স্থায়ীভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা মুখে দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।আজকের আর্টিকেলে মুখে দুর্গন্ধ হওয়া থেকে বাঁচার কিছু উপায় সম্পর্কে বলার চেষ্টা করব।
স্থায়ীভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
এবং স্থায়ীভাবে মুখে দুর্গন্ধ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।যদি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন আশা করি উপকৃত হবেন।

ভূমিকা

আমাদের জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই প্রিয় মানুষদের সাথে গল্প আড্ডায় অপ্রিয় সত্য হয়ে ধরা দেয় আমাদের মুখে দুর্গন্ধ।কাছে আসার গল্প গুলো তখন রূপ নেয় চরম অস্বস্তিতে।কম বেশি সকলের এই ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়।মুখে দুর্গন্ধ নামক সামাজিক এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের অবশ্যই সকলে জানতে হবে যে এর কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে।

মুখে দুর্গন্ধ কিভাবে আসে।মুখে দুর্গন্ধের পেছনে কিন্তু দাঁত পরিষ্কারের অবদান কার্যকর।দাঁত পরিষ্কার না থাকলে মুখে দুর্গন্ধ আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি।অনেকদিন ধরে আমরা যদি আমরা দাঁত নিয়মিত পরিষ্কার না করে রাখি।দাঁতের গোড়া পরিষ্কার না করে থাকি,পানি খেলাম না মুখটা পরিষ্কার করে রাখলাম না,সে ক্ষেত্রে মুখে দুর্গন্ধ আসে।

মুখে দুর্গন্ধের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন।কি কি কারনে মুখে দুর্গন্ধ হয়।আর কি করলে দুর্গন্ধ দূর হবে তার সহজ করে বোঝানোর চেষ্টা করব এই আর্টিকেলে।
  • মুখের দুর্গন্ধ কেন হয়
  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য কোন ডাক্তার দেখাতে হবে
  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • স্থায়ীভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়

মুখের দুর্গন্ধ কেন হয়

মুখে দুর্গন্ধ কিভাবে আসে।মুখে দুর্গন্ধের পেছনে কিন্তু দাঁত পরিষ্কারের অবদান কার্যকর।দাঁত পরিষ্কার না থাকলে মুখে দুর্গন্ধ আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি।অনেকদিন ধরে আমরা যদি আমরা দাঁত নিয়মিত পরিষ্কার না করে রাখি।দাঁতের গোড়া পরিষ্কার না করে থাকি,পানি খেলাম না মুখটা পরিষ্কার করে রাখলাম না,সে ক্ষেত্রে মুখে দুর্গন্ধ আসে।

অনেকের সকালে ঘুম থেকে উঠলে মুখে দুর্গন্ধ দেখা যায়।এই মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণগুলো হচ্ছে,আমরা যে খাবারগুলো খাই এ খাবারগুলো ব্রাশ করার পরেও দুই দাঁতের মাঝখানে কিছুটা থেকে যায়।এই খাবারগুলো দীর্ঘদিন মুখে ভিতর থাকতে থাকতে একসময় পচন ধরে যাই।এই পচন থেকে আমাদের দাতে ফ্লাক বা পাথরের সৃষ্টি হয়।

এখান থেকে সাধারণত মুখের দুর্গন্ধ হয়।আর যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে,তাদের অনেক সময় স্টমাক থেকেও একজনে গ্যাস নিরগাসন হয় এ থেকেও অনেকের মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।তাই মুখে দুর্গন্ধ নিয়ে বসে থাকলে হবে না।আমাদের ছয় মাস থেকে এক বছর পর পর মুখে দুর্গন্ধ যাতে না হয় এ কারণে ডেনডিসের কাছে থেকে দাঁত স্ক্যানিং করে নিতে হবে।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য কোন ডাক্তার দেখাতে হবে

আমাদের জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই প্রিয় মানুষদের সাথে গল্প আড্ডায় অপ্রিয় সত্য হয়ে ধরা দেয় আমাদের মুখে দুর্গন্ধ।কাছে আসার গল্প গুলো তখন রূপ নেয় চরম অস্বস্তিতে।কম বেশি সকলের এই ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি সম্মুখীন হতে হয়।মুখে দুর্গন্ধ নামক সামাজিক এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের অবশ্যই সকলে জানতে হবে যে এর কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে।

আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি মুখের দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে কিছু বলার জন্য।আমাদের বিশ্বের আর ২৮ থেকে ৩০% মানুষ মুখের এই দুর্গন্ধ জনিত সমস্যায় প্রভাবিত হচ্ছে।দেখা যায় যে প্রত্যেকের মুখেই নিজস্ব একটা গন্ধ থাকে।

সেটা যদি দেখা যায় অনেকক্ষণ মুখটা বন্ধ থাকেবা ঘুম থেকে ওঠার পর বা খাবার খাওয়ার পর যদি গন্ধ থাকে ব্রাশ করলে যদি চলে যায় তাহলে সেটা কোন সমস্যা নই।এবংএই সমস্যা যদি কন্টিনিউ থেকে যায় নিঃশ্বাসের মাধ্যমে দুর্গন্ধ আসতে থাকে।এবং সেটা যদি অলমোস্ট ১৫ দিন করে তবে ধরে নিতে হবে অবশ্যই এটা কোন ইন্টারনাল প্রবলেম বা মুখের ভিতরে কোন সমস্যা রয়েছে।

নিঃশ্বাসের কিছু কিছু গন্ধ বুঝে নিতে হবে যে কিছু কিছু ডিজিজের উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পায়।মুখের গন্ধটা যদি ঝাঁজালো টাইপের হয় তাহলে সেটা বুঝে নিতে হবে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস হতে পারে।যদি কোন মাছের আশের মতো গন্ধ হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে কিডনিতে প্রবলেম রয়েছে।যদি পচা মাংসের মতো গন্ধ হয় তাহলে বুঝতে হবে টনসিলের সমস্যা বা লিভারে সমস্যা হতে পারে।

মিস্টার মত গন্ধ হলে বুঝতে হবে মাড়ির সমস্যা আছে।এরকম বিভিন্ন গন্ধ বিভিন্ন রকমের ডিজিজ কে রিপেজেন্ট করে।এ ধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই আপনার ডক্টরের শরণাপন্ন হতে হবে।এছাড়াও যদি আমাদের ওরাল ক্যাভিটি তে মুখের ভিতরে দাঁতের ভেতরে কোন প্রবলেম থাকে বা মুখে ওরাল কোন ইনফেকশন থাকে।

ফাংগাল কোন ইনফেকশন থাকে ওরাল আলসার থাকে টিউমার থাকে এসব বিভিন্ন কারণেও মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে।আঁকাবাঁকা যদি দাঁত থাকে তাহলে প্রোপার ব্রাশ করা সম্ভব হয় না এই কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়

আজকে আমি আলোচনা করবো মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।অনেকেই বলে মুখে থেকে খুব বাজে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে এর জন্য কি করতে পারি।মুখের দুর্গন্ধ কিছু কারণ রয়েছে।আমরা যে খাবারগুলো খাই এ খাবারগুলো ব্রাশ করার পরেও দুই দাঁতের মাঝখানে কিছুটা থেকে যায়।এই খাবারগুলো দীর্ঘদিন মুখে ভিতর থাকতে থাকতে একসময় পচন ধরে যাই।

এই পচন থেকে আমাদের দাতে ফ্লাক বা পাথরের সৃষ্টি হয়।এখান থেকে সাধারণত মুখের দুর্গন্ধ হয়।আর যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে,তাদের অনেক সময় স্টমাক থেকেও একজনে গ্যাস নিরগাসন হয় এ থেকেও অনেকের মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় হচ্ছে,প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা।আপনি যত পানি পান করবেন আপনার মুখে দুর্গন্ধ ততটা কমে আসবে।

আপেল শসা এধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।ধুমপান করা কমিয়ে দিতে হবে।নিয়মিত সকাল বিকাল ব্রাশ করতে হবে।এবং দুই থেকে তিন মাস পর পর ব্রাশ চেঞ্জ করতে হবে।এবং মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে অনেক সময় মুখে ফেসনেস আছে।বছরে দুইবার দাঁত স্ক্যানিং করতে হবে।

ছয় মাস পর পর ডেন্টিসের শরণাপন্ন হয়ে দাঁত স্কেলিং করতে হবে।আর যদি সিস্টেমিক কোনো কারণে আপনার মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে তাহলে,যেমন এসিডিটি প্রবলেম বা ইংডাজেশন প্রবলেম অথবা লিভার বা কিডনির কোন প্রবলেম।তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে আপনাকে ট্রিটমেন্ট নিতে হবে।

স্থায়ীভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়

মুখে দুর্গন্ধের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন।কি কি কারনে মুখে দুর্গন্ধ হয়।আর কি করলে দুর্গন্ধ দূর হবে তার সহজ করে বোঝানোর চেষ্টা করব এই আর্টিকেলে।

(১)মুখ শুকিয়ে যাওয়া
আমাদের মুখের ভেতরটা সাধারণত ভেজা থাকে।কারণ সারাক্ষণই মুখের ভেতরে লালা আসতে থাকে।এই লালা আমাদের বেশ কয়েকটি উপকার করে।মুখ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।ছোট ছোট খাদ্য কোন মুখ থেকে সরায়।যেসব জিনিসের কারণে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয় সেগুলো সরাই।কিন্তু যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা মুখে না থাকে, তখন মুখ শুকিয়ে যায় ফলে মুখে দুর্গন্ধ দেখা দেয়।

যেমন সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের মুখে একটু দুর্গন্ধ হয়,সেটা এই মুখ শুকিয়ে যাওয়ার কারণে।কারণ ঘুমের সময় মুখে খুব কম পরিমাণ লালা আসে।মুখ যাতে শুকিয়ে না যায় সেই জন্য কি কি করা যেতে পারে।খুব সহজ কয়েকটা উপায় আছে।

(১)পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া,শরীরে যদি পানি শূন্যতা হয় তখন মুখে লালার পরিমান কমে যায়।
(২)অনেক বেশি চা কফি সফট ড্রিঙ্কস খাবেন না।এগুলোতে মুখ শুকিয়ে যেতে পারে।
(৩)এমন খাবার খাবেন যেগুলো বেশি বেশি চাবাতে হয়।যেমন শসা গাজর আপেল চাবানোর ফলে মুখে লালা আসবে।

(৪)চুইংগাম চালাতে পারেন সেটাও মুখে লাল আনতে সাহায্য করে।চিনি ছাড়া যেসব চুইংগাম পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।চিনি ছাড়া কেন এটা একটু পরের পয়ন্টে বলতেছি।মুখেদুর্গন্ধ হওয়ার দ্বিতীয় কারণে চলে আসে।

(২)অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস
আমরা যা খাচ্ছি তা অনেকভাবে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে সাহায্য হতে পারে।আমি দুইটা বিষয় তুলে ধরব,প্রথমটা হচ্ছে চিনে যুক্ত খাবার,আর পানিয়।যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলবেন।চিনি আছে এমন কিছু যখন খান দাঁতের উপরে চিনিযুক্ত খাবারের কনা লেগে থাকে।এই চিনি হজম করার কাজে লেগে পরে আমাদের মুখে বেঁচে থাকা অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া।

এই সময় কিছু এসিড উৎপন্ন হয়।জা গিয়ে দাঁতকে আক্রমণ করে।বারবার এমন হতে থাকলে দাঁতের বাইরের আবরণ ক্ষয় হয়ে যায় দাঁতের ছোট ছোট গর্ত দেখা দেয়।এখন এই ছোট গর্তে দুর্গন্ধ তৈরি করে এমন জীবাণুগুলো লুকিয়ে থাকা জায়গা পেয়ে যায়।তারপর সেই চিপা থেকে দাঁত ব্রাশ করে বা ফস করেও এগুলোকে বের করা দূরুহ হয়ে পড়ে।ফলে মুখে দুর্গন্ধ হয়।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস থাকলে আর একটা সমস্যা দেখা দিতে পারে।অপুষ্টি,শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেবে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।সুষম খাদ্যভাস আপনার শরীর ভালো রাখবে মুখে দুর্গন্ধ দূরে রাখে।

(৩)মুখের ভেতরটা ঠিকমত পরিষ্কার না রাখা
ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে মুখের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট খাদ্য কণা আটকে থাকে।আমাদের মুখের ভেতরে যে জীবন গুলো থাকে সেগুলো তখন ওই কোনায় কোনায় আটকে থাকা খাদ্য কোনা ভাঙতে শুরু করে।এখান থেকে কেমিক্যাল নিঃসরণ হয় যা থেকে মুখের দুর্গন্ধ তৈরি হয়।এটা ঠেকাতে মুখের ভেতরে খুব যত্ন নিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

প্রথমটা প্রায় সবাই জানেন কিন্তু বিভিন্ন কারণে অনেকেরই করা হয়ে ওঠে না।
(১)প্রতিদিন দুইবার দাঁত মাজা।প্রতিবার অন্তত দুই মিনিট ধরে দাঁত মাজবেন।
(২)দুই নাম্বার কাজটা আমরা সচরাচর করি না।সেটা হচ্ছে দুই দাঁতের মাঝখানের জায়গাটুকু প্রয়োজন পরিষ্কার করা।দেখা যায় দুই দাদার মাঝখানে মাংস আটকে গেলে সেটা টুথপিক দিয়ে খুঁটিয়ে বের করার চেষ্টা করি।

তাছাড়া ওই জায়গায় সাধারণত আমরা একটা মনোযোগ দেই না।প্রতিদিন দাঁত মাজলে ওই জায়গাটা পরিষ্কার হয় না।কারণ টুথব্রাশ দুই দাতের মাঝখানে জায়গায় পৌঁছাতে পারে না।ফলে এখানে খুব ছোট ছোট খাবারের টুকরা আর জীবাণুর একটা আস্তরণ জমে যায়।সেখান থেকে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।এই জায়গাটা পরিষ্কার ডেন্টাল ফ্লস করতে ব্যবহার করতে পারেন।

৫০ থেকে ১০০ টাকায় কিনতে পাওয়া যায়।চিকন সুতা বা তারের মতো একটা জিনিস।এইটা দিয়ে আলতো করে দুই দাঁতের মাঝখানের জায়গা পরিষ্কার করবেন।বেশি জোরে ঘষবেন না যার তাতে মাড়ির ক্ষতি হতে পারে।এই প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করলে মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার কথা না।কিন্তু তারপরেও দুর্গন্ধ থাকলে মুখ পরিষ্কার রাখতে বাড়তি আরো দুইটা কাজ করতে পারেন।

যিহোব্বা পরিস্কার করা এবং মাউথওয়াশ ব্যবহার করা।এখানে আমি কয়েকটা সাধারণ উপায় এর কথা বলেছি।একজন ডেন্টেস সমস্যা অনুযায়ী আরো বিস্তারিত সমাধান দিতে পারেবেন।অনেক ক্ষেত্রে এগুলো সাময়িক একটা সমাধান দিতে পারে।কিন্তু দুর্গন্ধ হওয়ার কারণটা খুঁজে বের করে সেটা সমাধান না করলে দুর্গন্ধ আবার ফিরে আসতে পারে।

(৪)ধূমপান
শরীরে অনেক ধরনের ক্ষতি করা পাশাপাশিএটা কয়েকভাবে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে।তামাক থেকে একটা দুর্গন্ধ আসে।তামাক মুখটা শুকনো করে ফেলে।আবার ধুমপাইদের মাড়িতে রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।সেখান থেকেও দুর্গন্ধ হতে।আপনি যদি ধূমপান করেন আজকে থেকে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।মুখে দুর্গন্ধ সেরে যাওয়ার পাশাপাশি আপনার স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হবে।

তামাক যে কেবল সিগারেটই থাকে তা কিন্তু না।বিভিন্ন প্রকারের জর্দা গুল সাদা পাতা এমন কি পান মশলাতেও তামাক থাকে।এগুলো খেলে সেখান থেকে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।পাশাপাশি এগুলো মুখের ক্যান্সার গলনারী ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ি দেয়।যাদের এসব খাওয়ার অভ্যাস আছে তারা এসব ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।আর যাদের এই অভ্যাস নাই তারা এটা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন।

(৫)মুখের ভেতরের রোগ
মুখের ভিতরে যদি কোন রোগ থাকে,যেমন দাঁতে ক্ষয় মাড়ির রোগ সে কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।মাড়ির কিছু রোগে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলো লুকানোর ভালো জায়গা পেয়ে যায়।আর মাডির রোগে সাধারণত ব্যথা হয় না।তাই আমরা বুঝতেও পারিনা বাড়িতে সমস্যা হচ্ছে।কিন্তু এই মাড়ির রোগের কারণে এক পর্যায়ে গিয়ে আমাদের দাঁতগুলো পড়ে যায়।

নিজে নিজে চেষ্টা করার পরও যদি মুখে দুর্গন্ধ থাকে,তাহলে একজন ডেন্টেস্টের কাছে যাবেন।তিনি দেখে দিতে পারবেন আপনার দাঁত বা মাডির কোন রোগের কারণে মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে কিনা।এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক,আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মুখে দুর্গন্ধ বাঁচার কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করলাম।আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারাও উপকৃত হবেন।যদি আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনার উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url