দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই ভালো আছো।আপনারা যারা ডায়াবেটিস নিয়ে খুব চিন্তায় আছেন।কি করে ডায়াবেটিস ভালো করতে হয় সে বিষয়ে বুঝতে পারতেছেন না বাকি খেলে ডায়াবেটিসে নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
এ বিষয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও পাচ্ছেন না।তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য।কিভাবে দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবেন।সে বিষয়ে জানতে হলে এ আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আপনাদের সামনে এমন একটি আর্টিকেল নিয়ে আসছে এসেছি।যারা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিসের হার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু তথ্য শেয়ার করতে যাচ্ছি।তাই এই তথ্যগুলো জানতে হলে এই আর্টিকেলটি পুরোটাই আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
- ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
- ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির উপায়
- কি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে
- দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
- কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
আজকে আমরা যার জানব কোন ওষুধ ছাড়া ডায়াবেটিস নিওন্তন করা যাই না কি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমাদের অনেকগুলো ওযে আছে।কিন্তু সবচেয়ে সহজ ওযে যে ওযে গুলো আমরা মানতে পারবো সে ওই সম্পর্কে জানব। সবার আগে আমরা জানবো ডায়াবেটিস টা কি।ডায়াবেটিস কে আমরা যদি এক কথায় বলি আমাদের রক্তের সুগারের পরিমাণটা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয়ে যায় তখন আমরা ওটাকে বলতে পারি ডায়াবেটিস।
ডায়াবেটিস কি চিরতরে নির্মূল হবে? এমন প্রশ্ন আমাদের সবার মনেই এসে থাকে।সত্যিকার অর্থে ডায়াবেটিসের কোন কিউর নেই। তবে গবেষণা করে দেখা গেছে টাইপ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ওজন কমানো সঠিক খাদ্য অভ্যাস এবং সঠিক এক্সারসাইজ এর মাধ্যমে স্থায়ী ভাবে ডায়াবেটিসের প্রতিরোধে করা সম্ভব।
ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির উপায়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম।
১ অলস জীবন যাপনঃঅলস জীবন বলতেই বোঝানো হচ্ছে আপনি যদি কোন শারীরিক পরিশ্রম না করেন বা কম শারীরিক পরিশ্রম করেন।আপনি যদি দিনের বেশিরভাগ সময় শুয়ে কাটান বা বসে কাটান।অনেকগুলো সার্ভে থেকে দেখা যাচ্ছে যারা অলস জীবন যাপন করে জীবন যাপন করে।তাদের এই রোগটা বেশি হয়ে থাকে।
এ ছাড়া যে কাজগুলি হেঁটে করা সম্ভব সেই কাজগুলি হাঁটতে হাঁটতে করার চেষ্টা করুন। যেমন ফোনে কথা বলা।ফোন এলে হাটতে হাঁটতে কথা বলুন। যেমন লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
২ রক্তের ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণঃরক্তে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।স্টাডি থেকে দেখা যাচ্ছে যাদের রক্তে ব্লাড সুগার কম তাদের ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা ৪৩% বেশি।ভিটামিন ডি ইন্সুরেন্স উৎপাদনকারী কোষের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়।ফলে ইন্স্যুরেন্স বাড়িয়ে দেয় এবং ব্লাড সুগার কমতে থাকে।আপনার ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা ও সাথে সাথে কমে যায।
৩ সূর্যের আলোঃসকালে সূর্যের আলোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে।বিগত দুই দশক ধরে যেমন,বেড়েছে শপিং মল এবং ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট সংখ্যা।তার সাথে তাল মিলিয়ে বেরেছে ডায়াবেটিস।পাস করে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি থাকে।অধিক মাত্রা এই ফাস্টফুড গ্রহণ করার কারণে ডায়াবেটিসের হার বেড়ে যাচ্ছে।
তাই ফাস্টফুড খাবার থেকে বিরত থেকে সকালে প্রচুর পরিমাণ হাঁটতে হবে।এবং সকালে সূর্যের আলোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে।
৪ তরকারিতে হলুদ ব্যবহার বজায় রাখুনঃডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে হলে তরকারিতে হলুদ ব্যবহার বজায় রাখুন।যুগ যুগ ধরে ভারতীয় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় হলুদ এন্টি ডায়াবেটিকস হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে।হলুদে থাকে অসাধারণ একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার কিউমি। কার কের কিউমি আপনার কোষের ইন্সুরেন্স কমিয়ে দিতে পারে।
ফলে আপনার ডায়াবেটিসের সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে।৫ কিটোজেনিক ডায়েট:কিটোজেনিক ডাইড ডায়াবেটিস যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।
কি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে
নাম শুনলেই ভীতি সৃষ্টি হওয়ার রোগ ডায়াবেটিস।তবে গবেষণায় বলতেছে খাদ্য অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখলে ঠেকানো সম্ভব এই রোগকে।খাবারের তালিকায় তাই কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ কম রেখে মৌসুমী ফল সবজি রাখার পরামর্শ পুষ্টিবিজ্ঞানীদের।
শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন পরিমিত খাদ।ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সংযমী খাতরাভাষী প্রধান চিকিৎসা।দিনের আহার থেকে শুরু করে রাতে খাবারের ক্যালরির হবে সীমিত পরিমাণ।সাথে নিয়ম করে খেতে হবে আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাবার।গবেষণা বলছে ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের রুটিনে কার্বোহাইড্র যুক্ত খাবার কম হলেই ভালো।
মিষ্টি জাতীয় ফল এড়িয়ে রাখতে হবে ফাইবার যুক্ত সবজি।মৌসুমী বিভিন্ন সবজির মিশ্রণে তৈরি খাবারের পাশাপাশি আপেল নাশপাতি পেয়ারার মতো ফল রাখতে হবে খাবারের পাতে।তাই ডায়াবেটিস কে ভয় না পেয়ে খাবারের বৈচিত্র আনার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের।খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তনের সাথে ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ম করে শারীরিক ব্যায়াম করার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা।এবং প্রচুর পরিমাণ বা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়
ডায়াবেটিস হলে প্রথমে যা করতে হবে।ডায়াবেটিস প্রতিরোধে যা করণীয়।ক্ষুধা বাড়ানোর জন্য যত পারুন হাঁটুন।সঠিক শস্য দানা গ্রহণ করুন।মাঝেমধ্যে কবে পান করতে পারেন।ফাস্টফুড খাবেন না,নিয়মিত শাকসবজি খান।মসলাযুক্ত খাবার কম খান শিথিল থাকুন প্রতিদিন। কেননা সামান্য শিথিলায়ন ব্যায়াম ও অন্যান্য স্টেস মোকাবেলার কৌশল রক্ত সুগারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে।
যেমন ১দিন শুরু হোক যোগ ব্যায়াম, ধ্যান দিয়ে,হাটা দিয়ে।২ফোনে উত্তর দেওয়ার আগে তিনটি গভীর শ্বাস নিন।গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার আগে,বাচ্চাদের লাঞ্চ দেবার আগে,কোন কাজ শুরুর আগে গভীর ধীর শ্বাস নিন।৩ বন্ধের দিন পরিবারের সবার সঙ্গে বেড়াতে যান।মজা করুন খেলাধুলা করুন রাতে সুনিদ্রার পরিবেশ তৈরি করুন।
সর্বোপরি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ওজন কমান।লাইফস্টাইল পরিবর্তন সহ নিয়মানুবার্তিতার মাধ্যমে জীবন যাপন করে উপভোগ করুন সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন।তাই সুস্থ শরীর সবল মন বাঁচতে হলে প্রয়োজন।
আরো পরুনঃশীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায়
কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে
বন্ধুরা যারা এর ডাইবেটিস রোগে যারা ভুগছেন তাদের খাওয়ার দাবারের প্রতি একটু যত্নশীল হওয়া খুব বেশি প্রয়োজন।এমন কিছু শাকসবজি বা এমন কিছু খাবার আছে,যা তাদের খাওয়া একেবারে উচিত নয়।বা যদি তারা খেয়েও থাকেন তাহলে তার পরিমাণটা বুঝে সুজে একটু কম পরিমাণে খাওয়াটা খুব বেশি প্রয়োজন।
ডায়াবেটিস রোগীদের কার্বোহাইড্রেট জাতীয় যে খাবারগুলো আছে সেগুলোর প্রতি একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।যারা ডাইবেটিক পেশেন্ট আছেন তাদের এমন কিছু শাকসবজি সম্পর্কে আলোচনা করব।যেগুলো তাদের খাওয়া কিন্তু উচিত নয় বা জদি তারা খান তাহলে তারা পরিমাণটা একটু কম খাওয়া প্রয়োজন।
যেমন মাটির নিচে যে সবজিগুলো পেয়ে থাকি তার মধ্যে অন্যতম হলো আলু,মিষ্টি আলু,মুলা,গাজর বিট কচু মাটির নিচের সবজিগুলো ফলে সেইগুলো থেকে আপনি একটু দূরে থাকেন।বা সেগুলো একটু কম খান তাহলে আপনার জন্য ভালো।প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে ডায়াবেটিস রোগীদের দূরে থাকা ভালো।
লেখক এর মন্তব্য
হ্যালো বন্ধুরা,আজকে আমি আপনাদের সামনে ডায়াবেটিস রোগীদের নেই কিছু মূল্যবান কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি ডায়াবেটিস রোগীরা এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা উপকৃত হবেন।যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমরা পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url