রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা কত
প্রিয় পাঠক,আপনারা যারা জানতে চাচ্ছেন রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় কি,কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুজি করা পরেও জানতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল।হিমোগ্লোবিন নামটি সাথে আমরা কম বেশি সকলে পরিচিত।
তাই আজকের এই আর্টিকেলের হিমোগ্লোবিন সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।আজকের এই আর্টিকেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা কত এ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।যদি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
হিমোগ্লোবিন শব্দটির সঙ্গে আমরা প্রায় সবাই কম-বেশি পরিচিত।এমন কি এই শব্দটি মাথায় আসলেই আমাদের রক্তের কথা মনে পড়ে।কারন আমরা জানি এই শব্দটি রক্তের সঙ্গে সম্পর্কিত।মানুষসহ মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রায় সকল প্রাণীর রক্তেই হিমোগ্লোবিন থাকে।যা অক্সিজেন পরিচালনা সহ শরীরের আরও অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করে থাকে।
মানুষের শরীরে রক্ত কতটা গুরুত্বপূর্ণ এটাই নিয়ে আজ আলোচনার মূল বিষয়।আজকে আমরা আলোচনা করব রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় কি।অ্যানিমিয়ার জন্য মূলত অপর্যাপ্ত লোহিত কণিকাকে দায়ী করা হয়।এই পরিস্থিতি মূলত শরীরে আইরনের অভাবে হয়ে থাকে।শরীর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে চেহারা ফ্যকাশে হয়ে যায়।
আরো পরুনঃ গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়
কারো কারো খাবারের অনীহা তৈরি হয়।শরীর সবসময় ক্লান্ত লাগে।রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়।মূলত আয়রনের অভাবে এমনটা হয়।রক্তস্বল্পতার কারণে অনেক সময় অবসাদ গ্রাস করে।অনেকের আবার রিদশ্পন্দনের গতি ও বেড়ে যায়।
- রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়
- রক্তে হিমোগ্লোবিন এর কাজ কি?
- রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়
- রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা কত
- রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়
মানুষের শরীরে রক্ত কতটা গুরুত্বপূর্ণ এটাই নিয়ে আজ আলোচনার মূল বিষয়।আজকে আমরা আলোচনা করব রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় কি।অ্যানিমিয়ার জন্য মূলত অপর্যাপ্ত লোহিত কণিকাকে দায়ী করা হয়।এই পরিস্থিতি মূলত শরীরে আইরনের অভাবে হয়ে থাকে।তাই যারা রক্তশূন্যতার ভোগেন দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন পরে।
তবে খাদ্য অভ্যাস এর পরিবর্তন করেও রক্তশূন্যতা দূর করতে পারেন।সেই খাবারগুলো হল ভিটামিন সি খাদ্য থেকে সহজে আয়রন শোষণ করে দেহে যোগান দেয়।টমেটো লেবুর টক জাতীয় ফল ক্যাপসিকাম ভিটামিন সি এর ভালো উৎসব।নিয়মিত এসব খাদ্য উপাদান খেলে রক্তে আইরনের পরিমাণ বজায় থাকে।প্রতিদিন ২ গ্লাস টমেটো জুস খেলে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধের সাহায্য করে।
এছাড়াও সোয়াবিনে রয়েছে উচ্চমাত্রার আয়রন এবং ভিটামিন।এর মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড রক্তস্বল্পতার সঙ্গে লড়াই করে।সোয়াবিনের রয়েছে কম পরিমাণ চর্বি ও প্রোটিন।প্রোটিন ও অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে উপকারী।খাদ্য তালিকা আইরন সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে হবে।যেমন মাংস মাছ বাদাম সবুজ শাকসবজি কচু কলিজা এসব খাবার প্রচুর পরিমানে খেতে হবে।
সবুজ সাকে রয়েছে আইরন প্রোটিন ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি।এগুলো রক্তের জন্য খুব ভালো।তাই রক্ত ভালো রাখতে সবুজ শাকসবজি প্রত্যক্ষ দিনের খাবারের তালিকায় রাখুন।প্রতিদিন একটা চামুচ মধু আর এক চা চামুচ ভিনেগার খাওয়ার অভ্যাস করুন।মধুতে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন ম্যাঙ্গানিজ ও কপার পাবেন।যা আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখবে।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন বি টুয়েল ফলেড সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।কমলালেবু কলা মটরশুটি ডিম এগুলোতো যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন বি টুয়েলভ আর ফলেড আছে।লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে কমলালেবু।এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।অ্যানিমিয়া রোগের জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে সবচেয়ে উপকারী চিকিৎসা হলো হাত-পা মেসেজ করা।
এতে করে শরীরের রক্ত চলাচল সঠিক উপায় হবে।এছাড়া এক গ্লাস করে আপেলের জুস খান এতেও ভালো ফল পাবেন।একটি পাকা কলার সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন।এভাবে প্রতিদিন দুইটি করে কলার মধুর সংমিশ্রণ খেলে রক্তশূন্যতা দূর হবে।কপি চা রেট আয়রন শোষণে বাধা দেয় তাই যাদের রক্তশূন্যতা আছে তাদের এসব পানীয় পরিহার করা স্বাস্থ্যসম্মত।তো বন্ধুরা নিজেকে খেয়াল রাখুন এবং সুস্থ থাকুন।
রক্তে হিমোগ্লোবিন এর কাজ কি?
হিমোগ্লোবিন শব্দটির সঙ্গে আমরা প্রায় সবাই কম-বেশি পরিচিত।এমন কি এই শব্দটি মাথায় আসলেই আমাদের রক্তের কথা মনে পড়ে।কারন আমরা জানি এই শব্দটি রক্তের সঙ্গে সম্পর্কিত।মানুষসহ মেরুদন্ডী ও অমেরুদন্ডী প্রায় সকল প্রাণীর রক্তেই হিমোগ্লোবিন থাকে।যা অক্সিজেন পরিচালনা সহ শরীরের আরও অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করে থাকে।
তো আসুন আজ হিমোগ্লোবিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।এটি কি কিভাবে আমাদের দেহে কাজ করে।হিমোগ্লোবিন আমাদের শরীরের একটি প্রয়োজনীয় প্রোটিন।মেডিকেল সায়েন্স এর ভাষায় একে মেটাল ও প্রোটিনও বলা হয়ে থাকে।এটি আমাদের রক্তের লোহিত রক্ত কণিকায় থাকে।এবং রক্তের মাঝে প্রয়োজনীয় ঘনত্ব বজায় রাখে।হিমোগ্লোবিনের জন্য রক্ত যেমন ভালো হয় তেমনি লাল হয়।
রক্তের অন্যান্য উপাদান সচরাচর বর্ণহীন হয়ে থাকে।হিমোগ্রবিনে রক্তকে লাল করে থাকে।এর দুটি প্রধান উপাদান হল হিম বা আইরন।যা হিমোগ্লোবিনের ৪%এবং গ্লোবিন (হিস্টোন জাতীয় প্রোটিন) ৯৬%।হিমোগ্লোবিন আমাদের দেহে দুই ধরনের প্রোটিন গঠনে ভূমিকা রাখে।
(১)টার্শিয়ারি প্রোটিন
(২)কোয়াটার্নারি প্রোটিন।
উভয় ধরনের প্রোটিনে শরীরের জন্য দরকারি।আর এসব প্রোটিনের স্থায়িত্ব প্রদান করার জন্য হিমোগ্লোবিন রক্তের মাঝে আলফা হেলিক নামের এক ধরনের অ্যামিনো এসিড উৎপন্ন করে থাকে।
হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ।
আগে জেনেছি হিমোগ্লোবিন বর্ণহীন রক্তকে লাল করে থাকে।সেই সাথে রক্তে থাকে নানা রকম উপাদানের পর্যাপ্ত তাও নিশ্চিত করে থাকে।তবে হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ শরীরে অক্সিজেন পরিবহন করা।এটি মানুষের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পৌঁছে দেয়।রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে যেসব সমস্যা হয় তার মাঝেই প্রধানতম বিষয়টি হচ্ছে অক্সিজেন স্বল্পতা।
আমরা যখন বাতাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে অক্সিজেন গ্রহণ করি তখন এটি প্রথমে আমাদের ফুসফুসে যায়।আর ফুসফুস থেকে প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরিবহনের দায়িত্ব পালন করে হিমোগ্লোবিন।শুধু তাই নয় এই হিমোগ্লোবিনি অক্সিজেনের সাথে কার্বন ডাই অক্সাইড বিনিময় করে।অর্থাৎ ফুসফুস থেকে অক্সিজেন নিয়ে শরীরে পাঠায়।
আর শরীর থেকে বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড নিয়ে ফুসফুসে পাঠিয়ে দেয়।অতঃপর ফুসফুস সেটাকে আমাদের নিঃশ্বাস ফেলার মাধ্যমে বাইরে পাঠিয়ে দেয়।আমরা বুঝতে পারছি যে আমাদের রক্তের অক্সিজেন সরবরাহের সঙ্গে হিমোগ্লোবিনের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এই কারণেই রক্তে যদি কখনো এই লোহিত কোন ধারণকারী পদার্থটি কমে যায় তবে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়।
আর তখন আমরা অ্যানিমিয়া সহ নানা রকম শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হই।কোন দূষিত পদার্থ দেখা দিলে হিমোগ্লোবিন সেটাকে পরিষ্কার করে।অর্থাৎ রক্তে যেকোনো ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রণে বাধা প্রদান করে।এমনকি আমাদের শরীরে যত ধরনের বিষাক্ত পদার্থ জমা হয় হিমোগ্লোবিন সেগুলোকে শরীরের বাইরে পরিবহনে ও সহযোগিতা করে থাকে।
মানুষের দেহের রক্ত কণিকার ৯৬থেকে ৯৭ভাগেই থাকে হিমোগ্লোবিনের প্রোটিন অংশ।আর রক্তের মোট ওজনের ৩৫ ভাগই দখল করে থাকে এই হিমোগ্লোবিন।আমাদের শরীরে থাকা প্রতি এক গ্রাম হিমোগ্লোবিন বাতাস থেকে প্রতিবার ১.৩৬ মিলিমিটার কখনো কখনো তার চেয়ে কিছুটা বেশি অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে।তাই হিমোগ্লোবিন আমাদের শরীরে কতটা উপকারী তা আমরা জানতে পারলাম।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি সমস্যা হয়
শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে যা হয়।শরীর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে চেহারা ফ্যকাশে হয়ে যায়।কারো কারো খাবারের অনীহা তৈরি হয়।শরীর সবসময় ক্লান্ত লাগে।রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়।মূলত আয়রনের অভাবে এমনটা হয়।রক্তস্বল্পতার কারণে অনেক সময় অবসাদ গ্রাস করে।
অনেকের আবার রিদশ্পন্দনের গতি ও বেড়ে যায়।অন্তত সত্য অবস্থায় অনেক নারী রক্তস্বল্পতাই ভোগেন।তবে পুষ্টির অভাবে যে কারো এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নির্ণয় করা যায়।রক্তে আরণের ঘাটতি পূরণে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় পালং শাক, ব্রকলি,বিট, আপেল, তরমুজ,কুন্ডুর বীজ, আমন্ড, অ্যাপ্রিকটএবং কিসমিস রাখতে পারেন।
ভিটামিন সি শরীরে আয়রন সরষে নিতে সাহায্য করে।শরীরে আইরনে ঘাটতি এ মেটাতে ভিটামিন সি আছে এমন খাবার বেশি করে রাখতে হবে।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা কত
রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক পরিমাণ কত এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে ১৪-১৮গ্রাম /ডেসিলিটার।প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে ১২-১৬ গ্রাম /ডেসিলিটার।নবজাতক শিশুদের জন্য১০-১৫গ্রাম /ডেসিলিটার।এবং কিছু কিছু মেডিকেলে এই মাপের সামান্য কিছু এদিক ওদিক হতে পারে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ
আজকে এমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলবো যেটাকে আপাতত দৃষ্টি তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে হয় না।বা আমরা এটাকে তেমন গুরুত্বের চোখে দেখি না।সেটি হলো রক্তস্বল্পতা।অথচ একটি ঘটনা হয়তো আপনার প্রাপ্তহীন বা প্রতিনিয়ত আনন্দ ময় বা স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনকে বাধাগ্রস্ত করতেছে।
কারণ হলো শরীরের রক্ত কমে গেলে,লক্ষণগুলো প্রকট ভাবে বা স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে এমন কিন্তু নয়।যদি আপনার ধারণা থাকে এ সমস্যা হলে কি কি লক্ষণ দেখা দিতে পারে তাহলে আপনি খুব সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।আসুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জেনে নিই আপনার শরীরের রক্ত কমে গেছে কিনা এর লক্ষণ গুলো কি কি।
(১)শারীরিক দুর্বলতা বা প্রচন্ড ক্লান্তি।রক্ত কমে যাওয়ার প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ হচ্ছে,শরীরে দুর্বলতা বা প্রচন্ড ক্লান্তি লাগা।
(২)অল্পতে হাঁপিয়ে ওঠা বা শ্বাসকষ্ট।রক্তস্বল্পতায় ভোগলে সামান্য পরিশ্রমে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে।এটা দেখা যায় যে একটি সুস্থ ব্যক্তি যতটুকু হাঁটতে পারেন।একটা রক্তস্বল্পতায় রোগী তার চেয়ে কম দূরত্ব হেটে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।
(৩)চোখ মুখ বা শরীর ফেকাশি হয়ে যাওয়া।ধীরে ধীরে রক্ত কমে গেলে প্রাথমিকভাবে অনেক সময় এ ব্যাপারটি টের পাওয়া যায় না।আপনি যদি খেয়াল করেন রক্তস্বল্পতা রোগীদের চোখের ভেতরের দিকে নিচের অংশে চোখ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।
(৪)মাথা ঘোরানো।ধীরে ধীরে রক্ত কমে গেলে অক্সিজেন অভাব দেখা দেয়।এর কারণে মাথা ঘুরতে পারে।
(৫)চোখে ঝাপসা দেখা।শরীরের রক্তস্বল্পতা হলে চোখে অন্ধকার দেখা যায় বা দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে।হাত পা ঝিনঝিন করে বা অবশ্ হয়ে আসে।
(৬)বিষন্নতা।বিষন্নতার মত ভয়াবহ মানসিক সমস্যা রক্তস্বল্পতার কারণেই দেখা দিতে পারে।অনেক সময় এ রোগির মেজাজ ও খিটখিটে হয়ে যায়।
(৭)খোদা মানদা দেখা দেয়।খাবারে কোন স্বাদ পাওয়া যায় না অনেক সময় বমি বমিও রাখতে পারে।ঠোঁটের কোনায় ঘা বা জিহ্বায় ঘা হতে পারে।অনেক সময় যিহোবা মসৃণ হয়ে যায়।এতক্ষণ যে সমস্যার কথা বললাম এ সমস্যাগুলো আপনার মধ্যে থাকলে একদম অবহেলা করবেন না।দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।অনেক সময় রক্তস্বল্পতা অনেক ধরনের বড় রোগের সূচনা সৃষ্টি করে দেয়।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে রক্তের হিমোগ্লোবিন সম্পর্কে অনেক কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করলাম।তাই আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কোন বিষয়টি বেশি ভালো লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।আর যদি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url