শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা দেখুন
প্রিয় পাঠক, আপনারা যারা শীতকালীন সবজি চাষ করবেন ভাবতেছেন কিন্তু কি সবজি চাষ করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না আজকের আর্টিকেল তাদের জন্য। আজকের আর্টিকেলে আমি আলোচনা করব শীতকালীন ফসল কি কি। এবং কোন কোন ফসল চাষ করে শীতকালে বেশি লাভবান হওয়া যায়। এবং আজকের আর্টিকেলে আরো যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে সে বিষয়গুলো হলো।
শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা, শীতকালীন দশটি সবজির নাম এবং গ্রীষ্মকালে কোন কোন সবজি পাওয়া যায় এ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। শীতকালীন সবজি চাষ সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আশা করি শীতকালীন সবজি চাষ সম্পর্কে আইডিয়া পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
শীতকাল এমন একটি মাস,যা যে মাসে সকল ধরনের সবজি বাজারে পাওয়া যায়।এবং এই মাসে সবজি চাষ করে অনেক লাভবান হওয়া যায়।বিশেষ করে শীতকালে অনেক ধরনের সবজি বেশি পাওয়া যায়।যেমন ফুলকপি বাঁধাকপি সিম ক্যাপসিকাম পালং শাক টমেটো ইত্যাদি সবজি শীতকালে বেশি পাওয়া যায়।আমাদের দেশে প্রায় সব ধরনের শাকসবজি ১২ মাসী চাষ করা যায়।
আরো পরুনঃফাতেমা জাতের ধানে বিঘায় ফলন ৫০ মণ
এবং কিছু কিছু শাকসবজি আছে যা শীতকালে চাষ করলে অনেক লাভবান হওয়া যায়। শীতে প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি চাষ হয়।আপনাদের সাথে এখন আমি শেয়ার করব শীতে কি কি সবজি লাভজনকভাবে চাষ করতে পারবেন।এবং কোন কোন সবজি চাষে সতর্কতা থাকবেন শীতকালে সেটা চাষ করবেন না।
- ১০ টি শীতকালীন সবজির নাম
- শীতকালীন ফসল কি কি
- গ্রীষ্মকালীন সবজির নামের তালিকা
- শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা দেখুন
- শীতকালে কোন সবজি খাওয়া ভালো
১০ টি শীতকালীন সবজির নাম
আজকের আর্টিকেলে আপনাদেরকে আমি জানাবো আগাম শীতকালীন কি কি শাক সবজি চাষ করবেন।আমাদের দেশে প্রায় সব ধরনের শাকসবজি ১২ মাসী চাষ করা যায়।এবং কিছু কিছু শাকসবজি আছে যা শীতকালে চাষ করলে অনেক লাভবান হওয়া যায়।
আমাদের দেশের সামনের শীতকাল আসতেছে তাই শীতের জন্য কিছু শাকসবজি চাষ শুরু করতে পারেন।বা প্রস্তুতি নিতে পারেন।তাহলে জেনে নেই আগাম শীতকালের জন্য কি কি শাকসবজি চাষ করবেন।
১ লাউ
২ সিম
৩ সসা
৪ স্কোয়াশ
৫ পুইশাক
৬ টমেটো
৭ ক্যাপসিকাম
৮ বাঁধাকপি
৯ ফুলকপি
১০ আলু।
আরো আপনারা চাইলে চাষ করতে পারেন।পিয়াজ আদা রসুন শালগম মোলা ধনিয়া পাতা ইত্যাদি।আপনারা চাইলে আগাম শীতকালের জন্য এ সকল শাক সবজি চাষ করতে পারেন।বা চাষ করার জন্য
প্রস্তুতি নিতে পারেন।সব ঠিকঠাক থাকলে বা পরিবেশ অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন পাবেন।
শীতকালীন ফসল কি কি
শীতে প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি চাষ হয়।আপনাদের সাথে এখন আমি শেয়ার করব শীতে কি কি সবজি লাভজনকভাবে চাষ করতে পারবেন।এবং কোন কোন সবজি চাষে সতর্কতা থাকবেন শীতকালে সেটা চাষ করবেন না।
১ টমেটোঃ
শীতকালে টমেটো চাষে অনেক ফলন বেশি হয়।সুতরাং শীতকালে লাভজনকভাবে টমেটো চাষ করতে পারেন।সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ভাল জাত দেখে নিবেন।
২ বেগুনঃ
বেগুন সারা বছর চাষ করা গেলেও এটা কিন্তু এটি শীতকালের ফসল।গ্রীষ্মকালে কিংবা খরার মৌসুমে বেগুনের যে পরিমাণ ফলন পায।তার চেয়ে দুই গুণ পরিমাণ বেশি শীতকালে ফলন পাওয়া যায়।সুতরাং এ সময় লাভজনকভাবে বেগুনে চাষ করতে পারেন।
৩ লাউঃ
লাউ চাষ এখন সারা বছরই করা যায়।কিন্তু শীতকালে এটার ফলন দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
৪ মিষ্টি কুমড়াঃ
মিষ্টি কুমড়া শীতকালের একটি উপযোগী ফসল।শীতকালে মিষ্টি কুমড়ার ফলন যে পরিমাণ হয়ে থাকে অন্যান্য মৌসমে সে পরিমাণ ফলন হয় না।তাই মিষ্টি কুমড়া চাষের উপযোগী মৌসম হলো শীতকাল।
৫ মুলাঃ
মুলা এখন বারোমাসি চাষ করা যায়। কিন্তু মূলত মোলা শীতকালীন ফসল।শীতকালে মোলার ফলন অনেক বেশি হয়।
৬ ধনিয়াঃ
ধনেপাতা সারা বছরই চাষ করা যায় কিন্তু শীতকালে এই ধনে পাতার চাষ অধিক পরিমাণ বেশি হয়।এছাড়া আমরা আরো যে ফসলগুলো চাষ করতে পারি সেগুলো হলো।আলু,পিঁয়াজ,আদা, রসুন,সিম,বাঁধাকপি,ফুলকপি,উলকপি,রাঙালু,ক্যাপসিকাম,পুইশাক,পালং শাক,লাল শাক,গাজর,সরিষা ইত্যাদি ফসল শীতকালে খুবই লাভজনক।তাই শীতকালে এসব সবজি আমরা চাষ করতে পারি।
গ্রীষ্মকালীন সবজির নামের তালিকা
শীতকালীন সবজির পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে কি কি সবজি পাওয়া যায় এ সম্পর্কেও আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।সব ধরনের সবজি শীতকালে পাওয়া গেলে গ্রীষ্মকালের সব ধরনের সবজি পাওয়া যায় না।চলুন দেখে নেই গ্রীষ্মকালে কোন কোন সবজিগুলো পাওয়া যায়।
আরো পরুনঃখেজুর উৎপাদনে শীর্ষ দেশ কোনটি
১ টমেটোঃটমেটো মূলত বার মাসে চাষ করা যায়।কিন্তু মূলত এটা শীতকালীন সবজি।গ্রীষ্মকালের তুলনায় শীতকালে এর ফলন অধিক বেশি হয়।
২ শসাঃমূলত বারোমাসি পাওয়া গেলেও এটা গ্রীষ্মকালীন সবজি।শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে শসা অনেক বেশি পাওয়া যায়।
৩ ঢেঁড়সঃঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকে।এসব যে মেয়েদের জন্য বেশি উপকারী।এতে থাকা ফোটেল উপাদানের কারণে গর্ভধারণ করতে সাহায্য করে।পাশাপাশি এতে থাকা ভিটামিন সি এর কারণে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ঢেড়স।ঢেঁড়স প্রধানত গ্রীষ্মকালীন সবজি।গ্রীষ্মকাল ছাড়া অন্য কোন মাসের ঢেঁড়স পাওয়া যায় না।
৪ করলাঃকরলাভ মূলত গ্রীষ্মকালীন সবজি।করলাতে ভিটামিন সি থাকার কারণে ত্বকের সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশি থেকে সুরক্ষা করে।
শীতকালীন সবজি চাষের তালিকা দেখুন
আগাম শীতকালের জন্য কি কি শাক সবজি চাষ করবেন সে সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক।
১লাউঃ
লাউ আমাদের দেশে একটি পরিচিত সবজি।যেটি কিনা সারা বছর চাষ করা গেলেও শীতকালের অন্যতম একটি প্রধান সবজি।যদি শীতকালে লাউ চাষ করেন তবে বাম্পার ফলন পাবেন।এটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।লাউ চাষ করার জন্য এখনই হচ্ছে সঠিক সময়।এখন যদি লাউয়ের বিজ বুনে দেন একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে কিন্তু লাউয়ের ভালো একটা ফল পাবেন।
এখন যদি বিশাল আকারে লাউ চাষ করেন তাহলে ভালো একটা মোনাফাও পাবেন।বীজ লাগানোর দুই মাসের মধ্যে লাউ ধরা শুরু করে।এখন যদি আপনারা লাউ এর বীজ বুনে দেন শীতের শুরুতে কিন্তু ফলনটা পেয়ে যাবেন।
২ সিমঃ
শীতকালে যে সকল শাক সবজি চাষ করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সিম।সিম কিন্তু সারা বছর তেমন একটা পাওয়া যায় না।শীত আসলে এই বাজারে প্রচুর পরিমাণ সেম দেখা যায়।আপনারা এখনই সিমটা চাষ করতে পারেন।যদি হাইব্রিড ধরনের সিমজাত লাগান তাহলে ৪৫ দিনের মাথায় সিম ধরতে শুরু করে।তাই দেরি না করে এখনই সিম বিজ লাগিয়ে দেন।
৩ শসাঃ
শসা সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতের সময় যদি শসা টা চাষ করেন তবে ভালো একটা ফলন পাবেন।তাই আপনারা এ সময় এসে শসা টা চাষ করতে পারেন।শসা চাষ করার জন্য ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলস তাপমাত্রায় প্রয়োজন পড়ে।যা অনেক সময় শীতকালের প্রথম দিকেই পাওয়া যায়।শসা বিজ লাগানোর ৪৫ দিনের মাথায় ফলন দিতে শুরু করে।
৪ স্কোয়াশঃ
স্কোয়াশ হলো শীতকালে আরেকটি অন্যতম সবজি।যা বছরের অন্যান্য সময় কিন্তু পাওয়া যায় না।তবে শীত আসলে এই বাজারে স্কয়াস টা পাওয়া যায়।যদি শীতের সবজিটি বিক্রির উদ্দেশ্যে আগাম চাষ করতে পারেন তবে অনেক টাকা মুনাফা করতে পারবেন।তাই এখনই আপনারা স্কোয়াশ টা চাষ করতে পারেন।বীজ লাগিয়ে দেওয়ার ৪০ দিনের মধ্যেই কিন্তু স্কোয়াশ ধরতে শুরু করে।
৫ পুইশাকঃ
শীতকালে যে সকল শাকসবজি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পুঁইশাক।পোশাকের আঁকা ডগা এবং পাতা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়।যদি পুঁইশাকটা আগান চাষ করতে চান তাহলে এখনই হচ্ছে উপযুক্ত সময়।
৬ টমেটোঃ
বাজারে যখন বেশি পরিমাণ টমেটো দেখা যায় তখন বুঝা যায় যে শীতের আমেজ চারদিকে বইতে শুরু করেছে।আপনারা চাইলে শীতের এই জনপ্রিয় টমেটো টা কিন্তু বাসায় চাষ করতে পারেন।আর যদি সেটা আগাম চাষ করতে চান তবে এখনই হচ্ছে বীজ বোনার জন্য উপযুক্ত সময়।টমেটো চারা লাগানোর ৪৫ দিনের মধ্যে টমেটো ধরা শুরু করে।
বিক্রির জন্য বা অধিক চারা মুনাফা অর্জনের জন্য যদি টমেটো চাষ করতে চান তাহলে এখনি টমেটো চারা লাগিয়ে দেন।একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ভালো একটা দামও পাবেন।
৭ ক্যাপসিকামঃ
ক্যাপসিকামের শীতকালে প্রচুর চাহিদ।আর দামও অনেক বেশি থাকে থাকে।আপনারা চাইলে ক্যাপসিকাম টা চাষ করতে পারেন।আর নির্দিষ্ট একটি সময়ের পরে ভালো একটা ফলনও পাবেন।ক্যাপসিকাম লাগানোর ৩৫ থেকে ৪৫ দিনের মাথায় ফলন আসা শুরু হয়।
৮ বাঁধাকপিঃ
শীতের আগমনে এখন অনেকেই বাঁধাকপি চাষ করতে ব্যস্ত হয়ে গেছে।যাতে করে আগাম ফলনটা পাওয়া যায়।বাঁধাকপি লাগানোর পর সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে ৫০ দিনের মধ্যে ফলন আসা শুরু হয়ে যায়।
৯ ফুলকপিঃ
এখন যে শাকসবজিগুলো চাষ করতে পারবেন তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে ফুলকপি ।আপনারা চাইলে আরো কিছুদিন পরেও ফুলকপি চাষ করতে পারেন।শীতের প্রথম দিকে কিন্তু ফুলকপির অনেক চাহিদা থাকে।ফুলকপি চারা লাগিয়ে দেওয়ার ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে কিন্তু ফলন পাওয়া যায়।
১০ আলুঃ
যদিও আলু ১২ মাস চাষ করা যায় কিন্তু শীতকালে চাষ করলে বাম্পার ফলন পাওয়া যায়।আর শীতকালে যদি আগাম আলু চাষ করতে চান তাহলে এখনই উপযুক্ত সময়।আপনারা এখনই প্রস্তুতি নিতে পারেন।
১১ ধনিয়াঃ
ধনিয়া চাষের জন্য উপযুক্ত সময় হলো শীতকাল।ধনিয়া চাষের জন্য মাটিটা ভালোভাবে ঝুরঝুর করে নিতে হবে।ধনেপাতার সারা বছর চাহিদা থাকলেও ।শীতকালে ধনে পাতার প্রচুর পরিমাণ চাহিদা থাকে।তাই শীতকালে ধনেপাতা চাষ করে বাম্পার ফলন পাওয়া যায়।
১২ মুলা শাকঃ
আপনারা যারা শীতের আগমনে শাক চাষ করতে চাচ্ছেন তারা এখনই মোলা শাক চাষ করতে পারেন।মোলার ব্রিজ লাগাই দেওয়ার ৩০ দিনের মাথায় মুলা শাক খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়।
১৩ পালং শাকঃ
এই পালং শাকটি চাইলে এখনি চাষ করতে পারেন।আর এই সময়টা হচ্ছে পালং শাক চাষ করার জন্য সঠিক একটা সময়।বীজ লাগানোর ৩৫ দিনের মধ্যে পালং শাক খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায়।
শীতকালে কোন সবজি খাওয়া ভালো
শীতকাল শুরুতেই বাজারে দেখা যায় শীতকালীন নানা সবজির উঠতে শুরু করেছে বাজারে।শীতকালে ফসল তুলতে ব্যস্ত সময় পার করেন কৃষকরা।শীতকালের শুরুতেই সবজির দাম ভালো থাকাই লাভজনক বলে মনে করেন কৃষকরা।শিতকাল মানে হরেক রকমের পুষ্টিকর সুস্বাদু শাক সবজির সমাহার।
আরো পরুনঃখেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
এখন ১২ মাস সবজি চাষ হলেও কিছু কিছু সবজি আছে শীতকাল ছাড়া পাওয়া যায় না।যেসব সবজি শীতকালে বেশি পাওয়া যায় সেগুলো সবজি হল:সিম বেগুন লাউ ফুলকপি বাঁধাকপি টমেটো ইত্যাদি।শীতকালীন সবজি গুলো অনেক পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক,আপনাদের সাথে শীতকালীন এবং গ্রীষ্মকালীন কিছু সবজি নিয়ে আলোচনা করা চেষ্টা করলাম।আমরা জানি গ্রীষ্মকালের থেকে শীতকালে অনেক বেশি পরিমাণ শাকসবজি বাজারে পাওয়া যায। গ্রীষ্মকালীন সবজির থেকে শীতকালীন সবজি অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হয়ে থাকে।প্রায় সব ধরনের সবজিই শীতকালে পাওয়া যায়।এবং গ্রীষ্মকালে সব ধরনের সবজি পাওয়া যায় না।
এবং আজকের আর্টিকেলে আরো যে বিষয়গুলো জানলাম।শীতকালে আমরা কোন কোন সবজি চাষ করতে পারবো এবং কোন কোন সবজি বেশি লাভজনক হয়ে থাকে শীতকালে।তাই আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগেছে যদি থাকে তাহলে আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url