গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়
প্রিয় পাঠক, আপনারা যারা গর্ভবতীর রক্ত কম থাকলে গর্ভের বাচ্চার কি সমস্যা হয় এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।আজকের আর্টিকেলে আমরা জানার চেষ্টা করব গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন সম্পর্কে।
এবং আরো জানার চেষ্টা করব গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে আমাদের করণীয় কি।তাই যারা হিমোগ্লোবিন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন,তারা যদি এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়েন অবশ্যই আপনারা সমস্যার সমাধান হতে পারে।
ভূমিকা
সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীদের রক্তে হিমোগ্লোবিন কম থাকে।আর গর্ভাবস্থায় এই সমস্যা আরও বেশি দেখা যায়।হিমোগ্লোবি হলো রক্ত একটি জটিল প্রোটিন।যা শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড সরবরাহের সাহায্য করে থাকে।অনেক সময় গর্ভের শিশু সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে গর্ভবতী নারীকে রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
কারণ দেহের কোষগুলোকে সক্রিয় এবং কর্মক্ষম রাখতে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১১.৫ হওয়া স্বাভাবিক।গর্ভাবস্থায় যে কোন টাইম স্টার মায়ের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১১ এর উপরের হলে মায়ের জন্য ভালো।এজন্য দেখা যায় যে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১০ থেকে ১০.৯ মধ্যে হয় তাহলে এটি মায়ের এনিমিয়া বা স্বল্পমাত্রায় রক্তশূন্যতা বলা হয।
রক্তে হিমোগ্লোবিনে মাত্রা কম হলে,কিছু সিমটম দেখা দিতে পারে।যেমন চেহারা ফেকাসে আছে দেখায়,সারাক্ষণ ক্লান্তি লাগে,সামান্য পরিশ্রমে কষ্ট হয়।খাবারে অরুচি থাকে।
- গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি করবেন
- গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে কি খাবেন?
- গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত থাকা দরকার?
- গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়
- গর্ভবতীর রক্ত কম থাকলে গর্ভের বাচ্চার কি হয়
গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কি করবেন
সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীদের রক্তে হিমোগ্লোবিন কম থাকে।আর গর্ভাবস্থায় এই সমস্যা আরও বেশি দেখা যায়।আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব প্রেগনেন্সিতে রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ কি।এবং কমে গেলে কি করবেন।হিমোগ্লোবি হলো রক্ত একটি জটিল প্রোটিন।যা শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড সরবরাহের সাহায্য করে থাকে।
অনেক সময় গর্ভের শিশু সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে গর্ভবতী নারীকে রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।কারণ দেহের কোষগুলোকে সক্রিয় এবং কর্মক্ষম রাখতে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কত হওয়া উচিত।গর্ভাবস্থায় যেকোন ট্রাই মিস্টারের দশ বা তার ওপরে হিমোগ্লোবিন থাকলে গর্ভবতী মায়ের জন্য ভালো।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ৭ শতাংশ গ্রামের কম হলে মা এবং গর্ভস্থ শিশুর বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হ্রাস পাওয়ার লক্ষণ।ক্লান্তি বোধ করা অল্প পরিশ্রমের শ্বাসকষ্ট হাত এবং পায়ের পাতা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া মাথা ঘোরা ও ঝিমঝিম ভাব খাবারে অরুচি।হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় কি।গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ার এক তীব্র সম্ভাবনা থাকে।
তাই গর্ভাবস্থায় শুরু থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে।হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলিজা ও মাংস ডিএম সবুজ শাকসবজি মটরশুঁটি সিম কলা পেয়ারা ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে।আইরোন ক্যালসিয়াম কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ বেদানা হিমোগ্লোবিনের সাহায্য করে।এছাড়া মধু আয়রনের একটি ভালো উৎস।
আয়রন ছাড়াও মধুতে কপার এবং ম্যাঙ্গানিজ আছে।গর্ভস্থায়ী নিয়মিত দুধ এবং ডিম খেতে হবে।একটি সুস্থ শিশু জন্মের জন্য প্রধান সত্য হলো মায়ের পূর্ণ সুস্থতা।তাই গর্ভবতী মায়ের সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে কি খাবেন?
গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস হলো গর্ব অবস্থায় সব থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে।অর্থাৎ আপনার শেষ মাসিকের প্রথম দিন থেকে শুরু করে ১২ তম সপ্তাহ পর্যন্ত সময়টিকে ধরা হয় গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস।অর্থাৎ আপনি এই সময় বুঝে গেছেন যে আপনি গর্ভবতী।তাই আপনাকে বেশ যত্ন সহকারে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।কারন আপনার গর্বের শবে সবে ভ্রণ তৈরি হতে শুরু হয়েছে।
তো বন্ধুরা গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে কি কি খাবার খাবেন।তো কি কি খাবার খাওয়ার মধ্যে আপনাকে প্রথমে যেটা খেতে হবে বেশি পরিমাণে তাহলে দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য।এই সময় আপনার শরীরে স্বাভাবিক পুষ্টির তুলনায় ৫গুণ বেশি পুষ্টির প্রয়োজন।যার অন্যতম পুষ্টি দিতে সাহায্য করেন দুধ বা দুধ থেকে তৈরি না না খাদ্য।ঘি মাখন দই ছানা ইত্যাদি।
দুধে রয়েছে ভিটামিন মিনারেল ক্যালসিয়াম প্রোটিন প্রয়োজনীয় ফ্যাট অন্যান্য সব ধরনের পোস্টি।গর্ভাবস্থায় আপনাকে মটরশুঁটি বা কালাই জাতীয় খাবার খেতে হবে।খাদ্যের এই গ্রুপের মধ্যে মটর মটরশুটি বিন্স সয়াবিন চিনা বাদাম সবুজ মুগ এগুলো ফাইবার প্রোটি লোহা ফলেড এবং ক্যালসিয়াম থাকে।যা সমস্ত শরীরের গর্ভবতীদের জন্য বেস্ প্রয়োজন।
মিষ্টি আলু মিষ্টি আলু বিটা ক্যারোটিনযুক্ত একটি উদ্ভিদের যৌগ।যা শরীরে ভিটামিন এ রূপান্তরিত হতে সাহায্য করে।ভিটামিন এ ভ্রুনের বৃদ্ধির জন্য এবং বেশিরভাগ কৌশল টিস্যুর বিভেদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।সুস্থ গর্ভধারণের জন্য এটি খুবই জরুরী।মাছ মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড।
যা গর্ভাবস্থায় শিশুদের চোখ ও দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।ডিম একটি চূড়ান্ত স্বাস্থ্যকর খাবার।কারণ আপনার প্রয়োজনে প্রায় সব পুষ্টির কিছু অংশ তাকে এতে।একটি বড় ডিমে ৭৭ ক্যালোরি উচ্চ মানের প্রোটিন এবং চর্বি রয়েছে।এবং এটাতে অনেক ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে।গর্ভাবস্থায় ডিম খেলে বাচ্চার বিভিন্ন রকমের জন্মগত যে ডিফেক্ট হয় তা থেকে ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
আরো পরুনঃগর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি খেতে হবে।সবুজ শাকসবজি গর্ভাবস্থায় মহিলাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণ করে।আপনাদের আরেকটা জিনিস বেশি করে খেতে হবে সেই জিনিসটি হল ফল।তাই গর্ভাবস্থায় মহিলাদের কে বেশি করে ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অভিজ্ঞ ডাক্তারেরা।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত থাকা দরকার?
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কত থাকা দরকার এ বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।তাই আজকের এই আর্টিকেল গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১১.৫ হওয়া স্বাভাবিক।গর্ভাবস্থায় যে কোন টাইম স্টার মায়ের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১১ এর উপরের হলে মায়ের জন্য ভালো।
এজন্য দেখা যায় যে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১০ থেকে ১০.৯ মধ্যে হয় তাহলে এটি মায়ের এনিমিয়া বা স্বল্পমাত্রায় রক্তশূন্যতা বলা হয।আর যদি হিমোগ্লোবিনের লেভেল ৭ থেকে ৯ এর মধ্যে হয়,তাহলে এটি মডারেট অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা বলে।আর যদি হিমোগ্লোবিনের লেভেল ৭ নিচে নেমে যায় তাহলে এটি কে সিবিআর এনিমিয়া বলা হয়।হিমোগ্লোবিন আমাদের শরীরের রক্ত সরবরাহ করে।
এজন্য যদি অ্যানিমিয়া হয় বা হিমোগ্লোবিনের লেভেল কমে যায়।তাহলে মাকে প্রচুর পরিমাণ লাল শাক কচু শাক ছোট মাছ আনার খেতে হবে।এবং দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ফলিক এসিড আয়রন এবং ভিটামিন বি টুয়েলভ খেতে হবে।ধন্যবাদ।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়
সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীদের রক্তে হিমোগ্লোবিন কম থাকে।আর গর্ভাবস্থায় এই সমস্যাটি প্রকট হয়ে যায়।বিশেষজ্ঞরা অনেক সময় শিশু সুস্থ ভাবে গর্ভে বেড়ে উঠতে গর্ভবতী নারীকে রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।কারণ আমাদের দেহের কোষ গুলোকে সক্রিয় এবং কর্মক্ষম রাখতে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকা খুবই জরুরী।হিমোগ্লোবিন কি।
হিমোগ্লোবিন হলো রক্ত মধ্যস্থ একটি জটিল প্রোটিন।যার শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড সরবরাহের সাহায্য করে থাকে।আয়রন হলো লোহিত রক্তকণিকার প্রধান উপাদান।নারীর শরীরে ১৩ থেকে ১৬ মিলিগ্রাম হিমোগ্লোবি থাকা উচিত।হিমোগ্লোবিন কম বলতে কী বোঝায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী,গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ যদি ১১ কম হয় তাহলে তাকে গর্ভকালীন রক্তস্বল্পতা বলে।গর্ভস্থায় যে কোন টাইম স্টারে ১০বা তার ওপরেই হিমোগ্লোবিন থাকলে রোগীর জন্য ভালো।যদি তা কম থাকে যদি ৮ এর বেশি থাকে তাহলে তাকে মাইল বা অল্প মাত্রা রক্তস্বল্পতা বলা জায়।
আর যদি ছয় থেকে আটের মধ্যে থাকে,তাহলে তার চেয়েও একটু বেশি রক্তস্বল্পতা বলা হয়।আর যদি ছয়েরো কম থাকে তাহলে এটা মারাত্মক রক্তস্বল্পতা।আমাদের দেশের প্রায়ই বেশিরভাগ নারীরই শিশু বয়স থেকেই রক্তে হিমোগ্লোবিনে মাত্রা কম থাকে।তাই অনেকেই এই ব্যাপারটা স্বাভাবিক হিসেবে দেখে থাকেন।যদিও এটা স্বাভাবিক নয়।
রক্তস্বল্পতা বোঝার উপায।
রক্তে হিমোগ্লোবিনে মাত্রা কম হলে,কিছু সিমটম দেখা দিতে পারে।যেমন চেহারা ফেকাসে আছে দেখায়,সারাক্ষণ ক্লান্তি লাগে,সামান্য পরিশ্রমে কষ্ট হয়।খাবারে অরুচি থাকে। সবকিছুতেই মনোযোগের অভাব দেখা যায়।হজমে অসুবিধা হয়, বুক ধরফর করে,জিব্বা মুখে ঘা হতে পারে ইত্যাদি।আবার কখনো কখনো শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায়ী হিমোগ্লোবিন কমে গেলে এর করনীয় ও প্রতিকার।
শরীরের রক্ত চাহিদা পূরণ করতে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কিছু খাবার খেলে উপকার পাওয়া যায়।এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি।
১ ভিটামিন সি
এর অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে।তাছাড়াও ভিটামিন সি ছাড়া আয়রন শরীরে পুরোপুরিভাবে শোষণ হয় না।আমলকি পেঁপে বাতাবি লেবু কমলালেবু স্ট্রবেরি গোলমরিচ ব্লকলি আঙ্গুর টমেটো ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে।তাই গর্ভাবস্থায়ী এই খাবারগুলো শুরু থেকে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
২আয়রন
হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা বা আয়রনের গুরুত্ব অনেক বেশি।দেশি মুরগির কলিজা।কচু শাক লাল মাংস,চিংড়ি পালং শাক খেজুর ইত্যাদি ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। তাই গর্ভাবস্থায় এসব খাবার গর্ভাবস্থায় শুরু থেকেই খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।আইরন ক্যালসিয়াম কার্বহাইড্রেট এবং ফাইবার সংযুক্ত বেদনা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে।
তাই চেষ্টা করবেন প্রতিদিন একটি করে বেদানা খাবার।প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলেও রক্ত হিমোগ্লোবিনে মাত্রা ঠিক রাখে।আয়রনের উৎস আপেলে আরো নানান প্রকার পোস্টটি উপাদান রয়েছে।তাই প্রতিদিন খোসা সহ একটি আপেল খান।
৩ মধু
এছাড়াও মধু আয়রনের একটি ভালো উৎস।আয়রন ছাড়াও মধুতে কপার ও ম্যাঙ্গানিজ আছে। এর উপকরণগুলো দেহে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে।
৪ দুধ ও ডিম
গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণ আপনাকে দুধ এবং ডিম খেতে হবে।হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ জেনে খাবার এবং ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে গর্ভাবস্থার শুরু থেকে আপনাকে এসব মেনে চলতে হবে।নিজের এবং বাচ্চার ভালোর জন্য এসব আপনাকে করতে হবে।গর্ভবতী মায়ের খাবার এবং বিশ্রামের ব্যাপারে শুধু মাই নয় গর্ভ অবস্থায় শুরু থেকেই পরিবারের সকল সদস্যর লক্ষ রাখতে হবে।তার সকল ব্যাপারে নজর রাখতে হবে।
গর্ভবতীর রক্ত কম থাকলে গর্ভের বাচ্চার কি হয়
বিশ্বের স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে অনু রবিনের মাত্রা ১১ পয়েন্টকম থাকলে গর্ভকালীন সময়ে রক্তস্বল্পতা বলা হয়।উন্নত দেশের শতকরা ৩০ থেকে ৪০ ভাগ গর্ভবতীদের মধ্যে রক্তস্বল্পতা দেখা যায়।যেখানে আমাদের দেশে ৮০% নারী এই সমস্যায় ভুগেন।গর্ভকালীন সময় রক্তস্বল্পতা কেন হয়।এর ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে এবং।
এটি নিরাময় করনীয় সম্পর্কে আজকের আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব।গর্ভকালীন রক্তস্বল্পতার কারণ।আইরন আমির ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়া।গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ ঘটলে।পারিবারিক ইতিহাসের কারণে অনেকর হিমোগ্লোবিন কম থাকে।ম্যালেরিয়া যক্ষা মূত্রনালী সংক্রমণ ঘটলে।প্রাকৃতিক কারণ।গর্ভবতীদের এমনিতেই হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন অন্যান্য সময়ের থেকে কিছুটা কম থাকে।
গর্ভকালীন সময়ে হিমোগ্লোবিন কম হলে কি হতে পারে।শারীরিক দুর্বলতা হজমের সমস্যা খিদে না লাগা বক বক ধরফর করা মুখ বা যিহোবাতে ঘা হওয়া গর্ভাবস্থায় বাচ্চার সঠিক বৃদ্ধি না হওয়া সময়ের আগে সন্তান প্রসব হয়ে যেতে পারে। নবজাতক শিশু অপরিপুক্ত হতে পারে।ইত্যাদি সমস্যা সম্মুখীন হতে পারে গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কম থাকলে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে গর্ভবতী মা-বোনদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্টিকেল নিয়ে আলোচনা করা চেষ্টা করলাম।আমরা জানলাম রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে আমাদের করণীয় কি।এবং কি খেলে তাড়াতাড়ি রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়তে পারে।
এ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলাম।তাই আজকের এই আর্টিকেল থেকে যদি কেউ উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url