ব্রেন স্ট্রোক হলে কি করা উচিত

প্রিয় পাঠক,আপনারা যারা বেন স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কি কি এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজা খুজি করার পরেও জানতে পারছেন না,তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।আজকের এই আর্টিকেলে স্টোকের বিভিন্ন কারণ।
ব্রেন স্ট্রোক হলে কি করা উচিত
এবং কি কি উপসর্গ আছে এ সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব।এবং আজকের এই আর্টিকেলে বেন স্টোক হলে কি করা উচিত এ সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব।যদি আজকের এই আর্টিকেলটা পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন অবশ্যই উপকৃত হবেন।

ভূমিকা

আপনি কি জানেন বর্তমানে বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর পেছনে চতুর্থ বৃহত্তম কারণ স্ট্রোক।স্টক কেন হয়।আমাদের মস্তিষ্কে প্রচুর পরিমাণ অক্সিজেনের প্রয়োজন।রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন মস্তিষ্কে পৌঁছায়।কোন কারনে যদি প্রয়োজন মত রক্ত মস্তিষ্কের সরবরাহ না হয় তখন অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের কোষ গুলো মারা যেতে থাকে।এবং তখনই মানুষের স্ট্রোক হই।

স্টক কি,সাধারণ ভাষায় স্টক বলতে মস্তিষ্কের রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাতেই বোঝানো হয়।মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্ত সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিলে এই অংশের কোষ কার্যক্ষমতা হারায়।আর এই অবস্থাটাই স্ট্রোক বলে পরিচিত।ঠিকমতো কাজ করার জন্য শরীরে অন্যান্য অঙ্গের মতো রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কের ও অক্সিজেন ও পুষ্টির দরকার হয়।

কিন্তু এই রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হলে ব্রেইনে সেলগুলো মারা যেতে শুরু করে ফলে বেন ইনজুরি শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে যাওয়া এমনকি মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি থাকে।
  • স্ট্রোকের কারণ ও লক্ষণ
  • স্ট্রোক হলে করনীয়
  • ব্রেন স্ট্রোক হলে কি করা উচিত? 
  • ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কি কি?

স্ট্রোকের কারণ ও লক্ষণ

স্টক কি,সাধারণ ভাষায় স্টক বলতে মস্তিষ্কের রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাতেই বোঝানো হয়।মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্ত সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিলে এই অংশের কোষ কার্যক্ষমতা হারায়।আর এই অবস্থাটাই স্ট্রোক বলে পরিচিত।এটা দুই ধরনের হয়,একটা রক্তক্ষরণ জনিত বা হেমোরেজিক স্টোক এবং আরেকটি হলো স্কিমিক স্টোক।এতে রক্তক্ষরণ হয় না।

এটা জীবন মৃত্যুর কারণ হতে পারে।সে কারণেই স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে,জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

স্ট্রোকের লক্ষণ কি কি

বৃটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা ইন এইচ এস স্টোকের বেশ কিছু লক্ষনের কথা উল্লেখ করেছেন।
(১)এক পাশে মুখ ঝুলে যেতে পারে।
(২)হয়তো হাসতে পারবেন না বা কথা বলতে পারবেন না ঠিকমতো।
(৩)মুখের এক পাশ বা চোখ বেঁকে যেতে পারে,মানে অবশ হয়ে যেতে পারে।

(৪)কারো কারো দুই হাত অবশ যেতে পারে।
(৫)অবস না হলেও হাত নাড়াতে দুর্বল লাগে।
(৬)কারো কারো এক পাশ অবশ হয়ে যায়।
(৭)আস্তে কথা বলা বা কথা জড়িয়ে যাওয়া।

(৮)কথা বললেও সেটা অস্পষ্ট শোনা যায়।
(৯)অনেক সময় কথা বুঝতেও পারন না অনেক রোগী।

স্টোকের কারণ কি কি
ঠিকমতো কাজ করার জন্য শরীরে অন্যান্য অঙ্গের মতো রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কের ও অক্সিজেন ও পুষ্টির দরকার হয়।কিন্তু এই রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হলে ব্রেইনে সেলগুলো মারা যেতে শুরু করে ফলে বেন ইনজুরি শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে যাওয়া এমনকি মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি থাকে।ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা এন এইচ এস জানাচ্ছে, প্রধানত দুটি কারণে স্ট্রোক হয়ে থাকে।

স্কিমিং স্টক, রক্ত জমাট বাঁধার কারণে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।এটাকে স্কিমিং স্টক বলা হয়।হিমরেজিক স্টোক,মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী দুর্বল রক্তনালী ফেটে যায়।ফলে রক্তক্ষরণ হয়।এই অবস্থাকে হিমরেজিক স্ট্রোক বলে।এছাড়া আর একটি সম্পর্ক কারণ রয়েছে।সাময়িক সময়ের জন্য মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।এটাকে মিনি স্টক বা মাইন্ড স্টোক বলা হয়।

এটি ১৫ সেকেন্ড থেকে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।জানাচ্ছে এন এইচ এস।এ অবস্থায় খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ দিচ্ছে ব্রিটিশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এনএইচএস।এর ফলে কোন ব্যক্তি দ্রুত বড় ধরনের স্রোকের ঝকির মধ্যে থাকেন।লক্ষণগুলো দেখা মাত্রই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

স্ট্রোক হলে করনীয়

স্টক হলে করনীয় কি এ সম্পর্কে আজকে আটিকেলে জানব।প্রথম হচ্ছে স্ট্রোক হলে প্রথমে আপনি বেল ফাস্টের সিমটম দেখে বুঝে গেলেন স্ট্রোক।এরপরে আপনাকে মনে রাখতে হবে টাইম।সবচেয়ে ইম্পোর্টেন্ট কেননা এটা সময়ে নির্ভরশীল চিকিৎসা।স্টোক হওয়ার পর প্রতি নিয়ত প্রত্যেক মিনিটে আপনি প্রায় ২ কোটি ব্রেনের কোষ পার্মানেন্টলি ড্যামেজ হয়ে যায়।

এটা আর কখনো ফিরে না।অতএব একটি রক্তের নালি যদি আটকে যায় প্রধান করণীয় হচ্ছে রক্তনালী টাকে সঙ্গে সঙ্গে খোলা।কতক্ষনের মধ্যে আমরা খুলতে সক্ষম হই। স্বাভাবিকভাবে যদি সাড়ে চার ঘন্টার মধ্যে আপনি স্ট্রোক হসপিটালে পৌঁছাতে পারেন।

তাহলে একটি ইঞ্জেকশন যাকে বলে ক্লোড বাস্টার বা থম বলেছিস সেইটা আপনার ব্রেনের মাধ্যমে আপনার রক্তের নালী যেটা হাতের রক্তের নালীর মাধ্যমে ইনজেকশন দিয়ে আমরা বেইনের ধমনী কে খুলে দিতে সক্ষম হই।এটা সাড়ে চার ঘণ্টার সময়সীমার মধ্যে সম্ভব।যদি সাড়ে চার ঘন্টা পেরিয়ে যায় এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি আসে।

বা যদি দেখা যায় এ থম্বিনেশন এর মাধ্যমে খুলোনা তখন আমরা আর একটা পদ্ধতি অবলম্বন করি।যাকে বলে থাম্বেট টমি।যার মাধ্যমে পায়ের বা হাতে ধমন বেনের মধ্যে যে ধমনীটি আটকে গেছে সেই রক্তের পিণ্ডটিকে একটি স্ট্যান্ড ভাইটি সাকশন পাইপের মাধ্যমে টেনে বের করে ধমনীটিকে আবার সক্রিয় করে তোলে।এই পসিটরটাকে থমেটো টমি বলা হয়।

এটার জন্য একটাই সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট জিনিস হচ্ছে সচেতনতা।শুধুমাত্র আপনার সচেতনতা একটি ব্রেনকে একটি পরিবারকে
সুরক্ষিত রাখতে পারে।

ব্রেন স্ট্রোক হলে কি করা উচিত?

মস্তিষ্কের রক্তনালী বন্ধ হয়ে অথবা ছিড়ে গিয়ে বিশেষ কিছু অংশের কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যাও হলো স্ট্রোক।দেশে পঙ্গুত্তর কারণ হিসেবে কারণ হিসেবে প্রথম এবং মৃত্যুর পরিসংখ্যানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রোগটি।চিকিৎসা করে বলছেন স্টোক রোগের প্রথম চার ঘন্টা সময় খুবই মূল্যবান হলেও অনেকেই জানেন নাই বিষয়টি।স্টক আসলে ব্রেনের রোগ।

এটা হার্টের রোগ নয় অর্থাৎ অনেকেই আছে স্ট্রোক কে হার্টের রোগ মনে করে হার্টের বড় বড় হসপিটাল গুলোতে চলে যান।অথবা ডাক্তার রাও রেফার করে থাকেন।তখন সময় ক্ষেপণ হয় ট্রিটমেন্ট পেতে তখন রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার সম্ভব হয় ন।অনেক ক্ষেত্রে অনেক রোগীর আধুনিক চিকিৎসা প্রয়োগ করতে পারে না সময় চলে যাওয়ার কারণে।

আমরা বলি সাড়ে চার ঘন্টার মধ্যে আসলে সিরাপথে একটা ইনজেকশন দিয়ে ব্রেনের স্টকে যে রক্তনালি ব্লক হয়ে গেছে সেটাকে আমরা ডিসিশন করতে পারি।আট ঘণ্টার মধ্যে যদি আসে সেক্ষেত্রে আমরা একটা জালিকার মাধ্যমে রক্তনালী প্লটটাকে বের করে নিয়ে আসতে পারি।স্বাভাবিক রক্ত চলাচল কে প্রবাহিত করতে পারে ব্রেনে।

এবং এমনও হয় যে ব্রেন প্যারালাইস রোগী সে পড়ে হেঁটে বাসায় চলে গেছে।নাম্বার ওয়ান যদি কারো মুখ বেঁকে যায়।নাম্বার টু কারোর হাত অথবা পা যদি দুর্বল হয়ে যায়।একপাশে অথবা শরীরের একদিকে যদি অবশ হয়ে যায় অথবা কোন একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা সাময়িকভাবে বা পার্মানেন্টলি ড্যামেজ হয়ে যায় বা দেখতে পাচ্ছে না।

অথবা কথা বলতে যদি অস্পষ্ট তা হয়।এই উপসর্গ যদি কারো মধ্যে থাকে এটা ডেভিডলি স্ট্রোকের উপসর্গ।এটা আমাদের সঙ্গে সঙ্গে বসতে হবে এবং স্বজনদেরকে অতি তাড়াতাড়ি সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বা হাসপাতালে আসতে হবে।তবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্ট্রোক চিকিৎসায় বাংলাদেশের সাফল্য চোখে পড়ার মত।ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ধূমপানসহ কিছু বদ অভ্যাস এড়িয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব স্ট্রোক।

ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ গুলো কি কি?

আপনি কি জানেন বর্তমানে বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর পেছনে চতুর্থ বৃহত্তম কারণ স্ট্রোক।স্টক কেন হয়।আমাদের মস্তিষ্কে প্রচুর পরিমাণ অক্সিজেনের প্রয়োজন।রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন মস্তিষ্কে পৌঁছায়।কোন কারনে যদি প্রয়োজন মত রক্ত মস্তিষ্কের সরবরাহ না হয় তখন অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের কোষ গুলো মারা যেতে থাকে।এবং তখনই মানুষের স্ট্রোক হই।

স্ট্রোক হলে কিভাবে বুঝবেন।
ছোট্ট একটা ঘটনা বলি কিছুদিন আগের ঘটনা।একটা দাওয়াতের সবাই বসে গল্প করছে,হঠাৎ একজনের মাথা ঘুরে উঠলো।সবাই দৌড়িয়ে ধরলেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি ঠিক হয়ে গেলেন।একদম সুস্থ।পরদিন সকালে জানা গেল সে ভদ্রলোকের ভয়ংকর স্ট্রোক হয়েছে।শরীরের একটা পাস একদম প্যারালাইসিস।

আগের রাতে যখন তার মাথা ঘুরে উঠেছিল তখন যদি তাকে ডাক্তারের কাছে নেওয়া হতো।তাহলে এত বড় বিপদ হতো না।এখন কোনটা মাথা ঘোরানো কোনটা স্টক কি করে বুঝবেন।এটা বোঝার জন্য তিনটা উপায় রয়েছে।এ তিনটি উপায় স্টোক শব্দের প্রথম তিনটি অক্ষরে লুকিয়ে রয়েছে।কাউকে দেখে যদি মনে হয় তার স্ট্রোক হয়েছে তাহলে তাকে তিনটি কাজ করতে বলবেন।

নাম্বার(১)
S ফোর স্মাইল।মানুষটিকে হাসতে বলুন।যদি দেখেন হাসতে লাগে তার মুখ বেঁকে যাচ্ছে বা ঠোঁট ঝুলে পড়তেছে কিংবা হাসতে সমস্যা হচ্ছে বুঝতে হবে এটা স্ট্রোকের লক্ষণ।

নাম্বার (২)
T ফর টক।মানুষটির সাথে কথা বলুন।অথবা তাকে কিছু একটা বলতে বলুন।যেমন আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।যদি বলতে গিয়ে কথা কোথাও জড়িয়ে যায় বা আটকে যায় বুঝতে হবে এটাও স্টকের লক্ষণ।

নাম্বার (৩)
R ফর রেজ ইওর হ্যান্ড।মানুষটিকে তার দুটি হাত সোজা করে উপরে তুলতে বলুন।স্টক হলে আমাদের শরীরের এক পাশ অবশ অনুভূতি হয়।তখন হাতে শক্তি পাওয়া যায় না।হাত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঝুলে পড়ে।সুতরাং কারো মধ্যে যদি এই তিনটি উপসর্গ দেখতে পান তাহলে যত দ্রুত সম্ভব তাই হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।মনে রাখবেন স্ট্রোকের ক্ষেত্রে যত দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যাবে ততই ঝুঁকির সংখ্যা কমে আসবে।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক,আজকের এই আর্টিকেলে স্টোকের বিভিন্ন উপসর্গ এবং স্ট্রোক হওয়ার কারণ সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম।স্ট্রোক উপসর্গ বুঝতে পারলে কতক্ষনের মধ্যে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বা হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে এ সম্পর্কেও জানানোর চেষ্টা করলাম।স্টোকের উপসর্গ বুঝতে পেরেও যদি দেরিতে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।

সে ক্ষেত্রে কি ক্ষতি হতে পারে এ সম্পর্কেও জানানোর চেষ্টা করলাম আজকের আর্টিকেলে।আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে উপকৃত হবেন।যদি এই আর্টিকেল পরে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে স্ট্রোকের এই ভয়াবহ রোগ থেকে তারাও মুক্তি পেতে পারে।এবং পরিবারকে ভয়াবহ পঙ্গুত্তর হাত থেকে বাঁচাতে পারে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url