কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায়

প্রিয় পাঠক,সবাই কেমন আছে আশা করি সবাই ভালো আছো।আপনারা যারা জীবনকে সুন্দর করার সঠিক উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন,কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও জানতে পাচ্ছেন না।আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য।এবং আজকের আর্টিকেলে আরো যে বিষয়গুলো থাকবে সে বিষয়গুলো হলো।কি
কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায়

ভাবে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করা যায়।এ সম্পর্কে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি পুরোটাই আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।এই আর্টিকেলটি যদি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন।তাহলে অবশ্যই আপনার লাইফস্টাইল পরিবর্তন এর উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ভূমিকা

নিজেকে পরিবর্তন করতে চাইলে হুট করে পরিবর্তন করা যায় না।এর জন্য লাগে সময় ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রম।আজকে আমাদের আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে কিভাবে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করা যায়।এবং লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করার জন্য আমাদের কি কি করনীয় আছে এই বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।
  • নিজের পথ নিজেকে তৈরি করতে হয়
  • সময়ের সাথে সাথে মানুষের গুরুত্বের পরিবর্তন হয়
  • জীবনকে সুন্দর করার সঠিক উপায় কী
  • কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায়
  • জীবন উপভোগ করার উপায়

নিজের পথ নিজেকে তৈরি করতে হয়

অন্য মানুষের চোখে আপনার ইমেজ যেমনই হোক না কেন।মানুষ আপনার সম্পর্কে যা কিছু চিন্তা করুক না কেন। এখন সময় চলে এসে অন্য মানুষদগুলোর আপনার সম্পর্কে চিন্তা পরিবর্তন করে দেওয়ার।আপনার ইমেজকে পরিবর্তন করার। হতে পারে মানুষ আপনার সম্পর্কে মনে করে যে আপনার নিজের কোন গুরুত্ব নেই বা আপনার সময়ের কোন মূল্য নেই।

কিন্তু এখানে অন্য মানুষগুলো আপনার সম্পর্কে যে এমন একটা চিন্তা করে,তাদের কোন ভুল নেই,ভুলটা হল আপনার।আপনি হয়তো এমন কোন কাজ করেছেন যে কাজের কারণে আপনার সম্পর্ক অন্য মানুষগুলোর চিন্তা এমন হয়ে গেছে।কিন্তু এখন সময় চলে এসেছে নিজের সম্পর্কে চিন্তা করার।অন্য মানুষের কথা চিন্তা করা বন্ধ করুন। পৃথিবীর কথা ভাবা বন্ধ করুন।এ

খন সময় এসেছে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করার।আপনার ভবিষ্যৎ কে নিয়ে সিরিয়াস হয়ে যান।পরিবর্তন করে ফেলুন আপনি নিজেকে। আর নিজেকে আগের থেকে বেটার তৈরি করুন।আপনি নিজেকে এতটা পরিবর্তন করে ফেলুন যাতে সারা পৃথিবীর মানুষ আপনাকে দেখে অবাক হয়ে যায়। আপনি নিজেকে একটি প্রমিস করুন।

 যে আপনি এখন আর তেমন থাকবেন না যার উপরে এতদিন পর্যন্ত এই পৃথিবীর মানুষগুলো হেসেছে। যখন আপনি আপনার জীবনের ছোট ছোট বিষয় পরিবর্ত নিয়ে আসবেন তারপরে আপনার পার্সোনালিটির মধ্যে সেই পরিবর্তনটা আসবে।অবাক হয়ে যাবে একটি এমন পরিবর্তন যা আপনার জীবনটা বদলে দেবে।

অন্য মানুষের সম্পর্কে আপনার চিন্তা বদলে দেবে।যদি অন্য মানুষগুলো আপনার সম্পর্কে কি চিন্তা করছে তাতে আপনার কিছু যায় আসা উচিত নয়।কারণ যখন আপনি অসফল হয়ে যাবেন তখন মানুষ আপনার উপরে হাসবে। আর যখন আপনি সফল হয়ে যাবেন তখন এই মানুষগুলোই আপনাকে দেখে হিংসে করবে। 

আর যখন আপনি চেষ্টা করবেন তখন এই মানুষগুলোই আপনার কাছে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। তাই এই সমস্ত মানুষের চক্করে আপনার জীবন নষ্ট করবেন না।এই মানুষগুলো না কখনো আপনার কাজে এসেছিল আর না আগামীতে কখনো আপনার কাজে আসবে। এখন আপনাকে এটা চিন্তা করতে হবে যে আপনার কতটা সময় লাগবে নিজেকে পরিবর্তন করতে।

আর এর জন্য আপনাকে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। তাই নিজের পথ নিজে তৈরি করতে হবে কেউ আপনাকে পথ তৈরি করে দিবে না।বরং আপনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে অনেকে।
একজন মানুষের জীবন কেমন হওয়া উচিত

সময়ের সাথে সাথে মানুষের গুরুত্বের পরিবর্তন হয়।

চ্যাট লিস্টের প্রথমে থাকা মানুষটাও একসময় চলে যায় ব্লক লিস্টে। কললিস্টের প্রথমে থাকা মানুষটাও এক সময় চলে যায় ব্ল্যাকলিস্টে। তিনবেলা নিয়ম করে যে মানুষটার খোঁজ নাও হতো,কিআর করা হতো বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও জানা হয় না মানুষটা কেমন আছে। দিনে ২৪ টা ঘন্টা কথা হতো যে মানুষটার সাথে।যার সাথে কথা না হলে রাতে ঘুম হতো না।

ভুল করেও তার নাম্বারটা কখনো ডায়াল করে উঠানো হয় না।যে মানুষটাকে না দেখলে বুকের ভিতর হাহাকার করে উঠতো। চারিদিক শূন্য শূন্য লাগত,সে মানুষটার চেহারাটাও অনেক সময় ঝাপসা হয়ে যায়।চেষ্টা করেও তা আগের মতো মনে করা যায় না। আসলে সময়ের সাথে সাথে সব একদিন সবকিছুই বদলায়। চ্যাট লিস্ট কল লিস্ট দিও মুখ সবগুলোই।শুধু বদলায় না স্মৃতি।তাই সময়ের সাথে সাথে মানুষগুলো পরিবর্তন হয়ে যায়।

জীবনকে সুন্দর করার সঠিক উপায় কী

একজন মানুষের জীবন কেমন হওয়া উচিত। বেশিরভাগ মানুষই বলবেন সবাই জানে পর্যাপ্ত টাকা পয়সা থাকবে কোন অভাব থাকবে না সুখ স্বাচ্ছন্দে পরিপূর্ণ জীবন।পারিবারিক সংসার পরিবার দাস-দাসী মাঝেমধ্যে বড় কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া হইচই ইত্যাদি।কিন্তু সত্যিই কি তাই ধরুন এতক্ষণ যেগুলো বললাম সেগুলো সবকিছুই আপনার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে।

 কিন্তু শরীর ঠিক নেই কি হবে এসব থেকে।আমাদের জীবনে আমাদের চারদিকে যা কিছু ঘটছে,তার পেছনে কোন না কোন কারণ আছে। এমনি এমনি কোন কিছুই হয় না। এমনও বলা যায় আমাদের জীবনে যা কিছু ঘটছে বা ঘটবে তার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমরাই দায়ী।তাই জীবনকে সঠিকভাবে চালনা করতে হলে মনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া খুব প্রয়োজন। 

কেননা মনই আপনার চিন্তাভাবনা আপনার ব্যবহার আপনার ব্যক্তিত্ব আপনার কাজকর্ম এমনকি আপনার শরীর কেউ নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরের ৯৫% রোগ তৈরি হয় মনের কারণে। বাকি মাত্র ফাইভ পারসেন্ট রোগ হয় বাইরের ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের আক্রমণে।শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। তাহলে এখন এই মনকে প্রশিক্ষণ দিতে হলে কি করতে হবে।

যে পদ্ধতির কথা বলব যেগুলোর সাহায্যে অদ্ভুত রেজাল্ট পাবেন। প্রথমত মনে জমে থাকা অনেক রাগ অভিমান হিংসা লোক অহংকার হয় এরকম আরো অনেক জমে থাকা বহু দিনের বহু আবর্জনা নোংরাগুলোকে বের করে দিতে হবে। এগুলোই যত সর্বনাশের কারণ এগুলোকে খালি না করলে নতুন ভালো কিছু জায়গা পাবে কিভাবে।তাহলে খুব তাড়াতাড়ি জীবনকে সুন্দর করতে পারবেন।

কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায

কিভাবে লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যায়। এ সম্পর্কে জানব আজকের এই আর্টিকেলে। বন্ধুরা কিভাবে আমরা নিজেকে পরিবর্তন করব তাই নিয়ে আজকের আর্টিকেল।চাইলেই হতো হুট করে নিজেকে পরিবর্তন করা যায় না।তার জন্য অনেক সময় প্রয়োজন।ধীরে ধীরে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে ধাপে ধাপে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।

যদি সত্যিই নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পড়ুন।যে উপায়ে বদলে ফেলবেন আপনার লাইফ স্টাইল।১ সবার আগে নিজেকে ভালবাসতে হবে। কারন আপনি যদি নিজেকে ভালো না বাসেন তাহলে আপনি নিজের জীবন ভারসাম্য খুজে পাবেন না।তাই সবার আগে নিজেকে ভালবাসতে হবে। ২ শিখুন প্রতিদিন নিজের শেখার পরিমাণ রাখুন। 

চারপাশ থেকে শিখুন।নিজের ভুল থেকে শেখার চেষ্টা করুন।ছোট বড় সবার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন।পুরনো কে নতুন করে শেখার অবস্থায় রাখুন। ৩ সময় অপচয় করা বন্ধ করতে হবে। যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে আসক্ত হন এটা থেকে বাহির হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতো সময় দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

ধরুন আপনার প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টার মত মোবাইল ব্যবহার করেন এটাকে ছাড়তে হবে প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ব্যবহার করবেন না। ৪ তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হবে। সকালে মন ফ্রেশ থাকে তাই তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হবে। আর মজার বিষয় হলো সকালে ঘুম থেকে উঠলে আরো অনেক কিছু উপকারিতা আছে।

প্রথম অবস্থায় সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারবেন না। আস্তে আস্তে এটাকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে কি করবেন তা ঠিক করুন।৫ চলার পথে কোন ভুল করছেন কিনা কিনা সে ব্যাপারে ভাবুন। এটি আপনাকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবে

জীবন উপভোগ করার উপায়

জীবন উপভোগ করার জন্য ভ্রমন করা হচ্ছে সেরা উপায়।নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে হবে।নিজের ব্যক্তির স্বাধীনতার সাথে কখনো আপোষ করবেন না।নিজের মতামত ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিন।আবেগের উর্ধ্বে উঠুন।ভুল মানুষের সাথে জীবন অতিক্রম না করে সঠিক বন্ধু নির্বাচন করুন।নিজের জন্য বিনোদনের যথেষ্ট সময় রাখুন।

জীবনে ভুল বলে কিছুই নেই তবে যাই হোক না কেন ঘুরে দাঁড়াতে হবে।একলা পথচলা শিখুন।কারো প্রতি নির্ভরশীলতা পরিহার করুন।নিজের চলার পথ নিজেই তৈরি করেন।নিজেকে অন্যের ব্যবহৃত জিনিস বানাবেন না।নিজের লক্ষ্যে সর্বদা অটুট থাকুন।

লেখকের মন্তব্য

হ্যালো বন্ধুরা,আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা যে বিষয়গুলো জানতে পারলাম কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায়।নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য যে উপায়গুলো আলোচনা করলাম সে বিষয়গুলো ফলো করলে অবশ্যই নিজেকে পরিবর্তন করা যাবে।তাই আজকের আর্টিকেলটা যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url