বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ৫ টি কবুতর জাত ও দাম

সেই আদিমকাল থেকেই কবুতরের প্রতি মানুষের ভালোবাসা অসীম।যার কারণে ভালোলাগা কবুতরের পিছনে লক্ষ টাকা খরচ করতেও কবুতর প্রেমীরা দ্বিধাবোধ করেন না।আমাদের দেশের কবুতর প্রেমেরাও এর ব্যতিক্রম নয়।যার ফলে বাংলাদেশ অনেক দামে কবুতর বিক্রি হয়ে থাকে।

আমাদের আজকের আর্টিকেলে থাকতেছে বাংলাদেশের সব থেকে দামি ৫টি কবুতর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।চমৎকার এই সুন্দর কবুতর গুলো দেখতে এবং এগুলোর দাম সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেল পুরোটাই পড়ুন।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের এই পাঁচটি কবুতর সম্পর্কে।

বাংলাদেশের সব থেকে দামি কবুতর হচ্ছে এই নিকোবর কবুতরগুলো।এরা বাংলাদেশের সব থেকে সুন্দর কবুতর।গোটা পৃথিবীতে এরা সবচেয়ে সুন্দর কবুতর হিসেবে বিবেচিত।কবুতর গুলো মূল আবাস বঙ্গোপসাগরের নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে।এগুলো বিশালাকৃতি কবুতর।প্রায় ১৬ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।এদের মাথাপানের ধূসর বর্ণের হয়।ঘাড়ের উপরে প্লাজমের মতো থাকে।

যা সবুজ কিংবা তামাটে বর্ণের হয়ে থাকে।তবে এদের লেজটি খুবই ছোট এবং সাদা বর্ণের হয়ে থাকে।পুরুষদের তুলনা নারী কবুতর কিছুটা ছোট হয়ে থাকে।তবে দিনকে দিন এই কবুতর গুলোর সংখ্যা কমে আসছে।মূলত আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে এর সংখ্যা কমে আসছে।এছাড়াও এদের পাকস্থলীতে দামী একটি পাথর পাওয়া যায়।যার কারণে চোরা কারবারিরা একে হত্যা করে পাথরগুলো সংগ্রহ করে।বাংলাদেশে এরকম দুর্লভ প্রকৃতির কবুতর।মাঝেমধ্যে পাওয়া গেলেও ১ লাখ টাকা থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়।

ইউ ক্যান স্কাই কাটার কবুতর নামে পরিচিত।এরা খুবই জনপ্রিয় কবুতরের প্রজাতি।কবুতর গুলো প্রথম বিট করা হয় ট্রিমার লিকুইড শহরের।এরা অনেক উঁচুতে উঠতে পারে।প্রায় এক কিলোমিটার উপর পর্যন্ত উঠতে পারে।এত উপরে উঠতে পারার কারণেই একে এই নাম দেওয়া হয়েছে।এদের খাবার খুবই ব্যয়বহুল।খাবারে ১২ থেকে ১৭ শতাংশ প্রোজেন থাকতে হয়।এই কবুতর গুলোর দাম ৬০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ভলগা কবুতর পৃথিবী ব্যাপক খুবই দুর্লভ।এই কবুতরের দাম খুব একটা বেশি হয় না।১০ থেকে ১৫ হাজার হয়।এই কবুতরগুলো প্রথম বিট করা হয় রাশিয়ার ভলগা নদীর তীরে।কবুতর গুলো মধ্য ইউরোপে খুবই জনপ্রিয়।বাংলাদেশও কিছু সৌখিন কবুতর প্রেমী একে পালন করে থাকে।

এই কবুতরের মুল্য ৫০০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।এরা এক ধরনের ফেন্সি কবুতর।মূলত আকাশে উড়ানোর জন্য এ কবুতর ব্যবহার করা হয়।কবুতরগুলো উৎপত্তি জার্মানিতে।জার্মান রেসিং কবুতর থেকে অনেক বছর ধরে নির্বাচনের যাতে মাধ্যমের উন্নত করা হয়।অতীতে এটা বিউটি রেসিংহ হোমার কিংবা জার্মান শো পিজিয়ন নামে পরিচিত ছিল।

এই কবুতরগুলোর ঘাড় দীর্ঘকার হয়।এদের চেলেন নিচের অংশ থেকে উপরের অংশ কিছুটা বড় হয়।এদের গলাগুলো লম্বা হলেও পাতলা আকৃতির হয়।অন্য কবুতর থেকে লেজ গুলো আনুভূমিক ও লম্বা হয়।পাগুলো বেশ বড় বড় হয়।এদের পা গুলো পরিষ্কার এবং মাথা ঝুটি বিহীন হয়।

আকৃতিতে কিং কবুতরকে বাংলাদেশের সব থেকে বড় কবুতর বলা হয়।সাধারণত এটার দাম ২০০০ টাকা থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।সাধারণত কিং কবুতরকে মাংস উৎপাদনের জন্য প্রজনন ঘটানো হয়েছিল।তবে কালের বিবর্তনে এরা এখন মূলত প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।বহু বছর ধরে বিশেষ বাছায় প্রক্রিয়ার প্রযোজনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এদের উৎপাদন শুরু হয়।

কিং কবুতরের অনেকগুলো জাত এবং রং রয়েছে।বাংলাদেশের সাধারণত সাদা কালো হলুদ লাল নীল এবং সিলভার এই রংয়ের কবুতর পাওয়া যায়।এটার দাম নির্ভর করে আকার আকৃতি এবং লেজের উপর।যেহেতু এটা আকৃতিতে বড় তাই আশেপাশের অন্য পায়রারা এদের সাথে ঝগড়া করার সাহস দেখায় না।

পোষা প্রাণীর মধ্যে অত্যাধুনিক জনপ্রিয় প্রাণী হচ্ছে কবুতর।বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পালন করার পাশাপাশি অনেকেই বাসা বাড়িতে শখ করে কবুতর পুষে থাকেন।বিশেষ করে পোষাক কবুতরের ডিগবাজি দেয়া আর মজার খেলা দেখতে কার না ভালো লাগে।যেই কবুতর যত বেশি খেলা দেখাতে পারে ও মজা দিতে পারে সেটার জনপ্রিয়তা ততই বেশি।

আজকের এই আর্টিকেলে থাকতেছে পাঁচটি রোলার কবুতর মানে ডিগবাজি দিয়ে কবুতরের পরিচিতি।এবং সাথে জানবেন পাঁচটি সেরা ডিব্বাজি দেওয়া রোলার কবুতরের দাম কত।তো চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।

রোলার কবুতরের ফেন্সি জাত গুলোর মধ্যে আমাদের লিস্টে থাকা এক নাম্বার রয়েছে এই বার্মিংহাম রোলার কবুতর।এই কবুতরটির প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে,কবুতরটি খুব দ্রুত উড়তে পারে এবং উড়ন্ত অবস্থায় বারবার ডিগবাজি প্রদর্শন করে থাকে।তবে এরা একা একা ঘুরতে বেশি পছন্দ করে না।কবুতরটি ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়াতে পছন্দ করে এবং ডিগবাজি খেলতে ভালবাসে।

জনপ্রিয় এই কবুতরটির দাম নির্ভর করে এরা কত ভালো উড়তে পারে এবং কত ভালো ডিগবাজি দিতে পারে এইটার উপর।গড়ে বলতে বলতে গেলে প্রতি জোড়া বার্মিংহাম রোলার কবুতর ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন।তবে দামটি নির্ভর করবে কবিতাটির কোয়ালিটির উপর।

১৮৭০ সালের দিকে এই কবুতরটি জাত উৎপাদিত হয়েছিল ইংল্যান্ডে।এটি ফ্রেন্ডশি কবুতরের একটি উন্নত সংস্করণ।কবুতরটি বাতাসের মধ্যে ডিগবাজি দেওয়া দেখলে যে কেউ এ কবুতরের ভক্ত হয়ে যাবেন।এরা স্বাভাবিকভাবে বাতাসে উড়তে থাকে এবং হঠাৎ করে ডিগবাজি দেওয়া শুরু করে।

বাংলাদেশ ও ভারতে এই কবুতরটির প্রতি জোড়া বর্তমানে ৫০০০ থেকে ১২০০০টাকার মধ্যে বেচাকেনা হয়।তবে দামটা অনেকটা ডিপেন্ড করে কবুতরটা কত ভালো ডিগবাজি দিতে পারে এগুলোর উপর।

এই কবুতরটির জাত প্রথম উদ্ভাবিত হয়েছিল রোমানিয়ার গালাতি শহরে।এখানে প্রথম প্রজনন করা হয় বলে এই শহরের নাম অনুসারেই এর নামকরণ করা হয়েছিল।বাংলাদেশ এবং ভারতে এই কবুতরের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে।এই কবুতরকে খুব সহজে গ্রিট করানো যায় বলে এদের দাম ও তুলনামূলক বেশ কম।প্রতি জোড়া গালাতাস রোলার কবুতর বর্তমান বাজারে ২৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকায় আপনি বাংলাদেশ ও ভারতে উভয় জায়গাতেই পেয়ে যাবেন।

এই কবুতরটাকে তুড়িবাস কবুতর নামেও ডাকা হয়।এরা গৃহপালিত ফ্রেন্ডশি কবুতরের একটা সুন্দর প্রজাতি।তবে কবুতরটির আদি বাসস্থান হল ইংল্যান্ড।কবুতরটি মাটিতে ডিগবাজি খেতে খুবই এক্সপার্ট।কখনো কখনো এদেরকে মাটির থেকে লাভ দিয়ে শূন্যে কয়েকটি ডিগবাজি দিয়ে আবার দাঁড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।কবুতরটির দাম নির্ভর করে এর ডিগবাজি দেওয়ার ক্ষমতার উপর।

এভারে সে বলা যায় পার্লর রোলার কবুতর বর্তমান বাজারে বাংলাদেশ ও ভারতে পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার টাকার মধ্যে বেচাকেনা হতে দেখা যায়।এবং কিছু কিছু জায়গায় এর থেকেও কম দামে কবুতরটি কিনতে পাওয়া যায়।

আমাদের লিস্টে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে লোটন কবুতর।এরা মাটিতে ডিগবাজি দিতে খুব পছন্দ করে।জাস্ট আপনি কিছুক্ষণ একটি কবুতরকে ধরে ডান বাম করে ঝাঁটাবেন।অথবা মুখের ভিতর ফু দিবেন।তারপরে দেখতে পাবেন এর মজার খেলা।এই কবুতর একভাবেই মাটিতে ডিব্বাজি দিতে থাকে।

এই কবুতরটি বাংলাদেশের এবং ভারতের বাজারে ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।এবং কবুতরের কোয়ালিটি এবং কালার টি ভাল হলে এর দাম কম বেশি হতে পারে।

বন্ধুরা আশা করছি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন।আজকে আমরা জানবো বাংলাদেশের অধিক লাভ যুক্ত কয়েকটি কবুতরের প্রজাতি এবং তাদের দাম সম্পর্কে।চলুন বন্ধুরা তাহলে দেরি না করে দ্রুত শুরু করা যাক।

(১)লাহরি বা সিরাজীঃএরা বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে।কালো সিলভার এবং বাদামী বর্ণের হতে পারে।এদেরকে ফ্রেন্ডসি জাতের কবুতর ও বলা হয়।প্রাপ্তবয়স্ক সিরাজী কবুতরের মূল্য ১৫০০ থেকে ৩০০০টাকা।

(২)লক্ষা কবুতরঃলক্ষা কবুতর অনেকেই ময়ূরপঙ্খী হিসেবে ডাকে।বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এদের লেজের দিকে ময়ূরের মত পাখা থাকে।তবে এরা উড়তে পারেনা।তবে এরা দেখতে অনেক সুন্দর।প্রাপ্তবয়স্কের লক্ষা কবুতরের মূল্য এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা।

(৩)সিলভার কিংঃএদের দেখতে অনেকটা মুরগীর মত লাগে।এবং গায়ের রং সিলভার কালারের।প্রাপ্তবয়স্ক সিলভার কিং কবুতরের মূল্য চার হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা।

(৪)মুক্ষি জাতের কবুতরঃএই কবুতরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা মাথা বেশি নাড়াবে।এবং এতে মাথার একটি অংশ সাদা রংয়ের হবে।প্রাপ্ত বয়স্ক মুখ কি জাতের কবুতরের দাম ১৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা।

(৫)সার্টিন জাতের কবুতরঃসার্টিন কবুতর দেখতে অনেক সুন্দর।এদের মাথায় ঝুটি এবং পায়ে মজা থাকে।প্রাপ্তবয়স্ক সার্টেন কবুতরের মূল্য পাঁচ হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা।

(৬)ম্যাগপাই কবুতরঃএদের দেখতে অনেকটা বকের মত।উচ্চতায় অনেক লম্বা হয়।প্রাপ্ত বয়স্ক ম্যাগ পাই কবুতরের মূল্য দুই হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা।

(৭)আউল জাতের কবুতরঃএদের দেখতে অনেকটা সাদা প্যাঁচার মতো লাগে বলে এদের নামকরণ আউল করা হয়।প্রাপ্তবয়স্ক আল কবুতরের মূল্য দুই হাজার থেকে আট হাজার টাকা।

(৮)জকবিন কবুতরঃজকবিন কবুতরের মাথার পশম গুলো উল্টাপাল্টা এবং অবিন্যাস তো থাকে।মাথা দেখা যায় না পশম গুলোর কারণে।প্রাপ্তবয়স্ক জকবিন কবুতরের মূল্য তিন থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

(৯)হেলমেট কবুতরঃহেলমেট কবুতরের মাথায় ছোট একটি অংশজুড়ে বাদামী রং থাকে।এবং বাকি সারা শরীর সাদা রঙের হয় বলে এদেরকে হেলমেট নামকরণ করা হয়।প্রাপ্তবয়স্ক একটি হেলমেট কবুতরের মূল্য চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা হয়ে থাকে।

(১০)বিউটি হোমাঃবিউটি হোমা সাধারণত সাদা রঙের হয়।এদের ঠোঁট অন্য কবুতরের থেকে আলাদা হয়।প্রাপ্তবয়স্ক বিউটি হোমা কবুতরের মূল্য তিন হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

(১১)পটার বা বল কবুতরঃবল একটি ফেন্সি যাতের কবুতর।এদের গলা বলের মত হয় এদের নাম বল কবুতর।প্রাপ্তবয়স্ক পটার বাবল কবুতরের মূল্য ৬০০০ থেকে ৮ হাজার টাকা।

মানুষের সবচেয়ে ভালবাসা প্রাণী হচ্ছে কবুতর।কবুতরকে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন।এসব কবুতর দেখতে যেমনটি সুন্দর তেমনি সবাময়।কালের বিবর্তন আজ কয়েকশো জাত কবুতরের তৈরি করা হয়েছে।বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন জনপ্রিয় পাঁচটি কবুতরের পরিচিতি এবং এদের দাম নিয়ে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।

আশা করি পুরো আর্টিকেলটি জুড়ে সাথে থাকবেন।তাহলে আর দেরি না করে সবচেয়ে জনপ্রিয় পাঁচটি কবুতরের জাত এবং দাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

এই কবুতরকে লক্ষ কবুতর নামে ডাকা হয়।অনেকেই একে ময়ূরপঙ্খী নামে ডেকে থাকেন।মূলত এই কবুতরের লেজার দিকে ময়ূরের মত পাকা কবুতরটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।এরা তেমন উড়তে পারে না।আমাদের দেশে বিভিন্ন কালারের লক্ষা কবুতর পাওয়া যায়।কালার এবং কোয়ালিটি অনুযায়ী এদের দাম নির্ধারিত হয়ে থাকে।তবে পূর্ণবয়স্ক একজোড়া লক্ষা কবুতরের দাম ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকার মত হয়ে থাকে।

এই কবুতরের স্পেশাল একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মাথা বেশি নাড়াই।এরা ফ্রেন্ডশি কবুতরের বংশধর।আমাদের দেশে সব কালারের মক্ষি কবুতর পাওয়া যায়।কালার এবং কোয়ালিটি অনুযায়ী মুক্ষী কবুতরের দাম নির্ধারণ করা হয়।প্রাপ্তবয়স্ক একজোড়া মুখী কবুতরের দাম ১০০০ থেকে ৫ হাজার টাকা বন্ধ হয়ে থাকে।

কিং একটি গৃহপালিত ফ্রেন্ডশি কবুতরের প্রজাতি।এদেরকে দেখতে অনেকটা মুরগীর মত লাগে।অরজিনাল কিং কবুতর দেখতে ইংরেজি বর্ণের ইউ আকৃতির দেখাবে।প্রাপ্তবয়স্ক কিং কবুতর আমাদের দেশে একজোড়া কবুতরের দাম ৪০০০ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় এর দাম কম বেশি হতে পারে।

এই কবুতরটির মূল আকর্ষণ হচ্ছে মাথার পিছনে দিকে উল্টানো পালক।পালক ছাড়াও এ কবুতরকে যে কেউ দেখলে এই কবুতরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায।এরা বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে।কালার এবং কোয়ালিটির উপর দাম নির্ধারণ হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক ও জ্যাকাবিন কবুতরের মূল্য ৩০০০ থেকে ৬ হাজার টাকা বন্ধ হয়ে থাকে।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী কবুতরের মধ্যে অন্যতম একটি কবুতর হচ্ছে বিউটি হোমার।সর্বপ্রথম যাতটি জার্মানিতে প্রজনন করা হয়েছিল।এরা বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে।এক জোড়া প্রাপ্তবয়স্ক বিউটি হোমার কবুতরের দাম ৩০০০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়।এবং ক্ষেত্র বিশেষে এর দাম কম বেশি হতে পারে।

কিং কবুতরের দাম কত।কিং কবুতর একটুও বড় সাইজের কবুতর।যা অন্য সকল কবুতরের থেকে আকারে এবং ওজনেও বড় হয়ে থাকে।কিং কবুতরটি প্রথম উদ্ভূত হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।১৮৯০ এর দশকে চারটি পুরনো জাত কোর্স করে এই জাতটি বিকশিত করা হয়েছিল।বর্তমানে কিং কবুতরটি তার স্থানীয় অঞ্চল এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশেও একটি জনপ্রিয় জাত।

আমাদের বাংলাদেশেও সৌখিন কবুতর পালকরা কিং কবুতর পুসে থাকে।নিঃসন্দেহে কিং কবুতর একটি বড় জাতের কবুতর।অনেকে এ কবুতরের জাত কে সবচেয়ে সুন্দর জাত বলেও মনে করে থাকে।এটি গোলাকার শরীরে এবং মোটা বলে মনে হতে পারে।কিন্তু আকার আসলে পোস্তের তুলনায় উচ্চতায় বেশি হয়ে থাকে।যে কারণে এদের কিং নামকরণ করা হয়।

তো চলুন আর দেরি না করে কিং কবুতরের দাম সম্পর্কে জানা যাক। ।আকৃতিতে কিং কবুতরকে বাংলাদেশের সব থেকে বড় কবুতর বলা হয়।সাধারণত এটার দাম ২০০০ টাকা থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।সাধারণত কিং কবুতরকে মাংস উৎপাদনের জন্য প্রজনন ঘটানো হয়েছিল।তবে কালের বিবর্তনে এরা এখন মূলত প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।

বহু বছর ধরে বিশেষ বাছায় প্রক্রিয়ার প্রযোজনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এদের উৎপাদন শুরু হয়।কিং কবুতরের অনেকগুলো জাত এবং রং রয়েছে।বাংলাদেশের সাধারণত সাদা কালো হলুদ লাল নীল এবং সিলভার এই রংয়ের কবুতর পাওয়া যায়।এটার দাম নির্ভর করে আকার আকৃতি এবং লেজের উপর।যেহেতু এটা আকৃতিতে বড় তাই আশেপাশের অন্য পায়রারা এদের সাথে ঝগড়া করার সাহস দেখায় না।

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আমি বিভিন্ন জাতের কবুতর এবং দাম সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করলাম,আজকের এই আর্টিকেল থেকে বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন কবুতরের দাম এবং কোন কবিতার ভালো এ সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে আজকের এই আর্টিকেল থেকে তারা উপকৃত হতে পারে।ধন্যবাদ