গাড়িতে চড়লে বমি হয় কেন
প্রিয় পাঠক আপনারা জারা জার্নি করতে ভয় করেন, এবং যে কোন গাড়িতে উঠলে বমির সমস্যা হয়ে থাকে কী করলে বমি হবে না,গাডিতে বমি না করার ওষুধ সম্পর্কে খোঁজাখুঁজি করতেছেন খুজে পাচ্ছেন না। আজকে আর্টিকেল তাদের জন্য।
আজকের আর্টিকেলে আরো যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে গাড়িতে চললে বমি হয় কেনো। আপনারা যারা এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকে আর্টিকেলটা পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। যদি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়েন আশা করি উপকৃত হবেন
ভূমিকা
বন্ধুরা আমাদের মাঝে এমন অনেক লোক আছে যারা গাড়িতে চললেন বা গাড়িতে উঠলে তাদের অটোমেটিক বমি আসে।যাদের এই সমস্যাটি রয়েছে শুধুমাত্র তারাই জানে এটা কত বড় একটি সমস্যা।গাড়িতে বমি আসার সমস্যাটি যেমন কষ্টদায়ক তেমনি বিরক্তিকর।গাড়িতে উঠলে মাথা ঘুরানো বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এই সমস্যাটিকে মোশান সিকনেস বলে।
চলন্ত গাড়িতে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া আসলে মারাত্মক বিরক্ত কর।এ থেকে মুক্তির কত রকম চেষ্টাই না করে থাকি আমরা।মানুষ সাধারণত কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে না।বরং মানুষের পেটে অপাচ্য এবং সংক্রামক কিছু পড়লে মানুষ বমি করতে সক্ষম হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় বমি না আসলেও এই বমি ভাব থেকে যায় আর তা অস্বস্তিকর।আর বমি করা বেশিরভাগই সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
- গাড়িতে বমি না করার ঔষধ
- বাসে বমি বন্ধ করার উপায়
- ৬ টি খাবার দূর হবে বমি বমি ভাব জেনে নিন
- গাড়িতে চড়লে বমি হয় কেন
- বমি বমি ভাব ও খাবার অরুচির কারণ
গাড়িতে বমি না করার ঔষধ
বন্ধুরা আমাদের মাঝে এমন অনেক লোক আছে যারা গাড়িতে চললেন বা গাড়িতে উঠলে তাদের অটোমেটিক বমি আসে।যাদের এই সমস্যাটি রয়েছে শুধুমাত্র তারাই জানে এটা কত বড় একটি সমস্যা।গাড়িতে বমি আসার সমস্যাটি যেমন কষ্টদায়ক তেমনি বিরক্তিকর।গাড়িতে উঠলে মাথা ঘুরানো বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এই সমস্যাটিকে মোশান সিকনেস বলে।
যানবাহন চলতে শুরু করলে অন্তকরণের তরল পড়তো নড়াচড়া শুরু করে এই অন্তকর্ন চলার সংকেত পাঠায় মস্তিষ্ককে।বাট গাড়ির চলন্ত অবস্থায় আপনার মধ্যে থাকে তখন আপনার চোখে বলবে আপনি স্থির আছেন। এমন অবস্থায় চোখ মস্তিষ্ক ও অন্তকরণের সংকেতের মধ্যে অসমদস্যতা তৈরি হয়।শুরু হয়ে যায় মোশন সিকনেস।
বন্ধুরা গাড়িতে উঠলে মাথা ঘুরানো বমি ভাব বা বমি থেকে মুক্তি পেতে আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে বেশ কিছু টিপস শেয়ার করব।আশা করি এগুলো আপনাদের খুব উপকারে আসবে।তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক।আপনারা যাত্রা পথে বমি থেকে মুক্তি পেতে গাড়ির সামনের দিকে বসার চেষ্টা করবেন।পেছনে বসলে গাড়ির গতি বেশি মনে হবে এবং আপনার বমির মাত্রা বাড়িয়ে দেবে।
আরো পরুনঃহঠাৎ মাথা ঘুরলে কি করা উচিত
গাড়িতে জানালার পাশে সিড নিয়ার চেষ্টা করবেন।জানালা খোলা রাখবেন বাইরের বাতাস ভিতরে আসতে দিবেন।এবং জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে থাকবেন।গাড়ির ভিতরের দিকে বেশি তাকাবেন না। গাড়িতে উঠলে বমি হবে এমনটা চিন্তা করবেন না।নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করবেন।আপনারা বমির কথা বলতে মোবাইলে কোরআন তেলাওয়াত গজল বা গান শুনতে পারেন।
মাথা ঘুরানো বাদ হলে হালকাভাবে চোখ বন্ধ করে রাখতে পারেন।গাড়িতে চলার আগে মনে রাখবেন কখনোই পেট ভরে ভারী খাবার খাবেন না।এসিডিটি হয় কোন খাবার খাওয়া যাবেনা।গাড়িতে বসে বই বা পত্রিকা পড়বেন না এতে করে বমি হওয়ার আশঙ্কা বেশি হয়।বন্ধুরা আদা, বমি রোধের জন্য বেশ উপকারী।তাই এ সময়েই আদা চিবাতে পারেন।দারচিনি খাবার হজম করতে বেশ উপকারে আসে।
টক জাতীয় ফল খেলে বমি ভাব দূর হয় তাই যাত্রা পথে কমলা মালটা আমরা এসব জাতীয় ফল খেতে পারেন।আপনাদের যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে তারা অবশ্যই জার্নি করার আগে গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে নিবেন।বন্ধুরা এসব লক্ষ্য রাখবেন এসব লক্ষ্য রাখলে আপনারা যাননি পথে অনেক উপকৃত হবেন।
বাসে বমি বন্ধ করার উপায়
চলন্ত গাড়িতে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া আসলে মারাত্মক বিরক্ত কর। এ থেকে মুক্তির কত রকম চেষ্টাই না করে থাকি আমরা।কিছু উপায়ে আমরা অবশ্যই এ থেকে মুক্তি পেতে পারি।চলুন সে বিষয়গুলো জেনে নি কি সেই উপায়।
১। সাথে ছোট্ট এক প্যাকেট লবণ রাখতে পারেন।যখনই মনে হবে বমি আসতে পারে একটু লবণ মুখে দিন ব্যস কেল্লাফতে।
২। লেবু পাতার ঘ্রাণ এ ক্ষেত্রে ম্যাজিকের মত কাজ করতে পারে।তাই যাদের বমি ভাব হই ভ্রমনে লেবু পাতা রাখতে বলবেন না।
৩। গাড়িতে উঠে লম্বা ঘুম যেতে পারেন।এক্ষেত্রে পাবলিক বাস হলে অবশ্যই নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
৪। জার্নির দুই ঘন্টা আগে কিছুই খাবেন না।পথেও কিছু খাবেন না ১০০% পরীক্ষিত আপনার মনে হবে না।
এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে আপনার বমি ট্যাবলেট খেয়ে গাড়িতে ওঠা উচিত।
৬ টি খাবার দূর হবে বমি বমি ভাব জেনে নিন
যে ছয়টি খাবারের বমি বমি ভাব দূর হয় তা জেনে নিন আজকের এই আর্টিকেলে।মানুষ সাধারণত কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে না।বরং মানুষের পেটে অপাচ্য এবং সংক্রামক কিছু পড়লে মানুষ বমি করতে সক্ষম হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় বমি না আসলেও এই বমি ভাব থেকে যায় আর তা অস্বস্তিকর।আর বমি করা বেশিরভাগই সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না।চলুন জেনে কি সেই ছয়টি খাবার।
১ লেবু ও মধুর পানিঃ
ঠান্ডা পানিতে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খান।আরাম পাবেন।লেবুতে বেশ কিছু ভিটামিন আর খনিজ উৎস,যা বমি কমাতে সাহায্য করে।
২ আদাঃ
আদা কুচিয়ে পানিতে মিশিয়ে নিন আর সঙ্গে মধু বমি ভাব লাগলে পান করুন।উপকার পাবেন।
৩ লবণ এবং চীনির পানিঃ
বমি হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের লবণের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাছাড়া পানিরও অভাব দেখা দেয়। তাই লবণ ও চিনের পানি খেলে সব সমস্যায় মিটবে।
৪ লবঙ্গঃ
লবঙ্গ কিন্তু নিমিষে এই বমি কমিয়ে দেয়। বমি পেলে গালে একটা লবঙ্গ পুড়ে রাখুন।
৫ কমলালেবুঃ
কমলালেবু লেবুর মতো কমলা লেবু ও উপকারী। কমলার রসও খেতে পারবেন।
৬ মৌরিঃ
খাওয়ার পর একটু মৌরি খাবেন।বমি ভাব দূর হবে মুখের ভেতরেও তরতাজা থাকবে।
গাড়িতে চড়লে বমি হয় কেন
প্রতিদিন জীবনে আমাদের কত কিছুই না করতে হয়। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নাই। বাস্তবিক জীবনে এর সব প্রয়োজনে আমাকে প্রায় সময় গাড়িতে যাতায়াত করতে হয়।এসব যাতায়াত বা ভ্রমণ কখনো অল্প পথের ও সময়ের আবার কখন হয় দীর্ঘ।আরে এই দীর্ঘ পথ ভ্রমণে কিছু মানুষ ভয় পায়।
কেননা তাদের গাড়িতে ভ্রমণ বা যাতায়াত করলে বমি হয় বা বমি বমি ভাব হয়।এ ভয়ে অনেকে অনেক দূরের পথ ভ্রমণ করতে চায় না।এ সম্পর্কে আমার এই আর্টিকেলে তাদের কাজে লাগবে বলে আমি আশাবাদী। গাড়ি চলার সময় আমাদের অন্তঃকর্ণ গতি অনুভব করে।কিন্তু আমাদের চোখ সেই অনুভব করে না।যেমন বাসের চেয়ার লোকজন সব স্থির থাকে।
তখন আমাদের মস্তিষ্ক ধরে নেয় হয় চোখ অথবা কান ভুল দেখতেছে বা ভুল শুনতেছে। অন্য কথায় হেলোসিনেশন। তার মনে শরীরের স্নায়ু বিক্রিয়া হয়েছে। অতএব প্রতিক্রিয়া স্বরূপ বমি হয়।যদিও বমি করলেও এটা স্নায়ুর এম ব্যালেন্স ঠিক হয় না।অতএব বমি এবং বমি বমি ভাব চলতে থাকে।৩৩% ভাগ মানুষের মোটামুটি মুভমেন্ট মোশান সিগনেচ হয়।
মুভমেন্ট তীব্র হলে আরও ৩৩ শতাংশ ভাগ লোকের মশান সিগনেস হয়। বাকি ৩৩% লোকের মশান সিগনেস হয় না। এটার সমাধান
১। এমন জায়গায় বসা ও উচিত যেখান থেকে বাইরে চারপাশ দেখা যায়।
২। ভ্রমণের সময় ধূমপান করবেন না।আদা বা লেবু চা খেতে পারেন। আদা মৌরি ও লবঙ্গ চিবাতে পারেন।
৩। চলন্ত অবস্থায় বই বা পেপার পড়ে চোখের সামনে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি না করাই ভালো।
৪। গাড়িতে খালি পেটে উঠবেন না। হালকা সিদ্ধ কিছু খেতে পারেন সঙ্গে পরিমিত পানি।
৫। চুইংগাম অথবা বিট নুন সহযোগ আদা মুখে রাখতে পারেন। বমি বমি ভাব এতে কেটে যাবে।অথবা রাখুন বেড নোট এর পাতি লেবু।
৬। চলন্ত অবস্থায় বই পড়া মোবাইলে গেম খেলা বা নেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এর ফলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
৭। অতিরিক্ত খাবার বা গুরুপাক খাবার খাবেন না। যাত্রা পথে বাইরের খাবার অথবা বরাবর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
বমি বমি ভাব ও খাবার অরুচির কারণ
ক্ষুধামন্দা খেতে ইচ্ছা না করা মুখে কিছু ভালো না লাগা বা খাবার অরুচি।এই ধরনের সমস্যা অনেকেরই হয়। কখনো সাময়িক হয়তো দুই চার দিনের জন্য বা বদহজমের কারণে।কখন আবার দীর্ঘ মেয়াদে থাকে। নানা কারণে খাবারের অরশি হতে পারে।এই অরুচি যদি কোন রোগের লক্ষণ নয় তো মোটেও হালকা ভাবে নেবেন না।কেননা তা জোটিল আকার ধারণ করতে পারে।
জেনে নিতে হবে খোধামন্দা বা খাবারে অরুচি এর মূল কারণগুলো কি।যদি আপনার মধ্যে এমন কোন উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দেয় তবে অবশ্যই আপনি কোন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।খাবারে অরুচি বা ক্ষুধা মন্দতা বেশ কিছু কারণে হতে পারে।চলুন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১গ্যাস্ট্রিকঃ
তলপেটে ব্যথা বা খাবারের অরুচি সেই সঙ্গে খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কমে যাচ্ছে এমনটা হলে বুঝতে হবে আপনার অন্তর বা পরিপাকতন্ত্রের কোন সমস্যা হয়েছে।
২ লিভারের সমস্যাঃ
হঠাৎ খোদা কমে যাওয়া মুখে কোন খাবারের রুচি নেই।সে সঙ্গে ক্লান্তি বা অত্যন্ত দুর্বল ভাব মাথা ঘোরা পেটে ব্যথা কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার সমস্যা এ ধরনের লক্ষণ দেখা গেলে বুঝতে হবে আপনি হয়তো কোন লিভার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।কারণ লিভার ফাংশন ভালোমতো কাজ না করলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।
৩ কিডনিতে পাথরঃ
তীব্র ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি পিত্তে পাথর হওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে বমি ভাব ও বমি হওয়া একটা সাধারণ লক্ষণ।সে সঙ্গে থাকবে মুখে অরুচি ভাব এবং খাবারে অনীহা।
৪ ফাংগাল ইনফেকশনঃ
ফাংগাল ইনফেকশন হলে খোধা কমে যেতে পারে যেমন মুখে কোন সংক্রমণ হলে বা মুখে ঘা হলে খাবারের স্বাদ পাওয়া যায় না।
৫ ভিটামিনের অভাবঃ
শরীরে আয়রন ও ভিটামিন বি টুয়েলভ এর মাত্রা স্বাভাবিকের হ্রাস পেলে ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়।তাই হঠাৎ কথা কমে যায় এবং খাবার প্রতি অরুচি চলে আসে।
৬ রক্তাল্পতাঃ
বেশ কিছু রোগের কারণে বা দীর্ঘদিন ধরে রক্তে হিমগ্রবিনের কমে যায় সে ক্ষেত্রে শরীরের দুর্বলতার পাশাপাশি খাবারে অরুচি এবং ক্ষোধা মন্দ তা দেখা দেয়। হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা, পুরুষের ক্ষেত্রে ১৪ থেকে ১৭ গ্রাম ডেসিলিটার।মহিলার ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৫ গ্রাম ডেসিলিটার।এই স্বাভাবিক মাত্রা থেকে হিমোগ্লোবিন নিচে নেমে গেলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।৭ ঔষধ:কিছু ওষুধের কারণে ক্ষুধামন্দ তা হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
আপনার জীবনকে সুস্থ সুন্দর ও আনন্দময় করে তুলতে আমাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য টিপ পেতে ও পরামর্শ পেতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।এবং আজকের এই স্বাস্থ্য টিপস থেকে উপকৃত হলে অবশ্যই আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url