অল্প বয়সে বিয়ে নিয়ে ইসলামিক উক্তি
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা বিয়ে করার সঠিক সময় জানতে চাচ্ছেন এবং বিভিন্ন আর্টিকেল খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।তাই আপনারা যারা বিয়ে করতে চাচ্ছেন না এবং বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন তারা দ্রুত বিয়ে করুন।
তাই আজকের এই আঁটিকেলে বিয়ের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।এবং আজকের এই আর্টিকেলে অল্প বয়সে বিয়ে নিয়ে ইসলাম কি বলেছেন এ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।তাই এ বিষয়ে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
বিয়ে হলো এমন একটি সামাজিক বন্ধন,যা শুধু দুটি মনেরি মিলন করে না।বরং দুটি পরিবারের মধ্যেও সম্পর্ক তৈরি করে।ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।।বিয়ের নিশ্চয়ই অনেক উপকারিতা রয়েছে।সবচেয়ে বড় উপকার হয় আপনার স্বাস্থ্যের।শারীরিক এবং মানসিক দুটোই।এক্ষেত্রে সত্য একটাই সুখী বিয়ে হতে হবে।আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেন।
হে যুব সম্প্রদায় তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা তার চক্ষুকে আয়ত্তে রাখ।এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজতে রাখে।বুখারী ও মুসলিম শরীফ।রাসুলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন।তাওরাত কিতাবে লেখা আছে,যার মেয়ের ১২ বছর বয়স হয়েছে সে তার বিবাহ দেয়নি ফলে সেই মেয়ে যেকোনো ধরনের জেনায় লিপ্ত হলে তার গুনহা তার পিতার ঘাড়ে উঠবে।
আরো পরুনঃবিবাহ বিচ্ছেদের কারণ ও প্রতিকার
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন যে।যখন বান্দা বিবাহ করলো নিশ্চয়ই সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূরণ করল।
- বিয়ের শারীরিক উপকারিতা
- বিয়ে করার সঠিক সময় কোনটি
- অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি কি উপকার হয়
- অল্প বয়সে বিয়ে নিয়ে ইসলামিক উক্তি
- দেরিতে বিয়ের মানসিক সমস্যা
বিয়ের শারীরিক উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে বিয়ের শারীরিক উপকারিতা সম্পর্কে নিয়ে আলোচনা করব।আশা করি আজকের আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।বিয়ের নিশ্চয়ই অনেক উপকারিতা রয়েছে।সবচেয়ে বড় উপকার হয় আপনার স্বাস্থ্যের।শারীরিক এবং মানসিক দুটোই।এক্ষেত্রে সত্য একটাই সুখী বিয়ে হতে হবে।
স্বাভাবিক ভাবে অসুখী বিয়ে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।এবং বেশ কিছু মারাত্মক রোগ হতে পারে অসুখী বিয়ের কারনে।তাই বিবাহিত জীবনের সুখী হলেই মিলবে সুস্বাস্থ্যের দেখা।গবেষণায় দেখা গেছে বিবাহিত লোকদের শরীরে কটিসল নামক স্টেজ হরমন টি অনেক কম থাকে।কটিসল হরমোনের মাত্রা দীর্ঘদিন যাবত বেশি দিয়ে থাকলে একাধিক লাইফস্টাইল গত রোগ ধরে ফেলব আপনাকে।
ক্যালিফোর্নিয়র ইউনিভার্সিটি একটি গবেষণায় দেখা গেছে,বিবাহিত দম্পতিদের কে ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে তার সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা অবিবাহিত মানুষদের চেয়ে বেশি।আসলে এ ব্যাপারটা সামাজিক দিক দিয়ে ভেবে দেখা দরকার।এছাড়া আত্মীয় বন্ধুদের সাহায্যর জর এবং যত্ন বেশি পান।ফিনল্যান্ডের তর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা জানাচ্ছে।
বিবাহিত মহিলাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৬৫% কম।এক্ষেত্রেও কটিসলের ভূমিকা রয়েছে।ফলে শুধু হৃদরোগই নয়,কটিসলের সাথে জড়িত নানা রোগ এড়ানো সম্ভব।সুস্থ শরীরে পেছনে সুস্থ মনের ভূমিকাও খুব জোরালো।বিয়ের সুখের হলে ডিপ্রেশনের মতো ভয়াবহ অসুখ আপনার ধারের কাছেও আসতে পারবেনা।অতএব নির্ভয়ে বিয়ে করুন এবং চেষ্টা করুন যাতে বিয়েটা সুখের হয়।
বিয়ে করার সঠিক সময় কোনটি
প্রিয় ভাই ও বোন আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন।বউয়ের কোন অপকারিতা নাই।দয়া করে এই কথাটি মাথায় গেঁথে নিন।আর উপকারিতা আপনি বিশাল গুনা থেকে রক্ষা পাবেন।ইসলামে যাকে বলা হয়েছে,অর্ধেক বেহেস্ত।যার অর্থ বউ না থাকা মানে দিনা অপূর্ণ থাকা।বোঝাই যাচ্ছে বউ কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি মানুষ।
একজন মেয়ে যে সংসার চায়,তার কাছে নিজের সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।রাগ অভিমান করতে পারে।ভালোবাসা হবে হালাল।যার পুরস্কার হিসেবে আল্লাহতালা নেক সন্তান দান কর।অনেকেই বাস্তব জীবনে নাটক সিনেমা ইত্যাদি থেকে বউয়ের ব্যাপারে রসালো আর খারাপ কথাগুলো মাথায় গুজে ফেলেছেন।যা আসলে খুব খারাপ।
হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন।তোমাদের মধ্যে সে উত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।চিন্তা করুন,স্ত্রী কতটা গুরুত্বপূর্ণ।তাই বিয়ের আগে মেয়ে বাছাই করতে হবে।।সাধারণত একটু আয়ের উৎস থাকলেই বিয়ে করে নিবেন।রিজিকের মালিক আল্লাহ তায়ালা।রিজিক তিনি ব্যবস্থা করে।খুব খেয়াল করে খুব খেয়াল যাতে সে দ্বীনদার বউ পাই।
আশা করি অপকারিতা খুঁজতে যাবেন না।দোষত্রুটি সবার মাঝেই থাকে।ভুলের উর্ধ্বে কেউ নয়।কম্প্রোমাইজ করেই জীবন চলতে হয়।আমার অগোছালো কথা গুলো ভাল লাগবে প্রাণ করে দোয়া করবেন।আর আমার আর্টিকেলটি বেশি বেশি শেয়ার করবেন।
অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি কি উপকার হয়
আসুন জেনে কম বয়সী বিয়ে করলে কি কি সুফল রয়েছে।
(১)জেনা বেবিচার থেকে দূরে থাকা যায়।যুবক বয়সের আল্লাহর কাছে খুব প্রিয় হওয়া যায়।এবং ইবাদতে স্বাদ পাওয়া যায়।আজেবাজে চিন্তা থাকেনা।
(২)আপনি যদি বয়স ৩০ পার করে বিয়ে করেন।তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার বয়সের কারণে আপনার মধ্যে যে গাম্ভীর্য চলে আসবে তার জন্য সম্পর্ক খুব বেশি ঘনিষ্ঠ ও মধুর হবে না।তখন ব্যাপারটা এমন হবে যে বিয়ে করার কথা ছিল তাই করেছি।তাই আবেগ থাকতে আগে থেকে বিয়ে করা উত্তম।
(৩)বেশি বয়সে বিয়ে করলে স্বামী স্ত্রী নিজেদের জন্য খুব বেশি সময় পান না।বরং বছর ঘুরতেই সন্তানের দায়িত্ব এসে কাঁধে পড়ে।আর একবার সন্তান হয়ে গেলে দুজনে একান্তে কাটানোর মতো সময় হয়ে ওঠে না।তাই অল্প বয়সে বিয়ে করলে সঙ্গির সাথে একান্ত কাটানোর মত অনেকটা সময় পাওয়া যায়।যার ফলে সম্পর্ক ভালো ও মধুর থাকে।
(৪) অল্প বয়সে বিয়ে করলে স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে জীবনের সবটুকু ভাগাভাগি করে নেয়া যায়।এবং প্রত্যেকের মানসিক ও কম অনুভব হয়।
(৫ )মানুষের গড় আয়ু কিন্তু কমছে।আর আপনি দেরিতে বিয়ে করলে সন্তান মানুষ করার বিষয়টাও পিছিয়ে যাবে।এবং আপনার মানসিকতাও কিন্তু দিন দিন নষ্ট হতে থাকবে।তাই একটু কম বয়সে বিয়ে করলে সন্তানের জন্য খুব ভালো পিতা উদাহরণ হতে পারবেন।
আরো পরুনঃকিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায়
(৬)বিভিন্ন কারণে অনেকেই সঠিক সময়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।তাই এখন ডিভোর্সের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।আর অল্প বয়সে বিয়ে করে যদি অল্পতেই কোন কারনে ভেঙে যায় তাহলে দ্বিতীয়বার আবার গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।কিন্তু দেরিতে বিয়ে করলে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে না।মোটকথা কমবেশি বিয়ে করা অতি উত্তম।
এঅল্প বয়সে বিয়ে নিয়ে ইসলামিক উক্তি
অল্প বয়সে বিয়ে করলে যে সব উপকার পাওয়া যাই।
(১)লজ্জাস্থান হেফাজত হয়।
(২)বিবাহ চক্ষু নিচু হয়।
(৩)তাড়াতাড়ি ধনী হওয়া যায়।
(৪)ঈমান পরিপূর্ণ হয়।
(৫)ইবাদতের মজা পাওয়া যায়।
(৬)মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়।
(৭)অসুস্থতা দূর হয়।
(৮)আল্লাহর নিকট লাভ করা যায়।
(৯)চরিত্র ঠিক থাকে।
(১০)স্ত্রীকে অধিক বেশি সময় দেওয়া যায়।
কমবেশি বিয়ে করা অতি উত্তম।এখন ভাবতে পারেন সরকারের আইন ১৮বছরের আগে কোন মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে না।শোনেন আল্লাহ তাঁর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর হুকুম লংঘন করে কারো হুকুম মানা যাবে না।এই আর্টিকেল পড়ে আবার তোলপাড় শুরু করবেন না।যে শরীয়ত বলছে অল্প বয়সে বিয়ে করতে বা বসতে।বরং দিন বুঝতে হবে।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেন।হে যুব সম্প্রদায় তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা তার চক্ষুকে আয়ত্তে রাখ।এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজতে রাখে।বুখারী ও মুসলিম শরীফ।রাসুলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন।
তাওরাত কিতাবে লেখা আছে,যার মেয়ের ১২ বছর বয়স হয়েছে সে তার বিবাহ দেয়নি ফলে সেই মেয়ে যেকোনো ধরনের জেনায় লিপ্ত হলে তার গুনহা তার পিতার ঘাড়ে উঠবে।বাইহাকী শরীফ।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন যে।যখন বান্দা বিবাহ করলো নিশ্চয়ই সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূরণ করল।
এবং বাকি অর্ধেক সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করবে মেশকাত শরীফ।এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায় বিয়ে করতে ও বিয়ে দিতে এটা আগেভাগেই সমাধান করতে হবে।চিন্তা করি আমরা নিজের পায়ে না দাঁড়িয়ে বিয়ে করা ঠিক হবে না।রিজিকের মালিক আল্লাহ তায়ালা।এই চিন্তা করা যাবে না যে চাকরি আমাক খাওয়াবে।ব্যবসা আমাকে খাওয়াবে প্রতিষ্ঠান আমাকে খাওয়াবে।
সাধারণত একটু আয়ের উৎস থাকলেই বিয়ে করে নিবেন।রিজিকের মালিক আল্লাহ তায়ালা।রিজিক তিনি ব্যবস্থা করে।আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল রকম গুনাহ থেকে, বিশেষ করে জেনা থেকে বাঁচার তৌফিক দান করুন আমিন।আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
দেরিতে বিয়ের মানসিক সমস্যা
দেরিতে বিয়ের ফলে মানসিক ক্ষতি সমূহ।দেরিতে বিবাহের দ্বারা ছেলে মেয়ের সামাজিক যেমন বিবৃত ক্ষতি রয়েছে।তেমনি তারা মানসিকভাবে ও মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়ে থাকে।একজন নারীর শেষ গন্তব্য ও সাফল্য বিবেচনা করা হয় বিয়ে ও সংসারকে।আর তাই একটি নির্দিষ্ট বয়সের মাঝে বিয়ে না হলে,বেশিরভাগ নারী কিছু মানসিক সমস্যায় ভুগতে শুরু করে।
এমনকি যারা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নারী তাদের মাঝেও দেখা যায় কিছু কিছু ব্যাপার।কখনো কাজ করে ঈর্ষা কখনো সামাজিক চাপ।কখনো একাকীত্ব।সব মিলে নিজের মাঝে মানসিকভাবে বিপর্যয় হয়ে পড়েন।এ পর্যায়ে এমন কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরব। যেগুলো তৈরি হয় বিয়ে দিয়ে দিতে হয়।সমস্যাগুলো চিন্তা করা হয়ে গেলে সেটা থেকে বের হয়ে আসা ও সহজ।
(১)বিষন্নতা হতাশা শূন্যতা।সম বয়সী সকল বোন বা বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেছে,আর স্বভাবতই বিয়ের পর সকলেই নিজের পৃথিবী নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।এক্ষেত্রে যার বিয়ে হয়নি তিনি হয়ে পড়েন একলা।
(২)নিজেকে অযোগ্য মনে করা।সমবয়সি সকলে নিজের জীবন সঙ্গী পেয়ে গেছে।আপনি হয়তো বারবার চেষ্টা করেও পারছেন না।হয়তো প্রেম সফল হয়নি।কিংবা পরিবার থেকে চেষ্টা করেও সফল হচ্ছেনা।বিশেষ করে আমাদের দেশে পাত্রী দেখবার প্রক্রিয়াটা খুবই অপমানজনক।এক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যাত হবার পর নিজেকে অনেকে অযোগ্য মনে করতে শুরু করেন।
(৩)ঈর্ষা ও প্রতিহিংসা বৃদ্ধি পাওয়া।এটাও খুব সাধারন একটা আবেগ।আমরা মানুষ এমনটা হতেই পারে আমাদের সাথে।খুব কাছের বোন বা বান্ধবীটি হয়তো এখন আর আপনাকে সেভাবে সময় দিতে পারে না।নিজের সংসার নিয়েই তিনি ব্যস্ত ও সুখী।এমন অবস্থায় ঈর্ষা কিংবা প্রতিহিংসার একটা ভুত খোঁচা দিতেই পারে আপনাকে।এক্ষেত্রে নিজেকে বিষয়টা বোঝান।
(৪)চাপের মুখে ভুল মানুষকে বেছে নেওয়া।সামাজিক চাপের কারণে অনেক নারী ভুল মানুষকে বেছে নেন বিয়ের জন্য।ব্যাপারটা এমন দাঁড়ায় যে যাকে সামনে পেলেন তাকে বিয়ে করলেন।কিংবা যে রাজি হলো তাকে পছন্দ হলেও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাওয়া।অনেকেই এই ব্যাপারটিকে ভালোবাসা ভেবে নিজেকে সান্তনা দিতে চান।আবার অনেকেই পরিবারকে খুশি করার জন্য নিজেকে রীতিমত চাপ দিয়ে বিয়েতে রাজি করায়।এই ভুলটি কখনো করবেন না।
(৫)কারো ভালো সহ্য হতে না পার।এটাও একটি সাধারন সমস্যা।যা অনেকের মাঝেই দেখা যায়।যখন বিয়ে না হওয়ার কারণে একজন মানুষ ক্রমাগত হয়রানির শিকার হতে থাকে,তখন স্বভাবতই তার মাঝে জন্ম নেই ক্ষোভ ও ক্রোধ।এই ক্ষোভ এবং ক্রোধের কারণে বিবাহিত সকলকে শত্রু মনে হয়।নিজের অজান্তেই খিটখিটে বদমেজাজি মানুষ হয়ে যায় আমরা।যার কারণে পৃথিবীর কারো ভালোটা ভালো লাগেনা।তারা সাফল্যবাসক সহ্য হয় না।
(৬)আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা।সমাজে একজন মেয়ের সফলতা বা বিফলতা নির্ভর করে তার স্বামী ও সংসার স্ট্যাটাসের ওপরে।সঠিক সময় বিয়ে না হলে মেয়েটি হয়ে ওঠে সকলের চক্ষুষণ।এই কারণে বিয়ে দেরি হলে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যায় ওই স্বাভাবিক।যখন ক্রমাগ্রত নিজের কাছের মানুষেরাই বলতে থাকে যে,তুমি এত অযোগ্যদের পাত্র জোটে না।
তখন অনেক নারী নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন এবং ক্রমশ গুটিয়ে নিতে থাকেন জীবন থেকে।ভুলেও এই কাজটি করবেন না।জীবন আপনার আর আপনার জীবনের মাথা উঁচু করে আপনাকেই বাঁচতে হবে।একবার ঘাড় নুয়ে ফেললেই পরাজিত আপনি।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম অল্প বয়সে বিয়ে করলে কি কি সুবিধা রয়েছে।এবং এ বিষয়ে ইসলাম কি বলেছেন।এবং দেরিতে বিয়ে করলে কি কি মানসিক সমস্যা হতে পারে এ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল আলোচনা করা হয়েছে।তাই যদি কেউ আজকের আর্টিকেল থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url