পাসপোর্টের মেয়াদ কতদিন থাকতে রিনিউ করবেন ও যা লাগবে
প্রিয় পাঠক,পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কি করবেন।এ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুজি করার পরেও জানতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল।বিদেশ ভ্রমণের জন্য অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে পাসপোর্ট।পাসপোর্ট আপনার পরিচয় পত্র বহন করে।
পাসপোর্ট এর মেয়াদ কতদিন থাকতে রিনিউ করবেন এবং যা যা লাগবে।এ সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই আপনি উপকৃত হবেন মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।যদি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন,তাহলে হয়তোবা কোনদিন আপনার উপকারে লাগতে পারে।
ভূমিকা
পাসপোর্ট একজন নাগরিকের জন্য বিদেশ ভ্রমণের কাজে ব্যবহৃত অপরিহার্য দলিল।বৈধভাবে যেকোনো দেশের ভ্রমণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির একটি পাসপোর্ট থাকা একান্ত প্রয়োজন।জাতীয় পরিচয় পত্র বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে অন্যতম জোরালো প্রমাণপত্র।কিন্তু দেশের গণ্ডি পেরোলেই এই পরিচয়পত্র প্রায় অচল।সেখানে কেবল পাসপোর্টই একজন ব্যক্তির হয়ে সাক্ষ্য দিতে পারে।
প্রমাণ করতে পারে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক।শুধু তাই নয় মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতির জন্য প্রত্যেক নাগরিকেরই পাসপোর্ট থাকা প্রয়োজন।জন্মসূত্রে বা অভিবাসন সূত্র বাংলাদেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ সরকার পাসপোর্ট প্রদান করে থাকে।বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস বা বিদেশি বাংলাদেশী দূতাবাস হতে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যায়।আমরা অনেক সময় অবহেলার ভুলবসত বা যেকোনো কারণে আমাদের পাসপোর্টটি হারিয়ে ফেলি।
আরো পরুনঃপাসপোর্ট কোনটা সুবিধাজনক আপনার জন্য
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কি করবেন।পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কিন্তু পাসপোর্ট রিস্যু করার সময় আপনাকে বেশ কিছু ডকুমেন্ট দিতে হবে।এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পাসপোর্ট হারিয়ে গিয়েছে এই মর্মে থানায় যে জিডি করেছেন সেটার একটি কপি।পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সাথে সাথে থানায় গিয়ে জিডি করবেন।
- পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কি করবেন
- রি ইস্যু। পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
- পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে
- পাসপোর্টের মেয়াদ কতদিন থাকতে রিনিউ করবেন ও যা লাগবে
- জানলে অবাক হবেন বাংলাদেশী পাসপোর্ট কত প্রকার
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কি করবেন
আমরা অনেক সময় অবহেলার ভুলবসত বা যেকোনো কারণে আমাদের পাসপোর্টটি হারিয়ে ফেলি।পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কি করবেন।পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কিন্তু পাসপোর্ট রিস্যু করার সময় আপনাকে বেশ কিছু ডকুমেন্ট দিতে হবে।এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পাসপোর্ট হারিয়ে গিয়েছে এই মর্মে থানায় যে জিডি করেছেন সেটার একটি কপি।
পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সাথে সাথে থানায় গিয়ে জিডি করবেন।আপনি পাসপোর্ট রিসু না করলেও পাসপোর্ট বা জে কোন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হারিয়ে গেলে থানায় গিয়ে জিডি করবেন।কারণ আপনার ডকুমেন্টটি অন্য কেউ মিস ইউজ করতে পারে। বা যেকোনো ধরনের অপরাধগুলো কাঁযে ব্যবহার করতে পারে।তখন কিন্তু আপনি আইনি জটিলতায় পড়ে যাবেন।
থানায় গিয়ে আগে থেকে যদি রিপোর্ট করে রাখেন আপনার পাসপোর্টটি হারিয়ে গিয়েছে বা আপনার ডকুমেন্টটি হারিয়ে গিয়েছে তখন আপনি নিরাপদে থাকবেন।এবং পাসওয়ার্ডটি পাওয়া গেলে পুলিশ আপনাকে খুজে পাসপোর্টটি দিয়ে দিবে।পাসপোর্ট জিডির কপিটি পাসপোর্ট রিস্যু করার সময় কাজে লাগবে।পাসপোর্ট ইস্যু করার সময় পাসপোর্ট এর একটি কপি আবেদনের সাথে এটাস্ট করে দিতে হয়।
পাস পাসি পাসপোর্ট এর এর মূল কপি শো করতে হয়।যে পাসপোর্টটি হারিয়ে গিয়েছে সেই পাসপোর্টটির কপি আগে থেকে সংরক্ষিত থাকলে পাসপোর্ট এর আবেদনের সাথে সেটি দেয়া যায়।এবং মূল কপির পরিবর্তে হারিয়ে গিয়েছে মরবে যে ডিডিটি করেছেন সেটির কপি দিলে পাসপোর্ট ইস্যু করতে পারবেন।অর্থাৎ পাসপোর্ট রিসু করার সময় দুটি ডকুমেন্ট লাগে।
একটি হচ্ছে পাসপোর্ট এর কপি আরেকটি হচ্ছে মূল পাসপোর্টটি শো করা।যে পাসপোর্টটি হারিয়ে গিয়েছে সে পাসপোর্টটি তো আর শো করা যাবে না।সে ক্ষেত্রে মুল পাসপোর্ট এর পরিবর্তে পাসপোর্টের কপির সাথে পাসপোর্ট এর জিডির কপি সহ আবেদনপত্রের সাথে অ্যাটাচ করে দিতে হবে।এক্ষেত্রে আপনার কাছে যদি আগের কোন কপিও না থাকে এবং পাসপোর্ট নাম্বারটি জানাও না থাকে তখন কিন্তু আপনি একটি বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে যাবেন।
পাসপোর্ট পাওয়ার সাথে সাথে পাসপোর্ট এর একটি কপি করে বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টের সাথে সংরক্ষণ করে রাখবেন।এবং পাসপোর্ট এর একটি স্কেন কপি ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ করবেন।ইমেইলের নিজের ই মেলে নিজে সেন্ড করে রাখতে পারেন পাশাপাশি ফেসবুকে অনলি মি করে পোস্ট করে রাখতে পারেন এবং google ড্রাইভে সেভ করে রাখতে পারেন।সংরক্ষণ থাকলে সেই কপিটি কিন্তু আপনি প্রিন্ট দিয়ে প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন।
রি ইস্যু। পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
অনেকের একটি কমন প্রশ্ন থাকে পাসপোর্ট করতে কত টাকা খরচ হয়।পাসপোর্ট রি ইসু করতে কত টাকা খরচ হয়।ইস্যু করতে ডাটা সংশোধন করতে বা ভুল সংশোধন করতে ডাটা পরিবর্তন করতে যেভাবে বলেন পাসপোর্ট যদি আমরা নতুন নেই বা রি ইস্যু করি সব সময় একই টাকা খরচ হয়।রি ইসু করার জন্য আলাদা টাকা খরচ।
বা নতুন পাসপোর্ট করার জন্য আলাদা অংকের টাকা। ভুল সংশোধনের জন্য আলাদা কোন টাকা এ ধরনের কোন হিসেব নেই।নতুন একটি পাসপোর্ট করার জন্য যে টাকা খরচ হবে আপনার ইস্যু করার জন্য ঠিক সেইম টাকাই খরচ হবে।সমপরিমাণ টাকায় খরচ হবে।সেটা আপনি যে কারণেই রি ইসু করেন না কেন।সাধারণত চারটি কারণে আমরা পাসপোর্ট করে থাকি।
প্রথমত, মেয়াদ চলে গেলে।দ্বিতীয়ত, ডাটা পরিবর্তন করার জন্য।তৃতীয়ত,ভুল সংশোধনের জন্য।চতুর্থ,পাতা শেষ হয়ে গেলে।আমরা যখন এই এই চারটি কারণে পাসপোর্ট রি ইসু করি আমাদেরকে কিন্তু নতুন পাসপোর্ট করতে যে টাকা খরচ করতে হয় ঠিক সমপরিমাণ টাকায় খরচ করতে হবে।কম বা বেশি কোন টাকা খরচ করতে হবে না।চলুন জেনে না যা খরচের হার।
৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট
১৫ থেকে ২১ কর্ম দিবসের মধ্যে নিয়মিত বিবরণ ৪০২৫ টাকা।
৭ থেকে ১০কর্ম দিবসের মধ্যে জরুরী বিবরণ ৬৩২৫ টাকা।
২ কর্ম দিবসের মধ্যে অতি জরুরী বিবরণ ৮৬২৫ টাকা।
৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদে পাসপোর্ট
১৫ থেকে ২১ কর্ম দিবসের মধ্যে নিয়মিত বিবরণ৫৭৫০ টাকা
৭ থেকে ১০কর্ম দিবসের মধ্যে জরুরী বিবরণ ৮০৫০ টাকা
২ কর্ম দিবসের মধ্যে অতি জরুরী বিবরণ ১০৩৫০ টাকা
৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদে পাসপোর্ট
১৫ থেকে ২১ কর্ম দিবসের মধ্যে নিয়মিত বিবরণ৬৩২৫ টাকা।
৭ থেকে ১০কর্ম দিবসের মধ্যে জরুরী বিবরণ ৮৬২৫ টাকা।
২ কর্ম দিবসের মধ্যে অতি জরুরী বিবরণ ১২০৭৫ টাক।
৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদে পাসপোর্ট।
১৫ থেকে ২১ কর্ম দিনের মধ্যে নিয়মিত বিবরণ ৮০৫০টাকা।
৭থেকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে জরুরি বিবরণ ১০৩৫০ টাকা।
২কর্ম দিবসের মধ্যে অতি জরুরি বিবরণ ১৩৮০০ টাকা।
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে
আপনার বর্তমানে একটি পাসপোর্ট আছে।এই পাসপোর্টে ভুল আছে।হতে পারে নিজের নামের ভুল পিতা-মাতার নামের বানানের ভুল আপনার জন্ম তারিখের ভুল বা অন্য কোন ভুল।এই ধরনের ভুল কিন্তু বর্তমানে সংশোধন করা যাচ্ছে।আজকে আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব যদি আপনার পাসপোর্টে ভুল থাকে।তাহলে ভুলগুলো সংশোধন করার জন্য যখন আপনি আবেদন করবেন।
তখন আবেদনের সাথে কি কি কাগজপত্র জমা দিবেন।সে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।বাংলাদেশের নাগরিকদের পাসপোর্ট এর মধ্যে যে সকল ভুল ছিল তাদের ভোগান্তির শেষ ছিল না।তার পাসপোর্ট নবায়ন সংশোধন কিম্বা এই পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে যেতে চরমভাবে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ সরকার এই ভোগান্তি লাঘবের জন্য নতুন করে একটি পরিপত্র জারি করেছেন।জারআলকে আপনারা আপনাদের পাসপোর্টে বর্তমান নাম,পিতা-মাতার নাম এবং জন্মতারিখের ভুল সংশোধন করে নিতে পারবেন।এ পাসপোর্ট সংশোধন করতে ইপাসপোর্টে নিজস্ব ওয়েব সাইটে গিয়ে আপনাকে আবেদন করতে হবে।
এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্ট এর।বর্তমানে যদি ই পাসপোর্ট এর ভুল থাকেব তাহলে ই পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্টের করার জন্য আবেদন করতে হবে।সেখানে অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে সংশোধন করার জন্য আবেদন করছেন।সেখানে বর্তমানে আপনার পাসপোর্টে থাকার তথ্য দিয়ে কিন্তু আপনি আবেদন পত্রটা ফিলাপ করবেন না।
সঠিক তথ্য দিয়ে আপনার আবেদন পত্র ফিলাপ করবেন।যাতে করে নাম ঠিকানা আবার ভুল না হয়।ফিলাপ করা পরে অনলাইনে সাবমিট করবেন।সাবমিট করার পরে কমপ্লিট যে পিডিএফ ফাইল টা পাবেন সেটা ডাউনলোড করবেন।ডাউনলোড করার পরে প্রিন্ট করে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে।সংশোধন করার ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
পাসপোর্ট সংশোধন কি কি কাগজপত্র লাগবে।
(১)অনলাইনে পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য আবেদন পত্রের সারাংশের প্রিন্ট কপি এবং আবেদন পত্র পিন কপি।
(২)জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের সনদ পত্রের কপি।
(৩)ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রশিদ।
(৪)পূর্ববর্তী পাসপোর্ট থাকলে সকল পাসপোর্ট এর অরজিনাল কপি এবং সর্বশেষ পাসপোর্ট এর ডাটা পেজের ফটোকপি।
(৫)সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে জিও /এনওসি।
(৬)শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের কপি।
(৭)পিতা মাতার নামে সংশোধনের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ কপি।
(৮)স্বামী বা স্ত্রীর নাম যুক্ত বা পরিবর্তন সংশোধনের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের সনদ কপি।প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ মৃত্যু সনদ বা তালাকনামা।
(৯)পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য একটি লিখিত আবেদন পত্র।
(১০)আবেদনপত্রের সাথে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট /সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসের প্রদর্শন নমুনা অনুযায়ী আবেদনকারীর একটি অঙ্গীকার নামা যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষর পূর্ব দাখিল করতে হবে।
এই প্রয়োজনে কাগজপত্র যদি জমা দান করেন,তাহলে আপনার পাসপোর্টটি সংশোধন হয়ে নতুন একটি সংশোধিত পাসপোর্ট চলে আসবে।
পাসপোর্টের মেয়াদ কতদিন থাকতে রিনিউ করবেন ও যা লাগবে
পাসপোর্ট এর মেয়াদ কতদিন থাকতে রিনিউ করবেন। কিভাবে কিভাবে করবেন এবং কি কি ডকুমেন্টস লাগবে।এবং কত টাকার চার্জ দিতে হবে।এই সম্পকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।আশা করি আপনাদের জন্য এই আর্টিকেলটি খুবই হেল্পফুল হবে।আর্টিকেল থেকে আপনি প্রপার ভাবে জানতে পারবেন যে,কিভাবে আপনি পাসপোর্ট এর জন্য রিনিউ এর জন্য কত দিনের মধ্যে আপনি এপ্লাই করবেন।
এবং কত টাকা খরচ হতে পারে এবং কি কি কাগজপত্র লাগতে পারে।চলুন জেনে নেই আপনি পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কতদিনের মধ্যে আপনি বা কতদিন আগে আপনি পাসপোর্টটা রিনিউ করবেন।চার থেকে পাঁচ মাস আগে পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য আবেদন করা ভালো।যদি আপনি অ্যাপ্লাই না করেন তাতে কোন সমস্যা নেই।
ইভেন্ট যদি পাসপোর্ট এর মেয়াদ চলেও যায় তাতেও কোন সমস্যা নেই।এবার পুরনো পাসপোর্ট দেখে পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীনের তারিখ লিখুন।এরপর বাকি ধাপ গুলো স্বাভাবিক এই পাসপোর্ট এর আবেদনের মতোই সম্পূর্ণ করে আবেদনটির সাবমিট করুন।অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ আবেদন করার পর আবেদনের কপি পেজে দুই পারে প্রিন্ট করুন।
এরপর পাসপোর্ট রিনিউ এর ফ্রি পরিশোধ করুন।তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।পাসপোর্টে রি ইসুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট দেখাতে হবে।আর হারানো পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে মূল জিডি এর কপি দেখাতে হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ করার ক্ষেত্রে কি কি কাগজ লাগবে।
এক আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি।
দুই সনাক্তকরণ ডকুমেন্টের প্রিন্ট কপি।জাতীয় পরিচয় পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ।
তিন মানি অর্ডার বা ব্যাংক সার্টিফিকেট চেক।
চার আগের পাসপোর্ট ও ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি।
পাঁচ সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে জিও বা এনওসি।
ছয় রেজিস্ট্রেশন ফর্ম বা আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি।
বাংলাদেশী পাসপোর্ট কত প্রকার
পাসপোর্ট একজন নাগরিকের জন্য বিদেশ ভ্রমণের কাজে ব্যবহৃত অপরিহার্য দলিল।বৈধভাবে যেকোনো দেশের ভ্রমণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির একটি পাসপোর্ট থাকা একান্ত প্রয়োজন।জাতীয় পরিচয় পত্র বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে অন্যতম জোরালো প্রমাণপত্র।কিন্তু দেশের গণ্ডি পেরোলেই এই পরিচয়পত্র প্রায় অচল।সেখানে কেবল পাসপোর্টই একজন ব্যক্তির হয়ে সাক্ষ্য দিতে পারে।
প্রমাণ করতে পারে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক।শুধু তাই নয় মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতির জন্য প্রত্যেক নাগরিকেরই পাসপোর্ট থাকা প্রয়োজন।জন্মসূত্রে বা অভিবাসন সূত্র বাংলাদেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ সরকার পাসপোর্ট প্রদান করে থাকে।বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস বা বিদেশি বাংলাদেশী দূতাবাস হতে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যায়।
তথ্যপ্রযুক্তির বিবেচনায় পাসপোর্ট তিন ধরনের হয়ে থাকে।হাতে লেখা পাসপোর্ট মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও ই পাসপোর্ট।পৃথিবীর অনেক দেশে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এখন হাতে লেখা পাসপোর্ট গ্রহণ করে না।তাই ২০১২ সালের এপ্রিল মাস থেকে বাংলাদেশের প্রথম মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি চালু করা হয়।মেশিন রিটেবল পাসপোর্ট হচ্ছে এমন একটি পাসপোর্ট।
যাতে আবেদনকারী ব্যক্তিগত তথ্য বিশেষ সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে ছবির নিচে লুকায়িত থাকে।লুকাইতে তথ্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট মেশিনের মাধ্যমে পড়া যায়।ফলে এর নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।দ্রুততম সময়ে পাওয়া যায় বলে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় কম সময় লাগে।এছাড়া বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এবছর থেকে বাংলাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে ই পাসপোর্ট।
নিরাপত্তা চিহ্ন হিসেবে এই পাসপোর্টে থাকবে চোখের মনির ছবি,ও আঙ্গুলের ছাপ।আর এর পাতায় থাকে চিপসের সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্ট ধারীর সব তথ্য।ফলে কঠিন হবে পরিচয় গোপন করা।
গুরুত্ব পেতে বাংলাদেশ পাসপোর্ট তিন ধরনের হয়ে থাকে।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট।সরকারি পাসপোর্ট।ও সাধারণ পাসপোর্ট।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট সাধারণত লাল রঙের হয়ে থাকে।তাই একে রেট পাসপোর্টও বলা হয়।এটি সাধারণত পেয়ে থাকেন সরকারি সর্বোচ্চ পদমর্যাদা ব্যক্তিগণ।এছাড়া দেশের কূটনৈতিক ব্যক্তিদেরও এই পাসপোর্ট দেওয়া হয়।রেট পাসপোর্ট ধারীকে দেশে ও দেশের বাইরে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়।
সরকারি পাসপোর্ট সাধারণত নীল রঙের হয়ে থাকে। সরকারি চাকরিজীবীরায় এ পাসপোর্ট পেয়ে থাকে এই পাসপোর্ট থাকলে অনেক দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা যায়।এছাড়া সরকারি পাসপোর্ট বিদেশি দূতাবাসগুলো তুলনামূলক বেশি মূল্যায়ন করে থাকে।তাই ভিসা পাওয়ার সহজ হয়।
উপরের দুটি বিভাগ ছাড়া বাকি সব পাসপোর্টে সাধারন বা সবুজ পাসপোর্ট।বাকি সব পাসপোর্ট এর সাধারণ বা সবুজ পাসপোর্ট।আপনি যদি বেসরকারি চাকরি ব্যবসা পড়ালেখা বা অন্য কোন কাজ করে থাকেন তবে আপনার পাসপোর্ট এর ধরন হবে সাধারণ।আপনি যদি কিছু নাও করে থাকেন অর্থাৎ বেকার থাকলেও আপনার পাসপোর্ট এর ধরন এটাই হবে।
আপনি যদি বিদেশ ভ্রমণ করতে চান আর আপনি যদি পাসপোর্ট না থাকে তাহলে আপনার প্রধান কাজ হবে পাসপোর্ট করা।ভিসা বিধি নিষেধ সূচক অনুযায়ী বিশ্বে পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশী পাসপোর্ট এর অবস্থান ৯১ তম।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা পাসপোর্ট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করতেছিলেন,আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পেরেছেন।আজকের এই আর্টিকেলে পাসপোর্ট সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়লে আশা করি উপকৃত হবেন।যদি আজকের এই আর্টিকেল থেকে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url