বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ কোনটি
প্রিয় পাঠক,বাংলাদেশ বিশ্বের কততম শক্তিশালী দেশ এ সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল।আজকের এই আর্টিকেলে বিশ্বের শক্তিশালী দেশ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।
এবং আজকের এই আর্টিকেলে আরো যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে সে বিষয়টি হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ কোনটি।এ সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
বাংলাদেশে এখন পৃথিবীর ৩৭ তম শক্তিশালী দেশ।যা বাংলাদেশের ইতিহাসে যা শক্তিশালী সামরিক অবস্থান।২৪ সালের শুরুতেই বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে গোলবাল ফায়ার পাওয়ার।এটি একটি সুইডেন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।যারা প্রতিবছর সামরিকের রেংকিং প্রকাশ করে।বাংলাদেশ বিশ্বের কততম শক্তিশালী দেশ।
বন্ধুরা ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনকে আক্রমণ করে সারা পৃথিবী কে চমকে দেয়।আর এটা দেখে পৃথিবীর সকল দেশ তাদের নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক হারে সামরিক বাজেট বৃদ্ধি করতে থাকে।এবং নতুন নতুন অর্থশাস্ত্র যুদ্ধবিমান যুদ্ধ ট্যাংক ইত্যাদি যুক্ত করতে থাকে তাদের সেনাবাহিনীতে।এর ফলে সারা পৃথিবীতে অস্ত্র তৈরীর প্রতিযোগিতা আরো বেড়ে যায়।সেই সাথে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ১০ টি দেশের রেংকিংয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আসে।
পৃথিবীতে এমন কিছু দুর্বল দেশ রয়েছে যা শক্তিশালী দেশগুলো চাইলে সেটা দখল করে নিতে পারে।আবার এমন কিছু দেশ রয়েছে তাদেরকে দখল করা একদম অসম্ভব।এদের কাছে রয়েছে পারমাণবিক বোমা।শক্তিশালী সেনাবাহিনী।বন্ধু রাষ্ট্র,আর রয়েছে শক্তিশালী ভৌগলিক অবস্থান।
- বাংলাদেশ বিশ্বের কততম শক্তিশালী দেশ
- এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ কোনটি
- বিশ্বের ১০টি শক্তিশালী দেশের নাম
- বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ কোনটি
- বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ
বাংলাদেশ বিশ্বের কততম শক্তিশালী দেশ
বাংলাদেশে এখন পৃথিবীর ৩৭ তম শক্তিশালী দেশ।যা বাংলাদেশের ইতিহাসে যা শক্তিশালী সামরিক অবস্থান।২৪ সালের শুরুতেই বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে গোলবাল ফায়ার পাওয়ার।এটি একটি সুইডেন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।যারা প্রতিবছর সামরিকের রেংকিং প্রকাশ করে।
এই তালিকা নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকলেও এটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং নিকটতম রেফারেন্স হিসেবে বিবেচিত হয়।তারিখ গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার তালিকা কে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেয় পৃথিবীর প্রতিটা দেশ।বাংলাদেশ আজ থেকে তিন বছর পূর্বে পৃথিবীর ৪৫ তম শক্তিশালী দেশ ছিল।পরবর্তীতে প্রতিবছর উন্নতি করেছে।তবে শুধু সমরাস্ত দিয়েই এই তালিকায় সবাই সেরা হতে পারবে না।
এক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৬০ টি বিষয়কে বিবেচনা করা হয়।যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সামরিক বাহিনীর সংখ্যা।অর্থনীতি,জনসংখ্যা,অবকাঠামো,এবং সমরাস্ত্র।২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ছিল পৃথিবীর ৪০ তম শক্তিশালী দেশ।মাত্র এক বছরে তিন ধাপ এগিয়েছে এটিকে রেকর্ড বলা যায়।কারণ বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে বিশ্বের অনেক শক্তিশালী দেশ।
বিশেষ করে নেদারল্যান্ডস নাইজেরিয়া পর্তুগাল নরওয়ে আরব আমিরাত ইরাক সুইজারল্যান্ড কিংবা মালয়েশিয়া।বাংলাদেশের এই রেকর্ড সামরিক অগ্রগতির পেছনে কয়েকটি কারণ লক্ষণীয়।তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অবকাঠামোগত উন্নয়ন।বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত অবকাঠামো উন্নয়নকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ একটি।
পদ্মা সেতু মহাসড়ক কর্ণফুলী টানেল এবং কয়েকটি সমুদ্র বন্দর নির্মাণ এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে।যদিও মনে হতে পারে এর সঙ্গে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি তেমন করে সম্পর্ক নেই।এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি যুদ্ধের ৫০ শতাংশ নির্ভর করে,সরাসরি সমরাস্ত্র,এবং সামরিক বাহিনীর ওপর।আর অন্যদিকে ৫০ শতাংশ সাপোর্ট করে লজিস্টিক সাপোর্ট এর উপর।
লজিস্টিক সাপোর্ট এর ক্ষেত্রে অবকাঠামো গেম চেঞ্জার ভূমিকা পালন করে।ধরন আগামীকাল মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধ শুরু হলো।এমন অবস্থায় সেনাবাহিনী রসদ এবং গোলাবারদ পৌঁছাতে এস্থল পথ এবং রেল লাইন ব্যবহার করবে।এবং শক্তিশালী রেল নেটওয়ার্ক সামরিক বাহিনীর অগ্রগতিকে সম্প্রসারণ করে তাতে কোন সন্দেহ নেই।বিপরীতে ধরে নেওয়া যাক ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হলো,সেক্ষেত্রে ভারত তার বিমান বাহিনী দ্বারা চট্টগ্রাম বন্দরকে ধ্বংস করে ফেলবে।
এমন অবস্থায় বিকল্প বন্ধর ব্যবহার করতে হবে।যদি বিকল্প বন্দর না থাকে বাংলাদেশের পরাজয় নিশ্চিত।কেননা অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ হবে।পাশাপাশি সকল সেক্টরের ধ্বস নামবে।ফলাফল ভারতের কাছে বাংলাদেশ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবে।তবে এখন একাধিক বন্দর থাকায় বাংলাদেশ টা ব্যবহার করতে পারবেই।ফলে এটিও সামরিক বাহিনীর শক্তিকে অনেক বৃদ্ধি করে।
এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ কোনটি
কোন দেশের জনগণ এবং সার্বভৌমত্ব নিরাপদ রাখাই সে দেশের সামরিক বাহিনীর প্রধান কাজ।এশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম মহাদেশ।দশ সবচেয়ে দশটি শক্তিশালী বাহিনীর মধ্যে পাঁচটি রয়েছে এই মহাদেশ।২০২৩ সালে পাওয়ার ইনডেক্স স্কোর অনুযায়ী এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী শীর্ষ দশটি সামরিক বাহিনীর তালিকা প্রকাশ করেছেন গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার এর প্রতিবেদন অনুযায়ী সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হচ্ছে।এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী হতে চীন।পিপল লিবারেশন আর্মি ও সামরিক দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে চীন।২৩ লাখেরও বেশি সামরিক বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে দেশটিতে।এর পাওয়ার পয়েন্ট ইনডেক্স ০.২৫৯৪।চীন একটি স্বীকৃত পারমাণবিক অস্ত্রধারিত রাষ্ট্র।একটি সম্ভাব্য সামরিক মহাশক্তি।কয়েক বছর ধরে এটি উন্নত বা উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র পদ্ধতি অর্জন করেছে।
বিশ্বের ১০টি শক্তিশালী দেশের নাম
বন্ধুরা ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনকে আক্রমণ করে সারা পৃথিবী কে চমকে দেয়।আর এটা দেখে পৃথিবীর সকল দেশ তাদের নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক হারে সামরিক বাজেট বৃদ্ধি করতে থাকে।এবং নতুন নতুন অর্থশাস্ত্র যুদ্ধবিমান যুদ্ধ ট্যাংক ইত্যাদি যুক্ত করতে থাকে তাদের সেনাবাহিনীতে।এর ফলে সারা পৃথিবীতে অস্ত্র তৈরীর প্রতিযোগিতা আরো বেড়ে যায়।
সেই সাথে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ১০ টি দেশের রেংকিংয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আসে।যে সকল দেশ গত বছর টপ টেন র্যাংকিং এ ছিল না তার টপ টেনে জায়গা করে নিয়েছে।এবং ২০২২ সালে যারা টপ টেন লিস্টে ছিল তারা অনেকেই এখন তাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি।তো বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমি ২০২৩ সালের র্যাংকিং অনুযায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দশটি দেশ নাম জানাবো।তো চলুন শুরু করা যাক।
বিশ্বের শক্তিশালী ১০ টি দেশের নাম
(১)রাশিয়া
সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া।আর রাশিয়ার হতে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক বোমা রয়েছে।প্রায় আট হাজারেরও বেশি পারমাণবিক বোমা রয়েছে রাশিয়ার হাতে।কখনো যদি কোন দেশ রাশিয়াকে আক্রমণ করতে চায় তাহলে সেটা আত্মহত্যাশামিল হবে।এজন্য রাশিয়াকে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ বললেও ভুল হবে না।
(২)ইউএসএ বা আমেরিকা
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আমেরিকা।পৃথিবীতে যত আধুনিক অস্ত্র রয়েছে তার আবিষ্কারক কিন্তু এই আমেরিকায়।সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় ২০০ টিরও বেশি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে আমেরিকার।এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি এয়ারকাপ ক্যারিয়ার রয়েছে আমেরিকার।এসব ছাড়াও আমেরিকার হাতে প্রায় ৫ হাজারটির মতো পারমাণবিক বোমা রয়েছে।
আমেরিকার সম্পর্কে যতই বলি না কেন শেষ করা যাবে না।তাই আমেরিকা কে পৃথিবীর রাজা বললেও ভুল হবে না।আর পুতিন কিন্তু সে রাজত্বে ভাগ বসাতে চলেছে।হয়তো এক সময় পুতিনের দেশ রাশিয়ায় হবে পৃথিবীর এক নম্বর শক্তিশালী দেশ।আপনি যদি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দোষ মুসলিম দেশ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
(৩)চায়না
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চায়না বা চীন।বর্তমানে চীন অন্যতম একটি সুপার পাওয়ার।চীনের হাতে টোটাল ৩৫০টির মতো পারমাণবিক বোমা রয়েছে।
(৪)ইন্ডিয়া
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত।আর ভারত কিন্তু পারমাণবিক শক্তিশালী একটি দেশ।ভারতের হাতে মোট ১২০টি মতো পারমাণবিক বোমা রয়েছে।এছাড়া ভারতের হাতে টোটাল অ্যাক্টিভ শন্য রয়েছে ১৪ লক্ষ্য ৫০ হাজারের মতো।
(৫)ইউনাইটেড কিংডম
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে গ্রেট ব্রিটেন।ব্রিটেনের একটিভ জনসংখ্যা ১ লক্ষ ৯৪ হাজার।তবে বৃটেনের বিমান বাহিনী কিন্তু ব্যাপক শক্তিশালী।
(৬)নর্থ কোরিয়া
আমার মতে পৃথিবীর ষষ্ঠ শক্তিশালী দেশ হলো কিঞ্জামনের দেশ উত্তর কোরিয়া।কারণ উত্তর কোরিয়ের হাতে প্রায় ২০০ টির মত পারমানবিক বোমার রয়েছে।কিছুদিন আগে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আকৃতির পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে।যেটা জাপানের হিরো সেমাই ফেলা বোমা চেয়েও ১৫০০ গুন বেশি শক্তিশালী।কিঞ্জামনের এই বোমাটিকে যে দেশে মারবে সে দেশ পৃথিবীর মানচিত্র থেকে একদম মুছে যাবে।
(৭)পাকিস্তান
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান।আর পাকিস্তান একটি মুসলিম দেশ।পাকিস্তানও কিন্তু পারমাণবিক শক্তিশালী একটি দেশ।বর্তমানে পাকিস্তান নিজ দেশেই ভয়ংকর সব পারমাণবিক বোমা এবং মিসাইল তৈরি করে চলেছে।পাকিস্তান ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়।বর্তমানে পাকিস্তানে হাতে ২০০ টিরও বেশি পারমাণবিক বোমা রয়েছে।এছাড়া পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বিমানবাহিনী এবং নৌ বাহিনী ব্যাপক শক্তিশালী।
(৮)জাপান
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের তালিকায় অষ্টম অবস্থানে রয়েছে জাপান।আপনাদের জানিয়ে রাখি জাপান পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্ভাগা একটি দেশ।পৃথিবীর একমাত্র দেশ জাপান যারা কিনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দুইটি পারমাণবিক বোমা হজম করেছে।দুইটি পারমাণবিক বোমা খাওয়ার পর জাপান পৃথিবীর সবচেয়ে শান্ত দেশে পরিণত হয়েছে।তবে বর্তমানে জাপান আর শান্ত দেশ নেই।
জাপানও দ্রুত তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে।এবং যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে যুদ্ধের সকল অস্ত্র তারা নিজ দেশে তৈরি করে থাকে।আরেকটি সূত্র থেকে জানা যায় জাপান মাত্র তিন দিনের মধ্যেই ৫০ টেরও বেশি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে সক্ষম।
(৯)ফ্রান্স
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের তালিকায় নবম অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স।আর ফ্রান্স অফ বীরের জাতি।আর তাদের সোন্য রাও অনেক সাহসী।ফ্রান্সের হাতে মোট ২ লক্ষ ৫ হাজার এক্টিভ্ন শূন্য রয়েছে।আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটি হচ্ছে ফ্রান্স কিন্তু পারমাণবিক শক্তিধরদের দেশ।ফ্রান্সের হাতে প্রায় ৩০০ টির মত পারমাণবিক বোমা রয়েছে।
(১০)ইতালি
পৃথিবীর শক্তিশালী দেশের তালিকায় দশম অবস্থানে রয়েছে ইতালি।ইতালির আরেক নাম রুম।আরে রোম সাম্রাজ্য এক সময় অর্ধেক পৃথিবীতে রাজত্ব করেছে।তাই তারা হাজার বছর ধরে সাহসী।ইতালি সেনাবাহিনীতে টোটাল এক্টিভ স্বর্ণের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭০ হাজার।অন্যান্য দেশের তুলনায় ইতালির সৈন্য সংখ্যা কম হলেও তাদের সামরিক বাজেট কিন্তু অনেক বেশি।
২০২৩ সালে ইতালির সামরিক বাজেট প্রায় ৩৭ বিলিয়ন ইউ এস ডলার।আপনাদের জানিয়ে রাখি ইতালির হাতে কোন পারমাণবিক বোমা নেই।তবে তাদের নৌ বাহিনী ব্যাপক শক্তিশালী।ইতালির নৌবাহিনীতে দুইটি এয়ারকাপ ক্যারিয়ার রয়েছে।আটটি সাবমান্ড রয়েছে।এবং ইতালির বিমান বাহিনীতে ৮৫০টির মতো ভয়ংকর সব যুদ্ধবিমান রয়েছে।আর এসব কারণেই ইতালিকে যুদ্ধে হারানো অসম্ভব।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ কোনটি
পৃথিবীতে এমন কিছু দুর্বল দেশ রয়েছে যা শক্তিশালী দেশগুলো চাইলে সেটা দখল করে নিতে পারে।আবার এমন কিছু দেশ রয়েছে তাদেরকে দখল করা একদম অসম্ভব।এদের কাছে রয়েছে পারমাণবিক বোমা।শক্তিশালী সেনাবাহিনী।বন্ধু রাষ্ট্র,আর রয়েছে শক্তিশালী ভৌগলিক অবস্থান।শুধু তাই নয় তাদের কাছে রয়েছে ইন্টেলিজেন্ট ডিপার্টমেন্ট।তারা যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই সেই যুদ্ধকে থামিয়ে দেয়।
দিন যত যাচ্ছে মানুষ প্রযুক্তিগতভাবে যতই উন্নত হচ্ছে। কথায় আছে জোর যার মুল্লুক তার।পৃথিবীতে রাজত্ব করতে হলে অবশ্যই শক্তির দরকার আছে।আমরা দেখে এসেছি যে দেশের ক্ষমতা যত বেশি সে দেশকে সবাই ততো ভয় পায়।আরে ক্ষমতা গায়ের জোরে চলে না।অর্থনীতি প্রযুক্তি সমরাস্ত্র যাদের কাছে আছে তারাই কেবল পৃথিবীতে রাজত্ব করতে পারে।
এমন এমন প্রযুক্তি বর্তমানে আবিষ্কার হয়েছে যে, ঘরে বসে থেকে একটি দেশ আরেকটি দেশকে ধ্বংস করে দিতে পারে।সামান্য প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সাথে আমরা যুদ্ধ করে জয় আনতে পারবো না।বর্তমানে যুদ্ধ বল যদি ঢাল তরোয়াল দিয়ে হত তাহলে এখানে সাহসিকতাকে প্রাধান্য দেওয়া যেত।কিন্তু বর্তমানে যেসব যুদ্ধ হয় এসবের জন্য দরকার প্রযুক্তিগত অস্র ভান্ডার।
শুনলে হাসি পাবে বাংলাদেশের মানুষ প্রযুক্তি কি সেটাই জানে না।প্রযুক্তিগত অস্ত্রগুলো বাংলাদেশের কাছে স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়।যাইহোক আজকের আর্টিকেলে বলবো বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিশালী দেশ সম্পর্কে।বিশ্বের শক্তিশালী দেশের কাছে কতগুলো পারমাণবিক বোমা আছে,কতগুলো যুদ্ধ অস্ত্র রয়েছে।এ সম্পর্কে জানাবো।
তো চলুন আর দেরি না করে জানা যাক কোন দেশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ।যে দেশকে যুদ্ধে হারানো একদম অসম্ভব।বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হতে রাশিয়া।রাশিয়া ইউ ক্যান যুদ্ধের কারণে রাশিয়াকে সবাই কম বেশি চিনে।বর্তমানে রাশিয়া মানে হচ্ছে পুতিন।পুতিনের বুদ্ধি এতটাই যে এশিয়ার মধ্যে যতগুলো শক্তিধর দেশ আছে প্রত্যেকেই তার কাছে বন্ধু রাষ্ট্র।
তাদের মধ্যে চীন এবং কিমজমুন অন্যতম।বর্তমানে রাশিয়ার কাছে ৮৫০০ টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে।পারমাণবিক বোমার দিক থেকে রাশিয়া বিশ্বের মধ্যে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে।রাশিয়ার কাছে এমন এমন ভয়াবহ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে যা অন্যান্য দেশের কাছে নেই।আকাশ ভূমি সাগর সব জায়গা থেকেই রাশিয়ার পারামানিক বোমা চালানো সম্ভব।রাশিয়ার বোমা যেমন তেমন বোমা নয়।
এক একটা বোমার সাইজ দেখলে আপনার মাথা ঘুরে যাবে।রাশিয়ার কাছে এমন একটি বোমা রয়েছে যা মহাকাশে স্যাটেলাইটে রাখা আছে।সেখান থেকে যে কোন দেশে পারমাণবিক হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া।এরকম প্রযুক্তি অন্য কোন দেশের কাছেই নেই।পুতিন বলেছেন পৃথিবীতে যদি রাশিয়া নামক দেশ না থাকে তবে পৃথিবীতে আর কোন দেশে থাকবে না।
১৯৪৭ সালে রাশিয়ার প্রথম পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে।এরপর থেকে আমেরিকা ও রাশিয়া অস্ত্র বানানোর প্রতিযোগিতায় লেগে যায।পরমাণবিক অস্ত্র বাদেও রাশিয়ার কাছে রয়েছে ভয়ংকর সব যুদ্ধবিমান।এসব অস্ত্র কারনে রাশিয়া পুরো বিশ্বর কাছে বিখ্যাত।গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার রেংকিং অনুযায়ী বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া।রাশিয়া দিন দিন তাদের সমরাস্ত্র বাড়িয়ে চলেছে।
নতুন নতুন প্রযুক্তি তারা আবিষ্কার করে ফেলেছে।রাশিয়া ও ইউ ক্যান যুদ্ধ প্রায় সাত মাস হয়ে গেছে।কিন্তু এই যুদ্ধ কেন শেষ হচ্ছে না আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন।রাশিয়া যদি এতটাই শক্তিশালী হয় তাহলে ইউক্রেন কে যুদ্ধে কেন হারাতে পারছে না রাশিয়া।আসলে রাশিয়া চাইলে মাত্র তিন দিনে ইউটেনকে ধূলিসাৎ করে দিতে পারতো।কিন্তু রাশিয়া অনেক উদার মনের মানুষ।
কেননা রাশিয়া ইউকানের বুকে এ পর্যন্ত একটিও পারমাণবিক বোমা ফেলেনি।রাশিয়া যদি ইউগেনের বুকে পারমাণবিক হামলা চালাতো তাহলে তিন দিনের মধ্যে এর ইউকের ধুলিস্যাৎ হয়ে যেত।এসব ছাড়াও ইউরোপ ও আমেরিকা সাহায্য করতে এবং বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাঠাচ্ছে ইউ ক্যান কে।আর এই কারনে ইউ ক্যান কে হারাতে রাশিয়ার এত সময় লাগছে।
তাছাড়া বিশ্বে পারমাণবিক বোমা চালানো সম্পন্ন নিষিদ্ধ।মানুষ যুদ্ধ করে ভূখণ্ড দখল আর সম্পদের জন্য।আরে ভুবনটা যদি বোমা মেরে উড়িয়ে দেয় তাহলে যুদ্ধ করে কি হলো।আমরা যাদেরকে বন্ধু দেশ বলে ভাবে তারা আসলে বন্ধ না।সবাই সবার স্বার্থে চলে।যুদ্ধ লাগলে কেবল বোঝা যায় কে বন্ধু কে শত্রু।যারা সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায় তারা মূলত অস্র বিকির ধান্দায় থাকে।প্রকৃত অর্থে কেউই বন্ধু নয়।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ
একটা সময় ছিল পূর্বে যখন পুরো পৃথিবী মুসলমানরা শাসন করত।বর্তমানে কিন্তু মুসলমানদের সেই গৌরব নেই।মুসলমানদের সবথেকে বড় শক্তি ইসলামিক খেলাফত ধ্বংস হয়েছে আরও ১০০বছর আগেই।মুসলমানরা এখন সারা বিশ্বে মার খাচ্ছে।পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বেশি নির্যাতিত এখন মুসলমানরা।তারপরও পৃথিবীতে বেশ কিছু মুসলিম দেশ আবারো ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তারা তাদের নিজস্ব প্রযুক্তি দিয়ে ট্যাংক মিসাইল যুদ্ধবিমান পারমানবিক বোমা অ্যাটাক ড্রোন আরও অত্যাধুনিক সব অস্ত্র নিজেরাই তৈরি করে যাচ্ছে। তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক ২০২৩ সালের র্যাংকিং অনুযায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ সম্পর্কে।তুরস্ক বর্তমান বিশ্বে পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী মুসলিম দেশের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক বা তুর্কি।
সময়ের সেরা হাফেজ মুসলিম নেতা এরদোকান ক্ষমতায় আসার পর থেকে তুরস্ক অনেক এগিয়েছে।তুরস্ক এখন পুরো পৃথিবীতে নেতৃত্ব দেয়।সামরিক শক্তিতে মুসলিমদের এগিয়ে রাখতে কখনো পিছু হটেনি এরদোগান।বিগত কয়েক বছরে তুরস্ক অস্র তরীতে অনেক এগিয়ে গেছে।নতুন নতুন প্রযুক্তি সব আবিষ্কার করেছে তুরস্ক।তুরস্কের তৈরি ড্রোন গুলো বিশ্বসেরা।
তুরস্ক নিজ দেশে যুদ্ধবিমান ট্যাংক মিসাইল্যান্ড ইত্যাদি সব অস্ত্র তৈরি করছে।তুরস্ক ও আমেরিকার পাওয়ারশিয়ারিং চুক্তির অংশীদার।ফলে তুরস্কের কাছে পারমাণবিক বোমা আছে।কিন্তু তারা সেটা স্বীকার করে না।তবে সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান নিজ দেশে এবং নিজস্ব প্রযুক্তিতে পারমাণবিক বোমা তৈরির ইঙ্গিত দিয়েছে।এসব কিছু ছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্ক রাশিয়া এবং ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী দেশগুলোর সাথে টেক্কা দিচ্ছে।
অতীতে তুরস্ক অটোম্যান বা উসমানীয় সাম্রাজ্যের কেন্দ্র ছিল।মূলত এই কারণে তারা সম্পদ আর সামরিক শক্তিতে এত শক্তিশালী।২০২৩ সালে র্যাকিং অনুযায়ী তুরস্ক পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী মুসলিম দেশ।বর্তমানে তুরস্কের সামরিক বাজেট ২৫.০২বিলিয়ন ইউ এস ডলার।এবং তাদের টোটাল সৈন্য সংখ্যা ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার।এবং তাদের একটিভ জনসংখ্যা চার লক্ষ ২৫ হাজার।তুরস্কর হাতে যুদ্ধ ট্যাগ রয়েছে ২২২৯টি।যার মধ্যে বেশিরভাগই তাদের নিজেদের তৈরি।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে বিশ্বের শক্তিশালী দেশ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করলাম।এবং এর সাথে সাথে বাংলাদেশ বিশ্বের কততম শক্তিশালী দেশ এ সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি।আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে আপনার শেয়ারের কারণে তারা উপকৃত হতে পারে।ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url