ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান

প্রিয় পাঠক,আপনারা যারা বয়সে বড় মেয়েকে বিয়ে করার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন,কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।আজকের এই আর্টিকেলে বিয়ে সম্বন্ধে বেশ কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।
ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান
এবং ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রী বয়সের ব্যবধান কত হতে হবে এ সম্পর্কেও জানানো চেষ্টা করবআজকের এই আর্টিকেলে।তাই এই বিষয়গুলো জানতে হলে আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ভূমিকা

বিশ্বের যত কিছু সৃষ্টি সবই কল্যাণকর,অর্ধেকটা করিয়াছেন নারী অর্ধেকটা নর।মহান আল্লাহর সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে সর্বোত্তম সৃষ্টি হল মানব জাতি।সমগ্র মানবজাতি দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত।নারী এবং পুরুষ।নারী পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক।পুরুষ ছাড়া নারী এবং নারী ছাড়া পুরুষের জীবন অসম্পূর্ণ।এজন্য হাদিসে বলা হয়েছে নারী পুরুষেরই অর্ধাঙ্গিনী।

তাই বয়স বাড়ার সাথে সাথে নারী পুরুষ অপন্ন জীবন পূর্ণাঙ্গ করতে একে অপরের প্রয়োজন অনুভব করতে পারে।নারী পুরুষের এই প্রয়োজন যেই পদ্ধতিতে পূরণ করা হয় সেই পদ্ধতিকে বলা হয় নিকাহ বা বিয়ে।কথায় বলে প্রেমের বয়স বলতে কিছুই নেই।প্রেম মানে না বয়স ধর্ম বর্ণ।কেউ অসম বয়সের সঙ্গে প্রেমে জড়ান।দুজনের বোঝাপড়া ভালো হলে সম্পর্ক বিয়ে অব্দিও গড়াই।

প্রেমের ক্ষেত্রে বয়সের অত গুরুত্ব না থাকলেও বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সকে ফ্যাক্টর বলে মনে করা হয় ।কেউ সমবয়সীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে জড়ান।আবার কারো বয়সের পার্থক্য থাকে অনেক বছরের।স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে বিয়ের ক্ষেত্রে আদর্শ বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত।কত বছরের পার্থক্য থাকলে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়।
  • বিয়ের উপকারিতা - বিয়ের করলে যেসব রোগবালাই থেকে মুক্তি
  • বয়সে বড় মেয়ে বিয়ে করার উপকারিতা কি
  • স্বামী স্ত্রীর বয়স সমান হলে কী হয়
  • ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান
  • বিয়ের উপযুক্ত বয়স কত

বিয়ের উপকারিতা বিয়ের করলে যেসব রোগবালাই থেকে মুক্তি

হ্যালো ভিউয়ার্স আশা করি সবাই ভাল আছেন,আজকের আলোচনার বিষয় বিয়ের কারণে যে সব রোগবালাই থাকে মুক্তি পাওয়া যায়।তো চলুন বিস্তারিত জানতে আজকের পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়ি।

(১)রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক দাম্পত্যের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।পেনসেলভেনিয়ার উইল্কস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা যায় যে,যে সকল শিক্ষা থেকে সপ্তাহে একবার দুইবার যৌন মিলনে লিপ্ত হন তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যারা এর চেয়ে কম সেক্স করেন তাদের তুলনায় বেশি।

(২)মিলিত হওয়ার ইচ্ছাশক্তি বাড়াই।
নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক একে অপরের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে।বিশেষ করে নারীদের যোনিপথে পিচ্ছিল রাখতে,সেখানে রক্ত চলাচল বাড়াতে এবং নমনীয়তা ঠিক রাখতে নিয়মিত যৌনজীবনের বিকল্প নেই।এটাই মনে করেন শিকাগোর একটি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক লওরেন স্ট্রাইচার।

(৩)নারীর মুত্রাশয় নিয়ন্ত্রনে সহায়ক
নারীর মুত্রাশইয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেলভিক ফ্লোর শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।আর ভালো জনজীবন নারীর মূত্রাশয়ের মাংসপেশিকে সক্রিয় রাখে।বিশেষ করে অরগ্যাসমের সময় পেলভিক ফ্লোরের মাংসপেশি সংকুচিত হয়।যা একটি ভালো ব্যায়ামও বটে।

(৪)রক্তচাপ কমায়।
নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে ফলে রক্তচাপ কম থাকার একটি সম্পর্ক রয়েছে মনে করেন গবেষক জোসেফ যে পিনশন।তিনি বলেন গবেষণায় বলছে শারীরিক সম্পর্কের রক্তচাপ কমায়।

(৫)ব্যায়াম।
ইহুদি শারীরিক সম্পর্কে ফলে একটা ভালো ব্যায়াম,বলেন পিনশন।কেননা এতে প্রতি মিনিটে ৫ ক্যালোরি খরচ হয়।যা টিভি দেখার চেয়ে চার ক্যালরি বেশি।তিনি বলেন শারীরিক মিলনে দুই ধরনের সুবিধা মেলে।একটি আপনার হৃদয় স্পন্দনের গতি আনে।এবং একই সঙ্গে অনেক মাংসপেশি সক্রিয় করে।

(৬)হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
শারীরিক সম্পর্ক আপনাদের হৃদপিন্ডের জন্যও ভালো।হার্ট রেট ভালো রাখর পাশাপাশি এটি আপনার এস্তজেন এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।গবেষণায় বলেছে যারা সপ্তাহে অন্তত দুইদিন শারীরিক সম্পর্ক লিপ্ত হয় তাদের হার্ট এটাকে মৃত্যুর আশঙ্কা কম।

(৭)ব্যথা কমায়।
ব্যথা কমাতে অ্যাসপিরিনের চেয়ে অরগ্যাসম বেশি কার্যকর হতে পারে।অরগ্যাসম ব্যথা বন্ধ করতে পারে।যে হরমোন নিষ্কৃত হয়,তার শরীরের ব্যথা প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়।

বয়সে বড় মেয়ে বিয়ে করার উপকারিতা কি

আচ্ছা আমাদের মনে তো প্রতিনিয়ত নানা কৌতু হওয়া যাবে।কখনো কি প্রশ্ন জাগে বয়সে বড় মেয়েদের বিয়ে করলে কি হয়।হ্যাঁ প্রশ্ন তো জাগতেই পারে।তাহলে এর উত্তরটা কি হবে।হ্যাঁ উত্তর দেবো আমি।চলুন জেনে নেয়া যাক বয়সে বড় মেয়েদের বিয়ে করলে কি হয়।বয়সে ছোট মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে পেতে চান বেশিরভাগ মানুষ।এর পেছনে অনেক যুক্তি ও দেখান তারা।

কিন্তু জানেন কি বয়সে বড় মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করার কতটা লাভ আছে।এর উদাহরণও রয়েছে।অভিষেক ঐশ্বরিয়া থেকে সচিন অঞ্জলি তারকা জগতে বয়সে বড় মেয়েকে বিয়ে করার উদাহরণ ভরে ভরি রয়েছে।শুধু সেলিব্রিটি নয় একবার নিজেদের আশেপাশে চোখ মেললেই এরকম উদাহরণ ভরে ভরি দেখা যায়।

বয়সে বড় মেয়েরা স্বাভাবিকভাবে ছোট মেয়েদের তুলনায় অনেক ভালোভাবে গুছিয়ে কথা বলতে পারে।যা ছেলেদের আকৃষ্ট করে বেশি।বয়সে বড় মেয়েরা ছোটদের মতো তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নিরাপত্তাহীনতাই ভোগেন না।তাদের কনফিডেন্স ছেলেদের আকৃষ্ট করে দেয়।অনেক সময় দেখা যায় বয়সে বড় হওয়ার এই সমস্ত মেয়েরা স্বাবলম্বী হয়।

ফলে সবসময় ছেলেদের পকেটে টান পড়ে না।কিছু সময় মেয়েরাও আর্থিক দিকটা সামলে নেন।ছেলেমানুষে কম থাকে ফলে এই মেয়েরা কথায় কথায় ঝগড়াঝাঁটি কান্নাকাটি বা পাবলিক প্লেসে ভুলভাল আচরণ করে কম।এই মেয়েরা অনেক বুঝদার হন এবং নিজের সমস্যাগুলো নিজেরাই সমাধান করার চেষ্টা করেন।বড় মেয়েরা আপনাকে বলবে ছোট সমস্যা গুলো হালকা ভাবে নিতে।কিভাবে বড় বড় সমস্যাগুলো সমাধান করতে হয়।

অনেক পুরুষই শারীরিক সম্পর্কে অভিজ্ঞ বা পরিণত মহিলাদের বেশি পছন্দ করেন।এ ধরনের মেয়েদের সঙ্গে প্রেম করার অনেক সুবিধা রয়েছে।তারা অনেক পরিণত মনস্ক হয়।তাই দাম্পত্য জীবনে বোঝা বাড়াতেও সুবিধা হয়।পরিণত বয়সে হওয়ায় এই মেয়েরা জীবনে কিছু হওয়া নিয়ে খুব একটা চাপ নেয় না।আর স্বভাবে শান্ত হয়।আর এ ধরনের মহিলাদের অনেক পুরুষসি পছন্দ করেন।সাধারণত এই মেয়েরা আপনাকে বেচার না করে বাঁচতে চেষ্টা করে।

কিভাবে জীবনে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে হয়।এই মেয়েরা চট করে কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে আপনার সব কথা মন দিয়ে শোনেন।আপনার চেয়ে বড় হয় সে বুঝতে পারে কোন সম্পর্ক বা সিদ্ধান্তের জন্য ভবিষ্যতে আপনাকে কষ্ট পেতে হতে পারে।তাহলে বন্ধুরা বড় মেয়েদের বিয়ে করার পেছনে রয়েছে আমাদের অনেক অনেক উপকারিতা।

স্বামী স্ত্রীর বয়স সমান হলে কী হয়

চলুন জেনে নেওয়া যাক স্বামী স্ত্রীর বয়স সমান হলে কোন সমস্যা হয় কিনা।এ বিষয়ে জানতে হলে আর্টিকেল ত্রিপুরার মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।শুরু করা যাক।স্বামী স্ত্রীর বয়স সমান হলে কোন সমস্যা হয় এটা মোটেও ঠিক না।যারা এই চিন্তা ভাবনা করেন তাদের চিন্তা ভাবনা পাল্টাতে হবে।যখনই আমরা মনে করব সামনে সমস্যা আছে তখনই আমাদের সমস্যা সৃষ্টি হয়।

যদি এ ব্যাপারে আমরা কিছু না ভাবি তাহলে কোন সমস্যা হবে না।যদি স্বামী স্ত্রীর বয়স সমান হওয়ার কারণে যে সমস্যাটা হতে পারে তা হল পারিবারিক ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া।কারণ তারা সমবয়সী হওয়ার কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।এ কারণে টুকিটাকি সমস্যা হতে পারে।

ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান

কথায় বলে প্রেমের বয়স বলতে কিছুই নেই।প্রেম মানে না বয়স ধর্ম বর্ণ।কেউ অসম বয়সের সঙ্গে প্রেমে জড়ান।দুজনের বোঝাপড়া ভালো হলে সম্পর্ক বিয়ে অব্দিও গড়াই।প্রেমের ক্ষেত্রে বয়সের অত গুরুত্ব না থাকলেও বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সকে ফ্যাক্টর বলে মনে করা হয় ।কেউ সমবয়সীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে জড়ান।আবার কারো বয়সের পার্থক্য থাকে অনেক বছরের।

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে বিয়ের ক্ষেত্রে আদর্শ বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত।কত বছরের পার্থক্য থাকলে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়।সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেল এইসব প্রশ্নের উত্তর।তিন হাজার জনকে দিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে।এই গবেষণায় ৫থেকে ৭ বছরের পার্থক্য ১০ বছরের পার্থক্য ২০ বছর পার্থক্য এবং সমবয়সীদের সম্পর্ক নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

বয়সের পার্থক্য পাঁচ থেকে সাত বছর।অনেক বিয়ের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মাঝে বয়সের পার্থক্য পাঁচ থেকে সাত বছর দেখা যায়।গবেষণা বলছে বয়সের এই পার্থক্য থাকলে বিচ্ছেদের হার ১৮ শতাংশ হয়ে থাকে।

বয়সের পার্থক্য ১০ বছর।বর্তমানে ১০ বছর বয়সের পার্থক্য নেই বললেই চলে।স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মধ্যে বয়সের পার্থক্য ১০ বছর হলে সম্পর্ক ভাঙ্গার সম্ভাবনা ৩৯ শতাংশ।কারণ বয়সের ফারাক বেশি হলে মতের অমিলও বেশি ধরা পড়ে।তাতে দাম্পত্য নানা সমস্যা দেখা দেয়।

২০ বছরের পার্থক্য।গবেষণায় বিয়ের ক্ষেত্রে এই বয়সের পার্থক্যকে সবচেয়ে খারাপ ধরা হয়েছে।বয়সের পার্থক্য ২০ হলে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা ৯৫শতাংশ। এমনটাই বলেছে গবেষণা।

বিয়ের ক্ষেত্রে আদর্শ বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত।বিয়ের ক্ষেত্রে আদর্শ বয়সের পার্থক্য হওয়া উচিত পাঁচ থেকে সাত বছর।তাহলে সম্পর্ক বেশিদিন টেকে।এক্ষেত্রে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা আশঙ্কা থাকে তিন শতাংশ।সম্পর্ক স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এই ক্ষেত্রে।তবে কেবল এই গবেষণা দিয়ে সব সম্পর্ক বিচার করা যাবে না।

বিয়ের ক্ষেত্রে দুজনের বোঝাপড়া মানিয়ে চলার প্রবণতা আর একসঙ্গে থাকার ইচ্ছাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।এগুলো ঠিক থাকলে অসম বয়সের পার্থকেও সুখী দম্পত্ত জীবন কাটানো সম্ভব।প্রিয় সুধী বিয়ের ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে আদর্শ বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত।আপনার মতামত জানিয়ে দিন আমার কমেন্ট বক্সে।

বিয়ের উপযুক্ত বয়স কত

বিশ্বের যত কিছু সৃষ্টি সবই কল্যাণকর,অর্ধেকটা করিয়াছেন নারী অর্ধেকটা নর।মহান আল্লাহর সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে সর্বোত্তম সৃষ্টি হল মানব জাতি।সমগ্র মানবজাতি দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত।নারী এবং পুরুষ।নারী পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক।পুরুষ ছাড়া নারী এবং নারী ছাড়া পুরুষের জীবন অসম্পূর্ণ।এজন্য হাদিসে বলা হয়েছে নারী পুরুষেরই অর্ধাঙ্গিনী।

তাই বয়স বাড়ার সাথে সাথে নারী পুরুষ অপন্ন জীবন পূর্ণাঙ্গ করতে একে অপরের প্রয়োজন অনুভব করতে পারে।নারী পুরুষের এই প্রয়োজন যেই পদ্ধতিতে পূরণ করা হয় সেই পদ্ধতিকে বলা হয় নিকাহ বা বিয়ে।পুরো বিশ্বজুড়ে ভাষার ভিন্নতার সাথে সাথে এর বিভিন্ন রকম নাম রয়েছে।তবে নাম যাই হোক না কেন সকলের উদ্দেশ্য একই।

সুখে দুঃখে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সর্ব অবস্থায় একসঙ্গে জীবন যাপন।বিবাহের প্রকৃত ও মুখ্য উদ্দেশ্য হলো রব্বুল আলামীনের বিধান মোতাবেক নিজের চরিত্রকে হেফাজত করা।এবং বংশের ধারা হযরত আদম আঃ থেকে শুরু করে কেয়ামতের পূর্বপুর পর্যন্ত অব্যাহত রাখা।যখনই পুরুষ এবং নারীর যুবক হয় তখনই বিয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।

তাই স্বাভাবিক অস্বাভাবিক উপায় নরনারী এই প্রয়োজনীতা মেটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।ফলে জ্ঞান বুদ্ধি বিবেককে দূরে ঠেলে দিয়ে স্বার্থপর ও উন্মাদ হয়ে অনৈতিক এর আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।বর্তমান সভ্যতা তো এতটা ভয়ঙ্কর অবস্থা নিয়েছে যে নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা আমাদের সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।এই সমস্যা নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে।

কিন্তু নিকাহ বা বিবাহের মাধ্যমে রব্বুল আলামিন কত সুন্দর একটি যৌন জীবনের ব্যবস্থা বা সৃষ্টি করে দিয়েছেন।বংশধারাকে কেয়ামতের আগের দিন পর্যন্ত অব্যাহত রাখার কত সুন্দর একটি পদ্ধতি।তেমনি ভাবে কুচিন্তা বিশৃঙ্খলা ব্যভিচারের হাত থেকে রক্ষা করে ধর্মীয় জীবন পালনের ক্ষেত্রেও সহায়ক।প্রশ্ন হল ইসলামের দৃষ্টিতে নারী ও পুরুষের নিকাহ বা বিবাহের নির্দিষ্ট কোন বয়স রয়েছে কি।

এর উত্তরে বলা যায় নারী ও পুরুষের বিবাহের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন বয়সের কথা ইসলামে বলা হয়নি।বরং হাদীস শরীফে বিষয়টিকে এইভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,হে যুবক সমাজ,তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে তাদের বিবাহ করা উচিত।কেননা বিবাহ দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী,লজ্জাস্থানের পবিত্রতা রক্ষাকারী।

আর যারা সামর্থ্য নেই সে যেন রোজা পালন করে।(সুবহানাল্লাহ)কেননা রোজা পালন হচ্ছে যৌবন দমন করার মাধ্যম।এবং সুস্বাস্থ্যের পূর্বশর্ত।বুখারী মুসলিম। বর্তমান বিজ্ঞানও বলতেছে রোজার মাধ্যমে আমাদের শরীরের টক্সিন দূর হয়ে যায়।এবং শরীরে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।উক্ত হাদিস থেকে বোঝা যায় যে যেকোনো ব্যক্তির সামর্থ হলেই বিয়ে করে নেওয়া উচিত।

আর যদি ব্যক্তি হিসেবে শক্তি সামর্থ্য ভিন্ন হয়ে থাকে,অনেকেই অল্প বয়সে সামর্থ্যবান হয়ে যান।আবার অনেকের একটু সময় লাগে।যৌক্তিকতার দাবী হচ্ছে বিবাহর জন্য বয়স নির্ধারণ না করা।তাই ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের কোন বয়স নেই।এখন প্রশ্ন হলো বিয়ের সামর্থ্য বা ক্ষমতার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টা অগ্রধিকার পাবে।

শারীরিক সক্ষমতা না ধন সম্পদ বা বাসস্থান।উত্তরটি হচ্ছে বিয়ের ক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতাটাকে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে।তার হচ্ছে শারীরিক সক্ষমতা যদি বেশি থাকে ধনসম্পদ যদি কম থাকে,বসবাস করার জন্য যদি মোটামুটি জায়গা থাকে তাহলেও বিয়ে করা জায়েজ।রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এমনটি শিক্ষা দিয়েছেন।

শাড়ির ক্ষমতা বেশি থাকলে সে ক্ষেত্রে জেনায় লিপ্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।এজন্যই শারীরিক সক্ষমতাকেই প্রাধান্য দিয়ে দাম্পত্য জীবনের যাপনের মোটামুটি উপকরণ থাকলেই বিয়ে করা জায়েজ।কিন্তু ইমাম আবু হানিফার মতে,যুবক যদি জিনায় লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়,এবং মোহর এবং ভরণপোষণের ক্ষমতা থাকে তাহলে বিয়ে করা ফরজ।তবে প্রিয় ভিউয়ার্স ছেলে এবং মেয়ের বিবাহের ক্ষেত্রে বেশি দেরি করা উচিত নয়।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে বিয়ের উপকারিতা বয়সে বড় মেয়েকে বিয়ে করলে কি উপকারিতা হয়,বিয়ের উপযুক্ত বয়স কত এবং ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কতটুকু এ বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম।তাই এই বিষয়গুলো জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।আর যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url