করলে নিয়মিত ভোরবেলা ওঠা সম্ভব। তো ঘুমানোর আগে পর্যন্ত আপনার সাবকনসন মাইন্ড ঠিক যেরকম সিগনাল পায় ও সেরকমই কাজ করে।আপনি মনের ভেতর থেকে উঠতে না চাইলে আপনাকে উঠতে দেয় না।আর মনের ভিতর থেকে উঠতে চাইলে কোন এলার্ম ক্লাক ছাড়াই উঠিয়ে দেয়।
এখান থেকে আমরা যা বুঝতে পারতেছি তা তা হচ্ছে দুটো জিনিস নিয়ে।ঘুমানোর আগে আপনি কি ভাবতেছেন।আর পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি কি করবেন।পানের আগে পরের দিন সকালে কি করব এ বিষয় নিয়ে এক্সাইটেড থাকতে হবে।যাতে করে আমরা প্রতিদিন সকালে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারি।
ভোরে ঘুম থেকে উঠার পাঁচটি উপায়
এক গবেষণায় দেখা গেছে ভোরে ঘুম থেকে ওঠা ব্যক্তিরা বেলা করে ঘুম থেকে ওঠা ব্যক্তিদের থেকে বেশি সফল।কারণ সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে পারলে কাজ এবং অবসর দুটোর জন্য অনেক বেশি সময় পাওয়া যায়।কিন্তু লাগাম ছাড়া ঘুমটা কে যেন কিছুতেই বশ বানানো যায় না।
অসংখ্য মানুষ এই সমস্যাতে ভুগছেন। কিন্তু এই সমস্যার সমাধানের কিছু সহজ উপায় রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি দেখতে পাবেন ভোরের আলো এবং জীবনে পাবেন সাফল্। এই আর্টিকেলে আমরা জেনে নেব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পাঁচটি উপায়।
(১)ঘুমকে প্রাধান্য দিন
যেকোনো অজুহাতের কারণে রাতে ঘুমাতে দেরি হয় আপনার।কিন্তু চেষ্টা করুন প্রতিদিন রাতে তাড়াতাড়ি এবং একই সময়ে ঘুমানোর এবং জেগে ওঠার।
(২)প্রথমে একটি পদক্ষেপ নেন,
আপনার লোককে পৌঁছানোর জন্য সময় নির্ধারণ করুন।এবং ছোট ছোট পদক্ষেপ নিন।প্রথম দিন আপনি নিয়মিত ঘুমানোর সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট পূর্বে ঘুমাতে যান।এবং ১৫ মিনিট আগে ঘুম থেকে জেগে উঠুন।পরে দেন ৩০ মিনিট আগে ঘুমান এভাবে আস্তে আস্তে সময় বাড়াতে পারবেন।
(৩)দুপুরে তন্দ্রাকে এড়িয়ে চলুন
যদি ডাক্তারের পরামর্শ না থাকে তাহলে দুপুরে ঘুমাবেন না।কারণ দুপুরে ঘুমের কারণে রাতে দেরিতে ঘুম আসে।এবং সকালে উঠতেও দেরি হয়।তাই দুপুরের ঘুমকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য দুপুরে কোন কাজ করুন বা শখের কাজের সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করুন।
(৪)চক্রটিকে ভাঙ্গন
আপনি দেরিতে ঘুমাতে যান এবং দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন এই চক্র থেকে আপনার বের হওয়া প্রয়োজন।এর জন্য জোর করে হলেও একই সময় ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে জেগে উঠুন।ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস উষ্ণ দুধ পান করুন।এবং ব্যায়াম করুন।এই কাজগুলো আপনাকে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে সাহায্য করবে।
(৫)কফি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন
দুপুরের পর বা বিকেল থেকে কেফিন খাওয়ার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করুন।এক গবেষণায় বলা হয়েছে ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন খেলে ৬ ঘন্টার পর তা ঘুমের সমস্যা করে।স্বাভাবিক পরিমাণ এক কাপ কফিতে এই পরিমাণ ক্যাপিন থাকে।বিকেল পাঁচ টার আগে থেকেই কপি খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
সকালে ঘুম থেকে দেরি করে উঠলে কি হয়
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো।আবার স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে ভোর ভোর উঠে পড়াও জরুরি।এমন কথা বলা হয়েই থাকে।এর কারণ এটি অন্ধকার হওয়ার পর থেকে শরীরের কর্মক্ষমতা কমতে থাকে।আবার সকালের দিকে কাজের ক্ষমতা থাকে তুঙ্গে কিন্তু সকাল ঠিক কটার সময় ঘুম থেকে উঠলে শরীরের জন্য সবচেয়ে ভালো এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় অনেকেরই মনের মধ্যে।
কে বলবেন আগের রাতে কখন ঘুমিয়েছেন তার উপর নির্ভর করবে ঘুম থেকে ওঠার সময়।যদি রাত এগারোটায় ঘুমাতে যান তবে অন্তত সাত ঘন্টা ঘুমিয়ে সকাল ছয়টায় উঠবেন।আরো ভালো হয় যদি ৮ ঘন্টা ঘুমানো যায়।সেক্ষেত্রে উঠবেন সকাল সাতটা কিন্তু সত্যিই কি এই হিসাব এতটা সহজ নাকি ঘুম থেকে ওঠার সময় আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ হলো সকালে ওঠার সময়টি আগে থেকে ঠিক করে রাখা জরুরী।কোন সময় দিন শুরু করলে সুবিধা টা ঠিক করতে হবে নিজেকেই।সেই মতোই উঠতে হবে ঘুম থেকে।সকাল ছয়টা হলো কি সাতটা তার নিজে ঠিক করা ভালো।সকালে ঘুম থেকে উঠলে কাজের জন্য সময় বেশি পাওয়া যায়।এছাড়া কাজের গতি বেড়ে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে যখন কোন ব্যক্তি ভরে ওঠেন তখন অন্যদের তুলনায় তিনি বেশি সক্রিয় থাকেন এবং কাজে সময় নেন কম।সকালে উঠলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।যখন কেউ সকালে ওঠেন তখন কাজের তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যায়।সকালে ঘুম থেকে ওঠা মানে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এতে ঘুম ভালো হয়।
প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা হলেও অভ্যাস হয়ে গেলে দেহ গরিব ঘুমের নতুন সময় ও সকালে ওঠার বিষয়টি মানিয়ে নেবে।যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক গবেষণায় দেখেছেন যারা সকালে ঘুম থেকে ওঠেন তারা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফল করে।সামপ্রতীকে গবেষণায় দেখা গেছে যাদের ভোরে ঘুম ভাঙ্গে তার বেশি সুখী হয়।এই সুখ স্বল্প মেয়াদী নয় বরং সারাটা জীবন ধরেই সুখ হয়ে যায়।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা
সকালে ঘুম থেকে উঠলে দেহ মন সতেজ থাকে। এছাড়া কাজ করার জন্য সারাদিন প্রচুর সময় পাবেন আপনি ।যারা সকলে ঘুম থেকে উঠেন,তারাই কেবল জানেন এর উপকারিতা।বিখ্যাত মনীষী বেঞ্জামিন বলতে, ভোরের মুখে সোনার রং থাকে।আসুন জেনে নিই আজকের এই আর্টিকেলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পাঁচটি উপকারিতা।
(১)সকালে উঠলে কাজের জন্য সময় বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া কাজের গতি বেড়ে যাই। গবেষণায় দেখা গেছে , যখন কোন ব্যক্তি ভরে ওঠেন, তখন অন্যদের তুলনায় তিনি বেশি সক্রিয় থাকেন এবং কাজের সময় বেশি পাওয়া যায়।
(২)সকালে উঠলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যখন কেউ সকলে উঠেন,তখন কাজের তাড়া সক্রিয়ভাবে কমে যায়।
(৩)সকালে ঘুম থেকে উঠা মানে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়, এতে ঘুম ভালো হয। প্রথমে একটু অসুবিধা হলেও অভ্যাস হয়ে গেলে দেহঘড়ি ঘুমের নতুন সময় ও সকাল ওঠার বিষয়টি মানিয়ে নেওয়া যায়।
(৪)যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় গবেষকরা গবেষণা দেখেছেন, যারা সকালে ঘুম থেকে উঠেন,তারা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা শিক্ষার্থীদের তুলনায় ভালো ফলাফল করে।
(৫)সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ভোরে ঘুম ভাঙ্গে তারা বেশি সুখী হন। এই সুখ স্বল্প মেয়াদী নয়, বরং সারাটা জীবন ধরে সুখ ছুয়ে যায় তাদের জীবনে।
ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা মোটিভেশন
ভোরবেলার এলাম ঘরের আওয়াজ কখনো মানুষকে জাগিয়ে তোলে না।মানুষকে জাগিয়ে তোলে তার ভেতরে জেদ তার দায়িত্ব।দায়িত্ব এটা তুমি নিতে চাও না।যেটা তোমার নিজের মধ্যেই তুমি পুষে রাখো।কোন কাজের উপরে দেখাও না।শরীরের থেকে বেশি তোমার মনে অলসতা জমে গিয়েছে।রাত্রে ঠিক করলে যে কালকে ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠবো।
কিন্তু পরের দিন ভোরবেলা তো ছাড়ো সকাল ন'টা বেজে যাচ্ছে তবু তুমি বেহুশ হয়ে বিছানায় পড়ে আছো।অর্থাৎ এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে,তোমার ভিতরে সেই উদ্যোগই নেই।যে উত্তমের জোরে মানুষ তার জীবনে সফলতা আনে।হয় তোমার শরীরের মনের এই অলসতা কে দূর করো আর নয়তো আজই একদিন ওই জায়গায় পৌছাবো এই স্বপ্নগুলো একদিন আমি এরকম হবো তোমার এই আশাগুলো মন থেকে মুছে ফেলো।
আর একটা সাধারণ নরমাল জীবন প্ল্যানিং শুরু করো।দুনিয়ার কোন ঘড়িই তোমার শরীরের অলসতাকে দূর করতে পারবে না।ভোরবেলা তোমাকে কয়েক মিনিটের জন্য সজাগ করে দিতে পারে।কিন্তু তোমাকে জাগিয়ে তুলতে পারবে না।বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় আপনার ভেতরে জোষ এনে দিতে পারবে না।তোমাকে ওই এলার্ম ঘড়ির পাশাপাশি তোমার মনের ঘড়িটিতেও অ্যালার্ম দিতে হবে।
ভোর বেলায় এলাম ঘড়ি তোমাকে সজাগ করে দেবে।আর তোমার মনের ঘড়ি তোমাকে জাগিয়ে তুলবে।তোমার ভিতরে জোস এনে দেবে যাতে আল্লিশিকে নিজের শরীর থেকে বহু দূরে ছুড়ে ফেলে এক লাফে তুমি বিছানা ছেড়ে উঠে যাও।কারণ মনের ঘড়িতে যে এলাম বাজবে সেটা কোন সাধারণ রিংটোন না।চলো উঠ তুই ভুলে যাচ্ছিস তোর লক্ষ্যগুলোকে ভুলে যাচ্ছিস ঐ লোকগুলোকে।
যাদেরকে তুই কিছু করে দেখাতে চাষ।তুই ভুলে যাচ্ছিস তুই কি কি স্বপ্ন দেখেছিস।তুই ভুলে যাচ্ছিস নিজেকে নিজে তুই কি কি কথা দিয়েছিস।তুই ভুলে যাচ্ছিস তোর দায়িত্ব গুলোকে।এই আওয়াজগুলো তোমাকে এক মুহূর্ত বিছানায় টিকতে দেবে না।যখন তুমি সংঘর্ষের পথে চলবে।বারবার তোমার মনের বিশ্বাসে কে সন্দেহ থেকে উঠবে।
বারবার তুমি হতাশ হয়ে যাবে।তবে সেই সময় নিরন্তর প্রচেষ্টা করে যাওয়ার জন্যই তোমার ভেতরে ইন্ধন যোগাবে একমাত্র তোমার নিজের প্রতি নিজের ভরসা।সংঘর্ষ আমাদেরকে ক্লান্ত করে দেয় ঠিকই কিন্তু আমাদেরকে ভিতর থেকে মজবুত আর পরিশ্রমী বানিয়ে তোলে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে কিভাবে ভোর বেলায় ঘুম থেকে ওঠা যায় এ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।সকালে ঘুম থেকে উঠলে যে সকল উপকারিতা হয়ে হয় তা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে।তাই এ সম্পর্কে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনার যদি কোন উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে।ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url