গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আপনারা তার ড্রাগন ফল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করতেছেন কিন্তু জানতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। আমি আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা। এই ফলগুলো খেলে গর্ভবতী মায়েদের জন্য কি কি ক্ষতি হতে পারে এ সম্পর্কে।
এবং আজকের এই আর্টিকেলে আরো যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে, সে বিষয়গুলো হলো ড্রাগন ফলের উপকারিতা কি কি, এই ফল খেলে কি রক্ত হয, এবং গর্ব অবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত। হ্যালো ভিউয়ার্স এ বিষয়গুলো নিয়ে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। যদি ধৈর্য সহকারে পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে উপকৃত হবন।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করব গর্ভবতী মায়েদের জন্য ড্রাগন ফল কতটা উপকারী। এবং ড্রাগন ফলের পাশাপাশি অন্য কোন ফল খেলে গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারে আসবে। এবং গর্ভবতী মায়েদের জন্য কোন কোন কোন ফল খেলে গর্ভের বাচ্চার এবং বাচ্চার মায়ের সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা করব।
ড্রাগন ফলে আছে এই ভিটামিন সি জা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তশূন্যতা দূর করতেও খুবই কার্যকরী।ড্রাগন ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের কোষের ক্ষতি থেকে হওয়া রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। অতিরিক্ত ডাগন ফল খাওয়ার সর্তকতা হল যদি কেউ ড্রাগন ফল বেশি খেয়ে ফেলে তাহলে তার শরীরে এলার্জি হতে পারে।
বদ হজম হতে পারে,এছাড়াও ডায়রিয়া ও হতে পারে।তাই পরিমানের থেকে অধিক কোন কিছুই খাওয়া ভালো না।।আর যে সকল ফল খেলে গর্ভবতী মায়েদের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে না এবং গর্ভের বাচ্চারও কোন ক্ষতি হয় না সে সকল ফল সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।
- ড্রাগন ফল খেলে কি রক্ত হয়
- গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না
- গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের অপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে
ড্রাগন ফল খেলে কি রক্ত হয়
গণচিনের মানুষেরা,ড্রাগন ফলকে ড্রাগন মুক্তার বা আগুন ড্রাগন ফল নামে অভিহিত করেন।ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ডে ড্রাগন স্পোর্টিং নামে পরিচিত।এই ফলটি একাধিক রঙের হয়ে থাকে।তবে লাল রঙের ড্রাগন টা বেশি দেখা যায়।বিদেশে এ ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রচুর।বর্তমানে বাংলাদেশেও ড্রাগন ফল চাষ হচ্ছে।
ড্রাগন ফলে আছে এই ভিটামিন সি জা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তশূন্যতা দূর করতেও খুবই কার্যকরী।ড্রাগন ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের কোষের ক্ষতি থেকে হওয়া রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। গবেষণা দেখা গেছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার হৃদরোগ ক্যান্সার ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করতে সহায়ক।
ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার,এ ফলটি পিচ্ছিল হওয়ার কারণে হজম তাড়াতাড়ি হয়।ড্রাগন ফলের মধ্যে প্রিবায়োটিক থাকার কারণে দেহের পচনতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে।ও ডাইরিয়া সংক্রান্ত ঝুঁকি কমায়।এই ফলে থাকা ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিনয়েড গুলো শরীরের ইউনিয়নের সিস্টেমকে বাড়িয়ে তুলে ও রক্তকণিকাগুলোকে সংক্রমণ প্রতিরোধে সহোতা করে।
শুধু তাই নয় এই ফলে থাকা ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিনয়েড গুলো শরীরের ইউনিয়ন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তুলে ও রক্তকণিকা গুলোকে সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।অন্যদিকে শরীরে আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকরী ফলটি হলো ড্রাগন ফল।আয়রন শরীরের অক্সিজেন পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এক কাপ পরিমাণ ড্রাগন ফলে ১৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যা দেহের প্রতিটি কোষে উপস্থিত থেকে শরীরের ৬০০টিরও বেশি রাসায়নিক বিক্রিয়া যেমন বেশি সংকোচন, হাড়ের গঠনে এবং ডিএনএ তৈরি প্রয়োজনে বিক্রিয়া গুলোতে অংশ নেই।একা কাপ পরিমাণ ড্রাগন ফল সকল খাদ্য গুণের উৎস।এর মধ্যকার উচ্চ ফাইবার দেহের দৈনিক চাহিদা পুরানেও ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না
গরমের শিশুটি সুস্থ থাকুক আমরা সবাই চাই।কিন্তু গর্ভবতীর কিছু ভুল কাজ বা অজ্ঞতার কারণে শিশুর ওপর দুর্ঘটনা ঘটে যায়।এরকম তিনটি ফল সম্পর্কে জানাবো আজকের এই আর্টিকেলে।এই ফল তিনটি গর্ভবতী খেলে গর্ভের শিশুর ক্ষেত্রে বিপদও ঘটতে পারে।তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে পারবেন।
(১)আনারস
এই ফলটি গর্ভবতী ও তার শিশুর জন্য মারাত্মক লেভেলের বিপদজনক।গর্ভবতী আনারস খেলে তার জরায়ু ক্রমশ সংকুচিত হতে থাকে।অর্থাৎ জরায়ু ক্রমশ চাপতে থাকে।যদি আপনি গর্ববস্থায় প্রথম দিকে এটি খান,তাহলে গর্ভপাত ঘটে যেতে পারে।আর শেষের দিকে খেলে জরায়ুর চাপে অকালে শিশুর প্রসব হতে পারে এবং শিশুটি মারাও যেতে পারে।
(২)পেঁপে
এই ফলটি সবজি ও ফল দুই অবস্থায় খাওয়া যেতে পারে।তবে গর্ভবতির জন্য নয়।এতে থাকা ল্যাটেক্স নামক উপাদান যা গর্ভবতীর জরায়ুর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে।এবং শিশুটির উপর প্রভাব ফেলে।যার ফল হতে পারে,গর্ভপাত বা শিশুর মৃত্যু।অনেকে বলে পাকা পেঁপে বা পেঁপে রান্না করে খাওয়া যেতে পারে।কিন্তু আমার পরামর্শ যতদিন আপনি গর্ভবতী ততদিন পেঁপে খাওয়া থেকে বিরত থাকেন।
(৩)আঙ্গুর
আঙ্গুর খাওয়া ভালো না খারাপ এ নিয়ে অনেক মানুষ অনেক কথা বলে।কেউ বলে গর্ভবতী খেলে সমস্যা নেই। কেউ বলে গর্ভবতীর জন্য বিপদজনক।কিন্তু আমার পরামর্শ এটি না খাওয়াই উত্তম।অযথা রিক্স নেওয়ার দরকার কি।আর গর্ভাবস্থায়ী নয় মাস আঙ্গুর না খেলে তেমন কোন ক্ষতি হচ্ছে না।কেননা এতে থাকা যৌগিক উপাদান গর্ভবতীর জন্য বিষাক্ত হতে পারে।
এছাড়া কালো আঙ্গুর খাওয়া উচিত নয়।
আশা করি গর্ভবতী হিসেবে আপনি সতর্ক থাকবেন।আর আপনি গর্ভবতী না হলেও এই তথ্যটি আপনার আশেপাশে আত্মীয় স্বজনকে জানাবেন যাতে করে তারাও সতর্ক থাকতে পারে। আজ এই পর্যন্তই ভালো থাকুন।আশা করি এই ফল তিনটি গর্ভবতী অবস্থায় কোন মা বোনকে খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের অপকারিতা
অতিরিক্ত ডাগন ফল খাওয়ার সর্তকতা হল যদি কেউ ড্রাগন ফল বেশি খেয়ে ফেলে তাহলে তার শরীরে এলার্জি হতে পারে।বদ হজম হতে পারে,এছাড়াও ডায়রিয়া ও হতে পারে।তাই পরিমানের থেকে অধিক কোন কিছুই খাওয়া ভালো না।যেকোনো ভেষজ উদ্ভিদ ফল তার কিছু সাইডইফেক্ট থাকে।তাই আমাদের পরিবেশে ড্রাগন ফলটি খুব কমই ব্যবহার করা হয়।
তাই ড্রাগন ফল অল্প পরিমাণে খাওয়াটাই ভালো।তাই আমরা যে প্রতিনিয়ত ফল খেয়ে থাকি সেগুলো ফলের মত ড্রাগন ফলকেও খাওয়ার অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।যদি কেউ ড্রাগন ফল ফল খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ করে নিবেন।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিত
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
অনেক মা আছেন গর্ব অবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না।প্রকৃতপক্ষে যে ফলটি কোথাও পাওয়া যায় যা আপনার চাহিদা ও গর্ভের ভ্রণের জন্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ।ড্রাগন ফল পুষ্টির একটি ভালো উৎসব।যা গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি হাইড্রো কমিক্যালস প্রোটিন এবং পটাশিয়াম রয়েছে।
ড্রাগন ফলের ভেতরে থাকা ভিটামিন বি ওয়ান মনের বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী।প্রোটিন শোষণকে উদ্বিপ্ত করে এবং কার্বোহাইড্রেট পোড়াতে এবং শক্তি তৈরিতে সাহায্য করে।গর্ভাবস্থায়ী মহিলারা প্রায় কোষ্ঠকাঠিন্য মত প্রাচনতন্ত্রের অভিযোগ করেন।এ সমস্যাটা রাস করতে সর্বদা ফাইবার সমৃদ্ধ ফল খাওয়া জরুরী।যার মধ্যে একটি হলো ড্রাগন ফল।
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে।যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খাওয়ার উপযুক্ত।ড্রাগন ফলের একটি অংশে ০.৩ থেকে ০. ৯ গ্রাম ফাইবার আছে বলে ধারণা করা হয়।ড্রাগন ফলের সামগ্রী যা কার্বোহাইড্রেট উৎসগুলোতে সমৃদ্ধ।মাতৃ স্বাস্থ্য এবং শিশুর বৃদ্ধিকে সমর্থন করার জন্য প্রাকৃতিক শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।গর্ভাবস্থায় কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই বাড়বে।
যেখানে সাধারণত আপনি একই কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করেন।গর্ভাবস্থায় কেবলমাত্র শক্তির উৎস হিসাবে ফেড প্রয়োজন হয় না।আপনার পেটে বাচ্চার মস্তিষ্ক বৃদ্ধি সমৃদ্ধের জন্য ফ্যাটের প্রয়োজন।ড্রাগন ফলের একটি পরিবেশনে ০.১ থেকে ০.৬ গ্রাম ফ্যড থাকে।চিন্তা করবেন না ওদেরই তো ড্রাগন ফল গ্রহণ আপনাকে মোটা করে তুলবে না।ড্রাগন ফলে থাকা চর্বি সমৃদ্ধ ফ্যাট গুলোর উৎস নয়।তাই গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়ানোর পক্ষে মা এবং শিশুর এটি নিরাপদ।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে
প্রিয় পাঠক আপনাদের সাথে এখন আলোচনা করব গর্ভবতী মায়েদের জন্য যে সকল ফল খাওয়া উচিত।আর যে সকল ফল খেলে গর্ভবতী মায়েদের জন্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে না এবং গর্ভের বাচ্চারও কোন ক্ষতি হয় না সে সকল ফল সম্পর্কে।আপনি গর্ভবতী হওয়ার সাথে সাথে আপনাকে আরো বেশি খেতে বলা হবে।আপনাকে বলা হবে আপনি দুজনার জন্য খান।
এই কথাগুলো বুঝতে অনেক সময় হবু মায়েদের জন্য সমস্যা হয়।গর্ভবতী হওয়ার অর্থ এই নয় যে আপনাকে অতিরিক্ত খেতে হবে।এবং এ সময় আপনার এবং আপনার বাড়ন্ত শিশুর জন্য একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।আপনার খাদ্য তালিকায় সবজি এবং ফল ছাড়া প্রায় অসম্পূর্ণ।
আপনি যদি পরিমাণ মত সবজি এবং ফল না খান তাহলে আপনার শরীর আপনার অনাগত শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণ করতে সক্ষম হবে না।তাই আমি আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী কিছু ফল সম্পর্কে।চলুন জেনে নেওয়া যাক ফলগুলো সম্পর্কে।
(১)কমলালেবু
কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে।যা উচ্চ রক্তচাপ রাস সাহায্য করে।এটি মা এবং সন্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
(২)কলা
ফলের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কলা।কলাতে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।এটি আপনার শিশুর বিভিন্ন স্নায়্গত ত্রুটি থেকে রক্ষা করবে।পাশাপাশি আপনার শরীরে হরমোনের ভারসাম্যতা বজায় রাখবে।এছাড়া গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে মর্নিং সিকনেস এবং বমি বমি ভাবের প্রবণতা দেখা যায়।কলা এই অসস্তিদয় কর পরিবেশ থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে।
(৩) পেয়ারা
পুষ্টি উপাদানের ভর পর পেয়ারা।এ সময় খাদ্য তালিকায অবশ্যই পেয়ার রাখতে হবে।এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি,ক্যারোডিনেস রয়েছে।এটি আপনার প্রয়োজন প্রক্রিয়াকে সাহায্য করবে।এবং আপনার শিশুর স্নায়ুকে আরো শক্তিশালী করে তুলবে।
(৪)আম
আমি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে।যা আপনার হজম প্রক্রিয়াকে সাহায্য করবে।এছাড়া এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।যেহেতু সারা বছর আম পাওয়া যায় না,তাই যে মৌসুমে আম পাওয়া যায় সে মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণ আম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
(৫)স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ফাইবার এবং ফলেট রয়েছে।এছাড়া এতে ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়াম রয়েছে।যা আপনার শিশুর হাড় গুলোকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
(৬)তরমুজ
তরমুজ এ প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ,সি,ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম থাকে।এছাড়া খনিযে ভরপুর এ ফলটি বিভিন্নভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।এটি আপনার গ্যাসের সমস্যা কমাতে এবং হাত পাও ফোলা কমাতে সাহায্য করবে।যেহেতু গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে খিচুনি।আর এই তরমুজ খিচুনি ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
(৭)আপেল
আপেল গর্ভস্থ মা-বোনদের জন্য একটি আদর্শ খাবার।তাই অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় আপেল রাখতে হবে।এটি আপনার শরীরে হরমোনের ভারসাম্যতা রক্ষা করবে।পাশাপাশি আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠায় বিশেষভাবে সাহায্য করবে।বিভিন্ন উপকারে ভরপুর এই আপেল।হাঁপানি এবং এজমার ঝুঁকি গ্রাস করতে সাহায্য করে।
(৮)আতা
আদাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে।যা বাড়ন্ত শিশুর জন্য চোখ চুল এবং ত্বকের এবং শরীরে বিভিন্ন টিস্যুর জন্য প্রয়োজনীয়।যেহেতু এই ফলটা সারা বছর পাওয়া যায় না,তাই যে সময় এই ফলটা পাওয়া যায় সে সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ খেতে হবে।
(৯)ডালিম
ডালিমে পথের পরিমাণ ক্যালসিয়াম,ফলের,লৌহ,প্রোটিন এবং ভিটামিন সি রয়েছে।যা গর্ভাবস্থায় মায়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এবং সর্বশেষে যে ফলটির কথা বলব সেই ফলটি হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।
(১০)ড্রাগন
ড্রাগন ফলে আছে এই ভিটামিন সি জা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তশূন্যতা দূর করতেও খুবই কার্যকরী।ড্রাগন ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের কোষের ক্ষতি থেকে হওয়া রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে।গবেষণা দেখা গেছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার হৃদরোগ ক্যান্সার ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করতে সহায়ক।
ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার,এ ফলটি পিচ্ছিল হওয়ার কারণে হজম তাড়াতাড়ি হয়।ড্রাগনফলের মধ্যে প্রিবায়োটিক থাকার কারণে দেহের পচনতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে।ও ডাইরিয়া সংক্রান্ত ঝুঁকি কমায়।এই ফলে থাকা ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিনয়েড গুলো শরীরের ইউনিয়নের সিস্টেমকে বাড়িয়ে তুলে ও রক্তকণিকাগুলোকে সংক্রমণ প্রতিরোধে সহোতা করে।
শুধু তাই নয় এই ফলে থাকা ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিনয়েড গুলো শরীরের ইউনিয়ন সিস্টেমকে বাড়িয়ে তুলে ও রক্তকণিকা গুলোকে সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের সাথে ড্রাগন ফল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানানোর চেষ্টা করলাম। এবং গর্ভবতী মায়েদের জন্য ড্রাগন ফল কতটা উপকারী, এবং কোন কোন ফল গর্ভাবস্থায় খেলে গর্ভের বাচ্চার সমস্যায় এবং মায়ের সমস্যা হতে পারে। এবং গর্ভবতী মায়েদের জন্য কি কি ফল খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই উপকৃত হবন। এর এই আর্টিকেল থেকে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন। যাতে করে আপনার পরিচিত লোক জন উপকৃত হতে পারে ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url