খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
অতি প্রাচীন কাল থেকেই খেজুর একটি জনপ্রিয় খাবার।অন্যান্য ফলের চেয়ে খেজুরের উপকারিতা রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ। খেজুর দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে,ওজন বাড়াতে সাহায্য করে,উচ্চ রক্তচাপ কমায়।আমরা এইসব কার্যকরী উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকি।তাই আজকের আর্টকেলে জা জানতে পারবেন তা হলো খেজুরের অপকারিতা সম্পর্কে।
কারণ নিয়মিত খেজুর না খাওয়া। আর খেজুর কখন কিভাবে কতটা পরিমাণে খেতে হবে তা না জানার কারণে। খেজুরে কি কি উপকারিতা আছে তাজান সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাকে পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
খেজুর খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর প্রিয় খাবার ছিলেন খেজুর।খেজুর কে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়।ভিটামিন ফসফরাস পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক সমৃদ্ধ খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আইরনের চাহিদা প্রায় ১১ ভাগে পূরণ করে।পুষ্টিগুণে ভরপুর ও আয়রনের অন্যতম উৎস খেজুর প্রতিদিন খাবার তালিকায় রাখলে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়ে তেমনি মোটা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায। তাই খেজুর কে ডাইটা রাখার কথা বলেন পুষ্টিবিদরা।পুষ্টিবিদদের মতে শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই এই খেজুর থেকে পাওয়া যায়।
- খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
- খেজুরের অপকারিতা
খেজুরের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
জকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো নিয়মিত খেজুর খাওয়া উপকারিতা কি খেজুর কখন কিভাবে কতটা পরিমাণে খেতে হবে।এই সবকিছু জানতে আর্টিকেলটি শেষ প্রযন্তু পড়ুন।
১ শরীরের শক্তি যোগাযঃনিয়মিত চার থেকে পাঁচটি খেজুর খেতে পারলে শরীরের শক্তি দ্রুত বাড়তে শুরু করবে।এবং আপনার শারীরিক দুর্বলতা কমে যেতে শুরু করবে। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকি যার ফলে অনেক শক্তি ব্যয় হয়ে থাকে তাই শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য সব ধরনের খাবারের মধ্যে খেজুর অন্যতম।
কারণ খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন শরকরা ফাইবার প্রোটিন ক্যালসিয়াম আয়রন ফসফরাস পটাশিয়াম সহ আরো অনেক কার্যকরী উপাদান।
২ হাড় মজবুত করেঃনিয়মিত খেজুর খেলে হাড় সুস্থ ও মজবুত থাকে। এবং হাড়ের দুর্বলতা চলে যাই।আমরা অনেকেই হারের দুর্বলতা অনুভব করি। ফলে মাঝে মাঝে বিভিন্ন সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়।হাড় সুস্থ ও মজবুত রাখতে খেজুরের উপকারিতা অতুলনীয়।এতে ভিটামিন প্রোটিন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ম্যাগানিস প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
এই সকল খনিজ উপাদান হাড়ের সুস্থতার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে।তাই ছোট বড় সকলের পথের পরিমাণ খেজুর খাওয়া দরকার।
৩ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃসহজেই যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার সমাধান করতে চান তাহলে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি করে ভালো মানের খেজুর খেতে পারেন। খেজুরে থাকা বিভিন্ন কার্যকরী উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেতে পারেন অথবা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেজুর খেতে পারে।তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন।
৪ ওজন বাড়াতে সাহায্য করেঃযাদের ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যেতে শুরু করেছে। তারা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন খেজুর খেতে পারে।নিয়মিত চার থেকে পাঁচটি খেজুর খেলে দুমাস পরে দেখবেন আপনার ওজন বাড়তে শুরু করেছে।খেজুরের প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে যার শরীরে ভাঙ্গন রোধ করে ও ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫ উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃখেজুর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।আমাদের মধ্যে অনেকেই উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যায় ভুগছেন।কিন্তু আপনি জানেন কি কিছু প্রাকৃতিক খাবার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আর সেগুলোর মধ্যে খেজুর সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৬ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃচোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে খেজুর যথেষ্ট ভূমিক।পালন করে আমাদের অনেকেরই চোখে নানান সমস্যা হওয়ার কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে থাকে।প্রতিদিন খেজুর খেতে পারলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে।কারণ খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ জিয়া যেন সহ আরো কিছু কার্যকর উপাদান।
যা রেটিনার স্বাস্থ্য কে ভালো রাখতে সাহায্য করে।এর ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়তে শুরু করে এবং খেজুরে থাকা ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
৭ স্কিন ভালো রাখেঃআপনার স্কিন সুস্থ সুন্দর উজ্জ্বল রাখতে খেজুরের উপকারিতা অনবদ্য। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চার থেকে পাঁচটি খেজুর খেতে পারেন আপনার স্কিন সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য। কারণ খেজুর একটি পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার। এটিতে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন প্রোটিন ক্যালসিয়ামসহ আরো অনেক কার্যকরী উপাদান।যা বিভিন্ন সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বক সুস্থ ও সুন্দর একটা সাহায্য করে।
৮ গ্লুকোজের অভাব দূর করেআপনার শরীরে গ্লুকোজ এর অভাব ঘটলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পার। তাই গ্লুকোজের অভাব কার্যকরীভাবে দূর করে এমন খাবার খাওয়া উচিত। তারমধ্যে অন্যতম হলো খেজুর। নাখেয়ে থাকার ফলে আমাদের শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা যায়।গ্লুকোজের ঘাটতি দূর করার জন্য চার থেকে পাঁচটি খেজুর ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে খেয়ে নিতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। খেজুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে।ফলে আপনার হৃদ যন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।এছাড়াও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে।অ্যানিমিয়ার মত রূপকে দূর করতে। যকৃত ও পারোগকে দূর করতে সাহায্য করে।
খেজুর খাবার অপকারিত
খেজুরে যেমন অধিক মাত্রায় উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলে খেজুরের কিছু ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে।অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এবং যারা ওজন কমাতে চান তাদের পক্ষে খেজুর না খাওয়াই ভালো। খেজুরে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকার কারণে অতিরিক্ত খেজুর খেলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে বদহজম বা পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
তাহলে বুঝতেই পারছেন খেজুর শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কি পরিমান কাজ করে থাকে । এছাড়াও খেজুরের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে এইসব উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য নিয়মিত সকালে চার থেকে পাঁচটি পরিস্কার ও ভালো মানের খেজুর খেতে পারেন। তাহলে আজকে এখানেই শেষ করা যাক। আর আর্টিকেলটি শেষ অব্দি দেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ টেক কেয়ার।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url