পবিত্র শবে বরাত কেন সৃষ্টি হলো

প্রিয় পাঠক,শবে বরাত রাতের গুরুত্ব কতটা এ সম্পর্কে আপনারা যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে জানার চেষ্টা করতেছেন,কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুজি করার পরেও জানতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল।শবেবরাত মহা ফজিলত পণ্য একটি রাত।শবে বরাত রাতের অর্থ হচ্ছে ভাগ্য রজনীর রাত্রি।
পবিত্র শবে বরাত কেন সৃষ্টি হলো
তাই এ সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।এবং আজকের এই আর্টিকেলে শবেবরাত রাত কেন সৃষ্টি করা হয়েছে এ সম্পর্কেও জানানোর চেষ্টা করব।তাই আশা করব ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই ও বোনেরা আপনারা মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়বেন।

ভূমিকা

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন।মহা ফজিলত পূর্ণ ও বরকতময় রাত লাইলাতুল বরাত।শবে বরাত একটি ফরাসি শব্দ।তবে সবে অর্থ রাত আর বরাত শব্দের অর্থ ভাগ্য।সেই হিসেবে শবে বরাতের অবিধানিক অর্থ হচ্ছে সৌভাগ্যের রাত্রি।এই রাত মুসলিম জাতির ভাগ্য রজনী বা সবে বরাত।এই রাত্রিতে পবিত্র শবেবরাত হিসেবে পালন করবে মুসলিম উম্মাহ।

মানুষ সৃষ্টি করার আগে মহান আল্লাহতালা তার ফেরেশতাদের ডেকে বললেন আমি মানুষ সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠাতে চাই।তখন ফেরেশতাগন বললেন ইয়া রাব্বুল আলামিন কেন মানুষ সৃষ্টি করবেন।আমরা তো আপনার এবাদত করছি।মানুষ সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠালে তারা সেখানে গিয়ে ঝগড়া বিবাদ মারামারি কাটাকাটিতে লিপ্ত থাকবে।

তবুও অনেক মহব্বত করে মহান রাব্বুল আলামিন ১৮ হাজার মাখলুকাতের মধ্যে মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত করে সৃষ্টি করেছেন।আশরাফুল মাখলুকাত শব্দের অর্থ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব।
  • পবিত্র শবে এই রাত্রের গুরুত্ব কতটা
  • শবে বরাত কি|কেন পালন করা হয়
  • শবে বরাতের আমল ও করণীয়
  • পবিত্র শবে বরাত কেন সৃষ্টি হলো

পবিত্র শবে এই রাত্রের গুরুত্ব কতটা

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন।মহা ফজিলত পূর্ণ ও বরকতময় রাত লাইলাতুল বরাত।শবে বরাত একটি ফরাসি শব্দ।তবে সবে অর্থ রাত আর বরাত শব্দের অর্থ ভাগ্য।সেই হিসেবে শবে বরাতের অবিধানিক অর্থ হচ্ছে সৌভাগ্যের রাত্রি।এই রাত মুসলিম জাতির ভাগ্য রজনী বা সবে বরাত।এই রাত্রিতে পবিত্র শবেবরাত হিসেবে পালন করবে মুসলিম উম্মাহ।

মানুষ সৃষ্টি করার আগে মহান আল্লাহতালা তার ফেরেশতাদের ডেকে বললেন আমি মানুষ সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠাতে চাই।তখন ফেরেশতাগন বললেন ইয়া রাব্বুল আলামিন কেন মানুষ সৃষ্টি করবেন।আমরা তো আপনার এবাদত করছি।মানুষ সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠালে তারা সেখানে গিয়ে ঝগড়া বিবাদ মারামারি কাটাকাটিতে লিপ্ত থাকবে।

তবুও অনেক মহব্বত করে মহান রাব্বুল আলামিন ১৮ হাজার মাখলুকাতের মধ্যে মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত করে সৃষ্টি করেছেন।আশরাফুল মাখলুকাত শব্দের অর্থ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব।মানুষকে যখন আল্লাহতালা সৃষ্টি করেছেন,মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টি শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।মানুষ সৃষ্টির সূচনা লগ্নে মানুষের বয়স ছিল ১০০ থেকে ২০০ বছর।

তখনকার মানুষ ১০০ থেকে ২০০ বছর বেঁচে থেকে আল্লাহতালার ইবাদত বন্দেগী করে তারা সন্তুষ্টি অর্জন করেছে।কিন্তু আল্লাহতালা শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর উম্মতগণের বয়স কম করে দিয়েছেন।আগের মানুষ যখন ১০০ থেকে ২০০ বছর বেঁচে থেকে আল্লাহর এবাদত বন্দেগী করে তার সন্তুষ্ট লাভ করেছে।

সেখানে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মতগণ ৬০ থেকে ৮০বছর বেঁচে থেকে কিভাবে, আগেকার মানুষের মতো ইবাদত বন্দি করবে।এবং তার সন্তুষ্টি অর্জন করবে।সেই জন্য হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মতগণের জন্য মহান রাব্বুল আলামিন কয়েকটি রজনী পর্বর বা উপলক্ষ দান করেছেন।এই রজনীগুলোতে নানা রকম ইবাদত বন্দেগী করবে।

তাহলে আগেকার উম্মতগণের মতো হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মতগণ পূর্ণ লাভ ও মহান রব্বুল আলামীনের সন্তুষ্ট অর্জন করতে পারবে।যে সকল রজনী পর্বতা উপলক্ষ পূর্ণ আন্তরিকতার সহিত মহান পালনকর্তার ইবাদত বন্দেগী করে ৬০ থেকে ৮০ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনের, পূর্বকালের শত সহস্র দীর্ঘায়ু প্রাপ্ত ব্যক্তিগণের সমান নেকি ও সওয়াব লাভ করতে পারবে।

এইসব রজনী পর্ব বা উপলক্ষের মধ্যে গুরুত্ব ও ফজিলতের দিক দিয়ে যার স্থান দ্বিতীয়।বা রমজানের পরই যার স্থান দ্বিতীয় বা রমজানের পরই যে পর্ব রজনী বা উপলক্ষ প্রতিবছর শাবান মাসে আমাদের নিকট এসে থাকে।চন্দ্র মাসের অষ্টম মাস সাবান।সাবানের চাঁদ এমন একটি ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময় রাত আছে।সেই রাত্রে ইবাদত বন্দেগী করলে অসীম সওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়।

সেই রাত্রির নাম লাইলাতুল বরাত বা সবে বরাত।আর সাবান দিবাগত রাত্রি সেই ফজিলতপূর্ণ ও বরকত ময় রাত শবে বরাত।এই রাত্রে গুনাহগার বান্দারা আল্লাহ তায়ালার দরবার থেকে ক্ষমা লাভ করবে বলে এ রাতের নাম লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত নামকরণ করা হয়েছে।

শবে বরাত কি|কেন পালন করা হয়

শবে বরাত বা ক্ষমার রাত ইসলামিক ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাসে শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের ১৫ তম রাত্রিতে ধর্মপ্রা মুসলমান এই দিনটি পালন করে থাকেন।আরোব বিশ্ব এই দিনটিকে লাইলাতুল বরাত বলা হয়।দিনটি রমজান মাসের ১৫ দিন আগে পালিত হয়।এই উৎসব নিয়ে প্রচুর মতো বিরোধ রয়েছে।মুসলিমের মধ্যে অনেক রায় এই দিনটি পালন করেন না।

তবে শবেবরাত সারা বিশ্বের অনেক মুসলমানরা আরো বর বা উৎসএর সাথে পালন করে থাকে। কারণ মুসলমানরা বিশ্বাস করেন এই দিনে আল্লাহতালা তাদের সমস্ত গুনাহ সাধারণ ক্ষমা করে দেন।এই দিনটা পুরো মুসলিম বিশ্বে উৎসাহের সাথে উদযাপন করা হয়।এই দিনটিতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ধর্মপান মুসলমানরা সারারাত ইবাদত বন্দী করেন।

১৪য় সাবান এবং ১৫ সাবান এই দুইটি দিন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈঘটন লাভের জন্য সিয়াম পালন করেন।পুনরায় সাবান রাত্রিতে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীতে ধর্মঘন মুসলমানরা ব্যস্ত থাকেন।জিকির করেন আল্লাহর ইবাদত করেন। এবং পূর্ব পুরুষদেরকে স্মরণ করে কবর জিয়ারত করেন।আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন যে তিনি যেন সকলের গুনাহ মাফ করে দেন।

শবে বরাতের আমল ও করণীয়

শবে বরাত যেটা হাদিসের ভাষায় বলা হয়েছে মধ্য শাবানের রাত্রি।সাবানের মধ্য রজনী।১৪ এ সাবান দিবাগত রাত।এটা কে আমাদের সমাজে বা ভারত মহাদেশের অঞ্চলে ইরানে শবে বরাত বলে।এই রাত্রে আল্লাহ তা'আলা,যারা মুশফিক শিরোকে লিপ্ত হিংসুক ছাড়া বেদায়েত ছাড়া যে ব্যক্তি সুন্নাহ মেনে চলতে চায়না সে ব্যক্তি ছাড়া বাকি সব ঈমানদার কে আল্লাহতালা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করবেন।

আল্লাহ সাধারণ ক্ষমা পাওয়ার জন্য,মধ্য সাবান রাত যেটাকে শবে বরাত বলি আমরা।এই রাতের আমল যদি করতে চান তাহলে বলবো আমি শিরিক থেকে মুক্তি হন,বিদায় থেকে মুক্তি হন হিংসা থেকে বিদ্বেষ থেকে শত্রুতা থেকে মুক্তি হন।কারো পিছে লাগালাগি করেন না।অন্তরে যদি কারো প্রতি খুব হিংসা থাকে তাহলে মুছে ফেলান।পরিষ্কার হয়ে যান।সুন্নতকে আঁকড়ে ধরেন।

ইনশাআল্লাহ আপনি আল্লাহর পক্ষ থেকে সাধারন ক্ষমা পেয়ে যাবেন।এছাড়াও কেউ যদি এই রাতে ব্যক্তিগতভাবে আমল বন্দী কি করে,সেটা তার জন্য জায়েজ আছে।আর আমাদের দেশে যেটা হয়,শবেবরাত মানেই মসজিদে দলবদ্ধভাবে হয়ে জিকিরবন্দেগী করা।দলবদ্ধভাবে অনেক কিছু করতে হবে।বিশেষ করে যেগুলো সুন্নতে আমল একা একা করা যাবে,সেগুলো বিশেষ করে একাই করা উচিত।যেগুলো দলবদ্ধ ভাবে করার কোন নির্দেশ নাই সেগুলো দলবদ্ধ ভাবে করলে ভুল হবে।

শবে বরাতের আমল
এই রাতে নির্দিষ্ট কোন আমল নেই।
(১)মাগরিব ও ফজর নামাজ যেন অবশ্যই জামাতের সঙ্গে হয়।
(২)সাধারণভাবে যে নিয়মের নফল নামাজ পড়া হয়,সেভাবে নফল নামাজ পড়া অর্থাৎ দু'রাকাত করে যত রাকাত সম্ভব পড়বেন।শবে বরাতের নির্দিষ্ট কোন নামাজ নেই আমলও নেই।

(৩)তওবা করা।কারণ তওবা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তোমার মাধ্যমে আল্লাহতালা তার বান্দাকে সকল গুনাহ থেকে মাফ করতে পারেন।এজন্য অবশ্যই বেশি বেশি করে তোবা করব।আর তওবা করলে আল্লাহ তাআলা তার বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন।
(৪)কোরআন শরীফ বেশি বেশি করে তেলাওয়াত করা।
(৫)দুরুদ পড়া।

(৬)জিকির আযগার করা বেশি করে ইস্তেগফার পড়া।
(৭)এ রাতে খুবই বেশি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গে দোয়া করা।কেননা এ রাতে দোয়া কবুল হওয়ার কথা হাদিসে অনেক এসেছে।
(৮)সম্ভব হলে কিছু ছাদকা করা।

(৯)মৃতদের জন্য দোয়া করা।
(১০)পরের দিন রোজা রাখা।
(১১)সালাতুত তাজবির নামাজ পড়া।

যদিও এ রাতে নির্দিষ্ট কোন আমল নেই তারপরেও এ আমল গুলো করলে আল্লাহতালার সন্তুষ্ট অর্জন করা সম্ভব।হতে পারে এ আমলের কারণে আল্লাহতালা আপনাকে সাধারন ক্ষমা ঘোষণা করতে পারেন।তাই আমদের শুধু শবেবরাত একটি দিনই আমল করলে হবে না।আমাদের ওজির প্রতিদিনই আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জনের জন্য এবং ইহকালের মুক্তি পরকালের শান্তির জন্য আমাদের ইবাদত বলতে কি করতে হবে।এবং এই আমলগুলো করতে হবে।

পবিত্র শবে বরাত কেন সৃষ্টি হলো

মহা ফজিলত পূর্ণ ও বরকতময় রাত লাইলাতুল বরাত।শবে বরাত একটি ফরাসি শব্দ।চন্দ্র মাসের অষ্টম মাস সাবান।সাবানের চাঁদ এমন একটি ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময় রাত আছে।সেই রাত্রে ইবাদত বন্দেগী করলে অসীম সাওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়।আগের মানুষ যখন ১০০ থেকে ২০০ বছর বেঁচে থেকে আল্লাহর এবাদত বন্দেগী করে তার সন্তুষ্ট লাভ করেছে।

সেখানে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মতগণ ৬০ থেকে ৮০বছর বেঁচে থেকে কিভাবে, আগেকার মানুষের মতো ইবাদত বন্দি করবে।এবং তার সন্তুষ্টি অর্জন করবে।সেই জন্য হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মতগণের জন্য মহান রাব্বুল আলামিন কয়েকটি রজনী পর্বর বা উপলক্ষ দান করেছেন।এই রজনীগুলোতে নানা রকম ইবাদত বন্দেগী করবে।

তাহলে আগেকার উম্মতগণের মতো হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মতগণ পূর্ণ লাভ ও মহান রব্বুল আলামীনের সন্তুষ্ট অর্জন করতে পারবে।যে সকল রজনী পর্বতা উপলক্ষ পূর্ণ আন্তরিকতার সহিত মহান পালনকর্তার ইবাদত বন্দেগী করে ৬০ থেকে ৮০ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনের, পূর্বকালের শত সহস্র দীর্ঘায়ু প্রাপ্ত ব্যক্তিগণের সমান নেকি ও সওয়াব লাভ করতে পারবে।

সেই রাত্রির নাম লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত।এই রাত্রে গুনাগার বান্দারা আল্লাহতালার দরবার থেকে ক্ষমা লাভ করবে বলে।এ রাতের নাম লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত নামকরণ করা হয়েছে।এনাম হতে এই রাতের ফজিলত ও গুরুত্ব বিষয়ে অতি সহজ সম্পর্কে পবিত্র আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত হয়েছে যে,রাসুল সাঃ সাবান মাস সম্পর্কে এত বেশি খেয়াল রাখতেন যে রমজান মাস ছাড়া অন্য কোন মাস সম্পর্কে ততটা বেশি খেয়াল রাখতেন না।

নবী করিম সাঃ আরো বলেছেন,রমজানের জন্য তোমরা সাবান চাঁদের হিসেব রাখো।কারণ সাবানের চাঁদের হিসাব নির্ভুল বা সঠিক হলে রমজানের চাঁদের হিসাব হতে অসুবিধা হবে না।হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত আছে একতা রাত্রে আমি হযরত মুহাম্মদ সাঃকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে তার খোঁজে বাহিরে গেলাম।তুমি তখন জান্নাতুল বাকি নামক কবরস্থানে ছিলেন।

আরো পরুনঃ
তিনি বললেন আমার নিকট জিব্রাইল আলাইহিস সালাম এসে বললেন যে আজ সাবানের রাত এ রাতে আল্লাহ তাআলা তার গুনাগার বান্দাকে মাফ করে দেন।কিন্তু যারা আল্লাহ সহিত অন্য কাউকে শরীক করে,নিজেদের বাবা-মায়ের সাথে নাফারমানি করে।যারা অন্যের প্রতি ঈসা পোষণ করে। তারা এই ব্যাপক ক্ষমাল লাভের রাতেও আল্লাহ তায়ালার রহমত ক্ষমা লাভ করতে পারবেনা।

অন্য একটি রেওয়াতে বর্ণিত আছে সাবান মাসের ১৫ তারিখ রাত্রে মহান রাব্বুল আলামিন সমগ্র সৃষ্টি কুলের প্রতি বিশেষ রহমত ও নেক নজরে তাকান।এবং যাকে খুশি তাকে মাফ করে দেন।এবং বান্দা যা চায় তাই দেন।আরেকটি হাদিস শরীফে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন।

যে ব্যাক্তি লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাতের রাত্রে সারারাত জেগে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করবে,আল্লাহতালা তার ১০০ থেকে ২০০ বছর জীবনের গুনাহ মাফ করে দিবেন।হযরত আয়েশা সিদ্দীকী রাঃ বর্ণিত,একদা এক রাতে হযরত মুহাম্মদ সাঃ তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে ছিলেন।সেজদায় গিয়ে তিনি এত দীর্ঘ সময় থাকলেন যে তা দেখে আমি ভাবলাম তাহার রুহ কবজ হয়ে গেল নাকি।

তাই ভেবে সংকেত হয়ে গেছিলাম।এমনকি আমি বিচলিত হয়ে আমি তার নিকটে গিয়ে বৃদ্ধ আঙ্গুলি ধরে নারা দিলাম।ফলে তিনি নড়ে উঠলেন।তারপর আমার অন্তরে শান্তি ফিরে আসলো।আমি আমার নিজের জায়গায় চলে গেলাম।নামাজ শেষ করে কয়েকটি কথার পর তিনি আমাকে বললেন আয়েশা আজকে কিসের রাত তা তুমি জানো।

উত্তর আমি বললাম আল্লাহতালা এবং তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর ভালো জানেন।তখন রসূল সাঃ বললেন আজ সাবানের ১৫ই রাত্রি।এই রাত্রে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াবাসীর প্রতি বিশেষ রহমতের দৃষ্টি দিয়ে তাকান।যেসব বান্দা তার দয়া করুনা ভিক্ষা চায় তাদের প্রতি করুণা বর্ষন করেন।কিন্তু পরস্পর শত্রুতা পোষণকারী লোকদের তাদের নিজ নিজ অবস্থার ওপর ছেড়ে দেন।

অর্থাৎ এই রহমতের রাতেও তারা ক্ষমা লাভ থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন।মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন শবে বরাতের পরবর্তী এক বছরে কে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করবে এবং কে মৃত্যুবরণ করবে তা এই রাতেই লেখা হয়ে থাকে।এই রাত্রে বনি আদমের আমলনামা আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়।আর এই রাতে তাদের রিজিক বন্টন করা হয়।

যখন শাবান মাসের ১৫ রাত্রি অর্থাৎ ১৪ তারিখের দিবাগত রাত আসবে,তখন তোমরা রাত্রি জাগরণ করে আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগী করবে। এবং তার পরবর্তী তিনি রোজা রাখবে।কেননা ঐ রাতের সূর্যাস্তের পরই আল্লাহ পাক সর্বনিম্ন আসমানের নেমে আসেন।এবং বান্দাদেরকে ডেকে ডেকে বলেন কে আছে ক্ষমাপ্রার্থনাকারী যাকে আমি ক্ষমা করব।কে আছে রিজিক প্রার্থনাকারী তাকে আমি রিজিক দেব।

কে আছে বিপদগ্রস্ত যে বিপদমুক্তি প্রার্থনা করবে এবং আমি তার বিপদ থেকে মুক্তি করে দেব।রাসুলের সাঃ বলেছেন সারাটি রাত এভাবে বান্দাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টিতে দেখেন।আমরা অতি সহজে বুঝতে পারছি।পরম করুনাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কত রহমত ফজিলত ও মহা বরকতময় রাত দান করেছেন।এ রাতে আমাদের আগামী বছরের সবকিছুই নির্ধারণ করে দেন।

তাই এই রাতে আমাদের অনেক কিছু করণীয় আছে।এ রাতে করনীয় সম্পর্কে এবাদত বন্দেগীর কথা বলা হয়েছে।কোরআন শরীফে বলা হয়েছে সেজদা করো এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করো।বান্দা সকল কাজের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় কাজ হচ্ছে অর্থাৎ কাকুতি মিনতি ও আকুলতা ব্যাকুলতা।তাই নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট বান্দার কাকুতি মিনতি সবচেয়ে বেশি প্রকাশ পায়।তারপরে কোরআন তেলাওয়াত করা কথা বলা হয়েছে।

আমাদের জীবনের সকল গুনাহের কাজ থেকে দূরে থাকতে চেয়ে।সকল বিপদ আপদ থেকে মুক্তি রেখে।সুন্দর সুখময় জীবন মৃত ব্যক্তিদের জন্য দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে পরম করুণাময় বিশ্ব ভূখণ্ডের মালিক মহান আল্লাহতালার নিকট দোয়া প্রার্থনা করা আমাদের সকলের একান্ত কাম্য।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে শবেবরাত সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করলাম।শবে বরাত খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ রজনী।এ রাতে আল্লাহতালার কাছে যে কাকোতি-মিনতি করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা রিজিক এবং যা কিছু চাই আল্লাহ তাআলা তাকে তা দেওয়ার চেষ্টা করেন।তাই আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা যদি কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন।তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url