বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করে কোন দেশ

 দেশের রপ্তানির খাত মূলত পোশাক কেন্দ্রিক। পোশাক শিল্প বাংলাদেশের এমন একটি শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে যা থেকে বাংলাদেশে মোট রপ্তানির ৮০ ভাগেরও বেশি আসে এই খাত থেকে ।আর বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে গার্মেন্টস বেশি যে জেলাতে সে জেলাগুলো হলো ঢাকা নারায়ণগঞ্জ গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম।

বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করে কোন দেশ
বিশ্বের বাণিজ্যিক প্রতিবেদনে জানা গেছে যে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশে দ্বিতীয় তম। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যে দেশে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ রপ্তানী হয়ে থাকে সে দেশগুলো হলো,যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি,যুক্তরাজ্য স্পেন ও ফ্রান্স। ইউরোপ এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পোশাক কিনে থাকে। পরিমাণের দিক থেকে গত বছরে চীনকে টপকে শীর্ষে পৌঁছেছে বাংলাদেশ।

ভূমিকা

দেশের রপ্তানি খাত মূলত পোশাক কেন্দ্। মূলত রপ্তানির ৮০ ভাগেরও বেশি আসে এই খাত থেকে। বাংলাদেশে চট্টগ্রাম গাজীপুর ঢাকা নারায়ণগঞ্জ মূলত এই জেলাগুলোতে গার্মেন্টস সংখ্যা বেশি।বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২৫ লক্ষেরও বেশি। সরকারি জরিপ অনুযায়ী দেখা গেছে বাংলাদেশের প্রায় ৩৬৭৬ টি ছোট বড় মিলে গার্মেন্টস রয়েছে।

পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থান এ রয়েছে এবং প্রথম স্থানে রয়েছে চীন।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে যে মোট আয় পোশাক রপ্তানি থেকে ২০২১ ২২ অর্থবছরে সাড়ে ৪৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
  • সূচিপত্রঃ
  • পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান
  • বাংলাদেশের সেরা ১০ গার্মেন্টস
  • বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি গার্মেন্টস কোন জেলায়
  • বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করে কোন দেশে
  • পোশাক রপ্তানির শীর্ষে যে দেশ
  • বাংলাদেশে গার্মেন্টস সংখ্যা

পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৯ সালেও পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।পরিসংখ্যানে দেখা যায় এবছর গ্লোবাল প্রতি এক্সপোটে বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে ছিল ৬.৮%।অথচ ২০১৮ সালেও শেয়ার ছিল ৬.৮%।২০১৯ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ অন্য ৪ দেশের এক্সপোর্ট মার্কেট ছিল চীনের ৩০.৮%

ভিয়েতনামের ৬.২%,তুরস্কে ৩.২%,এবং ভারতের৩.৫% পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ালে এর পরিমাণ আরো বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা

বাংলাদেশের সেরা ১০ গার্মেন্টস

বাংলাদেশের সেরা ১০ টি গার্মেন্টস এর নামের তালিকা নিম্নে দেয়া হলো যথা
১। হা মীম গ্রুপ
২।বেক্সিমকো
৩।স্কয়ার ফ্যাশন লিমিটেড
৪।ডিবিএল গ্রুপ
৫।ওপেক্স সিনহা গ্রুপ
৬।ফকির গ্রুপ
৭।এপিলিয়ন গ্রুপ
৮।স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ
৯।এশিয়ান অ্যাপারেলস লিমিটেড
১০।ভিয়েলাটেক্সট লিমিটেড

বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি গার্মেন্টস কোন জেলায়

বাংলাদেশের সবচাইতে বেশি গার্মেন্টস যেই জেলাতে বাশি তা হলো ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলা,গাজীপুর জেলা, এবং চট্টগ্রাম জেলা সবচাইতে পরিমাণ বেশি গার্মেন্টস রয়েছে। এসব জেলায় প্রায় অনুমানিক ৩২ শর বেশি গার্মেন্টস রয়েছে।এই কয়েকটি জেলা মিলে প্রায় ২৫ লক্ষ বেশি শ্রমিক কাজ করে থাকে।

বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি করে কোন দেশ

দেশের রপ্তানি খাত মূলত তৈরি পোশাক কেন্দ্রিক। মোট রপ্তানির ৮০ভাগের বেশি আসে এই খাত থেকে। যে দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি ভালো সে দেশ থেকে আসে বেশি রপ্তানি আয়।তবে এর মধ্যে কোন দেশ থেকে বেশি রপ্তানি আয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে ২০১৯-২০২০ থেকে ২০২১-২০২২ এই তিন অর্থবছরে ক্রমা অনুসারে দেখা গেছে একই দেশ রয়েছে সেরা পাচে।কোন দেশগুলো রয়েছে সেরা পাচে সেটা চলুন জেনে নেই।

১ যুক্তরাষ্ট্রঃবাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য দেখা গেচে২০২১ ২২ অর্থ বছরে দেশে মোট রপ্তানি আয় এসেছিল সাড়ে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি।এর মধ্যে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ইপিজেড গুলো অন্তর্ভুক্ত। এতে দেখা গেছে একক দেশ হিসেবে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। যার পরিমাণ ৭.৪ বিলিয়ন ডলার।

দেশটিতে তৈরি পোশাক হোম টেক্সটাইল হেমাই তো খাদ্য হস্তশিল্প পাটকো চামড়া জাতীয় পুনরপ্তানি করে বাংলাদেশ। তবে দেশটাতে মোট রপ্তানির ৯৩ ভাগে এসেছে পোশাক শিল্প থেকে।

২ জার্মানিঃতালিকা দিতে অবস্থানের রয়েছে জার্মানি। দেশটিতে রপ্তানির পরিমাণ পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বেশি। জার্মানিতে তৈরি পোশাক ছাড়াও হোম টেক্সটাইল হিমায়িত খাদ্য হস্তশিল্প পাট ও চামড়া জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। তবে দেশটিতে মোট রপ্তানি ৯৩ ভাগি আসে পোশাক শিল্প থেকে।

৩ যুক্তরাজ্যঃতালিকার ৩ রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে রপ্তানি হয় সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলাররের বেশি। দেশটিতে তৈরি পোশাক হোম টেক্সটাইল হিমায়িত খাদ্য হস্তশিল্প পাট ও চামড়া জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। তবে এ দেশটিতে মোট রপ্তানির ৯৪ ভাগে আসে পোশাক শিল্প থেকে।

৪ স্পেনঃতালিকায় চার নম্বর রয়েছে স্পেন। ২০২১ ২২ অর্থবছরে স্পেনে মোট রপ্তানি হয়েছে ২.৬ বিলিয়ন ডলার। দেশটিতে তৈরি পোশাক হোম টেক্সটাইল হিমায়িত খাদ্য হস্তশিল্প পাট ও চামড়া জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ।তবে দেশটিতে মোট রপ্তানির ৯৬ % এসেছে তৈরি পোশাক থেকে।

৫ ফ্রান্সঃসেরা ৫ এর শেষ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রপ্তানি হয়েছে প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলার।দেশটিতে তৈরি পোশাক হোম টেক্সটাইল হিমাইত খাদ্য হস্তশিল্প পাট ও চামড়া জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। তবে এদেশের মোট রপ্তানির মোট ৯২ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেক।

পোশাক রপ্তানি শীর্ষে যে দেশ:

ইউরোপ এখন সবচেয়ে বেশি পোশাক কিনে বাংলাদেশ থেক। পরিমাণের দিক থেকে গত বছর চীনকে টপকিয়ে শীর্ষ পৌঁছেছে বাংলাদেশ। তবে অর্থ মুরলে এখনো শীর্ষে রয়েছে চীন। কেননা চীনের থেকে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের মূল্য কম। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ২০২২ সালে অন্য যে কোন দেশে তুলনায় ১৩৩ কোটি ওজনের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে চীন রপ্তানি করছে ১৩১ কোটি।তুরস্ক ৪৭ কোটি। ভারত ২১ কোটি এবং ভেতনাম ১৫ কোটি।
ইউরোপ স্ট্যাটিস তথ্য দিয়ে জানিয়েছে তৈরি পোশাকদের মালিকদের সংগঠন বিজিএম ই এ।
রপ্তানি পোশাকের দিক দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও শীর্ষে রয়েছে চীন। গত বছরের ৩০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে চীন অন্যদিকে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশা।

চীনের তুলনায় বাংলাদেশ ৭বিলিয়ন ডলার কম রপ্তানি করেছে। অন্যদিকে চীনের তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি পোশাকের দাম কেজিকে ৬ ডলার কম। এই কারণেই বাংলাদেশী পোশাকের রপ্তানির চেয়ে চীনের পোশাকের রপ্তানির দাম ৭বিলিয়ন ডলার বেশি। ইউরোপীয় বাজারে চীন ও বাংলাদেশের পর ভারত ও তুরস্ক পুরস্কার রপ্তানি করে।

 নিরপীয় বাজারে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের দাম দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। গত বছরে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের প্রতি কেজি গড় দাম ছিল ১৭.২৭ ডলার। এর নিচে আছে পাকিস্তান এর প্রতি কেজি পোশাকের গড় দাম সাড়ে ১৪ ডলার।ইউরোপীয় বাজারে সর্বোচ্চ ৩১ ডলারের পোশাক রপ্তানি করে ভিয়েতনাম। এরপরে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া মরক্কো শ্রীলঙ্কা তুরস্ক ভারত ও চীন।

বাংলাদেশের গার্মেন্টস সংখ্যা

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটি অবদান হলো টেক্সটাইল বা গার্মেন্ট শিল্প। এই গার্মেন্ট শিল্প থেকে প্রতি বছরে প্রায় ৩০ হাজার বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশে আসে।বাংলাদেশের এই গার্মেন্ট শিল্প বিশ্বের দ্বিতীয় স্থান দখল করে রেখেছে। বাংলাদেশে কতটি গার্মেন্টস রয়েছে তা সম্বন্ধে নিম্নে আলোচনা করা হলো।

 সরকারি হিসাব অনুযায়ী একটি জরিপে দেখা গেছে যে, বাংলাদেশের ছোট বড় মিলে প্রায় ৩৬৭৬টি কারখানা রয়েছে। তা হল
১ ইপিজেডে ১৮১টি কারখানা
২ ঢাকায় ১৫৫৫টি
৩ নরসিংদীতে ৩টি
৪ গাজীপুরে ৮৯৪টি
৫ নারায়ণগঞ্জে ৫২৬টি
৬ চট্টগ্রামে ৪৭১ টি
৭ ময়মনসিংহে ৩৪টি।
৮ টাঙ্গাইলে ৬টি
৯ কুমিল্লায় ৩টি ও
১০ মানিকগঞ্জে ৩টি সর্বমোট ৩৬৭৬ টি কারখানার রয়েছে।

তথ্য অনুসারে এই কারখানাগুলো শ্রম আইনের আওতাধীন। এছাড়াও আরো কিছু ছোট কারখানা রয়েছে যা একেবারে স্থায়ী নয়। কিছু কিছু সময় বন্ধ হয়ে যায় আবার খুলে।

লেখক এর মন্তব্য:

আমি এই আর্টিকেল থেকে যা বুঝতে পারলাম তা হল বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আসে এই গার্মেন্টস সেক্টর থেকে।এবং এটা বিশ্বের দ্বিতীয় তম স্থান দখল করে রেখেছে। এবং বাংলাদেশের ছোট বড় মিলে প্রায় ৩৬৭৬ টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। যা বাংলাদেশ একটি বড় অবদান। তো বন্ধুগণ এ আর্টিকেল থেকে আপনারা যদি কোন প্রকার উপকৃত হয়ে থাকেন

 তাহলে আর্টিকেলটি বেশি বেশি শেয়ার করবেন। যাতে করে আপনার বন্ধু-বান্ধবগানো উপকৃত হতে পারে এই আর্টিকেল থেকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url