মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছো আশা করি সবাই ভালো আছো।আজকে আপনাদের সামনে আবারো হাজির হলাম নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে।আজকের এই আর্টিকেলের মূল বিষয়টি হলো মোবাইল ফোনের ক্ষতি কর দিক থেকে বাঁচার উপায়।এবং আজকের এই আর্টিকেল আমরা আরো জানবো শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের উপকারিতা কতটুকু তা সম্বন্ধে।
প্রযুক্তি যে দিন দিন আমাদের জীবনযাত্রা সহজ এবং আরামদায়ক করে দিচ্ছে এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তির সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকি।তো বন্ধুরা এ বিষয়টি জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাকে পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে
ভূমিকা
মোবাইল ফোন এখন সবার হাতে হাতে।মোবাইল ফোন ছাড়া যেন আমরা একেবারে অচল। সেই ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত মোবাইল আমাদের নিত্য সঙ্গী। বর্তমান যুগে আমাদেরকে মানতেই হবে মোবাইল আমাদের জন্য আসলেই অনেক বেশি প্রয়োজনীয় ডিভাইস। ইন্টারনেট আমাদের জীবনের চলার পথে একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ।
যদি আমরা ইন্টারনেটকে আমাদের জীবন থেকে সরিয়ে ফেলি আমরা আসলেই পিছিয়ে যাব। তাই আমি যদি আমার সন্তানকে আজকে বলি তুমি মোবাইল ব্যবহার করবে না তুমি ইন্টারনেটে কোনো রকম এক্সপ্রেস তুমি পাবে না আমি কিন্তু আসলে পরোক্ষভাবে আমার সন্তানকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা থেকে সরিয়ে ফেলছি।
তো বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা যে বিষয়গুলো জানব সে বিষয়গুলো হল। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল, মোবাইল ফোনের আবিষ্কারের ইতিহাস, শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের উপকারিতা, মোবাইল ফোনের ক্ষতি করার দিক থেকে বাঁচার উপায় এবং দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের ব্যবহার।তো বন্ধুরা এই সম্পর্কে জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
- অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
- মোবাইল আবিষ্কারের ইতিহাস
- শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের উপকারিতা
- মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়
- দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের ব্যবহার
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
মোবাইল ফোন যেমন আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে খুব সহজ করে দিয়েছে। ঠিক তেমনভাবেই মোবাইল ফোনের ওপরে আমরা ভীষণভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। অনেক ক্ষেত্রে অজান্তেই আমরা নিজেদের বিপদ নিজে ডেকে আনছি।ধরুণ রাতের বেলায় ঘুমোতে গেছেন কিন্তু ঘুম আসছে না।তাই ভাবলেন যতক্ষণ ঘুম না আসে ততক্ষণ মোবাইল ফোনে কয়েকটা দরকার কাছে গিয়ে রাখি।
কিংবা স্মার্টফোনে একটা গল্পের বই ডাউনলোড করে পড়তে থাকি।তারপর আস্তে আস্তে কমে এসে যাবে।তারপরে দীর্ঘক্ষন পড়ে দেখলেন মোবাইল খুট খাট করতে করতে সময় গড়ে গেল কিন্তু ঘুম আর এলো না।রাত কেটে পর হয়ে গেল কিন্তু ঘুমের দেখা নেই। আপনি কি ঘুম না আসে সমস্যায় ভুগছেন।কিন্তু ঠিক বুঝতে পারছেন না কেন ঘুম আসছে না।
ঘুম আসবে বলে রাতে সেই অন্ধকারের দিকে ফোন মোবাইল ব্যবহার করছেন বলে হয়তো ঘুম আছে না। অন্ধকারে মোবাইল ব্যবহার করলে যেমন অনিদ্রা হতে পারে তেমনি চোখের বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দিতে পারে। চোখ ব্যথা মাথা ব্যথা দৃষ্টিশক্তি ব্যাহতম ইত্যাদি হতে পারে। সারাক্ষণ ডিজিটাল ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখ পলক ফেলতে ভুলে যাই আর তাতেই বিপদ হয়।
এক মণি ডিজিটাল স্কিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে ১৮ বারের বদলে পাঁচ থেকে নয়বার চোখের পলক পড়ে চোখ ড্রাই হয়ে যেতে পারে যাকে বলা হয় ড্রাইভ আই সিন্ডম।
মোবাইল আবিষ্কারের ইতিহাস
১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল মোবাইল ফোন থেকে প্রথমবার কল করা হয়েছিল।মটোরোলা জেষ্ঠ প্রকৌশলী মার্টিন কোপার্ক প্রথমবারের মতো সেলুলার টেলিফোনে বিশ্বের প্রথম ফুন কলটি করেছিলেন। তারপর এখন তা বিশ্বব্যাপী রীতিমত বিপ্লবের পরিবর্তিত হয়েছে। মার্টিন কোপার্কে মোবাইল ফোনের জনক বলা হয়।বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকার মার্কিন কোপার্ক জানিয়ে ছিলেন।
৪ দশক আগে মোবাইল ফোন উদ্ভাবনের পর এর দাম বেশি ছিল। এবং আকারও ছিল বেশ বড়। তবে তিনি জানতেন একদিন মোবাইল ফোনের দাম আর আকার ২ মানুষের হাতের মুঠে চলে আসবে। আজ থেকে প্রায় চার দশক আগে মানুষের হাতে এসেছিল প্রথম মোবাইল ফোন সেট।আর সেটি ছিল মার্টিন কোপার্ক এর আবিষ্কৃত ডায়না টিএস।
মোবাইল ফোন দিয়ে প্রথম কথা বলেছিলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী বেল্লাক্সের গবেষক জুয়েল এঞ্জেল এর সঙ্গ।তখন আলাদাভাবে কাজ করেছিলেন মটোরোলার গবেষক মার্টিন কপার ও বেললেসের জুয়েল এঞ্জেল। তবে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি এসেছিলেন কোপার্ক। এছাড়াও মটোরোলা কোম্পানিতে কাজ করতেন মার্টিন কুপার।
তিনি একদিন কোপার্ক সামনে চ্যালেঞ্জ ছুরি দিয়ে বলেন।বিশ্বের প্রথম মুঠোফোন তৈরি করবে মটোরোলা আর আবিষ্কারক হবে কপার।ওপাশে চ্যালেঞ্জ নিয়ে জয়ী হয়ে গর্বিত করেছিলেন জননিশিল ও তার প্রতিষ্ঠান মটোরোলা কে।তখনকার মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ের মত হালকা পাতলা স্মার্টফোনের মত ছিল না। সো এক কেজি ওজনের সেই সেলুলার ফোনটি লম্বাই ছিল ১০ইঞ্চি।
একবার ব্যাটারি চার্জ হলে ২০ মিনিট কথা বলা যেত। আর ব্যাটারি চার্জ করতেও লাগতো অনেক সময়। এরপর একসময় এর পরিচিতি দাঁড়ায় ব্রিক ফোন বা ইট আদলে ফোন। নিউ ইয়র্ক সিটির সিক্সথ এভিনিউতে হাঁটতে হাঁটতে প্রথমবারের মতো সেলুলার নেটওয়ার্কের ফোন কল করেন কুপার।আর টেলিফোনে বিশ্বের প্রথম ফোন কলটি গ্রহণ করেছিলেন বেললেসের প্রধান গবেষক জুয়েলেন্জের।
সেই সময় সেলুলার নেটওয়ার্কের স্থানান্তর যোগ্য মুঠোফোন তৈরিতে কাজ করেছিলেন জুয়েলেঞ্জের।জুয়েলের অফিসের সরাসরি ফোন কল করার এই ঘটনাটি বিশ্বের প্রথম সেলুলার ফোন আলাপ।
শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের উপকারিতা
প্রযুক্তি যে দিন দিন আমাদের জীবনযাত্রা সহজ এবং আরামদায়ক করে দিচ্ছে এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। আগের মত ফোন শুধু কল করা বা রিসিভ করা, মেসেজিং এসবের সীমাবদ্ধ নেই। কি না করা যায় এই মোবাইল ফোন দিয়ে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন দুনিয়া হাতের মুঠোয় বলা যায়। আর দুনিয়া হাতের মুঠোয় নিয়ে চলা যায় এমন সবচেয়ে ছোট পরিবহনযোগ্য যন্ত্র হলো স্মার্টফোন।
বর্তমান যুগে আমাদেরকে মানতেই হবে মোবাইল আমাদের জন্য আসলেই অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।শুধু কথা বলা বা বিনোদন নই।শিক্ষা ও ক্যারিয়ারের জন্য এখন তরুণদের কাছে মোবাইল ফোন অপরিহার্য।এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোর্সেরা ও অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্মে প্রশিক্ষণ এখন হাতের মোট হয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেছে।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই অনলাইন ক্লাস করতে পারতেছি বিশ্বের যে কোন শিক্ষকের। মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সকল তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই জ্ঞান অর্জন করতে পারতেছে।
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়
প্রযুক্তি যে দিন দিন আমাদের জীবনযাত্রা সহজ এবং আরামদায়ক করে দিচ্ছে এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তির সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকি।আমাদের সারা দিনে কর্মকাণ্ডে যেসব যন্ত্র একেবারে না হলেই নয় তার মধ্যে অন্যতম হলো মোবাইল ফোন ট্যাবলেট কম্পিউটার ইত্যাদি।
সাম্প্রতিক মোবাইল ফোন আবার স্মার্ট ভাবে আমাদের সামনে হাজির হয়ে স্মার্ট ফোন খেতাব পেয়েছে। আগের মত ফোন শুধু কল করা বা রিসিভ করা, মেসেজিং এসবের সীমাবদ্ধ নেই। কি না করা যায় এই মোবাইল ফোন দিয়ে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন দুনিয়া হাতের মুঠোয় বলা যায়। আর দুনিয়া হাতের মুঠোয় নিয়ে চলা যায় এমন সবচেয়ে ছোট পরিবহনযোগ্য যন্ত্র হলো স্মার্টফোন।
তবে আজকের আলোচনা আমাদের স্মার্টফোন নিয়ে নয় বরং স্মার্টফোনের খারাপ দিক থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে।কিভাবে একটু সচেতন হলে স্মার্টফোনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আপনি আপনার আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন সেই সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা। তাই আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই আর্টিকেলটি স্কিপ না করে পুরোটাই পড়তে থাকুন উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।
যতক্ষণ মোবাইল বা স্মার্টফোনের সুইচ অন করা থাকে, ততক্ষণ তার রেডিও তরঙ্গ নির্গত করে। এর প্রভাবে নানা ক্ষতি হয়ে থাকে শরীরের।একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, মোবাইল বা স্মার্টফোনের টাওয়ার ৫০ থেকে ৩০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বসবাসকারী মানুষের ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক বিতরণের কারণে রোগের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়।
প্রযুক্তির পরিমিত ব্যবহার যেমন আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজ করে দিতে পারে। তেমনি অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের ক্ষতি করে। অনেকে হয়তো বলবেন স্মার্টফোন সারাদিন দরকারি ব্যবহার করা লাগে। সবার সাথে যোগাযোগ রাখা থেকে শুরু করে বিনোদন আমাদের চলাফেরা ম্যাথ আমাদের শপিং লিস্ট রুটিন এলার্ম ইত্যাদি সহ দৈনন্দিন জীবনের অনেক বেশি কাজই তো এই ছোট ডিভাইসটি দিয়ে আমরা করে থাকি।
সুতরাং এটি কম ব্যবহার করে কিভাবে সম্ভব। স্মার্টফোনের খারাপ দিক কি হতে পারে। তাহলে জেনে নেয়া যাক আমাদের প্রিয় স্মার্টফোনের খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে।আসক্তি ;আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা গেছে একজন কলেজ স্টুডেন্ট দিনে ১০ ঘন্টা ফোন ব্যবহার করেন। হতে পারে সেটা ইন্টারনেট ব্রাউজিং পিডিএফ ফাইল বই পড়া কিংবা মেসেজিং এর বিভিন্ন কাজ।
দিনে তারা বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট সহ যতগুলো মেসেজ আদান প্রদান করে তত কথা তারা সারা দিনেও কারো সাথে বলেনা।আমেরিকার এক সার্ভে গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতি পাঁচ জনের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে তিনজনই ৬০ মিনিটের বেশি একবারও ফোন চেক না করে থাকতে পারেনা। পুরো বিশ্ব স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর অবস্থা কমবেশি এমন।
তাছাড়া কাউকে যদি বলা হয় ফোন ছাড়া থাকতে হবে,তার মধ্যে এরকম ভীতিসংসার হয় তাকে মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন নোমোফোবিয়া।বর্তমান মোবাইল বা স্মার্টফোনের প্রতি এই ধরনের আসক্তিকে হুমকি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।ব্রেইন ক্যান্সার :গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘ সময় ধরে ফোনে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোন থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় রশ্মি আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলিতে ধীরে ধীরে শোষিত হয়।
এর থেকে বেন টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে ব্রেন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায। তাই বিশেষজ্ঞরা ঘুমানোর সময় অন্তত মোবাইল ফোনটা দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।ব্যাকটেরিয়ার গুদামঘর :আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ এ্যারেজনা এর এক গবেষণা অনুযায়ী একটি টয়লেট সিটের উপরিভাগে যে পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকে।
তার চেয়ে দশ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে আমাদের স্মার্টফোনে। আমাদের টয়লেট আমরা নিয়মিত পরিষ্কার করলেও স্মার্টফোন পরিষ্কার করা হয় না। কোন সঠিক পদ্ধতিতে পরিষ্কার ছাড়াই আমাদের ফোন সারাদিন আমরা হাতে রাখি কল আসলে মুখে লাগায়। তাই সপ্তাহে ছুটির দিনে হলেও আপনার প্রিয় স্মার্টফোনটি জীবাণু মুক্ত করুন।
ব্যাক পেইন সমস্যা :২০১৫ এর এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী মেরু রজ্জুর উপর বাড়তি প্রাসাদ দেয়ার কারণে ১৬ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে ৪৫ শতাংশ তরুণ ব্যাক পেইন সহ মেরুদন্ডের নানা সমস্যায় ভুগছেন।এক্ষেত্রে তারা স্মার্টফোনের টেক্সটিং কে বেশি দায়ী করতেছেন। টেক্সট করতে গেলে আমাদের মেরুদণ্ডটাকে আমরা যেকোনে বাকিয়ে থাকি।
এবং এতে মেরুদন্ডে যে পরিমাণ চাপ পড়ে তা ৫০ পাউন্ড অর্থাৎ যা একটি সুস্থ স্বাভাবিক ৭ বছরের বাচ্চার ওজনের সমান। তাই ব্যাক পেইন থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন শারীরিক ব্যায়ামের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।চোখের সমস্যা :স্মার্টফোনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য খারাপ দিক হলো এটি আমাদের চোখের ক্ষতি করে।
স্মার্টফোনে নীল আলো এবং টানা অনেক্ষণ ধরে অতিরিক্ত পরিমাণে এর ব্যবহার আমাদের চোখে রেটিনার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ম্যাকুলার ডিজানারেশান বলা হয়।এক জরিপে ২০০০ মানুষের মধ্যে ৫৫ শতাংশ স্বীকার করেছেন কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করার পর তারা চোখে অস্বস্তি অনুভব করে।
তাই মহামূল্যবান চোখ রক্ষা করতে স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন।অতিরিক্ত এটি ব্যবহার করবেন না এবং যতক্ষণ ব্যবহার করবেন ২০ ২০,২০,২০ রুল অনুসরণ করুন। এর মানে হল প্রতি ২০ মিনিট স্মার্ট ফোন ব্যবহারের পর ২০ সেকেন্ড ধরে ২০ ফুট দূরের কিছু দিকে তাকানো এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এমন কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা।
শ্রবণ শক্তির সমস্যা :আপনি যদি বেশি পরিমাণে হেডফোন ব্যবহার করেন কথা বলা কিংবা গান শোনার জন্য তবে আপনার সাবধান হওয়ার সময় এসে গেছে।আপনি কি জানেন মোবাইলে রেডিয়েশানের কারণে আপনি বধির হয়ে যেতে পারেন।গবেষণায় দেখা গেছে সেলফোনে থেকে নির্গত ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটটিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী এক্সপ্রেসের শ্রাবণশক্তি হ্রস করতে পারে।
আমাদের কাঁনের ভেতর খুব ছোট ছোট পাতলা লোমের মত থাকে।যার কাজ হল বিভিন্ন নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কের রাসায়নিক সংকেত পাঠানো।হাই ভলিয়মের শব্দ লোমগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই প্রয়োজন ব্যতীত হাই ভলিয়ামের হেডফোন ব্যবহার করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। অমনোযোগিতা :কিশোরদের পাশাপাশি বাচ্চাদের কাছেও মোবাইল ফোন খুব প্রিয়।
৬০শতাংশ বাচ্চারা দিনে অধিকাংশ সময়ে ফোনে গেম খেলে কাটিয়ে দেয়, তারা ফলে খেলাধুলা এবং পড়াশোনায় অমনোযোগ হয়ে পড়ছে।তদুপরি শিশুরা মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, এবং শিশুরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তেছে। তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে বাচ্চাদের স্মার্ট ফোনে পরিবর্তে আপনার কোমল মধ্যে শিশুটির জন্য পারিপার্শ্বিক পরিবেশে সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করুন।
ঘুমানোর ব্যাঘাত :২০১৩ সালে এক জরিপ অনুযায়ী ১৮ থেকে ২৯ বছরের ৬৩% মানুষ ঘুমানোর সময় তাদের স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট বিছানায় নিয়ে যান এবং ৩০ থেকে ৬৪ বছরের ৩০% মানুষও এই কাজ করে থাকেন। দিনের পর দিন ঘুমের ব্যাঘাতে দারুন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাচ্ছে। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঘুমানোর সময় আপনার প্রিয় ফোনটি হাতের নাগালের বাইরে রাখুন।
দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের ব্যবহার
বর্তমান যুগে আমাদেরকে মানতেই হবে মোবাইল আমাদের জন্য আসলেই অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। ইন্টারনেট আমাদের জীবনের চলার পথে একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ।আধুনিক যুগে প্রত্যেক মুহূর্তে মানুষের কাছে মোবাইল ফোন অবশ্যই প্রয়োজনে এক উপাদান।একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বা বিশেষ কোনো প্রয়োজনীয়তা পূরণের মোবাইল ফোন অপরিহার্য।
কেবল যোগাযোগের মাধ্যমেই নয়।মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন তথ্য আমরা খুব সহজে পেয়ে যাই।
লেখকের মন্তব্য
অতিরিক্ত স্মার্টফোনের ব্যবহার সড়ক দুর্ঘটনা সহ পারিবারিক সামাজিক অশান্তি ও অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ ডেকে আনতে পারে। অতিরিক্ত সবকিছু আসলে কোন না কোন ভাবে খারাপ দিকে দেখে আনে। তাই সাবধান হোন। যাও প্রয়োজন ছাড়া স্মার্টফোনের ব্যবহার আস্তে আস্তে কমিয়ে দিন।
আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।তাই আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url