বিয়ের ১৫টি উপকারিতা জানলে আজই বিয়ে করবেন
প্রিয় পাঠক,আপনি যদি শারীরিকভাবে দুর্বল হন তাহলে কেমন মেয়েকে বিয়ে করা উচিত,এ সম্পর্কে জানার জন্য যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করতেছেন জানতে পারছেন না,তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।
আজকের এই আর্টিকেলে বিয়ে সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।এবং আজকের এই আর্টিকেলে বিয়ের ১৫ টি উপকারিতা জানানোর চেষ্টা করব।এই ১৫ টি উপকারটা জানতে চাইলে আজকের আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
সৃষ্টিগত ভাবেই নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক।নারী ছাড়া পুরুষ এবং পুরুষ ছাড়া নারীর জীবন অসম্পূর্ণ।আল্লাহতালা হযরত আদম আলাইহিস সালাতু ওয়াসাল্লামকে সৃষ্টি করার পর,হযরত হাওয়া আঃকে তার জীবনসঙ্গিনী রূপে সৃষ্টি করেন।এবং তাদের বিয়ের মাধ্যমে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন।সেই ধারাবাহিকতা এখনো পৃথিবীতে চলমান।
এমনকি অনন্ত অনাবিল সুখের জান্নাতেও নারী-পুরুষ পরস্পরের সঙ্গী বিহীন ও তৃপ্ত থাকবে।পবিত্র কুরআন এসেছে,আর তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকে স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন।যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও।আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও মায়া সৃষ্টি করেছেন।
আরো পরুনঃঅল্প বয়সে বিয়ে নিয়ে ইসলামিক উক্তি
বিয়ে মানুষকে সংসারী করে।ফলে পুরুষরা দায়িত্ব সচেতন ও কর্মমুখী হয়।ভোগের মানসিকতা দূর হয়।তদ্রূপ নারীরাও দায়িত্ব সচেতন ও বাস্তবমুখী হয়।
- বিয়ে করলে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যে উপকারিতা
- শারীরিক ভাবে দূর্বল হলে কেমন মেয়ে বিয়ে করা উচিত
- বিবাহিত মেয়েকে বিয়ে করলে কি উপকার
- বিয়ের ১৫টি উপকারিতা জানলে আজই বিয়ে করবেন
বিয়ে করলে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যে উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আজকে আমি আলোচনা করবো বিয়ে করলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কি উপকারিতা রয়েছে,যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বিবাহের কিছু উপকারিতা।একজন পুরুষ বা নারী যদি সময়মতো বিয়ে করে তাহলে তার দুই ধরনের উপকার হয় তা হল।
(১)শারীরিক উপকার,(২)মানসিক উপকার।
তাহলে আমরা জেনে নেই শারীরিক কি কি উপকার হয় বিয়ে করলে।
(১)শারীরিক উপকার,আমরা জানি নারী কিংবা পুরুষের একটা বয়সন্ধিকাল পর থেকেই ১৪-১৫ বছরের পর থেকে কিন্তু শিশু থেকে কিশোর কিশোর থেকে একটা যুবক যুবতী পরিণত হয়।তখন তাদের শরীরে এক ধরনের হরমোন হরমোনটি হচ্ছে সেক্সুয়াল হরমোন আবির্ভূত হয়।সেটা আগে থেকে বডি তে থাকে।কিন্তু বয়সন্ধিকালে এর মাত্রাটা অধিক হয়ে যাওয়ার কারণে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি শরীরের আকর্ষণ সৃষ্টি হয়।
এই হরমোন যখন বয়সন্ধিকালে বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন তার ভিতরে একটা অস্থিরতার সৃষ্টি হচ্ছে।তাই বিয়ে করলেন নারী এবং পুরুষের যে জৈবিক চাহিদা পূরণ হয় বা দেহে যে চাহিদা সেটা পূরণ হচ্ছে।নারী এবং পুরুষের শারীরিক মেলামেশা বা ফিজিক্যাল রিলেশানে মাধ্যমে এই জিনিসটাকে সহজ করছে বিবাহ।
এই বিয়ে শাদী আপনাকে লিগ্যাল ভাবে ফিজিক্যাল রিলেশন বা শারীরিক মেলামেশার অনুমতি দিচ্ছে।এটা করলে শরীরের অনেকগুলো উপকার হচ্ছে।তার মধ্যে অন্যতম হলো শারীরিক চাহিদা বা জৈবিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে।
(২)মানসিক উপকার,চলুন জেনে নেওয়া যাক মানুষে কি কি উপকার হয়।নারীদের মনে একটা উৎপলতা থাকে।ইবাদত বন্দেগীতে মনোযোগ বসাতে পাচ্ছে,সেক্ষেত্রে সে গোনা পাপাচার থেকে মুক্তি পাচ্ছে।পুরুষও একই ক্ষেত্রে হস্তমৈথুন করা পর্ন ভিডিও দেখা ইত্যাদি থেকে যখন সে বিরতি লাভ করতেছে তখন তার ভিতরে কর্মদক্ষতা তৈরি হচ্ছে।
কারন আমরা জানি যে কোন মানুষ পাপ কাজ করলে তার ভিতরে যে অনুশোচনা সৃষ্টি হয়,এবং এই অনুশোচনার কারণে বিভিন্ন ক্যারিয়ার থেকে সে পিছিয়ে যাচ্ছে।যখন আমরা দেরিতে বিয়ে করি পুরুষের টেস্টোস হরমোন এবং নারীদের ইস্ট্রোজেন মাত্রাটা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।আমাদের সমাজে বেশিরভাগই দেখা যাচ্ছে পুরুষের বয়সটা লেট করে বিয়ে করতেছে।৩০ পার হয়ে যাচ্ছে,যেটার পারফেক্ট সময় হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ এর মধ্যে।
এ সময়টাকে খুব গুরুত্ব দেওয়া উচিত।এক্ষেত্রে আমাদের জৈবিক চাহিদা এবং মানসিক স্বাস্থ্যটা ভালো রাখার জন্য কে সময় মত বিয়েশাদী করতে হবে।তাই এটাকে আর্থিক এবং পারিবারিক সমস্যা বলে অজুহাত দেওয়া যাবে না।আমাদের উচিত সময়মতো বিয়ে শাদী করা।
শারীরিক ভাবে দূর্বল হলে কেমন মেয়ে বিয়ে করা উচিত
আজকে আলোচনার মূল বিষয় হলো যৌনশক্তি কম হলে কি এমন মেয়েকে বিয়ে করা উচিত। তাই যদ যৌন শক্তি কম হয় তাহলে আমাদের কেমন মেয়ে বিয়ে করা উচিত মোটা মেয়ে চিকন মেয়ে না মিডিয়াম মেয়েকে চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের আর্টিকেলে।তো বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।সব মেয়ে নারী বা মহিলার যৌন শক্তি সবার সমান থাকে না কম বেশি থাকে।
তাই আপনার সঙ্গে নির্বাচনে সতর্কতা হোন।কারণ সবার যৌন ক্ষমতা সমান না এটি অবশ্যই মাথায় রাখবেন।আপনার চাহিদা অনুযায়ী স্ত্রী বাছাই করুন।এটি সবচেয়ে বুদ্ধি অনেক আজব আপনার জন্য।তো বন্ধুরা এখন জেনে নেন যাক মেয়ে বাছাই করার নিয়ম।বা আপনি কেমন মেয়ে বাছাই করবেন।কেমন ধরনের মেয়ে কেমন হয় এটি এখন আমি বলব।
প্রথমে চিকন মেয়ে
চিকন মেয়ে বলতে আমরা যেটা বুঝি সেটি হচ্ছে দেখতে চিকন।রোগা সুগার গায়ে পাতলা এই ধরনের মেয়েদেরকে আমরা সাধারণত চিকন মেয়ে বলে থাকি।তো বন্ধুরা চিকন মেয়েদের কিন্তু যৌনশক্তি বা যৌন ক্ষমতা বা যৌন আকাঙ্ক্ষা কিন্তু খুবই কম থাকে।আপনি যদি তাদের সাথে মেলামেশা করতে চান,তাহলে তারা মেলামেশা করবে আপনি যদি না চান তাহলে তারা চাইবে না।
আরো পরুনঃঅতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
আপনি যদি মেলামেশা নাও করেন তাহলে তাদের কোন সমস্যা নেই বা থাকে না।তো আমি আপনাদেরকে বলতে পারি যে আপনারা নিঃসন্দেহে চিকন মেয়ে বিয়ে করতে পারেন।তাই যাদের যৌন চাহিদা বা শারীরিকভাবে দুর্বল দ্বারা জীবন মেয়েকে বিয়ে করতে পারেন।কি সমস্যা হবে।
দ্বিতীয়ত মোটা মেয়ে
তো মোটা মেয়ে বলতে আমরা তাদেরকে বুঝি যারা আসলে স্বাভাবিক থেকে অনেকটা স্বাস্থ্যবান বা মোটাসোটা।বা দেখতে অনেক মোটাসোটা।তাদেরকে আমরা মূলত আসলে মোটা মেয়ে বলে থাকি তখন।মোটা মেয়েদের কিন্তু যৌন ক্ষমতা যৌন ইচ্ছা কিন্তু মোটামুটি থাকে।খুবই যে বেশি থাকে তা কিন্তু নাই।একটা সমস্যা আছে মোটা মেয়েদেরকে উত্তেজিত করতে একটু সময় লাগে।
একবার উত্তেজিত হওয়ার পরে এরা বেশি সময় নেয় না।অল্প কিছুটা সময় নেয়ার কারণ,এদের শরীর স্বাস্থ্য খুবই ভালো হওয়ার কারণে এবং মোটা হওয়ার কারণে কিন্তু খুব দ্রুত এদের কষ্ট হয়ে যায়।যে কারণে এরা আসলে খুব বেশি সময় নেয় না যৌন মিলনের।এবং খুব দ্রুত এটা আসলে নিশ্চিত হয়ে যায়।যাদের যৌন ক্ষমতা কম আমি আপনাদেরকে বলবো যৌন শক্তি কম তারা নিঃসন্দেহে মোটা মেয়ে বিয়ে করতে পারেন।কোন সমস্যা হবে না।
তৃতীয়ত মিডিয়া মেয়ে
মিডিয়াম মেয়ে বলতে আমরা যাদেরকে বুঝি তারা হলো,খুব চিকন না খুব মোটা ও না।স্বাস্থ্য শরীর সব দিকে ফিটফাট এবং সবদিকে পরিপূর্ণ তাদেরকে আমরা মিডিয়াম মেয়ে বলে থাকি।এ ধরনের মেয়ে কম বেশি সবারই পছন্দ থাকে।মিডিয়াম মেয়েদের যৌন আকাঙ্ক্ষা যৌন চাহিদা খুব বেশি থাকে।তো সেজন্য আমি বলবো যে যাদের যৌন চাহিদা কম বা শারীরিকভাবে দুর্বল,তাদের মিডিয়াম মেয়েকে বিয়ে না করাই ভালো।
মিডিয়াম মেয়েদের কে তারাই বিয়ে করবেন যাদের যৌন ক্ষমতা খুবই বেশি।তারা কিন্তু মিডিয়ামে মেয়েদেরকে বিয়ে করবেন।তাহলে কোন সমস্যা হবে না।আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে বুঝতে পারছেন যে কোন ধরনের মেয়েকে বিয়ে করলে আপনার জন্য ভালো হবে।তাই বিয়ে করার আগে অবশ্যই এ বিষয়টা মাথায় রেখে বিয়ে করবেন।তাহলে শারীরিক এবং মানসিক দুটাই শান্তি পাবেন।
তাছাড়া আপনি শারীরিকভাবে দুর্বল মিডিয়াম মেয়েকে বিয়ে করলে সংসারে অশান্তি লেগে থাকবে।এমনকি সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনাও হয়ে যেতে পারে।তাই অবশ্যই আপনার বিয়ে করার পূর্বে শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী বিয়ে করুন।এতে করে আপনি উপকৃত হবেন।
বিবাহিত মেয়েকে বিয়ে করলে কি উপকার
সমাজে বিবাহিত মেয়েদেরকে বিবাহ করলে কেন এত সমালোচনা হয়।কোন অবিবাহিত ছেলে যদি কোন বিবাহিত মেয়েকে বিয়ে করে তাহলে সমাজ এটা মেনে নেয় না।পরিবারে এটাকে মেনে নেয় না।দোকানে বাজারে বিভিন্ন জায়গায় তাদেরকে নিয়ে সমালোচনা করা হয়।যারা সমালোচনা করে আমি তাদেরকে বলবো।কোরআন এবং সুন্নাহ আপনাকে জানতে হবে।
আরো পরুনঃবিবাহ বিচ্ছেদের কারণ ও প্রতিকার
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম তিনি ১১ টা বিয়ে করেছিলেন।রাসুল সালাম সালাম এর একটি স্ত্রী ছিল অবিবাহিত।তিনি হলেন মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা।আর বাকি দশটায় স্ত্রীর আগেই অন্য জায়গায় বিয়ে হয়েছিল।১০ জন বিবাহিত নারীকে রাসুল সালাম বিবাহ করেছিলেন।বিবাহিত মেয়েকে বিবাহ করা এটা এক ধরনের সুন্নাহ।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে ভালোবাসলো,যে ব্যক্তি আমার সুন্নত পালন করলো,সে ব্যক্তি আমি নবীকে ভালোবাসলো।যে ব্যক্তি আমি নবীকে ভালোবাসলো আমি এবং সেই ব্যক্তি পাশাপাশি জান্নাতে থাকবো।তাহলে আজকে যদি কোন অবিবাহিত ছেলে বিবাহিত মেয়েকে বিয়ে করে,কেন আমরা সমালোচনা করি।কেন আমরা মেনে না।
কেন আমরা দোকানে বাজারে তাকে নিয়ে সমালোচনা করি।আমরা তাকে আরও উৎসাহিত করবো।যদি এমনটা হতো তাহলে আজকে আমাদের বাংলাদেশ বাবার বাড়িতে মায়ের বাড়িতে ভাইয়ের বাড়িতে পড়ে থাকত না।তারা আজকে অবহেলিত হতো না।আজকে আমাদের শুধু এই মন মানসিকতার কারণে কোরআন হাদিস না জানার কারণে আমরা বিভিন্নভাবে এটাকে নিয়ে ক্রিটিসাইজ করি।যার কারণে আজকে বিবাহ মেয়েটি অবিবাহিত ছেলেরা বিবাহ করতে চায় না।
বিয়ের ১৫টি উপকারিতা জানলে আজই বিয়ে করবেন
আজ আমরা বিয়ে করার ১৫টি উপকার সম্পর্কে জানব।সৃষ্টিগত ভাবেই নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক।নারী ছাড়া পুরুষ এবং পুরুষ ছাড়া নারীর জীবন অসম্পূর্ণ।আল্লাহতালা হযরত আদম আলাইহিস সালাতু ওয়াসাল্লামকে সৃষ্টি করার পর,হযরত হাওয়া আঃকে তার জীবনসঙ্গিনী রূপে সৃষ্টি করেন।এবং তাদের বিয়ের মাধ্যমে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন।
সেই ধারাবাহিকতা এখনো পৃথিবীতে চলমান।এমনকি অনন্ত অনাবিল সুখের জান্নাতেও নারী-পুরুষ পরস্পরের সঙ্গী বিহীন ও তৃপ্ত থাকবে।পবিত্র কুরআন এসেছে,আর তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকে স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন।যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও।আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও মায়া সৃষ্টি করেছেন।তোরা রুম আয়াতে ২১।
বিয়ের বহুমুখী উপকারিতা রয়েছে।তার মধ্যে ১৫ টি হল।
(১)গুনাহ ও পাপাচার থেকে নিজেকে সংবরণ করার মাধ্যমে নারী-পুরুষ উভয়ের ঈমান ইসলাম ও সতীর্থ রক্ষা করতে পারে।
(২)নারী জাতির তত্ত্বাবধান ও রক্ষণাবেক্ষণ হয়।
(৩)নারীর সম্মানজনক জীবন জীবিকা সহজ হয়।
(৪)পুরুষ একজন আমানতদার নির্ভরযোগ্য জীবনসঙ্গিনী লাভ করে।
(৫)বৈধ পন্থায় মানব বংশের বিস্তার হয়।
(৬)সৃষ্টিকর্তা ও স্বভাবজযৌন চাহিদা পূরণের বৈধ ও নিরাপদ ব্যবস্থা নিয়ে।
(৭)নারী পুরুষ উভয়ের মানসিক স্বস্তি তৃপ্তি ও প্রফুল্ল অর্জন হয়,যা বিয়ে ছাড়া অন্য কোন উপায়ে সম্ভব নয়।
(৮)নবীজি সাল্লাল্লাহু সাল্লাম সহ সব নবীর একটি মহৎ সুন্নত বাস্তবায়ন করা হয়।
(৯)মানবশিশু তাদের প্রকৃত পরিচয় লাভ সঠিক লালন-পালন ও পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে।
(১০)বিয়ের দ্বারা রিজিকে বরকত ও জীবনে পাচুর্য আসে।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন তোমরা বিয়ে কর।স্ত্রীর সিও ভাগ্যে তোমার কাছে সম্পদ টেনে আনবে।
(১১)অবিবাহিত থাকলে মানসিক বা শারীরিক রোগ ও জটিলতা তৈরির আশঙ্কা থাকে।
(১২)অবাধ ও অবৈধ যৌনতা এইডসের মত মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার পথ খুলে দেয়।আর বিয়ে তা থেকে মানুষকে পরিত্রাণ দেয়।
(১৩)অবৈধ যৌন সম্পর্ক সামাজিক শৃংখলা নষ্ট করে।
(১৪)বিয়ে মানুষকে সংসারী করে।ফলে পুরুষরা দায়িত্ব সচেতন ও কর্মমুখী হয়।ভোগের মানসিকতা দূর হয়।তদ্রূপ নারীরাও দায়িত্ব সচেতন ও বাস্তবমুখী হয়।
(১৫) স্বামী স্ত্রী একে অপরকে উৎসাহ দিয়ে সুন্দর পৃথিবী বিনির্মাণের পথ সুগম করে।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুয়াতের সময় আকস্মিক ওহি প্রাপ্তিতে ভয় পেলে হযরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা তাকে অভয় দেন।এবং তার পাশে থাকার ঘোষণা দেন।আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সকলকে বিয়ের সুন্নত আদায় করে তার উপকার পাওয়ার তৌফিক দান করুন।আমিন।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে বিয়ে করার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম।এবং আরো জানানোর চেষ্টা করলাম আপনি যদি শারীরিকভাবে দুর্বল হন কেমন মেয়েকে বিয়ে করা উচিত।এ সম্পর্কে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটা পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাই আজকেরে আর্টিকেল থেকে যদি আপনি কোন উপকৃত হয়ে থাকেন।তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে করে তার অবগত হতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url