বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কোনটি

প্রিয় পাঠক আপনারা যারা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর সেরা সাবজেক্ট সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খোঁজাখুঁজি করার পরেও সেরা সাবজেক্ট সম্পর্কে জানতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।আজকের এই আর্টিকেলের সেরা সাবজেক্ট সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব।
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কোনটি?
এবং কোন সাবজেক্টে ভর্তি হলে আপনার জন্য ভালো হবে সেটাও জানানোর চেষ্টা করব।আজকের এই আর্টিকেলে আরো যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে সেটা হলো।বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কোনটি।এ সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ভূমিকা

সেরা সবাই হতে চাই।আর সেরা হওয়ার জন্য সেরা মাধ্যমে বিকল্প কিন্তু নাই।যারা ইতিমধ্যে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।তারা নিশ্চয়ই সেরা পলিটেকনিকগুলো সম্পর্কে তথ্য খুঁজতেছেন।আর এই তথ্য খুঁজতে গিয়ে অনেকেই ভুল বিভ্রান্তির ভিতরে পড়তে পারেন।আর এই জন্যই আমরা চেষ্টা করবো সেরা পাঁচটি পলিটেকনিক্যাল সম্বন্ধে তথ্য দেওয়ার।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সেরা ৫টি সাবজেক্ট নিয়ে আজকে আমি আলোচনা করব।যে সকল সাবজেক্ট পড়ার জন্য কঠিন,চাকরির বাজারে সেগুলো অত্যন্ত সহজ।পলিটেকনিকে এমন কিছু সাবজেক্ট রয়েছে যার মাধ্যমে মাসিক দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।আজকে আমরা সেই সকল পাঁচটি সাবজেক্ট সম্পর্কে জানব।ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও বৃহত্তম সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।

১৯৪৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল এডুকেশন ইন পাকিস্তানের রিপোর্ট মোতাবেক ১৯৫৫ সালে করাচি ও ঢাকায় দুটি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়।তৎকালীন সি এল আই ডিপার্টমেন্টের অধীনে এমেরিকার ford ফাউন্ডেশনে এর অর্থ অনুকালের স্থাপিত হয় বর্তমান ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট।বা ডিপিআই।
  • বাংলাদেশের সেরা ৫ পলিটেকনিক
  • বাংলাদেশে সরকারি পলিটেকনিক কয়টি
  • ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য সেরা ৫টি সাবজেক্ট
  • বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কোনটি?
  • ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট তথ্যচিত্র

বাংলাদেশের সেরা ৫ পলিটেকনিক

সেরা সবাই হতে চাই।আর সেরা হওয়ার জন্য সেরা মাধ্যমে বিকল্প কিন্তু নাই।যারা ইতিমধ্যে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।তারা নিশ্চয়ই সেরা পলিটেকনিকগুলো সম্পর্কে তথ্য খুঁজতেছেন।আর এই তথ্য খুঁজতে গিয়ে অনেকেই ভুল বিভ্রান্তির ভিতরে পড়তে পারেন।আর এই জন্যই আমরা চেষ্টা করবো সেরা পাঁচটি পলিটেকনিক্যাল সম্বন্ধে তথ্য দেওয়ার।

(১)ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
এই ইনস্টিটিউটে ১১ টি টেকনোলজি রয়েছে।সিভিল, কম্পিউটার, আর্কিটেকচার,অটোমোবাইল,মেকানিক্যাল, রেফ্রিজারেটর এন্ড এয়ারকন্ডিশন,ইলেকট্রনিক্স,এনভাইরনমেন্টল,ফুড, ইলেকট্রিক্যাল, কেমিক্যাল।

(২)রাজশাহী পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট।
এখানে রয়েছে ৮টি টেকনোলজি।সিভিল,ইলেকট্রিক্যাল,কম্পিউটার, মেকানিক্যাল,পাওয়ার,ইলেকট্রনিক্স,মেকাট অনেক্স,এবং ইলেক্ট্র মেডিকেল।

(৩)ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
এই ইনস্টিটিউট তে রয়েছে পাঁচটি টেকনোলজি।আর্কিটেকচার,ইলেক্ট্র মেডিকেল,ইন্সট্রুমেন্ট এন্ড প্রসেস কন্ট্রোল,ইলেকট্রনিক্স এবং কম্পিউটার।

(৪)বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
এখানে টেকনোলজির সংখ্যা ছয়টি।সিভিল,ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার, অটোমোবাইল,মেকানিক্যাল এবং কনস্ট্রাকশন।

(৫)চিটাগাং পলিটেকনিকেল ইন্সটিটিউট।
এই পলিটেকনিকেলে রয়েছে সাতটি টেকনোলজি।সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল,মেকানিক্যাল,এনভায়রনমেন্টাল,পাওয়ার,ইলেকট্রনিক্স এন্ড কম্পিউটার।

বাংলাদেশে সরকারি পলিটেকনিক কয়টি

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বাংলাদেশে মোট কতটি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে।এর জন্য আর্টিকেলটি পুরোটাই পড়তে হবে।বাংলাদেশের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এবং প্রাইভেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারেন।

এই তিন ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে সিলেবাস বা সার্টিফিকেটের কোন পার্থক্য নেই।যাইহোক আজকের সরকারি পলিটেকনিকেল কয়টি এ সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব।বাংলাদেশের মোট৪৯ টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে।এরমধ্যে তিনটি মহিলা পলিটেকনিক।ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট,রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট,খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউ।অর্থাৎ এই তিনটা পলিটেকনিক হচ্ছে শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য।

আর বাকি যে পলিটেকনিক্যাল গুলো রয়েছে সেগুলোতে ছেলে এবং মেয়ে উভয় এপ্লাই করতে পারবে।আর প্রতিটা পলিটেকনিকে মোট দুইটা শিফট রয়েছে।তার মধ্যে একটি হচ্ছে ডে শিপ্ট আরেকটি হচ্ছে মর্নিং শিপ্ট।অর্থাৎ মর্নিং শিফটের ক্লাস সকালে শুরু হবে,আর ডে শিফটে ক্লাস দুপুরে শুরু হবে।এছাড়ায় আর কোন পার্থক্য নেই।আপনি চাইলে দুইটা শিফটের জন্যই এপ্লাই করতে পারেন বাট যেকোনো একটা শিফটে আপনাকে ভর্তি হতে হবে।

২০১৬ এর প্রবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট ৩৩ টি টেকনোলজি বা সাবজেক্ট রয়েছে।এইসব টেকনোলজি বা সব সাবজেক্ট সব পলিটেকনিক্যালে নেই।সিভিল কম্পিউটার ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক্স অটো মোবাইল ইলেক্ট্র মেডিকেল মেকানিক্যাল আর্কিটেকচার টেক্সটাইল পাওয়ার আরএসি এই সাবজেক্টগুলো প্রায় সব পলিটেকনিলে কম-বেশি থাকে।বেশিরভাগ পলিটেকনিকেলে এই সাবজেক্ট গুলো থাকে।বাকি সব সাবজেক্টগুলো সব পলিটেকনিকেলে থাকে না।

এরকম আরো কিছু টেকনোলজি রয়েছে যেগুলো আনকমন প্রিন্টিং কনস্ট্রাকশন সিরামিক্স কেমিক্যাল ইত্যাদি।এগুলো হাতে গোনা কয়েকটি পলিটিকে গেলে সাবজেক্ট গুলো থাকে।একটা পলিটেকনিকেলে একটা টেকনোলজির ওপর নরমাল সিট থাকে ৬০টি।দুই শিফট মিলে হয় ১২০ টা।বেশিরভাগ পলিটেকনিক্যাল এর জন্য নরমালি ১২০ টা সিট থাকে দুই শিফট মিলে।হাতে গোনা কয়েকটি পলিটেকনিকেলে এসিড সংখ্যা ব্যতিক্রম রয়েছে বা কম বেশি রয়েছে।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য সেরা ৫টি সাবজেক্ট

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সেরা ৫টি সাবজেক্ট নিয়ে আজকে আমি আলোচনা করব।যে সকল সাবজেক্ট পড়ার জন্য কঠিন,চাকরির বাজারে সেগুলো অত্যন্ত সহজ।পলিটেকনিকে এমন কিছু সাবজেক্ট রয়েছে যার মাধ্যমে মাসিক দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।আজকে আমরা সেই সকল পাঁচটি সাবজেক্ট সম্পর্কে জানব।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক পাঁচটি সাবজেক্ট কি কি।

(১)ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি।
এই সাবজেক্টের চাহিদা বর্তমানে ব্যাপক।এর বেতনর পরিমাণ বেশ ভালো।আব্বাকে ৪০-৫০ হাজার টাকা স্যালারির নিচে কেউ পাচ্ছে না।এই সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করে কেউ বেকার বসে আছে আমার জানামতে নেই।

(২)মেকানিক্যাল টেকনোলজি।
মেকানিক্যাল টেকনোলজি প্রচুর চাহিদা রয়েছে।এই সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করলে তোমরা সরকারি বেসরকারির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাইভেট সেক্টরের যে জব গুলো আছে সেগুলা পাবে।মেকানিক্যাল হচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করা,বড় বড় যন্ত্রপাতি আছে তা তৈরি করা ঠিক করা এসব কাজের অন্তর্ভুক্ত।

(৩)সিভিল টেকনোলজি।
আমাদের এই জবটা কিন্তু সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি বড় পাঠ।আমরা যত বড় বড় বিল্ডিং দেখি সবই এই টেকনোলজির অবদান।আমাদের চোখের সামনে দশ তলা ২০ তলা বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে এগুলোর তৈরি করতেছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।এই সাবজেক্ট এর চাহিদা আজীবন থাকবে।পৃথিবী যতদিন আছে ততদিন এই সাবজেক্টের কায়দা থাকবে।তাহলে বুঝতেই পারতেছ এই সাবজেক্টের কতটা গুরুত্ব।

(৪)কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি।
কম্পিউটার কিভাবে তৈরি করা হয়,কিভাবে কম্পিউটার সেটআপ করা হয়,প্রোগ্রাম তৈরি করা হয় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করা হয়।এসব সকল বিষয়ে এ সাবজেক্টের ভিতর রয়েছে।বর্তমানে অফিস আদালতে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রাইভেট সেক্টরে জব সকল ক্ষেত্রেই এই সাবজেক্ট নিয়ে যারা পড়াশোনা করেছেন তাদের জন্য প্রচুর পরিমাণ চাকরির সুযোগ রয়েছে।এবং সর্বশেষে যে সাবজেক্টে আমি রাখবো সেই সাবজেক্টটি হল।

(৫)আর্কিটেকচার টেকনোলজি।
আর্কিটেকচার টেকনোলজি হচ্ছে এমন একটি সাবজেক্ট,যেটা চাহিদা থাকবেই।যদি এই সাবজেক্ট নিয়ে তোমরা ভালোভাবে রেজাল্ট করে যেতে পারো।ভালোভাবে পড়াশোনা করে যেতে পারো তাহলে ভালো জায়গায় চাকরির সুযোগ রয়েছে।এই যে তোমরা বড় বড় ঢালানকোটা দেখতেছো একে বিল নিয়ে বা দালান কোঠার আকৃতি এক এক রকম।

এগুলো ডিজাইন করেছে একজন আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ার।আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ার এর কাজ হল মূলত কোন কিছু স্ট্রাকচার তৈরি করা বা ডিজাইন তৈরি করা।সুতরাং যতদিন দুনিয়া আছে বা যতদিন ঘর বাড়ি তৈরি হবে ততদিন আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারের দরকার আছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কোনটি?

কারিগরি শিক্ষা হচ্ছে এমন একটি শিক্ষা যার মাধ্যমে পুরো দেশকে পরিবর্তন করা যায়।আমরা যদি বিশ্বের দিকে লক্ষ্য করি আমরা একটা বিষয় কিন্তু স্পষ্ট দেখতে পাই,যেই দেশ কারিগারি শিক্ষাকে যত বেশি গুরুত্ব দিয়েছে সেই দেশ তত বেশি উন্নত।তবে সম্পদের সময় আমাদের বাংলাদেশে কিন্তু থেমে নেই।একটা সময় ছিল যখন কারিগরি শিক্ষা খেয়ে কেউ গ্রহণই করত না।আর এখন কিন্তু কারিগারি শিক্ষা অনেক বেড়ে গেছে।

আর কারিগারি শিক্ষায় দক্ষ হতে হলে প্রয়োজন একটি ভালো পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।তো আজকে আমি বাংলাদেশের মধ্যে সর্বকালের সর্ব সেরা মোট সাতটি পলিটেকনিকের কথা বলে দেব।আপনি যদি এই সাতটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মধ্যে থেকে যদি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী নিতে পারেন মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকানো লাগবে না।

আর বেশি কথা বলব না আমি আপনাদেরকে সাতটা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কথা বলব।যে সাতটি পলিটেকনিক বাংলাদেশের সর্বকালের সর্ব সেরা এবং এই সাতটা পলিটেকনিক্যাল রেঙ্ক কখনো নিচে নামে না।টপ পর্যায় থাকে।তো বাংলাদেশের সর্ব সেরা পলিটেকনিক এর মধ্যে

১নম্বরে অবস্থান রয়েছে ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট।এটি সবচেয়ে পুরাতন সবচেয়ে বড় বিশাল বিশাল ল্যাব বেশিরভাগ শিক্ষকই বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রজেক্ট সাথে সংযুক্ত।বেশিরভাগ সিনিয়র শিক্ষকদের নিজের লেখা অনেক বই বাজারে প্রচলিত রয়েছে।নানা ট্রেনিং সহ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করারও সুযোগ আছে।

আর এখানে পড়ার সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে যখন আপনি গ্রাজুয়েশন শেষ করবেন চাকরির ক্ষেত্রে স্যাররাই আপনাকে রেফার করে দিবে।সব জায়গায় আপনার পায়রোটি অন্যান্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের থেকে আপনার পাইরোটি থাকবে অনেক বেশি।

২নম্বরে অবস্থান করতেছে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।বাংলাদেশের একমাত্র শিক্ষার উপযুক্ত এলাকা রাজশাহী।সারা দেশের মানুষ এখানকার শিক্ষার পরিবেশের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে।এখানেও ঢাকার প্রায় সব সুবিধা পাওয়া যায়।স্যাররা প্র্যাকটিক্যাল মার্কস ভালো দেয় লেখাপড়ার খরচও কম।

৩ নম্বর অবস্থান করতেছে বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।পলিটেকনিকে শ্রেষ্ঠত্ব লড়াইয়ে নিজেকে সব সময় সক্ত অবস্থায় রাখে এই পলিটেকনিক।ক্যাম্পাস টাও যথেষ্ট সুন্দর।রাজশাহীর মত এখানেও কম খরচে থাকতে পারবেন।

৪নম্বরে অবস্থান করতেছে টাংগাইল পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট।ঢাকার কাছের জেলায় টাঙ্গাইল। লেখাপড়ার সুযোগ-সুবিধায় ভরা এই জেলা।অনেক মেধাবীদের স্থান এই টাঙ্গাইলে।

৫ নাম্বারে অবস্থান করতেছে কুমিল্লা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট।শিক্ষার মান বলেন ছাত্রের মান বলেন শিক্ষকের মান বলেন প্রাক্টিক্যাল এর মান বলেন সব দিক থেকে এই পলিটেকনিকে জড়ি নাই।

৬ নাম্বারে অবস্থান করতেছে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।উন্নতমানের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট জুড়ি নেই।

৭ নম্বর অবস্থান করতে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।সেরা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এর মধ্যে এটা একটি অন্যতম পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট।

ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট তথ্যচিত্র

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ও বৃহত্তম সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।১৯৪৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল এডুকেশন ইন পাকিস্তানের রিপোর্ট মোতাবেক ১৯৫৫ সালে করাচি ও ঢাকায় দুটি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয়।তৎকালীন সি এল আই ডিপার্টমেন্টের অধীনে এমেরিকার ford ফাউন্ডেশনে এর অর্থ অনুকালের স্থাপিত হয় বর্তমান ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট।

বা ডিপিআই।তখন তার নাম ছিল পাকিস্তান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।বা ই পি পি আ। আমেরিকার স্টেট ইউনিভার্সিটি কারিকুলাম অনুসারে পরিচালিত তিন বছর মেয়াদী চারটি প্রযুক্তিতে সিভিল মেকানিক্যাল ইলেকট্রিক্যাল ও পাওয়ার ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পরিচালিত ডিপ্লোমা স্তর কোর্সটি অ্যাসোসিয়েট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং নামে প্রত্যায়ন হতো।

বর্তমানে অত্র প্রতিষ্ঠানে চার বছর মেয়াদী এই করছে ১১ টি টেকনোলজি চলমান রয়েছে।একাডেমিক টেকনোলজি সময়ের মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার টেকনোলজি,ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি,ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি,মেকানিক্যাল টেকনোলজি,সিভিল টেকনোলজি,আর্কিটেকচার টেকনোলজি,অটোমোবাইল টেকনোলজি,রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং টেকনোলজি,ফুড টেকনোলজি,কেমিক্যাল টেকনোলজি,এবং ইনভাইরনমেন্টাল টেকনোলজি।

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট তেজগাঁও শিল্প এলাকা অবস্থিত।এর উত্তরে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়।দক্ষিণে কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়।পশ্চিমে থাকা টঙ্গী মহাসড়ক।মূল ক্যাম্পাসে রয়েছে চার তলা বিশিষ্ট একটি ভবন।অফিস লাইবেরি আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ তিনটি বড় workshop ভবন।জিমনেশিয়ামো লাইব্রেরী এবং ৫০০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি অডিটোরিয়াম।মূল ভবনের দক্ষিণ পাশে রয়েছে মসজিদ ও শহীদ মিনার।

ঢাকা পলিটেকনিক ফিল্ড ক্যাম্পাস হতে একটু দূরে অবস্থিত।পূর্বে ঢাকা পলিটেকনিকের ছাত্রদের জন্য পাঁচটি এবং ছাত্রীদের জন্য দুইটি আবাসিক হোল থাকলেও বর্তমানে ছাত্রদের জন্য তিনটি এবং ছাত্রদের জন্য দুইটা আবাসিক হোল রয়েছে।ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ভর্তির জন্য এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুকূলে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্চে অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।

লেখক এর মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে বাংলাদেশের সেরা পলিটেকনিক এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর সেরা পাঁচটি সাবজেক্ট সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম।তাই আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।যাতে করে এই আর্টিকেল পড়ে তারাও উপকৃত হতে পারে।ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url