বাংলাদেশে কত সালে সর্বপ্রথম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়
প্রিয় পাঠক,বাংলাদেশে কিভাবে ইজতেমা শুরু হল।এ সম্পর্কে আপনারা যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারতেছেন না,তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল।আজকের এই আর্টিকেলে,ইজতেমা কিভাবে বাংলাদেশে এল এবং বাংলাদেশে এর প্রথম ইজতেমা কোথায় হয়েছিলএবং কার হাত ধরে বাংলাদেশের ইজতেমা এসেছে এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে জানানোর চেষ্টা করব।
এবং আজকের এই আর্টিকেলে বাংলাদেশে কত সালে এ বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।আপনারা যদি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।যদি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়েন আশাকরি উপকৃত হবেন।
ভূমিকা
প্রতিবছর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অদূরে টঙ্গীতে লাখ লাখ মানুষ একত্রিত হন।হজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েতের।এই ইজতেমা কেন কিভাবে কবে শুরু হয় বাংলাদেশে কেন হয় এবং কবে থেকে বাংলাদেশের এই ইজতেমাকে বিশ্ব ইজতেমা বলা হয় এ প্রশ্নের উত্তর খুজবো আজকের আর্টিকেলে।ইজতেমা শব্দের বাংলা অর্থ সমবেত হওয়া।
ভারতে ১৯২০ সালে এবং তৎকালীন বঙ্গ দেশে ১৯৪৪ সাল থেকে তাবলীগ জামাতের কাজ শুরু হয়।টঙ্গীর পাগারগ্রাম কাছে একটি মাঠে ১৯৬৬ সালে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে।তাতে বিদেশে কয়েকটি জামাতো অংশ নেয়।তারপর থেকেই এর নাম হয় বিশ্ব ইজতেমা।তাবলীগ জামাত সমগ্র বিশ্বের বিস্তৃত একটি প্রভাবশালী ইসলামিক আন্দোলন।তো বার্ষিক বৈশ্বিক সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে পরিচিত।
আরো পরুনঃবিশ্ব ইজতেমা বলতে কি বুঝায়
ঢাকা তুরাগ নদীর তীরবর্তী এলাকা জুড়ে আয়োজিত ইজতেমায়,বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।সে কারণে অনেকে মনে করে হজের পরে এটি মুসলমানদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ।
- বাংলাদেশে কীভাবে ইজতেমা শুরু হলো
- বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা শুরুর ইতিহাস
- বিশ্ব ইজতেমা || ইসলামী নিদর্শন
- বাংলাদেশে কত সালে সর্বপ্রথম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়
- ভারত থেকে শুরু হওয়া ইজতেমা যেভাবে এলো বাংলাদেশে
বাংলাদেশে কীভাবে ইজতেমা শুরু হলো
প্রতিবছর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অদূরে টঙ্গীতে লাখ লাখ মানুষ একত্রিত হন।হজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েতের।এই ইজতেমা কেন কিভাবে কবে শুরু হয় বাংলাদেশে কেন হয় এবং কবে থেকে বাংলাদেশের এই ইজতেমাকে বিশ্ব ইজতেমা বলা হয় এ প্রশ্নের উত্তর খুজবো আজকের আর্টিকেলে।ইজতেমার গোরা পত্তন হয় ভারতে।
তার পরবর্তীতে ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারি মাসে এ জামাত বাংলাদেশে হয়ে আসছে।৫০ বছরের বেশি সময় ধরে।বাংলা পিডিয়া দেয়া তথ্য বলতেছে,১৯২৬ সালে হযরত মাওলানা ইলিয়াস রহমাতুল্লাহ আলাই ভারতের উত্তরপ্রদেশে মেওয়াত এলাকায় তাবলীগ আন্দোলন গোরা বর্তন করেন।একই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক সম্মেলন বা ইজতেমার আয়োজন করেন।
কালক্রমে তাবলীগ সমগ্র উপমহাদেশ বিস্তার লাভ করে।এবং উপমহাদেশের বাইরে এর প্রভাব পড়ে।ইজতেমা ও তাবলীগ জামাতের সম্পর্কে আরো তথ্য পাওয়া যায় তাবলীগ জামাত ওয়েবসাইটে।সেখানে বলা হয়েছে প্রথম বড় ধরনের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় বর্তমান ভারতের গুর্গা নামক এক জায়গায়।১৯৪১ সালে নভেম্বরে ২৮ ২৯ ৩০ তারিখ অনুষ্ঠিত এই ইজতেমায় প্রায় ২৫ হাজার লোক সমবেত হয়।
বহু মানুষ ৪০-৫০ মাইল দূর থেকে পায়ে হেঁটে অংশ নেন।১৯৪০ দশকের সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ ইজতেমার সূত্রপাত হয় চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে।চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে হজে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জড়ো হতেন।আর সেখান থেকে শুরু হয় আঞ্চলিক ইজতেমা।বাংলাদেশে প্রথম তাবলীগ জামাতের নিয়ে আসেন তাবলীগ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ ইলিয়াস এর ছেলে মোহাম্মদ ইউসুফ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক এবং গবেষক ড আব্দুর রশিদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ১৯৪৬ সালে বাংলাদেশে ঢাকার রমনা পার্কের কাছে কাকরাইল মসজিদ যেটা সেসময় মালওয়ালি মসজিদ নামে পরিচিত ছিল।সেখানে এই সম্মেলন হয়।এরপর হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিগঞ্জে।
এখন যেমন বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণ লোকজন এস্তেমায় জড়ো হন,তখন এভাবে লোকজন আসেনি বিদেশ থেকে।একসময় তাবলীগ জামাতের পক্ষ থেকে লোকজনকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।মূলত সে সময় থেকেই মানুষকে ইজতেমাকে বিশ্ব ইজতেমা বলে ডাকতে শুরু করে।বিশ্ব ইজতেমার নাম নিয়ে তাবলীগ জামাতের মধ্যে শুরুতে বিতর্ক থাকলেও সময়ের সাথে সাথে বিশ্ব ইজতেমা নামে পরিচিত হয়ে যায়।
ইজতেমার শুরু ভারতে হলেও ভারত ভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানের ইজতেমা হতো।বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ভারত পাকিস্তান কোন দেশে না হয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী হয়েছে।ধারণা করা হয় এটার বড় কারণ বাংলাদেশে তখন ভিসা পাওয়া সহজ ছিল।গবেষকরা মনে করেন বাংলাদেশের বিশ্ব ইজতেমা হওয়ার পিছনে কিছু রাজনীতির কারণে ছিল।বাংলাদেশ ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বাংলাদেশের তুলনামূলক একটা নিরপেক্ষ স্থান ছিল।এ কারণেই তুরাগ তিরের ইজতেমা বিশ্ব ইজতেমা নামে খ্যাত হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা শুরুর ইতিহাস
ইজতেমা শব্দের বাংলা অর্থ সমবেত হওয়া।ভারতে ১৯২০ সালে এবং তৎকালীন বঙ্গ দেশে ১৯৪৪ সাল থেকে তাবলীগ জামাতের কাজ শুরু হয়।টঙ্গীর পাগারগ্রাম কাছে একটি মাঠে ১৯৬৬ সালে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে।তাতে বিদেশে কয়েকটি জামাতো অংশ নেয়।তারপর থেকেই এর নাম হয় বিশ্ব ইজতেমা।তবে বাংলাদেশে কিভাবে শুরু হল বিশ্ব ইজতেমা।
ইজতেমাকে বোঝার জন্য সহজ ভাষায় মহা সম্মেলন বলা যেতে পারে।বিশ্ব মুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিলন মেলায় এটি।বছর ঘুরে আবার এলো সেই বিশ্ব ইজতেমা।বিংশ শতাব্দীতে ভারতের পর ১৮৬৬ সালে বাংলাদেশের শুরু হয় ইজতেমা।১৯৪৬ সালে ঢাকার রমনা পার্ক সংলগ্ন কাকরাইল মসজিদে তাবলীগ জামাতের বার্ষিক সম্মেলন প্রথম অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৬৭ সাল থেকে প্রতি বছর নিয়মিত এ সমাবেশ হচ্ছে।ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষায় পাকিস্তানের সাথে অনেক আলেমদের সাথে একত্বতা ছিল।তখন ১৯৭২ সালের তখন রমনা পার্কের বদলে টঙ্গীর পাকার গ্রামের খোলা মাঠে এস্তেমার আয়োজন করা হয়।তখন এটা কেবল ইস্তেমা নামে পরিচিত ছিল।কেবল বিদেশি জামাতরা অংশ নেওয়ার পর থেকে এর নাম হয় বিশ্ব ইজতেমা।
বাংলাদেশের প্রথম গ্রাম শহর বন্দর সহ বিশ্বের প্রায় ৫৫ টি দেশ থেকে তিরিশ লক্ষাধিক মুসল্লী এই ইজতেমায় অংশ নেন।দাওয়াত ও তাবলীগ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।এ কাজ আঞ্জাম দেওয়ার জন্য মহান আল্লাহ অসংখ্য নবী রাসূল দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন।তারা এসে দিনের দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করতেন।তাদের অনুসারীরা এ কাজে সাহায্য করতেন।
এক নবী চলে যাওয়ার পর একই মিশনে অন্য নবী আসতেন।এভাবে প্রত্যেক উম্মতের মাঝে নবী আগমনের ধারাও অব্যাহত ছিল।কিন্তু আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের মধ্য দিয়ে নবুওয়াতের দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে।কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের দ্বারা দিন পূর্ণতা লাভ করেছে।সুতরাং আর কোন নবী আসবেনা।
আরো পরুনঃপবিত্র শবে বরাত কেন সৃষ্টি হলো
আর কোন ধর্মের আবির্ভাব ঘটবে না।তাই কেয়ামত পর্যন্ত সবাইকে মহানবী ও ইসলাম ধর্মের অনুসরণ করতে হবে।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার পর তার দায়িত্ব গুলো তার উম্মতের ওপর বরতাই।সুতরাং দাওয়াতের এই কাজগুলো নবীর উম্মতদেরকে আঞ্জাম দিতে হবে।
বিশ্ব ইজতেমা || ইসলামী নিদর্শন
তাবলীগ জামাত সমগ্র বিশ্বের বিস্তৃত একটি প্রভাবশালী ইসলামিক আন্দোলন।তো বার্ষিক বৈশ্বিক সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে পরিচিত।ঢাকা তুরাগ নদীর তীরবর্তী এলাকা জুড়ে আয়োজিত ইজতেমায়,বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।সে কারণে অনেকে মনে করে হজের পরে এটি মুসলমানদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ।
বিশ্ব ইজতেমার মাধ্যমে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের সর্বাধিক পরিচিত লাভ করেছে।সংরক্ষিত ইতিহাস অনুসারে মাওলানা ইলিয়াস রহমাতুল্লাহ হাত ধরে ১৯২৭ সালে উপমহাদেশ দাওয়াত ও তাবলীগের কাজের সূচনা হয়।মাওলানা আব্দুল আজিজ এর মাধ্যমে ১৯৪৪ সালে বাংলাদেশের তাবলীগের কাজ শুরু হয়।
তাবলীগ জামাতের কাজ পোশার লাভ করলে তাবলীগ জামাতের অনুসারীদের এলাকাভিত্তিক সম্মেলনের সূচনা করেন মাওলানা ইলিয়াস রহমাতুল্লাহ।১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর দুই পাকিস্তান ও ভারতের সম্মিলিত ইজতেমার উদ্যোগ নেয়া হয়।বাংলাদেশের কাকরাইল ভারতের ভূপাল এবং পাকিস্তানের রাইভেন্ট ইজতেমার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।ধর্মীয় সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক অন্যান্য কারনে প্রথম থেকে বাংলাদেশের ইজতেমার আয়তন অন্য দুই দেশের থেকে বেশি ছিল।
ফলে তা ক্রমেই প্রাধান্য লাভ করতে থাকে এবং বিশ্ব ইজতেমার রূপ নেই।১৯৪৬ সালে প্রথমবারের মতো কাকরাইল মসজিদের ভেতরে এস্তেমা অনুষ্ঠানিত হয়।এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তাবলীগ জামাতের এস্তেমা অনুষ্ঠিত হয়।দিন দিন লোক সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগড়া গ্রামের টঙ্গী মানুসুর জুট মিলের নিকট একটি মাঠে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
এই ইজতেমায় বিদেশে কয়েকটি জামাত ও অংশ নেয়।এখান থেকে এর নাম হয় বিশ্ব ইজতেমা।১৯৬৭ সালে টঙ্গীট তুরাগ নদীর পাড়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।স্বাধীনতার পর তুরাগ নদীর পাড়ে ১৬০ টাকার জমির তাবলীগ জামাতের জন্য বরাদ্দ দেন।২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমা এক পর্বে অনুষ্ঠিত হত।তবে লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৬সাল থেকে একাধিক পর্বে ইস্তেমার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বাংলাদেশে কত সালে সর্বপ্রথম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়
প্রতিবছর শীতকাল আসলেই বাংলাদেশের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে জড়িত হয় বৈশ্বিক তাবলীগ জামাতের অনুসারীরা।যাকে তাবলিক জামায়াতের সাথীরা মনে করেন পবিত্র হজ্জের পর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ।বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এসে ঘাটি ঘাঁটি বাধে তুরাগ নদীর পাড়ে।যা পরিচিত বিশ্ব ইজতেমা নামে।মুসলমানদের অন্যতম বড় এই জনসমাবেশের শুরুটা হয়েছিল কোথা থেকে।
আর কেনই বা বাংলাদেশের মাটিতে বেছে নেওয়া হলো ইজতেমার জন্য।সেই ইতিহাস থেকে ঘুরে আসা যাক।তাবলীগ জামাতের শুরু হয়েছিল ভারতের উত্তর প্রদেশের মেওয়াত এলাকা থেকে মাওলানা ইলিয়াস রহমাতুল্লাহ আলাই এর হাত ধরে।যখন তিনি ভারতবর্ষে এই দাওয়াতে কাজ শুরু করেন তার কাছে ইসলাম ধর্ম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল।
যেখানে ধর্মান্তরিক মুসলিমকে আবার হিন্দু ধর্মে ফেরানোর জন্য টার্গেট করা হয়েছিল।এমন একটি অবস্থায় ইসলামকে রক্ষা করার জন্য ইলিয়াস রহমতুল্লাহ আলাই শুরু করেন দাওয়াতি কার্যক্রম।যার আনুষ্ঠানিক নাম হয় তাবলীগ জামাত।তিনি মানুষকে সচেতন করতে ছোটখাটো সম্মেলন শুরু করেছিলেন।
দেশ ভাগ হওয়ার পর তাবলীগ জামাতকে সংরক্ষিত করে রাখার জন্য পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানে তিনটি আঞ্চলিক কেন্দ্র করা হয়।ধীরে ধীরে তাবলীগের পরিষদ বাড়তে থাকে।এবং আরো বড় করে তাবলীগের আয়োজন করার প্রয়োজন হয়।বাংলাদেশে এর সূত্রপাত হয় ১৯৪০এর দশকে চট্টগ্রামে।চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর হয়ে হজে যাওয়া মানুষদেরকে নিয়েই প্রথম শুরু হয়েছিল আঞ্চলিক সম্মেলন প্রক্রিয়াটি।
জেটি পড়ে ইজতেমা নামে পরিচিত হয়।১৯৬৭ সালে তুরাগ নদীর তীর কে বেছে নেওয়া হয় ইজতেমার জন্য।এক পর্যায়ে নানা দেশ থেকে লোকজন আসতে শুরু করলে এটির নাম হয়ে যায় বিশ্ব ইজতেমা।
ভারত থেকে শুরু হওয়া ইজতেমা যেভাবে এলো বাংলাদেশে
উপমহাদেশের মুসলমানদের ইতিহাসের এক ক্রান্তিলগ্নে তাবলীগ জামাতের শুভ সূচনা হয়।বিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ও সাধক হযরত মাওলানা ইলিয়াস তাবলীগ জামাতের পুনর্জাগরণ করেন।১৯২৬ সালের ভারতের উত্তরপ্রদেশের শাহরানপুর এলাকায় ইসলামী দাওয়াত তথা তাবলীগের প্রবর্তনের পাশাপাশি এলাকা ভিত্তিক সম্মেলন বা ইস্তেমার আয়োজন করেন মাওলানা ইলিয়াস রহমাতুল্লাহ আলাইহি।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।দিন দিন বাড়তে থাকে তাবলীগের প্রচার-প্রসার ও ব্যাপক।কিন্তু বাংলাদেশের বিশ্বের এই দ্বিতীয় জমায়েত বা বিশ্ব ইজতেমা কিভাবে এলো।টঙ্গীর তুরাগ তিরের বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস নিয়ে থাকছে আজকের প্রতিবেদনে।ভারতের শুরু হওয়া ইজতেমার কিভাবে এলো বাংলাদেশে এ নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
এ বিষয়ে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।ভারতে তাবলীগ আন্দোলন শুরু হলেও হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়ায় মুসলমানদের এত বড় একটি সম্মেলন ভারতে বাস্তবায়ন করা একটি অস্বস্তিকর বিষয় ছিল।ছিল রাজনৈতিক সমস্যা।আবার পাকিস্তানের সাথে ভারতের টানা পড়ে থাকার কারণে পাকিস্তানেও ইজতেমার আয়োজন নিয়ে ছিল দ্বিধাদ্বন্দ্ব।
সেক্ষেত্রে এমন আয়োজনে বাংলাদেশে কোন ঝুঁকি ছিল না।ভু রাজনৈতিক হিসেবেও বাংলাদেশ ছিল একটি নিরাপদ রাষ্ট্র।এবং একই সাথে বাংলাদেশের প্রতিটি সরকার তাবলীগের এই বৃহৎ জামাত আয়োজনের সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।পরে বাংলাদেশকে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক দেশ নির্ধারণ করতে সবারই সম্মতি ছিল।
তবে শুধুমাত্র বাংলাদেশের যে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় তা কিন্তু নয়।বাংলাদেশে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে পরে ভারত ও পাকিস্তানের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।তবে প্রচুর পরিমাণ বিদেশি অতিথি আসে বলে টঙ্গীর তুরাগ তীরে সম্মিলনী বহুল আবে বিশ্ব ইজতেমা নামে পরিচিত হচ্ছে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক,আজকের এই আর্টিকেলে বিশ্ব ইজতেমা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করলাম,এবং এই ইজতেমার উৎপত্তি কোথায় থেকে এবং কার্ম হাত ধরে এই ইজতেমা এসেছে এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করলাম।এবং কত সালে বাংলাদেশের সর্ব প্রথম ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং কোথায় এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি আজকের আর্টিকেলে।
তাই আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা যদি কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে আপনার পরিচিত লোকজনও এর দ্বারা উপকৃত হতে পারে।ধন্যবাদ আবার আসবো নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url