ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সে বিষয়টি হল।বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে।সাধারণত এডিস মশা কামড়ালে ৫থেকে ৭ দিনের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে।ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে আর এ জ্বর ৫ থেকে ৬ দিন পর্যন্ত থাকে।
এডিস মশার কারণে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ হয়ে থাকে।আজকের এই আর্টিকেলে যেসব বিষয় আলোচনা করা হবে সেগুলো হল।ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার,ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে,ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার এবংডেঙ্গু হলে কী করবেন। এসব বিষয় জানতে হলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়ত হবে।
ভূমিকা
বাংলাদেশ এই বছর ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বর। প্রতিনিয়ত বাড়তে আছে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা।সাধারণত এডিস মশা কামড়ালে ৫থেকে ৭ দিনের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। আর এ জ্বর ৫ থেকে ৬ দিন পর্যন্ত থাকে।মুশা বাহিত রোগগুলো হলো ডেঙ্গু,চিকনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া,ফাইলেরিয়া,গোত্র ইত্যাদি।
এডিস মশার কারণে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ হয়ে থাকে।ডেঙ্গু হলে আতঙ্কিত না হয়ে যথেষ্ট বিশ্রাম নিন।জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল খান।প্রচুর পরিমাণে পানি ডাবের পানি খাবার স্যালাইন ফলের রস ইত্যাদি গ্রহণ করুন।
- ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে
- ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে
- ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার
- ডেঙ্গু হলে কী করবেন?
ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে
বাংলাদেশ এই বছর ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বর। প্রতিনিয়ত বাড়তে আছে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা।এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার সাবেরা গুলনাহার বিবিসি বাংলাকে জানান ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর লক্ষণ দেখা দিতে।
সাধারণত এডিস মশা কামড়ালে ৫থেকে ৭ দিনের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। আর এ জ্বর ৫ থেকে ৬ দিন পর্যন্ত থাকে।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
মুশা বাহিত রোগগুলো হলো ডেঙ্গু,চিকনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া,ফাইলেরিয়া,গোত্র ইত্যাদি।।ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলো হল।উচ্চ জ্বর,তীব্র মাথা ব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা,বমি ভাব,মাথা ঘোরা ইত্যাদি।ডেঙ্গু রোগের কারণ এডিস মশা।ডেঙ্গু জ্বর হলো একটি মশাবাহিত ভাইরাস ঘটিত রোগ।
ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের সহজ ৭টি উপায় নিচে তুলে ধরা হলো।
- মশার বাসস্থান কমাতে হবে।
- সময় মত বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
- মশা নিধনের ব্যবস্থা করতে হবে।
- প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পড়তে হবে।
- ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে।
- কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
- ঘর সবসময় আলো বাতাস সপূর্ণ রাখতে হবে।
ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কিভাবে ঘটে
ডেঙ্গু রোগের বিস্তার। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণবাহী মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হয়।এবার ওই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন জীবাণুবাহী এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহি মশাই পরিণিত হয়।এভাবে একজন থেকে অন্যজনের মোশার মাধমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার
আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সে বিষয়টি হল ডেঙ্গু জ্বর বা চিকনগুনিয়া। ডেঙ্গু জ্বরের কারণে উচ্চ জ্বর, ব্যথা তীব্র মাথাব্যথা,চোখের পিছনে ব্যথ,মাংসপেশিতে ব্যথ, বমি ভাব,মাথা ঘোরা ইত্যাদি ডেঙ্গু রোগের কারণ।ডেঙ্গু রোগের কারণ হলো এডিস মশা। ডেঙ্গু জ্বর হলো একটি মশা বাহিত ভাইরাস ঘটিত রোগ।
এডিস মশার কামড়ানোর মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে।ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার যা করণীয়। বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন। যতটুকু সম্ভব শরীর ঢেকে রাখুন এবং হালকা রঙের কাপড় পরিধান করুন।দিনের বেড়াতেও বিশ্রাম নেওয়ার ক্ষেত্রে মশারি ব্যবহার করুন।সচেতন থাকুন জীবন বাঁচান।
ডেঙ্গু হলে কি করবেন। প্রচুর পরিমাণ তরল পানি পান করুন। প্যারাসিটামল ব্যতীত অন্য কোন এন্টিবায়োটিক খাবেন না।দুই এক দিন পর জ্বর সেরে গেলেও অনিয়ম করবেন না।নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করুন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।
ডেঙ্গু হলে কী করবেন?
ডেঙ্গু হলে কি করবেন।ডেঙ্গু হলে আতঙ্কিত না হয়ে যথেষ্ট বিশ্রাম নিন।জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল খান।প্রচুর পরিমাণে পানি ডাবের পানি খাবার স্যালাইন ফলের রস ইত্যাদি গ্রহণ করুন। নিজে নিজে কোন এন্টিবায়োটিক বা ব্যথা নাশক খাবেন না। জ্বর সেরে ওঠার সময়টুকুতে বেশি সাবধান থাকতে হবে কারণ এ সময়ে জটিলতাগুলো দেখা দিতে থাকে।
তাই জ্বর কমার সঙ্গে সঙ্গে কাজে যোগ দেবেন না বাড়িতে নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে থাকুন। মাথা ঘোরা চোখে অন্ধকার দেখা দুর্বল লাগা রক্তচাপ কমে যাওয়ার লক্ষণ। পালস প্রেসার বিশ্বের নিচে মানে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের দিকে মন নিচ্ছে।প্যাটিলেট ১ লাখের নিচে নামলে বা হিমাটোক্রিট পরিবর্তন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।৫০ হাজারের নিচে নামলে হাসপাতালে ভর্তি হন।
কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হলে প্ল্যাটিলে দিতে হবে এমন কোন কথা নেই। এই ধরনের ডেঙ্গুতে প্লাজমাল লিকেক হয় প্লাজমা শিরার বাইরে বেরিয়ে আসে। তাই সতর্কতার সঙ্গে স্যালাইন ব্যবহার করতে হয়।এ জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়া।এছাড়া অনেক বমি,শরীরের যেকোনো জায়গায় রক্তপাত, রক্তচাপ কমে গিয়ে দুর্বল অনুভব করা,প্রচন্ড পেটব্যথা, অতিরিক্ত অস্থিরতা ও অস্বাভাবিক আচরণ ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে হাসপাতালে নিন।
লেখক এর মন্তব্য
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা যা জানলাম তা হল। ডেঙ্গু রোগ একটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাই ডেঙ্গু থেকে বাঁচার জন্য কিছু প্রতিকারগুলো রয়েছে তা আমাদের অবশ্য মেনে চলতে হবে। ডেঙ্গু হলে আতঙ্কিত না হয়ে যথেষ্ট বিশ্রাম নিন।জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল খান।প্রচুর পরিমাণে পানি ডাবের পানি খাবার স্যালাইন ফলের রস ইত্যাদি গ্রহণ করুন।
এডিস মশা যেখানে বাসা বাঁধতে পারে সেই স্থানগুলো নষ্ট করে ফেলা। এবং বাড়ির আশেপাশে কোথাও পানি জমতে না দেওয়া।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url