প্রাকৃতিকভাবে দ্রুত ওজন কমানোর ৫টি উপায়

 স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমানোর উপায়।একটা বয়স পর সাধারণত নিজের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে খুব বেশি মানুষ চিন্তিত থাকেন। সেটি হলো শরীর অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি জমা। খুব কম মানুষই রয়েছেন যারা তাদের প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা ভুড়ি নিয়ে চিন্তিত নন।

প্রাকৃতিকভাবে দ্রুত ওজন কমানোর ৫টি উপায়
শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের অধিকাংশ জায়গাতেই মানুষকে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত থাকতে দেখা যায়। আর করনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে দীর্ঘ সময় ঘরে থাকায় এই চিন্তা মানুষের আরও বেড়েছে।

ভূমিকা

খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম এবং ব্যস্ত জীবন যাত্রাফলে নারী-পুরুষ উভয়ের জীবনযাত্রা চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। জাঙ্কফুডের বদ অভ্যাস খাওয়ার অনিয়মের কারনে শরীরের জমতেছে বাড়তি ফ্যাড।এতে সৃষ্টি হয় নানান রোগ।এই নিয়ে বিপদে পড়ে থাকেন সবাই।একটু সচেতন হলে এই ব্যাপার থেকে রেহাই পেতে পারি খুব সহজেই।

শুধু ব্যায়াম করলেই পেটের মেদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না।খাবার দাবারও সতর্ক থাকতে হবে।তাই আজকের আর্টিকেলে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে।সে বিষয়গুলো জানতে হলে আপনার আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
  • ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায়
  • লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
  • ওজন কমানোর খাবার তালিকা
  • প্রাকৃতিকভাবে দ্রুত ওজন কমানোর ৫টি উপায়
  • স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমানোর উপায়

ঘরে বসে ওজন কমানোর উপায়

ঘরে বসে মেয়ের নিয়ন্ত্রণ বা ওজন কমানোর কার্যকরী কিছু উপায় নিম্নে আলোচনা করা হলো। তাই ঘরে বসেই কিভাবে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এই বিষয়ে কি পরামর্শ দিচ্ছে, চলুন জেনে নিই আজকের আর্টিকেলে।১ সকালে নাস্তা বাদ দেওয়া যাবে না।২ নির্দিষ্ট সময় খাবার অভ্যাস করা।

৩ স্ন্যাকস জাতীয় খাবার না খেয়ে পানি পান করা। ৪আশ বা ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়া।৫ কর্মঠ থাকার চেষ্টা করা।৬ খাবার সময় ছোট প্লেট ব্যবহার করা,এবং ধীরগতিতে খাবার গ্রহণ করা।৭ প্রিয় খাবার বাদ দেবেন না।

লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়

lemon water is in secret to loss weight. actually lime use makes with hot cold or normal temperature water doesn't make any changes to weight loss.তবে এই হেলদিঙ্কে যদি আমরা অন্য কোন বিপরীত পরিবর্তে নিয়ে থাকি লাইভ সোডা কলা কিংবা ফ্রুট জুসের বিকল্প হিসেবে তবে সেটা আমাদেরকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়া লেবুর কিন্তু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রোপার্টি আছে।

যার ফলে এটা মেটাবলিজম কে বুস্টার করতেছে।এছাড়া হাই ডাইটেস থাকা ব্যালেন্স ডায়েটের মূল ভিত্তি। আর আমরা জারা পানি খেতে চাচ্ছি না তাদের জন্য লেবু পানি একটি উৎকৃষ্ট পানিও।লেবুতে আরো অন্যান্য অনেক উপকারী দিক আছে যেমন। এটা আমাদের ডাইজিসঙ্গে হেল্প করছে। পাশাপাশি ইনডাইজেশনের ফলে গ্যাস ব্লটিং বা হারবান হচ্ছে সেগুলিকে ফিরিবেন করছে।

লেবুতে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।সো লেবু পানি আমাদের শরীরে ডিটক্স ফাই করছে।মেটাবলীজনের কারণে বডিতে যে টক্সিন সাবস্টেট তৈরি হচ্ছে সেগুলোকে অনেক ফাস্টার রেটে বাড়ি থেকে রিলিজ করতেছে।লেবুতে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে।সো আমরা জানি যে যাদের হাইপারটেনশন আছে তারা যদি সোডিয়াম কমিয়ে পটাশিয়ামকে আমরা বাড়াতে পারি,সে ক্ষেত্রে কিন্তু হাইপারটেনশন পেশেন্টের জন্য অনেক রিলিভ হয়।

আর আগেই বলেছে ভিটামিন সি এর অন্যতম সোর্স হচ্ছে লেবু।so friends forget about weight loss. আমরা লেবু পানির অন্যান্য যে হেলদি দিকগুলো আছে সেগুলি বিবেচনা করে হলেও আমাদের কিন্তু প্রত্যেকেরই লেবু পানি খাওয়া উচিত।

ওজন কমানোর খাবার তালিকা

ওজন কমানোর জন্য খাবার তালিকা নিম্নে দেওয়া হলঃ
সকালবেলা যখন ঘুম থেকে উঠে, এক গ্লাস গরম পানি অথবা ডিটেক্স ওয়াটার নেব।সকালের ব্রেকফাস্ট।১ রুটি +১ বাটি সবজি, অথবা ১ টি ডিম +১ বাটির সবজি তরকারি, অথবা ১ টি ডিম+১ টি শশা/টমেট/গাজর,অথবা ১টি ডিম+১টি যেমন পেয়ারা কমলা আপেল কয়েক টুকরা পেঁপে অথবা কলা ইত্যাদি।

অথবা ১ বাটি ওটমিল চিনি ছাড়া দুধ কলা দিয়ে বা সবজি দিয়ে কোন রেসিপি।দুপুরের খাবার বা লাঞ্চের খাবার। ১মঠো বা ১কাপ ভাত +১কাপ ডাল +১বাটি সবজি +১পিস মাছ বা ১ডিম বা ১-২পিস চিকেন বা ১পিস মাটান +১বাটি সালাত। বিকেলে বা সন্ধ্যার খাবার। ৭-৮টি চিনাবাদাম অথবা ৬-৭টি কাজুবাদাম অথবা ১কাপ আদা চা/গ্রিন টি /কফি /অথবা কোন ১টি ফল।

অথবা ভেজিটেবল সুপ। রাতের খাবার। রাতে অবশ্যই হালকা খাবার খাওয়া উচিত। ১মুঠো বা ১ কাপ ভাত+১বাটি সবজি +১বাটি ডাল। অথবা ১-২টি রুটি +১বাটি সবজি।অথবা ১পিস মাছ খাওয়া যেতে পারে। এই ছিল ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট।

প্রাকৃতিকভাবে দ্রুত ওজন কমানোর ৫টি উপায়

কিভাবে প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমানো যায় এর কিছু উপায় সম্পর্কে এমনিমনে আলোচনা করা হলো। 

১ সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া যাবে নাঃসকালের নাস্তা কে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার বলা হলেও ঘুম থেকে ওঠেন নানা কারণে আমরা অনেক সময় নাস্তার না করেই দিন শুরু করি। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এনিচার্জ বলছে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কখনোই সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া উচিত নয়।সকালে নাস্তা না খেলে বারবার ক্ষুধা লাগার সম্ভাবনা থাকে।

যার ফলে বারবার অল্প অল্প করে অপরিমিত স্নেক জাতীয় খাবার গ্রহণ করার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এরকম পরিস্থিতিতে অনেক সময় ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে মেয়ের জমে যায়।

২ নির্দিষ্ট সময় খাবার অভ্যাস করাঃএকটা ভুল ধারণা অনেকের মনে আছে যে দুপুরে বা রাতের না খেলে ওজন কমে।কোন এক বেলা খাবার না খেলে যেমন শারীরিকভাবে দুর্বল বোধ করা বা পুষ্টি ঘাটতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তেমনি ক্ষুধার কারণে চর্বি যুক্ত বা চিনে যুক্ত খাবার খাওয়ার ঝুঁকি বেশি হয়।কোন বেলার খাবার বাদ না দিয়ে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে খাবার অভ্যাস তৈরি করুন।এর ফলে ইনসুলিন ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩ স্নেকস জাতীয় খাবার না খেয়ে পানি পান করাঃবেশি মাত্রায় পানি পান করলে আপনার ওজন কমে যাবে এরকমটা কিন্তু নয়। অনেক সময় ক্ষুধা আর তৃষ্ণার মধ্যে পার্থক্য করতে পারেনা। আর সেরকম সময় অতিরিক্ত মাত্রায় স্নেকস গহন করে থাকে মানুষ। ফলে শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়ে যায় অতিরিক্ত ক্যালরি।তাই নির্দিষ্ট সময় ছাড়া খিদে পেলে,অতিরিক্ত স্নেকস জাতীয় খাবার না খেয়ে পানি পান করুন।

৪ আশ বা ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি করে খওয়াঃফাইবার বা আশ যুক্ত খাবার ওজন কমানোর জন্য খুবই কার্যকর।ফল সবজি লাল চাল মটর ডাল বিজ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে আশ থেকে থাকে।প্রতিদিন ফাস্টফুড না খেয়ে ফল সবজি আর আঁশযুক্ত খাবার বেশ উপযোগী।

৫ কর্মঠ থাকার চেষ্টা করা। ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং সুস্থ থাকার জন্য কর্ম ছাড়া খুব জরুরী।ওজন কমানো এবং শরীর ভালো রাখার জন্য ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই।

স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমানোর উপায়

স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন কমানোর টিপস আলোচনা করা হলো। ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতেছেন,কিভাবে ওজন কমাবেন সেটা পাচ্ছেন না।স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য খাদ্য অভ্যাস ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে থাকে।অল্প পরিমাণ করে খাবার বারে বারে খাওয়। খাদ্য তালিকা থেকে ক্যালোরিবহুল খাবার একেবারে কমিয়ে দেওয়া।

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত ব্যায়াম করা।নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণ করা। প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো এবং চিন্তা মুক্ত থাকার মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব।ওজন কমানোর আগে আপনাকে জানতে হবে, কি অভ্যাসের কারণে আপনার ওজন বেড়ে গেছে। তাহলে আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

লেখকের মন্তব্য

আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা যা জানতে পারলাম।কিভাবে ওজন কমানো যায় তাই সম্বন্ধে।তাই শারীরিকভাবে সুস্থ এবং ওজন কমানোর জন্য ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই।এবং আজকের আর্টিকেলে যে ডায়েট চার্ট দেওয়া হয়েছে সে ডায়েট চার্ট অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে পারলে অবশ্যই উপকৃত হবেন।ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url