বঙ্গবন্ধু টানেল কোন নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে

হে প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সে বিষয়টি হল বঙ্গবন্ধু টানেল। আপনারা যারা বঙ্গবন্ধু টানেল সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করতেছেন কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল। আজকের এই আর্টিকেলে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। সে বিষয়গুলো হলো, বঙ্গবন্ধু টানেল কোথায় অবস্থিত। বঙ্গবন্ধু টানের দৈর্ঘ্য কত
বঙ্গবন্ধু টানেল কোন নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে
বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের তারিখ,বঙ্গবন্ধু টানের কোন নদীর তীরে অবস্থিত এ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। বঙ্গবন্ধু টানেল সম্পর্কে জানতে খুঁটিনাটি বিষয় জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাকে পুরো টি মনোযোগ সহকারে পোরতে হবে।

ভূমিকা

বাংলাদেশে যতগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে তার মধ্যে কর্ণফুলী টানেল অন্যতম। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এই সুরঙ্গের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এটি বাংলাদেশের প্রথম সুরঙ্গ পথ।চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণ কাজ শেষে আগামী জানুয়ারিতেই তা যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার চিন্তা করছে সরকার।

আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর২০২৩ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নিমিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আরো জানানো হবে যে বঙ্গবন্ধুর টুল কতটা নির্ধারণ করা হয়েছে তা সম্বন্ধে। তাই এ বিষয়টি পুরোপুরি জানতে হলে এই আর্টিকেলটি পুরোটাই আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
  • বঙ্গবন্ধু টানেল কোথায় অবস্থিত
  • বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন তারিখ
  • বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য কত
  • বঙ্গবন্ধু টানেল কোন নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে
  • বঙ্গবন্ধু টানেলের টোলের তালিকা

বঙ্গবন্ধু টানেল কোথায় অবস্থিত

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণ কাজ শেষে আগামী জানুয়ারিতেই তা যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার চিন্তা করছে সরকার।এরই মধ্যে ৯০ ভাগের বেশি কাজ শেষ হয়েছে।৩.৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলি নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়া সর্বপ্রথম টানেল।আলো আধারি ভেদ করে একটু একটু করে এগিয়ে চলা।

টানেলের দেয়াল থেকে শুরু করে ভেতরের সড়কের নানা কাজী প্রায় শেষ।এখন চলছে নিরাপত্তামূলক ফায়ার প্লেট লাইটিং এবং ডেকোরেশন প্লেট বসানোর কাজ।বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় নির্মিত তামিলগিয়ে মিলেছে নদীর অন্য প্রান্ত আনোয়ারায়।

৩.৩২ কিলোমিটার দীর্ঘই টানেলে যাওয়া আসার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আলাদা দুটি টিউব।প্রতিটি টিউবের প্রস্থ ৩৫ ফুট এবং উচ্চতা ১৬ ফুট।সম্পূর্ণ কাজ শেষে আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ নাগাদে সুরঙ্গ পথ দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে বলে আশা করতেছেন সরকার।

বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন তারিখ

আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর২০২৩ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদী তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রথম টিউবের উদ্বোধন হয়েছে ২০২৩ সালে ২৮ শে অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সুরঙ্গ পথ উদ্বোধন করেন।

 সকাল ১০টাই গণভবন থেকে থেকে ভার্চুয়ালি এই টিউবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।দুটি সংবলিত মূল টানেলের দীর্ঘ ৩.৩২ কিলোমিটার।কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে টানেরের কাজটি শেষ হতে পারে জানুয়ারিতে।তারপরে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে ১০ হাজার৩০০শত ৭৪ কোটি টাকায় নির্মাণাধীনএই মেগা প্রকল্প।

বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য কত

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নিমিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার। এই সুরঙ্গ পথ বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সুরঙ্গ পথ এবং দক্ষিণ এশিয়া নদীর তলদেশে প্রথম ও দীর্ঘতম সুরঙ্গ পথ। এই সুরঙ্গ পথ বাস্তবায়ন করেছে চীনা,প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।কর্ণফুলী নদীর মধ্যভাগে ১৫০ ফুট গভীরে এই বঙ্গবন্ধু টানেল অবস্থিত।

বঙ্গবন্ধু টানেল কোন নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে

বাংলাদেশে যতগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে তার মধ্যে কর্ণফুলী টানেল অন্যতম। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এই সুরঙ্গের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এটি বাংলাদেশের প্রথম সুরঙ্গ পথ। এটি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কোন নদীর তলদেশে নির্মিত প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুরঙ্গ।ঢাকা-চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে যাতায়াত আরো নিরীঘ্ন করতে।
 
এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কর্ণফুলী টানেল ব্যাপক অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এই পারবে। চীনের সাংয়ের ওয়ান সিটি টু ডাউন মডেলের আদলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে গড়ে তুলতে কর্ণফুলী নদীর অপর পাড়ে ব্যাপক বাণিজ্যিক অঞ্চল তৈরির পরিকল্পনা করা হয়।

 কর্ণফুলী টানেল একদিকে চট্টগ্রামের মূল শহর এবং অপরদিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে। কর্ণফুলী নদীর ১৫০ ফুট গভীরে সুরঙ্গটি নির্মাণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার। এই টানেল মূলত দুইটি টিউবের আকারে গড়ে তোলা হয়েছ। প্রতিটি টিউবের দৈর্ঘ্য ২.৪৫ কিলোমিটার। এবং ব্যাস ১০.৮০ মিটার।

প্রতিটি টিউবের দুটি করে মোট চারটি লেন থাকবে। সুরঙ্গটির মূল দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার হলেও এর সঙ্গে পাঁচ কিলোমিটারের বেশি সংযোগ সড়ক এবং ৭২৭মিটার দীর্ঘ একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহর প্রান্তের নেপাল একাডেমির পাশ দিয়ে শুরু হয়ে এই সুরঙ্গ নদীর দক্ষিণ পাড়ের আনোয়ারা প্রান্তের চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড

এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড কারখানার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে নদীর দক্ষিণপ্রান্তে গিয়ে শেষ হয়েছে।এই সুরঙ্গ এর মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হবেন।বঙ্গবন্ধু সুরঙ্গ চালু হওয়ার ফলে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মূল চট্টগ্রাম শহরের ভেতরে ঢুকতে হবে না। সিটি অউটার রিংরোড হয় টানেলের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে।

এরফলে চট্টগ্রাম নগরে যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়া ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব কমবে প্রায় ৫০ কিলোমিটার।এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার কমে যাবে।

বঙ্গবন্ধু টানেলের টোলের তালিকা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানলের টোল নির্ধারণ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পদ্মা সেতুর টোল বেশি হলেও পদ্মা সেতুর বিকল্প আর কোন পথ নেই।তাই পদ্মা নদী পারাপারে হতে যানবাহনগুলো অধিক টল দিতে বাধ্য। কিন্তু যেহেতু কর্ণফুলী টানেলের বিকল্প সড়ক রয়েছে তাই এই পথে টলের হার বেশি হলে অধিকাংশ মানুষ শাহ আমানত সেতু ব্যবহার করবে।

এক্ষেত্রে এত ব্যয় নির্মিত এই সুরঙ্গ জনগণের তেমন কাজে আসবে না।এমন ভাবনা থেকে দেশের প্রথম সুনঙ্গ পথের টোল কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে অনেকটাই সিদ্ধান্তহীনতায় ছিল সেতু বিভাগ।যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বেশ কয়েকবার টানেলের টোল হার সংশোধন করা হয়।

কিন্তু তারপরও শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের টল চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর কয়েক গুণ বেশি নির্ধারণ করতে হয়েছে। নিম্নে টানেলে টোল সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলটানেল দিয়ে চলতে প্রাইভেট কারবার জিপ গাড়িতে গুনতে হবে ২০০ টাকা।মাইক্রোবাসের জন্য বঙ্গবন্ধু টানলে ২৫০ টাকা। ৩১ আসনের কম বাসের জন্য ৩০০ টাকা।

৩২ আসনের বেশি বাসের জন্য টানলের ৪০০ টাকা এবং থ্রি এক্স এর বাসের জন্য বঙ্গবন্ধু টানলে ৫০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়া ভারী যানবাহনের মধ্যে পাঁচ টন ওজনের ট্রাকের জন্য ৪০০ টাকা।৮ টন পর্যন্ত ট্রাক ৫০০ টাকা ।১১ টননের ট্রাকের জন্য ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর বাইরেও বিভিন্ন ক্যাটাগরির বড় বড় ট্রেইলার ট্রাকের জন্য ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

টানেলের বিকল্প হিসেবে কম টলের মাধ্যমে সেতু ব্যবহারের সুযোগ থাকায় টানেল থেকে টল আদায় করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চীনের ঋণ পরিশোধের বিষয়টি নিয়ে সংখ্যা রয়েছে।

লেখকের মন্তব্য

বঙ্গবন্ধু টানেলের কারণে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দেশের সর্ববৃহৎ ইকোনমিক করিডর গড়ে উঠবে। এছাড়া এই সুরঙ্গ হবে এশিয়ান হাইওয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ।তাই বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেল থেকে তো আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিচিত লোকদের সাথে শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url