হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত
প্রিয় পাঠক আপনারা যারা মাথার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভুগছেন, মাথার সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না এবং কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে এ সম্বন্ধে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু জানতে পারছেন না। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল। আজকের এই আর্টিকেলে মাথা ঘোরার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
হঠাৎ মাথা ঘটলে কি করা উচিত। এই বিষয় সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পুরোটাই পড়ারকরার চেষ্টা করবেন। তাহলে আশা করি মাথার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন আজকের এই আর্টিকেলে।
ভূমিকা
সারা জীবনে একবারও মাথা ঘুরেনি সেরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় বসা থেকে উঠলে মাথা ঘুরায়।কারো ক্ষেত্রে জার্নি করলে বাসে ট্রেনে কোথাও জার্নি করলে মৌসান সিগনেসের কারণে মাথা ঘুরায় বমি বমি ভাব হয়।আবার কারো কারো ক্ষেত্রে বসা থেকে উঠলে মাথা ঘোরায়।মাথা যখন ঘুরে তখন মনে হয় দুনিয়াটা ঘুরতেছে।
আরো পরুনঃগাড়িতে চড়লে বমি হয় কেন
তুমি একপাশে হেলে পড়ে যাবেন।মাথা ওর সঙ্গে অনেক সময় বমি হয়ে থাকে যা মাথা ঘোরার সমস্যা টিকে আরো জটিল করে তোলে।যে শোয়া থেকে বা বসা থেকে উঠে দাড়াচ্ছেন হঠাৎ মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো।এ সমস্যা বেশিভাগ বয়স্ক মানুষের হয়।ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা।পজিশান বা ভঙ্গি পরিবর্তন করলে রক্তচাপ কমে গেলে এ সমস্যাটা বেশিরভাগ দেখা যায়।
- কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে
- হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ
- হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরে বা অন্ধকার দেখার কারন কী
- হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত
- মাথা ঘোরা কমানোর উপায়
কি খেলে মাথা ঘোরা কমবে
মাথা ঘোরা কোন শুভক্ষণের অনুভূতি না।মাথা যখন ঘুরে তখন মনে হয় দুনিয়াটা ঘুরতেছে।তুমি একপাশে হেলে পড়ে যাবেন।মাথা ওর সঙ্গে অনেক সময় বমি হয়ে থাকে যা মাথা ঘোরার সমস্যা টিকে আরো জটিল করে তোলে।ইংরেজিতে এটাকে বলে ভার্টিগো।ভাটিকহ হলে যে কোন মানুষকে খারাপ লাগে।এবং আতঙ্কবোধ হয় কেন মাথা ঘুরতেছে।
মাথা ঘোরার কারণ কে আমরা মূলত তিন ভাগে ভাগ করতে পারি।মস্তিষ্কের সমস্যা কানের সমস্যা এবং অন্যান্য সমস্যা। মস্তিষ্কের সমস্যায় মাথা ঘুরালে এর পিছনে মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়া। কথা বলতে সমস্যা হওয়া।অথবা এক পাশে হাত বা পায়ে দুর্বলতা থাকতে পারে।সাধারণত মস্তিষ্কের পিছনে কোন স্ট্রোক রক্তক্ষরণ টিউমার ইত্যাদি হলে মাথা ঘুরে।
এ রোগ সনাক্ত করতে মাথার এমআরআই ম্যাগনেটিক রিজনেস ইমেজিং করতে হতে পারে।কানের পিছনে কিছু কোষ আমাদের ভারসাম্য ব্যালেন্স রক্ষার কাজে নিয়োজিত। কানের বিভিন্ন সমস্যায় মাথা ঘুরতে পারে।এছাড়া মাথা ঘোরার অন্যান্য কারণে মধ্যে হচ্ছে দুশ্চিন্তা। রক্তশূন্যতা ডায়াবেটিস।বেশি বা কমে যাওয়া অন্যতম।বসাবাস হওয়া থেকে উঠে দাঁড়ালে মা হঠাৎ মাথা ঘুরলে।
সাধারণত তা সাধারণত এটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশি হয়।অনেক সময় পজিশন পরিবর্তন করার সঙ্গে সঙ্গে মাথা ঘুরে। একে বলে বিনয়ন পজিশন ভার্টিগো।হঠাৎ মাথা ঘুরলে হাতের কাছে যা পাবেন সেটা আঁকড়ে ধরুন।বেশি মাথা ঘুরালে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে মাথা নড়াচড়া না করে চোখ বন্ধ করে থাকুন।
হঠাৎ মাথা চক্কর দেওয়ার কারণ
যে শোয়া থেকে বা বসা থেকে উঠে দাড়াচ্ছেন হঠাৎ মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো।এ সমস্যা বেশিভাগ বয়স্ক মানুষের হয়।ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা।পজিশান বা ভঙ্গি পরিবর্তন করলে রক্তচাপ কমে গেলে এ সমস্যাটা বেশিরভাগ দেখা যায়।আপনার যদি এমন সমস্যা থাকে তাহলে মাথা ঘুরতে পারে।মাথায় হালকা বোধ হতে পারে চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন।
বমি হতে পারে এমনকি কেউ কিছুক্ষনের জন্য জ্ঞান হারাতে। তবে এই লক্ষণ গুলো মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য ঘটে।তবে নিজে থেকেই রক্তচাপ আবার স্বাভাবিক হয়ে গেলে নিজে থেকে ঠিক হয়ে যায়।যাদের বেলায় এ সমস্যা দেখা দেয়।
২।গর্ভবতী নারীদেরও এটা বেশি হয়।
৩।খুব গরমে অনেক ঘাম হলে বমি বা পাতলা পায়খানা হলে শরীর যদি পানি শূন্য হয়ে যায় তখন এই সমস্যা হতে পারে।
৪।ডায়াবেটিসের রোগীদের অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেমের কার্যকারিতা কমে যায় বলে তারা এ সমস্যাটাই খুব ভোগেন। আবার ডাইবেটিসদের রক্তে শর্করা কমে গেলেও এসব বোধ হতে পারে।
৫।হতে পারে হৃদযন্ত্রের ভাল্ব সমস্যায় ও হৃদস্পন্দনের গোলমাল অ্যাড্রিনাল গ্রন্থির কার্যকারিতা ও পরকিনসনস রোগেও এ সমস্যা দেখা দেয়।
৬।বয়স্ক ব্যক্তিদের অনেক সময় ভারী খাবার দাবারের পর এই সমস্যা হয়।কেননা তখন দেহের রক্ত সংবহন পেটের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দিকে ধাবিত হয় বেসি।আর হৃদপিন টার দিকে কমে যায়।
৭।বেশ কিছু ওষুধের কারণেও অর্থস্ট্যাটিকস হাইপোরটেনশন হতে পারে।৮অ্যালকোহল পানীয় এ ঝুঁকি বেড়ে যায়।হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে হাড় ভাঙ্গার ঝুঁকি বেড়ে যাই।বিশেষ করে রাতে টয়লেটে যাওয়ার সময় এই ঝুঁকিটা বেশি হয়ে থাকে।এবং অ্যালকোহল পানি পান করে রাস্তাতে আসার সময়ও পড়ে যে এ সমস্যা হতে পারে।
এরকম সমস্যা দেখা দিলে যা করবেন।
১।বিছানা থেকে নামার সময় হুট করে উঠে দাঁড়াবেন না।প্রথমে বিছানার পাশে শান্ত হয়ে কিছুক্ষণ বসুন।এবং জোরে জোরে কয়েকবার শ্বাস নিন।তারপর ধীরে ধীরে দাঁড়ান কিছুক্ষণ পর হাঁটতে শুরু করুন।
২।শরীরে পানি শূন্য হতে দিবেন না যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করুন।
৩।একসঙ্গে বেশি খাবার খাব না সারা দিনে অল্প অল্প খান।
৪।বিছানায় মাথার দিকটা খানিকটা উঁচু করে শোবেন।
৫।বিছানায় শুয়ে পায়ের পেশির কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিদিন কিছু না কিছু ব্যায়াম করুন এটি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা বাড়াবে। এ সমস্যা কি ডাক্তারের ভাষায় বলা হয় অর্থস্ট্যাটিকস হাইপোটেনশন। হঠাৎ ভঙ্গি পরিবর্তন করার কারণে,আগের চেয়ে ২০মিলিমিটার পারদ এবং ডায়োস্টোলিক রক্তচাপ ১০ মিলিমিটার পারদ নেমে আসে।
তবে এই অর্থস্টাটিক্ হাই প্রোটেনশন হয়েছে বলে ধরা হয়।এই সকল সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে পারেন।
হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরে বা অন্ধকার দেখার কারন কী
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে কেন মাথা ঘুরে বা চোখে অন্ধকার দেখেন।এই মাথা ঘোরা কাদের বেশি হয় এটি হলে করণীয় কি এ সম্বন্ধে আজকের আর্টিকেলে সংক্ষিপ্ত কাকারে আলোচনা করব।হঠাৎ বস আবার শোয়া অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়ালে আমাদের মাথা ঘুরে যায়।এই সমস্যায় আমরা অনেকেই ভোগে থাকি।
আরো পরুনঃঅতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
তখন চারদিকে অন্ধকার দেখি।এবং এটি মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী হয়।এর জন্য এই বিষয়টি নিয়ে কেউ এতটা মাথা ঘামায় না।কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এটিকে একেবারে অবহেলা করা উচিত নয়।কারণ এর ফলে ভবিষ্যতে বড় বিপদ হতে পারে।এবার জেনে নাও যাক মাথা ঘোরার কারণ কি কি।মাথা ঘোরার কয়েকটি কারণ রয়েছে।এর মধ্যে প্রথম হলো।
১ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই সমস্যার সঙ্গে নাগ বা স্নায়ুর সম্পর্ক রয়েছে।স্নায়ুর সমস্যায় ভুগলে তাদের সোয়া অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরে যায়।এমনকি কয়েক সেকেন্ডের জন্যও তারা চোখে অন্ধকার দেখেন।তবে এটিকে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়।
২ অনেকের ব্লাড প্রেসারের কারণে এটি ঘটে থাকে।রক্তচাপ কম থাকলে হঠাৎ উঠে দাঁড়ানোর সময় মাথায় সঠিক পরিমাণ রক্ত পৌঁছায় না।এ কারণে মাথা ঘুরে সমস্যাটি হতে পারে।আপনার এই সমস্যা থাকলে নিজের ব্লাড প্রেসার চেক করে নিন।
৩ মাথা ঘোরা কে বিপদের সংকেত হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।এর ফলে শরীরে নানা অংশে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায় যেমন,হার্টবিট বেড়ে যাওয়া রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া আবার অনেকেরই চোখের সমস্যা হতে পারে।এছাড়াও মাথাব্যথা ও বমি বমি ভাবও হতে পারে।বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যাদের মধ্যে হঠাৎ উঠে দাঁড়ানোর পর মাথা ঘুরে সমস্যা আছে ভবিষ্যতে তাদের ডেমেনশিয়াল হতে পারে।
অর্থাৎ ভুলে যাওয়া রোগ।শুধু তাই নয় হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়াও স্নায়ু সমস্য হতে পারে।তাই এসব সমস্যা যদি দেখা দেয় অতি বিলম্বের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।এছাড়াও ভাটিরগো থাকলেও হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরে যেতে পারে।অনেকে ক্ষেত্রে উচ্চতা থেকে ভাটিগো হয়।পাহাড়ে বেড়াতে গেলে অনেকেরই এই সমস্যা দেখা যায়।
এক্ষেত্রেও ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।আবার কোন দুর্ঘটনার ফলে যদি কেউ দীর্ঘক্ষণ অজ্ঞান থাকে। তাহলে এই সময়টার জন্য মাথার স্নায়ুতন্ত্রের স্থায়ী সমস্যা তৈরি হতে পারে।সেই সমস্যা থেকেও এ রোগ দেখা দিতে পারে।এবার জেনে নিন এটা কাদের বেশি হয়।নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ বলেছেন বয়স বাড়ার সাথে মাথার সমস্যা বাড়তেও পারে।
বিশেষ করে ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সের নারীদের ক্ষেত্রে।ক্ষেত্র বিশেষে মাথা ঘোরার ধরনের ভিন্ন হয়ে থাকে।কখনো হঠাৎ করে ঘূর্ণিপাক।আবার কখনো একনাগাড়ে কয়দিন থাকতে পারে মাথা ঘোরার সমস্যা।যাদের এরকম সমস্যা আছে তারা অতি তাড়াতাড়ি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে ওষুধ সেবন করুন।
হঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত
বসা থেকে উঠে আসার সময় যদি কারো মাথা ঘুরে বা ঘুরে পড়ে যায় যা সে সামলাতে না পারায় দ্বিধায় জ্ঞান হারায় তাহলে এই ঘটনা ঘটার মূল কারণ মূলত রক্তচাপের কিছু আকস্মিক পরিবর্তন।এই পরিবর্তনের নাম হচ্ছে পোস্টাল হাইপারশন।সেই সমস্যার সহজ সমাধানের জন্য আমাদের জানতে হবে পোস্টার হাইপারশন আসলে কি।
হঠাৎ করে বসা থেকে উঠে দাঁড়াই তখন আমাদের ব্লাড প্রেসার কিন্তু কমে যেতে পারে।যেমন সিস্টলী বা উপরের ব্লাড প্রেসারটা,সেটা যখন আমরা হঠাৎ করে বসা থেকে উঠে দাঁড়াই সেটা সর্বোচ্চ ২০ মিলিমিটার পর্যন্ত কমে যেতে পারে।আর নিচের ব্লাড প্রেসারটা ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেশার বসা থেকে উঠলে হঠাৎ করে কিন্তু দশ মিলিমিটার অফ মার্কারি পর্যন্ত কমে যেতে পারে।এই যে মাথা ঘুরে এই সমস্যা কিভাবে সমাধান করবেন।
প্রথমেই সর্বপ্রথম যেটা আমাদের জানতে হবে সেটা হচ্ছে,যার মূল কারণের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।১ পানি শূন্যতা। বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা হতে পারে। আবার কি করে আমরা পানি কম খেলে সেক্ষেত্র হতে পারে।আবার আপনার ডায়রি হই যদি সেক্ষেত্র কিন্তু আপনার পানি শূন্যতা হতে পারে।
তাই প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার পর্যন্ত পারি প্রতিদিন পান করবেন।২ রক্তশূন্যতা, অনেক সময় শরীরের রক্তশূন্য থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে।তাই মনে রাখবেন যদি আপনার শরীরে রক্তশূন্যতা থাকে তাহলে কিছু খাবারের মাধ্যমে রক্তশূন্যতা দূর করতে পারেন।যেমন সেটা হতে পারে লাল শাক পালং শাক আবার ডালিম।
এসব খাবার আপনার খাদ্য তালিকা দৈনন্দিন কোন না কোন ভাবে যদি রাখতে পারেন তাহলে আপনার রক্তশূন্যতা দূর হবে।৩ যারা দীর্ঘ সময় ধরে বসে কাজ করেন তারা চেষ্টা করবেন হঠাৎ করে উঠে ঘুরে না দাঁড়াতে।যদি হঠাৎ করে বসা থেকে দাঁড়ান তাহলে আপনাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যাটা বেশি হতে পারে।৪ যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের রক্তে সুগারের ল্যাবের অনেক সময় কমে গিয়ে হঠাৎ করে বসা থেকে উঠতে গিয়ে তার মাথা ঘুরতে পারে।
তখন বসা থেকে উঠছে সেজন্য হয়তোবা মাথা ঘুরছে।কিন্তু আসলে তার মূল হচ্ছে তার ডায়াবেটিস বা রক্তের সুগারের মাত্রা কমে গেছে।৫ কিছু ওষুধ আছে আপনাকে সতর্কতার সাথে খেতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম হলো এন্টিবায়োটি।যদি এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কারণে আপনার মাথা ঘোরায় তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ খাবেন।
মাথা ঘোরা কমানোর উপায়
সারা জীবনে একবারও মাথা ঘুরেনি সেরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় বসা থেকে উঠলে মাথা ঘুরায়।কারো ক্ষেত্রে জার্নি করলে বাসে ট্রেনে কোথাও জার্নি করলে মৌসান সিগনেসের কারণে মাথা ঘুরায় বমি বমি ভাব হয়।আবার কারো কারো ক্ষেত্রে বসা থেকে উঠলে মাথা ঘোরায়।এবং মাথা ঘুরে অনেকে পড়েও যান।
এবং অনেক সময় অনেক রোগের কারণে মাথা ঘুরতে পারে।এই মাথা ঘোরার সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে আপনাদের সাথে কয়েকটি টিপস নিয়ে আলোচনা করব আশা করি সে টিপস ফলো করলেও উপকৃত হবেন।তাহলে চলুন জেনে নি।
১ পানি শূন্যতা দূর করা:আমাদের শরীরে বিভিন্ন কারণে পানি শূন্যতা হতে পারে।সেই পানি শূন্যতাকে বা ডিহাইডেশন কে দূর করতে হবে।আরে শূন্যতার কারণে মাথা ঘুরাতে পারে।পানি শূন্যতা দূর করার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে।একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার পানি খাওয়া জরুরী।
আর যদি অতিরিক্ত পরিমাণ পরিশ্রম করে থাকেন তাহলে প্রতিদিন এক থেকে দুই গ্লাস ফলের জুস খেতে পারেন।পাশাপাশি খেজুর মধু খেতে পারেন।এটা আপনার শরীরের লবণে ঘাটতি থাকলে লবণে ঘাটতি পূরণ করবে।
২ কিছু কিছু কারণে আপনার মাথা ঘুরতে পারে:যদি আপনার শরীরের রক্তস্বল্পতা বা রক্তশূন্যতা থাকে তাহলে আপনার মাথা ঘুরাতে পারে।যদি আপনার শরীরের রক্তশূন্যতা থাকে। তাহলে আপনার উচিত যেগুলো খাবারে আয়রনযুক্ত রয়েছে সেগুলো খাবার খাওয়া
পাশাপাশি আপনার যদি রক্তের চাপ কম থাকে তাহলে মাথা ঘোরাতে পারে। অনেকের ডায়াবেটিস থাকে ডায়াবেটিসের কারণে কিন্তু দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে কিন্তু একজন মানুষের রক্তে যে সুগারের মাত্রা সেটা কমে যেতে পারে।সেটা কমে গেলেও কিন্তু আপনার মাথা ঘুরাতে পারে।
৩ ওষুধ:বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার কারণে মাথা ঘোরাতে পারে।ডাক্তার পরামর্শ দিবেন যদি আপনার মাথা ঘুরে সেক্ষেত্রে সেই ডাক্তারকে অবশ্যই জানাবেন।সেক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক পরিবর্তন করে দিতে পারে।৪ মোশন সিগনেস:অনেকেরই বাচবা টেনে চড়ার সময় বমি ভাব হয় এবং মাথা ঘোরায় মূলত এটাকে বলা হয় মোশন সিগনেস।
অর্থাৎ আপনার এই যে গতির কারণে আপনার ব্রেন বা আপনার ভারসাম্য রক্ষাকারী অঙ্গের মধ্যে একটা অসামঞ্জস্যতা তৈরি হচ্ছে।এটা প্রতিরোধ করার জন্য যারা আগে থেকে এই মৌসুম সিগনেচার সমস্যায় ভুগছেন,তারা বাসে উঠে কিন্তু চেষ্টা করবেন সামনের দিকে সিট নিতে।
এবং আপনি চেষ্টা করবেন পাশাপাশি জানলার বাইরের দিকেও তাকানোর চেষ্টা করবেন কোন ধরনের পেপার পত্রিকা না পারার।সে ক্ষেত্রে যদি আপনার মাথা ঘোরায় তাহলে গাড়িতে ওঠার আধা ঘন্টা আগে বমির ট্যাবলেট খেয়ে নিতে পারেন।৫খাদ্য অভ্যাস:প্রতিদিনে খাদ্য অভ্যাসে তাজাফর মনে রাখুন।যেমন পেয়ারা খেজুর আমলকি কমলা মালটা ইত্যাদ।এছাড়া আরও রাখতে পারেন বাদাম।এগুলো খাবার আপনার মাথা ঘোরা দূর করতে অনেক সাহায্য করবে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক,আপনাদের সাথে মাথা ঘোরার বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। আশা করি আজকের বিষয়টা যদি মেনে চলেন তাহলে মাথা ঘোরা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এবং আজকের এই আর্টিকেলে আপনার যদি কোন তথ্য ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন।
আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তীতে আবার নতুন কোনো আর্টিকেল নিয়ে হাজির আপনাদের সামনে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url