ব্যাডমিন্টন খেলার উৎপত্তি কোন দেশে
প্রিয় পাঠক,আপনারা যারা ব্যাডমিন্টন খেলার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য খোঁজাখুঁজি করতেছেন কিন্তু পাচ্ছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।আজকে রাতে গেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করব ব্যাডমিন্টন খেলার কোটের মাপ সম্পর্কে।
এবং আজকের আর্টিকেলে আরো যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে সে বিষয়গুলো হল,ব্যাডমিন্টনের খেলার উৎপত্তি কোন দেশ থেকে।ব্যাডমিন্টন খেলার বিষয়গুলো নিয়ে যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পুরোটাই আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
খেলাধুলা পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টের।তারপর সেই খেলা যদি হয় ব্যাডমিন্টন তাহলে তো কোন কথাই নেই।হ্যাঁ বন্ধুরা আজকে আমি ব্যাডমেন্টের খেলা সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরব। শীতের শুরুতেই ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে আসে অন্যরকম এক আমেজ।গ্রামগঞ্জ শহরতলীর তরুণেরা গা গরমের জন্য ব্যাডমিন্টন খেলায় হৈমুরে মেতে ওঠে।
খেলাধুলা হিসেবে ব্যাডমিন্টন তুলনা মূলক ভাবে খুব সহজ।এটি খেলতে ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি এবং বিস্তৃত পরিসরের জায়গার প্রয়োজন হয় না। এবং পাশাপাশি এই খেলাতে রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা।ব্যাডমিন্টন পৃথিবীতে জনপ্রিতি থেকে তৃতীয় অবস্থান করে।
- ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্টের মাপ
- ব্যাডমিন্টন খেলার ইতিহাস
- ব্যাডমিন্টন খেলার উপকারিতা
- ব্যাডমিন্টন খেলার উৎপত্তি কোন দেশে
- ব্যাডমিন্টন কোন দেশের জাতীয় খেলা
ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্টের মাপ
এখন আপনাদের সথে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। সে বিষয়টি হলো ব্যাডমিন্ট খেলার কোর্টের মাপ সম্পর্কে।দৈর্ঘ্য ৪৪ ফুট,প্রস্থ ২০ ফুট।ব্যাক বাউন্ডারি লাইন,২০ ফুট প্রস্থ থেকে ২ ফুট ৬ ইঞ্চি ব্যাক বাউন্ডার লাইন থেকে ভিতরে দুইপাশ থেকে ।সিঙ্গেল কোটের জন্য।৪৪ ফুট দৈর্ঘ্য থেকে ১ ফুট ৬ ইঞ্চি করে ভেতরে দুই পাশ থেকে।
এখন ওই অংশ টুকু সমান তিন ভাগে ভাগ করুন।সমান তিন ভাগে ভাগ করার পরে প্রত্যেকটি কোর্টের দৈর্ঘ্য হব ১৩ ফুট করে।এখন প্রস্থকে সমান দুই ভাগে ভাগ করুন।এখন প্রত্যেকটি ঘরে প্রস্থ হবে ৮ ফুট ৬ ইঞ্চি করে।মাঝখানের অংশটি হবে ১৭ ফুট।এই অংশকে কে সমান দুই ভাগে ভাগ করুন।৬ ফুট৬ ইঞ্চি করে হবে।নেটের উচ্চতা ৫ ফুড ১ ইঞ্চি।
ব্যাডমিন্টন খেলার ইতিহাস
ব্যাডমিন্টন পৃথিবীতে জনপ্রিতি থেকে তৃতীয় অবস্থান করে।ব্যাডমিন্টনের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাই তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই ইংল্যান্ড ভারতবর্ষ চায়নার ইতিহাসে বইয়ের পাতায় যেতে হবে।তাহলে এর আসল ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবো। আজ থেকে ২০০০ বছর আগে।ব্যাটেলড এন্ড শ্যাডেল কর্ক নামে একটি খেলা শুরু হয়।
১৮০০ সালে এই এশিয়া দেশগুলোতে খেলাটি স্পোর্টস হিসেবে খেলা শুরু হয়।১৮৬০ সালে ভারত পুনেতে অবস্থিত কিছু বিদেশ অফিসাররা এই স্পোর্টস টিকে আরো ইন্টারেস্টিং করার জন্য পিলারকে দুটি ভাগে ভাগ করেন।এই স্পোর্টস টিকে প্রথমবার নেট দিয়ে পার্টির সোনাল ব্যবস্থা করে দেন।আমরা যারা ব্যাডমিন্টনের কথা জানি তা চালু হয় এই দিন থেকেই।
তারপর ১৮৬৭ সালে এই গেমটির নাম রাখা হয় পুনে গেমস।কিন্তু এই গেমসটিতে ভারতের পুনেতে অবস্থিত ব্রিটিশ প্লেয়ারেরা যেহেতু নতুন করে খেলার রুলস তৈরি করেন এ কারণে সারাটির নাম দেওয়া হয়েছিল পুনে গেমস। এরপর যখন ব্রিটিশ অফিসাররা যখন ইউরোপে যায় তখন তারা এই পুনে গেমস নিয়ে যাই।তারপরে যখন ইংল্যান্ডে একটি রাজমহলে পার্টি হচ্ছিল।
সেখানে সেই গেমসটি পুনের রুলস অনুযায়ী খেলা হয়। তখন তারা গেমসটির নাম পরিবর্তন করে ব্যাডমিন্টন রাখা হয়।১৮৭৭ সালে ব্যাডমিন্টন টিকিট উইন্টার করার জন্য ব্যাডমিন্টন ক্লাব তৈরি করা হয়।আর এরপরে ১৮৯৯ সালের অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হই।এ টুর্নামেন্টে ডাবল করে মাত্র তিনজন প্লেয়ার খেলতে পারতো।
তারপর থেকে ব্যাডমিন্টন খেলাটি ধীরে ধীরে সব দেশের মানুষের মনে জায়গা করে নাই।এবং আন্তর্জাতিক দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্যাডমিন্টন খেলাটি।
ব্যাডমিন্টন খেলার উপকারিতা
শীতের শুরুতেই ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে আসে অন্যরকম এক আমেজ।গ্রামগঞ্জ শহরতলীর তরুণেরা গা গরমের জন্য ব্যাডমিন্টন খেলায় হৈমুরে মেতে ওঠে। খেলাধুলা হিসেবে ব্যাডমিন্টন তুলনা মূলক ভাবে খুব সহজ।এটি খেলতে ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি এবং বিস্তৃত পরিসরের জায়গার প্রয়োজন হয় না। এবং পাশাপাশি এই খেলাতে রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা।
ব্যাডমিন্টন খেলার উপকার গুলো কেবল শরীরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।বরং আপনার মন কেউ প্রভাবিত করে।আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে ব্যাডমিন্টন খেলার তেমনি দারুন সব স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। মানব জীবনের শাস্তি সবচেয়ে বড় সম্পদ।
আপনার জীবনে প্রচুর টাকা-পয়সা থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবান না হলে আপনার জীবন চরম নাটকীয়ভাবে অতিবাহিত হবে।শারীরিক স্বাস্থ্য আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এবং ব্যাডমিন্টন আপনাকে শারীরিকভাবে সুস্থ হতে সহায়তা করতে পারে।ব্যাডমিন্টন খেলার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে।
ওজন কমানোর জন্য এক ঘন্টা ব্যাডমিন্টন খেললে আপনি ৪৮০ ক্যালোরি বরণ করতে পারবেন। মেটাবলিজম রেট বাড়াই।ব্যাডমিন্টন খেলা আমাদের শরীরের প্রচুর পরিমাণ ঘাম হয়,এবং সাথে যে ট্রনিস নিষ্কৃত হয় তা যা একটা হালকা অনুভূতি দেয়।কাজ করার আগ্রহ বাড়ায়।নিয়মিত ব্যাডমিন্টন খেলে মানসিক ক্লান্তি দূর করে।হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
ব্যাডমিন্টন হৃৎপিণ্ডের মার্শালকে সচল করে।কালেক্টর কমাই।হাড় মজবুত করে।ব্যাডমিন্টন খেলা হাড়ের কোষগুলোর গ্রোথ বাড়ায়।সামগ্রিকভাবে শরীরের সামর্থ্য বাড়িয়ে আপনাকে করে তুলে শক্তিশালী।ডায়াবেটিস ঝুঁকি কমায়।ব্যাডমিন্টন আপনাকে এক ঘন্টায় যে পরিশ্রম করতে বাধ্য করে তা আপনার রক্তের সুগার কমায়।উচ্চ রক্তচাপ কামায়।
এই খেলা এ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং শরীরের রাসায়নিক পদার্থ সরবরাহ বাড়াই।নিয়মিত ব্যাডমিন্টন খেলা আপনাকে যে তরতাজা রাখবে তেমন রাখবে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে ঝুঁকিমুক্ত।তাই খেলা ধুলা করুন সুস্থ,ভাল থাকুন।
ব্যাডমিন্টন খেলার উৎপত্তি কোন দেশে
খেলাধুলা পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টের।তারপর সেই খেলা যদি হয় ব্যাডমিন্টন তাহলে তো কোন কথাই নেই।হ্যাঁ বন্ধুরা আজকে আমি ব্যাডমেন্টের খেলা সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরব।ব্যাডমিন্টন খেলা একজনের রেকেট ক্রিয়া।একক বা যুগ্ন ভাবে খেলা যায়।ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য নেট দ্বারা বিভক্ত একটি আয়তাকার কোডের প্রয়োজন হয়।
খেলোয়ার রেকেটের সাহায্যে,তার প্রতিদ্বন্দ্বী কোর্টে শাটল করতি সুরে দিলেই স্কোর সংগ্রহ করেন।সাটল কর একবার মাটি স্পর্শ করলেই একটি পয়েন্ট পাওয়া যায। উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে।ভারতে নিযুক্ত বিটিশ সেনার অফিসাররা এই খেলার উদ্ভাবন করেন।তারা ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী খেলা ব্যাটেলর্ডন এবং সেটেল করকে একটি নেট যুক্ত করে এই খেলাটি চালু করেছেন।
ব্রিটিশ গ্যারিসল নগরী পুনাই এই খেলা বিশেষ জনপ্রিয় ছিল বলে এই খেলার অপর নাম পুনাই গেমস।ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এই খেলা ইংল্যান্ডে ব্যাপক প্রচার পায়।১৯৩০ সালে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন বর্তমান ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক বিশ্বের ইউরোপের বাইরে চীন ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও ব্যাডমিন্টন বেশ জনপ্রিয়।১৯৯২ সালে পাঁচটি ইভেন্টসহ ব্যাডমিন্টন অলিম্পিকের অন্তর্ভুক্ত হয।
ব্যাডমিন্টন কোন দেশের জাতীয় খেলা
ব্যাডমিন্টন মালয়েশিয়ার জাতীয় খেলা হলেও বাংলাদেশে এর এই খেলাটির ব্যাপক প্রচলন আছে। শীতের শুরুতেই পারামহলে জমে উঠেছে ব্যাডমিন্টন খেলা।কোন এক সময় এই খেলাটি উচ্চবিত্তদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হলেও যুগের পরিবর্তনে তা আজ ছড়িয়ে পড়েছে সকলের মাঝে।
শহরে ব্যস্ততার মাঝেও অফিস ফেরত ব্যক্তি কিংবা ছোট ছোট শিক্ষার্থীর ব্যাডমিন্টন কোর্টে বিচরণ শীতের নিস্তব্ধতাকে যেন মুহূর্তেই গ্রাস করে ফেলে রেকেট ও কর্কের শব্দের মধ্য দিয়ে।ডলার সংকট ও উর্ধ্বগতির বাজারে এ বছর বেড়েছে রাকেট ও কর্কের দাম।মানবেদে ৫৫০ টাকা থেকে শুরু করে রয়েছে ১০হাজার টাকা দামের র্যাকেট।
চিকিৎসকরা বলছেন শারীরিক সুস্থতা অর্জন ও মানসিক দুশ্চিন্তা লাভ শীতকালে ব্যাডমিন্টন খেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।কর্মজীবন কিংবা সারাদিন মোবাইল নিয়ে কাটানো বিষাদময় জীবনকে বিদায় জানাতে ব্যাডমিন্টন খেলা হতে পারে উৎকৃষ্ট একটি মাধ্যম।শীতকালের খেলা হলেও স্বাস্থ্য সচেতনরা করছেন সারা বছরের সঙ্গেই।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আপনাদের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করলাম।ব্যাডমিন্টন খেলাটি মালয়েশিয়ার জাতীয় খেলা হল বাংলাদেশে এই খেলাটির ব্যাপক প্রচলন রয়েছে।শুধু বাংলাদেশেই নয়,এই খেলাটি বিভিন্ন দেশে এর ব্যাপক প্রচলন রয়েছে।তাই আজকের এই ব্যাডমিন্টন খেলা সম্পর্কে আপনার কাছে কোন বিষয়টি ভালো লেগেছে তা কমেন্টে জানাবেন।
যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url