খেজুর উৎপাদনে শীর্ষ দেশ কোনটি

 প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সর্ব প্রথম আজওয়া খেজুরের বীজ রোপন করেছিলেন।এই খেজুরের বীজ রোপন এবং জন্মের পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ রয়েছে। যার ফলে এই খেজুর রয়েছে বিশেষ বরকত এবং ফজিলত।খেজুর যেমন সুস্বাদু এর স্বাস্থ্যকর উপকারিতা অনেক। স্বাস্থ্য সচেতনদের মতে খেজুর একটি সুপার ফুড হিসাবে বিবেচিত। 

খেজুর উৎপাদনে শীর্ষ দেশ কোনটি
যারা প্রক্রিয়া জাত চিনি বা মিষ্টি গ্রহণ অনিচ্ছু তাদের জন্য খেজুর একটু সেরা বিকল্প। জানা জাই সারা বিশ্বে প্রায় তিন হাজার প্রজাদের খেজুর রয়েছে।রমজান মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় খেজুরের চাহিদা অনেক পরিমান বেড়ে যায়। খেজুর কিনার আগে কোন দেশের টা কিনতেছেন তা জেনে নেওয়া উচিত।খেজুর উৎপাদনের দিক থেকে মিশর বিশ্বের সর্বপ্রথম।এরপরে ইদান ও সৌদি আরব অবস্থান তৃতীয়।

ভূমিকা

রোজাই ইফতারের কম বেশি সবাই খেজুর খেয়ে থাকে।তবে রোজা নই পুষ্টিগণ এই ফলটির চাইলে সারা বছরইখাওয়া যায়। এছাড়াও খেজুরে আছে নানা ধরনের ঔষধি গুন যা অনেকেরই হয়তো অজানা। পুষ্টিগুণ এই ফলে রয়েছে ভিটামিন ক্যালসিয়াম আয়রন ফসফরাস পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক। পুষ্টিবিদদের মতে শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই খেজুর থেকে আসে।

এছাড়া ডায়াবেটিস থাকলে প্রচলিত খেজুরের বদলে শুকনো খেজুর কে ডায়েটে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। তাই খেজুরের বিভিন্ন গুনাগুন নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। তাই খেজুর সম্পর্কে জানতে হলে আজকের আর্টিকেলটি আপনাকে পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
  • পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো খেজুর কোনটি?
  • দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
  • অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়
  • খেজুর উৎপাদনে শীর্ষ দেশ কোনটি
  • আজওয়া খেজুরের উপকারিতা

পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো খেজুর কোনটি

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সর্ব প্রথম আজওয়া খেজুরের বীজ রোপন করেছিলেন।এই খেজুরের বীজ রোপন এবং জন্মের পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ রয়েছে। যার ফলে এই খেজুর রয়েছে বিশেষ বরকত এবং ফজিলত। হযরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু মালিক ছিলেন একজন ইহুদি।হযরত সালমান ফারসি যখন মুক্তি চাইলো তখন ইহুদী তাকে শর্ত দিল।

যদি তিনি নির্দিষ্ট কয়েকদিনের মধ্যে ৬০০ ডিনার দেন, এবং ৩০টি খেজুর গাছ রোপন করে সেই খেজুর গাছের খেজুর ধরে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে।আসলেই ইহুদির মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না। কেননা সালমান ফারসির পক্ষে ৬০০ দিনার জোগাড় করা সম্ভব ছিল না।এবং ৬০০ দিনার জোগাড় করলেও খেজুর গাছ রোপন করে তাদের ফল ধরে ফল পাকানো অনেক সময়ের ব্যাপার।

হযরত সালমান ফারসি রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাম এর কাছে গিয়ে ঘটনা বর্ণনা করেন।রাসূলুল্লাহ সাল্লাম ৬০০ দিনের এর ব্যবস্থা করলেন।তারপর হযরত আলীকে সাথে নিয়ে গেলেন ইহুদির কাছে।ইহুদি একা কাধি খেজুর দিয়ে বলল এই খেজুর গাছ থেকে চারা উৎপন্ন করতে হবে।রাসুলুল্লাহ সাঃ দেখলেন ইহুদি খেজুরগুলো আগুনে পুড়ে ফেলে কয়লা করেছে যাতে চারা না গজায়।

 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম খেজুরের কাঁধে হাতে নিয়ে হযরত আলীকে গর্ত করতে বললেন আর সালমান ফারসিকে বললেন পানি আনতে। আলী রাঃ গর্ত করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নিজ হাতে প্রতিটি গর্তে সেই পুরা খেজুর রোপন করলেন।সালমান ফারসিকে নির্দেশ দিলেন যে বাগানের শেষ প্রান্তে যাওয়া পর্যন্ত তুমি পিছনের দিকে ফিরবে না।

সালমান ফারসি পিছনের দিকে না তাকিয়ে পানি দিতে লাগলেন। যাওয়ার পর তিনি তাকিয়ে দেখলেন যে প্রতিটি কাছে খেজুরে পরিপূর্ণ আর খেজুরগুলো প্যাকে কালো বন্যা হয়ে গেছে।এই খেজুর পৃথিবীর সবচেয়ে দামি খেজুর এবং ভাল খেজুর আর সাধের দিক থেকেও সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু। আর কেনই বা হবে না যে খেজুর রাসেল এর নিজহাতে রোপন করা তা তো স্বাদ হবে এটাই স্বাভাবিকের।

দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

আজ আমরা জানবো খেজুর আর দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে আমাদের কি কি উপকার হয়। যদি আমরা দুধ আর খেজুর আলাদা আলাদা ভাবে সেবন করি তাহলে আমাদের অনেক উপকার হয়। আর যদি আমরা দুটি একইসঙ্গে সেবন করি তাহলে এর উপকার অনেক গুণ বেড়ে যায। বন্ধুরা খেজুরের গ্লুকোজ আর ফ্যাক্টর এর ভরপুর মাত্রায় পাওয়া যায়।

এটি এনার্জি বুস্ট করা সবথেকে ভালো সমাধান বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে খেজুর আর দুধ নাস্তা সঙ্গে খাওয়া সব থেকে বেশি উপকারী। দুধে খেজুর কতটা পরিমাণে মেশাবেন সেটি আপনার ডাইজেশনের উপর ডিপেন্ড করবে। প্রথমে আমরা জেনে নেব যে খেজুর আর দুধ কিভাবে বানাতে হবে।

৫ থেকে ৬ খেজুর এক গ্লাস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে অল্প আছে পাঁচ থেকে দশ মিনিট গরম করতে দিতে হবে। এরপর আজ থেকে নামিয়ে হালকা হালকা গরম থাকাকালীন খেতে হবে। দুধ আর খেজুর মিশে খেলে আমাদের শক্তি অনেকগুণ বেড়ে যায়। এটি নাস্তার সঙ্গে খাওয়া সব থেকে ফায়দা মান প্রমাণিত।তবে আলাদা আলাদা ভাবেও খেতে পারেন।

এতে গ্লুকোজ আর ফ্যাক্টরদের মাত্রা অধিক পরিমাণে থাকে।এজন্য এটি খুব তাড়াতাড়ি শরীরে এনার্জি প্রদান করতে সাহায্য করে। আবার এতে ফাইবারের মাত্রা অধিক পরিমাণে হওয়ায় এটি হজম করতে খুবই সাহায্য করে।এটি পেট টাইট না হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও সমাধান করে। দুধ আর খেজুর দুটিতেই ক্যালসিয়াম থাকে।যা জোরে ব্যাথা থেকে আরাম দেয়।

দুধ আর খেজুরে উপস্থিত আয়রন রক্ত কুম অ্যানিমিয়া রোগ থেকে বাঁচায়। দুধ আর খেজুর সেবন করলে শরীরের রক্ত বানাতে সাহায্য করে। দুধে খেজুর মিশিয়ে খেলে ব্লাড সার্কুলেশন ভালো হয়। এতে ত্বকের কমলতা এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।দুধ আর খেজুর একসঙ্গে খেলে এতে ভিটামিন বি 6 থাকে।যা ব্রেনের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে, আর এটি মেমরি পাওয়ার বাড়াতে সাহায্য করে।

দুধ আর খেজুর দাঁতকে মজবুত বানাতে সাহায্য করে। আর এটি সেক্স পাওয়ার বাড়াতে খুবই উপকারী। যদি আপনার সেক্সের কোনরকম প্রবলেম থাকে আপনি ১০ থেকে ১৫ দিন এটি নিয়মিত সেগুন করলে নিশ্চিত অবশ্যই উপকার পাবেন।

অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়

খেজুর যেমন সুস্বাদু এর স্বাস্থ্যকর উপকারিতা অনেক। স্বাস্থ্য সচেতনদের মতে খেজুর একটি সুপার ফুড হিসাবে বিবেচিত। রমজানে বেশিরভাগ মুসলিম ইফতার শুরু করেন খেজুর দিয়ে। তাই বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে বিশ্বের মুসলিম প্রধান দেশে এ মাসে খেজুরের চাহিদা বাড়ে কয়েকগুণ।তাই পুষ্টিবিদরা বলেছেন,প্রয়োজনের বেশি বা অতিরিক্ত খেজুর খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ছাড়া আরো অন্য সমস্যা হতে পার।

পেট ফাঁপা এবং ডায়রিয়ার ও আশঙ্কা আছে।খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে তাইতে বিপরীত হতে পারে।খেজুর সংরক্ষণ করা করে রাখার জন্য সালফেট নামক রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়ে থাকে।তাই অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

খেজুর উৎপাদনে শীর্ষ দেশ কোনটি

আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো খেজুর উৎপাদনে শীর্ষে কোন দেশ গুলো রয়েছে। তার সম্পর্কে নীচে আলোচনা করা হলো। রমজানে বেশিরভাগ মুসলিম ইফতার শুরু করেন খেজুর দিয়ে। তাই বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে বিশ্বের মুসলিম প্রধান দেশে এ মাসে খেজুরের চাহিদা বাড়ে কয়েকগুণ। রোজায় খেজুরের উপকারিতার কথা স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে।

এছাড়াও আধুনিক পুষ্টি তত্ত্বেও অকপটে স্বীকার করা হচ্ছে এর গুনাগুনের কথা। খেজুরে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন খনিজ উপাদান ফাইবার ও প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।খেজুরের আনুমানিক ২০ গ্রাম ক্যালরি ৫.৩গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ০.৬ গ্রাম ফাইবার ৪ গ্রাম সুগারসহ থাকে।তথ্য মতে বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৯০ লাখ মেট্রিক টন খেজুর উৎপাদন হয়।

মোট চাহিদা সিংহভাগ খেজুরী আসে মিশর সৌদি আরব ইরান পাকিস্তান সুদান ওমান তিউনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরা থেকে। তথ্য মতে বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ৯০ লাখ মেট্রিক টন খেজুর উৎপাদন হয় মোট চাহিদা সিংহভাগ খেজুরি আসে মিশর সৌদি আরব ইরান আলজেরিয়া ইরাক পাকিস্তান সুদান ওমান তিউনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরা থেকে।

খেজুর চাষ রপ্তানি মিশর থেকে প্রতি বছর উৎপাদন হয় ১৭ লাখ মেট্রিক টন খেজুর। যা বিশেষ চাহিদার এক পঞ্চঅংশ।এরপরে রয়েছে সৌদি আরবের অবস্থান।সৌদি আরবের প্রতি বছর খেজুর উৎপন্ন হয় ১৫ লাখ মেট্রিক টন।

আজওয়া খেজুরের উপকারিতা

হযরত আলী রাঃ ইবনে সাদ তার পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন করেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে কয়েকটি আজওয়া খুরমা খাবে ঐদিন রাত পর্যন্ত কোন বিষ ও জাদু তার কোন ক্ষতি করবে না। অন্যান্য বর্ণনাকারী গণ বলেছেন সাতটি খোরমা সহি বুখারী হাদিস নাম্বার ৫৩৫৬জুমা ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু সাদ রাযিয়াল্লাহু আনহু তার পিতা থেকে বর্ণিত।

তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি প্রত্যহ সকালে সাতটি আজওয়া উৎকৃষ্ট খেজুর খাবে সেদিন তাকে কোন বিষ ও জাদুর ক্ষতি করবে না এর দ্বারা। সুতরাং আজওয়া উপকারিতা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত তাই রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। তাছাড়া অন্য এক হাদীসে হৃদ রোগের জন্য এ আজোওয়া খেজুর ব্যবহার করতে বলেছেন।

লেখকের মন্তব্য

আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা যা জানতে পারলাম তা হল। খেজুর শুধু পুষ্টিকর খাবারই নয় এটা রোগের প্রতিষেধক হিসাবে হাদিসে প্রমাণিত। তাই আমাদের সকলের উচিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এবং আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার এবং কমেন্ট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url