বিশ্ব ইজতেমা বলতে কি বুঝায়
প্রিয় পাঠক,বাংলাদেশের যেভাবে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হল এ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন,কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুজি করা পরেও জানতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।আজকের এই আর্টিকেলে বিশ্ব ইজতেমা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এবং আজকের এই আর্টিকেলে বিশ্ব ইজতেমা বলতে কি বোঝায় এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।তাই এ বিষয়ে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। যদি আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সকালে পড়েন তাহলে অবশ্যই বিশ্ব ইজতেমা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ভূমিকা
পবিত্র হজের পর মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় সম্মেলন হলো বিশ্ব ইজতেমা।প্রতিবছর ২৫ থেকে ৩০ রকম মুসলমান সম্মেলন হয় এই বিশেষ সম্মেলনে।দেশীয় মুসলমানের বাইরে ও ১১৫ টি দেশের প্রায় ২০ হাজার বিদেশি মেহমান অংশ নেন এতে।বাংলাদেশের একটি সৌভাগ্য যে এত বড় একটি আয়োজন এই দেশে হয়।এজন্য আমাদের শুকরিয়া করা উচিত।
বিশ্ব ইজতেমা যাওয়া কি জায়েজ না নাজায়েজ এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।বিশ্ব ইজতেমা অন্য দশটি ওয়াজ মাহফিল বা ইসলামে আলোচনা অনুষ্ঠানের মতই।এখানে সাধারণত মানুষকে দ্বীনি বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়।এবং দিনে চেতনায় জাগরনের জন্য মোটিভেশন করা জন্য আলোচনা বাবয়ান পেশ করা হয়।
১৯৪১ সালের দিল্লী নিজাম উদ্দিন মসজিদের মেওয়াতে নুহ মাদ্রাসা তাবলীগের প্রথম ইস্তেমা অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রায় ২৫ হাজার লোক অংশ নিয়েছিল।ঢাকায় কাকরাইল মসজিদে তাবলীগ জামাতের প্রথম ইস্তেমা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালে।
- বাংলাদেশে যেভাবে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হলো
- বিশ্ব ইজতেমা কি জায়েজ
- তাবলীগের বিশ্ব ইজতেমা যেভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠলো
- বিশ্ব ইজতেমা বলতে কি বুঝায়?
- বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস
বাংলাদেশে যেভাবে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হলো
পবিত্র হজের পর মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় সম্মেলন হলো বিশ্ব ইজতেমা।প্রতিবছর ২৫ থেকে ৩০ রকম মুসলমান সম্মেলন হয় এই বিশেষ সম্মেলনে।দেশীয় মুসলমানের বাইরে ও ১১৫ টি দেশের প্রায় ২০ হাজার বিদেশি মেহমান অংশ নেন এতে।বাংলাদেশের একটি সৌভাগ্য যে এত বড় একটি আয়োজন এই দেশে হয়।এজন্য আমাদের শুকরিয়া করা উচিত।আজ আমরা জানবো বিশ্ব ইজতেমা কিভাবে বাংলাদেশের শুরু হলো।
বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় মূলত তাবলীগ জামাতের আয়োজনে।তাই আগে আমরা তাবলীগের ইতিহাস জেনে নি।আজ থেকে প্রায় শত বছর আগে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে মাওলানা ইলিয়াসকান্দি রাহমাতুল্লাহ আলাইহি ভারতের সাহারানপুর এলাকায় ইসলামিক তাবলীগের সূচনা করেন।তবে তার এই দাওয়াতী কার্যক্রম শুরু হয়েছিল আরো আগে ১৯১০ সালে।
ইলিয়াস রাহমাতুল্লাহ আলাইহি বুঝতে পারলেন গরিব মেহনতের লোকদের পক্ষে দিন শেখার জন্য মাদ্রাসায় গিয়ে মাসের পর মাস সময় দেওয়া সম্ভব নয়।তাই একমাত্র উপায় হিসেবে তাদের ছোট ছোট জামাত আকারে তিনদিনে জন্য এলেমি ও দিনই মারকাজগুলোতে গিয়ে সময় কাটানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।আর এভাবেই শুরু হয় তাবলীগের যাত্রা।
তাবলীগ জামাতের প্রতি মানুষের উৎসাহ বাড়তে থাকলে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ইস্তেমাত বা সম্মেলনের আয়োজন শুরু করেন।যেখান থেকে ১০-১৫ জনের জামাত ৪০ দিনের চিল্লার জন্য বের হতো।বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের গুরাপত্তন ১৯৪৪ সালে।কর্মবিন মাওলানা আব্দুল আজিজ রহমাতুল্লাহ আলাই এর হাত ধরে।
এবং তারই তত্ত্বাবধানে ১৯৪৬ সালে ঢাকার রমনা পার্ক সংলগ্ন কাকরাইল মসজিদে প্রথমবার তাবলীগ জামাতের প্রথম ইজতেমা শুরু হয়।দুই বছর অতিক্রম হওয়ার পরে ১৯৪৮ সালে,চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে দ্বিতীয়বারের মতো ইজতেমা আয়োজন হয়।দশ বছর পর ১৯৫৮ সালে,নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।তাবলীগের প্রচার-প্রচারণা দিন দিন প্রসারিত হতে থাকে।বাড়তে থাকে তাবলীগের সাথী ও শুভাকাঙ্ক্ষীর সংখ্যা।
এর কারণে ৮ বছর পর ১৯৬৬ সালে,টঙ্গীর খোলা মাঠে ইজতেমার আয়োজন করা হয়।সে বছর বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মুসলমান ধর্মপাল লোকজন এই ইজতেমায় সামিল হন।১৯৬৬ সালের পর থেকে প্রতিবছরই কহর দরিয়া খেত তুরান নদীর তীরে ১৬০ একর এর বিশাল মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই ইজতেমা।যা বিশ্ব ইজতেমা নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
২০১১ সালের আগে একসঙ্গে তিন দিনব্যাপী এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতো।স্থান সংকট মানুষের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে তাবলীগের সূরা সদস্যের পরামর্শের ভিত্তিতে তিন দিন করে দুই ধাপে ইজতেমা অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।শুধু বয়ান শোনা বা আখেরি মোনাজাতেরপ্রচুর লোকজনের অংশগ্রহণ করা ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য নয়।
লক্ষ্য হলো যাতে করে বেশি বেশি তাবলীগ জামাত বের হয়।প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা থেকে ১০০০ থেকে ১৫০০ তাবলীগ জামাত দেশে বিদেশে এক চিল্লা তিন চিল্লায় যাওয়ার জন্য বের হন।৬ মাস ও এক বছরের জন্য আল্লাহর দিনে ও তাবলীগ দাওয়াতের জন্য বের হন।
বিশ্ব ইজতেমা কি জায়েজ
বিশ্ব ইজতেমা যাওয়া কি জায়েজ না নাজায়েজ এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।বিশ্ব ইজতেমা অন্য দশটি ওয়াজ মাহফিল বা ইসলামে আলোচনা অনুষ্ঠানের মতই।এখানে সাধারণত মানুষকে দ্বীনি বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়।এবং দিনে চেতনায় জাগরনের জন্য মোটিভেশন করা জন্য আলোচনা বাবয়ান পেশ করা হয়।
কোন মুসলমান যদি সেখানে,আলোচনা শোনার জন্য,নিজেকে দিনের পথে আনার জন্য,এবং দিনে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য যদি সেখানে যান সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়।নিন্দনীয়র কোন কারণ নেই।এটা বেদাত ও হওয়ার কোন কারণ নেই।যদি কেউ এখানে চাওয়া টাকে স্বতন্ত্র ইবাদত বলে মনে করেন,এবং এখানে যাওয়াটাকেই স্বতন্ত্র সোয়াব বলে মনে করেন,কিংবা এটার আলোকিক কিংবা আধ্যাত্মিক ক্ষমতা আছে এরকম বিশ্বাস থেকে যদি কেউ যান তাহলে সেটা নাজায়েজ হতে পারে।
অনেকেই ওখানে যান হজের মত মর্যাদা পাওয়া যাবে বলে,জাহাজের সমান সব বাজে থেকে বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে সেখানে গেলে এরকম যদি বিশ্বাস থেকে কেউ যেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এটা বিভ্রান্তিকর হবে।ওটা গুনাহ হবে বা বেদাত হতে পারে।তবে আমার বিশ্বাস বা আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা হলো যে লক্ষ লক্ষ মানুষ যেখানে যাচ্ছে,ওয়াজ শোনার জন্য বা আলোচনা শোনার জন্য বা বয়ান শোনার জন্য।
আরো পরুনঃঅল্প বয়সে বিয়ে নিয়ে ইসলামিক উক্তি
এবং সেখান থেকে বয়ান শুনে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক উদ্বুদ্ধ ওই আসার জন্য।এ যাওয়াটা বা এ যাওয়ার জন্য আয়োজন করাটা বেলায়েত বা নাজায়েজ হওয়ার কোন কারন নেই।এর মাধ্যমে আলহামদুলিল্লাহ অনেক মানুষ নামাজি হচ্ছেন ইসলামের পথে ফিরে আসতেছেন এবং দিনের দিকে ফিরে আসতেছেন।এটি অবশ্যই প্রশংসনীয় দিক।
যদি ওইখানে ভুল করা হয় বা ভুল কোন কথা বলা হয়,সেই জায়গাটা নিন্দনীয় হতে পারে।সেটা অবশ্যই বিশ্ব ইজতেমার সাথে খাস নয়।এটা যে কোনদিনই মাহফিলে হতে পারে।তাই বলে ওই মাহফিলটাকে বেদাত বলার কোনই কারণ নেই।
তাবলীগের বিশ্ব ইজতেমা যেভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠলো
বর্তমান যেভাবে বিশ্ব ইজতেমা জনপ্রিয় হল।১৯৪১ সালের দিল্লী নিজাম উদ্দিন মসজিদের মেওয়াতে নুহ মাদ্রাসা তাবলীগের প্রথম ইস্তেমা অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রায় ২৫ হাজার লোক অংশ নিয়েছিল।ঢাকায় কাকরাইল মসজিদে তাবলীগ জামাতের প্রথম ইস্তেমা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৬ সালে।বর্তমানে এটি মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ।
ওই জায়গায় অল্প আয়োজন হত ৬০ থেকে ৭০ হাজার লোক জমায়েত হত।১৯৪৮ সালের চট্টগ্রাম এ তৎকালীন হাজী ক্যাম্পে আয়োজন করা হয়।১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় ইজতেমা।১৯৮৬ সালের টঙ্গী পাগার গ্রামের ইজতেমাকে বিশ্ব ইজতেমা ঘোষণা করা হয়।১৯৬৭ সাল থেকে তুরাগ নদীর তীরে ইজতেমার আয়োজন করা হয়।
মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার কারণে তাৎক্ষণিক পূর্ব পাকিস্তানকে ইজতেমার স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত পাকিস্তানে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।তবে ঢাকায় ইজতেমা বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের কাছে বেশি জনপ্রিয়।কিন্তু বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে সবার জন্য ভিসা পাওয়া সহজ হয়।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে এদেশের মানুষ নম্র এবং অতিথি পরায়ন।দেশের ভিতরে জনপ্রিয়তা হওয়ার কারণ হচ্ছে এর পরিবেশ। এটাই মানুষের আটিষ্ট করে।বর্তমানে প্রতি বছরে বিশ্বের প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ টি দেশে তাবলীগ জামাত সহ ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ মানুষ ইজতেমায় অংশ নেন।
বিশ্ব ইজতেমা বলতে কি বুঝায়?
সম্মানিত ভিউয়ার্স,দেশ ও দেশের বাহিরে যারা যেখান থেকেই আমাদের ঈমান আমলের এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আজকে আলোচনা করব,বিশ্ব ইজতেমা সম্পর্কে এবং বিশ্ব ইজতেমার তাৎপর্য।ইসলামী ভ্রাতৃত্বের অপূর্ব নিদর্শন বিশ্ব ইজতেমা।
ইজতেমা শব্দের অর্থ সমাবিত করা সমাবেশ সম্মেলন অথবা যে জায়গায় ধর্মের কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।ধর্মের কোন সিদ্ধান্ত প্রতিফলনের জন্য মানুষকে একত্রিত করা হয়।কাজের গুরুত্ব বোঝানো হয়,সম্পন্ন করার জন্য কাজটির যথাযথভাবে করার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এবং সেই দিনের কাজটি ব্যাপকভাবে প্রচার প্রসারের জন্য সকলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিজেদের অন্তরের মধ্যে স্থাপন করে।
এই গুলার সমন্বয় একত্রিত হয়ে মুসলিম উম্ম যে কাজগুলো করে থাকে সেটাই পারিভাষিকভাবে ইজতেমা বলা হয়।আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,তোমরা তাবলীগ করে দাও তোমরা পৌঁছে দাও একটি আয়াত হলেও যা তোমরা আমার কাছ থেকে শিখেছ।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই বাণী,আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর হাদিস,প্রতিফলন করানোর জন্য দিনের সকল বিষয়গুলো সারা বিশ্বের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারা বিশ্বে লোক জামাত হয়ে থাকে যে জায়গায় সে জায়গাকে বলা হয় ইস্তেমা।বিশ্ব ইজতেমা টাকার অধরে টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় তাবলীগ জামাতে বিশ্বা ইজতেমা।বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জ থেকে লাখো লাখো মুসলিম উম্মাহ সম্মেলনে সমাবিত হয়।
একই সঙ্গে মিলিত হয় বিশ্বের অর্ধশত এমনকি এক হাজার দুই হাজার পর্যন্ত সাথী।বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে মালয়েশিয়া খিলকিস্তান কাজাকিস্তান পাকিস্তান চীন ফিলিপাইন ও অন্যান্য রাষ্ট্র থেকে বিশ্ব ইজতেমায় সমবেত হয়।সারা বিশ্বের মানুষ যেখানে আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের জন্য দিনের মেহনত করা দিন নিজের মধ্যে চিন্তা করার ফিকির নিয়ে প্রত্যেক মুসলিম উম্মাহ সেখানে জমায়েত হয় একত্রিত হয়।আর এই একত্রিত হয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা ফিকির পয়দা করা মুসলমানরা চিন্তা গত ভাবে আল্লাহর দ্বীন প্রচার প্রচারণের জন্য এখানে জামাত হয়ে থাকেন।
বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস
বিশ্ব এস্তেমা বা বিশ্ব ইজতিমা,যা প্রতিবছর ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের একটি বড় বার্ষিক ধর্মীয় সমাবেশ।বিশেষ করে তাবলীগ জামাতের অনুসারী রায় এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করে থাকেন।যা বাংলাদেশের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।এতে অংশগ্রহণ করে থাকেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।আজকে আমরা জানবো বিশ্ব ইজতেমার সঠিক ইতিহাস।
১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে মাওলানা ইলিয়াস রহমাতুল্লাহ আলাই ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর এলাকায় ইসলামী দাওয়াত তথা তাবলীগের প্রবর্তন করেন।এবং একই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক সম্মেলন বা ইজতেমার আয়োজন করেন।বাংলাদেশে ১৯৫০ এর দশকে তাবলীগ জামাতের প্রচলন করেন মাওলানা আব্দুল আজিজ।বাংলাদেশের তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় মারকাজ বা প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদ থেকে এই সমাবেশ কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা হয়।
বাংলাদেশে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা রমনা মাঠ সংলগ্ন কাকরাইল মসজিদের তাবলীগ জামাতের বার্ষিক সম্মেলন বা এস্তেমা প্রথম অনুষ্ঠিত হয়।১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামের তৎকালীন হাজী ক্যাম্পে ইজতেমা হয়।১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।তবে এটা কেবল ইজতেমা হিসেবেই পরিচিত ছিল।
তবে ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতি বছর এই সমাবেশ নিয়মিত আয়োজিত হয়ে আসছে।এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের অখণ্ডতার রক্ষায় পাকিস্তানের সাথে অনেক আলেমদের একাত্মতা থাকায় ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে রওনা উদ্যানের স্থানে টঙ্গির প্রাগার গ্রামের খোলা মাঠে এস্তেমার আয়োজন করা হয়।ওই বছর বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেয়ায় সমাবেশটি বিশ্ব এজতেমা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
১৯৭২ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান অবধি বিশ্ব ইজতেমার টঙ্গীর তুরাগ নদের উত্তর পূর্ব তীর সংলগ্ন ডোবা নালা উঁচু নিচু মিলিয়ে ১৬০ একর জায়গার বিশাল খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম শহর বন্দর থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং বিশ্বের প্রায় ৫০ থেকে ৫৫টি দেশের তাবলীগী বিনোদন মুসলমান জামাত সহ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ্য মুসল্লীক বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন বা বিশ্ব ইজতেমার অংশ নেন।
তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেন আখেরি মোনাজাতে।এবং তা আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমেই শেষ হয়।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে বাংলাদেশে কিভাবে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হল এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করলাম।এবং বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস সম্পর্কেও জানানোর চেষ্টা করলাম।যদি কেউ আজকের এই আর্টিকেল থেকে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url