বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন, এবং সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন।কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইট খোঁজাখুজি করার পরেও জানতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।আজকের এই আর্টিকেলে সৌদি আরব সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানানোর চেষ্টা করব।
এবং জানানোর চেষ্টা করব,বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে এ সম্পর্কে।তাই সৌদি আরব সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।যদি আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন আশা করি উপকৃত হবেন।
ভূমিকা
বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার হচ্ছে সৌদি আরব।আর ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে দেশটিতে পাড়ি জমান ১ লাখ ২২ হাজার কর্মী।কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কাজের পরিবেশ কর্মীদের বেতন সুযোগ সুবিধার অভাব নিয়ে যেমন অভিযোগ আছে।সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
বর্তমানে সৌদি আরবের সবচেয়ে কাজের চাহিদা বেশি তাহলে,প্লাম্বিং,ওয়েল্ডিং,ইলেকট্রিশিয়ান, অটোমোবাইল ও এসি টেকনিশিয়ান কাজের।এসব কাজে প্রতিবছর সৌদি সরকার ৫০০০ হাজার দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেয়ার কথা বলেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসাবিন ইউসুফ আল দোহাইলাম।বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে হলে বেশিরভাগই দালালদের শরণাপন্ন হতে হয়।
আর দালাল বিশাল মূল্য ভিসার মূল্য দিগুণ বেশি নিয়ে থাকে।সৌদি আরবে কোন ভিসায় গেলে সবচেয়ে বেশি ভালো।কোম্পানিতে আসা খুবই ভালো বলে মনে করি।যারা সৌদি আরবে আসতে চাচ্ছেন তারা চেষ্টা করবেন যাতে করে ডাইরেক কোম্পানিতে যেতে পারি।এখন বর্তমানে সৌদি আরবের অবস্থা ভালো না,তাই আসার আগে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে আসার চেষ্টা করবেন।
- সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার
- সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
- সৌদি আরবে ই ভিসা পেতে কতদিন লাগে
- বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে
- সৌদি আরবে কোন ভিসায় গেলে ভালো হবে?
সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার
সুপ্রিয় দর্শক আজকে আমি আপনাদের সাথে কথা বলবো সৌদির ভিসার ধরন নিয়ে।মানে সৌদি কত ক্যাটাগরির ভিসা আছে।আপনি কোন ক্যাটাগরি আপনার পছন্দ আপনি কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেন।কত ক্যাটাগরির ভিসা সৌদি সরকার বাংলাদেশের জন্য প্রোভাইড করে।চলুন আর দেরি না দেখে আসি সে ভিসা গুলো।ভিসার ধরন।
তাই আমি বলছি একটি একটি করে লিস্ট করে রাখুন এবং কোন বিষয় আপনার পছন্দ এবং সেই বিষয়ে এপ্লাই করুন।
(১)সরকারি ভিসা
আমরা যদি ভালো স্কিল থাকে,তাহলে আপনি সরকারি ভিসাই সৌদি আরব যেতে পারেন।প্রয়োজনে কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট সাবমিট করে।
(২)কূটনীতি ভিসা বা অফিশিয়াল ভিসা
সেটা একমাত্র আমাদের বাংলাদেশের সরকারি গভারমেন্ট এর পক্ষ থেকে যায় জাই সেটা।
(৩)পর্যটন ভিসা
পর্যটন ভিসায় আপনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করে যেতে পারেন।
(৪)বিজনেস ভিসা
যদি আপনার সৌদি আরবে গিয়ে কোন বিজনেস বা ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা থাকে সেটা আপনি করতে পারবে।সৌদি সরকার সেটার জন্য আপনাকে পারমিশন দিয়েছে।
(৫)এমপ্লয়মেন্ট ভিসা
এমপ্লয়মেন্ট ভিসা মানে কর্মচারী ভিসা।এটা প্রাইভেট সেক্টরও হতে পারে এবং সরকারি সেক্টরও হতে পারে।আপনার ইস্কেল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট সাবমিট করে এমপ্লয়মেন্ট ভিসার আবেদন করতে পারেন।
(৬)ডেসিডেন্ট ভিসা।
(৭)নবজাতক ভিসা
যারা বাচ্চা নিয়ে সৌদি আরব গমন করতে চান তাদের জন্য নবজাতক ভিসা আছে।
(৮)ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা
আপনি ফ্যামিলি নিয়ে সৌদি আরব ভিজিট করে আসতে পারেন।এজন্য সৌদি সরকার বাংলাদেশের জন্য সে ব্যবস্থা করে রেখেছে।
(৯)সঙ্গী ভিসা
(১০)পার্সোনাল ভিসাআপনি যদি একা বা পারসোনাল ভাবে যেতে চান সে জন্য সৌদি সরকার বাংলাদেশের জন্য সেই ব্যবস্থা করে রেখেছেন।এ ভিসাকে আমরা টুরিস্ট ভিসা বলতে পারি।
(১১)ওমরা ভিসা
যারা ওমরা হজ করতে যাতে চান তাদের জন্য সৌদি সরকার পুরো বিশ্বের জন্য এ ভিসা চালু করে রেখেছে।
(১২)স্টুদেন্ট ভিসা
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সৌদি সরকার স্টুডেন্ট ভিসা চালু করে রেখেছে।
(১৩)সাংবাদিকতা ভিসা
যারা উচ্চ লেভেলের সাংবাদিক তাদের জন্য সাংবাদিকতা ভিসা চালু রয়েছে।
(১৪)ওয়ার্ক ভিসা
সৌদি আরব বাংলাদেশের জন্য ওয়ার্ক ভিসা চালু করে রেখেছে।এই ওয়ার্ক ভিসায় যাওয়ার জন্য বয়সসীমা হল।১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।যদি শারীরিকভাবে ফিটনেস থাকে তাহলে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ওয়ার্ক ভিসাই সৌদি আরবে যেতে পারবে।তো প্রিয় দর্শক আমরা আজকে সৌদি আরব বাংলাদেশের জন্য যে সকল ভিসা চালু করে রেখেছে।সে ভিসা সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করলাম।
সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
বর্তমানে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজের বেতন কত।তাই আপনার দক্ষতার সাথে মিল রেখে সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নিন আজকের আর্টিকেলে।বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ সৌদি আরবে গমনকারী প্রবাসী শ্রমিক ভিসায় যায়।তবে আমরা অনেকেই জানিনা সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
ফলে অদক্ষ জনশক্তি সৌদি আরবে গিয়ে কাজ না পাওয়ার ভোগান্তিতে ভোগে।সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি।বর্তমানে সৌদি আরবের সবচেয়ে কাজের চাহিদা বেশি তাহলে,প্লাম্বিং,ওয়েল্ডিং,ইলেকট্রিশিয়ান, অটোমোবাইল ও এসি টেকনিশিয়ান কাজের।এসব কাজে প্রতিবছর সৌদি সরকার ৫০০০ হাজার দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেয়ার কথা বলেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসাবিন ইউসুফ আল দোহাইলাম।
গত সাত এ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার তিনি বলেন,বাংলাদেশ থেকে পাঁচটি ছাদে পেশাদার ও দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দেবে সৌদি আরব।এগুলো হলো প্লাম্বার ওয়েল্ডিং ইলেকট্রিশিয়ান অটোমোবাইল ও এসি টেকনিশিয়ান।অন্যান্য অধ্যক্ষ কর্মীর পাশাপাশি প্রতিবছর পাঁচ হাজার দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেবার কথা বলেন।সৌদির রাষ্ট্রদূত জানান, অদক্ষ কর্মীর বেতন ৮০০ থেকে ১২০০ রিয়াল হয়ে থাকে।
এবং এ সকল দক্ষ শ্রমিকদের বেতন হবে ১৫০০ থেকে ১৮০০ রিয়াল পর্যন্ত। তবে এ সকল শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়ার পূর্বে যাচাই-বাছাই এবং পরীক্ষা নিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।এ খাত গুলোতে চাকরি পেতে হলে দক্ষতার সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক।এছাড়াও সৌদি আরবের শ্রমিক ভিসায় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন কাজ ড্রাইভিং সেলসম্যান ক্লিনার কনস্ট্রাকশন ডেলিভারি ম্যান ইত্যাদি।
বাংলাদেশের প্রবাসীদের জন্য সৌদি আরবে বর্তমানে কাজের সংকটের কথা আমরা সকলেই জানি।তবে এ সকল কাজে দক্ষ হলে সৌদি আরবে গেলে কাজ পাওয়া সম্ভাবনা অনেক বেশি।সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে তার যোগ্যতা অনুযায়ী বিদেশে যেতে পারেন।
(১)সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং টেকনিশিয়ান এর কাজ।সৌদি আরবের ওয়েল্ডিং টেকনিশিয়ান এর চাহিদা ব্যাপক। প্রত্যেকটি ফ্যাক্টরি কোম্পানি কন্সট্রাকশন কাজে ওয়েল্ডিং টেকনিশিয়ান বাধ্যতামূলক।বর্তমানে সৌদি আরবে দক্ষ ওয়েল্ডিং টেকনিশিয়ানের বেতন ১৫০০ থেকে ১৮০০ রিয়াল নির্ধারণ করা হয়েছে।
(২)বর্তমানে সরকারি সাথে সৌদি আরব যেতে পারবেন অটোমোবাইল টেকনিশিয়ানরা।সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে ধারণা না থাকায় হাজার হাজার শ্রমিকরা স্বল্প বেতনে বাংলাদেশের গ্যারেজে কাজ করে যাচ্ছেন।অটোমোবাইল টেকনিশিয়ান এর সৌদি আরবে বেতন ১৫০০ থেকে ১৮০০ রিয়াল পর্যন্ত।অনেকেই পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করে সৌদি আরবের ছোট গ্যারেজ প্রতিষ্ঠা করে তিন ৩০০০থেকে ৫০০০ রিয়াল পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।
(৩)সৌদি আরবে এসি মেকানিক কাজ।আপনি যদি একজন এসি টেকনিশিয়ান হয়ে থাকেন তাহলে উচ্চ বেতনে সৌদি আরব যেতে পারবেন।একজন এসি টেকনিশিয়ানের মাসিক বেতন ১৫০০ থেকে ১৮০০ রিয়াল।
(৪)ইলেকট্রিশিয়ান এর কাজ।ইলেকট্রিশিয়ান কাজ একটি দক্ষতা ভিত্তিক কাজ।সৌদি আরবসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এই কাজের চাহিদা অনেক।যারা ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে বাংলাদেশ তাদের জন্য সৌদি আরবে ইলেকট্রিশিয়ান ভিসায় যাওয়ার রয়েছে দারুন সুযোগ।একজন ইলেকট্রিশিয়ানের বেতন ১৫০০ থেকে ১৮০০ রিয়াল।
(৫)আরবে কোন কাজে চাহিদা বেশি একটা জরিপ করে দেখা যায় প্লাম্বারিং কাজের চাহিদা ব্যাপক।
সৌদি আরবে ই ভিসা পেতে কতদিন লাগে
সৌদি আরব আমি কর্মীদের জন্য স্টিকার ভিসা পরিবর্তন করে ই ভিসা চালু করেছেন ঢাকায় দেশটির দূতাবাস।কর্মীদের অনেকেই মনে করছেন এখন তারা সরাসরি এই ভিসা নিতে পারবেন।তবে এখানে কর্মীদের লাভ ক্ষতি কতটুকু তা নিয়ে নানা আলোচনা ও বিভ্রান্তি চলছে সৌদি আরব আমি কর্মীদের মাঝে।বাস্তবে এ ভিসা চালু করায় কর্মীদের কোন লাভ ক্ষতির হিসেব নেই।
সৌদি আরব যেতে কোন রেকর্ডিং এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা সম্পন্ন করতে হয়।আগে দূতাবাসের কর্মীর পাসপোর্ট জমা দিয়ে সেই রিপোর্টিং এজেন্সিকে আবেদন করতে হতো স্টিকার ভিসার জন্য।আর এখন অনলাইনে আবেদন করে এই ভিসা নিতে পারবেন।এতে করে রিকুর্টিং এজেন্সি গুলোর কাজ সহজ হবে এবং দূতাবাসের বাড়তি কোন ভিড় হবেনা।
এতে করে অল্প সময়ের মধ্যে এই ভিসা পাওয়া যাবে।যাতে করে কর্মীদের সময় বাঁচবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।এই ভিসা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৌদি রাষ্ট্রদূত জানান বাংলাদেশের কর্মীরা সৌদি আরবের যাওয়ার চিন্তা করলেই দালালের শরণাপন্ন হন।এবং দালালি তাদের নিয়ন্ত্রণ করে নানা রকম প্রলোভন দেখে সৌদি আরবে পাঠায়।এতে করে অনেক কর্মী বিভ্রান্তি কিংবা প্রতারণার শিকার হন।
এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আরও সজাগ হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।এখন অনলাইন পদ্ধতিতেই ভিসা যাচাই বাছাই করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স বা বহির্গমন ছাড়পত্র দেওয়া যাবে।বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব।গেল দুই বছরে গেছে ১০ লাখ ৬৯ হাজার কর্মী।এরমধ্যে ২০২১ সালের ৪ লাখ ৫৭ হাজার এবং ২০২২ সালে ৬ লাখ ১২ হাজার কর্মী যায় দেশটিতে।
আর ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে দেশটিতে পাড়ি জমান ১ লাখ ২২ হাজার কর্মী।কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কাজের পরিবেশ কর্মীদের বেতন সুযোগ সুবিধার অভাব নিয়ে যেমন অভিযোগ আছে।তেমনি কর্মীদের সাথে নানা রকম অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে হর হামেশাই।বিশ্বের যে কোন দেশে কর্মী বিষয় যাওয়ার আগে দালালদের অতিরঞ্জিত কথায় কান্না দিয়ে সঠিক তথ্য জেনে বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে
আপনি কি সৌদি আরব যেতে চান,সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে।সৌদি আরবের ভিসার দাম কত।এই বিষয়ে আলোচনা করব এই আর্টিকেলে।আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে হলে বেশিরভাগই দালালদের শরণাপন্ন হতে হয়।আর দালাল বিশাল মূল্য ভিসার মূল্য দিগুণ বেশি নিয়ে থাকে।
আপনি জানলে বিস্মিত হবেন।আর দালালের মাধ্যমে যেতেই হয় কেননা এমন সিস্টেম করে রাখা হয়েছে যে আপনাকে দালাল ধরতে হবে।খুবই কম সংখ্যক লোক আছে যারা নিজেদের আত্মীয়-স্বজন বা ঘনিষ্ঠ লোকদের মাধ্যমে সৌদির আরবে যেতে পারতেছে।তাদেরও মোটামুটি টাকা লাগতেছে।কিন্তু দালালদের তুলনায় অনেক কম লাগে।
তাই সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে সৌদি আরবের ভিসার দাম কত এই বিষয়ে জেনে নেওয়া উচিত।বর্তমান সময়ে কাজের ভিসায় সৌদি আরব যেতে তিন লক্ষ থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।অনেকের কাছ থেকে আরও বেশিও নিয়ে থাকেন।তবে এটি তিন লক্ষ থেকে সাড়ে চার লক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে এটা নির্ভর করে কাজের ওপর ভিসার ওপর এবং মেয়াদের উপর।কাজের ধরন মেয়াদ এবং ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী টাকা নির্ভর করে।সাধারণত সৌদি আরবের কাজের ভিসার মূল্য ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।এবং বিভিন্ন দালানএবং এজেন্সি গুলো লক্ষ টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভিসার দাম নিয়ে থাকে।তাই যারা সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এ বিষয়ে জানা খুবই দরকারী।এবং যারা এ বিষয়ে জানেন তাদের জন্য শুভকামনা।
সৌদি আরবে কোন ভিসায় গেলে ভালো হবে
সৌদি আরবে কোন ভিসায় গেলে সবচেয়ে বেশি ভালো হবে এ বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেল আলোচনা করব।সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য তিনটি ভিসা নিয়ে আমি আলোচনা করব।ফ্রি ভিসা,সাপ্লাই ভিসা,কোম্পানির ভিসা। এই তিনটি ভিসাই সৌদি আরব গেলে আমার মতে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়।
(১) ফ্রি ভিসা
আপনি এখানে এসে যে কোনো কাজ করতে পারবেন।এর জন্য প্রতিবছরে ৯৬০০ রিয়াল দিয়ে আকামা করতে হবে।ফ্রি ভিসায় আসার সাথে সাথে যে কাজ পাবেন তেমনটা কিন্তু নয়।এখানে আসার পর আপনাকে কাজ খুঁজে বের করে নিতে হবে।আর যদি আপনার আত্মীয় স্বজন ওখানে থাকে,তারা যদি আপনার কাজ খুঁজে বের করে রাখে তাহলে ফ্রি ভিসায় যেতে পারেন।
আরো পরুনঃসৌদি ভিসা প্রসেসিং কত দিন লাগে
(২) সাপ্লাই ভিসা
সাপ্লাই বিষয়ে আসলে আপনার কপিল আকামা করে দেবে।কোন খরচ নেবে না।থাকা কোম্পানির,খাওয়া শুধু নিজের।
(৩)কোম্পানি ভিসা
এটা বোঝার উপায়,যখন দেখবেন আপনার পরীক্ষা নিতেছে ভাইভা নিতেছে আপনার মেডিকেল খরচ কোম্পানি বহন করতেছে আপনার কাছ থেকে কোন টাকা নিচ্ছে না তখন বুঝবেন এটা ডাইরেক্ট কোম্পানি।গাড়ি কোম্পানিতে আসার সুবিধা।আকামা খরচ কোম্পানি বহন করবে, বেতন যত বলবে ততই পাবেন।
ডাইরেক্ট কোম্পানিতে কষ্ট কম বেতন বেশি।থাকা কোম্পানির,খাওয়া নিজের ক্ষেত্রে খাওয়াও কোম্পানির হয়।এই তিনটার মধ্যে ডাইরেক্ট কোম্পানিতে আসা খুবই ভালো বলে মনে করি।যারা সৌদি আরবে আসতে চাচ্ছেন তারা চেষ্টা করবেন যাতে করে ডাইরেক কোম্পানিতে যেতে পারি।এখন বর্তমানে সৌদি আরবের অবস্থা ভালো না,তাই আসার আগে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে আসার চেষ্টা করবেন।যাতে করে সৌদি আরবে গিয়ে বিপদে না পড়তে হয়।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্টিকেল।আশা করি এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়লে উপকৃত হবেন।এই আর্টিকেলটিতে সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে।কোন বিষয় গেলে ভালো হবে। এবং সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি এ সম্পর্কে আলোচনা করার হয়েছে।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটা মনোযোগ সহকারে পড়বেন।যদি পুরোটাই পড়ে আপনি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে করে তারা অপরিচিত হতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url